মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে কোপ, কমে যাচ্ছে পিএফের সুদের হার
করোনাকালে কোপ বসেছিল বেতনে, এবার চাকুরিজীবীদের পিএফ-এও শুরু হল কাটছাঁট। শনিবারই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন-এর তরফে জানানো হয়, চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ডিপোজিটের উপর সুদের হার কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অর্থবর্ষে ৮.৫০ শতাংশের বদলে ৮.১০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে। বিগত চার দশকে এটিই সবথেকে কম সুদের হার।বিগত কয়েক বছর ধরেই দেশে আর্থিক মন্দার রেশ থাকলেও, পিএফের সুদের হার অপরিবর্তিত ছিল। স্বল্প সঞ্চয়ে যেখানে সুদের হার ৪ থেকে ৭.৬ শতাংশ, সেখানেই পিএফের সুদের হার ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ। এবার সেই সুদের হারেই পরিবর্তন করা হল।১৯৭৭-৭৮ সালের পর এই প্রথম সুদের হার এতটা কমে গেল। এরফলে প্রায় ৬ কোটিরও বেশী চাকুরিজীবীদের মুখ ভার হতে চলেছে।এদিন সকালেই গুয়াহাটিতে বৈঠকে বসে ইপিএফও-র সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্ট্রি। বৈঠক চলাকালীনই জানা যায়, কেন্দ্রীয় বোর্ডের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ডিপোজিটের উপর সুদের হার ৮.১ শতাংশ করে দেওয়া হচ্ছে। ৭৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রাকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই বোর্ডের সুপারিশ অর্থ মন্ত্রকে পাঠানো হবে।করোনাকালে দেশ আর্থিক মন্দার মুখে পড়লেও ২০১৯-২০২০ বা ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পিএফের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। তবে করোনা পরবর্তী সময়েই দেখা যায় যে, পিএফে আর্থিক বিনিয়োগ যেমন কমেছে, তেমনই আবার টাকা তোলার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।চাকুরিজীবীদের ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করতে এবং অবসরের পর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই এই পিএফ ফান্ড তৈরি করা হয়। বিভিন্ন সংস্থার কর্মচারীরা যে অর্থ বিনিয়োগ করেন, তার উপর নির্ভর করেই ইপিএফও সুদ দেয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই অর্থমন্ত্রক ইপিএফও-র তুলনামূলক বেশি সুদের হার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অন্যান্য সুদের হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ইপিএফও-র প্রভিডেন্ট ফান্ডের উপর সুদের হার ৮ শতাংশে কমিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।