• ২৯ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bill

রাজ্য

BanglaPokkho: বাংলা পক্ষের চাপে পড়ে বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বিভাগের

পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তর ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের এই সিদ্ধান্ত জানালেন। বংলাপক্ষে-র তরফ থেকে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালানো হচ্ছিলো যাতে সরকারি বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশিকা বাংলায় প্রকাশ করা হয়। বাংলাপক্ষের প্রথম সারির ব্যাক্তিত্ব কৌশিক মাঝি দাবি করেন তাদের আন্দোলনকে মান্যতা দিয়েই এই সিদ্ধান্ত। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে তাদের ত্রৈমাসিক বিলের স্পট প্রিন্টিং এবার থেকে বাংলায় করার সিদ্ধান্ত নিলো। তবে এটা ঐচ্ছিক, স্পট মিটার রিডিং নেওয়ার পর তারা গ্রাহকের চাহিদা মতো বাংলা অথবা ইংরাজি তে প্রিন্ট করে দেবেন।বাংলাপক্ষের পক্ষ থেকে কৌশিক মাঝি জনতার কথা কে জানান গ্রাম বাংলার সাধরণ মানুষ ইংরাজি ভাষায় ততটা সড়্গড় নন, ইংরাজি ভাষায় বিল বোঝাটা তাদের পক্ষে খুব সমস্যার কারণ হ্যে ওঠে, সেই সমস্ত মানুষজনকে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় বিলটা বোঝা জন্য। এবার থেকে তাঁরা নিজেদের বিল নিজেরাই বুঝে নিতে পারবেন। আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি বিদ্যুৎ দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত-কে। তিনি জনতার কথা কে আরও জানান যে বিদ্যুৎ দপ্তরের বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ডব্লু বি এস ই ডি সি এল (WBSEDCL) -র চাকরি বহিরাগতরা দখল করে নিচ্ছিল দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার চাকরির পরীক্ষায় বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হয়েছে। এর ফলে আরও বেশী করে বাংলার মানুষ এই দপ্তরে চাকরির সুবিধা পাবেন।তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে দাবী করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ বাংলাপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার আন্দোলন চলিয়ে যাচ্ছেন সরকারি ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর জন্য। তাঁদের দাবি, তাঁদের আন্দোলের ফলে কলকাতা মেট্রোরেলের স্মার্ট কার্ডে ও রেলের টিকিটে বাংলা ফিরে এসেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, বাংলার পুলিস কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হয়েছে (পরীক্ষা বাংলা ও নেপালী ভাষায় হয়), এছাড়া বাংলা জুড়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ও পোস্ট অফিসে বাংলা ভাষায় পরিষেবার দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়ার ফলে নানা ব্যাংকের ফর্ম, এটিএমে বাংলা এসেছে। শিলিগুড়ি পোস্ট অফিস সহ অন্যান্য জায়গায় বাংলা ভাষায় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন অফ বেঙ্গল এর প্রথম ডিভিশন ও দ্বিতীয় ডিভিশনে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড লেখা বাধ্যতামূলক করে আসানসোল কর্পোরেশনে আইন পাশ হয়েছে যাতে সমস্ত দোকান ও কোম্পানীতে এই নির্দেশ মানে। কৌশিক মাঝি আরও জানান তাঁদের আন্দোলের ফলে সমস্ত বেসরকারি চাকরি, ঠিকা কাজ ও টেন্ডারে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে বাংলা পক্ষর ক্রমাগত লড়াইয়ের ফলে নানা কারখানা ও কোম্পানীতে বাঙালিরা কাজ পাচ্ছে। তাঁরা বিধানসভায় আইন পাশের দাবিতে লড়াই চলাচ্ছেন। তিনি বলেন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অহিন্দি জাতির ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে সুপ্রীম কোর্টের রায়ের কপি বাংলা ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে, বাংলার বিমানবন্দর গুলোয় বাংলায় ঘোষণা শুরু হয়েছে, ব্যাংকে চাকরির পরীক্ষা বাংলা সহ ভারতের ২২ টি সরকারি ভাষায় দেওয়ার সুযোগ এসেছে এবং সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়া যায়।কৌশিক মাঝি বলেন তাঁদের দাবি হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা-এই মিথ্যে প্রচার বাংলা পক্ষর জোরালো প্রচারেই ধ্বংস হয়েছে। বাঙালির কাছে এখন এই সত্য পরিষ্কার -হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা না, ভারতের কোনো রাষ্ট্রভাষা নেই। বহিরাগত নানা কোম্পানীতে কাজ করে বাঙালি হেনস্থার শিকার হলে, কাজ হারালে এবং বেতন না পেলে বাংলা পক্ষর চাপে নানা জায়গায় বাঙালি তার অধিকার ফিরে পাচ্ছে। রাজ্য সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারি অধ্যাপক নিয়োগের চাকরির জন্য স্টেট ইলিজিবিলিটি (SET) পরীক্ষা প্রথমবার বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ পাবে বাঙালি। এটা বাংলা পক্ষর আন্দোলনেরি ফসল। তিনি জানান বাংলা পক্ষর আন্দোলনে এমাজন (Amazon), ফ্লিপকার্ট (Flipkart) সহ নানা কোম্পানীর পরিষেবা বাংলায় পাওয়া যাচ্ছে। কোকোকলা (Coca-Cola), নেস্টলে (Nestle), বিসলেরি (Bisleri) সহ নানা বড় কোম্পানীর পণ্যের লেবেল বাংলা ভাষাই ছাপছে। তাদের উল্লেখযোগ্য দাবী বর্তমান বাংলার রাজনীতি আজ বাঙালিময়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাংলার রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তার কাণ্ডারী বাংলা পক্ষ।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
দেশ

Farm Law Withdrawn: তুমুল হট্টগোলে ধ্বনিভোটে লোকসভায় পাশ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল

বিরোধীদের প্রবল হইচইয়ের মধ্যে লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই হই-হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তার পর সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেন স্পিকার।বেলা ১২টায় অধিবেশনের ফের শুরু হতেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১ পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। ধ্বনিভোটে তা সঙ্গে সঙ্গেই পাশ হয়ে যায়। বিরোধীরা কৃষি আইনের উপর আলোচনার যে দাবি করেছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে সরকার পক্ষ।আজ থেকেই শুরু হল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অধিবেশন শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুরোধ করেছিলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই যেন অধিবেশনের কাজ হয়। তিনি বলেন, সরকার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। আমরা চাই সংসদে আলোচনা হোক, তবে শান্তিও যেন বজায় থাকে। সরকারের বিরুদ্ধে হোক বা সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত- প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে সংসদের অধ্যক্ষ ও স্পিকারের সম্মান যাতে রক্ষা হয়, তাও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের এমন আচরণ বজায় রাখা উচিত, যা পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।তবে এ দিন লোকসভা-র অধিবেশন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিরোধীদের হইহট্টগোলে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। সংসদের যৌথ অধিবেশনে নতুন সাংসদরা শপথ গ্রহণের পরই লোকসভার অধিবেশন শুরু হয়। এরপরই বিরোধী সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কৃষক ইস্যুতে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাংসদদের শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করে তিনি বলেন, আজ অধিবেশনের প্রথম দিন। গোটা দেশই অধিবেশনের দিকে নজর রাখছে।

নভেম্বর ২৯, ২০২১
কলকাতা

Dhankhar: বিএসএফ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান রাজ্যপাল

বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়ে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সরকারি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এবার সেই প্রস্তাবের বিস্তারিত চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সূত্রের খবর, বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার যে প্রস্তাব পাশ করেছে তার বিস্তারিত তথ্য বিধানসভার কাছে চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে সিবিআই ও ইডির বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ সংক্রান্তও সমস্ত তথ্য চেয়েছেন তিনি।এই প্রস্তাব পাশ সংক্রান্ত এবার যাবতীয় তথ্য দেখতে এবং জানতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। অর্থাৎ কত ভোটাভুটিতে এই প্রস্তাব পাশ হল, প্রস্তাবে কী বলা হয়েছিল, কারা বক্তা ছিলেন, তাঁদের বক্তব্য কী ছিল গোটা বিষয়টাই তিনি জানতে চান বলে সূত্রের খবর।গত ১৬ নভেম্বর বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে তা পাশও হয়ে যায়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি করে তৃণমূল সরকার। এই ইস্যুতেই সরব হন তৃণমূল বিধায়করা।অন্যদিকে ইডি-সিবিআই-এর বিরুদ্ধে বিধানসভায় স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন বিধানসভার উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। সিবিআই ও ইডির দুই আধিকারিক সত্যেন্দ্র সিং ও রথীন বিশ্বাসকে তলব করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বারবার তাঁরা সেই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। যা স্পিকারের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন সরকারি দলের উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। আর সেই কারণেই ডিএসপি সিবিআই সত্যেন্দ্র সিং ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রথীন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিধানসভার স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।এ সংক্রান্তও বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। কী ঘটেছিল, কী কারণে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকের বিরুদ্ধে রাজ্য বিধানসভায় স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ উঠল সে সংক্রান্ত বিষয়ও জানতে চান জগদীপ ধনখড়। অর্থাৎ এই দুই ঘটনাকে সামনে রেখে আরও একবার বিধানসভা ও রাজভবনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

নভেম্বর ১৯, ২০২১
কলকাতা

BSF: বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি-বিরোধী প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়

বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে আজ সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে গেল সেই প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি তৃণমূল সরকারের। এই ইস্যুতেই এ দিন সরব হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়কেরা। এই প্রসঙ্গে বিধানসভার পরিষদীয় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ক্রমশ সীমান্তবর্তী নয়, এমন এলাকাতেও ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে বিএসএফ-এর। এ দিন ভোট দেননি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার। এই ইস্যুতে এ দিন বিধানসভায় সরব হন উদয়ন গুহ, তাপস রায়-সহ তৃণমূল বিধায়কেরা।এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এই বিধানসভায় যেহেতু তৃণমূলের সংখ্যগরিষ্ঠতা আছে, তাই কোনও দিন আমরা হয়ত দেখব ভারতের সীমান্ত সুরক্ষার বিরুদ্ধে এরা প্রস্তাব পাশ করবে, কোনও দিন ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এরা প্রস্তাব পাশ করবে। বলবে ভারতের কোনও সুরক্ষার দরকার নেই। এরা ভুলে যায় যে এটা পশ্চিমবঙ্গের সুরক্ষার বিষয় নয়, ভারতের সুরক্ষার বিষয়। তৃণমূল সরকার বিধানসভায় বসে অধিকার বহির্ভূত চর্চা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, এ ভাবে তৃণমূল শত্রুদের ইন্ধন জোগাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে। সরকারের এই প্রস্তাব নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

নভেম্বর ১৬, ২০২১
বিদেশ

২৭ বছরের পথে ইতি টানলেন বিল ও মেলিন্দা গেটস

২৭ বছরের বিবাহ জীবনে ইতি টানলেন বিল ও মেলিন্দা গেটস। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের বিচ্ছেদের কথা শেয়ার করেছেন বিল গেটসে। টুইটে তিনি লিখেছেন, সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার একাধিক চিন্তাভাবনার পরে আমরা ঠিক করেছি বিবাহ জীবন শেষ করার। আমরা ৩ সন্তানকে বড় করে তুলেছি পাশাপাশি একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছি যা সারা বিশ্বে মানুষের জন্য কাজ করে।এতকিছুর পরেও বিল গেটস সাফ জানিয়েছেন, গেটস ফাউন্ডেশনের হয়ে তাঁরা একসঙ্গেই কাজ করবেন, কিন্তু বিচ্ছেদের পথে হেঁটে। তা ছাড়া সকলের কাছে এই বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে চেয়ে সকলের কাছে একান্তে থাকার অনুরোধ করেছেন বিল গেটস। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই সংস্থার এক মুখপাত্রও জানিয়ছেন, বিল অ্যান্ড মেলিন্দা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার তাঁরা দুজনেই থাকবেন। তাঁদের পদে পরিবর্তন আসার কোনও সম্ভাবনা নেই।উল্লেখ্য, মাইক্রোসফ্টের কো-ফাউন্ডার বিল গেটসের বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি। মেলিন্দা গেটস মাইক্রোসফ্টের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। করোনা অতিমারিতে বিশ্বের কোণায় কোণায় সাহায্য পৌঁছে দিয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিন্দা গেটস ফাউন্ডেশন।

মে ০৪, ২০২১
দেশ

কৃষি বিল নিয়ে কেন্দ্রের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

বিতর্কিত কৃষি বিল নিয়ে সোমবার কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বাদল অধিবেশনে তিনটি নতুন কৃষিবিল সংসদের উভয় কক্ষে পাশ করানো হবে। এবার তিনটি নতুন কৃষিবিলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনটি পিটিশন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে। আরও পড়ুন ঃ হাথরাস কাণ্ড নিয়ে ফের যোগী আদিত্যনাথের সমালোচনা রাহুলের পিটিশন দাখিলকারীদের অভিযোগ, এই বিল কার্যকর হলে কৃষকরা তাঁদের জমিজমা, শস্য ও স্বাধীনতা সবই হারাবে। আর কৃষকদের সমস্ত কিছুর দখল নেবে কর্পোরেট হাউসগুলি। কোর্ট এও জানায় যে, তারা আবেদন মোটেই খারিজ করছে না। তাঁকে সময় দিচ্ছে। ছত্তিশগড় কিষান কংগ্রেসও এই একই আবেদন জানিয়েছে। তারা বলেছে, মান্ডি ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যে যে নিয়ম বহাল আছে, তাকে ব্যাহত করবে কেন্দ্রের এই বিল। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন।

অক্টোবর ১২, ২০২০
বিবিধ

কৃষি বিলের প্রতিবাদে বামেদের বিক্ষোভ

এআইকেএস-সহ বাম গণসংগঠনের ডাকে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক মারা নীতির প্রতিবাদে শুক্রবার ২৫ সেপ্টেম্বর কালনার বৈদ্যপুর মোড়ে বিক্ষোভ সভা, পথ অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। ছবি ও সংবাদ: মোহন সাহা

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
বিবিধ

কৃষি বিলের প্রতিবাদে তৃণমূলের মিছিল

কৃষি বিলের প্রতিবাদে শুক্রবার ২৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে নেপাকুলি মোড় থেকে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। নেতৃত্ব দেন রাজ্যে দলের মুখপাত্র তথা জেলার সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু। ছবি ও সংবাদ: মোহন সাহা

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
দেশ

কৃষি বিল, মোদীর নিশানায় বিরোধীরা

সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়া সত্ত্বেও, কৃষি বিল ক্রমশ চেপে বসছে বিজেপির উপর। শুক্রবার দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন বিলের প্রতিবাদে ভারত বন্ধে সামিল হয়। শুধু কৃষক সংগঠন নয়, রাজনৈতিক দলগুলিও বিলের প্রতিবাদে সরব হয়েছে। তার মধ্যে গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো হয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। এদিনই নির্বাচনের নির্ঘন্ট জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কৃষি বিল নির্বাতনে বোমেরাং হয়ে ফিরবে না তো? আর সেটা মাথায় রেখেই কৃষি বিল নিয়ে ভুল বোঝানোর অভিযোগ করে বিরোধীদের ফের নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদী। সংঘ পরিবারের পথপ্রদর্শক দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ১০৪ তম জন্মদিবসের মঞ্চ থেকে অলআউট খেললেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের দুরবস্থার দায় যেমন কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন, তেমনি কৃষকদের আয় বাড়াতেই নয়া কৃষি বিল বলে প্রচার চালালেন মোদী। বিরোধীরা নতুন বিল নিয়ে শুধু ভুল বোঝাচ্ছে না, একই সঙ্গে কৃষকদের বিপথে চালিত করছে বলেও মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। এখানেই থামলেন না। নতুন কৃষি বিলের সমর্থনে পথে নামার জন্য দলীয় নেতা কর্মীদের দিলেন বার্তা। নতুন বিলে আগের থেকে বেশি সহায়ক মূল্য কৃষকরা পাবেন বলে আশ্বাস দেন। শুধু কৃষি বিল নয়, নয়া শ্রমিক বিল নিয়েও কংগ্রেসকে তুলোধুনা করেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের মতো শ্রমিকদের দূরবস্থার পিছনে কংগ্রেসের নীতিকে দায়ি করেন। দেশের ৫০ কোটির বেশি শ্রমিক যাতে সময়ে বেতন পান, তা নিশ্চিত করতেই নতুন শ্রম বিল বলে সওয়াল করেন মোদী। যদিও মোদী সওয়ালে মন গলেনি বিরোধীদের। বিলের প্রতিবাদে সরব হয়ে জোড়া আক্রমণ চালিয়েছেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। টুইট বার্তায় মোদীকে কটাক্ষ করে রাহুল লেখেন, ত্রুটিতে ভরা জিএসটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ধ্বংস করেছে। এবার কৃষি বিল কৃষকদের দাসে পরিণত করবে। কৃষক সংগঠনের ডাকা ভারত বনধকে সমর্থন করে, এই বিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কথা মনে করিয়ে দিল বলে জানান প্রিয়াঙ্কা। তিনি লেখেন, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ছিনিয়ে নিয়েছে মোদী সরকার। চুক্তিভিত্তিক চাষ আসলে কোটিপতিদের হাতে কৃষকদের বেচে দেওয়ার কৌশল। দাম ও সম্মান কিছুই মিলবে না। নিজেদের জমিতেই দিনমজুর হবেন কৃষকরা। কৃষি বিল নিয়ে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শিবির। বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ কেন্দ্র কতটা সামাল দিতে পারে, সেটাই দেখার।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
বিবিধ

কৃষি বিলের প্রতিবাদে অভিনব আন্দোলনে তৃণমূলের

কৃষি বিলের প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বৃহস্পতিবার ২৪ সেপ্টেম্বর কৃষক পরিবারগুলিকে সঙ্গে নিয়ে জমির আল ধরে পদযাত্রা করল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। দুর্গাপুর তিন নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ, কিষান ক্ষেত মজুর শাখার সদস্যরা জমিতে নেমে কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী বিলের প্রতিবাদ করলেন, তাঁদের হাতে ছিল লণ্ঠন। এই কর্মসূচিতে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
দেশ

কৃষি বিল: বিরোধী ঐক‍্য অটুট

বিতর্কিত কৃষি বিলকে ঘিরে রবিবারই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বিরোধী ঐক্য। দিন যত গড়াচ্ছে ঐক্য তত জমাট বাঁধছে। বিলে আপত্তি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ ঠোকার আগে পর্যন্ত বুধবার আলোচনা ও রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত রইলেন বিরোধী নেতৃত্ব। বৈঠক ছাড়াও প্ল্যাকার্ড হাতে সংসদ চত্বরে মিছিল করতে দেখা যায় সমস্ত বিরোধী দলকে। গুলাম নবি আজাদ, ডেরেক ওব্রায়েন, জয়া বচ্চন-সহ তাবড় বিরোধী নেতারা কৃষি বিলের প্রতিবাদে প্যাকার্ড হাতে মিছিল করেন। কোনও প্যাকার্ডে লেখা ছিল শ্রমিক বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাওয়ের স্লোগান, আবার কোনও প্ল্যাকার্ডে ছিল মোদী সরকারের গৃহীত নীতির সমালোচনা। কৃষি বিল নিয়ে তাঁকে ঘিরে বিরোধীদের প্রতিবাদ নিয়ে ক্ষোভ ছিল ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের। সন্ধির বার্তা দিতে সংসদ চত্বরে সাসপেন্ডের ধর্না মঞ্চে গিয়ে দিয়েছিেলন চায়ে পে চর্চার বার্তাও। কিন্তু সাসপেন্ডেড সাংসদরা সেই বার্তা খারিজ করায় চটে গিয়েছিেলন ডেপুটি চেয়ারম্যান। মঙ্গলরবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একদিনের প্রতিকী অনশনের। বিরোধীরা যখন বিলের প্রতিবাদে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন, তখন নিঃশব্দে অনশন ভঙ্গ করলেন হরিবংশ নারায়ণ। সাংসদ সাসপেন্ড ও কৃষি বিলের প্রতিবাদে আগেই রাজ্যসভা অধিবেশন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দলগুলো। আর বুধবার বিরোধী শূন্য রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল শ্রম বিল। বিরোধী শূন্য সভায় বিল পাসকে গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ। সেই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভার অধিবেশনও।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
কলকাতা

কৃষি বিলের প্রতিবাদে পথে তৃণমূল

সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সংসদে কৃষি বিল পাশ করানোয় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তৈলবীজ, ভোজ্য তেলকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের থেকে বাদ দেওয়ার বিলও মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে। কৃষি বিলকে করোনা আবহে মরোনা বিল বলে কটাক্ষ করে কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে এদিন তৃণমূলের মহিলা শাখা মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ চালাল। ছিলেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, কৃষ্ণা চক্রবর্তী-সহ তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ‌। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে যোগ দেন তৃণমূলের মহিলা কর্মীরাও। চন্দ্রিমাদেবী বলেন, আমাদের সাংসদ-সহ বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করা যেতে পারে। কিন্তু দেশের মানুষকে চুপ করানো যাবে না। গায়ের জোরে কৃষি বিল পাশ করালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কৃষকদের পাশে থেকে তৃণমূলের আন্দোলন চলবে। বুধবার এই ইস্যুতেই কলকাতায় মিছিল ও সভা করবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বেলা আড়াইটেয় সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে যাবে গান্ধী মূর্তি অবধি। মিছিল শেষে সেখানেই হবে প্রতিবাদ সভা।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
দেশ

তুমুল অশান্তিতে পাশ কৃষি বিল, ঐতিহাসিক দিনকে গণতন্ত্রের হত্যা বলল বিরোধীরা

লোকসভায় নির্বিঘ্নে পাশ হলেও রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাশ যে সহজে হবে না তার ইঙ্গিত ছিল। কৃষি বিপণন মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদলের পদত্যাগকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা যে অল আউট যাবে তাতে আশ্চর্যের কী! অশান্তির আশঙ্কা মিলে গেল রবিবারের রাজ্যসভায়। কৃষি বিলের বিরোধিতায় হই-হট্টগোল, ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তপ্ত স্লোগান, রুল বুক ছিঁড়ে ফেলা, মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কোনও কিছুই বাদ গেল না। সবই হলো, কিন্তু শেষ হাসি হাসল সরকারপক্ষই। ধ্বনিভোটে রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত দুটি বিল। কৃষি বিল নিয়ে রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর অধিবেশন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। এক সময় করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিলের প্রতিবাদে ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে দেখা যায় বিরোধী সদস্যদের। সরকারপক্ষের পাল্টা স্লোগানে সরগরম হয়ে ওঠে অধিবেশন। তখন সভা পরিচালনা করছেন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং। তিনি সদস্যদের আসন গ্রহণ করতে বলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা? তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন-সহ কয়েকজন বিরোধী সাংসদকে দেখা যায় রুল বুক-সহ কাগজপত্র ও মাইক নিয়ে টানাটানি করতে। পরে ডেরেক টুইটে বলেন, সরকারপক্ষ প্রতারণা করেছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে, তাঁদের কথা যাতে দেশের মানুষের কাছে না পৌঁছয় সেজন্য রাজ্যসভা টিভির সম্প্রচার সেন্সর করা হয়েছে। সাংসদদের সাংবিধানিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদে আজ সবচেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত রাখল বিজেপি। যদিও নরেন্দ্র মোদী এদিনও একাধিক টুইট করে বোঝাতে চেয়েছেন এই বিল পাশের ফলে কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। এদিন বিরোধীরা ভোটাভুটি চাইলেও শেষে বিলটি ধ্বনিভোটে পাশ করিয়ে হাঁফ ছাড়ে সরকারপক্ষ। ৭০ বছর পর ভারতের কৃষকরা বঞ্চনার হাত থেকে রক্ষা পেল বলে সওয়াল করেন বিজেপির সভাপতি জে পি নাড্ডা। যদিও কৃষি বিলকে কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানা বলে দাবি করে সরব হয় বিরোধীরা। দুই নতুন কৃষি বিল চাষিদের ক্রীতদাসে পরিণত করবে বলে দাবি করা হয়। একইসঙ্গে বিলের বিরোধিতা করছে এনডিএ শরিক শিরোমণি অকালি দল। বিলকে কৃষক-বিরোধী বলে দাবি করে প্রতিবাদে সরব হয় তারা। বিলের বিরোধিতায় এনডিএ ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে শিরোমণি অকালি দল। সঙ্গ ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন হরিয়ানার দুষ্মন্ত চৌতালাও। সংসদের দুই কক্ষে বিল পাশ হলেও আগামী দিনে মোদী সরকারকে এই বিল বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন বিলের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের পর এবার প্রতিবাদে শরিক হয়েছে উত্তর ভারতে প্রভাবশালী কৃষক সংগঠন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
দেশ

কৃষি বিল: ড‍্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে মোদী

নয়া কৃষি বিল নিয়ে বেশ চাপে বিজেপি। চাপ আরও বাড়িয়েছে বিলের বিরোধিতা করে কৃষি বিপণন মন্ত্রী হরসিমরত কউরের পদত্যাগ। ড্যামেজ কন্ট্রোলে এবারে তাই আসরে নামতে হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার ১৮ অক্টোবর বলেন, নয়া কৃষি বিল নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। যারা দশকের পর দশক ধরে দেশ চালিয়েছে তারাই এখন কৃষকদের বিভ্রান্ত করছে। বিলটি আইনে পরিণত হলে কৃষিক্ষেত্রে ফোঁড়ে বা দালাল রাজের অবসান হবে। একই সঙ্গে নয়া কৃষি বিল বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলেও সওয়াল করেন মোদী। এতে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি হবে বলেও মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনেও ফসলের ন্যায্যমূল্য বেঁধে দেওয়া হবে। কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্য আগের মতোই কিনবে সরকার। সরকারের এই পদক্ষেপ কৃষকদের স্বাধীনতা বাড়াবে। তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিপণনের ক্ষেত্র শুধু বিস্তৃতই হবে না কৃষকদের জন্য নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হবে। কৃষকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আবেদনও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাশ হয় ফার্মার্স প্রডিউস ট্রেড কমার্স বিল ও ফার্মার্স এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যান্ড ফার্মস সার্ভিসেস বিল। লোকসভায় বিল দুটি পাশ হলেও, রাজ্যসভায় পাশ হওয়া বাকি। কিন্তু বিলের প্রতিবাদী শরিকি দল শিরোমণি অকালি দলের একমাত্র মন্ত্রী হরসিমরত কউর পদত্যাগ করায় নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর এটাকে ঢাল করে আসরে নেমে পড়েছে বিরোধী দলগুলিও। দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
নিবন্ধ

হরসিমরতের ইস্তফার নেপথ্যে

কয়েকদিন আগেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন কৃষিনীতির সমর্থন করেছিলেন। এমন কী হলো হঠাৎ সুর বদলে কৃষিনীতিরই বিরোধিতা করে ইস্তফা দিলেন হরসিমরত কউর বাদল? এ নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। মোদী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফার কারণ হিসেবে প্রধানত তিনটি বিষয়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কউর। কৃষি পরিষেবা ও কৃষিপণ্যের মূল্য নিশ্চয়তার বিষয় যেমন আছে, তেমনই আছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন সংক্রান্ত বিষয়টিও। একই সঙ্গে পদত্যাগী মন্ত্রী বিরোধিতা করেছেন কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সংক্রান্ত অধ্যাদেশও। এই তিনটি বিষয় কউর পদত্যাগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অধ্যাদেশে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, কৃষকরা নিজেদের এলাকা ছাড়াও অন্যত্র উৎপাদিত পণ্য বিপণনের সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ বাংলার কৃষক তাঁর পণ্য যেমন অন্য রাজ্যে বিপণন করতে পারবেন, তেমন উল্টোটাও সত্য। তবে চাল, গম-সহ বেশ কিছু পণ্য নোটিফায়েড এলাকার বাইরে বিক্রি করতে পারবেন না। এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চাষিরা চুক্তি করে কৃষিপণ্যের উৎপাদনের সংস্থানের বিষয় রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে। কিন্তু গোল বেঁধেছে অন্যত্র। যদি অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে কৃষকরা কী করবেন? অন্যত্র বিপণনের সুযোগ তো থাকছেই না, সেই সঙ্গে সরকারের যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই-ই নয়, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করলে সেক্ষেত্রেও কৃষক তাঁর জমি তথা ফসলের অধিকার হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হতে পারেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। যদিও অধ্যাদেশ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সরকারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার অধ্যাদেশ উড়িয়ে দিয়ে আশ্বস্ত করেছেন কৃষকদের। সেই সঙ্গে সমর্থন করেছেন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও। এতে কৃষি ও কৃষিপণ্যের আধুনিকীকরণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তোমর। একই সঙ্গে চুক্তির সুফল হিসেবে একদিকে যেমন কৃষিপণ্যের বেশি দাম পড়বে, তেমনই উন্নতমানের বীজ ও সার মিলবে বলে জানিয়েছেন তোমর। শেষ পর্যন্ত অধ্যাদেশ অর্ডিন্যান্সে পরিণত হলে ফোঁড়েরা সবচেয়ে অসুবিধায় পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তেমনই এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই কাজ হারানোর আশঙ্কা। যদিও নতুন কৃষিনীতি নিয়ে বসে নেই সরকারও। পাঞ্জাব, হরিয়ানায় নতুন কৃষিনীতির বিরোধিতা করে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এক্ষেত্রে বিরোধীরা আন্দোলনকে উস্কানি দিচ্ছে বলে রেকর্ড বাজাচ্ছে। তবে নয়া নীতির পক্ষে যতই সওয়াল করা হোক না কেন, হরসিমরতের ইস্তফা চাপে ফেলেছে মোদী সরকারকে। সামনে বিহার নির্বাচন। কৃষিনীতি জনদরদী হলে, কেন প্রথমে সমর্থন করে পরে সরে দাঁড়ালেন হরসিমরত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
দেশ

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ

পদত্যাগ করলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। কৃষকস্বার্থ বিরোধী অর্ডিন্যান্স আনার প্রতিবাদেই তাঁর এই পদত্যাগ। বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর সংসদে কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন এর তীব্র বিরোধিতা করেন শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে-সহ বিরোধী দলগুলিও এই বিলের বিরুদ্ধে মত পোষণ করে। বাদল বলেন, দেশে খাদ্যভাণ্ডার সুনিশ্চিত করতে পাঞ্জাবের কৃষকদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু কৃষক স্বার্থবিরোধী এই অধ্যাদেশ কৃষকদের ৫০ বছরের বেশি সময়কার তপস্যা বরবাদ করে দেবে। এই বিলকে সমর্থন করবে না অকালি দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শিরোমণি অকালি দলের একমাত্র সদস্য পদত্যাগ করবেন। এর কিছু পরেই টুইট করে পদত্যাগের ঘোষণা করে দেন হরসিমরত। I have resigned from Union Cabinet in protest against anti-farmer ordinances and legislation. Proud to stand with farmers as their daughter sister. Harsimrat Kaur Badal (@HarsimratBadal_) September 17, 2020

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

মদিনায় আগুনে পুড়ল ৪২ উমরাহ যাত্রীর দেহ! অধিকাংশই ভারতীয়—বাসে বেঁচে ফিরলেন মাত্র ১ জন

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিভে গেল কমপক্ষে ৪২টি প্রাণ। উমরাহ হজে যাওয়া ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে মক্কার পথে যাচ্ছিল বাসটি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার রাত প্রায় একটা বেজে তিরিশ মিনিট নাগাদ মুফরিহাট এলাকায় একটি ডিজেল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির। প্রচণ্ড ধাক্কার পর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায় পুরো গাড়িতে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বাসটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়, আর তাতেই মৃত্যু হয় অধিকাংশ যাত্রীর।সৌদি পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার সময় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন লাগার পর কেউ বেরোনোর সুযোগই পাননি। বাসটিতে ১১ জন মহিলা ও ১০ জন শিশু ছিলএমনটাই জানা গিয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা। এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে কারও পরিচয় নির্ণয় করতেও বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন তদন্তকারীরা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজনমহম্মদ আব্দুল শোয়েবযিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, রিয়াধের ভারতীয় দূতাবাস এবং জেদ্দার কনস্যুলেট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দ্রুত মৃতদেহগুলো ভারত ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।অন্যদিকে, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি বলেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। দিল্লি ও জেদ্দার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। শুরু হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন নম্বরও।তেলঙ্গনা সরকারের হেল্পলাইন নম্বর: +91 7997959754, +91 9912919545জেদ্দা কনস্যুলেটের নম্বর: 8002440003সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দেহ শনাক্তিকরণ। দেহগুলি এতটাই অগ্নিদগ্ধ যে DNA পরীক্ষার মতো জটিল প্রক্রিয়া ছাড়া পরিচয় জানা প্রায় অসম্ভব। ফলে দেহ দেশে ফেরানোও দীর্ঘ সময় নিতে পারে। ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক স্তরে তৎপরতা বেড়েছে, কারণ পরিবারগুলির একমাত্র দাবিযেন দ্রুত প্রিয়জনদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

কোথায় সেই শীত? ডিসেম্বরেও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে বাংলায়

রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ ধীরে ধীরে মিলছে ঠিকই, কিন্তু প্রত্যাশিত সেই ঠান্ডা এখনও অধরাই। ভোরের দিকে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নামছে। সকালের হিমেল হাওয়া আর সন্ধ্যার শিরশিরে ঠান্ডায় মানুষ গরম জামা গায়ে দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু দিনের মাঝামাঝি রোদের তেজ এখনও বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। যার ফলে চেনা ডিসেম্বরের সেই কনকনে ঠান্ডা এখনও ফিরছে না বাংলায়।আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এখনই জাঁকিয়ে ঠান্ডা নামবে না। বরং সংক্রান্তি পেরোলেই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল, যা এখন শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এই অবস্থানের কারণেই বাংলার উপর দিয়ে বইতে থাকা উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমে যাবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাধান্য পাবে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে আসা উষ্ণ বাতাস।বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গকোথাও বড় ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া দফতর। তবে ভোরবেলা কুয়াশায় ঢেকে থাকবে আকাশ। দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে বিভিন্ন জায়গায়।আলিপুর দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সোমবার থেকেই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গেও রাতের দিকে শীত একধাক্কায় কমে যাবে। ফলে শীতের হিমেল স্পর্শ আরও কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে।এরই মধ্যে আরেকটি নতুন সিস্টেম তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। মধ্য দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সেটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এই পরিস্থিতি শীতকে আরও কয়েকদিন পিছিয়ে দিতে পারে।সব মিলিয়ে, শীতের অপেক্ষায় থাকা বাঙালিরা হয়তো ডিসেম্বরের শেষ দিকেই পেতে পারেন সেই পরিচিত ঠান্ডার ছোঁয়া। আপাতত আবহাওয়া বলছেশীত আসবে, তবে একটু দেরিতে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ফাঁসি! মানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী শেখ হাসিনা—বাংলাদেশে নজিরবিহীন রায়

বাংলাদেশের রাজনীতি যেন মুহূর্তে ঝড়ের চোখে ঢুকে গেল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার ঘোষণা করল সেই রায়, যার জন্য দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে ছিলমানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আদালত তিনটি ধারায় তাঁকে দোষী ঘোষণা করে সরাসরি ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। সেই সঙ্গে একই অপরাধে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী প্রমাণিত হয়েছেন গণহত্যার মামলায়।রায় ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদালত চত্বরের বাইরে এক অদ্ভুত নীরবতা নেমে আসে। তারপরই শুরু হয় দেশজোড়া তাণ্ডব। ঢাকার রাস্তায় বিক্ষোভ, ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন লাগানোসব মিলিয়ে যেন বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। আদালতে ৪৫৩ পাতার রায় পড়তে সময় লাগলেও, রায়ের অভিঘাত সরাসরি গিয়ে লাগে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে।আদালত জানায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময় একাধিক গণহত্যা, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বহু সাক্ষ্য-প্রমাণ, ভিডিও ফুটেজ, গোপন নথি আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক স্পষ্ট করে বলেন, এটি ইতিহাসে নথিবদ্ধ হওয়ার মতো অপরাধ। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও একই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। আদালতের মন্তব্যতিনজনের সমন্বিত ভূমিকার কারণেই এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো দেশের নাগরিকদের জীবনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।রায়ের পরই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনা ও র্যাব নামানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রায় ঘিরে প্রচুর বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আওয়ামী লিগ সমর্থকেরা রায়কে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলে দাবি করেছেন, অন্যদিকে সরকার সমর্থকেরা বলছেনএটা ইতিহাসের বিচার।বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে যে ঝড় চেপে বসেছে, তার রেশ এখন শুধুই রাস্তায় নয়সরাসরি দেশের ভবিষ্যতের ওপরও পড়ে যাচ্ছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেন কীভাবে? এসএসসি-র ব্যাখ্যায় বাড়ল রহস্য

একাদশদ্বাদশের এসএসসি ফলপ্রকাশ হতেই যে নামটি সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে, তা হল নীতীশরঞ্জন বর্মন। কয়েক মাস আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি যে দাগী প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানে স্পষ্টভাবে ছিল নীতীশরঞ্জনের নাম। আর সেই নীতীশই এবার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষায় বসে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকও পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছেএকজন দাগী প্রার্থী কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন? কীভাবে ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নাম উঠল? বিতর্ক মুহূর্তে চড়ে গিয়েছে মাথা তুলেই।এই অভিযোগ আদালতে তুলে ধরেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা গৃহীত হয়েছে। আদালতে শামিম জানান, নীতীশরঞ্জন বর্মন নামে ওই প্রার্থী অযোগ্য হয়েও পরীক্ষায় বসেছেন, এমনকি ভেরিফিকেশনের জন্যও ডাক পেয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন নীতীশরঞ্জনের স্ত্রীও, যাঁর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তিনিই প্রথম আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সামনে আনেন। তাঁর দাবি, নীতীশ দাগী হয়েও ভুলভাবে পরীক্ষায় বসেছেন এবং এখন ভেরিফিকেশন রাউন্ডেও জায়গা পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।বিতর্কের ঢেউ যখন তুঙ্গে, তখন স্কুল সার্ভিস কমিশন মুখ খুলল। কমিশনের বক্তব্য, ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের কথা বলেছিল। সেই নির্দেশ মানতেই নাকি কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এসএসসি একই সঙ্গে জানিয়েছে, সব তথ্যই যাচাই করা হচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে যদি গরমিল ধরা পড়ে, দাগী হয়েও কেউ যদি সতর্কতা সত্ত্বেও তালিকায় ঢুকে পড়েন, তাহলে ভেরিফিকেশনের সময় সেই প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার পূর্ণ অধিকার কমিশনের রয়েছে।এদিকে আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় বলেছেএকজনও দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য যে ছাড়ের কথা বলা হয়েছিল, তা বয়স বা শারীরিক অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, দাগী তালিকার ক্ষেত্রে নয়। ফলে নীতীশরঞ্জন বর্মন কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আদালতকক্ষে এই ব্যাখ্যার ওপরেই নজর এখন সবার।রবিবার দিনভর এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা চলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তীব্র আলোচনার ঢেউ। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেনআইনের ফাঁক কি কাজে লাগাল নীতীশ? নাকি নিয়োগ ব্যবস্থার ত্রুটি এতটাই গভীর যে দাগী তালিকা থাকা সত্ত্বেও এমন ভুল সম্ভব? এখন অপেক্ষা আদালতের সিদ্ধান্তের, আর সেই সিদ্ধান্তই ঠিক করবে নীতীশরঞ্জনের মতো বিতর্কিত প্রার্থীর ভবিষ্যৎ।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর নিয়ে তোলপাড়! এসএসসি তালিকায় ১৯৯৭ পর জন্মেও ‘এক্সপেরিয়েন্স’?

এসএসসি-র এগারো-বারোর শিক্ষক নিয়োগে ফের নতুন করে বিতর্কে আগুন লেগেছে। উচ্চ কাট-অফের চাপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নতুনরা। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে ৬০ নম্বরের মধ্যে পূর্ণ ৬০ পেলেও চাকরি হয়নি একাধিক প্রার্থীর। কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, মোট ২০ হাজারের সামান্য বেশি প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে, আর সেই তালিকার বড় অংশেই ইন-সার্ভিস শিক্ষকেরা সুবিধা পেয়েছেন অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত দশ নম্বরের জোরে। এই বাড়তি নম্বরেরই বিরোধিতায় এবার পথে নেমে সরব হয়েছেন নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ আরও বিস্ফোরক। তাঁদের বক্তব্য, যাঁদের জন্ম ১৯৯৭ সালের পর, এমন বহু প্রার্থীও নাকি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর পেয়েছেন বলে তালিকায় দেখা যাচ্ছে। বয়সের হিসাবে যা একেবারেই অসম্ভব। এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বাড়তেই স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কমিশনের বক্তব্য, যে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণই প্রার্থীদের অনলাইন মাধ্যমে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। আপাতত ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করে প্রাথমিক তালিকা বানানো হয়েছে। এর পরেই তথ্য যাচাইকরণ চলবে। সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনে কোনও গরমিল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবেন। পরে অঞ্চলভিত্তিক ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করা হবে।এদিকে অভিযোগ উঠছে কাট-অফ এতই বেশি যে, ভালো নম্বর পেয়েও বহু প্রার্থী তালিকার বাইরে। ইংরেজিতে কাট-অফ ৭৭, বাংলায় ৭৩, অঙ্কে ৭১ এবং ইতিহাসে ৭৫এই অত্যাধিক কাট-অফের কারণেই নাকি পূর্ণ নম্বর প্রাপ্তদের মধ্যেও বাদ পড়ার ঘটনা ঘটছে। যদিও কমিশন সূত্রের দাবি, যাঁদের ডাকা হয়েছে তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ফ্রেশার। কিন্তু কমিশনের এই ব্যাখ্যায় পরিস্থিতি শান্ত তো হয়নি, বরং ক্ষোভ আরও বেড়েছে।করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত এ দিন রীতিমতো মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত ১০ নম্বর প্রক্রিয়াটাই অবিচার। ফুল মার্কস পেয়েও যদি ইন্টারভিউর ডাক না আসে, তাহলে নিয়োগ পদ্ধতি প্রশ্নের মুখে পড়ে। ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি, আর এই নিয়েই সরগরম রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের অঙ্গন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

শেখ হাসিনার পরিবারের ইতিহাস এবার মুছে ফেলবে কে? ধানমন্ডি ৩২-এ রহস্যময় তৎপরতা

বাংলাদেশে যেন ইতিহাসের এক ভয়াবহ পুনরাবৃত্তি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী মামলার ৪৫৩ পাতার রায় পড়া চলছে আদালতে, আর ঠিক সেই সময়েই ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ির সামনে দেখা গেল দুটি পে-লোডার। দৃশ্যটি ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে তোলপাড় বাংলাদেশ। প্রশ্ন উঠলঅন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার কি তবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলতে চাইছে?পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য আরও উদ্বেগ বাড়ায়। জানা গেছে, ধানমন্ডির বাড়ির যে অংশ এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতেই এই পে-লোডার আনা হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির দিকের পুলিশি ব্যারিকেডে আটকে যায় তারা। এরপরই তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এলাকায় তখন উত্তেজনা টগবগ করছে।এদিকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ব্যারিকেড তুলে বিক্ষোভ থামাতে চাইলে ক্ষুব্ধ জনতা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। দুটি পক্ষের সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।পটভূমিটা আরও জটিল। ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর, এবং শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাতের অন্ধকারে পে-লোডার এনে ভেঙে ফেলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত এই ৩২ নম্বর বাড়ি। পরে তাতে আগুন লাগানো হয়। দেশজুড়ে সেই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। আর এবার আবারও, ঠিক রায়ের দিন, পে-লোডার নিয়ে বাড়ির সামনে হাজির হওয়ায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ঢাকার রাস্তায় ককটেল বোমা ফাটছে, সিলেট-ময়মনসিংহ-কুষ্টিয়া মিলিয়ে সাতটি বাস, ভ্যান, এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সেও আগুন ধরানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাড়িতেও হামলা হয়েছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লিগ রবিবার থেকেই সারাদেশে শাটডাউন ডেকেছে।অবস্থা এতটাই ভয়ংকর যে ৫৫ হাজার পুলিশকে মোতায়েন করতে হয়েছে। সেনা ও বিজিবি নেমেছে রাস্তায়। প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছেকোথাও আগুন লাগানো বা ককটেল ছোড়া দেখা গেলে সরাসরি গুলি চালানো হবে।এমতাবস্থায় ধানমন্ডি ৩২-এ পে-লোডারের উপস্থিতি শুধু উত্তেজনা নয়এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকেতও বয়ে আনছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির অবশিষ্টাংশ ভাঙার চেষ্টা আসলে প্রতীকীদেশের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারটিকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার আরেক প্রচেষ্টা কি? রায় ঘোষণার মাঝেই এমন দৃশ্য পুরো বাংলাদেশকে নতুন করে টালমাটাল করেছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

‘কাগজ নেই, তাই ফিরছি’—এসআইআর শুরু হতেই সীমান্তে তিনশো বাংলাদেশির ভিড়

ভারতবাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টে সোমবার সকাল থেকেই ভিড় জমেছে শয়ে-শয়ে মানুষের। কারও হাতে ট্রলি ব্যাগ, কারও মাথায় বোঁচকা, আবার কেউ লোটা-কম্বল বেঁধে দাঁড়িয়ে কাতর চোখে তাকিয়ে রয়েছেন সীমান্তের দিকে। প্রত্যেকের একটাই লক্ষ্যযত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া। কারণ হিসেবে অনেকেই সরাসরি জানাচ্ছেন, এসআইআর-এর ভয়ে আর থাকতে সাহস পাচ্ছেন না ভারতে।বছরের পর বছর কোনও নথিপত্র ছাড়াই রুটি-রুজির খোঁজে ভারতেই বসতি গেড়ে ছিলেন অনেক বাংলাদেশি। কেউ কলকাতার বিরাটিতে, কেউ চিনারপার্কে, কেউ আবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় গৃহকর্মী, দিনমজুর বা ছোটখাটো কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু বারোটি রাজ্যজুড়ে এবং পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর প্রক্রিয়া এগিয়ে চলায় আচমকাই তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। আর সেই আতঙ্কই যেন এখন তাঁদের ঠেলে দিচ্ছে সীমান্ত অভিমুখে।সোমবার সকাল থেকে দেখা যায়, স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত হাকিমপুর সীমান্তে ভিড় জমছে শতাধিক বাংলাদেশির। দুপুরে সেই সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে যায়। পুরুষ, মহিলা, কোলের শিশুসবাই মিলে বাড়ির আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের সামনে কাঁটাতারের বেড়া, আর পেছনে অনিশ্চয়তায় ভরা অস্থায়ী জীবনের স্মৃতি।এরই মধ্যে সীমান্তে মোতায়েন ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের আটকে নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন। যাঁরা বৈধ কাগজ দেখাতে পারছেন না, তাঁদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেই এগোচ্ছেন জওয়ানরা। স্থানীয় মানুষ এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত, অনেকেই বলছেনএ রকম দৃশ্য বহু বছর পর দেখা গেল। যে বাংলাদেশিরা এতদিন গোপনে ভারতেই বসবাস করছিলেন, তাঁরা এবার নিজেরাই দেশে ফিরে যেতে চাইছেন।সাবিনা পারভিন নামে এক মহিলার কথায় উঠে এসেছে সেই আতঙ্কের ছবিটা। তিনি বললেন, বাংলাদেশেই আমার বাড়ি। কিন্তু বিরাটিতে থাকতাম। কোনও কাগজপত্র নেই। বেআইনিভাবেই ছিলাম। আরও এক ব্যক্তি স্বীকার করলেন, তিনি চিনারপার্কে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। বললেন, আধারকার্ড নেই। বাংলায় এসেছিলাম পেটের দায়ে। এখন ভয় লাগছে, তাই ফিরে যাচ্ছি।সীমান্ত এলাকা জুড়ে এখন এক ধরনের চাপা উত্তেজনা। কেন এত মানুষ হঠাৎ দেশছাড়া হয়ে ফিরতে চাইছেন, তা নিয়ে নানা মহলে জোর আলোচনা। স্থানীয়দের চোখের সামনে একটি বড় পরিবর্তনের ছবিযে সীমান্ত দিয়ে একসময় বেআইনিভাবে ঢুকতেন বাংলাদেশিরা, আজ সেখানে দেখা যাচ্ছে উল্টো স্রোত। এসআইআর প্রক্রিয়ার আতঙ্কে এবার তাঁরা নিজের দেশেই ফেরার চেষ্টা করছেন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

নির্বাচনের আগে নিউটাউনের গাড়ি থেকে মিলল টাকার পাহাড়? জিজ্ঞাসাবাদে মিলছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নির্বাচনের আগে বাংলায় ফের টাকার পাহাড় উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। সোমবার সকালেই নারায়ণপুরের আকাঙ্ক্ষা মোড়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আচমকা তল্লাশি চালায় বেঙ্গল এসটিএফ। আর সেখানেই একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার নগদ। মুহূর্তে এলাকা জুড়ে তৈরি হয় উত্তেজনা। বিপুল পরিমাণ টাকা-সহ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটি। আটক করা হয়েছে গাড়ির মালিক-সহ দুই জনকে। তদন্তকারীদের অনুমান, নিউটাউনের দিক থেকেই আনা হচ্ছিল এই টাকা। তবে টাকা কার, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং কেনতা এখনো ধোঁয়াশা।ইতিমধ্যেই বাংলায় জোরকদমে চলছে এসআইআর অভিযান, অন্যদিকে দুয়ারে দাঁড়িয়ে ছাব্বিশের ভোট। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দলও সদ্য বাংলায় পরিদর্শন সেরে গিয়েছে। এর মধ্যেই গাড়ি ভর্তি এত টাকা উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছেএই নগদের নেপথ্যে কি নির্বাচনী কারবার? নাকি সক্রিয় কোনও অন্য অর্থচক্র? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।টাকার উৎস জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আটক দুই ব্যক্তিকে। কোথা থেকে টাকা তোলা হয়েছিল, কার নির্দেশে নেওয়া হচ্ছিল এবং এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক বা অন্য কোনও চক্র জড়িত কি না, তা জানতেই জোরদার তদন্ত।উল্লেখ্য, মাত্র গত সপ্তাহেই ইডি-র অভিযানে কলকাতার তারাতলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল অঙ্কের নগদ। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। একই দিন বেলেঘাটা-সহ শহরের আরও কয়েকটি জায়গা জুড়ে চলে তল্লাশি। চলতি মাসের শুরুতেও কলকাতার একাধিক এলাকায় হানা দিয়েছিল ইডি। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানেও হয়েছিল তল্লাশি।তবে আজকের উদ্ধার হওয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির কোনও চক্রের ফল, নাকি সম্পূর্ণ অন্য কারণে নগদ পরিবহণতা নিয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলতে চাইছে না তদন্তকারী সংস্থা। এসটিএফ সূত্রে খবর, সবদিক খতিয়ে দেখে শিগগিরই সামনে আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আপাতত আটক দুই ব্যক্তির জেরা চলছে, আর সেই জেরার দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal