• ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২, রবিবার ১০ আগস্ট ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Citizenship

দেশ

কি কি নথি প্রয়োজন সিএএ-এর জন্য? কিভাবে আবেদন? জানুন বিস্তারিত

CAAআর ইংরেজির সিক্সলোকসভা ভোটের মুখে CAA কার্যকর হওয়ার কথা ঘোষণা হল। এরপরেই রাজনীতিতে উত্তাপ বেড়েছে। এই আইন কে ইংরেজি ছয়ের মতো দেখাচ্ছে, যা টেবিলে রেখে দেখলে একদিক থেকে মনে হবে ছয়, অন্যদিক থেকে দেখলে মনে হবে নয়। যেমন একপক্ষের বক্তব্য এই আইনের দৌলতে বহু মানুষ নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন। অন্য পক্ষের দাবি এই আইনে নাগরিকত্বে টান পড়বে অনেক মানুষের। কেন্দ্রের বক্তব্য, এই আইনের বলে ২০১৪ সালের ৩১ শেষ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ও পাকিস্তান থেকে যে সমস্ত হিন্দু, শিখ, জৈন, খৃষ্টান ও পার্শী ভারতে এসেছেন এবং নাগরিকত্ব চান তারা শংসাপত্র পাবেন।CAA র জন্য কি নথি লাগবে?বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে এলে সে দেশের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। সে দেশে জন্মের শংসাপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র, সংশ্লিষ্ট দেশের পরিচয় পত্র, যে কোনো লাইসেন্স, জমি বা ভাড়াটে সংক্রান্ত রেকর্ড। আবেদনকারীর যিনি ওই দেশের নাগরিক ছিলেন তার প্রামাণ্য নথি। ওই নথিগুলির মধ্যে যে কোনো একটি দিতে হবেএছাড়াও যে নথি লাগবেকবে ভারতে প্রবেশ করেছেন তার প্রমান দিতে হবে। যেমন ভিসার ফটোকপি।ফরেনার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট। ভারতে জনগণনার সময়ে গণনাকারীদের দেওয়া স্লিপ। ভারতীয় আধার কার্ড অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। রেশন কার্ড, ভারত সরকারের দেওয়া জন্মের শংসাপত্র। আবেদনকারীর নামে ভারতীয় জমি বা ভাড়াটে কাগজ, প্যানকার্ড। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি সংস্থার দেওয়া কোনো নথি। ভারতীয় প্রশাসনে বা সংস্থায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির দেওয়া শংসাপত্র। আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্টের প্রমান। ভারতীয় বিমা সংস্থার পলিসি। আবেদনকারীর নামে বিদ্যুতের বিল। আবেদনকারীর নামে আদালত বা ট্রাইব্যুনালের নথি যদি থাকে। ভারতে কর্ম সংস্থানের নথি। ভারতীয় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নথি যদি থাকে। ট্রেড লাইসেন্স। বিয়ের শংসাপত্র।এছাড়াও লাগবে হলফনামাআবেদনকারীর ঠিকানা। যে দেশ থেকে এসেছেন সেখানকার শেষ ঠিকানা। পাশাপাশি জানাতে হবে ধর্ম। এই সবই জানাতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের সই ও সিল সহ হলফনামায়।কি ভাবে আবেদনপ্রথমে সরকারের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকারীকে কিছু প্রশ্ন করা হবে। শেষ পর্যায়ে আবেদনের জন্য ৫০টাকা জমা দিতে হবে। সব তথ্য ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট দিনে আবেদনকারীকে জেলা স্তরে যাচাই কমিটির কাছে উপস্থিত হতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে সব অরিজিনাল নথি। সবকিছু ঠিক থাকলে নিষ্ঠা শপথ নিতে হবে এবং লিখিত নিষ্ঠা শপথে সই করতে হবে। এরপরে ওই আবেদন যাবে রাজ্য স্তরে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির কাছে। ওই কমিটির চেয়ারম্যান চুড়ান্ত সিলমোহর দিলে আবেদনকারী পোর্টালের মাধ্যমে ডিজিটাল শংসাপত্র পাবেন।এই আইনে সঙ্গে কি নাগরিকত্ব হারানোর সম্পর্ক আছে?কেন্দ্রীয় সরকার বলছে এই আইনে কারো নাগরিকত্ব হারানোর প্রশ্ন নেই। আইন জারি হওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে CAA র কারো নাগরিকত্ব যাবে না। মুসলমানদের এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এই আইনের বলে কোনো ভারতীয় নাগরিক কে নিজের নাগরিকত্ব প্রমানে আর নতুন করে কোনো নথি দেখাতে হবে না। কিন্তু CAA চালু হওয়ার পরে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের যৌথ forum য়ে বিবৃতি জারি করেছেন সেখানে কয়েকটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁদের মতে CAA র নিয়মে একটি ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি নাগরিকত্বের আবেদন যাচাই করবে। স্বাভাবিক নিয়মেই অনেক আবেদন খারিজ হয়ে যাবে। এদের মধ্যে একটি বড় অংশ রয়েছে যাঁরা বহুদিন ধরে এদেশে বসবাস করছেন। তাঁদের রেশন, আধার, ভোটার কার্ড ও রয়েছে। তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁরা কি নাগরিকত্ব হারাবেন? তাঁদের সব কার্ড কি বাতিল হয়ে যাবে? অন্য দেশ থেকে আসা মানুষকে নাগরিকত্ব পেতে যে সব নথি চাওয়া হয়েছে তা হয়তো দিতে পারলেন না। বা অন্য কারনে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে তাঁর পরিচিতি কি হবে? নাগরিক না অ-নাগরিক। এই জরুরি প্রশ্ন গুলির কিন্তু কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। অথচ CAA র মাধ্যমে কে নাগরিক, আর কে নয়, তার বাছাই পর্ব শুরু হবে।

মার্চ ১৬, ২০২৪
রাজ্য

ভোটে অস্ত্র CAA

কিছুদিন ধরেই হাওয়ায় ভাসছিল। অবশেষে মাটিতে নেমে এল। Citizenship Bill সংসদে পাশ হওয়ার চার বছর পরে আইনে পরিণত হল। লোকসভা নির্বাচনের দরজায় দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বার্তা মোদী যা বলেন, তাই করেন। আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করার কয়েক মূহুর্ত পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর টুইট, সেই বার্তার ই প্রতিধ্বনি। টুইটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লেখেন,এই আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও একবার প্রমাণ করলেন তিনি যে প্রতিশ্রুতি দেন তা পালন করেন। ২০১৯ য়ের লোকসভা নির্বাচনে কয়েক মাস পরেই সংসদে CAA পাশ হয়। ওই নির্বাচনে বিজেপির ইস্তাহারে এই আইন চালু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এই আইনের লক্ষ্য ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের যে শিখ, বৌদ্ধ,জৈন, খৃষ্টান,পার্শী ও হিন্দু রা অত্যাচারিত হয়েছেন বা হচ্ছেন তাদের জন্য একমাত্র স্বাভাবিক আশ্রয়স্থল ভারত এই বার্তা দেওয়া। CAA র ফলে তাঁরা চাইলে ভারতে সহজেই নাগরিকত্ব পাবেন। আশ্রয় যারা পাবেন সেই তালিকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের উল্লেখ না থাকায় সংসদে CAA Bill পাশ হওয়ার পরেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। সংসদে বিল পাশ হলেও আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা থেকে সরকার বিরত থাকে।দীর্ঘ সময় ধরে সরকার আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি না করায় বিরোধীরা সমালোচনার অস্ত্র পেয়ে যায়। বিরোধীরা বলতে থাকে বিজেপি নির্বাচন এলেই ভোটার দের মেরুকরণের জন্য CAA র গাজর ঝোলাতে থাকে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে সেই আইন চালু করে বিজেপি বিরোধীদের অস্ত্র ভোঁতা করে দিল। এই আইন চালু করে বিজেপি মনে করছে পশ্চিম বঙ্গে তাদের আসন বাড়বে। এবার নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য ৩৭০-র ও বেশি আসন পাওয়া। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বিজেপি কে হিন্দি বলয়ের বাইরের রাজ্যে আসন বাড়াতে হবে। উত্তর প্রদেশের পরে যে তিনটি রাজ্যে লোকসভার আসন বেশি রয়েছে সেগুলি হল মহারাষ্ট্র (৪৮ টি আসন), পশ্চিমবঙ্গ (৪২ টি আসন) এবং বিহার (৪০টি আসন)। তাই পশ্চিমবঙ্গে আসন বাড়ানো এবার বিজেপির অন্যতম প্রধান এজেন্ডা। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলায় দেশভাগের কারণে ওপার থেকে চলে আসা মতুয়া সম্প্রদায়ের বাস। এই সম্প্রদায়ের ভোট যে দিকে যাবে সেই দলের ঝোলায় অন্তত ২১টি বিধান সভা ও তিনটি লোকসভা আসন চলে যাওয়া নিশ্চিত। মতুয়া ছাড়াও দেশ ভাগের কারণে ওপার বাংলা থেকে বহু মানুষ পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। নাগরিকত্বের অধিকার নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের নানা ধোঁয়াশা ও প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেওয়ায় তাঁদের মধ্যে ও উদ্বেগ বেড়েছে। CAA লাগু হওয়ায় এই অংশের ভোটারদের ও সমর্থন পেতে পারে বিজেপি। ২০১৯য-র লোকসভা নির্বাচনে CAAর আশায় মতুয়া সম্প্রদায় ভোট দিয়েছিল বিজেপি কে। তবে CAA চালু না হওয়ায় গত বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট কম পাওয়ায় বিজেপির ফল খারাপ হয়। তবে দক্ষিণবঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায় এবং দেশভাগের কারণে আসা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট CAA র কারণে বিজেপি পেলেও উত্তর বঙ্গে রাজবংশী ভোট বিজেপির চিন্তা বাড়াতে পারে। কারণ রাজবংশী রা চায় NRC। তাদের ধারণা উত্তর বঙ্গে বাইরে থেকে আসা ঊচ্চবর্ণের মানুষ তাদের জায়গা, জমি, কাজ, ব্যবসা সব দখল করে বসে আছে।রাজবংশী দের চোখে এরা সবাই বিদেশি। তাই রাজবংশী দের দাবি বিদেশি তাড়াতে NRC চালু করতে হবে। উত্তর বঙ্গে NRC চালুর আশায় ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে রাজবংশী রা হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছিল বিজেপি কে। উত্তর বঙ্গের সমতলে জনসংখ্যার প্রায় ৪৩ শতাংশ রাজবংশী। মূলত এদের ভোটেই উত্তর বঙ্গের সাতটি লোকসভা আসনে বিজেপি জিতেছিল। কিন্তু NRC নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ না করায় গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজবংশীদের বড় অংশ বিজেপি কে ভোট দেয়নি। ফলে বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর বঙ্গের বিজেপির ফল ভালো হয়নি। এছাড়াও বিজেপির পথে কাঁটা হতে পারে দেশের শীর্ষ আদালত। CAA র বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২০ সালে Indian Union Muslim League প্রথম মামলা করে। এর পরে ২০০ টির বেশী মামলার আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলাকারি দের মধ্যে রয়েছেন আসাদ উদ্দিন ওএইসি, জয়রাম রমেশ, এবং মহুয়া মৈত্র। এছাড়াও রয়েছে রাজনৈতিক সংগঠন আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি, অসম গণপরিষদ, National Peoples party ( Assam) এবং দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগম। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে সুপ্রিমকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি U U Lalit য়ের বেঞ্চ জানায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মামলার শুনানি শুরু হবে। কিন্তু তারপর থেকে এখনো শুনানি শুরু হয় নি। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী মামলা গুলি বর্তমানে বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে তালিকাভুক্ত রয়েছে। মামলাকারিদের আবেদনে বলা হয়েছে CAA সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে ভঙ্গ করছে। সংবিধানের ওই ধারায় বলা হয়েছে The state shall not deny to any person equality before the law or the equal protection of the laws within the territory of India মামলাকারিদের আবেদন CAA তে ধর্মীয় বিভাজনের ফলে সংবিধানের এই বক্তব্য কে অস্বীকার করা হচ্ছে। দেশের শীর্ষ আদালত যদি মামলাকারিদের আবেদনের পক্ষে রায় দেয় তাহলে সমস্যায় পড়বে বিজেপি।

মার্চ ১৩, ২০২৪
রাজ্য

সিএএ নিয়ে মোদীর ঘোষণার আগেই তীব্র আক্রমণ মমতার

সিএএ নিয়ে তৎপরতার মধ্যেই নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনের মুখে কেন কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ কার্যকরের চেষ্টা চালাল? কেন আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছিল, এবার স্পষ্ট হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও বৈষম্য মানব না। এই জন্যই কি তাহলে মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছিল? যাঁরা এতদিন এই রাজ্যে আছেন, লেখাপড়া করছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব কাড়ার চেষ্টা কেন হচ্ছে? এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ছলনা। আমি গোটা আইনটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। এখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা প্রত্যেকে এদেশের নাগরিক। তাঁদের প্রত্যেকের সামাজিক, রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক, সম্পত্তিগত অধিকার আছে।মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি গোটা বিষয়টি দেখার পর নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এরাজ্যের নাগরিকদের আমি কিছুতেই নাগরিকত্ব হারাতে দেব না। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে কোনও অশান্তি হোক, সেটা আমি চাই না। রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। সেটা হতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই জানিয়েছেন যে, সিএএ নাগরিকত্ব কাড়ার আইন নয়। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। যদিও অসমের পরিস্থিতি এবং সেখানকার মানুষের দুর্ভোগ দেখে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের এই দাবি মানতে নারাজ বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হল, কী এই সিএএ? সংক্ষিপ্তসার হল, ২০১৯ সালে পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন এটা। আপাতত ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান নাগরিকদের এই আইনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এর আগে যখন সিএএ আইন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তখনই প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই তাঁর নেতৃত্বাধীন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস স্লোগান তুলেছিল, ক্যা ক্যা, ছি ছি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত প্রতিবাদের মধ্যেই সোমবার সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশজুড়ে সিএএ লাগু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

মার্চ ১১, ২০২৪
রাজনীতি

Nishith Pramanik: নিশীথের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন

প্রশ্ন উঠে গেল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নাগরিকত্ব নিয়ে।রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ রিপুণ বোরার করার অভিযোগের ভিত্তিতে নিশীথ প্রামাণিকের নাদরিকত্ব নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। নিশীথ প্রামাণিক কি বাংলাদেশি? শুক্রবার এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠিও লিখেছেন বোরা। শনিবার সেই চিঠিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সমালোচনার সুযোগ পেয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন।BarakBanglaNews, RepublicTV Tripura, IndiaToday Business Standard publishes, @NisithPramanik is a Bangladeshi national. Its a matter of grave concern that a foreign national is an incumbent union minister. Urging PM @narendramodi in a letter to conduct an enquiry to clarify it. pic.twitter.com/5Td0xIoG8n Ripun Bora (@ripunbora) July 17, 2021মোদিকে লেখা রিপুণের চিঠি পোস্ট করে তাঁদের দাবি, কোনও বিদেশি নাগরিক দেশের মন্ত্রী হলে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এর জবাবে রাজ্য বিজেপি-র বক্তব্য, কুৎসা না করে কোনও প্রমাণ থাকলে দিক তৃণমূল। অসমের কংগ্রেস নেতা রিপুন মোদিকে পাঠানো চিঠিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর উল্লেখ করে দাবি করেছেন, নিশীথ আদতে বাংলাদেশের পলাশবাড়ির হরিনাথপুরের বাসিন্দা। ভারতে কম্পিউটার কোর্স করার নামে আসার পরে কোচবিহারে থেকে যান। প্রথমে তৃণমূলে এবং পরে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে সাংসদ হন। রিপুন আরও দাবি করেছেন, যে নথি দেখিয়ে নিজেকে কোচবিহারের বাসিন্দা বলে নিশীথ দাবি করেছেন তা ভুয়ো। জালিয়াতি করে তৈরি বলেও অভিযোগ তুলেছেন রিপুণ।আরও পড়ুনঃ অলিম্পিক গেমস ভিলেজে করোনার হানা, আক্রান্ত ১ অ্যাথলিটসেই চিঠির কথা উল্লেখ করেই ব্রাত্য টুইটারে লিখেছেন, রাজ্যসভার সাংসদ রিপুণ বোরা সঠিক প্রশ্ন তুলেছেন। বহু সংবাদমাধ্যমে নিশীথ প্রামাণিক বাংলাদেশের নাগরিক বলে উল্লেখ রয়েছে। এই ধরনের লোককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার আগে কি কোনও কিছুই খতিয়ে দেখা হয়নি? ভুলে গেলে চলবে না এই নিশীথের বিরুদ্ধে কতগুলি গুরুতর অপরাধমূলক মামলা চলছে। লজ্জাজনক। রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল দেশের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।

জুলাই ১৭, ২০২১
দেশ

নয়া ছক বিনয় মিশ্রর, দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ

নীরব মোদি, মেহুল চোকসিদের পর এবার বিনয় মিশ্রও । শাস্তির হাত থেকে বাঁচতে এবার ভিন দেশে পালিয়ে সেখানকার নাগরিকত্ব নিল কয়লা ও গোরু পাচার চক্রের অন্যতম মূল পান্ডা। সিবিআই সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের এক দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরকিত্ব নিয়ে সেখানেই গা ঢাকা দিয়েছে বিনয়। ভানুয়াতু নামে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রে রয়েছে সে। সিবিআইয়ের দাবি, ওই রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় বিনয় ভারতীয় দূতাবাসে নিজের পাসপোর্ট জমা দিয়েছে। আর নাগরিকত্বের জোরেই আপাতত গ্রেপ্তার হওয়া এড়াতে পারবেন কয়লা ও গোরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম চক্রী।প্রায় মাস ৬ আগে, কয়লা ও গোরু পাচার কাণ্ডের কিনারায় সিবিআইয়ের তৎপরতা দেখে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্র বাংলা ছেড়ে মুম্বই হয়ে পালিয়ে যায় দুবাইয়ে। এমনই শোনা গিয়েছিল সেসময়। এরপর একাধিকবার সে ভিনদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করেই বারবার গা ঢাকা দিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তার ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। এই অবস্থায় তাকে জালে আনতে সিবিআই ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিস জারি করার আবেদন জানায়। সেইমতো, রেড কর্নার নোটিসও জারি করা হয়। তারপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে যাওয়ায় বিনয় মিশ্রের নাগাল পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তখন তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আসানসোল সিবিআই আদালতে আবেদন জানানো হয়। তা মঞ্জুর হওয়ার পর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই বিনয় মিশ্র সম্পর্কে নয়া তথ্য হাতে এল সিবিআইয়ের।জানা গিয়েছে, প্রশান্ত মহারাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়েছে বিনয় মিশ্র। ফলে নাগরিকের রক্ষাকবচ পেয়ে যাওয়ায় এখন বিনয়কে হাতে পাওয়া একটু মুশকিল। যদিও এই তথ্য জানার পর সিবিআই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছে। তবে ভানুয়াতুর সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে কি না, থাকলেই বা তা কতটা জটিল, সেসব প্রশ্নও থাকছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে কয়লা এবং গোরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম মূল এই বিনয় মিশ্র। সে দুই পাচার চক্রের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করে গিয়েছে। তাই তাকে নাগালে পেলে দুই কেলেঙ্কারির কিনার করা সুবিধা হবে বলে মনে করছে সিবিআই আধিকারিকরা।

জুন ০৬, ২০২১
রাজ্য

মতুয়াদের নাগরিকত্বের জন্য কোনও সরকার কিছু করেনিঃ শান্তনু ঠাকুর

তিন কোটি মতুয়া ও নমঃশুদ্রকে ভারতবর্ষে নাগরিকত্বের জন্য ভিক্ষা করতে হচ্ছে। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি কেউ ভিক্ষা দেয়নি। সোমবার ঠাকুরবাড়িতে মতুয়াদের সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, আর ভিক্ষা নয়। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় তিন কোটি মতুয়া ধর্মের মানুষের বাস করে। এখানে মতুয়া ধর্মের মানুষ কেন উপেক্ষিত? উপস্থিত মতু্যা ভক্তদের কাছে বিজেপি সাংসদের প্রশ্ন, কোন সরকারের কাছে জবাব চাইবেন? কোনও সরকার তার জবাব দেবে না। এই সরকার আসবে ওই সরকার যাবে। জাতিগত দিক দিয়ে কত দিন বিভাজিত করে রাখা হবে মতুয়াদের? রাজ্য রাজনীতিতে এক তৃতীয়াংশ ভোট থাকা মতুয়ারা ভবিষ্যতে রাজ্যের চালিকাশক্তি হয়ে উঠে নিজেদের অধিকার বুঝে নেওয়ার ডাক দেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ শিলিগুড়িতে একই মঞ্চে ডান - বাম উভয় পক্ষ শান্তনুর দাবি, পূর্ব পাকিস্তান তৈরির আগে তাঁরাও ভারতীয় ছিলেন। তাঁরা ভারতীয় হিসেবে থাকতে চান। দেশভাগের সময় দুই ব্যক্তির সিদ্ধান্ত তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মতামত জানার প্রয়োজন বোধ করেনি কেউ। আর পূর্ব পাকিস্তান থেকে অত্যাচিরত হয়ে এদেশে আসার পর থেকেই বঞ্চিত মতুয়ারা। তাঁদের অধিকারের জন্য তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মতুয়াদের কাছে প্রতিশ্রুতি ছিল সাংসদ হয়ে মতুয়াদের নাগরিকত্বের সমস্যা মেটাবেন। বাস্তবে পার্লামেন্ট থেকে আইন পাশ হলেও লাগু হয়নি সেই আইন। আর তাতেই চটেছেন তিনি।

নভেম্বর ৩০, ২০২০

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

আরজি কর কাণ্ডের একবছরে নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম, অঘোষিত এমার্জেন্সি দেখছে শুভেন্দু

নবান্ন অভিমানকে কেন্দ্র করে শনিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। অভয়ার মৃত্যুর বিচার চেয়ে এক বছরে নবান্ন অভিমানের ডাক দিয়েছিল তাঁর বাবা-মা। সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পদযাত্রা থেকে অভয়ার বাবা ও মাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। এদিকে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যেন অঘোষিত ইমারজেন্সি জারি করেছে মমতা পুলিশ। গত বছর আজকের দিনে কর্তব্যরতা তরুণী চিকিৎসক বোন অভয়া খুন ও ধর্ষণ হন। তার ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে অভয়ার বাবা ও মা তাদের ন্যায্য অধিকার বুঝেনিতে পশ্চিমবঙ্গের সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানান নবান্ন যাওয়ার।উক্ত কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত, মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট অনুমোদিত কর্মসূচি। নিরীহ, নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের উপর মমতা পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। গুরুতর আহত হন অভয়ার বাবা ও মা সহ অনেকেই। তাদেরকে সুচিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তার দলদাস প্রশাসন ন্যায় বিচার দিতে পারে না অথচ এই একপেশে অত্যাচার করে তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ আর সহ্য করবে না। এবার এর বদল হবে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি অযথা রাজনীতি করেছে বিজেপি। সেই ফাঁদে পা দিয়েছে অভয়ার বাবা, মা।

আগস্ট ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে অস্বস্তি বাড়ল সিএবি যুগ্ম সচিবের, জানুন কারণ

সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে অস্বস্তি বাড়ল যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের। টাউন ক্লাবে খেলানো থেকে বাংলা দলে সুযোগ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিশ্রুতিভঙ্গ, সিএবিকে টিকিট বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা না মেটানো-সহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী, সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য মহাদেব চক্রবর্তী, সিএবির সাব কমিটির সদস্য অম্বরীশ মিত্রর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোচনার কথা ছিল গতকাল অ্যাপেক্স কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে। অভিযুক্ত সদস্যরা বৈঠকে থাকতে পারবেন বলেও আগেই সিদ্ধান্ত হয়।সিএবি সূত্রে খবর, দেবব্রত দাসকে বলা হয়েছে, টিকিট বাবদ বকেয়া অর্থ ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে। সেই জবাব এলে তা পাঠানো হবে ওম্বুডসম্যানের কাছে।প্রবীর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শেষ হয়েছে। এবার সিদ্ধান্ত জানাবেন ওম্বুডসম্যান। প্রবীরের বিরুদ্ধে উয়াড়ি ক্লাব কী পদক্ষেপ করবে বা কোন পথে আইনি লড়াই চলবে সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না সিএবি। তবে সিএবির তরফে বরাদ্দকৃত অর্থ কোন খাতে কতটা ব্যবহৃত হয়েছে সেই ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না আসা অবধি উয়াড়ি ও এরিয়ান ক্লাবের জন্য আর্থিক অনুদান বন্ধ থাকবে।অম্বরীশের নামে যে আইনজীবী চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছিলেন তিনি তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই বিষয়ে আর আলোচনা হয়নি। মহাদেব অ্যাপেক্স কাউন্সিলে নিয়ম মেনে এসেছিলেন কিনা সে বিষয়েও আর জলঘোলা হয়নি তিনি কলকাতা পুলিশ থেকে অবসর নেওয়ায় এবং বর্তমান অ্যাপেক্স কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হয়ে আসায়। ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুর লিগ ফাইনালে যে অবাঞ্ছিত বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছিল তার জন্য দুই আম্পায়ার, পর্যবেক্ষক ও কয়েকজন ক্রিকেটারের শাস্তি হয়েছে। ওই পর্যবেক্ষক ও আম্পায়াররা আর পরের বছর লিগ ফাইনাল খেলাতে পারবেন না। সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল-সহ কয়েকজন ক্রিকেটারকে খান চারেক লিগ ম্যাচে দেখা যাবে না, তাঁদের বিরুদ্ধে আচরণবিধির লেভেল থ্রি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, ওই ন্যক্কারজনক ঘটনার পরেই কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।

আগস্ট ০৬, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভালে ইতিহাস! 'নেভার গিভ আপ' আর 'বিলিভ' মন্ত্রেই শুভমান-সিরাজদের বাজিমাত

ওভালে ইতিহাস গড়ল ভারত। ৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। যা টেস্টে গত একশো বছরে দেখেনি ওভাল। টেস্টে রানের নিরিখে এটিই ভারতের সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়। যার ফলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির পাঁচ টেস্টের সিরিজ ২-২। প্রতিটি টেস্ট পঞ্চম দিন অবধি গড়িয়েছে, যা টেস্ট ফরম্যাটের সেরা বিজ্ঞাপন।আজ শেষদিন টেস্ট জিততে ভারতের দরকার ছিল চার উইকেট, ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫ রান। জেমি স্মিথ আর জেমি ওভার্টনকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ সিরাজ। জশ টং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শিকার। এরপর এক হাতে ব্যাট করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামেন ক্রিস ওকস। কাঁধের হাড় সরেছে ফিল্ডিং করতে গিয়ে। দৌড়ে রান নেওয়ার সময় যন্ত্রণা ধরা পড়ছিল তাঁর অভিব্যক্তিতে। তবে ব্যাট করতে হয়নি। গাস অ্যাটকিনসন মরণপণ চেষ্টা করছিলেন। যদিও মহম্মদ সিরাজের পারফেক্ট ইয়র্কার ভারতকে উপহার দিল স্মরণীয় জয়। হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের ১৯৫ রানের পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডের সিরিজ জেতার সম্ভাবনা জোরালো করেছিল। যদিও ৬৬ রানের মধ্যে শেষ সাত উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড থামল ৩৬৭ রানে। শেষ ৬ উইকেটের পতন ৩৫ রানের মধ্যে।মহম্মদ সিরাজ পাঁচটি টেস্টেই খেলেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন। সিরিজে সর্বাধিক উইকেটশিকারী। সিরাজ বললেন, গতকাল যদি ব্রুকের ক্যাচটা নিতে পারতাম তাহলে খেলা আজ অবধি গড়াত না। ওই ক্যাচ পড়ার পর ব্রুক টি২০ মেজাজে খেলতে থাকেন। ফলে ওটা ম্যাচ চেঞ্জিং মোমেন্ট হতে পারতো। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল যে আমিই জেতাতে পারব। বিলিভ লেখা ইমেজ গুগল থেকে নামিয়ে ওয়ালপেপারে রেখেছিলাম দলকে জেতানোর অঙ্গীকার করে।লর্ডস টেস্টে ভারত হেরেছিল। মহম্মদ সিরাজ রক্ষণাত্মকভাবে খেলার পরেও বল গড়িয়ে উইকেটে লেগে বেল পড়েছিল, জেতে ইংল্যান্ড। আজ সেই সিরাজ শেষ উইকেট পেলেন অ্যাটকিনসনকে বোল্ড করে। সিরাজের কথায়, সেদিন রবীন্দ্র জাদেজা বলেছিলেন ঠিকঠাক ডিফেন্স করতে আর প্রয়াত বাবার কথা মাথায় রাখতে, যাঁর জন্যে এই অবধি পৌঁছেছি। কিন্তু সেদিন পারিনি জেতাতে। আজ জিততে পেরে ভালো লাগছে। রবি শাস্ত্রী তো বলেই দিলেন, সিরাজ হায়দরাবাদে ফিরলে তাঁকে প্রোমোশন দেওয়া উচিত। আর ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ যথেষ্ট নয়!ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলকে জড়িয়ে ধরতে দেখা গেল হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে আর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ হারের পর এই প্রথম গম্ভীরের প্রশিক্ষণাধীন ভারত টেস্ট সিরিজ ড্র করল। ভারতীয় শিবির ওভালে রুদ্ধশ্বাস টেস্ট জেতাকে সিরিজ জয় হিসেবেই ভাবছে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই সিরিজ সেরা হলেন সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী গিল, ইংল্যান্ডের তরফে ব্রুক। শুভমান বলেন, দলে কৃষ্ণ, সিরাজের মতো বোলার থাকলে অধিনায়কের কাজ সহজ হয়ে যায়। উই নেভার গিভ আপ। অর্থাৎ শেষ অবধি নাছোড় লড়াই চালানোই যে তাঁদের মূল মন্ত্র সেটাও জানাতে ভুললেন না দল নিয়ে গর্বিত গিল। গিল যথার্থই বললেন, এই সিরিজে সব টেস্টের শেষদিনের শুরুতেও কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি কে জিতবে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস চোটের কারণে ওভালে খেলতে পারেননি। তিনি গিলের সঙ্গে সহমত যে, দুই দল যেভাবে এই সিরিজ খেলল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা-সহ, তার যথার্থ প্রতিফলন ২-২ ফল হওয়া।

আগস্ট ০৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অভিমন্যুর অভিষেক আর কবে?

ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে করুণ নায়ার ০, ২০, ৩১, ২৬, ৪০, ১৪, ৫৭, ১৭ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বি সাই সুদর্শন ০, ৩০, ৬১, ০, ৩৮, ১১।তবু একের পর এক সিরিজে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হচ্ছে অভিমন্যু ঈশ্বরণকে। ভারতীয় এ দলের অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে যাঁর দুটি অর্ধশতরান ছিল। তবু তিনের কথা ভেবে অভিষেক ঘটানো হলো সাই সুদর্শনের। যাঁর ৩১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এখনও অবধি ২০৪৮ রান রয়েছে। সেখানে অভিমন্যু? ১০৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭৮৪১ রান করেছেন। ২৭টি শতরান, ৩১টি অর্ধশতরান। ২০১৩ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হলেও আন্তর্জাতিক অভিষেকের জন্য তাঁকে ওয়েট করানো হচ্ছে। সুদর্শন তিন ফরম্যাটেই দেশের হয়ে খেলে ফেলেছেন। অভিমন্যুর চেয়ে অনেক পিছিয়ে থেকেও। এর পিছনে কোন ক্রিকেটীয় যুক্তি?সুদর্শন আইপিএল খেলেন, অভিমন্যু সুযোগ পাননি। তবে টেস্ট দলে সুযোগের মাপকাঠি তো আইপিএল হতে পারে না। সাই অক্টোবরে ২৪ বছর পূর্ণ করবেন। সেপ্টেম্বরে ৩০ হবে অভিমন্যুর। করুণ ৩৪ পূর্ণ করার পথে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান করার পর ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান হাঁকিয়ে টেস্ট দলে করুণ কামব্যাক নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনে হোক বা মিডল অর্ডারে করুণের অবস্থা বেশ করুণ। ফলে তাঁকে এবার বসানো যেতেই পারে।গৌতম গম্ভীরের পছন্দ, অপছন্দ বড় কথা নয়। প্রথম একাদশ নির্বাচনে যোগ্যতা, পারফরম্যান্স হোক মাপকাঠি। শুভমান গিলের গুজরাত টাইটান্সে খেলার সুবাদে সুদর্শন ব্যর্থ হয়েও খেলে যাবেন, আর অভিমন্যুকে জল বয়ে বেড়াতে হবে বা পরিবর্ত হিসেবে ফিল্ডিং করতে হবে এটা মানা যায় না। ২০২২ সালে রোহিত শর্মা চোট পাওয়ায় বাংলাদেশ সিরিজে অভিমন্যুর টেস্ট অভিষেকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হয়নি। অথচ সেই সময় থেকে আজ অবধি ১৫ জনের টেস্ট অভিষেক হয়েছে। অভিমন্যুকে বসে বসে তা দেখতে হয়েছে।অংশুল কম্বোজকে ডাকা হলো। কিন্তু কেন ডাকা হলো না মুকেশ কুমারকে? ভারত এরপর দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলবে। দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর টেস্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিপক্ষ। লোকেশ রাহুল আর যশস্বী জয়সওয়াল ওপেনার হিসেবে আপাতত জায়গা পাকা করে ফেলেছেন। কিন্তু তিনে ভরসাযোগ্য কাউকে এখনও পাওয়া যায়নি। এই আবহে অবিলম্বে সুযোগ দেওয়া হোক অভিমন্যুকে। পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হলে না হয় অন্য কাউকে সুযোগ দেবেন। কিন্তু অভিমন্যুকে এবার টেস্টের প্রথম এগারোয় না নেওয়া হলে তা হবে অন্যায়। না হলে কীসের রঞ্জি, ইরানি বা দলীপ, কিংবা ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলা! যে যেভাবে পারেন অভিমন্যুর জন্য জোরালো দাবি উঠুক।

আগস্ট ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal