• ২৯ কার্তিক ১৪৩২, বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Child

রাজ্য

Maldah Child death: মালদা মেডিক্যাল কলেজে আরও ২ শিশুর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

বুধ এবং বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং শুকনো কাশির সমস্যা নিয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাজমহলে। অন্যজন মালদহের ভুতনি এলাকার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। চিকিৎসার তেমন সুযোগ মেলেনি বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে গত তিন দিনে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৫ শিশুর মৃত্যু হল। এই মুহূর্তে ওই হাসপাতালে আরও ১৭৮ জন শিশু সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন। আরও পড়ুনঃ সকালের আলো ফুটতেই কেঁপে উঠল সিচুয়ান প্রদেশবুধবার রাতে দুজন এবং বৃহস্পতিবার সকালে একজন শিশু মারা গিয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মৃত তিন শিশুই সদ্যজাত ছিল। কারও বয়স ৭ বছর, কারও বয়স ৫ বছর। তাদের শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্টও ছিল। শিশুদের এই জ্বরের চিকিৎসা করতে ইতিমধ্যে তৎপর হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কতৃপক্ষ। শিশুদের জ্বর মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচ বিশেষজ্ঞের কমিটি গঠন করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। বিশেষজ্ঞরা শুক্রবার উত্তরবঙ্গে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। শিশুমৃত্যু নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান সুষমা সাউ বলেছেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে মোট পাঁচ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দুজন করে এবং শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এক জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী শিশুদের চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
রাজ্য

Child Fever: শিশুদের অজানা জ্বরে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ, আক্রান্ত ৫০০-র বেশি

অজানা জ্বরের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। ৮ মাসের এক শিশুর মৃত্যুর খবর এসেছিল আগেই। এখনও পর্যন্ত এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। গুরুতর অসুস্থ শিশুর সংখ্যা সব মিলিয়ে ৫০-এর পঞ্চাশের কাছাকাছি। সরকারি নথি অনুযায়ী ৫০০-র বেশি শিশু অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। আর এই ঘটনা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে ধরেছে। বিশেষত শিশু চিকিৎসার পরিকাঠামোর বেহাল চেহারাটা ক্রমশ সামনে আসছে। আর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্কও। আরও পড়ুনঃ রাজ্যে আরও একটি বড় দুর্নীতির আশঙ্কায় শুভেন্দুকরোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে এবং শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ভবন ঘোষণা করেছিল যে গোটা রাজ্যে প্রস্তুতি চলছে। বাড়ানো হচ্ছে বেড। আইসিইউ, পিকু, নিকু সহ পেডিয়াট্রিক এক্সপার্টদের নিয়ে তৈরি হয়েছে টিম। তৃতীয় ঢেউ কবে আসবে জানা নেই। তবে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি এবং কোচবিহার সংলগ্ন এলাকায় শিশুদের এই আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাতেই বেআব্রু হয়ে পড়েছে সরকারি সেই ব্যবস্থা। হাসপাতালে গাদাগাদি করে রয়েছে শিশু এবং তাদের অভিভাবকেরা। ভর্তির জায়গা নেই। এমনই অবস্থা একাধিক জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল কিংবা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। মূলত শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে এই জ্বরের প্রকোপে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল বা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই জ্বরে আক্রান্ত শিশুরা ভিড় করছে। কোথাও প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও বা ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল, বানারহাট, ধুপগুড়ি , মালবাজার, মেখলিগঞ্জ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ছোট-বড় হাসপাতালে এই মুহূর্তে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ভিড়। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর গত ১২ থেকে ১৪ দিন ধরে এই অজানা জ্বরের প্রকোপ বেড়ে চলেছে জেলাজুড়ে। উত্তরবঙ্গের চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, সঠিকভাবে সেই তথ্য জানানো হয়নি স্বাস্থ্য ভবনকে। তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। জ্বর, পেটে যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বহু শিশু। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে এই অজানা জ্বর। অথচ ১০-১২ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করে সঠিক কারণ জানা গেল না। কেন জ্বরের কারণ জানতে এত বেশি সময় লাগছে? সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
রাজ্য

Literacy Day: সাক্ষরতা দিবসে আদিবাসী পরিবারের শিশুদের শিক্ষার পাঠ দিলেন পুলিশ কর্তা

কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি নন। তিনি আইনের রক্ষক। কিন্তু তাতে কি যায় আসে। শুধু শিক্ষকরাই শিক্ষা দান করতে পারবেন এমনটা তো আর কোথাও বলা নেই। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের দিনে তাই একেবারে শিক্ষকের ভূমিকা নিয়েই আদিবাসী পরিবারের শিশুদের পাঠ দান করলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার অফিসার ইনচার্য সৈকত মণ্ডল। আদাবাসী পরিবারের শিশুরা শিক্ষার আলোকে আলোকিত হোক এই অভিপ্রায়ে এদিন সৈকতবাবু শিশুদের হাতে তুলে দিলেন সিলেট ও চক পেন্সিল। দিলেন উপহার সামগ্রীও।শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে পুলিশ কর্তা শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার ভূয়সী প্রশসা করেছেন ভাতারের শিক্ষাপ্রেমী মানুষজন।আরও পড়ুনঃ আউসগ্রামে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করলো সিআইডি ও পুলিশভাতার থানার ওড়গ্রাম লাইনডাঙ্গা এলাকাটি আদিবাসী অধ্যুষিত। করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দুবছর বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় একটু মনমরাই ছিল এই আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের শিশুরা। স্কুল না যেতে পাারর জন্য শিশুদের আক্ষেপের অন্ত ছিল না। তা জানতে ফেরে বুধবার সাক্ষরতা দিবসের দিন সকালে ভাতার থানার ওসি সৈকত মণ্ডল তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে ওই গ্রামে পৌছে যান। গ্রামের সবুজে ঘেরা জায়গায় খোলা আকাশের নিচে অনেকটা শান্তিনিকেতনের আঙ্গিকে আদিবাসী পরিবারের শিশুদের পাঠ দানের বন্দোবস্ত করা হয়।পুলিশ পোষাকেই সেখানে শিক্ষকের গুরু দায়িত্বে অবতীর্ণ হন ওসি সৈকত মণ্ডল । শিশুদের হাত ধরে তিনি সেখানে বসেই তাঁদের অ,আ,ক,খ লেখা শেখালেন। পাঠ দান শেষে পুলিশের পক্ষ থেকে দেড় শতাধিক শিশুর হাতে পুলিশ আধিকারিকরা তুলে দেন স্কুল ব্যাগ, বই, সিলেট, পেন্সিল সহ উপহার সামগ্রী। শিশুদের পড়াশোনা শেখার ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলার জন্য ওসি শিশুদের অভিভাবকদের পরামর্শও দেন। লেখাপড়া শেখায় আগ্রহী শিশুদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন ওসি। পুলিশবাবুর এমন সহৃদয়তা মুগ্ধ করে আদিবাসী মহল্লার বাসিন্দাদের।আরও পড়ুনঃ রিয়েল মাদ্রিদের গন্ধমাখা কোচ এবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্বেসাক্ষরতা দিবসের দিনে শিশুদের শিক্ষাদানে পুলিশের আসরে নামার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ওড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তারাপদ পাল। তিনি বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ শিক্ষাদানে অগ্রণী ভূমিকা নিলে আখেরে সমাজ উন্নত হবে।শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি পুলিশ কর্তারা শিশুদের শিক্ষার আলোকে আনার ব্যাপারে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা এক কথায় অনবদ্য। এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে বলে শিক্ষক তারাপদ পাল মন্তব্য করেছেন।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
বিদেশ

Corona: আমেরিকায় তিন সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত পাঁচ লাখের বেশি শিশু

তিন সপ্তাহে আমেরিকায় করোনা-আক্রান্ত ৫ লক্ষেরও বেশি শিশু! যা সত্যিই খুব উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞেরা বারবারই বলছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার ইঙ্গিত স্পষ্ট। তাঁরা আগেই বলে রেখেছেন, তৃতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিশুরা। সেই পূর্বাভাসও মিলে যাচ্ছে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস জানিয়েছে, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ৫ অগস্ট থেকে ২৬ অগস্ট পর্যন্ত ৫ লক্ষেরও বেশি শিশু সংক্রমিত হয়েছে। শুধু ১৯ অগস্ট থেকে ২৬ অগস্টের সপ্তাহে অন্তত ২ লক্ষ ৩ হাজার ৯৬২ শিশুর কোভিড ধরা পড়েছে। জুন মাসে শিশু-সংক্রমণ ছিল সপ্তাহে সাড়ে ৮ হাজার মতো। দুমাসে সংক্রমণ বেড়েছে ২৫ গুণ।আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করেই খুলে গেল বর্ধমানের কলেজআমেরিকার শীর্ষস্থানীয় এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি বলেন, স্কুলগুলোতে কোভিডের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করা সব চেয়ে ভাল সিদ্ধান্ত। এটা কোনও কট্টরপন্থা নয়। আগেও এমন হয়েছে। দেশের বহু জায়গায় বহু স্কুলে এমন নিয়ম রয়েছে, বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাতে হলে পোলিয়ো, হাম, মাম্পস, রুবেলা, হেপাটাইটিসের টিকা দিতে হবে। অতএব এই নিয়ম নতুন নয়। স্কুলে পাঠাতে হলে বাচ্চাকে এ বার করোনার ভ্যাকসিনও দিতে হবে।আমেরিকায় স্কুল খুলেছে বহু প্রদেশে। অন্য দেশগুলোতেও এক-এক করে স্কুল খুলছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে চিন্তায় বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের বক্তব্য, এক-এক করে বহু স্কুলই মাস্ক পরা আবশ্যিক করে দিয়েছে। মাস্ক অনেকটাই সংক্রমণ আটকে দেয়। কিন্তু সবটা তো নয়! বিশেষজ্ঞদের কথায়, যে সব বাচ্চার টিকাকরণ হয়নি, তাদের শরীরেই বেশি হামলা করছে ভাইরাস। কিন্তু যাদের জন্য টিকায় ছাড়পত্র রয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের সেই অংশের মধ্যেও টিকা নেওয়ায় অনীহা রয়েছে। আমেরিকায় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে টিকা নেওয়ার হার বেশ কম। বিশেষজ্ঞদের কথায়, টিকা নেওয়া নেই মানে কোনও নিরাপত্তা নেই! নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল ঘোষণা করেছেন, যে সব পড়ুয়ার টিকাকরণ হয়, প্রতি সপ্তাহে তাদের কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। হোচুল বলেন, আমাদের একে অপরকে রক্ষা করতে হবে। টিকা নিতে হবে সকলকে। বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরতে ও অন্যান্য করোনা বিধি মেনে চলতে হবে।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
রাজ্য

Marrying a Minor: নাবালিকাকে বিয়ে করার দায়ে শ্রীঘরে ঠাঁই চাইল্ড লাইন সদস্যের

নাবালিকাকে বিয়ে করার দায়ে গ্রেপ্তার হলেন নাবালিকা বিয়ে রোখার দায়িত্বে থাকা চাইল্ড লাইনেরই এক সদস্য। ধৃতের নাম অরুপ সাহা। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার বরমপুর গ্রামের অরপ সাহা চাইল্ডলাইনের কাটোয়া শাখার একজন সদস্য।কাটোয়া থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার ধৃতকে পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। বিচরক ধৃতের ৪ দিন জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। চাইল্ড লাইন সদস্যের এমন কীর্তির কথা জেনে স্তম্ভিত কাটোয়াবাসী।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৬ বয়সী যে নাবালিকাকে অরুপ সাহা গত ১ জুলাই বিয়ে করে তার বাড়ি কাটোয়ার মুস্থুলি গ্রামে। স্থানীয়দের মাধ্যমে এই বিয়ের বিষয়ে খবর পায় চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষ। ঘটনা জানার পরেই ৩ সদস্যের কমিটি গড়ে সংস্থার তরফে শুরু হয় তদন্ত। তাঁরা নাবালিকার বয়সের প্রমাণপত্র ও বিয়ের প্রমানসহ সবকিছু তথ্য খতিয়ে দেখেন। তদন্ত কমিটি গত ২৯ জুলাই উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য সহ রিপোর্ট জমা দেয়। এরপর গত ৬ আগষ্ট পূর্ব বর্ধমান জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিকের কাছে এ নিয়ে ই-মেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানান সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জে মজুমদার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক প্রশান্ত রায় গত মঙ্গলবার কাটোয়া থানায় অরূপ সাহার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে কাটোয়া থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে অরূপ সাহাকে গ্রেফতার করে।আরও পড়ুনঃ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার চার নাবালক ছাত্রধৃত অরুপ সাহা যদিও দাবি করেছেন, তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। বাড়িতে অসুস্থ মা একাই থাকেন। সংসার সামালনোর জন্য তাঁর মা বিয়ে করে নেওয়ার জন্য তাঁকে খুব চাপ দিচ্ছিলেন। এমন অবস্থার মধ্যে পড়ে গিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে বাধ্য হন ।

আগস্ট ২৮, ২০২১
বিদেশ

Afghanistan: কাবুল বিমাবন্দরে প্রাণ বাঁচানোর লড়াইয়ে ম্লান একরত্তির অকাতর কান্না

তালিবানের দাপটে ত্রস্ত আফগানিস্তানের মানুষ। তীব্র আতঙ্কে ঘর ছেড়েছে হাজার হাজার মানুষ, বাকিরাও প্রাণ নিয়ে পালাতে পারলে বাঁচে। ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে আফগানিস্তানের ছবিটা। দেশ দখলে নিয়ে যা খুশি তাই করছে তালিবান। উঠে পড়ছে শিশুদের নাগরদোলায়। খেলার মাঠ থেকে জিম, চলছে দাপাদাপি। শিশুদের মেরি-গো-রাউন্ডে যখন আমোদে মেতেছে জঙ্গির দল, তখন কাবুলের এক বিমানবন্দরে দেখা গেল হৃদয়বিদারক ছবি। একটি সবজি রাখার বাক্সে শোয়ানো এক শিশু। অকাতরে কেঁদে চলেছে সে। আরও পড়ুনঃ সময় চেয়ে শিশিরের পথেই হাঁটলেন মুকুল রবিবার থেকেই তালিবানি শক্তির কাছে পরাজিত মানবতা। অন্তত বিমানবন্দরে একা পড়ে থাকা সাত মাসের শিশুর ছবিটি দেখে তেমনটাই বলতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবিটি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্লাস্টিকের ঝুড়িতে আধ শোওয়া অবস্থায় কেঁদে চলেছে একরত্তি। চার পাশ ফাঁকা। বোঝাই যাচ্ছে এই কান্না থামানোর জন্য কোনও আপনজনের হাত নেই ধারে কাছে। জানা গিয়েছে, সে এক শিশুকন্যা। বয়স সাত মাসের কাছাকাছি।সোমবার কাবুলের বিমানবন্দরে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ের মাঝেই এই শিশুটি হারিয়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড় ছিল কাবুলের বিমান বন্দরে। বিমানে উঠে দেশ ছাড়ার জন্য পাগলের মতো করেছে মানুষগুলো। কাবুলের হামিদ করজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই শিশুটিকে পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। বিমানবন্দরে একটা ছোট্ট বাক্সের মধ্যে পড়ে রয়েছে ফুটফুটে এক নিঃসঙ্গ শিশু। কার সন্তান, কী ভাবেই বা এখানে এল, কেনই বা এভাবে পড়ে রয়েছে কোনও প্রশ্নেরই উত্তর নেই। সবটাই বলা হচ্ছে অনুমানের ভিত্তিতে।আর এই দৃশ্য এখেই কেঁদে উঠছে নেটাগরিকদের মন।

আগস্ট ১৭, ২০২১
দেশ

Temple Stamped: মহাকালেশ্বর মন্দিরে পদপিষ্ট বহু মহিলা ও শিশু

মহাকাল মন্দিরে অত্যধিক ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে জখম বহু মহিলা ও শিশু।জানা গিয়েছে, উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর শিব মন্দিরে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী-সহ কয়েক জন ভিআইপি ব্যক্তি। তাঁরা যাওয়ার পরেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ভিড় সামলাতে পারেনি পুলিশ। পদপিষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন বহু ভক্ত। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন মহিলা, শিশুও রয়েছে। শুধু তাই নয়, মন্দিরে করোনাবিধিও ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আরও পড়ুনঃ অলিম্পিকের তৃতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় শরথ কমলেরসোমবার মহাকাল মন্দিরের চার নম্বর প্রবেশ দ্বারের বাইরে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে ভক্তরা অধৈর্য হয়ে যান। ফলে তাঁদের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার পরেই সবাই একসঙ্গে ঢুকতে যান। তখনই পড়ে যান অনেকে। পদপিষ্ট হয়ে আহত হন তাঁরা। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পরে কয়েক জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, করোনার কারণে অনেক দিন বন্ধ থাকার পরে গত মাসেই খুলেছে মহাকাল মন্দির। যদিও মন্দিরে যাওয়ার জন্য ভক্তদের কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট বা একটি টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে সাড়ে তিন হাজার ভক্তকে মন্দিরে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।

জুলাই ২৭, ২০২১
রাজ্য

Abortion: পেটে লাথি মেরে গৃহবধূর গর্ভজাত সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী ও ভাশুর

পেটে লাথি মেরে বধূর গর্ভজাত সন্তান নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী ও ভাশুরকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। ধৃতদের নাম সাদ্দাম শেখ ও সামাত শেখ। তাদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার আমবোনা গ্রামে। ভাতার থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শুক্রবার দুই ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। সিজেএম ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে আগামী শুক্রবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার বলিউড অভিনেত্রীর স্বামীপুলিস জানিয়েছে, নির্যাতিতা গৃহবধূর নাম চুমকি বেগম। গলসি থানার গোলগ্রামে চুমকির বাবার বাড়ি। বছর চারেক আগে ভাতারের আনবোনার যুবক সাদ্দামের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়েতে চাহিদামতো পণ দিয়েছিল বধূর বাবার বাড়ির লোকজন। বিয়ের দুমাস পর যৌতুকের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বধূর উপর মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। পাশাপাশি তাঁর স্বামী বাইক কেনার জন্য চুমকিকে বাপের বাড়ি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে গৃহবধূর বাপের বাড়ি লোকজন জামাইকে বাইক কিনে দেয়। এছাড়াও আরও ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?অভিযোগ, এসব চাহিদা পূরণ হলেও বধূ নির্যাতন বন্ধ হয়নি। অত্যাচার চলতেই থাকে। গৃহবধূ চুমকি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময়ে তাঁকে গর্ভপাত করার জন্য এরপর চাপ দেওয়া শুরু করে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। চুমকি তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁর উপর অত্যাচার বাড়ে। ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে তাঁকে মারধর করা হয়। পেটে লাথি মারা হয়। তাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাপের বাড়ির লোকজন তাঁকে বর্ধমান শহরের একটি নাির্সংহোমে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে তাঁকে পানাগড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেন। দুমাস পর তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন। ফের তাঁর উপর নির্যাতন শুরু হয়। দুমাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার বিচার চেয়ে চুমকি বেগম বর্ধমান আদালতে মামলা করেন। সিজেএম কেস রুজু করে তদন্তের জন্য ভাতার থানার ওসিকে নির্দশ দিলে পুলিশ বধূর স্বামী ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করে।

জুলাই ২৩, ২০২১
রাজ্য

Cruel Neighbour: কান্নাকাটির 'অপরাধে' একরত্তি শিশুকে মারধর, গ্রেপ্তার 'নিষ্ঠুর ' প্রতিবেশী

বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করায় ১৫ মাস বয়সী শিশুকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন প্রতিবেশী। ধৃতের নাম সঞ্জিৎ সাউ। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কেন্না গ্রামের সায়েরপাড়ায়। মেমারি থানার পুলিশ সোমবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। শিশুকে মারধরের ঘটনায় জড়িত নিষ্ঠুর প্রতিবেশীর কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন সায়েরপাড়ার সকল বাসিন্দারা।আরও পড়ুনঃ গুগল পিসেমশাই জন্মদিনের তারিখ ভুল বলছে মনামীরপুলিশ জানিয়েছে, শিশুর পরিবারের বসবাস কেন্না গ্রামের সায়েরপাড়াতেই। শিশুর বাবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে শুক্রবার সকালে শিশুটি খুব কান্নাকাটি করছিল। কান্নাকাটি করতে করতে শিশুটি প্রতিবেশী সঞ্জিৎ সাউয়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বাড়িতে ঢুকে শিশুটি কান্নাকাটি করায় সঞ্জিত শিশুটিকে প্রচণ্ড মারধর করে। এমনকি তিনি শিশুটিকে লাথি পর্যন্ত মারেন বলে অভিযোগ। মায়রধোর সহ্য করতে না পেরে শিশুটি আরও গলা ফাটিয়ে কাঁদতে শুরু করে। কান্নার শব্দ শুনে শিশুটির মা ওই প্রতিবেশীর বাড়িতে ছুটে যান। অভিযোগ, তাঁকেও মারধর করে সঞ্জিত। বাচ্চা নিয়ে চলে যেতে। হুমকি দেওয়া হয় কান্নাকাটি করা শিশুকে নিয়ে চলে না গেলে শিশুটিকে মেরে ফেলা হবে। অভিযোগ, মায়ের কোল থেকে শিশুটিকে কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেয় সঞ্জিত। শিশুর মা স্থানীয় হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসা করান।আরও পড়ুনঃ বাড়িতে জগন্নাথ বন্দনা করলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীশনিবার তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সঞ্জিতকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। তবে পুলিশ জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করায় সিজেএম ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন।

জুলাই ১৩, ২০২১
কলকাতা

Hospital: ওয়ার্মারে ঝলসে গেল সদ্যোজাত শিশু!

শহরের হাসপাতালে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ। হাসপাতালে ওয়ার্মারে ঝলসে গেল ১০ দিনের শিশু! কাঠগড়ায় কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। লিখিত অভিযোগ পেলেই তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা নয়নতারা সর্দার। দিন সাতেক আগে বারুইপুর হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু শিশুটি সুস্থ ছিল না একেবারেই। ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জন্ডিস ধরা পড়ে। পরিবারের লোকেদের দাবি, বারুইপুর হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, জন্ডিসে আক্রান্ত একরত্তির চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এরপর শিশুকে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা। এসএনসিইউ বিভাগে ওয়ার্মারে শিশুটিকে রেখে ছিলেন চিকিৎসকরা।আরও পড়ুনঃ করোনা প্রতিরোধে নতুন দিশা, বাজারে আসছে ন্যাজাল স্প্রেপরিবারের লোকেদের অভিযোগ, এদিন দুপুরে যখন ছেলেকে দুধ খাওয়াতে যান নয়নতারা, তখন দেখেন, ওয়ার্মারে শিশুটির শরীরে ঝলসে লাল হয়ে গিয়েছে! সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত নার্সকে ঘটনাটি জানান তিনি। শেষপর্যন্ত তড়িঘড়ি ওয়ার্মারটি বদলে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। যদিও গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরং তাঁদের দাবি,ওয়ার্মারে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে শিশুটির শরীর তেতে গিয়েছিল, ঝলসে যায়নি। বস্তুত, ঘটনাটি নজরে পড়ার পর তড়িঘড়ি ওয়ার্মারটি বন্ধ করে শিশুটিকে সরিয়েও ফেলা হয়।

জুলাই ০৯, ২০২১
রাজ্য

গলসিতে বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে অসুস্থ ১০ শিশু সহ ৪৪ জন

বিয়েবাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন পরিবার পরিজন সহ কয়েকজন গ্রামবাসী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে গলসি থানার উচ্চগ্রামে। ১০ জন শিশুসহ ৪৪ জন অসুস্থকে ভর্তি করা হয়েছে পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।আরও পড়ুনঃ সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণে সত্যি উল্লেখ ছিল না, তাই বাধাহাসপাতালে ভর্তি অসুস্থরা বলেন, অনুষ্ঠান বাড়িতে আমন্ত্রিত ও প্রতিবেশীরা সবাই এদিন বেলা দশটার সময় মুড়ি, কুমড়োর তরকারি, বোঁদে খান। তারপরেই তাঁদের বমি শুরু হয়। খবর পেয়ে গ্রামে স্বাস্থ্যে কেন্দ্রের টিম যায়। পৌঁছায় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ফারুক হোসেন। গ্রামে যান গলসি থানার ওসি দীপঙ্কর সরকার সহ পুলিশকর্মীরা। স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পুলিশের উদ্দ্যোগে অসুস্থ ৪৪ জন স্থানীয় পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসক ডাঃ সৈফ আলি জানিয়েছেন, অসুস্থদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন সবাই একটু সুস্থ রয়েছে । অসুস্থতার কারণ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম। আরও পড়ুনঃ আধপোড়া-নগ্ন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার বর্ধমানে, তদন্তে পুলিশঅসুস্থদের আত্মীয় ক্ষেত্রনাথ বাগদী জানান, এই ঘটনার পরে গ্রামে আশেপাশের মানুষজনকে সেলাইন বিতরণ ও ওষুধ বিলি করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় ব্লিচিং ছড়িয়ে মানুষকে সতর্ক করা হয়। এলাকায় ব্যবহৃত নলকুপটি বন্ধ করেদেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এলাকার পুকুরের জল ব্যবহার না করার জন্যে পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জুলাই ০২, ২০২১
রাজ্য

Baby Delivered: বন্ধ রেলগেট, হাসপাতালের রাস্তাতেই সন্তান প্রসব

দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ রেলগেট। অপেক্ষা করতে করতে গাড়িতেই প্রসব (Baby delivery) করলেন বর্ধমানের প্রসূতি। তারপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মা সুস্থ রয়েছে বলে খবর। সদ্যোজাত শিশুকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, প্রতিদিনই বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে তালিত রেলগেট। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে রোগী সকলেই নানা সমস্যার মুখে পড়েন। তবে রবিবার গেটে আটকে থেকে এভাবে গাড়ির ভিতরে সন্তান প্রসবের ঘটনায় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল সকলের। রেলগেটের উপর উড়ালপুল তৈরির দাবি তুলেছেন তাঁরা।আরও পড়ুনঃ হজম শক্তি থেকে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খান কালো জামজানা গিয়েছে, প্রসূতি মন্দিরা দাস বর্ধমান-১ (Burdwan) ব্লকের পিলখুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার সকালে মন্দিরার প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। তাঁকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। যাওয়ার পথে বর্ধমান-সিউড়ি রোডের উপর তালিত রেলগেটে গাড়ি আটকে পড়ে দীর্ঘক্ষণ। অপেক্ষা করতে করতেই ঘটে বিপত্তি। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার ফলে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করে গাড়িতেই প্রসব করেন মন্দিরাদেবী। তারপর স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় তড়িঘড়ি সদ্যোজাত এবং মাকে নিয়ে গিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মা আপাতত সুস্থ আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।এতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পরিবারের সদস্যরা। আজকের দিনেও যে এভাবে রাস্তার মাঝে প্রসব করতে হবে গৃহবধূকে, তা ভাবতেও পারেননি তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ধমান থেকে বীরভূম যাওয়া জাতীয় সড়ক ২বি রাস্তাটি খুবই ব্যস্ত থাকে বরাবর। এই ব্যস্ত রাস্তার উপর তালিত রেলগেট দিনের বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় যাত্রী থেকে রোগী সবাইকে। তার জেরে যে কোনও সময়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাঁদের দাবি, এই রেলগেটের উপর উড়ালপুল তৈরি হলে যাতায়াতের খুব সুবিধা হবে।

জুন ২৭, ২০২১
রাজ্য

বর্ধমানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ২ শিশুর

রায়নায় দুই শিশুর (Child) রহস্যজনক মৃত্যু। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। তবে দুই মেয়ে রহস্যমৃত্যুর জন্য বাবাকে কাঠগড়ায় তুলছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে ধরে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।আরও পড়ুনঃ মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ হাওড়ার একাধিক বাজারশনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Burdawan) রায়নার খালেরপুল এলাকায়। মৃতরা হল সুমি খাতুন (৮) ও তার বোন রুমি খাতুন (৬)। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। নিছক দুর্ঘটনা না কি ঘটনার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর ওই দুই শিশুর বাবা পেশায় টোটোচালক হাসিবুল লায়েক এলে তাকে স্থানীয়রা বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ, হাসিবুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর কয়েকদিন আগে অশান্তি হয়। তার জেরে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। শিশু দুটি বাবার কাছেই ছিল। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বাবাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয়রা।জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে ওই দুই শিশু বাড়ির কাছেই একটি তারের তৈরি দোলনায় দোল খেতে যায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার ঠাকুমা খুঁজতে বেরয়। পরে শিশুদুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি দাবি করেন, নাতনিদের গায়ে হাত দিতেই শক লাগে। খবর পেয়ে রতে রায়না থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে।

জুন ২৭, ২০২১
রাজ্য

Child Death: শিশু মৃত্যুতে ক্ষোভ, পথ অবরোধ নয়াবাজে

নয়াবাজ এলাকায় বেসরকারি নার্সিংহোমে ভুল চিকিৎসার কারণে সদ্যোজাতের মৃত্যুর অভিযোগে গভীর রাতে পথ অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আরও পড়ুনঃ বর্ধমানের কোভিড ফিল্ড হাসপাতালের বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচিস্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বাঁকড়ার নয়াবাজ এলাকার একটি নার্সিংহোমে এক শিশুর জন্ম হয়। সন্ধ্যার সময়ে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শিশুটির পরিবারের লোকদের শিশুটিকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে বলা হয় নার্সিংহোমের তরফ থেকে। পরিবারের অভিযোগ, গাড়িতে বসে শিশুটিকে কোলে নিলে দেখা যায় তার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে না। সেই অবস্থায় তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এমনকী, প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলেও জানানো বলে পরিবারের অভিযোগ। এরপরেই গভীর রাতে ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের সামনে বহু মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তা আটকে বসে পড়েন বহু মানুষ। বেশ কিছু সময়ের জন্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে নার্সিংহোমের সামনের রাস্তা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী। মৃত শিশুটির পরিবারের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে, মৃত শিশুটির বাবা সাহাবুদ্দিন শেখ জানান, তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। যে চিকিৎসকের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটল, তাঁর যেন কঠোর শাস্তি হয়। আগামীদিনে যেন ওই চিকিৎসকের কারণে অন্য কোনও মায়ের কোল খালি না হয়।

জুন ২৬, ২০২১
বিদেশ

টাইমস স্কোয়্যারে এলোপাথাড়ি গুলিতে জখম শিশু-সহ ৩

এবার এলোপাথাড়ি গুলি চলল নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যারে। জনপ্রিয় পর্যটনস্থল তথা ব্যস্ত এলাকায় এ হেন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় জখম এক শিশু-সহ মোট তিন জন। বাকি দুজনই মহিলা। তাঁরা ম্যানহাটনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কে বা কারা কেন গুলি চালাল বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। সন্ত্রাসের আতঙ্ক ছড়াতে কোনও বন্দুকবাজ হামলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল পাঁচটা। কোভিড পরিস্থিতিতে জনপ্রিয় টাইমস স্কোয়্যারে পর্যটকদের আনাগোনা না থাকলেও বেশ ব্যস্ত ছিল এই এলাকা। আচমকাই সেভেনথ অ্যাভিনিউ এবং ৪৪ স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে গুলির আওয়াজ ভেসে আসে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন আশপাশের সকলে। ঘটনাস্থলে ছুটে যেতেই দেখা যায় এক শিশু-সহ চার জন রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছেন। তাঁদের উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে ম্যানহাটনের হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিপদ মুক্ত হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। সূত্রের খবর, তিন চারজনের মধ্যে বচসার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশের একাংশ মনে করছে, আতঙ্ক ছড়াতে কোনও বন্দুবাজ হামলা চালিয়েছিল এই পর্যটনস্থলে। নিউ ইয়র্ক পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও অজানা। তবে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তিনি আরও জানিয়েছে, জখমরা কেউ-ই কোনও বচসায় যুক্ত ছিলেন না।

মে ০৯, ২০২১
দেশ

নয়ডার বসতিতে ভয়াবহ আগুন, ঝলসে মৃত ২ শিশু

নয়ডার সেক্টর ৬৩-র কাছে একটি বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে যায় প্রচুর পুলিশ এবং দমকল কর্মী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুনে ২টি বছর তিনেকের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আগুনে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৫০টি ঝুপড়ি পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।রবিবার দুপুরে হঠাৎই নয়ডার বাহোলপুর এলাকায় আগুন লাগে। নয়ডা পুলিশের গৌতম বুদ্ধ নগর কমিশনারের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে আগুন লাগার কথা জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার পরই পুলিশ এবং দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তার আগেই অবশ্য বসতিবাসীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। আগুনে ২ শিশুর মৃত্যুর পাশাপাশি কয়েক জন আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আগুনের বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অনেক দূর থেকে কালো ধোঁয়া নজরে পড়েছে। আশপাশের এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। ছড়িয়েছে আতঙ্কও।

এপ্রিল ১১, ২০২১
রাজ্য

ভোটের মুখে বর্ধমানে বিষ্ফোরণে মৃত শিশু, রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের

বর্ধমানের রসিকপুরে বোমা বিস্ফোরণ। বোমার আঘাতে আহত হয় দুই শিশু। জানা গেছে, বর্ধমান শহরের রসিকপুরে বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে সেগুলি ফেটে যায়। এর ফলে শেখ আব্রাহাম ও শেখ আফরোজ নামে দুই শিশু আহত হয়। দুজনের বয়স বছর পাঁচ। তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা শেখ আফরোজকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনাস্থলে এসে পৌছায় বর্ধমান থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানায় পুলিশ।পুরো ঘটনার রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন। ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ভোটের আগে এই ঘটনা আতঙ্ক সৃষ্টি করবে বলে দাবি করেছে বিজেপি। ভোটের মুখে এই ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে বর্ধমান শহরে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র দাবি, তৃণমূলের অফিসগুলো বোমা তৈরির কারখানা। খেলা হবে বলে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটাই তার উদাহরণ। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক, নিন্দনীয় ঘটনা। খেলা হবে, ভয়ঙ্কর খেলা হবে। এসব বলা হচ্ছে। এদিকে শিশুর প্রাণ চলে যাচ্ছে। বুদ্ধিজীবীরা কোথায়। মুখ খুলুন। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, বিষয়টা দুঃখজনক, মর্মান্তিক। সমাজবিরোধীরাও বোমা তৈরি করে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।বিধানসভা নির্বাচনের মুখে কোথা থেকে এল এই বোমা? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃত নিষ্পাপ শিশুর দায় কে নেবে?

মার্চ ২২, ২০২১
বিনোদুনিয়া

পতৌদি পরিবারে এল নতুন সদস্য

অপেক্ষার অবসান। ফেব্রুয়ারির তৃতীয় রবিবারই নতুন সদস্য এল পতৌদি পরিবারে। তৈমুরের পর করিনা কাপুর এবং সইফ আলি খানের সংসারে এল নতুন সদস্য। রবিবার পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন করিনা কাপুর। ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রা-সহ করিনা-সইফের অনেক ঘনিষ্ঠই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দুজনকে শুভেচ্ছা জানালেন। সেখান থেকেই সামনে এসেছে এই খবর। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতেই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ার পর করিনাকে মুম্বইয়েরই ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে সেখানেই এক ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন করিনা। এরপরই নিজেদের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে করিনা-সইফকে শুভেচ্ছা জানান মণীশ মালহোত্রা-সহ অন্যান্যরা। তারপরই খবরটি প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যে দুজনের ভক্তরাও তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন।করোনা কালেই দ্বিতীয়বার মা হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন করিনা কাপুর। তৈমুর জন্মের মতোই দ্বিতীয়বার মা হওয়ার আগের মুহূর্তও চুটিয়ে উপভোগ করছেন অভিনেত্রী। তবে কাজ বন্ধ করে ঘরের কোণে বসে থাকতে দেখা যায়নি সইফ ঘরনিকে। পরিবর্তে শুটিং নিয়ে মেতে ছিলেন তিনি। বেবি বাম্প নিয়েই দিব্যি এদিক-সেদিক ঘুরে ফিরে বেড়িয়েছেন করিনা। পার্টিতেও দেখা গিয়েছে। করেছেন ফটোশুটও।Kareena Kapoor Khan and Saif Ali Khan blessed with a baby boy, announces their relative Riddhima Kapoor Sahni(file photo) pic.twitter.com/BhS7YIi8Mn ANI (@ANI) February 21, 2021

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
স্বাস্থ্য

শিশুদের জন্য প্রথম হাসপাতাল চালু হাওড়ায়

হাওড়া জেলায় পথম শিশু হাসপাতাল চাল্য হল। মাস কয়েক আগে বহির্বিভাগ চালু করা হলেও এদিন আন্তর্বিভাগও চালু করা হয়েছে। ২০টি শয্যার এই শিশু হাসপাতালে প্রসূতিদের জন্যও থাকছে শয্যা। এছাড়া রয়েছে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থাও। থাকছে শিশুদের পাঁচটি এনআইসিইউ। হাওড়া ময়দানে মহত্মা গান্ধী রোডে একটি তিনতলা ভবনে এই হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছে। দোতলায় রয়েছে অপারেশন থিয়েটার ও শিশু ও প্রসূতি বিভাগ। এদিন নবনির্মিত এই হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় ও হাওড়া সদরের সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়। উদ্বোধনের পর সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, গরীব মানুষও যাতে এই হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসা করাতে পারেন তা দেখা হবে। পাশেই রাজ্য সরকারের নিজস্ব জায়গায় হাসপাতালটির আরও বড় পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও এদিন জানান তিনি। এই হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ছাড়াও গায়নোকোলজিস্টরা থাকবেন।ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির সম্পাদক তথা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুজয় চক্রবর্তী জানালেন, শিশুদের টাইফয়েড, হারনিয়ার মতো চিকিৎসা হবে। এছাড়াও শিশুদের স্পিচ থেরাপি, কাউন্সেলিংও হবে এখানে। হবে চামড়ার চিকিৎসা। এমনকী শিশুদের জটিল অস্ত্রোপচারও। সাংসদ তহবিলের ১০ লক্ষ টাকা অনুদান ও সমবায় দফতরের আর্থিক সাহায্যে এই হাসপাতালটি তৈরি হয়েছে। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায় হাসপাতালটি তৈরি করা হল। ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটি ও রাজ্য সরকারের সমবায় দফতরের যৌথ উদ্যোগেই শিশু হাসপাতালটি তৈরি হল।

ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২১
কলকাতা

জোড়াবাগানের ঘটনায় আটক দারোয়ান

জোড়াবাগানে শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনার প্রায় সমাধানের পথে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করেছে তার মোবাইলও। তার মাধ্যমে গোটা ঘটনার সূত্র পাওয়া যাবে বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, আটক ওই ব্যক্তি রাম কুমার। লম্বু নামেই এলাকায় পরিচিত সে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী রাম কুমার ওরফে লম্বু ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। দারোয়ানের কাজ করত সে। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটে নাগাদ পুলিশ তাকে আটক করে। রাতভর চলে জেরা। তাতেই ভেঙে পড়ে সে। পুলিশকে জানায়, ঘটনার দিন অত্যধিক মদ্যপান করেছিল সে। বহুতলে শিশুকে ডেকে নিয়ে যায় সে। মদের নেশায় লম্বু ওই শিশুর উপর যৌন নির্যাতন করে। এরপর অচৈতন্য হয়ে যায় সে। জ্ঞান ফেরার পর ওই শিশু ঘটনার কথা সকলকে জানিয়ে দিতে পারে বলেই আশঙ্কা করতে থাকে সে। এরপর বাড়ি ফিরে যায় সে। নিয়ে আসে ধারাল ছুরি। বহুতলে উঠে নাবালিকাকে সেটি দিয়েই খুন করে। গোটা ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার পর পুলিশ রাম কুমারকে আটক করে। তার মোবাইলটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাম কুমার ওরফে লম্বু মোবাইল থেকে নিয়মিত শিশুদের পর্নোগ্রাফি দেখত বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিনোদুনিয়া

শেষ জন্মদিনে স্ত্রীর কান্নাভেজা পোস্ট! ‘জন্মজন্মান্তরে আমাদের গল্প লিখব…’ জুবিনকে গরিমার শেষ চিঠি

প্রয়াণের পর প্রথম জন্মদিন। আজ ৫৩ বছরে পা দিতে পারতেন জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ। তাঁর অকালমৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি কেউইবিশেষত অসমের মানুষ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া। স্বামীর জন্মদিনে অদেখা একগুচ্ছ ছবি সোশালে পোস্ট করে আবেগে ভাসলেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লিখলেনজন্মজন্মান্তরে আমি আমাদের কাহিনী লিখে যাব। ভালো থেকো জুবিন। সেই কয়েকটি লাইনে যেন গরিমার মনের সব কথা ফুটে উঠল। শুধু স্ত্রী নন, জীবনের বহু লড়াইয়ে জুবিনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ছায়াসঙ্গীও ছিলেন গরিমা।গত মাসেই জুবিনের শেষ সিনেমা রই রই বিনালের মুক্তির জন্য নিরন্তর লড়াই করেছিলেন গরিমা। একদিকে গায়কের মৃত্যুর রহস্য নিয়ে যখন অসম জুড়ে ক্ষোভ আর বিক্ষোভ, তখন সেই চাপের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তবুও শেষ কাজটি স্বামীর নামে সম্পূর্ণ করার জেদ ছাড়েননি তিনি।জন্মদিনে প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিতে ডুবে গেলেন সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সোশালে তিনি লিখলেন, শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় বন্ধু। কিছু মানুষ কখনও আমাদের ছেড়ে যান না, সঙ্গেই থেকে যান। তুমি তেমনই। তোমার সুরে তুমি বেঁচে থাকবে। তোমাকে আজ খুব মনে পড়ছে।জুবিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে ঘটে যায় বিপদ। স্কুবা ডাইভিং করার সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। পরদিনই ছিল তাঁর পারফরম্যান্স, কিন্তু তার আগেই হারিয়ে গেলেন অসমের তারকা। আজ তাঁর জন্মদিনে সেই ঘটনাই নতুন করে কষ্ট দিচ্ছে অনুরাগীদের। মনে পড়ছে গায়কের হাসি, গান আর অকৃত্রিম মায়াভরা উপস্থিতি।আজকের দিনটা তাই শুধুই জন্মদিন নয়অসমের মানুষের কাছে আজ স্মরণ, বেদনা আর গভীর ভালোবাসার দিন। জুবিন নেই, কিন্তু তাঁর সুর, তাঁর গল্প, তাঁর স্মৃতি আজও ভেসে বেড়ায় অনুরাগীদের হৃদয়ে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

“জেডিইউ ২৫ পার করলে সন্ন্যাস”—নিজের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত, এবার নীতীশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পিকে’র

বিহার নির্বাচনের আগেই প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, জেডিইউ যদি ২৫টির বেশি আসন পায় তবে তিনি সন্ন্যাস নিয়ে নেবেন । কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে এনডিএ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আর জেডিইউ এককভাবে জিতেছে ৮৫টি আসন। বিপরীতে পিকে গঠিত জন সুরজ পার্টির ঝুলিতে এসেছে বিশাল শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দেশের অন্যতম ভোট-কুশলী।সাংবাদিকদের প্রশ্নে নিজের সন্ন্যাস সংক্রান্ত মন্তব্য থেকে কার্যত পিছিয়ে এসে পিকে বলেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক পদে নেই, তাই পদত্যাগ বা সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। হার সত্ত্বেও তিনি বিহারেই থাকবেন, বিহারের গ্রাম-শহরেই ঘুরে বেড়াবেন। হাসিমুখে দাবি করেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বিতীয় অংশ অন্তত ঠিক হয়েছে, জন সুরজ যে হয় শীর্ষে থাকবে, নয়তো একেবারে নিচেঠিকই তাই হয়েছে, কারণ শূন্য আসন মানেই নিচে পৌঁছনো।কিন্তু হাসির আড়ালে লুকিয়ে ছিল তীব্র ক্ষোভ। সরাসরি নীতীশ কুমারের দিকে আঙুল তুলে পিকে অভিযোগ করেন, বিহারে টাকা বিলি করে ভোট কেনা হয়েছে। তাঁর দাবি, নির্বাচনের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার নামে মহিলাদের কাছে ১০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল ভোট প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, কোনও উন্নয়ন প্রকল্পে এমন তড়িঘড়ি টাকা দেওয়ার নজির নেই, তাই এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভোট-লেনদেন ছাড়া আর কিছু নয়।প্রশান্ত কিশোর এখানেই থামেননি। তিনি নীতীশকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যদি ছমাস পর মহিলাদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে প্রকৃত অর্থে তুলে দেওয়া হয়, তবে তিনি শুধু রাজনীতি নয়বিহার রাজ্যটাই ছেড়ে দেবেন। তাঁর কথায়, ভোট কেনার জন্যই সরকারি প্রকল্পের নাম করে নগদ টাকা বিলি করা হয়েছে।জন সুরজের লজ্জার হারের দায়ও নিজের কাঁধে নিলেন পিকে। তিনি স্বীকার করেন, সততার সঙ্গে লড়াই করলেও তারা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, ফলে হারটাকে মেনে নিতে আপত্তি নেই। নির্দেশিত ২৩৮টি আসনে লড়াই করে ২৩৬টিতেই জন সুরজের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবুও ভোট শতাংশের হিসেবে তারা বিএসপি, সিপিআই-এমএল, মিমসহ বেশ কিছু দলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং ৩.৪ শতাংশ ভোট দখল করায় পিকে তা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।এত বড় রাজনৈতিক ধাক্কার পরও প্রশান্ত কিশোরের লড়াই থামছে না, বরং নতুন অভিযোগ, নতুন চ্যালেঞ্জে বিহারের রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

হাসিনার অনুপস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ড? রাষ্ট্রসংঘের কড়া প্রশ্ন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে

জুলাই বিক্ষোভে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সরব হল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছেএই বিচার কি আদৌ ন্যায়সঙ্গত? সব মিলিয়ে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তৈরি বিচারব্যবস্থা ও তাঁর ক্যাঙারু আদালত বলতে শুরু করেছেন অনেকেই। কারণ, আদালত ঘোষণার আগেই যেন স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলা হয়েছিলহাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফাঁসির সাজা।রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রবিনা সামদাসানি এক বিবৃতিতে জানান, এই রায় নিয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তাঁর কথায়, গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনার সঠিক বিচার অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘের হাতে যথেষ্ট তথ্য নেই। তবুও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার হওয়া উচিতএটাই তাঁদের বার্তা।রবিনা আরও বলেন, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অনুপস্থিতিতেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়যে পরিস্থিতির মধ্যেই হোক না কেন, তারা এমন বিচারকে সমর্থন করে না। তাঁদের আশা, বাংলাদেশ সত্যিকারের ন্যায়বিচারকে গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি সামলাবে।রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড একেবারে সরাসরি মন্তব্য করেছেনজুলাই বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সত্যিই ভয়াবহ ছিল, কিন্তু সেই অপরাধের বিচার হতে হবে সুষ্ঠুভাবে। এই বিচারপক্রিয়া না সঠিক, না আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে হয়েছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ড এমনিতেই অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক শাস্তি। আধুনিক কোনও ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের জায়গাই নেই।সব মিলিয়ে, আন্তর্জাতিক সমাজের একাংশের চোখে পুরো বিচার ব্যবস্থাটাই এখন প্রশ্নের মুখে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই এই রায় আরও অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
কলকাতা

পুর নিয়োগ দুর্নীতি: ইডির জালে এবার মন্ত্রীর মেয়ে! জানুন কী কী প্রশ্ন ঝুলছে

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতিবেগ আরও তীব্র করল ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর মেয়ে মোহিনী বসু মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও। ঠিক তার আগের দিনই সুজিত বসুর জামাইকে কয়েক ঘণ্টা জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে আজ মোহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে তৈরি হয় বিশেষ আগ্রহ।এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই কলকাতার নানা জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। তল্লাশি চলে মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের বাড়িতে, তাঁর অফিসে এবং তাঁর ছেলের রেস্তরাঁতেও। এই দীর্ঘ তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ নগদও পায় ইডি। তার পর থেকেই তদন্তের ফোকাস পরিবারে কার কী ভূমিকায় পড়েছে সেই দিকেও ঘুরে যায়।গত সপ্তাহেই মন্ত্রীর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে তলব করে পাঠায় ইডি। তাঁদের সবার কাছে চাওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি, ঋণের তথ্য এবং আর্থিক লেনদেনের ডকুমেন্টস। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার দুপুরে ইডির দপ্তরে হাজির হন মোহিনী বসু। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু নথিও ছিল বলে সূত্রের দাবি।হাজিরা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবিপুর নিয়োগ দুর্নীতি থেকে যে টাকা উঠেছিল, তা কোথায় কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে, কোন কোন ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষত হোটেল ও রেস্তরাঁ ব্যবসায় কোনও অর্থ ঢুকেছে কি নাতা খতিয়ে দেখতেই মন্ত্রীকন্যাকে তলব করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থেই তাঁর সঙ্গে থাকা নথিগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।ইডি মনে করছে, এই দুর্নীতির টাকায় একাধিক লেনদেন হয়েছে, এবং পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে তার ছাপ থাকতে পারে। তাই তদন্তে এই জিজ্ঞাসাবাদকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

নকশাল দমন অভিযানে ঐতিহাসিক সাফল্য! নিহত কুখ্যাত মদভি হিদমা ও তার স্ত্রী

ভারতের নকশালবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হওয়া শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মদভি হিদমা অবশেষে নিহত। অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরী সীতারামারাজু জেলার গভীর জঙ্গলে সোমবার ভোরে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের মধ্যেই শেষ হয় দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত নকশাল নেতাদের এক জনের অধ্যায়। হিদমার সঙ্গে তার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাসহ মোট ছয় মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আরও আছেন চেল্লুরি নারায়ণ ওরফে সুরেশ, এসজেডসিএম এবং টেক শঙ্কর।ঘটনাস্থল মারুদ পল্লি। পশ্চিম গোদাবরী জেলার গভীর অরণ্যের এক এমন জায়গা, যেখানে ছত্তীসগড়, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানা মিলেছে। স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ছটা। ঘন জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে তিন রাজ্যের মিলনসীমা। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাকর্মীরা রাতে থেকেই ওই এলাকায় কম্বিং অপারেশন শুরু করেছিলেন। জঙ্গলের ভেতরে মাওবাদীরা ক্যাম্প গেড়েছেএমন তথ্য পাওয়ার পরই যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে। মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হতেই দুপক্ষের মধ্যে টানা গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষ থামার পর ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হিদমাসহ ছয়জনের নিথর দেহ।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান এখনও চলছে। জঙ্গলের ভেতর আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ। তবে সবচেয়ে বড় খবরমদভি হিদমার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দা মহলে স্বস্তির হাওয়া। ১৯৮১ সালে ছত্তীসগড়ের সুকমায় জন্ম হিদমার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সিপিআই (মাওবাদী)-র সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একসময় তার নাম প্রথম সারিতে ছিল। কমপক্ষে ২৬টি বড় হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বহু বছর ধরে তার সন্ধানে ছিল দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা। কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তজুড়ে তার টিমের ত্রাসের জন্য তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত। এবার সেই অধ্যায় শেষ।এই অভিযানের পরে গোটা অঞ্চলেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এ অপারেশন নকশাল নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা দেবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও একাধিক জঙ্গলের গভীরে একই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

২৫ জায়গায় একযোগে তল্লাশি, জেরা চেয়ারম্যান— আল ফালাহ নিয়ে কেন এত সন্দেহ?

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। এবার সরাসরি তদন্তকারীদের নজর গিয়ে পড়ল ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। মঙ্গলবার সকাল হতেই ইডি দিল্লির অফিসে হানা দিয়ে শুরু করে তল্লাশি। শুধু দিল্লি নয়, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত মোট ২৫টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডি। সেখানেই তাঁকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পিএমএলএ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের বড় অংশই পরিষ্কার নয়। এমনকী কিছু টাকা বেআইনি কাজে বা জঙ্গি তৎপরতার চক্রে ঢুকে গিয়েছে কি না, সেদিকেও নজর দিচ্ছে ইডি। কারণ বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসকের নাম উমর-উন-নবি, ডক্টর মুজাম্মিল, ডক্টর শাহীন সইদসহ আরও কয়েকজন। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই চিকিৎসকদের অ্যাকাউন্টে যে মোটা অঙ্কের লেনদেন ধরা পড়েছে, তা কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে গেছে কি না। যদি গিয়ে থাকে, তা কী উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তারও উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।শুধু ইডিই নয়, আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখা। অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাও পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে নজর রাখছে। ফলে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একের পর এক প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।দিল্লির লালকেল্লার সামনে ১০ নভেম্বর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। তারই মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত আর্থিক যোগসূত্র সামনে আসায় তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। বিস্ফোরণের পরবর্তী তদন্ত এখন একেবারে নতুন দিকের দিকে মোড় নিচ্ছে, এবং তাতে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এখন তদন্তের কেন্দ্রে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ফর্ম না–পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ, পূর্ব পুটিয়ারিতে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর আলোচনায় প্রশাসনিক বিভ্রান্তি

কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারিতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা এক বৃদ্ধা আগুনে পোড়া অবস্থায় প্রাণ হারালেনএমনই দাবি করেছেন তাঁর পরিবার। মৃতার নাম যমুনা মণ্ডল, বয়স ৬৭। পরিবার জানিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এলাকায় ভোটার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হচ্ছিল। আশপাশের বাড়িগুলিতে ফর্ম পৌঁছোলেও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছায়নি। সেই কারণেই যমুনা দেবী অস্বাভাবিক আতঙ্কে ভুগছিলেন।যমুনার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, তাঁর মায়ের আগে থেকেই স্নায়ুর সমস্যা ছিল। ফর্ম না পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। গত শনিবার তাঁরা অবশেষে এনুমারেশন ফর্ম পান। কিন্তু তাতেও যমুনা দেবীর ভয়ের অবসান হয়নি বলে দাবি পরিবারের। সোমবার সকালে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে দক্ষিণ দমদম থেকেও সামনে এসেছে আর-একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানকার আরএন গুহ রোডের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ হাজরা, বয়স ৪৬, কয়েকদিন ধরে এসআইআরসংক্রান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বৈদ্যনাথ বাবুর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল নাএই বিষয়টি তাঁকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছিল। দুদিন আগে গভীর রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই পড়ে ছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এসআইআরনিয়ে তৈরি হওয়া ভয়ই তাঁকে চরম পদক্ষেপে ঠেলে দিয়েছে।এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভয় ও বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে দায়ী করেছে। আবার বিজেপির অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোট রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসকদলই।ঘটনাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কিন্তু দুই পরিবারের মর্মান্তিক ক্ষতি পাহাড়প্রমাণ প্রশ্ন তুলছেএসআইআরসম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে কেন, এবং এই আশঙ্কা দূর করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন কি না।(মানসিক চাপ বা সংকটে থাকলে যেকোনও সময় কিরণ ১৮০০-৫৯৯-০০১৯ হেল্পলাইনে সাহায্য পাওয়া যায়।)

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণের আগেই ‘সুইসাইড বোমার’ হওয়ার প্রস্তুতি! জেরায় ফাঁস দানিশের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে নয়া মোড়। আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেনএমনই সন্দেহে পাকড়াও করা হল উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাশির বিলাল ওয়ানিকে, যাঁকে দানিশ নামেই চিনত গোটা শ্রীনগর। এনআইএ-র একটি বিশেষ দল গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে প্রথমে তাঁকে শ্রীনগরেই আটক করে। পরে জেরা চলতে থাকতেই উঠে আসে বিস্ফোরণের দিনেদুজনের ভূমিকাসহ একাধিক চমকে দেওয়া তথ্য। দিন তিনেক আগে অনন্তনাগে গোপনে লুকিয়ে থাকা দানিশকে পাকড়াও করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, দিল্লি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা টেবিলে বসেই উমরের সঙ্গে মিলিতভাবে তৈরি করেছিলেন তিনি। শুধু পরিকল্পনাই নয়আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন দানিশ নিজেও। শেষ মুহূর্তে কোনও অজানা কারণে সেই সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় শ্রীনগরের এই যুবক।তদন্তকারীদের কাছে দানিশ স্বীকার করেছেন, কাশ্মীরের একটি মসজিদে উমরের সঙ্গে প্রথম আলাপ। সেখান থেকেই সম্পর্ক ঘনিয়ে ওঠে। উমরের প্রভাবেই তাঁর মনে জিহাদের পথে পা বাড়ানোর ইচ্ছা জন্মায়। ধীরে ধীরে আত্মঘাতী হামলার জন্য নিজের মনকে তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। তদন্তকারীরাও বিস্মিতকারণ দানিশ বুদ্ধিমত্তায় ও প্রযুক্তিগত দক্ষতায় অত্যন্ত চৌকস। ড্রোন, রকেট-লঞ্চারের মতো জটিল অস্ত্র তৈরি করতে তাঁর দক্ষতার কথাও উঠে এসেছে জেরায়। এমনকি, দিল্লি বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত মারাত্মক বিস্ফোরক তৈরিও দানিশই নাকি করেছিলেন, যা পরে তিনি তুলে দেন উমরের হাতে।এখন দফায় দফায় জেরা চলছে। দানিশের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে বিস্ফোরণ-কাণ্ডের নেপথ্যের অজানা সুত্র। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটি পতন ঘটে দানিশের পরিবারের উপরছেলের বিরুদ্ধে জঙ্গি-যোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মানসিক চাপে ভেঙে পড়ে তাঁর বাবা। বাড়ির মধ্যেই আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। গোটা এলাকায় নেমে আসে স্তব্ধতা ও শোকের ছায়া।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal