• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ED Attacked

রাজ্য

পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ সন্দেশখালিতে! অশান্তি আটকাতে ব্যাপক ধরপাকড়

গত বুধবার থেকে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে সন্দেশখালি। উত্তর ২৪ পরগনার এপ্রান্তে আইন হাতে নিয়েই প্রতিবাদে নেমে বেপরোয়াভাবে চলে ভাঙচুর-আগুন। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তার ঘনিষ্ঠ উত্তম সরদার, শিবু হাজরা-সহ এলাকায় তাদের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে এই দ্বীপাঞ্চলের আদিবাসী সমাজ থেকে শুরু করে স্থানীয় অন্য বাসিন্দারা। মহিলারা হাতে লাঠি, ঝাঁটা, কাঠারি, বাঁশ নিয়ে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন গত কয়েকদিন ধরে।ইতিমধ্যেই শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সরদার, শিবু হাজরার বাড়ি-পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর-আগুন ধরানো হয়েছে। শাহজাহান-সহ উত্তম-শিবুর গ্রেফতারিতে সুর চড়াচ্ছে সন্দেশখালি। পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার রাত থেকে সন্দেশখালির একটি বড় অংশ জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকে এলাকায় মাইক প্রচার। প্রত্যেককে বাড়িতে থাকার পরামর্শ পুলিশের। সন্দেশখালির অলি-গলিতে টহল চলছে পুলিশ, র্যাফের-এর।প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল গত বুধবার থেকে। ওই দিন শেখ শাহজাহন ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি উত্তম সরদারের বাড়িতে চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা। তার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। উত্তমকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। শাহজাহানের মদতেই উত্তম সরদার এলাকায় জোর করে জমি দখল থেকে শুরু করে নানা অবৈধ কাজ চালাত বলে অভিযোগ। এছাড়াও শাহজাহানের আর এক শাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্ম অফিসেও আগুন ধরায় জনতা। বুধবারের পর শুক্রবারেও শিবুর আরও একটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে বাড়িতেও ভাঙচুর চালায় গ্রামবাসীরা।শাহজাহানরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ এমনভাবেই চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল গ্রামবাসীরা। যাঁদের একটি বড় অংশই মহিলা। এদিকে, সন্দেশখালিতে আইনের শাসন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে নড়েচড়ে বসে নবান্ন। শুক্রবার রাত ৯.৩০ থেকে সন্দেশখালি ২ নং ব্লকের ৮টি পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সন্দেশখালির প্রতিটি দ্বীপে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।শনিবার সকাল থেকে ধামাখালি থেকে সন্দেশখালি ঢোকার রাস্তায় নাকা চেকিং পুলিশের। সবাইকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ পুলিশ কর্তাদের। দোষীরা শাস্তি পাবেই, বারবার আশ্বাস সরকারের। শনিবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধামাখালি থেকে একের পর এক বোট আসছে। সেই বোটগুলিতে পুলিশের আরও বাহিনী পাঠানো হচ্ছে সন্দেশখালিতে। এলাকায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। প্রশাসনের আবেদন অমান্য করলে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখার বার্তা দিয়ে মাইকে-টেটোয় প্রচার পুলিশের।পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ সন্দেশখালিতে! অশান্তি আটকাতে ব্যাপক ধরপাকড়পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ সন্দেশখালিতে! অশান্তি আটকাতে ব্যাপক ধরপাকড়

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
রাজ্য

শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার পোল্ট্রি ফার্মে আগুন, বাড়ি ভাঙচুর, ধুন্ধুমার সন্দেশখালি

শুক্রবারও তুমুল উত্তেজনা সন্দেশখালিতে। ফের শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার পোল্ট্রি ফার্ম-বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর কয়েকশো ক্ষুব্ধ জনতার। শাহজাহান ও তার অনুগামী উত্তম সরদার, শিবু হাজরার গ্রেফতারির দাবিতে বৃহস্পতিবারে পর শুক্রবারেও লাঠি, ঝাঁটা, বাঁশ, কাঠারি হাতে পথে নেমে বিক্ষোভে সোচ্চার হাজার-হাজার মহিলা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন সন্দেশখালিতে।উত্তেজনা যেন কিছুতেই থামছেই না সন্দেশখালিতে। শুক্রবার সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরার আরও একটি পোল্ট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকশো জনতা। এর কিছুক্ষণের মধ্যে মহিলাদের আরও একটি দল চড়াও হয় শিবু হাজরার বাড়িতে। সেখানেও বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালানো হয়।ক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ, গায়ের জোরে দখল করা জমিতেই পোল্ট্রি ফার্ম বানিয়েছেন তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা। শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা এলাকায় ভয় দেখিয়ে-আতঙ্ক তৈরি করে স্থানীয়দের কাজে লাগাত পোল্ট্রি ফার্মে। ন্যায্য পারিশ্রমিক না দিয়ে দিনের পর দিন এলাকার অনেককে ফার্মে কার্যত ভয় দেখিয়ে কাজ করানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।শিবু ও তার দলবদল শেখ শাহজাহানের মদতেই এলাকায় দিনের পর দিন ধরে জমি দখল থেকে শুরু করে নানা অপরাধমূলক কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একটি বড় অংশের। এর আগে গত বুধবারেও শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবু হাজরার আরও একটি পোল্ট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয় গ্রামবাসীরা। এবার ফের একবার বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠল সন্দেশখালিতে।লাঠি, বাঁশ হাতে এদিন শাহাজাহান, উত্তম সরদার, শিবু হাজরার গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান হাজার-হাজার মহিলা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সন্দেশখালিতে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ-র্যাফ-এর কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় পুলিশকর্তারা।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
রাজ্য

শাহজাহানকে এবার ইডির তলব, তল্লাশিতে কি কি মিলল?

গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল ইডি গোয়েন্দারা। যা ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ওই অঞ্চল। স্থানীয়রা বেদম মারধর করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। অভিযান গুটিয়ে সন্দেশখালি ছাড়তে বাধ্য হন গোয়ন্দা দল। সেই থেকে নিখোঁজ সন্দেশখালির বাহুবলী শেখ শাহজাহান। মাঝে একবার অনুগামীদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তা দিলেও তাঁর হদিশ মেলেনি। প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশের ভূমিকা। এই ঘটনার ১৯ দিনের মাথায় ফের সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে বুধবার তল্লাশি চালায় ইডির গোয়েন্দারা। প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা অভিযান চলে। এদিনও বাড়িতে ছিলেন না ওই তৃণমূল নেতা। তবে, শাহজাহানকে হাতে পেতে মরিয়া ইডি। ফলে অভিযুক্তের নাগাল পেতে অভিযান শেষে এদিন শাহজাহানের বাড়িতে সময় সেঁটে দিয়েছে ইডি।ওই সমনে উল্লেখ, রেশন মামলায় শেখ শাহজাহানের হাজিরা জরুরি। ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের ধারা অনুযায়ী, ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে শাহজাহানকে কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সঙ্গে নিয়ে যাতে হবে আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং নিজের পাসপোর্ট আকারের ছবি।গত ৫ জানুয়ারি ইডির অভিযানের পর থেকেই ফেরার শেখ শাহজাহান। ইডি গোয়েন্দাদের অনুমান এই তৃণমূল নেতা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। শাহজাহানকে খুঁজতে বুধবার তালা ভেঙে তাঁর বাড়িতে ঢোকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দুর্নীতির তদন্তে নথির হদিশ পেতে ভাঙা হয় শাহজাহানের ঘরের আলমারি। চলে চিরুনিতল্লাশি। তারপর বেলা পৌনে হটো নাগাদ ইডি গোয়েন্দারা ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। বেরনোর সময় শেখ শাহজাহানের বাড়ির দরজায় সেঁটে দেওয়া হয়েছে ইডির সময়।এদিনের অভিযানের আগে ও পরে ইডি গোয়েন্দাদের নিরাপত্তায় ছিল পুলিশ। তল্লাশির সময় ছিলেন দুই নিরপেক্ষ সাক্ষী। জানা গিয়েছে, শাহজাহানের বাড়িতে এ দিনের তল্লাশিতে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও নথি উদ্ধার করতে পারেননি ইডি গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এই তৃণমূল নেতার ঘর থেকে ১০টি অনথিভুক্ত জমি সংক্রান্ত দলিল, সোনার গয়েনা কেনান রশিদ, পঞ্চায়েত ভোটে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের তালিকা ও ব্যবসার অংশীদারি দলিল উদ্ধার করা হয়েছে।গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা। প্রবল বাধার মুখে পড়েছিলেন তাঁরা। শাহজাহান অনুগামীদের আক্রমণে মাথা ফেটে যায় ইডির এক আধিকারিকের। আক্রমণ করা হয় সংবাদ মাধ্যমেের ওপর। সেদিন থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় শাহজাহান শেখ। সেই সময় ইডির বিরুদ্ধে চুরি, শ্লীলতাহানি সহ একাধিক অভিযোগ করে এফআইআরও করা হয়েছিল।বুধবার ভোর পাঁচটা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে মোট ২২টা গাড়ির কনভয় রওনা দেয় নিউ টাউন সিআরপিএফ ক্যাম্প থেকে। এদিন মোট ১২৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী শাহজাহানের বাড়ি ঘিরে ফেলে। এই তৃণমূল নেতার সব বাড়িতেই তালা দেওয়া ছিল। পুলিশও ভিডিওগ্রাফি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ইডি তখন জানিয়ে দেয় ঘরের ভিতরে তল্লাশির ভিডিও করা যাবে না। বাইরে থেকে ভিডিও করা যাবে। তদন্তকারীরাও এদিন ভিডিও ফোটোগ্রাফার নিয়ে গিয়েছে। তালা খোলার জন্য দুজন লোককে সঙ্গে নিয়ে যায় ইডি।শাহজাহানের বাড়ি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। জওয়ানদের সঙ্গে রয়েছে কাঁদানে গ্যাস। ন্যাজাট থানা থেকে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। শাহজাহানের বাড়ির মূল দরজার সামনে পাহারায় রয়েছে রাজ্য পুলিশও। তাদের কাছেও রয়েছে কাঁদানে গ্যাস। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মাথায় হেলমেট, হাতে গার্ড পরে সব রকম ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। জেলা পুলিশকে এ দিন আগাম খবর দিয়ে রাখা হয়েছিল ইডির তরফ থেকে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
রাজ্য

এবার সন্দেশখালির ঘটনার যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

সন্দেশখালির বেপাত্তা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের সন্ধানে এবার রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। বুধবার এই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নির্দেশ অনুযায়ী, এই বিশেষ তদন্তকারী দল প্রয়োজনে আধা সেনা ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারবে। তদন্তকারী দলের মাথায় যৌথভাবে থাকবেন সিবিআইয়ের ও রাজ্যের এস পি পদমর্যাদার একজন করে অধিকারিক। এই তদন্তের উপর নজরদারি রাখবে আদালত।রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা কেন্দ্র কোথাও সন্দেশখালি তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। চূড়ান্ত রিপোর্টও হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া জমা দেওয়া যাবে না।রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণণূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিলেন ইডি গোয়েন্দারা। যা জানতে পেরেই ধুন্ধুমার বেঁধে যায় সেখানে। স্থানীয়রা মারধর চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের লক্ষ্য করে। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়িও। এরপর মোট তিনটি এফআইআর হয় ন্যাজাট থানায়। তার মধ্যে একটি এফআইআর করে ইডি। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। তৃতীয় এফআইআরটি করেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির কেয়ারটেকর। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক প্রথম দুটি এফআইআরের তদন্ত করবে সিট।রাজ্য জানিয়েছে তাদের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দলে থাকবেন আইপিএস জসপ্রীত সিং। যদিও সিবিআইয়ের তরফে এখনও কোনও আধিকারিকের নাম ঘোষণা করা হয়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিনই বিশেষ তদন্তকারী দল-কে তদন্তের অগ্রগতির সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।মঙ্গলবার সন্দেশখালি মামলায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির চারদিকে নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বুধবার রাজ্য হাইকোর্টে জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ১০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। শাহজাহান মার্কেটেও ইন্সস্টল করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এরপরই এজলাসে রাজ্য ও সিবিআই-ইডি বাকযুদ্ধ হয়। সিবিআই বলে ওসামা বিন লাদেনের মতো ভয়েস মেসেজ করছেন শাহজাহান অথচ পুলিশ তাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না। ইডি তাতে সহমত পোষণ করে। এরপরই সন্দেশকালি মামলার তদন্তে পুলিশ-সিবিআই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেগুপ্ত।

জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
রাজ্য

গোপন ডেরা থেকে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব আওড়ালেন শাহাজাহান, নেত্রীর প্রতি আনুগত্য

শুক্রবারের তাণ্ডবের পর এখনও ধরা পড়েনি সন্দেশখালির বাহুবলী তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। তাঁকে জালে তুলতে মরিয়া ইডি। জারি করা হয়েছে লুক আউট নোটিস। শাহজাহান বাংলাদেশে পালিয়ে গেল কিনা তার খোঁজ চলছে। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। কাঠগড়ায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। এসবের মধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রে থাকা শাহজাহান শেখের অডিও বার্তা প্রাকাশ্যে এসেছে (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা সেই অডিও যাচাই করেনি)। গোপন ডেরা থেকে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা, কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ শাহজাহান শেখশনিবার বিকেল গড়াতেই প্রচারিত হতে থাকে সন্দেশখালির ১নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতির শাহজাহান শেখের অডিও বার্তা। যেখানে নিজেকে তিনি নির্দোষ বলে দাবি করে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করেছেন তিনি। ঘোষণা করেছেন, অপরাধ প্রমাণ করতে পারলে নিজের হাতে মুন্ডু কাটব। পাশাপাশি তিনি এখন কোথায় রয়েছেন, কেমন আছেন তা না ভেবে শান্তিপূর্ণভাবে জীবনধারণের জন্য সন্দেশখালিবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।অডিও বার্তায় যে ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, তিনি নিজেকে শাহজাহান শেখ বলে পরিচয় দিচ্ছেন। ওই অডিও-তে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, আমার অঞ্চলের সভাপতি যাঁরা আছেন, যাঁরা যুব সভাপতি, তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক যাঁরা আছেন, সবার কাছে আমার অনুরোধ ওরা আমায় দমাতে পারলে মনে করছে সন্দেশখালির তৃণমূল দুমড়ে যাবে। ইডি, সিবিআই-কে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি কোনও অন্যায় বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। সবটাই ষড়যন্ত্র। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ বুঝতে পারছে, পুরোটাই চক্রান্ত। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে অপরাধের সঙ্গে আমি যুক্ত নিজের মুণ্ডু কেটে ফেলব। আপনারা আমার উপর আস্থা রাখুন। ভয় পাবেন না। মৃত্যু একদিন হবেই। তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। যতদিন বেঁচে থাকব অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না। আমায় মতো হাজারো হাজারো শেখ শাহজাহান আছে। ষড়যন্ত্রকারীরা একদিন শেষে নিপাত যাবেই। এরপরই দলনেত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছে ওই অডিও বার্তায় নিজেকে শাহজাহান বলে দাবি করা ব্যক্তিকে। বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকুন। উনি সর্বস্তরের, সর্বধর্মের মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজ করছেন। আমি কোথায় যাচ্ছি, কী করছি এসব নিয়ে ভাববেন না। শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করুন। আমি জানি সন্দেশখালিবাসী আমার সঙ্গেই রয়েছেন। এটাই আমার বড় শক্তি। তৃণমূল কর্মীদের কাছে আমার আহ্বান আপনারা দলের সঙ্গে থাকুন।শুক্রবার সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে স্থানীয়দের হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। ওই তাণ্ডবকে প্ররোচনা বলে দাবি করে ইডির ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। গোটাটার নেপথ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। শাহজাহানের গোপন ডেরা থেকে অডিও বার্তাতেও একেবারে সেই সুরই শোনা গেল।

জানুয়ারি ০৬, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালিতে ইডিকে আক্রমণের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজে ৩ জনকে সনাক্ত শুভেন্দুর

শুক্রবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় ইডি আধিকারিকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে ৩ জনকে সনাক্ত করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বিকেলে এক পোস্টে নামসহ তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, মমতার মদতেই রোহিঙ্গাদের কসাই হিসাবে ব্যবহার করে সন্দেশখালিতে নিজের সন্ত্রাসের সাম্রাজ্য কায়েম করেছেন শাহজাহান।বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, সন্দেশখালিতে যে চরমপন্থীরা ইডি আধিকারিক, সিআরপিএফ জওয়ান ও সাংবাদিকদের ওপরে হামলার পরিকল্পনা ও প্রয়োগ করেছেন শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগির, আরেক ভাই শেখ সিরাজউদ্দিন ও কুখ্যাত অস্ত্র পাচারকারী তথা সরবেড়িয়া আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউদ্দিন। এর পর তিনি লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস ও প্ররোচনায় শেখ শাহজাহানের মতো দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাসের সাম্রাজ্য কায়েম করতে রোহিঙ্গাদের কসাই হিসাবে ব্যবহার করছে। এনআইএ-র উচিত এই দেশবিরোধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা।The Extremists who orchestrated executed the cowardly attack on the ED Officials, CRPF Jawans and Journalists today at Sandeshkhali; North 24 Parganas district are:-# Sheikh Alamgir; youngest brother of Sheikh Shahjahan.# Jiauddin; renowned arms smuggler, murderer and pic.twitter.com/3GTGjXmbKF Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 5, 2024শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েকশ নারী পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়।এই ঘটনার পর রাজ্যপালকে পদক্ষেপ করাতে আহ্বান জানিয়ে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেওয়া উচিত রাজ্যপালের। এরপরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, সরকারের উচিত গণতন্ত্রে এই ধরনের বর্বরতাকে রোখা। পেশীশক্তি ও কাগুজে বাঘদের নামিয়ে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানো যাবে না। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডাগিরি চলতে পারে কেবলমাত্র মুর্খের স্বর্গেই। বাংলায় দুর্বল গণতন্ত্র নেই। রাজ্য সরকারের নিজের কর্তব্য পালন করা উচিত। রাজ্যপাল হিসেবে, সংবিধান অনুযায়ী সব বিকল্প খতিয়ে দেখে যথা সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ করব। এই ধরনের ভোট পূর্ববর্তী হিংসার শুরুতেই অবসান হওয়া দরকার। হিংসা থামানোর দায় শুধুমাত্র সরকারের। সরকারের উচিত বাস্তব বুঝে পদক্ষেপ করা উচিত। নইলে তার ফল ভোগ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে পারে না পুলিশ। হিংসায় দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদেরও বোঝাতে হবে, কিছু লোককে সামান্য সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারেন না। বাংলায় অবিলম্বে হিংসা ও দুষ্কৃতীরাজ থামাতে হবে।

জানুয়ারি ০৫, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে রক্তাক্ত ইডি আধিকারিক, চরম রাজনৈতিক চাপান-উতোর

রণক্ষেত্র, ধুন্ধুমার সন্দেশখালি। রেশন দুর্নীতির তদন্তে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে রক্তাক্ত হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। হামলা চালানো হয় সংবাদকর্মী ও সংবাদমাধ্যমের গাড়ির উপরেও। বেনজির এই ঘটনায় উত্তাল রাজ্যরাজনীতি। তৃণমূলের তরফে অবশ্য এই ঘটনায় দায় চাপানো হয়েছে ইডি-র উপরই। নিশানা করা হয়েছে বিজেপিকেও।তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ শুক্রবার বলেছেন, সন্দেশখালিতে যা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক। এমনটা না হলেই ভাল হত। কিন্তু বুঝতে হবে যে কেন এমন হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি বেছে বেছে রোজ তৃণমূল নেতাদের বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যমের একাংশকে। তার পর সেখানে গিয়ে প্ররোচনা দিচ্ছে।বিজেপির উদ্দেশেও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল। শুভেন্দু অধিকারীকে রেজিস্টার্ড চোর বলে কটাক্ষ করেছেন কুণাল। বলেছেন, বিজেপি নেতাদের বাড়ি তল্লাশি হয় না। কিন্তু যেখানেই বিজেপি সংগঠনে পাল্লা দিতে পারছে না, সেই জায়গায় গিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষকে প্ররোচিত করা হচ্ছে, গন্ডগোল তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। তবে ইডি ও বিজেপির প্ররোচনায় সাধারণ মানুষকেও প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তৃণণূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।পাল্টা সন্দেশখালির ঘটনার কড়া নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। গোটা বিষয়টিকে টেলিফোনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক জানিয়েছেন, বর্বরোচিত। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকেছে। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে হামলা মুখে পড়তে হল ইডি এবং সিআরপিএফ আধিকারিকদের। এর পরই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেই এক্স বার্তা ট্যাগ করে সন্দেশখালির এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন। সেই এক্স বার্তায় তিনি জুড়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, ইডির অধিকর্তা এবং সিআরপিএফকেও।প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ বলেছেন, এরা চুরি, লুঠ করবে, আর যখন তল্লাশি হবে তখন হানাহানি চালাবে। এরা তৃণমূলের সুভবিধাভোগী। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তৃণমূল বাংলায় অপরাধের জগৎ তৈরি করেছেন। ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে যে, সন্দেশখালির ঘটনা দিল্লির কর্তাদের জানানো হয়েছে।

জানুয়ারি ০৫, ২০২৪

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিশ্ব তাঁকে বলে ‘লাকিয়েস্ট’… রমেশের কাঁপানো স্বীকারোক্তি — “সবচেয়ে একা আমি”

এক মুহূর্তে ভাগ্যবান, পরের মুহূর্তেই যেন সব হারানো মানুষ। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই দ্বৈত অনুভূতির মধ্যেই বন্দি রমেশ বিশ্বাসকুমার। সারা বিশ্ব তাঁকে বলছে লাকিয়েস্ট সারভাইভারকিন্তু তাঁর মনে শুধুই শূন্যতা। জীবিত বেঁচে ফেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ নয়, যেন এক অন্তহীন বোঝা। কারণ সেই আগুনের বলয়ে হারিয়ে গেছেন তাঁর ভাই, তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনের শক্তি।১২ জুন। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। রমেশ ছিলেন ১১এ আসনে। কয়েক সারি পিছনেই বসেছিলেন তাঁর ভাই অজয়। দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে-বিদেশে যাওয়াআসা ছিল নিয়মিত। কেউ জানত না, ওই দিনটাই হবে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে ঘেরা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় বিমান। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে দেখেছিল সেই আগুন, সেই কালো ধোঁয়া, সেই ছিন্নভিন্ন ধাতব খোলস। আর রমেশ দেখেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।চার মাস কেটে গেছে, কিন্তু রমেশ সামান্যটাই এগোতে পেরেছেন স্মৃতি থেকে। ভাইয়ের শেষকৃত্য নিজের হাতে করেছেন তিনি। কিন্তু মনের আগুন নিভেনি। আজও শীতল স্বরে বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এখনও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ভাইটা নেই। ও ছিল আমার মেরুদণ্ড। প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী। এখন আমি একেবারে একা।তিনি আর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে নয়, সন্তানের সঙ্গেও নয়। নিজের ঘরে থাকেন, দরজা বন্ধ করে। নিজের পৃথিবীতে কেবল ব্যথা, স্মৃতি আর নিঃশব্দ কান্না। কারও সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় না। নিঃশব্দটাই ভালো লাগে, বলেন রমেশ।দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানসিক আঘাত আরও গভীর হয়েছে। চিকিৎসা নেই। আর্থিক সংকটও ঘিরে ধরেছে পরিবারকে। শুধু রমেশই নন, ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-ও। প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজায় বসে থাকেন তিনি। কথা বলেন না। কারও সাথে নয়, নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করেন। প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের জন্য অসহ্য। খুব ক্লান্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে, বললেন রমেশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, চোখে জল রত্নার—“গোপাল ভবনের দরজা এখনও খোলা!”

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দলবদল আর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামাসব মিলিয়ে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ছয় বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ফিরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১৮ সালে দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন শোভন, বিজেপিতেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। শেষে বহু নাটকীয়তার পর আবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত।কিন্তু শোভনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দল যখন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করেছিল, সেই সময় ছিলেন না তিনি তৃণমূলে। আজ শোভন ফিরতেই রত্নার অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নতাহলে রত্নার ভবিষ্যৎ কী? শোভন কি আবার নিজের পুরনো বেহালা পূর্ব কেন্দ্র ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অন্দরে এখন এমনই কৌতূহল।আজ শোভনের দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রত্না বলেন, উনি দক্ষ প্রশাসক। আট বছর সময় নষ্ট হল। কথায় গর্বের সুর থাকলেও আক্ষেপও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন, আগে উনি কী রকম ছিলেন আর এখন কী রকম হয়েছেন! তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি রত্না। তাঁর ভাষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন অবশ্যই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দলের নীতিনির্ধারণে আমি নেই, তাই এ নিয়ে বলার কিছু নেই।শুধু তাই নয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থানও এই মুহূর্তে শোভন ও রত্নার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আদালত শোভনের ডিভোর্স আবেদন খারিজ করেছে। আবার রত্নার একত্র থাকার আবেদনও মানেনি আদালত। এই অবস্থায়ও রত্নার প্রকাশ্য বার্তাশোভনকে ঘরে ফেরার ডাক। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবনের মতো গোপাল ভবনের দরজাও ২৪ ঘণ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খোলা।দলের রাজনীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্কদুই অঙ্গনেই চলছে নাটকীয়তা। শোভনের প্রত্যাবর্তনে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন নতুন মোড় নিল, তেমনই রত্নার মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অধ্যায়ও ফিরে এল আলোচনায়। এখন দেখার, রাজনীতি ও সংসারের কোন পথে এগোয় শোভন-রত্নার গল্প।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

অনিল অম্বানির ৩,০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত, সিল বিলাসবহুল বাড়ি! ইডির মেগা অ্যাকশন, কাঁপছে কর্পোরেট দুনিয়া

নভেম্বরের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় চমক দেশের কর্পোরেট দুনিয়ায়। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত চলা এক অর্থপাচার মামলায় তাঁর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চারটি পৃথক অস্থায়ী আদেশ জারি করে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত সম্পদের তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলের অনিল অম্বানির বিলাসবহুল বাসভবন। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি সিল করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনের সম্পত্তিও নজরবন্দি।এই মামলা মূলত রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকার দুর্ব্যবহার এবং তছরুপ হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক এই দুই প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষে সেই ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়।ইডির দাবি, অনিল অম্বানির বিভিন্ন সংস্থাযার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছেমোট ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডাইভার্ট করা হয়েছে বিশাল অঙ্ক। চলতি বছরের অগস্টে অনিল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার আগে জুলাই মাসে তাঁর সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মোট ৫০টি সংস্থা ও একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছিল সেইসময়।উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্র সিবিআই-এর এক এফআইআর। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ইডির পদক্ষেপ। আর এই মুহূর্তে স্পষ্টঅনিল অম্বানির আর্থিক সাম্রাজ্যে তীব্র চাপ নেমে এসেছে। নব-নভেম্বরেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ি-বাড়ি ফর্ম, রাস্তায় আতঙ্ক—হাসপাতালে তৃণমূল কাউন্সিলর

এখন বাংলায় এসআইআর ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফর্ম বিলি, বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিএলওরা। আর সেই গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। তৃণমূল বলছে, মানুষের আতঙ্ক সামলাতে গিয়েই অসুস্থ তিনি। বিজেপি-র ভাষায়এ সবই নাটক।রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকির আলি। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শয্যায় শুয়েই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে একটি বড় বস্তি এলাকা আছে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই সেখানে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনভর বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে এসেছেনতাঁদের নাম বাদ যাবে না তো? কাগজপত্র ঠিক আছে তো? কী করতে হবে? কারও হাতে পাকা নথি নেই, কারও তথ্য মেলে না। সেই আতঙ্ক সামলাতে সামলাতেই ধকল যায় তাঁর, দাবি কাউন্সিলরের। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনটাই বলছে তৃণমূল শিবির।অন্যদিকে বিজেপি একেবারে পাল্টা সুরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, পুরোটাই নাটক! তাঁর অভিযোগ, দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর চলছে, কোথাও এমন কেউ অসুস্থ হচ্ছে না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের কাউন্সিলরই কেবল অসুস্থ হচ্ছেন! অভিযোগ আরও এগিয়ে গিয়ে বলেন, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাকির আলির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।এদিকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে বাস্তব, তা স্পষ্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আতঙ্ককে দায়ী করা হচ্ছে। হুগলির ডানকুনিতে রবিবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন ষাট বছর বয়সি হাসিনা বেগম। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কী নথি লাগবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত হবে। তার মধ্যেই আতঙ্ক যেন ছায়ার মতো তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে।রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন একটাইএসআইআর কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কি ন্যায়সঙ্গতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে? নাকি আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে? মানুষের ঘরে ঘরে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক পালটা-যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই হাসপাতালে শুয়ে আছেন সাকির আলিতাঁর দাবি, মানুষ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের শরীরই হার মানল। বিজেপি বলছে, সবটাই সাজানো দৃশ্য। সত্যি কোনটা? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ! একের পর এক গাড়ি পিষে এগলো ডাম্পার—চিৎকারে কাঁপল জয়পুর

ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাজস্থানের জয়পুর। সোমবার দুপুরে লোহামান্ডি রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত দশ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তাঁদের মধ্যে বহুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণপ্রত্যাশী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এতগুলো প্রাণ হারাতে দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ডাম্পারের চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রথমে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপর আর থামেনি। একের পর এক তিন-চারটি গাড়িকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর ডাম্পারটি। মুহূর্তে রক্তমাখা লোহামুখী রাস্তায় হাহাকার। চিৎকার-আর্তনাদে ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন মানুষ।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এখনও হয়তো কয়েকজন ডাম্পারের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ভারি যন্ত্র এনে গাড়ি সরানোর চেষ্টা চলছে। ডাম্পারচালককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সত্যিই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রাজস্থানে যেন দুর্ঘটনার অভিশাপ নেমেছে। একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় যোধপুরে মালা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন পুণ্যার্থী। কোলায়াত মন্দির থেকে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাভেলার গাড়ি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এখনও সেই শোক কাটেনি রাজস্থানের মানুষের। তার মধ্যেই ফের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল জয়পুরের ব্যস্ত রাস্তা।দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছেকেন এত প্রাণ হাঁটুর চাপে? কেন রাস্তায় এত নেশাগ্রস্ত চালক? নিরাপত্তা কোথায়? আর কত পরিবারকে এভাবে ভেঙে পড়তে হবে? এই রক্তাক্ত ছবিই হয়তো আবারও মনে করিয়ে দিলজীবন সেকেন্ডের খেল, আর গাড়ির স্টিয়ারিং ভুল হাতে পড়লেই সর্বনাশ অনিবার্য।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দটি কেটে দিলেন হরমন! বিশ্বজয়ের পর বার্তা—ক্রিকেট সবার

কিছু স্বপ্ন থাকে সারা দেশের। শুধু পুরুষ বা মহিলার নয়, কোটি মানুষের। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছেএটাই মূল কথা। এখানে মহিলা ভারত নয়, টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের অভিধান কখনও লিঙ্গের ভাগে ভাগ করা যায় না।ক্রিকেটকে এত দিন বলা হতজেন্টলম্যানস গেম। কিন্তু নতুন ইতিহাসের রাতে সেই শব্দটাই পাল্টে দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বিশ্বজয়ের পর সকালে ট্রফি বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করলেন ভারতের অধিনায়িকা। তাঁর টি-শার্টে লাইনে লেখাGentlemans শব্দটি কেটে দিয়ে পাশে বড় অক্ষরেCricket is Everyones Game। বার্তাটা স্পষ্টক্রিকেট শুধু পুরুষের নয়, সবার খেলা।হরমনের সঙ্গে স্বপ্নে ভেসেছেন স্মৃতি, জেমাইমা, শেফালিরাও। রাতভর ছিল উন্মাদনা, আনন্দ, নাচ, হাসি। গোটা দেশ দেখলনতুন ইতিহাস লেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা জানালেন, এই স্বপ্ন কোটি ভারতবাসীর। হরমনের ক্যাপশনে তাই লেখাকিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের।এই জয়ের পেছনে আছে ত্যাগ, কষ্ট, বাধা আর লড়াই। গ্রামের মাঠে শেফালিকে শুনতে হয়েছেমেয়েদের আবার ক্রিকেট! তাই তিনি চুল কেটে ছেলে সেজে খেলেছেন ছেলেদের টুর্নামেন্টে। হরমন নিজে ওড়না বেঁধে খেলেছেন ছেলেদের সঙ্গে, ভেঙেছেন রীতি, জেদের সঙ্গে।এই দল জানে সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়। বড় ম্যাচের চাপ, সামনে ইতিহাসতবু নিজেরা ভেঙে পড়েননি। এত দিন ধরেই মেয়েদের ক্রিকেট আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু বিশ্বজয় বলছেএ দেশ এখন বলছে, আমাদের হরমন, আমাদের শেফালি, আমাদের টিম ইন্ডিয়া।২০০৫ সালে স্বপ্ন ভেঙেছিল। ২০১৭-য় আবার heartbreak, তবু মনে রইল হরমনের ১৭১ রানের ইতিহাস। এবার আর হার নয়। এবার ট্রফি ঘরে। এই ট্রফি শুধু আজকের মেয়েদের নয়, ঝুলন-মিতালির মতো কিংবদন্তিদেরও। ভবিষ্যতের প্রতিটি ছোট মেয়ের কাছে বার্তাস্বপ্ন সত্যিই হয়, যদি লড়াই করো।এখন থেকে ভারতীয় ঘরে ঘরে বাবা-মা হয়তো বলবেনহরমনপ্রীতের মতো খেলো। আর ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরে ঝুলবে নতুন নামজনগণমন অধিনায়িকা হরমনপ্রীত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal