ভয়ংকর বিস্ফোরণ কেতুগ্রামে, উড়লো ছাদ - ভাঙলো ইটের দেওয়াল
গুলি, বিষ্ফোরণের পালা চলছে। এবার ভয়ংকর বিস্ফোরণ পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের চেঁচুড়া গ্রামে। বিস্ফোরণে উড়ে গেল পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারের কংক্রিটের ছাদ। গুড়িয়ে গিয়েছে শৌচাগারের ইটের দেওয়ালের একাংশ। গতকাল, রবিবার সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চেঁচুড়া গ্রামে। খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার আই সি ও কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কিশিনাথ মিস্ত্রির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কেউ গোপনে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারে প্রচুর বোমা বা বিস্ফোরক পদার্থ মজুত করে রেখেছিল। কারা কি উদ্দেশ্যে পরিত্যক্ত ওই শৌচাগার শক্তিশালী বোমা মজুত রেখেছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে । উল্লেখ্য, দুদিন আগে কল্যাণীতে বেআইনি বাজির কারখানায় বিষ্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাড়ির শৌচাগারে এদিন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেই বাড়িতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কেউ থাকেন না। বাড়ির মালিকরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বছরে একবার তাঁরা আসেন। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের বর্ডার সংলগ্ন। ঘটনাস্থলের আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা বলেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত কেপে উঠেছিল। তাই ঘটনার পর থেকেই চরম আতঙ্কে তটস্থ ঘুম ছুটেছে চেঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের।বিগত লোকসভা ভোটের আগের রাতেই বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার সময় দুস্কৃতি হামলায় খুন হন চেঁচুড়ি গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি মিন্টু শেখ। বোমা মেরে ও কুপিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই হামলায় মিন্টুর এক সঙ্গী মিশির শেখ ওরফে নজরুল ইসলাম গুরুতর জখম হয়েছিল। আজও ওই খুনের হামলাকারী দুস্কৃতীদের নাগাল পায়নি পুলিশ। সেই আতঙ্ক আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি চেঁচুড়ি গ্রামবাসী। তারই মাঝে ভয়ংকর বিস্ফোরণে একটা পরিত্যক্ত বাড়ির শৌচাগারের কংক্রিটের ছাদ উড়ে যাওয়ার ঘটনায় সিঁদূরে মেঘ দেখছে গ্রামবাসীরা।কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) কাশিনাথ মিস্ত্রি জানিয়েছেন,ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যে বাড়ির শৌচাগারে বিস্ফোরণ ঘটেছে ওটি পোড়ো বাড়ি। ১৫-১৬ বছর ধরে ওই বাড়িতে কেউ থাকেন না। আমারা সুয়োমোটো মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি ।