• ৬ পৌষ ১৪৩২, বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Drama

বিনোদুনিয়া

গরফা হুজুগে নাট্যগোষ্ঠীর 'ভূতচক্র'

গরফা হুজুগে নাট্যগোষ্ঠীর পরিবেশনায় মধুসূদন মঞ্চে মঞ্চস্থ হয়ে গেল বাংলা নাটক ভূতচক্র। নাটক ও নির্দেশনা অরিজিত ভট্টাচার্যের। নাটকে অভিনয় করেছেন অনির্বাণ রায় (বরদা), অরঘ্নি চ্যাটারজি (অমূল্য), রাখি ব্যানারজি (বরদার স্ত্রী), সমুদ্রনীল মুখারজি (চুনী), সুদীপ্ত সরকার (শিবু/বোসবাবু), কল্লোল নস্কর (যতীন সামন্ত), সোমনাথ চক্রবর্তী (উকিলবাবু/দিগবিজয় দত্তপাঠ), পারমিতা হালদার (যূথিকা), দেবলিকা মণ্ডল (বিপাশা), অরিজিত ভট্টাচার্য (অসীম)।একদিনের জন্য জমি জমার তদারকি করতে নিজের গ্রামের কাছাড়িবাড়িতে গিয়ে দু-হপ্তা ধরে আর কোনও খবর নেই ভুতান্বেশী বরদার। চিন্তিত হয়ে বরদার স্ত্রী খবর দেন অমূল্য ও চুণী কে। তিনজনে মিলে হাজির হন কাছাড়িবাড়িতে। কিছুটা তাদের চাপাচাপিতে এবং খানিকটা নিজের অদ্ভুত ব্যবহারের অজুহাত হিসাবেই, ভুতান্বেশী শোনাতে শুরু করেন সেই রহস্যময় বাড়িতে তাদের গা ছমছমে অভিজ্ঞতার কথা। তিন বিখ্যাত কাহিনীকারের তিনটি কাহিনীকে এক সুতোয় জুড়ে এগিয়ে চলে নাটক- যেখানে পরতে পরতে কমেডি, রোমাঞ্চ আর অলৌকিকের আনাগোনা।

ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

"আভি রাত বাকি হ‍্যায়" রঙ্গকর্মীর এই নতুন নাটক জীবন কে এক গভীর সঙ্কট এর মুখোমুখি দাঁড় করায়

আমরা সকলেই কম বেশি জীবনের নানা সমস্যায় জর্জরিত। অর্থনৈতিক, সামাজিক সমস্যার পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনেও নানা ঘাত প্রতিঘাতে আমাদের মন ভালো নেই। বর্তমান সময়ে প্রতিটা পরিবারে কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা যখন আরো বাড়তে থাকে তখন সেই পরিবারটা শেষ হয়ে যায় তিলে তিলে। ১৯৮০ সালে বোম্বের মিল ওয়ার্কার দের নিয়ে বিখ্যাত মারাঠি নাট্যকার জয়ন্ত পাওয়ার লিখেছিলেন তার জনপ্রিয় নাটক আধান্তর। রঙ্গকর্মীর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নাট্য নির্দেশক ও অভিনেত্রী উষা গাঙ্গুলীর অনুপ্রেরণায় সেই নাটক মারাঠি ভাষা থেকে হিন্দি অনুবাদ করেছেন কৈলাশ সিঙ্গার। সেই হিন্দি নাটক অভি রাত বাকি হ্যায় একাডেমি হলে মঞ্চস্থ হলো। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা সৌতি চক্রবর্তী।এই নাটকটি একটা অতি সাধারণ গরীব পরিবার কে কেন্দ্রকরে মঞ্চস্থ হয়েছে। যে পরিবারে রয়েছে তিন ভাই, এক বোন আর মা। বড় ভাই বাবা স্বপ্ন দেখে বিরাট সাহিত্যিক হবার। মেজো ভাই নাড়ুর স্বপ্ন মস্তান বা ডন হবার। আর পরিবারের ছোট ছেলে মোহন সারাদিন রেডিওতে ক্রিকেট শোনে।তার দিশাহীন জীবন। বোন মঞ্জুর বিয়ে হয়েছে কারখানার এক লেভার রানের সাথে। রানে ইউনিয়ান লিডার। সে সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। কিন্তু মঞ্জু একটা কারখানায় কাজ করলেও ঠিকমত টাকা পায়না, তাই শে পাড়ার একজনের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, পেটে আসে সন্তান।পরিবারের সবাই তাকে প্রশ্ন করলে মঞ্জু উত্তর দেয় বাঁচতে গেলে লাগে পয়সা। কে দেবে টাকা, কারখানায় ঠিকমত টাকা দেয়না, তাইসে এই পথে গেছে। বড় ছেলে বাবা চেয়েছিল তার লেখা উপন্যাস কাগজে ছাপাতে। পারেনি সে। সামান্য টাকায় সে প্রকাশক কে দিয়ে দেয়।সেই শোক ভুলতে প্রতিদিন নেশা করে।মেজো নাড়ু প্রায়দিন মস্তানী করে পাড়ায়। সংসারে সে কিছুই দেয়না, মায়ের থেকে এসে টাকা চায়, আর খেতে আসে। ছোটো মোহন রেডিও তে ক্রিকেট শুনে কাটায়। দিশাহীন,লক্ষহীন জীবনের এক বেকার যুবক। বাড়িতে প্রতিদিন অশান্তি, পরিবারে আর্থিক অভাব, গালিগালাজ এসব রোজকের ঘটনা। এই চলতে চলতে মঞ্জুর সাথে যে লোকের অবৈধ সম্পর্ক ছিলো সেই লোক কে খুন করে নাড়ু। পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এই পরিবারের ছেলে মেয়েদের যে পিতা সে অনেক আগে মারা যায়। তার এল এই সি মাত্র ১৫ হাজার টাকা পায়। পাশাপাশি মঞ্জুর স্বামী রানের কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। তাদের মালিক মাত্র ২৫ হাজার টাকা দেয়। শেষমেষ পরিবারের সকলেই মাকড়সার জালের মতন নিজেদের জীবনে আর্থিক অনটন, মানহানিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে, এখান থেকে কোনো ভাবে বেরিয়ে আসার উপায় নেই।অসহায় এক পরিবার লক্ষ বিহীন,দিশাহীন এক অজানা অন্ধকারে তলিয়ে যায় সকলেই। করোনার পরবর্তী সময়ে বহু পরিবারের এই অবস্থার স্বীকার। অসাধারণ একটি নাটক আভি রাত বাকি হ্যায়। রঙ্গকর্মীর নতুন নাটকটি এখন কার সময় উপযোগী নাটক। চমৎকার উপস্তাপনা। এই নাটকে দারুন অভিনয় করেছেন (বড় ছেলে বাবা) শুভম, (মেজো ছেলে নাড়ু) দিপেস রজক, (ছোট ছেলে মোহন) ওম তেওয়ারী, (মেয়ে মঞ্জু) স্নেহা রায়, (জামাই রানে) অনিরুদ্ধ সরকার, (মা) রঞ্জিনী ঘোষ, (নাড়ুর সঙ্গী বাটার) রহত নাদিম, (বড় ছেলের বন্ধু সতীশ) শঙ্কর দে, (মামি) শ্রেয়া খৈতান। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক, বাপ্পা, অরিজিৎ ও সুভাষ। এই নাটকে সৌমেন চক্রবর্তী র আলো, সৌতি চক্রবর্তীর মঞ্চ নজর করেছে। সবমিলিয়ে এক ঘন্টা পঞ্চাশ মিনিটের রঙ্গকর্মীর এই নতুন হিন্দি নাটক আভি রাত বাকি হ্যায় এক কথায় জীবনের গল্পগাথা।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অঙ্গন বেলঘড়িয়ার আয়োজনে মিনার্ভা থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হলো শুভেন্দু মজুমদার স্বরণ অনুষ্ঠান ও নাটক "শেষ মুঘল বাহাদুর শাহ জাফর"

সম্প্রতি কলকাতার মিনার্ভা থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হলো অঙ্গন বেলঘড়িয়ার আয়োজনে ইছাপুর আলেয়ার নাট্যদলের কর্ণধার অকাল প্রয়াত নাট্য পরিচালক ও অভিনেতা শুভেন্দু মজুমদার স্বরণ সন্ধ্যা। শুভেন্দুবাবুর নাটকের জীবন, তার কাজ,নির্দেশনা ও অভিনয় নিয়ে স্মৃতি চারণ করেন ড হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায়, নাট্যকার মৈনাক সেনগুপ্ত, পরিচালক সঞ্জয় সেনগুপ্ত, দেবাশীষ সরকার, সৌগত মুখার্জী, জয়দীপ ভৌমিক, উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশ ভট্টাচার্য, শ্যামল চক্রবর্তী, দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ইছাপুর আলেয়ের সদস্য নিতাই গুপ্ত এবং অঙ্গন বেলঘড়িয়ার কর্ণধার অভি সেনগুপ্ত, প্রয়াত শুভেন্দু মজুমদার এর স্ত্রী সুমিতা মজুমদার ও পুত্র অনুভব মজুমদার। এই স্বরণ অনুষ্ঠান টি পরিচালনায় ছিলেন ইছা পুর আলেয়া দলের সদস্য দীপক মিত্র।এই স্বরণ অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হয় অঙ্গন বেলঘড়িয়ার নতুন নাটক শেখ মুঘল বাহাদুর শাহ জাফর । আমরা সকলেই জানি ইংরেজ রা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী প্রতিস্থাপন করে দিনের পর দিন ভারতবর্ষ তথা এই বাংলায় অত্যাচার চালিয়ে গেছে। পাশাপাশি অন্যায় ভাবে ছল চাতুরী করে একের পর এক রাজ্য দখল করে, কাউকে হত্যা করে, গুম করে বল পূর্বক কেড়ে নিয়েছে তাদের অধিকার। ভারতের ইতিহাসের সেই রকম এক কালো অধ্যায় এর নাম বিয়োগান্ত নায়ক বাহাদুর শাহ জাফর, যিনি ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ মুঘল বাহাদুর শাহ জাফর। তিনি এক সময় সিপাহী বিদ্রোহের নেতৃত দিয়েছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইংরেজ রা এক সাজানো বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারতের এই শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ কে নির্বাসনে পাঠায় বর্মা মুলুকে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।সেদিন ভারতবর্ষের মানুষ চুপ করে ছিলো। এই বাহাদুর শাহ তার আপন দেশে অন্তিম শয়ানে শায়িত হবার জন্য দু গজ জমিও তার জুটলো না।এই আপেক্ষ ধোনিত হয়েছিল ভারতের শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের কণ্ঠে। এই বন্ধ্যা সময়ের প্রেক্ষাপটে একজন হতমান মানুষের জীবন যন্ত্রনা ও বোধ কে আশ্রয় করে রূপ নিয়েছে অভি সেনগুপ্ত নির্দেশনা য় অঙ্গন বেলঘড়িয়া র নতুন নাটক শেষ মুঘল বাহাদুর শাহ জাফর। এই নাটকে অসাধারণ অভিনয় করেছেন (বাহাদুর শাহ জাফর এর ভূমিকায়) অভি সেনগুপ্ত, (উজির আহসানুল্লাহ খান এর ভূমিকায়) গুঞ্জন গাঙ্গুলী, (ক্যাপ্টেন ওমানি) সুরজিৎ শর্মা, (শাহজাদা জওয়ান বখত) রজত নন্দী, (মৌলভী সরফরাজ আলী) তপন বিশ্বাস, (মুবারক উন্নিসা) শিপ্রা মুখার্জী ও (জিন্নাত বেগম) এর চরিত্রে বেবি সেনগুপ্ত।পাশাপাশি সৌমেন চক্রবর্তী-সায়ন সেনগুপ্তের আলোক ভাবনা-প্রেক্ষাপন,তপন বিশ্বাস-তিথি বিশ্বাস এর অবহ সংগীত- আবহ প্রেক্ষাপন, অশেষ কর্মকারের মঞ্চ, বাপ্পাদিত্য প্রামানিকের পোশাক ও রূপ সজ্জা যথাযথ। ভালো লাগে অনিন্দিতা দে র কণ্ঠে সংগীত। এই নাটক টি লিখেছেন শঙ্কর বসু ঠাকুর। সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন অরূপ ব্যানার্জী। সব শেষে বলবো নির্দেশক অভি সেনগুপ্তর পরিচালনায় সম্পুর্ন রূপে ঐতিহাসিক পটভূমিকায় এই নাটক শেষ মুঘল বাহাদুর শাহ জাফর দর্শকদের বিশেষ ভাবে নজর কাড়বে। সাধুবাদ অঙ্গন বেলঘড়িয়া কে এই রকম একটি নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
রাজ্য

'বঙ্গবালা' শাঁওলি-র প্রয়াণে বাংলার নাট্য জগৎ আনাথ

সকলের অগোচরে না ফেরার জগতে চলে গেলেন বিশিষ্ট নাট্যকার অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্র। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রবিবার নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মঞ্চ কাঁপানো অভিনেত্রী। বাবার শম্ভু মিত্রের পথ অনুসরণ করে ফুলের ভারে নয় একেবারে অনারম্বরে লোকচক্ষুর আড়ালে কিরীটি শ্মশানে সম্পন্ন হল শেষকৃত্য। সেখানে হাজির ছিলেন নাট্যকার অর্পিতা ঘোষ।নাথবতী অনাথবৎ খ্যাত শাঁওলি-র বাবা শম্ভু মিত্রের মতো মৃত্যুর পরে তার ইচ্ছার কথা লিখে গিয়েছেন। লিখেছিলেন তাঁর শেষকৃত্যের পরই যেন সকলকে জানানে হয়। সেই ইচ্ছাকে সম্পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যার কয়েক বছর ধরেই বাড়িতে চিকিৎসা চলছিল।ঋত্বিক ঘটকের কালজয়ী ছায়াছবি যুক্তি তক্কো আর গপ্পো তে বঙ্গবালার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল শাঁওলি মিত্র-কে। তিনি একাধিক কালজয়ী নাটকে সুনামের সাথে অভিনয় করেছেন, তাঁর অভিনীত অন্যতম কয়েকটি নাটক ডাকঘর, পুতুলখেলা, একটি রাজনৈতিক হত্যা, বিতত বীতংস ...... আরও অনেক। নাট্যজগতে তাঁর অসামান্য অভিনয়ের অবদানের জন্য তিনি ২০০৯-এ ভারত সরকারের সর্বোচ্চ সন্মান পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন। তিনি ২০১১-তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ্বশত জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারপার্সন মত গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।শাঁওলি মিত্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ২০১১রাজ্যে পালাবদলের সময় তিনি পথে নেমে তৎকালীন শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। অনন্য অভিনয়ের জন্য ২০০৩-এ সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১২-তে তাঁকে বঙ্গবিভূষণ ও ২০১৪ সালে দীনবন্ধু পুরস্কার প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অকাদেমির দায়িত্বে ছিলেন । শাঁওলীর প্রয়াণে বাকরুব্ধ বাংলার নাট্যজগৎ।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

Drama : সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো গোবরডাঙ্গা রূপান্তর নাট্য উৎসব

গোবরডাঙ্গা শিল্পায়ন স্টুডিও তে গোবরডাঙ্গা রূপান্তর নাট্য উৎসব অনুষ্ঠিত হল। তিনদিনের এই নাট্য উৎসবের শুভ সূচনা করেন বিহার এর হিন্দি নাটকের নির্দেশক ও অভিনেতা জিতেন্দ্র সিং, শিল্পায়নের কর্ণধার আশীষ চট্টোপাধ্যায়, রূপান্তর এর প্রাণ পুরুষ শ্যামল দত্ত, গোবরডাঙ্গা পৌর সভার পৌর প্রশাসক তুষার কান্তি ঘোষ, পুলিশের অফিসার ইনচার্জ কাজল ব্যানার্জী, শশাঙ্ক শেখর দত্ত। রূপান্তর ৫০ বছরে পদার্পন করলো। সেই উপলক্ষে এই দল কে সকলে শুভেচ্ছা জানান ও এই উৎসবের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।সেই সঙ্গে নাট্য নির্দেশক এই দলের কর্ণধার প্রয়াত মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রয়ানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এই বছর রূপান্তর মুকুল ব্যানার্জী স্বারক সন্মান প্রদান করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব শিবঙ্কর চক্রবর্তী কে। ছিল ছোটদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা।উৎসবের প্রথম দিন মঞ্চস্থ রূপান্তর এর নাটক সুরের জাদু। নাটক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়।নির্দেশনা প্রতাপ সেন। কৃষ্ণনগর সিঞ্চন এর নাটক দূরবীন। গল্পসুত্র শমীক ঘোষ। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা সুশান্ত হালদার। উৎসবের দ্বিতীয়দিন মঞ্চস্থ হয় কামাখ্যা গুড়ি আওয়াজ সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংস্থা র নাটক চক্ষুদান। নাটক গৌতম রায়, নির্দেশনা বিষ্ণুপদ চক্রবর্তী, ছিলো রূপান্তর এর নাটক আমি আগন্তুক। নাটক শিবশঙ্কর চক্রবর্তী। নির্দেশনা শ্যামল দত্ত। উৎসবের শেষদিন মঞ্চস্থ হয় সৃষ্টি সালকিয়ার নাটক ভগবানও ভুল করে। কাহিনীসূত্র মোহিত চট্টোপাধ্যায়।নাট্যরূপ ও নির্দেশনা হরপ্রসাদ চক্রবর্তী। রূপান্তর নাট্য উৎসবের শেষ নাটক ছিলো ফিনিক কাঁচরাপাড়ার নাটক বিলাসী বেদনা নয়। নাটক শান্তনু মজুমদার। নির্দেশনা কাবেরী মুখার্জী।সবমিলিয়ে জমে উঠেছিলো তিনদিনের গোবরডাঙ্গা রূপান্তর নাট্যউৎসব। সেইসঙ্গে এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে রূপান্তর নাট্যদলের ৫০ বছর উদযাপনের শুভ সূচনা হলো।

জানুয়ারি ০১, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal