• ৬ পৌষ ১৪৩২, বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

China

বিদেশ

ইচ্ছাকৃতভাবেই ছড়ানো হয়েছিল করোনা ভাইরাস!

ইচ্ছাকৃত ভাবেই পরিবেশে ছড়ানো হয়েছিল করোনা ভাইরাস । এব্যাপারে নাকি গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের হাতে। যদিও বেজিং স্বাভাবিক ভাবেই এমন অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছিল। কিন্তু চিনেরই এক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ফের অভিযোগ করলেন, চিনের গবেষণাগার থেকে জীবাণুযুদ্ধের মহড়া হিসেবেই ওই মারণ ভাইরাস পরিবেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।লি-মেং ইয়ান নামের ওই চিনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞের এমন দাবি ঘিরে কিছুদিন ধরেই তোলপাড় গোটা বিশ্ব। এবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই একই দাবি করতে দেখা গেল তাঁকে। ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, উহানের বাজার নয়, লালফৌজের গবেষণাগারেই বিশ্বত্রাস হয়ে ওঠা কোভিড-১৯ ভাইরাসের জন্ম, একথা লি-মেং ইয়ান কীসের ভিত্তিতে বলছেন। এর উত্তরে ওই চিনা বিজ্ঞানীর সাফ কথা, গত জানুয়ারি থেকেই ইউটিউবের মাধ্যমে আমি সকলকে জানাতে শুরু করেছিলাম যে পিপলস লিবারেশন আর্মি-র গবেষণাগারেই জন্ম এই ভাইরাসের। ইচ্ছাকৃত ভাবেই তা ছড়ানো হয়েছিল। চিনের সরকার এটা ভাল করেই জানে।তাঁর দাবি, প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করে ওই ভাইরাসকে তৈরি করেছিল চিন। এবং তা ছড়িয়ে দিয়েছিল বাতাসে। উদ্দেশ্য, মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেওয়া। এবং সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষ দেশগুলির চিকিৎসা কাঠামোকেই নড়বড়ে করে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল বেজিংয়ের। ওই বিজ্ঞানীর দাবি, তাঁর এই অভিযোগের সপক্ষে জোরদার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যপ্রমাণও রয়েছে। তাঁর আরও দাবি, এই সব প্রমাণ এমন অকাট্য চিনের পক্ষেও তা অস্বীকার করা সম্ভব নয়। কিন্তু তবু বেজিং এসবকে আড়াল করতে ভুয়ো প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।প্রসঙ্গত, করোনার দাপট শুরু হওয়ার পর থেকেই এই দাবি উঠতে থাকে যে এটি প্রাকৃতিক ভাইরাস নয়। একে তৈরি করা হয়েছে গবেষণাগারে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেই সময় জানিয়েছিল, এমন দাবি ভিত্তিহীন। এবার চিনের ভাইরাস বিশেষজ্ঞের এমন দাবি ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে চাঞ্চল্য।

মে ১২, ২০২১
বিদেশ

৫ বছর আগেই সার্স-কোভ-২-কে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের ছক ছিল চিনের!

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবের পিছনে চিনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত রয়েছে, এমন অভিযোগ বার বার উঠেছে। কিন্তু তার কোনও পোক্ত প্রমাণ কেউ তুলে ধরতে পারেনি, যা দিয়ে চিনকে সরাসরি কাঠগড়ায় তোলা যায়। চিনও বার বার চেষ্টা করেছে তাদের ঘাড় থেকে দায় নামিয়ে ফেলতে। কিন্তু এবার যে নথি প্রকাশ্যে এল তাতে সার্স করোনা ভাইরাস নিয়ে চিনের অনেক গোপন পরিকল্পনা অনেকটাই ফাঁস হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।চিনের সামরিক বিজ্ঞানীরা নাকি ২০১৫ সালেই এই ভাইরাসকে জৈব অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন। চিনেরই এক শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞানী এই তথ্য ফাঁস করেছেন। লি-মেং ইয়ান নামের ওই চিনা ভাইরোলজিস্টের দাবি ঘিরে এখন তোলপাড় গোটা বিশ্ব। চিনা ভাষায় লেখা কিছু নথি তিনি ইংরেজিতে অনুবাদ করে টুইট করেছেন। সেখানে উল্লেখ রয়েছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটি চিনের সরকারি গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে। এবং চিনের সামরিক বিভাগের বিজ্ঞানীরা সার্স করোনা ভাইরাসকে জৈব হাতিয়ার রূপে ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করছেন। শুধু তাই নয়, জৈব অস্ত্র দিয়েই নাকি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে লড়াই হবে। এই নথিতে এমন আলোচনার উল্লেখ রয়েছে।২০১৫ সালে এই আলোচনা যখন হয়, তখন বিশ্বে করোনার অতিমারির কথা সাধারণ মানুষের কেউ ভাবেননি। তার প্রায় ৫ বছর পর বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে যায় করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব। অস্ট্রেলিয়ার এক খবরের ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, এই ভাইরাসের জিন ইচ্ছে মতো পরিবর্তন করে মানব শরীরে ঘাতক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। এই নথি প্রকাশ্যে আসার পর চিনের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি। তবে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে।

মে ০৮, ২০২১
বিদেশ

চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতেই আস্থা কোয়াড গোষ্ঠীর

চিনকে নজরে রেখে ব্লক তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছিল সেই ২০০৭ সাল থেকেই। অবশেষে বেজিংয়ের রক্তচক্ষুকে অবজ্ঞা করে শুক্রবার সন্ধ্যায় বসল প্রথম চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াড রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠক। লালফৌজকে নজরে রেখে কোয়াড গোষ্ঠীর চার সদস্য দেশ ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত আদানপ্রদান গভীর করাই এই মঞ্চের লক্ষ্য বলে প্রাথমিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন নেতারা। বিশেষ করে, চিনকে রুখতে ভারতই যে আমেরিকার ভরসা তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠল।চিন একাই ঘুম উড়িয়ে দিচ্ছে গোটা বিশ্বের। বেজিংয়ের অর্থনৈতিক, সাইবার এবং সামরিক আগ্রাসন নিয়ে আমেরিকা-সহ বিশ্বের চার বৃহৎ শক্তির জোটবদ্ধ হওয়া তারই ইঙ্গিত। কোয়াড গোষ্ঠীর মাথাব্যথার কারণ বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাব। বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারসাম্য রক্ষাই চ্যালেঞ্জ। করোনা টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি শুক্রবারের বৈঠকে এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন চার রাষ্ট্রপ্রধান। ভবিষ্যতের স্বার্থে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত রাখতে কৌশলগত সমঝোতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উঠেছে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রসঙ্গও। কূটনৈতিক লড়াইয়ে চিনকে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে একাধিকবার চার দেশের আমলা-মন্ত্রীরা বৈঠকে বসেছেন। কিন্তু করোনা অতিমারি বদলে দিয়েছে পরিস্থিতি। তার জেরেই শুক্রবার প্রথমবার বৈঠকে মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।ভারতীয় সংস্থাগুলির করোনা টিকা উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিকে ঢাল করে আসলে চিনের টিকা আবিষ্কারের আলোচনা সারলেন চার রাষ্ট্রপ্রধান। মূলত মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভারতীয় উৎপাদক সংস্থাগুলোর কার্যকরী মূলধনের জোগান অব্যাহত রাখতে নয়াদিল্লির আবেদনে শুক্রবারের কোয়াড শীর্ষ বৈঠক। করোনা অতিমারির মোকাবিলায় ভারতীয় সংস্থাগুলোর উপর ভরসা রাখতে চাইছে অধিকাংশ দেশ। আশঙ্কা, টিকা কূটনীতিকে হাতিয়ার করে আরও আগ্রাসী হবে চিন।পূর্ব লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সামরিক সংঘাত উদ্বেগ বাড়িয়েছে কোয়াড গোষ্ঠীর। দক্ষিণ চিন সাগর এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা নৌবহরের ক্রমবর্ধমান দাপট আমেরিকার জন্য অস্বস্তির। ভারত-চিন বিতর্কে কোয়াড গোষ্ঠী নয়াদিল্লির পাশেই রয়েছে। তেমনই আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা রেখে দেওয়ার ব্যাপারে সায় দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এক্ষেত্রেও চিন্তা বা দুশ্চিন্তা সেই বেজিং। হোয়াইট হাউসের আশঙ্কা, কাবুল থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে আফগানিস্তানে দাপট প্রতিষ্ঠা করবে লালফৌজ। পারস্পরিক স্বার্থ সুরক্ষিত করার মাধ্যমে একজোট থাকতে চায় ওয়াশিংটন, নয়াদিল্লি, টোকিও এবং ক্যানবেরা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ক্রমবর্ধমান চিনা বিনিয়োগের প্রভাব নিয়েও উদ্বিগ্ন কোয়াড গোষ্ঠী।

মার্চ ১৩, ২০২১
দেশ

চিনের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াইয়ের ডাক ভারত- আমেরিকার

ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এরই মাঝে টু প্লাস টু আলোচনায় অংশ নিতে ভারতে এসেছেন আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও । আর এসেই ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন , যে কোনওরকম তর্জন-গর্জন রুখতে অ্যামেরিকা সবসময় ভারতের পাশে রয়েছে । ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে কোনও পদক্ষেপে ওয়াশিংটন দিল্লিকে সবরকমভাবে সমর্থন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি । অন্যদিকে , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগেই ভারতের সঙ্গে একাধিক প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি করে ফেলল আমেরিকা। এই চুক্তির আওতায় ভারতকে গোয়েন্দা তথ্য দেবে আমেরিকা। পাশাপাশি দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের দাদাগিরি খর্ব করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকবে ভারত। মঙ্গলবার ভারত মার্কিন টু প্লাস টু আলোচনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশমন্ত্রী কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার ও মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে। দুই মার্কিন প্রতিনিধি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও। বৈঠক শেষে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে গণতন্ত্রের বন্ধু নয় চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। আইনের শাসন ও স্বচ্ছতা চিনের মধ্যে নেই। আরও পড়ুনঃ এলাহাবাদ হাইকোর্টের নজরদারিতেই হাথরাসের গণধর্ষণ ও খুনের মামলাঃ সুপ্রিম কোর্ট সাউথ ব্লকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন পম্পেও। আধিকারিক সূত্রে খবর, লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় ৪০মিনিট ধরে বৈঠক হয়েছে তাঁদের মধ্যে । এদিন সকালে দিল্লিতে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল পরিদর্শন করেন পম্পেও । ওয়ার মেমোরিয়াল ঘুরে 15 জুন চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন জওয়ানের শহিদ হওয়ার বিষয়ে বলেন, সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকায় যে জওয়ানরা তাঁদের জীবন দিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানালাম ।

অক্টোবর ২৭, ২০২০
দেশ

সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাক সেনার, শহীদ এক জওয়ান

শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ফলে ভারতীয় সেনার এক জওয়ান শহীদ হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে। বিনা প্ররোচনায় পাক সেনারা এলোপাথারি গুলি চালায় সীমান্তে এমনটাই জানিয়েছেন সেনাকর্তারা।পাক সেনার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। জম্মুর প্রতিরক্ষা পিআরও, লেঃ কর্নেল দেবেনদার আনন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন, গতকাল রাতে কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় ল্যান্স নায়েক কর্ণাইল সিং প্রাণ হারিয়েছেন। সেনা সূত্রে আরও জানানো হয়েছে আরও এক জওয়ান রাইফেলম্যান বীরেন্দ্র সিং আহত হয়েছেন। তাঁর চোখে আঘাত লেগেছে এবং গুরুতর অবস্থায় তাঁকে রাজৌরির সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হোয়াইট নাইট কর্পসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সমস্ত পর্যায়ের মৃত সৈনিকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় মানকোট সেক্টরের পুঞ্চে পাকিস্তানি সেনারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন শুরু করেছিল। ১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পরেও চলতি বছরের শুরু থেকেই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আসছে। চলতি বছরে এলওসি-তে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনায় মোট ২৪ জন মানুষ মারা গিয়েছেন এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।মর্টার শেল ছোঁড়ার ফলে কাশ্মীর সীমান্তের মানুষদের জীবন, জীবিকা ও কৃষি কার্যক্রম বিপন্ন। প্রতি মুহূর্তে তাঁরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত বিনা প্ররোচনায় পাক সেনারা সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ১৫০০ বারের বেশী।

অক্টোবর ০১, ২০২০
দেশ

কাশ্মীরে জঙ্গি মদতে চিনের হাত

লাদাখের পর এবার জম্মু-কাশ্মীরের দিকে হাত বাড়াল চিন। নয়াদিল্লিকে বিপাকে ফেলতে উপত্যকায় বহুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ঢোকানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। আর এ ব্যাপারে ইসলামাবাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে চিন, গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর। সম্প্রতি ভূস্বর্গে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র মজুত করেছে সেনা। আর সেই অস্ত্রভাণ্ডারেই মিলেছে চিনের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও যুদ্ধের সরঞ্জাম। আর এক্ষেত্রে পাক-চিন যোগসূত্র নিয়ে সন্দেহ আরও জোরদার হয়েছে নয়াদিল্লির। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে বারুদের স্তূপ বানাতে ইসলামাবাদকে তোল্লাই দিচ্ছে বেজিং। ভারতের সেনা সূত্রে খবর, সম্প্রতি উপত্যকায় নিরস্ত্র জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে‌। জঙ্গিদের অস্ত্র পাঠানো হয়েছে ড্রোন মারফত। গত কয়েক মাসে ভূস্বর্গের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বেশ কয়েকটি জায়গায় অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও ড্রোন উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি যে চিনের সেই প্রমাণও মিলেছে।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
বিদেশ

করোনা নিয়ে নারদ-নারদ

করোনার আতুঁড়ঘর নিয়ে চিন-আমেরিকা বাকযুদ্ধ নতুন কিছু নয়। করোনাকে চিনা ভাইরাস বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দিয়েছিল বেজিংও। করোনা সংক্রমণ নিয়ে ফের চিনকে নিশানা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে করোনা ভাইরাস বলে যা বলা হচ্ছে আদতে তা চিনা ভাইরাস বলে কটাক্ষ করলেন ট্রাম্প। করোনা ভাইরাসকে ইতালির একটি সুন্দর জায়গার নামের সঙ্গে তুলনায় টানেন তিনি। করোনা সংক্রমণে এই মুহূর্তে ত্রাহি ত্রাহি রব আমেরিকায়। শুরু থেকেই চিনের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দামামা বেজেছে। করোনা মোকাবিলায় মার্কিন নাগরিকদের একাংশ বেশ ক্ষুব্ধ ট্রাম্পের উপর। সাফাই দিতে পেনসিলভেনিয়ায় এক প্রচার সভা থেকে করোনা নিয়ে ফের চিনকে নিশানা করেন মার্কিন প্রেিসডেন্ট।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
বিদেশ

হুমকি, পাল্টা হুমকিতে সরগরম আমেরিকা-চিন সম্পর্ক

বিশ্বের করোনা সংক্রমণ নিয়ে চিনকে দায়ী করে নিশানা করার পর থেকেই শুরু হয়েছিল সংঘাতের। বেজিং- হোয়াইট হাউসের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগকে ঘিরে সরগরম হয়েছিল বিশ্ব রাজনীতি। এবার সেই সংঘাত নতুন মাত্রা পেল আমেরিকায় টিকটক ও উইচ্যাট নিষিদ্ধ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করেছে হোয়াইট হাউস। একই সঙ্গে নিষদ্ধ হয়েছে উইচ্যাটও। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রক। আর্জি জানিয়েছে আমেরিকার হুঁশিয়ারি বন্ধেরও। সেই সঙ্গে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে চলারও। ওয়াশিংটন আর্জি না মানলে, পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রক। যদিও পাল্টা দিয়ে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal