• ৫ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ২২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Electricity

কলকাতা

স্মার্ট মিটার বসানোর প্রকল্প আদৌ কি পুরো বন্ধ, বড় বিক্ষোভ

অনৈতিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা স্মার্ট মিটার বসানোর প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও অভিযান। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকে এই অভিযান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নেতৃত্ব। পাঁচজনের প্রতিনিধি দল গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয়।রাজ্যে কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার জানান, আমরা ধন্যবাদ জানাব সরকার স্মার্ট মিটার বসানোর প্রকল্প তুলে নিয়েছে। সরকার ভয় পেয়ে তুলেছে না চার পা পিছিয়ে গেল আরও দশ পা এগোনোর জন্য। সামনে নির্বাচনে আছে। কালীগঞ্জের উপনির্বাচন আছে। এখানে ভয় পেয়ে কি সরকার পিছলো এটা আমরা জানতে চাই। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার প্রাইভেট এজেন্সির মাধ্যমে মিটারগুলো সাপ্লাই করছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে রাজ্য সরকার বোঝাপড়া করছেন না কেন? ৫০০০০ অলরেডি পরিবার যাদের জোর করে এই স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে। এই পরিবারগুলোর কি হবে। এই মিটার বন্ধ করার নির্দেশ এসেছে কিন্তু সেটা পার্মানেন্ট কি? এই বিষয়গুলো কেউ জানে। এই পঞ্চাশ হাজার পরিবার কার কাছে যাবে, সরকারের কোন নোটিফিকেশন নেই আবার এটা চালু হবে কিছুদিন পর সেটাও কেউ কিছু বলছে না। ৫০ হাজারের মিটারের কি হবে এটা কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুৎমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারকে বলতে হবে। রাজ্য সরকার দরকার হলে সর্বদলীয় কমিটির মিটিং ডাকুন। তার কারণ সেটা মানুষের ওপর একটা কালো আইন হিসাবে চালানোর চেষ্টা চলছে। যাদের বসালেন এবার খুলবে কে? পুরনো মিটারটা দেবে কে? এগুলো কিন্তু পুরো অস্বচ্ছ। বিষয়টি তাই বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে বলব এগুলোকে ক্লিয়ার করুন। তাই আজকে প্রতি কি প্রতিবাদ হিসেবে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।

জুন ১০, ২০২৫
রাজ্য

স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা রাজ্যের, পুরো বাতিলের দাবি অ্যাবেকার

বিগত বছরের শেষ থেকেই রাজ্যের নানা জায়গায় স্মার্ট মিটার বসাতে শুরু করে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। এই মিটার বসানো নিয়ে নানা মহল থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়। বাধাও দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গা থেকে। শেষমেশ স্মার্ট মিটার নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর। আপাতত গৃহস্থ বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানোর প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।সোমবার বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো শুরু হয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু অভিযোগ আসার কারণে আপাতত সেই কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্মার্ট মিটারের অস্বাভাবিক বিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অভিযোগ ওঠে। নানা জায়গায় বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও পর্যন্ত হয়। অবশেষে পিছু হঠার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবেকা)-এর সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে আজ এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে স্মার্ট মিটার সম্পর্কে যা জানানো হয়েছে তা হতাশাজনক। গৃহস্থে যাদের অন্যায় জবরদস্তি করে স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে সেগুলো খোলার বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই। কমার্শিয়াল, ক্ষুদ্রশিল্পে ও গৃহস্থে যাদের এই স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে সেগুলো খুলে নিতে হবে। সামগ্রিক গ্রাহকদের টাকা লুট করার যন্ত্র স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার প্রকল্প বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অ্যাবেকার আন্দোলন চলবে।

জুন ০৯, ২০২৫
রাজ্য

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদ ঘিরে মালদায় পুলিশ-জনতা খন্ডযুদ্ধ, জখম বিক্ষোভকারী, পুলিশও

পথ অবরোধ তুলতে গিয়ে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মালদার মানিকচক থানার এনায়েতপুরে। পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি চালাতো হয় পুলিশকে, অভিযোগ। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই যুবক। এমনকি বিক্ষোভকারীদের পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশকে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকতে হয়। পরে মানিকচক থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে ঘটনাস্থলে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ফাটানো হয় বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের হামলায় মাথা ফাঁটে মানিকচক থানার আইসি পার্থ প্রতিম হালদারের। তাঁকে চিকিৎসার জন্য মালদার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। এছাড়াও আরও দুই পুলিশ কর্মী বিক্ষোভকারীদের হামলায় জখম হয়েছেন। তাঁরাও চিকিৎসাধীন মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ দুই যুবককে ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে। দুইজনেরই পায়ে গুলি লেগেছে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। পরে মালদা জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী, কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়। এরপরই ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মালদা-মানিকচক রাজ্য সড়ক। পুলিশ ওই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকেই অন্ধকারে ডুবে রয়েছে মানিকচক থানার এনায়েতপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকা। আর এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন সকাল থেকেই এনায়েতপুরের বেশ কয়েকটি এলাকার দফায় দফায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক গ্রামবাসীরা। যাদের মধ্যে মহিলারাই বেশি ছিলেন। এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ অবরোধ তুলতে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়ে মানিকচক থানার কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। তারপরই আচমকা পুলিশকে ইঁট,পাথর নিয়ে ধাওয়া করে বিক্ষোভকারীদের একাংশ বলে অভিযোগ। কয়েকজ্ন হাতে গোনা পুলিশ কর্মী ঘটনাস্থলে থাকায় তাদের পিছিয়ে আসতে হয়। সেই সময় পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় কর্তব্যরত কয়েকজন পুলিশ কর্মী। আর সেই বাড়িকে লক্ষ্য করে পুলিশকে এলোপাথাড়ি ইঁট, পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা, অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশকে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়। উত্তেজনার খবর পেয়ে মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথী হালদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলেপৌছায়। তখনই পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ইঁটের আঘাতে আইসির মাথা ফেটে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে বেরিয়ে যায়। তখনই পুলিশ গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। সেই সময় পুলিশের গুলিতে দুইজন পথচারী জখম হন।এনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ আকবর শেখ জানিয়েছেন, এদিন বিক্ষোভের সময় তিনি রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। আচমকা তার বাম পায়ে গুলি লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য ভর্তির ব্যবস্থা করেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে বলেও জখম দুই যুবকের অভিযোগ।এদিকে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই গ্রামে লোডশেডিং চলছে। বুধবার রাত থেকে একটানা লোডশেডিং-এর জেরে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনেকেই গরমের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ছোট ছোট শিশুরাও গরমের জ্বালায় ছটফট করছে। লোডশেডিং-এর জেরে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এইসব ঘটনার বিষয় প্রতিবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু আচমকায় পুলিশ এসে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং গুলি চালাই। তখনই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে যায়।যদিও এই ব্যাপারে মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, কোনওরকম গুলি চলেনি। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস লোডশেডিংয়ের বিষয়টি মানতে চাননি। অরূপ বিশ্বাস এক বিবৃতিতে বলেন, মানিকচক থানার এনায়েতপুরে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে সেখানে কোন সমস্যা নেই। বৃহস্পতিবার মানিকচকের লোডশেডিং-এর প্রতিবাদ রাজ্য সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ বাঁধে। মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে লোডশেডিং শব্দটি চিরতরে তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যেখানে অন্যান্য রাজ্যে প্রায় দিনই ছয় থেকে আট ঘন্টা লোডশেডিং হয়। সেই ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে এক মিনিটও লোডশেডিং হয় না। তবে মালদার মানিকচকে এনায়েতপুরে সমস্যা হচ্ছে বৈদ্যুতিক হাই টেনশন টাওয়ার বসানো নিয়ে। উন্নত মানের বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে মালদা পাওয়ার গ্রিড থেকে মানিকচক পর্যন্ত ৮৯ টি টাওয়ার বসানোর কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৮৬ টি টাওয়ার বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনটি টাওয়ার বসানো বাকি রয়েছে। কিছু এলাকার মানুষের অসহযোগিতার কারণেই এই তিনটি হাই টেনশন টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে মালদা জেলা পুলিশ, প্রশাসন, বিদ্যুৎ দপ্তর সক্রিয়তার সাথে কাজ করে চলছে। এই তিনটি টাওয়ার বসানো হলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মালদায় উন্নতমানের বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

জুলাই ১৮, ২০২৪
রাজ্য

বাংলার বিদ্যুৎ দপ্তরের এর চাকরিতে ডোমিসাইল চালু, বাংলা পক্ষর দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল

বিদ্যুৎ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সহ সমস্ত চাকরিতে ভিন রাজ্যের কর্মীতে ভরে যাচ্ছিল, বঞ্চিত হচ্ছিল বাঙালি ছেলেমেয়েরা। বাংলা পক্ষের দাবী, এমনও দেখা যাচ্ছিলো চাকরি পাওয়া ৪১ জন ইঞ্জিনিয়ারের ৩৪ জন ছিল বাইরের রাজ্যের। কিন্তু অন্য রাজ্যে বিদ্যুৎ দপ্তরে বাঙালি চাকরি পায় না, কারণ সেই রাজ্যের স্থানীয় ভাষার পেপার বাধ্যতামূলক ও ডোমিসাইল আছে। ২০১৯ থেকে বাংলা পক্ষ লাগাতার আন্দোলন শুরু করে বিদ্যুৎ দপ্তরের হেডকোয়ার্টার বিদ্যুৎ ভবনে। বারবার ডেপুটেশন, বিক্ষোভ চলতে থাকে। তাঁরা বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সাথে বারংবার সাক্ষাৎ করে আসল চিত্রটা বোঝানোর চেষ্টা করেন৷ বাকি রাজ্য কি ভাবে নিয়োগ করে তাঁর বিস্তারিত নিয়ম ডকুমেন্ট আকারে জমা করা হয় বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাছে। সেই আন্দোলনের ফলে এর আগেই বিদ্যুৎ বিভাগের চাকরিতে বাংলা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হয়েছিল। সেখানেই বাংলা পক্ষ থেমে থাকেনি। তাঁরা বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারদের কথা দিয়েছিল, এর থেকেও বড় সুখবর তাঁরা দেবে বলে। বৃহস্পতিবার এলো সেই সুখবর। বিদ্যুৎ দপ্তরের কোম্পানী WBSETCL এর চাকরিতে ডোমিসাইল চালু করার নোটিফিকেশন জারী করা হয়। বাঙালি ছেলেমেয়েদের চাকরি ও কাজের স্বার্থে বাংলা পক্ষ নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে। বাংলার মাটিতে যাতে কোনো বাঙালি ছেলেমেয়ে বঞ্চিত না হয়, সেজন্যই এই সংগঠন তৈরি বলে তাঁরা মনে করেন। শুধু বাঙালি না, প্রতিটা ভূমিসন্তানের চাকরি ও কাজে অধিকারের জন্য তাঁরা লড়াই করছে বলে বাংলা পক্ষের দাবী।বাংলা পক্ষের শীর্ষ পারিষদ কৌশিক মাইতি জনতার কথা কে জানান, বাংলার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্তের জন্য তাঁরা বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ধন্যবাদ জ্ঞপন করেন। তাঁরা ধন্যবাদ জানান বাংলার সরকারকে। আগামীতে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা WBSEDCL এও চাকরিতে ডোমিসাইল চালু হবে, সেই দাবিতেই লড়াই করছে বাংলা পক্ষ। আশা করি আগামীতে WBSEDCL সহ সব রাজ্য সরকারি দপ্তরে চাকরির পরীক্ষা বাংলা ভাষার পেপার বাধ্যতামূলক হবে এবং ডোমিসাইল চালু হবে বল তাঁদের আশা।

নভেম্বর ০৩, ২০২২
রাজ্য

দূর্ঘটনার কারন জানতে জামালপুরে গ্রামে পরিদর্শনে এলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা

জামালপুরের কানাঘূষা গ্রামে পরিদর্শনে এলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা। নবান্নের নির্দেশে ওই টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা মৃতের পরিবারে লোকজনদের সvঙ্গেও দেখা করেছেন। গ্রামের পাশ দিয়ে বিপজ্জনকভাবে বিদ্যুতের তার গিয়েছে। কাঠের খুঁটিতে তার গুলি বাঁধা রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা সেগুলি সরানোর দাবি জানিয়েছেন। বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা বিষয়টি দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই খুঁটি থেকেই বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তারপরই এদিন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন

অক্টোবর ৩০, ২০২২
রাজ্য

স্কুলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট, তবুও এসেছে প্রায় লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পুর্ব-বর্ধমানে রায়নার স্কুল

বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য বিদ্যালয়ে রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের ইউনিট। তা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ দফতর পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ ব্লকের একলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে প্রায় লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল। শুধু এত বিশাল পরিমান টাকার বিদ্যুৎ বিল পাঠানোই নয়।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই বিল সংশোধনের আবেদন করার পর উল্টে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগই বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।তার কারণে এখন বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন জারি রাখার ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে চুড়ান্ত অচলাবস্থা। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ ও স্কুল দফতর সহ প্রশাসনের নানা মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিদ্যালের প্রধান শিক্ষক। কিন্তু সুরাহার কোনও ব্যবস্থা হয়নি। সামনেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেই কথা মাথায় রেখে প্রশাসন কি ব্যবস্থা করে সেই দিকেই এখন তাকিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পড়ুয়ার।বিদ্যালয় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মইদুল হক জানান, প্রথম থেকেই রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের দেওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল তাঁর বিদ্যালয়ে।পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকার বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎতের চাহিদা মেটাতে সৌরশক্তির উপর ভরসা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়।সেই মত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বিদ্যালয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের ইউনিট চালু হয়। সেই সৌরবিদ্যুৎ ইউনিট থেকে বিদ্যালয়ও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়।তার পরেই বিদ্যুৎ দফতর বিদ্যালয়ে থাকা পূর্বের মিটার রিডিং যন্ত্রটি খুলে নিয়ে নেট মিটার যন্ত্র লাগিয়ে দেয়।প্রধান শিক্ষক তাঁর অভিযোগে বলেন, ওই নেট মিটার যন্ত্র লাগানো হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও বিদ্যুৎ দফতরের কেউ মিটার রিডিং দেখতে আসেনি।তারই মধ্যে করোনা অতিমারির প্রভাব বেড়ে যায়। তার কারণে রাজ্য সরকার স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে একলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয়ও বন্ধ থাকে। এর পরেও ২০২১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন মিটার রিডিং সংগ্রহ করতে আসেন না। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিদ্যুৎ দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তার পর বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন মিটার রিডিং নিয়ে যায়। পরে তারা ৯৮ হজার ৭৮৮ টাকার বিদ্যুৎ বিল বিদ্যালয়ে পাঠায়।এত বিপুল পরিমাণ টাকার বিল সঠিক মনে না হওয়ায় এরপর তিনি বিল সংশোধনের জন্য বিদ্যুৎ দফতরে লিখিত আবেদন করেন।কিন্তু সেই আবেদন গ্রাহ্য না করে উল্টে বিদ্যুৎ দফতরের কোন নোটিশ না দিয়েই ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর লোকজন পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।এদিকে বিদ্যুৎ না থাকার তার কারণে এখন বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন চালু রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা।পড়ুয়ারা জানিয়েছে, বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় তাঁরা কম্পিউটার ক্লাস করতে পারছে না।পাম্প চালাতে পারা না যাওয়ায় স্কুলে পানীয় জলও পাওয়া যাচ্ছে না।এমনকি জলের অভাবে সাফাই কাজ বন্ধ থাকায় স্কুলের শৌচাগার ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে।মিড ডে মিল রান্না করার জন্য দূর থেকে জল আনাতে হচ্ছে। এছাড়াও পড়ুয়াডের সরকারী সূযোগ সুবিধা পাবার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে অনলাইনে যে যে বিষয়ে আবেদন করতে হয় সেই কাজও করতে পারা যাচ্ছেন না বলে পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছে।বিদ্যুৎ বিল সঠিক মনে না হওয়ার কারণ নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মইদুল হক বলেন, বিদ্যালয়ে থাকা সৌরবিদ্যুৎ ইউনিট থেকে কতটা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় তার হিসাব নেট মিটার যন্ত্রে দেখা যায়।উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিদ্যালয় তার প্রয়োজন মত ব্যবহার করার পর বাকি সবটা বিদ্যুৎ দফতর নিয়ে নেয়।অতিমারির কারণে প্রায় দুবছর ধরে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল।তাহলে আমাদের বিদ্যালয় বিদ্যুৎ খরচ করলো কোথায়! প্রধান শিক্ষক এও দাবি করেন, অতিমারির কারণে তাঁদের বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সময়ে উৎপাদিত সমস্ত সৌরবিদ্যুৎ বিদ্যুৎ দফতরই গ্রহন করেছে।কিন্তু বিলে বিদ্যুৎ দফতর কতটা সৌরবিদ্যুৎ গ্রহন করেছে আর বিদ্যালয় কতটা বিদ্যুৎ খরচ করেছে তার কোন হিসাবও দেওয়া হয় নি। নেট মিটারে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎতের যে হিসাব ধরা পড়েছে তার সবটাই একলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবহার করেছে দেখিয়ে মনগড়া বিল তৈরিকরে বিদ্যুৎ দফতর বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক দাবি করেন।প্রধান শিক্ষক আরও জানান, ওই বিল পাওয়ার পর তিনি সৌরবিদ্যুৎ বিভাগের (ডাব্লুবিআরইডিএ) সুপারেনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিয়ার পিসি রাউতকে বিস্তারিত জানান। উনি সবকিছু খতিয়ে দেখে জানান, নেট মিটার রিডিং ফলো করে ডাব্লু বি এ সি ডি সি এল বিল পাঠিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সিস্টেম মেনে ওই বিলে উৎপাদিত সৌর বিদ্যুৎতের পরিমাণ ও স্কুল কতটা বিদ্যুৎ ব্যায় করেছে তার হিসাব আলাদা করা হয়নি। তার কারণেই এই সমস্যা তেরি হয়েছে।প্রধান শিক্ষক বলেন,সুপারেনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিয়ার তাঁকে জানিয়েছেন, এমন সমস্যা শুধু একলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই তৈরি হয় নি। রায়না ও ভাতার এলাকার আরও তিনটি বিদ্যালয় সহ রাজ্যের ১৪ টি বিদ্যালয়ে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে ।এই বিষয়ে যদিও বিদ্যুৎ দফতরের রায়নার সেহারাবাজারের স্টেশন ম্যানেজার জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যকে কোনকিছু জানাতে অস্বীকার করেন।তবে রায়না ২ ব্লকের বিডিও অনিষা যশ জানিয়েছেন, উদ্ভুত সমস্যার সমাধানে আগামী মঙ্গলবার তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ,বিদ্যুৎ দফতর ও পঞ্চায়েত সমিতির কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগে একলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয় যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ পায় সেই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
রাজ্য

Ganga Water Level: ভাগীরথীর জল ছুঁইছুঁই ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন, বিপত্তি পূর্বস্থলীর গ্রামে

কয়েকদিনের নাগাড়ে বৃষ্টিপাত ও তার সঙ্গে জলাধার থেকে ছাড়া জলে ফুলেফেঁপে উঠেছে ভাগিরথী নদী। আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি ।ভাগীরথীর জল ছুঁইছুঁই ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইনের তার। সেই কারণে সাত দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ঝাউডাঙা পঞ্চায়েতের ঝাউডাঙ্গা এবং হালতাচড়া গ্রাম। বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এই দুই গ্রামের দেড়শোটি পরিবার। দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরে দরবার করেও সুরাহা না মেলায় ক্ষোভে ফুঁষছেন গ্রামবাসীরা।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন পোস্টার বয় নীরজ চোপড়াভাগীরথীর একপাড়ে পূর্বস্থলীর ঝাউডাঙা ও হালতাচড় গ্রাম। এই গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে ভাগীরথীর অপর পাড়ের নদিয়ার বেথুয়াডহরি থেকে। এলাকার বাসিন্দা প্রহ্লাদ ঘোষ শনিবার জানান, ভাগীরথীর দুই পাড়ে পোলে ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইনের তার টানা হয়েছে। ভাগীরথী এখন জলে টইটুম্বুর। বিদ্যুতের তার ভাগীরথীর জলে ঠেকতে আর হাত কয়েক বাকী। সেই কারণেই গ্রামের লাইনে সাত দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে বিদ্যুৎ দফতর। এরফলে ঝাউডাঙা ও হালতাচড় গ্রামের দেড়শটি পরিবার সাত দিন ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে।অপর বাসিন্দা দুর্গা মণ্ডল বলেন, ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎতের তার যখন টানা হয় তখনই গাফিলতি ছিল। তার উঁচু করে টানা হয়নি। সেই জন্য ঝাউডাঙা ও হালতাচড় গ্রামে বিদ্যুৎ আসার পর থেকে প্রতি বছর বর্ষায় গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। ১১হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইনের তার অ্যাঙ্গেলের সাহায্যে উঁচু করার জন্য বহুবার দুই গ্রামের মানুষ বিদ্যুৎ দফতরে দরবার করেছিল। কিন্তু কোন ফল হয়নি। শুক্রবারও নদিয়ার বেথুয়াডহরিতে বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় হালতাচড়া এবং ঝাউডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের শনিবার গ্রামে লাইন ঠিক করতে আসার কথা ছিল। কিন্তু কেউ আসেনি। এইভাবেই প্রতি বছর বর্ষায় ভোগান্তি চলছেই। তার বিরাম ঘটছে না। সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ঢাকা পড়ছে ঝাউডাঙা ও হালতাচড় গ্রাম। দুর্ভোগের অবসান কবে ঘটবে তা জানা নেই পূর্বস্থলীর এই দুই গ্রামের বাসিন্দাদের। দুই গ্রামের অনেকেই টোটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।টোটোয় চার্জ না থাকায় সেই টোটোগুলিও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। পাশাপাশি তীব্র গরমে গ্রামের কয়েকশো মানুষ ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। গ্রামের ছাত্র আশিষ ঘোষ জানায়, এখন তাঁদের অনলাইনে পড়াশুনো চলছে। কারেন্ট না থাকায় মোবাইল ফোনে চার্য দেওয়ার সূযোগ না থাকায় ফোন বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাই লাটে উঠেছে অনলাইনে পড়াশুনা। সন্ধ্যা নামলে লম্ফ অথবা হ্যারিকেনের আলোয় কোনরকমে রাত কাটাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ দফতর দ্রুত ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুতের তার টেনে উুঁচু করার ব্যবস্থা করে দুর্ভোগ থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করুক, এমনটাই দাবি দুই গ্রামের পড়ুয়াদের।আরও পড়ুনঃ শনিবার দিনভর দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাসএই বিষয়ে পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভাগীরথী জলে টইটুম্বুর। বিদ্যুতের তার নদীর জল ছুঁইছুই হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় ওই তারে বিদ্যুৎ প্রবাহিত থাকলে ভয়ানক বিপদ ঘটে যাবে বলে বিদ্যুুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। নদীর জল না কমা পর্যন্ত কিছু করার নেই। ওই লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতেই হবে।

আগস্ট ০৭, ২০২১
বিদেশ

তুষারঝড়ে বিধ্বস্ত আমেরিকা, মৃত কমপক্ষে ২১

প্রবল তুষারঝড়ে কাঁপছে আমেরিকা। বিশেষত শীতকালীন ঝড়ে বিধ্বস্ত টেক্সাস। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২১ জনের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রদেশের একটা বড় অংশ ব্যাপক তুষারপাতের কবলে। সঙ্গে প্রচণ্ড ঠান্ডা এবং কনকনে হাওয়া। তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাস ১০ ডিগ্রির আশপাশে। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়েছে ৩০ লক্ষ গ্রাহকের।গোটা প্রদেশেই শীতকালীন ঝড়ের সতর্কতাবার্তা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে হিউস্টনে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই সতর্কীকরণের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই এলাকায় তুষারপাত এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক ঠান্ডার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস বা বায়ুশক্তি, কোনওভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না বেশিরভাগ বিদ্যুৎ সংস্থা। অবস্থার উন্নতির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, তাঁদের সাহায্য করছে রাজ্য প্রশাসন। বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতেও বলা হয়েছে। একে ভয়ানক তুষারপাত, তার উপর বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা। কার্যত বিধ্বস্ত শহরবাসীর জীবন। অনেকের মতেই হারিকেনের মতো ঝড়ের কবলে পড়লেও এই রকম পরিস্থিতি সচরাচর তৈরি হতে দেখা যায় না। আগামী কতদিন বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হবে, তা ভেবে উদ্বিগ্ন হচ্ছেন তাঁরা। টেক্সাসের প্রধান বিমানবন্দরে বিমান চলাচল হয় বন্ধ, না হলে ব্যাহত। মেট্রো পরিষেবাও স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রদেশের স্কুল, অফিসও বন্ধ। টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টিতে কোভিড-১৯ টিকাকরণ চলছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধাক্কায় বন্ধ রাখা হয়েছে টিকাকরণ কেন্দ্রগুলো। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসন উপদ্রুত এলাকাগুলোর গভর্নরদের আশ্বস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নৌকো ডুবিতে প্রাণ বাঁচল ১৩ জনের, নিখোঁজের তল্লাশিতে ডুবুরি

মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ফেরিঘাটে মধ্যরাতে নৌকায় পারাপারে ঘটলো বড়সড় বিপত্তি। ১৩ জন প্রাণে বাঁচলেও নিখোঁজ এক শ্রমীক। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১২ জন শ্রমীক ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট আসে মালদা যাওয়ার জন্য। ঘাটের নৌক রাত ৯ টার পর বন্ধ থাকায় দুই জন মৎস্যজীবীকে বলে নদী পারাপার করারা জন্য।জানা গিয়েছে, দুই মৎস্যজীবী রাজি হয়ে যায় ৮০০ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু তাঁদের নিজের নৌক না থাকায়, রঞ্জন মন্ডলকে না জানিয়ে তাঁর নৌকা নিয়ে তাঁদের পারাপার করতে যায়। প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নৌকা ঘাট বন্ধ থাকায় ছোট নৌকা করে প্রায় ১২ জন শ্রমীক নিয়ে ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে পারলালপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হঠাৎ নৌকা উল্টে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটি আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ, বিএসএফ ও স্থানীয় মাঝিরা। রাতে জীবিত ১৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হয়ে যায় এক ব্যাক্তি। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার সুত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর শেখ। বয়স ৩৫ বছর। বাবার নাম লিয়াকত আলি। বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ গ্রাম। সকাল থেকে নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগ ডুবুরি টিম গঙ্গায় তল্লাশি চালাতে থাকে।পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দুই জন মৎসজীবীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। সকালে ডুবরির টিম তল্লাশি করছে। ইতিমধ্যে ডুবে যাওয়া নৌকা টিকে উদ্ধার করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

বারাসতে ভয়াবহ আগুন, মুহূর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

ভয়াবহ অগ্নিকান্ড বারাসাত। বিধ্বংসী আগুনে জ্বলছে বামনমুড়ায় প্যাম্পার্স ফ্যাক্টরি। আগুনের ফলে বন্ধ করা হয়েছে বারাসাত টাকি রোডের যান চলাচলও। প্রথমে স্থানীয় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেও ব্যর্থ। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় বারাসাতের বামুনমুড়া এলাকায়। অগুন নজরে আসতেই প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ২০টি দমকল ইঞ্জিন পৌঁছালেও এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। গলগল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ব্যাপক ক্ষয়খতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

শৌচাগারের ট্যাঙ্কি বানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত দুই

নির্মীয়মান বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কি ভেঙে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। এই ঘটনায় জখম হয়েছে আরও একজন শ্রমিক । তাঁর চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার শহরের সুকান্তপল্লি এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই ভাইয়ের নাম উজ্জল মন্ডল (২৮) এবং অসিত মন্ডল (২৫)। তাঁদের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার বাগবাড়ি বাগরড এলাকায়। আহত হয়েছেন অমল মন্ডল(২৫)। তার বাড়ি রতুয়ার করমনি এলাকায়। এদিন তিনজন সুকান্তপল্লি এলাকার একটি নির্মীয়মান বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কির ভেতরে সাটারিং খুলছিল। সেই সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সাটারিংয়ের কাঠ এবং কংক্রিটের চাঙর । এই দুর্ঘটনার সময় তিনজন জখম হলে তাদেরকে মালদা মেডিকেল কলেজে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসাকেরা দুইজন শ্রমিককে মৃত বলে জানিয়ে দেয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির মালিকের নাম প্রসেনজিৎ বর্মন। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক। সেখানেই তিনি একটি নতুন বাড়ি তৈরি করছিলেন। পুলিশ বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।শৌচাগারের ট্যাঙ্কি বানাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত দুই

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal