• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Fever

স্বাস্থ্য

দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত, দেশে সক্রিয় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬,১৩৩ জনে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬জন কোভিড-১৯ আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কর্ণাটকে দুজন, কেরালায় তিনজন এবং তামিলনাড়ুতে একজন।রবিবার পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য কেরালা। সেখানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৫০ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এর পরেই রয়েছে গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে সংখ্যাটি ৬৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ সকাল পর্যন্ত দেশজুড়ে ৭৫৩ জন রোগীর নিরাময় হয়েছে।ভারতে করোনার বর্তমান বৃদ্ধির কারণ হল নতুন ওমিক্রন উপ-ভেরিয়েন্ট যেমন JN.1, NB.1.8.1, LF.7, এবং XFC। এগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা লক্ষণ দেখা গেছে। WHO বর্তমানে এগুলোকে পর্যবেক্ষণাধীন রূপ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। এখনও উদ্বেগের বিষয় নয়, তবে সতর্কতা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে, কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী ভাইরাস SARS-CoV-2 অদৃশ্য হয়ে যায়নি।

জুন ০৯, ২০২৫
স্বাস্থ্য

ফের করোনা উদ্বেগ বাড়ছে বাংলায়, সতর্কতার ওপর জোর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের

করোনা শুনলেই ফের মনে আতঙ্ক, উদ্বেগ বাড়তে থাকে। মনে পরে যায় ২০২০-২০২২ এর সেই ঘরবন্দি পরিস্থিতি। দেশ জুড়ে লোকডাউন। রোজগার চলে যাওয়া। মানুষের হাহাকার।। আবার সেই করোনা নামক অসুরের থাবা দেশ জুড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষ করে কলকাতায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কিছুটা বেড়েছে।এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মোট সক্রিয় কোভিড-১৯ কেসের সংখ্যা ৩৭১। কলকাতায় ৪১টি নতুন কোভিড-১৯ কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। চলতি বছরে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত একটি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। মৃত ৪৩ বছর বয়সী মহিলা হাওড়ার বাসিন্দা ছিলেন। জানা গিয়েছে, তাঁর কিডনি ও হৃদরোগের মতো অন্যান্য কোমরবিডিটি ছিল। তার JN.1 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। দেশের অন্যান্য রাজ্য যেমন কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুতেও JN.1 ভ্যারিয়েন্টের কারণে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।সতর্কতা: যদিও সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে, স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন যে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। তবে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।কলকাতা পৌরসংস্থা (KMC) শহর জুড়ে ব্যানার লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে মানুষ মাস্ক পরা, ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।কেএমসি-এর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের এবং কোমরবিডিটি আছে এমন ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। হাসপাতালের প্রস্তুতি: হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত সংখ্যক বেড, অক্সিজেন সরবরাহ, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধের স্টক নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ভেন্টিলেটর, বাই-প্যাপ মেশিন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং পিএসএ প্ল্যান্ট সহ সমস্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছেন। বিশেষ করে JN.1 উপ-ভ্যারিয়েন্টের উচ্চ সংক্রমণ হারের পরিপ্রেক্ষিতে। * বুস্টার ডোজ: বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য বুস্টার ভ্যাকসিন নেওয়ার সুপারিশ করা হচ্ছে।সাধারণ মানুষের জন্য পরামর্শ:* মাস্ক ব্যবহার: জনসমাগমপূর্ণ স্থানে মাস্ক পরুন।* হাতের স্বাস্থ্যবিধি: নিয়মিত সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখুন বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।* সামাজিক দূরত্ব: ভিড় এড়িয়ে চলুন এবং অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।* উপসর্গ দেখা দিলে: জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন।* টিকাকরণ: যারা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি, তাদের দ্রুত তা নেওয়ার কথা ভাবা উচিত, বিশেষ করে যদি তাদের কোমরবিডিটি থাকে।বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সরকারি নির্দেশিকা অনুসরণ করা সকলের জন্য জরুরি।

জুন ০৬, ২০২৫
রাজ্য

Child Fever: বেড ঘাটতির কারণে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ঠাঁই হয়েছে কাটোয়া হাসপাতালের মেঝেতে

শিশুদের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ার সংখ্যা বেড়ে চললেও বাড়েনি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা। তাই জ্বর, সর্দি ও কাশি উপসর্গ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি হওয়া অনেক শিশুর ঠাই হয়েছে মেঝেতে। অসুস্থ শিশুদের মেঝেতে রেখেই চলছে চিকিৎসা। চাহিদা অনুয়ায়ী শিশু ওয়ার্ডে বেড কম থাকার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিলেও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ চেপে রাখেননি চিকিৎসাধীন শিশুর পরিজনরা।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে নবান্ন, টুইট আক্রমণ শুভেন্দুরকাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সারা বছরই রোগীর চাপ থাকে। পূর্ব বর্ধমান জেলার পাশাপাশি প্রতিবেশী জেলা মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও নদীয়া থেকে রোগীরা চিকিৎসা করাতে এই হাসপাতালে আসেন। তারই মধ্যে বর্তমান জ্বর, সর্দি ও কাশি উপসর্গ নিয়ে কাটোয়া হাসপাতালে শিশু ভর্তির সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় এখন তিল ধারনের জায়গা নেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হয় ৮৫ টি শিশু। বুধবার বিকাল পর্যন্ত ৫০ জন শিশু চিকিৎসাধীন থাকে। অথচ শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ২০ তেই থমকে রয়েছে। তার কারণে অসুস্থ শিশুর ঠাঁই হয়েছে ওয়ার্ডের মেঝেতেই।আরও পড়ুনঃ পায়রার মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের পক্ষী প্রেমীরকাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল সুপার ধীরাজ রায় এই বিষয়ে জানান, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেডের চাহিদার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে তাঁরা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে শিশুদের মধ্যে ভাইরাসঘটিত জ্বর সহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। রোজ রোজ শিশু রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। তাই সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Fever and Respiratory Infections: পূর্ব বর্ধমানে শিশুদের জ্বর-শ্বাসকষ্ট জনিত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর

কোভিডের লক্ষণ না থাকলেও পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে জ্বরে আক্রন্ত শিশু ভর্তির সংখ্যা। প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুর সংখ্যা ১৪০ জন। তার মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে ৩৭ জন ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৯৫ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। কোন শিশুর মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত নেই বলে যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জেলার কালনা ও কাটোয়া হাসপাতালের পাশাপাশি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও শিশু ভর্তি হওয়ার সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুদের চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার জন্য বিশেষ ওয়ার্ডও চালু করা হয়েছে।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকজন শিশু জ্বর নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হত । কিন্তু গত দুসপ্তাহ যাবৎ দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ জন জ্বরে আক্রান্ত শিশু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তাঁদের অনেকের জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও থাকছে। তবে চিকিৎসাধীন কোন শিশুর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পড়েনি।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কৌস্তুভ নায়েক জানিয়েছেন, এই সময় আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে শিশুদের সমস্যা হয়। তবে তার কারণে এই বছর শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশী। শিশুদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ৬৪ বেডের একটি ওয়ার্ড নির্দিষ্ট করা হয়েছে।এছাড়াও সোমবার থেকে অক্সিজেন পরিষেবা যুক্ত ২০ বেডের একটি ওয়ার্ডও চালু করা হয়েছে। শিশুদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার, নার্স ও গার্ডের সংখা বাড়ানো হয়েছে। চিকিৎসক কৌস্তভ নায়েক জানিয়েছেন, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের কোভিড পরীক্ষাও করা হচ্ছে।চিকিৎসাধীন শিশুদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেও কৌস্তুভ নায়েক দাবী করেছেন।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি কালনা মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও শিশুদের ব্যাপক হারে জ্বরে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক অরুপ রতন করণ সোমবায় জানান, চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত ছয় দিনে প্রবল জ্বর ছাড়াও সর্দি, কাশি, উপসর্গ নিয়ে ১৫১ জন শিশু তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিছু বাচ্চার শ্বাসকষ্ট উপসর্গও থাকে। যদিও হাসপাতালে সব শিশুর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া শিশুদের সঙ্গে বাড়িতে কোভিড বিধি মেনেই মেলামেশার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

Covid: দুর্গাপুরে কোভিড আক্রান্ত তিন শিশু, বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত জ্বর, আতঙ্ক শিল্পশহরে

দুদিন আগে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিভাগে ইনজেকশন দেওয়ার পর শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। আতঙ্কে শিশুদের নিয়ে হাসপাতাল ছাড়তে শুরু করে অভিভাবকরা। দূর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল কতৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও শোনেনি তাঁরা। এবার এই হাসপাতালে তিন শিশুর শরীরে করোনা সংক্রমণ হওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।ইনজেকশন বিতর্কের মাঝেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে তিন শিশুর শরীরে কোভিডের নমুনা ধরা পড়ায় অভিভাবকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। জানা গিয়েছে, একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট জনিত জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। এর ফলেই ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে শিল্পশহর দুর্গাপুরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর জেলা স্বাস্থ্য দফতর।সূত্রের খবর, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সমস্ত শিশুরই কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যেই শনিবার তিন শিশুর শরীরে কোভিডের নমুনা পাওয়া যায়। এই শিশুদের সঙ্গে সঙ্গেই কোডিড ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডেপুটি CMOH কেকা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনার থার্ড ওয়েভ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর চিন্তিত। একই সঙ্গে শিশুদের অভিভাবকদের আরও সতর্ক ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
রাজ্য

Unknown Fever: মালদায় জ্বরের বলি আরও এক শিশু

অজানা জ্বরের বলি ফের এক শিশু। রবিবার গভীর রাতে ফের মৃত্যু হল আরও এক শিশুর। জানা গিয়েছে শিশুটির বয়স মোটে ১ মাস ৬ দিন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মালদা মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা বিভাগে প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয় ওই শিশু। রবিবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে বেডের অভাব। বেড না পেয়ে একই বিছানায় অন্য আক্রান্তদের সঙ্গে রেখেই চিকিৎসা করাতে হয়েছিল ওই শিশুকন্যাকে। চিকিৎসকদের গাফিলতির জন্যই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির এমনই অভিযোগ। সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজে শনিবার পর্যন্ত ১৬৪ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। কিন্তু বেডের সংখ্যা ১২০। আরও পড়ুনঃ টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাওড়া ও টিকিয়াপাড়া কারশেড, বাতিল একাধিক ট্রেনমেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৈষ্ণবনগর থানার চক বাহাদুরপুরের বাসিন্দা প্রকাশ মণ্ডলের নবজাতক পুত্র আচমকাই জ্বরে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, রক্তে সংক্রমণের দরুণ শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। যদিও, ঠিক কীভাবে সেই সংক্রমণ হল তা কিন্তু স্পষ্ট বলতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। তবে, এই শিশুটিরও অন্যান্যদের মতো একই উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা। শিশুটিকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার পর বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিন্তু, তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। এই নিয়ে গত পাঁচদিনে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ৮ টি শিশুর মৃত্যু হল।উল্লেখ্য, রাজ্যে শিশুদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
রাজ্য

Mamata Bannerjee: অজানা জ্বরের কারণ জানতে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় শিশুদের মধ্যে জ্বর ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার কারণ চিহ্নিত হয়েছে। এই নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করল স্বাস্থ্য দপ্তর। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে বৈঠকে এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। এমনটাই জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবনসূত্রে।এদিন একঘণ্টার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৫ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে অজানা জ্বরের আতঙ্ক ছাড়াও স্বাস্থ্যপরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেখানে হাসপাতালগুলির বেড বাড়ানো, মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা বাড়ানো মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।আরও পড়ুনঃ সকালের আলো ফুটতেই কেঁপে উঠল সিচুয়ান প্রদেশভোট প্রচারে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠক ছেড়ে বেরোনোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রকোপ ছড়ানো শিশুদের অজানা জ্বর নিয়ে তিনি বৈঠকে স্বাস্থ্যকর তাদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে এদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর নিয়েছেন। জানতে পেরেছেন, কোনও অজানা জ্বর নয়, এমনি সাধারণ জ্বরেই আক্রান্ত হয়েছে শিশুরা। যাদের মৃত্যু হয়েছে, তারা সকলেরই অন্য জটিল অসুখ ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও চিকিৎসার কোনও সুযোগ হয়নি।জ্বরের প্রকোপ ছড়াতেই স্বাস্থ্যদপ্তর তড়িঘড়ি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিল। তাতে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে শিশুদের মধ্যে অজানা জ্বরের নেপথ্যে রয়েছে আরএস ভাইরাস। তবে এই ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি কারণ কী, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে এই সংক্রান্ত আলোচনা ছাড়াও কলকাতার ৫ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামোর আরও উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই হাসপাতালগুলি দেশের অন্যতম সেরা হাসপাতাল হিসেবে ইতিমধ্যেই খ্যাত। শুধু কলকাতাই নয়, সংলগ্ন জেলাগুলি থেকেও প্রচুর মানুষজন এসব হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। অন্তত ৭৬ শতাংশ মানুষ এর উপর নির্ভরশীল। আরও কীভাবে এসব হাসপাতালের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো যায়, শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করা যায় এবং মেডিক্যাল কলেজের আসন সংখ্যাও বাড়ানো যায়, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
রাজ্য

Child Fever: শিশুদের অজানা জ্বরে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ, আক্রান্ত ৫০০-র বেশি

অজানা জ্বরের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। ৮ মাসের এক শিশুর মৃত্যুর খবর এসেছিল আগেই। এখনও পর্যন্ত এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। গুরুতর অসুস্থ শিশুর সংখ্যা সব মিলিয়ে ৫০-এর পঞ্চাশের কাছাকাছি। সরকারি নথি অনুযায়ী ৫০০-র বেশি শিশু অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। আর এই ঘটনা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে ধরেছে। বিশেষত শিশু চিকিৎসার পরিকাঠামোর বেহাল চেহারাটা ক্রমশ সামনে আসছে। আর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্কও। আরও পড়ুনঃ রাজ্যে আরও একটি বড় দুর্নীতির আশঙ্কায় শুভেন্দুকরোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে এবং শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ভবন ঘোষণা করেছিল যে গোটা রাজ্যে প্রস্তুতি চলছে। বাড়ানো হচ্ছে বেড। আইসিইউ, পিকু, নিকু সহ পেডিয়াট্রিক এক্সপার্টদের নিয়ে তৈরি হয়েছে টিম। তৃতীয় ঢেউ কবে আসবে জানা নেই। তবে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি এবং কোচবিহার সংলগ্ন এলাকায় শিশুদের এই আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাতেই বেআব্রু হয়ে পড়েছে সরকারি সেই ব্যবস্থা। হাসপাতালে গাদাগাদি করে রয়েছে শিশু এবং তাদের অভিভাবকেরা। ভর্তির জায়গা নেই। এমনই অবস্থা একাধিক জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল কিংবা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। মূলত শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে এই জ্বরের প্রকোপে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল বা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই জ্বরে আক্রান্ত শিশুরা ভিড় করছে। কোথাও প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও বা ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল, বানারহাট, ধুপগুড়ি , মালবাজার, মেখলিগঞ্জ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ছোট-বড় হাসপাতালে এই মুহূর্তে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ভিড়। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর গত ১২ থেকে ১৪ দিন ধরে এই অজানা জ্বরের প্রকোপ বেড়ে চলেছে জেলাজুড়ে। উত্তরবঙ্গের চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, সঠিকভাবে সেই তথ্য জানানো হয়নি স্বাস্থ্য ভবনকে। তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। জ্বর, পেটে যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বহু শিশু। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে এই অজানা জ্বর। অথচ ১০-১২ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করে সঠিক কারণ জানা গেল না। কেন জ্বরের কারণ জানতে এত বেশি সময় লাগছে? সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মান্ধানার রেকর্ডে কাঁপল বিশ্ব! ফাইনালে কি লেখা হবে নতুন ইতিহাস?

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম যেন অপেক্ষা করছে ইতিহাসের জন্মের সাক্ষী হওয়ার। গ্যালারিতে ঢেউ তুলছে নীল সাগর। কোটি ভারতবাসীর নিশ্বাস যেন একসঙ্গে আটকে। কারণ, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ২৯৯ রান ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। ৩০০-এর দোরগোড়াহাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু যেই দুই ব্যাটারকে দেখার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আর হরমনপ্রীতের ব্যাট আজ বড় কিছু লিখতে পারল না।সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংসে আগুন ঝরিয়েছিলেন নকআউট কুইন হরমনপ্রীত। আজ ফাইনালে এসে থেমে গেলেন ২০ রানে। দুইটি বাউন্ডারি মারলেও নিজের সেরাটুকু দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক। ফ্যানদের আশাহতাশার মিশেল রয়ে গেল মাঠ জুড়ে।তবু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য নক্ষত্র জ্বলল উজ্জ্বল আলোয়। স্মৃতি মান্ধানা ফাইনালে করলেন ৫৮ বলে ৪৫ রানহ্যাঁ, হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া। কিন্তু সেই সঙ্গেই গড়লেন এক বিশাল রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক রান করার নজির ভাঙলেন তিনি। মিতালি রাজের ২০১৭ সালের ৪০৯ রানকে টপকে স্মৃতির সংগ্রহ এখন ৪৩৪।মান্ধানাশেফালি জুটি দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই এল ভাঙন। ক্লোয়ি ট্রায়নের বল তুলে দিয়ে ক্যাচ ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। আর ৩৮তম ওভারে ফিরে যান হরমনপ্রীত। দুজনই যদি আর কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারতেনস্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ড হয়তো অন্য গল্প বলত।কিন্তু এখনও সব শেষ নয়। ভারতীয় স্পিন, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আকাশএই তিন শক্তি কি এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? চোখ রাখল ভারত।আজ রাতেই উত্তর।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নীলে রাঙা দেশ! বিশ্বকাপফাইনালে শেফালি–ঝড়, ২৯৮ রান তুলে ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত

ভারতের আকাশ আজ নীলের উৎসবে ঢেকে। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহারণে নামতেই যেন বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আবেগ। সেই বৃষ্টি ধুয়ে দিল শুধু মাটি নয়, যেন দেশের কোটি স্বপ্নকে। কারণ, আজ ইতিহাস লেখা সম্ভব উইমেন ইন ব্লু-র। হরমনপ্রীত কৌরদের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের অপূর্ণতা মুছার দায়িত্ব। আর ব্যাট হাতে সেই পথে বড় পদক্ষেপই রাখল ভারত।প্রথমে ব্যাট করে ভারত থামল ২৯৮ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তোলা এই রানকে কি বিশ্বজয়ের রান বলা যায়? দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের সাহসী ইনিংস, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আবেগসব মিলিয়ে দিনটা ইতিহাসের পাতায় ওঠার অপেক্ষায়।ইনিংসের শুরুতেই স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মার ব্যাটে নজর কাড়া সূচনা। বৃষ্টিভেজা উইকেটে সতর্ক শুরু হলেও শিগগিরই বদলে গেল রঙ। বড় শট, নির্ভয়ে রান রোটেশনদুটিতেই সামনে শেফালি। এক সময় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়লেও শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৭ রানে। কী দারুণ ইনিংস! তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি নেইএ কথা ভুলিয়ে দিলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও প্রথমে জায়গা ছিল নাএকেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য।স্মৃতি মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন। জেমাইমা রদ্রিগেসের ২৪ রান, অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ২০যেখানে সবাই শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, সেখানে দুই ভারতীয় ভরসা দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ সামলালেন ইনিংস। দীপ্তির অর্ধশতরান, আর রিচার দাপুটে ২৪ বলে ৩৪ রানে ভারত ৩০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কয়েকটা শট আর সাহসে হয়তো ২৫-৩০ রান আরও বাড়ানো যেতসেটা নিয়েই এখন আলোচনা।এখন প্রশ্ন একটাইএই রান কি যথেষ্ট? স্পিন বোলিং আর দর্শকদের গর্জন কি দেশকে এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেই দিয়েছিলেন, এই পিচে রান তাড়া সহজ। তাই ম্যাচ এখন পুরোপুরি বোলারদের হাতে।স্টেডিয়ামের শব্দঅর্কেস্ট্রা, নীল পতাকার ঢেউ এবং লক্ষ মুখে একটাই ডাকচলো মেয়েরা! রোহিতবিরাটদের অসম্পূর্ণ গল্প কি এবার মেয়েরাই পূর্ণ করবেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্বপ্নভঙ্গের দাগ এখনও টাটকা! ফাইনালের আগে হরমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-বুমরাহ-সূর্য

দুই বছর আগে ঠিক এই মঞ্চেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ভারতীয় মহিলাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ট্রফি ছোঁয়ার এতটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল খালি হাতে। সেই ব্যথা এখনও জাগ্রত। তাই ২০২৫এর আরেক মহাযুদ্ধের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পুরুষ দলের তারকারাও। কোহলি, সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে জশপ্রীত বুমরাহসবাই একসুরে জানিয়ে দিলেন, ভয় নেই, এগিয়ে যাও।ফাইনাল ম্যাচের আগে BCCIর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরকে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গম্ভীর বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে মেয়েদের। তিনি বলেন, ফাইনাল উপভোগ করো, সাহসিকতার সঙ্গে খেলো। ভুল করলেও ভয় পেয়ো না। তোমরা ইতিমধ্যেই দেশকে গর্বিত করেছ। গম্ভীরের বার্তায় স্পষ্টচাপ নয়, আনন্দই দিক নির্দেশ করবে।অন্যদিকে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার জন্য মহিলা দলের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। সূর্য বলেছেন, নিজেদের মত করে খেলে যাও, টুর্নামেন্ট জুড়ে তোমরা অসাধারণ খেলেছ। এমনকি জশপ্রীত বুমরাহর কথায়ও একই সুর। অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ফাইনাল আসে না, তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দাও। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখো। ফল ঠিকই আসবে।২০১৭তে মিতালি রাজের দল, এরপর ২০২৩এ রোহিত শর্মাদের স্বপ্নভঙ্গভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল দুইই ফাইনালের যন্ত্রণা চেনেন। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ভরা চোখে মানুষ অপেক্ষা করছে নতুন ইতিহাসের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস রাখছেন, হরমনপ্রীতস্মৃতিরিচাদের হাতেই এবার বিশ্বজয়ের গল্প লেখা হবে।দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রত্যেক ভারতীয়র মনে একই প্রার্থনাএবার ট্রফি ফিরেই আসুক দেশের মাটিতে।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি, ফাইনাল কি পিছিয়ে যাবে? দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের ভারত। নবি মুম্বইয়ের মাঠে আজই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ের লড়াই। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এমন উত্তেজনার দিনে ভাগ্য যেন একটু খারাপই খেলল টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দুপুর গড়াতেই নামল মৌসুমবহির্ভূত বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে থমকাল মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহারণ।ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি নামায় টস পর্যন্ত হয়নি। গ্যালারিতে বসা দর্শক থেকে শুরু করে টিভির সামনে বসা ক্রিকেটপ্রেমীরাসবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার।এখন প্রশ্ন একটাইযদি বৃষ্টি কমেই না? তবে কি বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠেই নামবে না? ভারতীয় সমর্থকদের মনে তাই উৎকণ্ঠা, আর চোখ ঝুলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ আজই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে। প্রয়োজন হলে দুদলের ওভার কমিয়ে দেওয়া হবে। একই দিনে ফলাফল করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতেই হবে দুদলকে। যদি বৃষ্টি সেই সুযোগও না দেয়, তবে প্রস্তুত আছে রিজার্ভ ডে।আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাখা হয়েছে চূড়ান্ত দিন। যদি আজ ম্যাচ অসম্পূর্ণ থাকে, সেখান থেকেই কাল আবার খেলা শুরু হবে। তবে যদি এক বলও না গড়ায় আজ, সোমবার পুরো ৫০ ওভারের নতুন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই মুহূর্তে তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই আশাআকাশটা একটু পরিষ্কার হোক, আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাক হরমনপ্রীত কৌরদের দাপট। সেমিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালিসবাই প্রস্তুত ইতিহাস লেখার জন্য। বাকি শুধু মাঠে নামা।এদিকে স্টেডিয়ামের ছাদেও ঠাসা উত্তেজনা। কেউ মন্ত্রজপ করছেন, কেউ মোবাইলে আবহাওয়া আপডেট দেখছেন, আবার কেউ পতাকা হাতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপের দিনই যদি বৃষ্টি আসে, তা কি মানা যায়? এখন সবই নির্ভর করছে আকাশের দিকে। ভারতীয়দের মনে একটাই স্বপ্নআজ হোক, কাল হোক, কিন্তু হাতে উঠুক সেই সোনার ট্রফি।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

"অপারেশন সিঁদুর ভুলতে পারেনি পাকিস্তান-কংগ্রেস", নতুন করে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদির

বিহারের আরায়ায় রবিবার নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেস ও আরজেডিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল জাতীয় নিরাপত্তা, কাশ্মীর, এবং অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ।মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাকিস্তান ও কংগ্রেসদুই পক্ষই এখনও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারর ঘুম নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যআমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারব। অপারেশন সিঁদুর সেই অঙ্গীকার পূরণ করেছে। সঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। বলেন, এটি তাঁর গ্যারান্টি ছিল এবং আজ তা বাস্তব।বিহার রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধনের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইনি। কিন্তু আরজেডির চাপেই কংগ্রেসকে রাজি হতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়আরজেডি বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেসকে সিএম প্রার্থী ঘোষণা করাতে বাধ্য করেছে।মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস-আরজেডির মধ্যে গভীর বিরোধ আছে, এবং নির্বাচন শেষে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করবে। তাই তাঁদের উপর আস্থা রাখা যায় না। মহাগঠবন্ধনের ইস্তেহারকে তিনি মিথ্যার আর প্রতারণার দলিল আখ্যা দেন। এনডিএর ঘোষণাপত্রকে বলেন সত্ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা বিহারের উন্নয়নের জন্য তৈরি।এদিন ১৯৮৪র শিখবিরোধী দাঙ্গার কথাও টেনে আনেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আজও সেই সময়ের দোষীদের সম্মান দিচ্ছে। তিনি বলেনআরজেডির নাম জঙ্গলরাজের সঙ্গে জড়িত, আর কংগ্রেসের পরিচয় শিখ গণহত্যার সঙ্গে। বিহার ভোটমাঠে শেষ দফা প্রচারে তাই তীব্র হচ্ছে ভাষার লড়াই। একদিকে এনডিএর উন্নয়নের দাবি, অন্যদিকে পরিবর্তনের ডাকদুই পক্ষের জোর প্রচারের মধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোটযুদ্ধের ময়দান।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়তে নামছে হরমনদের বাহিনী, রিচা ঘোষে বুক বাঁধছে গোটা বাংলা

শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়মেয়েরাও পারে! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া। আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। রবিবারই ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে হরমনপ্রীত কউররা। শেষ লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর গোটা দেশ যেমন উত্তেজনায় ফুটছে, বাংলায় সেই উত্তেজনার কেন্দ্র শিলিগুড়ি। কারণ ফাইনালের মাঠে থাকছেন শহরেরই মেয়ে রিচা ঘোষ।বয়স মাত্র ২২। কিন্তু মন? যেন সহাস্য যোদ্ধা। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ঝড় তুলেছিলেন রিচামাত্র হাতে গোনা ডেলিভারি পেলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও, রিচার ব্যাটে আলোর রেখা দেখেছিল দেশ।সেই তারকার জন্য এখন বুক বেঁধে অপেক্ষা শিলিগুড়ির। শহরের রাস্তায় উত্তেজনা, দেওয়ালে পোস্টার, আর মানুষের মুখে একটাই প্রশ্নরিচা কেমন করবে কাল? শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ইতিমধ্যেই বিগ স্ক্রিনে ফাইনাল দেখানোর আয়োজন করে ফেলেছে। শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হচ্ছে ফ্লেক্স, তৈরি হচ্ছে উৎসবের আবহ।রিচার পুরনো দিনেও আলো। ২০১৩১৪ সালে বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে খেলতেন সে সময়কার ছোট্ট মেয়ে রিচা। কোচ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আগের সেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাস মনে করছেন। তাঁর মুখে গর্বওকে প্রথম দিন থেকেই আলাদা লাগত। ব্যাট ধরার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা, মনোভাবসবেতেই ছিল বড় খেলোয়াড়ের স্পষ্ট আভাস।একই কথা বলছেন রিচার বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ অঙ্কিতা মোহন্তও। তিনি স্মিতহাস্যে বলছেন, রিচা সব সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে নেয়। আমাদের সময়ও ও পরামর্শ দিত। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্যাটে। আগামিকাল ও দেখাবেমেয়েরাও পারে!মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার আরও খোলামেলাআমাদের শহরের মেয়ে! তাই তো গর্ব। কাল গোটা শহর স্ক্রিনের সামনে এক হবে। রিচার জন্য শুভেচ্ছা।এখন শুধু অপেক্ষা ফাইনালের। শিলিগুড়ি, বাংলা আর ভারতসকলেরই চোখ এক ব্যাটে, এক মেয়ের উপর। ইতিহাস রচনার মুহূর্ত কি তাহলে আর কয়েক ঘণ্টা দূরেই?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

ভোটের উত্তাপে বিস্ফোরণ, গুলির আতঙ্ক! জন সূরজ পার্টির কর্মী খুনে ধরা জেডিইউ নেতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণপ্রতিআক্রমণের মাঝেই এবার সামনে এল রক্তাক্ত ঘটনা। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হলেন ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র মোকামা কেন্দ্রের প্রার্থী অনন্ত সিং। পটনা পুলিশের হাতে শনিবার, ১ নভেম্বর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।ুীদুলারচন্দ যাদব গত বৃহস্পতিবার মোকামায় জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই ভরা সভাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও ময়নাতদন্তে প্রকাশগুলি নয়, গুরুতর শারীরিক আঘাত, বিশেষত পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়া ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দুলারচন্দ অনেক দিন আরজেডি-র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। পরে PKর জন সূরজ পার্টিতে যোগ দেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সভার মাঝেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে এই মৃত্যুর ঘটনা। এবং সে সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং।গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, পুলিশ ঠিক কাজ করেছে। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এটা কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এফআইআর হওয়ার পরই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখন দেখার তদন্ত কতদূর এগোয়।অন্য দিকে গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিংকে দায়ী করেন তিনি। উল্লেখ্য, সূরজভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী।ঘটনার গুরুত্ব দেখে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে হবে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিন্দুমাত্র নষ্ট না হয়।বিহারের ভোটযুদ্ধ এখনও শুরুই হয়নি, আর তার আগেই রক্তঝরা সংঘর্ষে জর্জরিত রাজনৈতিক ময়দান। আগামীর দিনগুলো যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal