• ১৫ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Dhankar

রাজ্য

মালদা বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারের কড়া সমালোচনা রাজ্যপাল - দিলীপের , পালটা প্রতিক্রিয়া রাজ্যের

মালদায় প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। তিনি লেখেন , এবার তো বোমা তৈরির কারখানাগুলি বন্ধ করুন।নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তিনি। অন্যদিকে , বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পুলিসের বিরুদ্ধে উস্কানিসূচক বক্তব্য মামলায় বর্ধমান আদালতে জামিন নিতে গিয়ে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদা সহ গোটা রাজ্যেই বোমা আর অস্ত্রের কারখানা তৈরি হয়েছে। পুলিস প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সুজাপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিও জানান তিনি। আরও পড়ুন ঃ কর্মী খুনের প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা বন্ধে রণক্ষেত্র তুফানগঞ্জ রাজ্যপালের এই টুইটের পরই পাল্টা বিবৃতি জারি করেছে স্বরাষ্ট্র দফতর। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত কথা বলছে কেউ কেউ। সুজাপুরের ঘটনার সঙ্গে বোমা তৈরির কোনও সম্পর্ক নেই। একটা প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। এটা একটা দুর্ঘটনা। জেলাশাসক ও পুলিস সুপার ঘটনাস্থলে আছেন। তাঁরা ঘটনার তদন্ত করছেন। রাজ্য সরকারের এক মন্ত্রীও ঘটনাস্থলে উড়ে গিয়েছেন। দুর্গত পরিবারগুলির পাশে সরকার আছে।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা , সমালোচনায় ধনকড়

শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ফের রাজ্য সরকার ও পুলিশ -প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হলেন জগদীপ ধনকড়। মঙ্গলবার সকালে বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যপাল লেখেন , একদিকে এই অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হচ্ছে শাসকদলের সাংসদকে। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে রাজ্যের পুলিশ। রাজনৈতিক নেতাদের মতো আচরণ করছে। এই ঘটনা রাজ্য পুলিশের কর্তাদের কর্তব্যচ্যুতি। সাংসদকে বাধা দেওয়ার পিছনে কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ রেণুকা মাড্ডির কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিলেন অধীর উল্লেখ্য , শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে শাসক দলের বিধায়ক - সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সেখানে প্রবেশ করতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন রাজ্যপালের টুইট।

নভেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

পুলিশ গার্ড অব অনার না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল

পুলিশ নিয়মমাফিক রাজ্যপালকে গার্ড অব অনার দেয়নি। এবার তা নিয়ে রাজ্য সরকার তথা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে এ প্রসঙ্গে একটি টুইটও করেন তিনি। রাজ্য পুলিশ রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন বলেও অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। আরও পড়ুন ঃ দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মত ফুলবিঃ শুভেন্দু বৃহস্পতিবার প্রথমে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী। এছাড়াও বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকও ছিলেন রাজ্যপালের সঙ্গে। তারপর সেখান থেকে মদনমোহন মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। কোচবিহার রাজবাড়িও ঘুরে দেখার পর সার্কিট হাউসে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এরপর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু্তে ক্ষোভ উগড়ে দেন। উপাচার্যরা তার সঙ্গে দেখা না করায় তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করেন এবং রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

নভেম্বর ১২, ২০২০
রাজ্য

রাজনীতির টুপি মাথা থেকে ফেলে আইন মেনে কাজ করুন, বার্তা ধনকড়ের

ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ-প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি রাজ্য সরকার ও পুলিশ - প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে সোমবার একাধিক টুইট করেন । একটি টুইটে তিনি লেখেন , সংবিধানের বাইরে গিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা এবার সেসব বাতিল করুন। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে ক্ষমতার অলিন্দে বেআইনি অনুপ্রবেশ চলবে না। রাজনীতির টুপি মাথা থেকে ফেলে আইন মেনে কাজ করুন। আরও পড়ুন ঃ ভুবনেশ্বরে সিবিআই-এর স্পেশাল সেলে মারা গেলেন আইকোর কর্তা অনুকূল মাইতি আরেকটি টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, পুলিশ ও প্রশাসনকে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হতে হবে। এর জন্য তিনি ১৯৬৮ সালের এআইএস কন্ডাক্ট রুলস-এর কথা মনে করিয়ে দেন । আর তা মানা না হলে যে ফল ভালো হবে না তাও জানান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের মতে, তাঁর বার বার সংবিধান মেনে চলার পরামর্শ কিছুটা প্রশাসনের উপর প্রভাব ফেলেছে । তবে এখনও অনেকে তা মানছেন না ৷ এরপরই তিনি বলেন, যতই উপরে উঠে যান, আইন সবার ঊর্ধ্বে। প্রসঙ্গত , এর আগেও একাধিকবার টুইট করে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন ধনকড়। দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ্পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্টও করেছেন তিনি। এবার তার এই টুইটের জেরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের যে অবনতি হবে , তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০৯, ২০২০
রাজ্য

উত্তরবঙ্গের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে ডাকলেন রাজ্যপাল

উত্তরবঙ্গ, উত্তরবঙ্গ কৃষি, রায়গঞ্জ, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে দেখা করবেন। বৃহস্পতিবার টুইট করে বৈঠকের কথা জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি টুইটে আরও লেখেন , আগামী ৯ নভেম্বর দার্জিলিংয়ের রাজভবনে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। উপাচার্যদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে আসার কথাও লেখেন। ৮ নভেম্বরের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিতির কথাও জানাতে হবে বলেও আরেকটি টুইটে উল্লেখ করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ মমতা সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছেঃ অমিত শাহ এর আগে তিনি একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইলেও তখন তারা হাজির হননি। এবার উপাচার্যরা তাঁর ডাকে সাড়া দেন কিনা , সেটাই এখন দেখার।

নভেম্বর ০৫, ২০২০
রাজ্য

নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করুন , এসপি , ডিএমদের বার্তা ধনকড়ের

নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করুন। সোমবার দার্জিলিঙের রাজভবনে এসপি ও ডিএমদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে লেখেন, কাজের সময় রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকা উচিত। কোনও আপস করা চলবে না। এদিন তিনি দার্জিলিঙের ডঃ সন্তোষ নিম্বলকর ও জেলাশাসক এস পুনমবালমের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। রাজ্যপাল তাদের অনুরোধ করেন, যা্তে তারা রাজনীতির উব্ধে উঠে নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন। আরও পড়ুন ঃ এখনও শুরু হয়নি দুর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নং লকগেটের মেরামতির কাজ প্রসঙ্গত , রবিবারই তিনি দার্জিলিঙে এসেছেন। আগামী এক মাস তাঁর উত্তরবঙ্গে থাকার কথা। এই সময়ে তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন। এছাড়াও বৈঠক করবেন সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে।

নভেম্বর ০২, ২০২০
রাজ্য

উত্তরবঙ্গে সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিক দলের অনুগতঃ ধনকড়

রাজ্য সরকার কোনও আইন-শৃঙ্খলা মানছে না। সংবিধান মানছে না। শাসন চালাতে গেলে সংবিধান মানতে হবে, তা এখানে মানা হচ্ছে না । ফের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। প্রসঙ্গত , শনিবার তিনি পৌঁছান শিলিগুড়িতে। রবিবার তিনি দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা হবেন। তার আগে শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন , কেন্দ্রের প্রকল্পের বিরোধিতা করছে রাজ্য । রাজ্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সাহায্য নেয়নি । সংকটের সময় সাহায্য নেওয়া উচিত ছিল । করোনা পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে , রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । প্রকল্পের সাহায্য নিলে পরিস্থিতি আলাদা হত । প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন , কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা পেয়েছে কৃষকরা। দেশের সব জায়গায় সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গেছে । পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে । আরও পড়ুন ঃ ট্রেন চালানোর আবেদন জানিয়ে রেলকে চিঠি মুখ্যসচিবের রাজ্যে নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর অভিযোগ , রাজ্যে ধর্ষণ বেড়েছে । মেদিনীপুরে 33 শতাংশের বেশি ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে । সরকারি রিপোর্ট তাই বলছে । সরকারী কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন , উত্তরবঙ্গে সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিক দলের অনুগত । আমার কাছে রিপোর্ট এসেছে। রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবেন না । আপনাদের বয়স কম , আগুন নিয়ে খেলবেন না। আইন আপনাকে ছাড়বে না। পাশাপাশি তিনি জানান , রাজনীতিতে কে হারল , কে জিতল , সেটা আমি পাত্তা দিই না । যা করছি , সেটা আমার কাজ । উত্তরবঙ্গে সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করব ।

নভেম্বর ০১, ২০২০
রাজ্য

পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করবঃ ধনকড়

পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করব। শনিবার শনিবার সফরে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি গোটা নভেম্বর মাসই দার্জিলিংয়ে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। পাহাড় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, সাংবিধানিক সীমার মধ্যে থেকে তিনি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। এছাড়াও এই সফরে তিনি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন , অনেক আশা নিয়ে যাচ্ছি এবারের উত্তরবঙ্গ সফরে। প্রসঙ্গত , কয়েকদিন আগে বিমল গুরুং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন। তার কিছুদিন পরেই রাজ্যপালের দার্জিলিং সফর নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। আরও পড়ুন ঃ দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভেঙে বিপত্তি এদিন সকালে টুইট করে রাজ্যপাল জানান , সাধারণ মানুষের প্রত্যাশাপূরণে উত্তরবঙ্গ পাড়ি দিচ্ছেন। পর্যটন, আর্থিক এবং শিক্ষাগত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের উন্নতি করা সম্ভব বলেও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে তিনি টুইটে আরও জানান, চলতি সফরে সাধারণ মানুষ এবং প্রশাসনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবেন। এদিন তিনি কাঞ্চনজংঘা এক্সপ্রেসে করে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে রওনা দেন। রাজ্যপালের সফরসূচি অনুযায়ী ১ নভেম্বর শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দার্জিলিংয়ের রাজভবনে থাকার কথা রয়েছে তাঁর।

অক্টোবর ৩১, ২০২০
কলকাতা

পুলিশের মাধ্যমে শাসন চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ ধনকড়

পশ্চিমবঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে । সংবিধান, আইন-প্রশাসনকে উপেক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী । প্রাশসনকে বারবার চিঠি লিখেও উত্তর পাইনি । শুধু পুলিশের মাধ্যমে শাসন চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজনৈতিক আদেশ পালন করতেই কি রয়েছে পুলিশ? বৃহস্পতিবার দিল্লিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এমনই অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে , সে বিষয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু জানাননি। সাংবাদিকদের সামনে তিনি আরও বলেন, রাজ্যে আল-কায়দা জঙ্গি মিলেছে, বোমা তৈরির কারখানার হদিশ মিলছে। রাজ্যে প্রায় প্রতিদিন খুন হচ্ছে। রাজনৈতিক হিংসা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন ঘুমিয়ে রয়েছে। দেশের সংবাদমাধ্যমের জানা উচিত এই সমস্ত কথা। আরও পড়ুন ঃ ডাঃ সুকুমার হাঁসদার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখানেই শেষ করেননি তিনি। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জগদীপ ধনকর। বলেন, রাজ্য প্রশাসন কোনও প্রোটোকল মানে না। সংবিধানকে উপেক্ষা করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এখানে আমলারা রাজনৈতিক দলের অনুগত। তাই রাজ্যে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এসব নিয়ে রীতিমতো খবর করার জন্যও সাংবাদিকদের অনুরোধ করলেন রাজ্যপাল। নভেম্ব্র মাসে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তিনবার উত্তরবঙ্গে গিয়েছি। আবার যাব। উত্তরবঙ্গও পশ্চিমবঙ্গের অংশ। সেখানকার মানুষের সঙ্গে আভাব-অভিযোগ শুনব।

অক্টোবর ২৯, ২০২০
কলকাতা

আগামীকাল দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের

আজ অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যেবেলায় দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ২৯ অক্টোবর সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে আগামী ৩০ অক্টোবর কলকাতায় ফিরে আসবেন তিনি। জগদীপ ধনখড়ের টুইটার অ্যাকাউন্টে এদিন এমনটাই জানানো হয়েছে। তারপরই তিনি পুরো নভেম্বর মাস উত্তরবঙ্গেই থাকবেন বলে রাজভবন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন ঃ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কলকাতা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের জানা গিয়েছে , আগামী ১ নভেম্বর শিলিগুড়ি যাচ্ছেন রাজ্যপাল। সেখানে সাংবাদিক সম্মেলন করে চলে যাবেন দার্জিলিংয়ে। জগদীপ ধনকরের পাশাপাশি রাজভবনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও থাকবেন তাঁর সঙ্গে।

অক্টোবর ২৮, ২০২০
উৎসব

অতিমারীর খারাপ প্রভাব থেকে সকলকে রক্ষা করুক আনন্দ উৎসব , টুইট রাজ্যপালের

সকলকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়ে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ্তিনি টুইটে আরও লেখেন , এই মহাপর্ব মন্দের উপরে ভালোর জয় এবং অসত্যের উপরে সত্যের জয়কে চিহ্নিত করে। এই আনন্দ উৎসব অতিমারীর খারাপ প্রভাবের হাত থেকে সকলকে রক্ষা করুক। আরও পড়ুনঃ মহাষ্টমীতে ঢাকের তালে জমিয়ে নাচলেন নুসরত আমাদের সকলের জন্য নিয়ে আসুক শান্তি, সমৃদ্ধি, এবং সুখ। এর আগেও তিনি পুজো্র মধ্যে টুইট করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রবিবারের সকালেই তিথি অনুযায়ী বিজয়া দশমী পড়ে গিয়েছে। তারপরই তাঁর টুইটটি করেন রাজ্যপাল।

অক্টোবর ২৫, ২০২০
কলকাতা

অষ্টমীর সন্ধ্যায় বুদ্ধদেবের বাড়ি গেলেন সস্ত্রীক ধনকড়

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অষ্টমীর সন্ধ্যায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিয়েছেন রাজ্যপাল।এরপর রাজ্যপাল একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, শ্রীমতী সুদেশ ধনখড়ের সঙ্গে আজ প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী মীরাদেবীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের অষ্টমীর শুভেচ্ছা-সহ আরোগ্য কামনা করেছি। আরও পড়ুনঃ সৌমিত্রকে অন্ধকারে রেখেই জেলা যুব মোর্চার সভাপতিদের পদ বাতিল করলেন দিলীপ পোস্টে বুদ্ধবাবুর সঙ্গে সস্ত্রীক তাঁর সাক্ষাতের ছবিও দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে শয্যাশায়ী বুদ্ধবাবুর নাকে লাগানো রয়েছে অক্সিজেনের নল। এদিন পাম এ্যাভিনিউয়ে সস্ত্রীক রাজ্যপালকে স্বাগত জানান বুদ্ধ জায়া মীরা ভট্টাচার্য। পরে রাজ্যপাল জানান, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একজন প্রকৃত সজ্জন ব্যক্তি। রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছি।

অক্টোবর ২৫, ২০২০
কলকাতা

সমস্ত অশুভ শক্তিকে সরিয়ে সকলকে ভয় মুক্ত করুন , প্রার্থনা ধনকড়ের

মা দুর্গা সমস্ত দুঃখ, যন্ত্রণা দূর করবেন। মা দুর্গা সবসময় তাঁর ভক্তদের সাহস জোগান। ভয়কে দূরে সরিয়ে চলতে সাহায্য করেন। মায়ের কাছে প্রার্থনা সমস্ত অশুভ শক্তিকে সরিয়ে সকলকে ভয় মুক্ত করুন। মহাসপ্তমীর সকালে পরপর দুটি টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। প্রথম টুইটে তিনি একথা লেখেন। আরও পড়ুনঃ একতার বার্তা দিয়ে ষষ্ঠীতে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি পরের টুইটে তিনি সকলকে সচেতন থাকতে বলেন, সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। করোনার সঙ্গে লড়াই করতে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলেন। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন, গত ২৪ ঘণ্টার রাজ্যের করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। টুইটে বেঁধেন মুখ্যমন্ত্রীকেও।

অক্টোবর ২৩, ২০২০
কলকাতা

পুলিশের প্রশংসা করে টুইট রাজ্যপালের

রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের প্রশংসা করে বুধবার টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি এদিন তাঁর টুইটে লেখেন , সাহসী পুলিশকর্মীদের কুর্নিশ। তাঁরা যেভাবে পারিবারিক দায়িত্বকে তুচ্ছ প্রমাণ করে করোনার মতো মহামারী এবং আমফানের মতো প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে লড়াই চালাচ্ছে, তাঁদের নিঃস্বার্থ ত্যাগকে সম্মান জানাই। তবে টুইটের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নিরপেক্ষতার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। প্রসঙ্গত , বিভিন্ন সময় টুইট করে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন তিনি। এহেন রাজ্যপালেরই ফের পুলিশের প্রশংসা দেখে তাজ্জব প্রায় সকলেই।

অক্টোবর ২১, ২০২০
কলকাতা

ফের রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে কড়া চিঠি ধনকড়ের

ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে শাসকদল ও রাজ্য প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর মতে, সরাসরি প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যপালের বাক্যবিনিময় অনেক পরিস্থিতিই সহজ করে দেয়। কিন্তু বাংলায় তা হচ্ছে না। উলটে একজন রাজ্যপালকে শাসকদলের নেতা,মন্ত্রীরা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের এজেন্ট বলে বারবার উল্লেখ করছেন, যা আদতে সাংবিধানিক প্রধানের পদ এবং কার্যালয়ের পক্ষে অবমাননাকর। তাঁর আরও অভিযোগ, প্রশাসনই বরং সাংবিধানিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না। তাঁর পরামর্শ, পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হতে হবে। অন্যথায় তা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে ডিজিপিকে তলব এবং বিজেপির নবান্ন অভিযানে বলবিন্দর সিংয়ের আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে তাঁকে গ্রেপ্তারি নিয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের ভূমিকার উল্লেখ করেছেন। দুটি বিষয়ই তাঁর কাছে যথেষ্ট অপ্রত্যাশিত বলে মনে হয়েছে। আরও পড়ুনঃ বলবিন্দার সিংএর মুক্তির দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ পরিবারের সদস্যরা চিঠির শেষে তিনি আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, একজন রাজ্যপালের যা কর্তব্য, তা তিনি করতে বদ্ধপরিকর। খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে রাজ্য প্রশাসন সেই কাজ অনেক মসৃণভাবে করার রাস্তা তৈরি করে দিতে পারে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে তিনি লেখেন যে রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় তাঁকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশাবাদী ধনকড়। চিঠিতে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন, সংঘাতের মধ্যে দিয়ে নয়, রাজভবন-নবান্ন একজোট হয়ে কাজ করলে, তবেই সবচেয়ে সুরক্ষিত এবং শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হবে।

অক্টোবর ১৪, ২০২০
কলকাতা

বলবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল : ধনকড়

বলবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির যে ধারায় মামলা রুজু হয়েছে তাতে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে। তাই তা কার্যত মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলেই অভিযোগ করে মঙ্গলবার একটি টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ পুজো প্রাঙ্গণে প্রবেশ নিষেধ বেলুড় মঠের সেই ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ আমলের জালিওয়ানাবাগ হত্যাকাণ্ড ও তার প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাইট উপাধি প্রত্যাখানের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। এই টুইটটি তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশকে ট্যাগ করেছেন।

অক্টোবর ১৩, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যে গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত হচ্ছেঃ ধনকড়

ফের টুইট করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা ্করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ্তাঁর অভিযো্গ, রাজ্যে গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত হচ্ছে।রাজ্যে মানবাধিকারের টুঁটি চেপে ধরা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে পঙ্গু হতে দেওয়া যাবে না বলেও টুইটে তোপ দাগেন তিনি।সাম্প্রতিককালে টুইটে একাধিকবার রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল।রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগে সরব হয়েছেন তিনি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকী রাজ্য পুলিশের ডিজির ভূমিকা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন ধনকড়। বাদ যায়নি শিক্ষাক্ষেত্রও। পালটা তৃণমূলের তরফ থেকে তাঁর মন্তব্যের কড়া ভাষায় সমালোচনা করা হয়।

অক্টোবর ০৪, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিশ্ব তাঁকে বলে ‘লাকিয়েস্ট’… রমেশের কাঁপানো স্বীকারোক্তি — “সবচেয়ে একা আমি”

এক মুহূর্তে ভাগ্যবান, পরের মুহূর্তেই যেন সব হারানো মানুষ। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই দ্বৈত অনুভূতির মধ্যেই বন্দি রমেশ বিশ্বাসকুমার। সারা বিশ্ব তাঁকে বলছে লাকিয়েস্ট সারভাইভারকিন্তু তাঁর মনে শুধুই শূন্যতা। জীবিত বেঁচে ফেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ নয়, যেন এক অন্তহীন বোঝা। কারণ সেই আগুনের বলয়ে হারিয়ে গেছেন তাঁর ভাই, তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনের শক্তি।১২ জুন। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। রমেশ ছিলেন ১১এ আসনে। কয়েক সারি পিছনেই বসেছিলেন তাঁর ভাই অজয়। দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে-বিদেশে যাওয়াআসা ছিল নিয়মিত। কেউ জানত না, ওই দিনটাই হবে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে ঘেরা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় বিমান। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে দেখেছিল সেই আগুন, সেই কালো ধোঁয়া, সেই ছিন্নভিন্ন ধাতব খোলস। আর রমেশ দেখেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।চার মাস কেটে গেছে, কিন্তু রমেশ সামান্যটাই এগোতে পেরেছেন স্মৃতি থেকে। ভাইয়ের শেষকৃত্য নিজের হাতে করেছেন তিনি। কিন্তু মনের আগুন নিভেনি। আজও শীতল স্বরে বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এখনও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ভাইটা নেই। ও ছিল আমার মেরুদণ্ড। প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী। এখন আমি একেবারে একা।তিনি আর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে নয়, সন্তানের সঙ্গেও নয়। নিজের ঘরে থাকেন, দরজা বন্ধ করে। নিজের পৃথিবীতে কেবল ব্যথা, স্মৃতি আর নিঃশব্দ কান্না। কারও সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় না। নিঃশব্দটাই ভালো লাগে, বলেন রমেশ।দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানসিক আঘাত আরও গভীর হয়েছে। চিকিৎসা নেই। আর্থিক সংকটও ঘিরে ধরেছে পরিবারকে। শুধু রমেশই নন, ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-ও। প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজায় বসে থাকেন তিনি। কথা বলেন না। কারও সাথে নয়, নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করেন। প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের জন্য অসহ্য। খুব ক্লান্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে, বললেন রমেশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, চোখে জল রত্নার—“গোপাল ভবনের দরজা এখনও খোলা!”

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দলবদল আর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামাসব মিলিয়ে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ছয় বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ফিরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১৮ সালে দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন শোভন, বিজেপিতেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। শেষে বহু নাটকীয়তার পর আবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত।কিন্তু শোভনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দল যখন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করেছিল, সেই সময় ছিলেন না তিনি তৃণমূলে। আজ শোভন ফিরতেই রত্নার অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নতাহলে রত্নার ভবিষ্যৎ কী? শোভন কি আবার নিজের পুরনো বেহালা পূর্ব কেন্দ্র ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অন্দরে এখন এমনই কৌতূহল।আজ শোভনের দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রত্না বলেন, উনি দক্ষ প্রশাসক। আট বছর সময় নষ্ট হল। কথায় গর্বের সুর থাকলেও আক্ষেপও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন, আগে উনি কী রকম ছিলেন আর এখন কী রকম হয়েছেন! তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি রত্না। তাঁর ভাষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন অবশ্যই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দলের নীতিনির্ধারণে আমি নেই, তাই এ নিয়ে বলার কিছু নেই।শুধু তাই নয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থানও এই মুহূর্তে শোভন ও রত্নার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আদালত শোভনের ডিভোর্স আবেদন খারিজ করেছে। আবার রত্নার একত্র থাকার আবেদনও মানেনি আদালত। এই অবস্থায়ও রত্নার প্রকাশ্য বার্তাশোভনকে ঘরে ফেরার ডাক। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবনের মতো গোপাল ভবনের দরজাও ২৪ ঘণ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খোলা।দলের রাজনীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্কদুই অঙ্গনেই চলছে নাটকীয়তা। শোভনের প্রত্যাবর্তনে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন নতুন মোড় নিল, তেমনই রত্নার মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অধ্যায়ও ফিরে এল আলোচনায়। এখন দেখার, রাজনীতি ও সংসারের কোন পথে এগোয় শোভন-রত্নার গল্প।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

অনিল অম্বানির ৩,০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত, সিল বিলাসবহুল বাড়ি! ইডির মেগা অ্যাকশন, কাঁপছে কর্পোরেট দুনিয়া

নভেম্বরের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় চমক দেশের কর্পোরেট দুনিয়ায়। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত চলা এক অর্থপাচার মামলায় তাঁর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চারটি পৃথক অস্থায়ী আদেশ জারি করে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত সম্পদের তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলের অনিল অম্বানির বিলাসবহুল বাসভবন। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি সিল করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনের সম্পত্তিও নজরবন্দি।এই মামলা মূলত রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকার দুর্ব্যবহার এবং তছরুপ হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক এই দুই প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষে সেই ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়।ইডির দাবি, অনিল অম্বানির বিভিন্ন সংস্থাযার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছেমোট ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডাইভার্ট করা হয়েছে বিশাল অঙ্ক। চলতি বছরের অগস্টে অনিল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার আগে জুলাই মাসে তাঁর সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মোট ৫০টি সংস্থা ও একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছিল সেইসময়।উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্র সিবিআই-এর এক এফআইআর। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ইডির পদক্ষেপ। আর এই মুহূর্তে স্পষ্টঅনিল অম্বানির আর্থিক সাম্রাজ্যে তীব্র চাপ নেমে এসেছে। নব-নভেম্বরেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ি-বাড়ি ফর্ম, রাস্তায় আতঙ্ক—হাসপাতালে তৃণমূল কাউন্সিলর

এখন বাংলায় এসআইআর ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফর্ম বিলি, বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিএলওরা। আর সেই গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। তৃণমূল বলছে, মানুষের আতঙ্ক সামলাতে গিয়েই অসুস্থ তিনি। বিজেপি-র ভাষায়এ সবই নাটক।রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকির আলি। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শয্যায় শুয়েই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে একটি বড় বস্তি এলাকা আছে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই সেখানে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনভর বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে এসেছেনতাঁদের নাম বাদ যাবে না তো? কাগজপত্র ঠিক আছে তো? কী করতে হবে? কারও হাতে পাকা নথি নেই, কারও তথ্য মেলে না। সেই আতঙ্ক সামলাতে সামলাতেই ধকল যায় তাঁর, দাবি কাউন্সিলরের। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনটাই বলছে তৃণমূল শিবির।অন্যদিকে বিজেপি একেবারে পাল্টা সুরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, পুরোটাই নাটক! তাঁর অভিযোগ, দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর চলছে, কোথাও এমন কেউ অসুস্থ হচ্ছে না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের কাউন্সিলরই কেবল অসুস্থ হচ্ছেন! অভিযোগ আরও এগিয়ে গিয়ে বলেন, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাকির আলির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।এদিকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে বাস্তব, তা স্পষ্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আতঙ্ককে দায়ী করা হচ্ছে। হুগলির ডানকুনিতে রবিবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন ষাট বছর বয়সি হাসিনা বেগম। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কী নথি লাগবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত হবে। তার মধ্যেই আতঙ্ক যেন ছায়ার মতো তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে।রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন একটাইএসআইআর কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কি ন্যায়সঙ্গতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে? নাকি আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে? মানুষের ঘরে ঘরে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক পালটা-যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই হাসপাতালে শুয়ে আছেন সাকির আলিতাঁর দাবি, মানুষ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের শরীরই হার মানল। বিজেপি বলছে, সবটাই সাজানো দৃশ্য। সত্যি কোনটা? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ! একের পর এক গাড়ি পিষে এগলো ডাম্পার—চিৎকারে কাঁপল জয়পুর

ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাজস্থানের জয়পুর। সোমবার দুপুরে লোহামান্ডি রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত দশ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তাঁদের মধ্যে বহুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণপ্রত্যাশী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এতগুলো প্রাণ হারাতে দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ডাম্পারের চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রথমে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপর আর থামেনি। একের পর এক তিন-চারটি গাড়িকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর ডাম্পারটি। মুহূর্তে রক্তমাখা লোহামুখী রাস্তায় হাহাকার। চিৎকার-আর্তনাদে ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন মানুষ।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এখনও হয়তো কয়েকজন ডাম্পারের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ভারি যন্ত্র এনে গাড়ি সরানোর চেষ্টা চলছে। ডাম্পারচালককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সত্যিই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রাজস্থানে যেন দুর্ঘটনার অভিশাপ নেমেছে। একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় যোধপুরে মালা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন পুণ্যার্থী। কোলায়াত মন্দির থেকে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাভেলার গাড়ি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এখনও সেই শোক কাটেনি রাজস্থানের মানুষের। তার মধ্যেই ফের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল জয়পুরের ব্যস্ত রাস্তা।দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছেকেন এত প্রাণ হাঁটুর চাপে? কেন রাস্তায় এত নেশাগ্রস্ত চালক? নিরাপত্তা কোথায়? আর কত পরিবারকে এভাবে ভেঙে পড়তে হবে? এই রক্তাক্ত ছবিই হয়তো আবারও মনে করিয়ে দিলজীবন সেকেন্ডের খেল, আর গাড়ির স্টিয়ারিং ভুল হাতে পড়লেই সর্বনাশ অনিবার্য।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দটি কেটে দিলেন হরমন! বিশ্বজয়ের পর বার্তা—ক্রিকেট সবার

কিছু স্বপ্ন থাকে সারা দেশের। শুধু পুরুষ বা মহিলার নয়, কোটি মানুষের। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছেএটাই মূল কথা। এখানে মহিলা ভারত নয়, টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের অভিধান কখনও লিঙ্গের ভাগে ভাগ করা যায় না।ক্রিকেটকে এত দিন বলা হতজেন্টলম্যানস গেম। কিন্তু নতুন ইতিহাসের রাতে সেই শব্দটাই পাল্টে দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বিশ্বজয়ের পর সকালে ট্রফি বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করলেন ভারতের অধিনায়িকা। তাঁর টি-শার্টে লাইনে লেখাGentlemans শব্দটি কেটে দিয়ে পাশে বড় অক্ষরেCricket is Everyones Game। বার্তাটা স্পষ্টক্রিকেট শুধু পুরুষের নয়, সবার খেলা।হরমনের সঙ্গে স্বপ্নে ভেসেছেন স্মৃতি, জেমাইমা, শেফালিরাও। রাতভর ছিল উন্মাদনা, আনন্দ, নাচ, হাসি। গোটা দেশ দেখলনতুন ইতিহাস লেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা জানালেন, এই স্বপ্ন কোটি ভারতবাসীর। হরমনের ক্যাপশনে তাই লেখাকিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের।এই জয়ের পেছনে আছে ত্যাগ, কষ্ট, বাধা আর লড়াই। গ্রামের মাঠে শেফালিকে শুনতে হয়েছেমেয়েদের আবার ক্রিকেট! তাই তিনি চুল কেটে ছেলে সেজে খেলেছেন ছেলেদের টুর্নামেন্টে। হরমন নিজে ওড়না বেঁধে খেলেছেন ছেলেদের সঙ্গে, ভেঙেছেন রীতি, জেদের সঙ্গে।এই দল জানে সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়। বড় ম্যাচের চাপ, সামনে ইতিহাসতবু নিজেরা ভেঙে পড়েননি। এত দিন ধরেই মেয়েদের ক্রিকেট আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু বিশ্বজয় বলছেএ দেশ এখন বলছে, আমাদের হরমন, আমাদের শেফালি, আমাদের টিম ইন্ডিয়া।২০০৫ সালে স্বপ্ন ভেঙেছিল। ২০১৭-য় আবার heartbreak, তবু মনে রইল হরমনের ১৭১ রানের ইতিহাস। এবার আর হার নয়। এবার ট্রফি ঘরে। এই ট্রফি শুধু আজকের মেয়েদের নয়, ঝুলন-মিতালির মতো কিংবদন্তিদেরও। ভবিষ্যতের প্রতিটি ছোট মেয়ের কাছে বার্তাস্বপ্ন সত্যিই হয়, যদি লড়াই করো।এখন থেকে ভারতীয় ঘরে ঘরে বাবা-মা হয়তো বলবেনহরমনপ্রীতের মতো খেলো। আর ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরে ঝুলবে নতুন নামজনগণমন অধিনায়িকা হরমনপ্রীত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal