• ১২ শ্রাবণ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bengal

দেশ

রাজ্যে প্রবল বিরোধিতা, ব্যাঙ্গালুরুতে এক মঞ্চে সোনিয়া-মমতা

২৬টি বিজেপি বিরোধী দলের মহাজোট বৈঠক শুরু হচ্ছে কিছুক্ষণ পরেই। ইতিমধ্যে ব্যাঙ্গালুরুতে হাজির হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, সাংসদ রাহুল গান্ধী, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান ডিকে শিবকুমার।বিহারের পর কর্ণাটক, দ্বিতীয়বার বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের বৈঠকে বসছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএমরা। এবার বৈঠকে থাকছে ২৬ বিরোধী দলের নেতৃত্ব। সোমবার বিকেলে বিরোধী দলগুলির সৌজন্য-বৈঠকও হয়। বৈঠক শেষে বিরোধী নেতানেত্রীদের নৈশভোজের আমন্ত্রণে সনিয়া গান্ধী। সনিয়ার ডাকা নৈশভোজে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ওব্রায়েন। কংগ্রেস, মোদি সরকারের অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বৈঠকে যোগ দিচ্ছে আপ-ও। পাটনায় বিজেপি বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করার বার্তাই দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমাররা। এবারের মেগা বৈঠকের শেষে কী উঠে আসে, সেদিকেই নজর জাতীয় রাজনীতিতে। অবশ্য বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। এদিকে, বাংলায় প্রবল সংঘাত থাকলেও বেঙ্গালুরুর বৈঠকে মমতা-অভিষেক সঙ্গে সনিয়া-রাহুলের এক মঞ্চে বসে আলোচনা ঘিরে প্রবল কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বৈঠকের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। বারে বারে এই ধরনের বৈঠক করে বিজেপি বিরোধীরা। যারা যুক্ত হয়েছেন, তারা পরিবারকে বাঁচাতে চাইছে। সারদা মামলায় প্রত্যক্ষভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিভাবে কতটা জড়িয়ে ছিলেন সেই সম্পর্কিত যাবতীয় নথি আমি আগামী দু-একদিনের মধ্যে সিবিআই এর ডাইরেক্টর এর কাছে পেশ করব। রাজনীতি বড়ই অদ্ভুত। কে কখন কার দিকে, কে কার প্রকৃত মিত্র, আর কে শত্রু, তা সহজে বুঝে ওঠা দায় ? কিন্তু প্রশ্ন হল, দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে বন্ধুত্ব রক্ষা কি আদৌ সম্ভব?

জুলাই ১৮, ২০২৩
রাজ্য

হিংসা ছড়াচ্ছে ও কন্ট্রোল রুমে বসে যে রাজনীতিকরা রিমোট চালাচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ: রাজ্যপাল

পঞ্চায়েত ভোটে মারাত্মক হিংসা র বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তখনও ভর্ৎসনা করেছিলেন কমিশনারকে। রাজীব সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন সরজমিনে ঘুরে পরিস্থিতি যাচাই করেছেন। দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরে গণনার দিনও একই রুটিন ছিল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের। তারপরই বাংলার ভোটে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলে মূল দুটি বিষয়ের বিরুদ্ধে ধর ডাক দিলেন রাজ্যপাল।কী বলেছেন রাজ্যপাল?রাজভবনে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে ভোট হল বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই। ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসা বা ঘৃণা তৈরি হওয়া ঠিক নয়। এখন আমাদের ভেদাভেদ ভুলে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। নির্বাচন ব্যালটে লড়া উচিত, বুলেটে নয়। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার নামই গণতন্ত্র। যে পিছিয়ে পড়বে তাকেও হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। আমরা এসঙ্গে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবই। যেমন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বলেছিলেন, আমরা করব জয় নিশ্চয়।পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিকে রাজ্যপালের পরামর্শ, রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দলের এই মুহূর্তে ২টি লক্ষ্যে কাজ করা উচিত। প্রথমত, দুটি মূল শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে হবে তাদের। সেগুলি হল হিংসা ও দুর্নীতি। আমরা এই নির্বাচন থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমার বিশ্বাস এর পর হিংসা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ শুরু হবে।ভোটে হিংসার বিরুদ্ধে এদিন সকালে রাজ্যপাল বলেছিলেন, যারা হিংসা ছড়াচ্ছে এবং কন্ট্রোল রুমে বসে যে রাজনীতিকরা রিমোট চালিয়ে এই হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। অল-আউট অ্যাকশন নেওয়া হবে। প্রশাসন কড়া হাতে এই হিংসা প্রতিহত করবে।প্রতিটি সন্ন্যাসীর অতীত রয়েছে, প্রতি পাপীর ভবিষ্যৎ রয়েছে। আজ যারা বাজে কাজ করছেন, ভবিষ্যতে তারাই ভালো কাজ করতে পারেন। আজকের হিংসা ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য নেতিবাচক। তবে আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাংলাকে নিরাপদ জায়গায় পরিণত করে তুলব।

জুলাই ১১, ২০২৩
রাজ্য

গ্রাম বাংলার দখল কার হাতে? সকাল ৮টা থেকে শুরু পঞ্চায়েতের ভোট গণনা

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গননা কেন্দ্রগুলিকে। প্রতি গণনা কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁর সাথেথাকছে রাজ্য পুলিশও। ভোট গণনা চলবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে। অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে আর কিছুক্ষণ পরেই, গ্রাম বাংলার রাশ কার দখলে যাবে? গননা কেন্দ্র গুলিতে এসে পরেছেন ভোট কর্মীরা, প্রয়োজনীয় ঔষধ ছাড়া আর কিছু নিয়েই ভিতরে প্রবেশ নিশিদ্ধ। সকাল ৮টা থেকেই শুরু হবে ২০২৩ পঞ্চায়েতের ভোট গণনা। সারা রাজ্যের মোট ৩৩৯টি কেন্দ্রে হবে ভোট গণনা।রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সুত্রে জানা যাচ্ছে, তিনটি স্তর (গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ) মিলিয়ে প্রায় ১২% আসনে (মোট ৭৩৮৮৭ টি আসনের মধ্যে ৯০০৯ টি আসনে) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩২২৯টি আসনের মধ্যে বিনা যুদ্ধে জয় ৮০০২ টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতির মোট ৯৭৩০ টি আসনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ৯৯১ টি আসনে। জেলা পরিষদের মোট ৯২৮টি আসনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ১৬টি আসনে।এখানে উল্লেখ্য, ২০১৮ মতো ২০২৩ এও পঞ্চায়েত ভোটেও দেখা গেছে ভয়াবহ হিংসার ছবি। ভোট ঘোষণা র দিন থেকে মৃত্যুর সংখ্যা ধরলে ২০১৮-কেও ছাপিয়ে গেল ২০২৩। বিরধীদের রোষনলের মুখে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। যে শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের আশ্বাস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নবজোয়ার কর্মসুচীতে দিয়েছিলেন সেটা কি তাহলে শুধুই কথার কথা ছিল? এনিয়ে পাল্টা জবাব পালটা জবাব চলছে। আজ মঙ্গলবার ফলাফল।পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক বিপরীত ছবি দেখা গেলো পুননির্বাচনে,লাগামছাড়া সন্ত্রাসের ছবি উধাও! পুলিস ও কেন্দ্রীয়বাহিনী দাপিয়ে বেরালো বুথ ও সংলগ্ন এলাকা, রূটিন রুট মার্চ, এরিয়া ডোমিনেসন সবই করতে দেখা গেলো। সেখানেই প্রশ্ন বিরোধীদের, তাহলে কি এটা ড্যমেজ কন্ট্রোল? ৮ই জুলাই কোথায় ছিলো পুলিশের এই সক্রিয়তা? বিরোধীদের আরও দাবী হাইকোর্টের নির্দেশ স্বত্তেও কেনো সমস্ত বুথে দেখা যায়নি সশস্ত্র বাহিনী কে? তাহলে কি এটা দিদি-মোদি পরিকল্পনারই ফসল?বিরোধীদের দাবী, ভোটের দিন যেভাবে সারা রাজ্যে বুথে বুথে অশান্তি হয়েছে, বন্দুক হাতে দাপাদাপি করতে দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক কর্মীদের, মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়েছে, দেদার ছাপ্পা, কিন্তু কোথাও কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী কে দেখা যায়নি। পূর্ববর্ধমান জেলার মেমারি-র বাম নেতা অভিজিৎ কোনার (খোকন) তাঁর সামাজিক মাধ্যমে ছবি দিয়ে দাবী করেছেন, আজ ৮/৭/২০২৩ পশ্চিমবঙ্গে অবাধে লুটপাটের পঞ্চায়েত নির্বাচন চলছে।হাইকোর্টের নির্দেশ স্বত্বেও মেমারি ১ ব্লক,মেমারি ২ ব্লক সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার কোন বুথেই কেন্দ্রীয়বাহিনী নেই। আজ সকাল ৭.১৮ মিনিটে মেমারি ষ্টেশনে অসংখ্য পুলিশের জমিয়ে গল্প, হাওয়া খাওয়ার ফটো দেখুন।ভোট হচ্ছে গ্রামে,আর পুলিশ রয়েছে রেল স্টেশনে। এতদিন কেন্দ্রীয়বাহিনী নিয়ে TMC-BJP র নাটক এখন বুঝতে পারছেন? কেন্দ্র ও রাজ্যের বোঝাপড়া বুঝুন। তবে বিভিন্ন বুথে প্রতিরোধের ঘটনাও ঘটছে।কোথা ব্যালট বক্স ভোট কক্ষ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কোথাও আবার ভোট কক্ষের ভিত্রেই বোতলে জল নিয়ে গিয়ে ঢেলে দেওয়া হয়েছে ব্যলট বক্সের ভিতর। কিন্তু কোথাও পুলিশর দেখা মেলেনি, না মিলেছে হাইকোর্টের নির্দেশে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীও!

জুলাই ১১, ২০২৩
রাজ্য

কোথায় কত বুথে পুননির্বাচন? কেন্দ্রীয় বাহিনির কি দেখা মিলবে বুথে বুথে?

রাজ্যের কতগুলি বুথে পুনর্নির্বাচন?২০২৩ পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথদখল ও ছাপ্পা ভোট ও অশান্তির ঘটনায় রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে ১৯টিতেই পুনর্নির্বাচনের আদেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহন পক্রিয়া শুরু হয়েছে। একনো পর্যন্ত কোনও গণ্ডগোলের খব্র পাওয়া যাইনি। সব মিলিয়ে ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। রবিবার রাজ্য নিবার্চন কমিশন জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে হবে ভোটগ্রহণ।রবিবার রাজ্য নিবার্চন কমিশন জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে হবে ভোটগ্রহণ।কোন কোন জেলার কটি বুথে পুনর্নির্বাচন?রাজ্যে মোট ১৯টি জেলাতে পুনর্নির্বাচনের আদেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন, তাঁর মধ্যে মুর্শিদাবাদের ১৭৫টি বুথ, মালদহের ১০৯টি বুথ, নদিয়ার ৮৯টি বুথ, কোচবিহারের ৫৩টি বুথ, উত্তর ২৪ পরগনার ৪৬টি বুথ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩৬টি বুথ, উত্তর দিনাজপুরের ৪২টি বুথ, দক্ষিণ দিনাজপুরের ১৮টি বুথ, পূর্ব মেদিনীপুরের ৩১টি বুথ, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১০টি বুথ, হুগলির ২৯টি বুথ, জলপাইগুড়ি এবং বীরভূমের ১৪টি করে বুথ, হাওড়া এবং বাঁকুড়ার ৮টি করে বুথ, পূর্ব বর্ধমানের ৩টি বুথ, পশ্চিম বর্ধমানের ৬টি বুথ, পুরুলিয়ার ৪টি বুথ এবং আলিপুরদুয়ারের ১টি বুথে সোমবার পুর্নির্বাচন হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে পুর্নির্বাচন হচ্ছে না।প্রতি বুথে কত জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে?২০২৩ পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত অফিসার জানিয়েছেন, বুথ প্রতি এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে, তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিত। রবিবার বিকালে কমিশন জানিয়েছিল, বুথ প্রতি হাফ সেকশন (৪জন) মোতায়েন থাকবে। পরে বিএসএফ আইজি জানিয়েছে, প্রতি বুথে মোতায়েন করা হবে এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী (৮জন)।

জুলাই ১০, ২০২৩
রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক হিংসা, দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল!!

রাজ্যের বেহাল পরিস্থিতির কথা জানাতে এবার দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক হিংসা হয়েছে। তা নিয়ে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। জবাবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছিলেন যে তিনি একজন রাজ্যপালের যা কর্তব্য সেটা করবেন। আর তারপরেই জানা গেল তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন রাজ্যপাল। তারফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্যপাল তাঁর কর্তব্য করতেই দিল্লি যাচ্ছেন? তিনি কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্টে দেবেন? রিপোর্ট দেওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।এবারের পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা রুখতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গোড়া থেকেই ছিলেন সক্রিয়। বিরোধীদের মুখ থেকে হিংসার আশঙ্কার কথা তিনি শুনেছেন। পাশাপাশি, রাজ্যে পঞ্চায়েতের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক খুনের ঘটনাও খতিয়ে দেখেছেন। বিরোধীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন একদিনে করা হয়েছে। তারপরই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারকে তিনি কড়া কথায় সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, রাজীব সিনহাকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করে তিনি হতাশ হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার যেন নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করেন, সেই নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত ভোটের দিন শনিবার রাজ্যপাল নিজে হিংসার খবর পেয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে বের হয়েছিলেন। যার তীব্র বিরোধিতা করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল বলেছিলেন যে, ভোট বুলেটে নয়। ব্যালটে হওয়া উচিত। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত অন্যান্যবারের মত এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনও রক্তাক্ত অবস্থায় শেষ হয়েছে। নির্বাচনে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ব্যালট বাক্স লুঠ হয়েছে। ভোটকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও বহু আহত চিকিৎসাধীন। এরপর রবিবার বিকেলে রাজ্যপালের দিল্লি যাওয়ার কথা জানা গিয়েছে।

জুলাই ০৯, ২০২৩
রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার বলি বেড়েই চলেছে, ক্ষিপ্ত রাজ্যপালের তোপ কমিশনারকে

পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা, হত্যা অব্যাহত। এদিন রাজ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হিংসা নিয়ে আগেও ন্রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। বৃহস্পতিবার ফের সরব হয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। কাল বাদ পরশু রাজ্যে ভোট। তার আগে বেনজিরভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার নিন্দার মুখর হলেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপাল এদিন নিজের ভাষণে কখনও মহাভারত, কখনও শেক্সপিয়ার, আবার কখনও টিএন সেশন, স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতিচারণ করেছেন।রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, আমি ভেবেছিলাম, বাংলার গ্রামে মঞ্চে গিয়ে দেখব, চিত্ত হেথায় ভয় শূন্য, উচ্চ হেথায় শির। কিন্তু এসে দেখলাম একেবারে উল্টোটা। মানুষের মনে ভয়, মাথা হেঁট হয়ে আছে। গ্রামে গিয়ে বিধবার কান্না শুনেছি, পুত্রহারা মায়ের কান্না দেখেছি। কী করে এসব বন্ধ হবে, যখন রক্তাসুরের হাতেই ক্ষমতা। তবে মনে রাখতে হবে, রক্তাসুর থাকলে মহাকালীও থাকবে। নরক থেকে শয়তান উঠে এসেছে, তারা নৃত্য করছে, ক্যানিং, ভাঙড়, বাসন্তী, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদের মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। শয়তানরা এখন সব এখানেই।কমিশনারকে কটাক্ষ, আমি আপনাকে নিয়োগ করেছি, আর আপনি আমাকে হতাশ করেছেন। আপনি কর্তব্য পালনে ফেল করেছেন। রাস্তায় যে শবদেহ পড়ে আছে তার জন্য আপনিই দায়ী। আপনি কি অশ্বথামা হতে চান? রাতের অন্ধকারের চোরের মতো ঢুকে পাণ্ডবদের ছেলেমেয়েকে যে কুচিয়ে কেটেছিল, নাকি আপনি জুজুৎসু হবেন, যিনি অর্ধমকে ছেড়ে এসেছিলেন। ভোটে আধাসামরিক বাহিনীর যথাযথ মোতায়েন, রুট মার্চ, স্ট্রং রুম পাহারা দেওয়ার বিষয়গুলি নিয়ে কমিশনারকে পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল।তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, গোটা রাজ্যে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন হচ্ছে। সেখানে মাত্র ৭-৮টা বুথের ঘটনা নিয়ে এত প্রলাপের কোনও অর্থ হয় না। রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে রাজনীতি করছেন।

জুলাই ০৭, ২০২৩
রাজ্য

জরুরি অবতরণ মুখ্যমন্ত্রী মমতার হেলিকপ্টারের, চোট পেলেন কোমর ও পায়ে

সেবকে বায়ুসেনার এয়ারবেসের জরুরি অবতরণ করা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারের। সূত্রের খবর, হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পায়ে ও কোমরে চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে গাড়িতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিশেষ বিমানে কলকাতা রওনা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ক্রান্তির সভা সেরে মঙ্গলবার দুপুরেই উড়ানে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই জলপাইগড়ি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফেরার জন্য ওড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। কিন্তু, মাঝ আকাশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে কপ্টারটি। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর ওই কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয় বায়ুসেনার সেবক এয়ার বেসে। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন দুপুরে জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে পঞ্চায়েতের প্রচার সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল সভা করেছেন কোচবিহারে। সেখান থেকেই বাগডোগরা হয়ে উড়ানে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁর। সাধারণত ক্রান্তি থেকে বাগডোগরা কপ্টারে যেতে সময় লাগে ১১ মিনিট। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্যোগের মুখে পড়ে কপ্টার। বৈকণ্ঠপুর জঙ্গলের কাছে মাঝ আকাশে প্রবল দুর্যোগের কবলে পড়ে মমতার কপ্টার। বিপদ বুঝে পাইলট ঝুঁকি না নিয়ে সেবক এয়ার বেসের দিকে কপ্টারটি ঘুরিয়ে দেন। সেবক এয়ার বেসেই কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করা হয়। এর আগে গত বছর উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতা ফেরার সময়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান। কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা হবে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৩
রাজ্য

ভোটের মুখে কোচবিহারের সীমান্ত এলাকা উত্তপ্ত, গুলিতে ঝাঁঝরা- মৃত এক তৃণমূল কর্মী, জখম ৬

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। পঞ্চায়েত ভোটে প্রচার চলাকালীন কোচবিহারের গীতালদহের জারি ধরলা এলাকায় চলল নির্বাচারে গুলি। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের, জখম হয়েছেন ৬ জন। নিহতকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই অপকর্ম করেছে। তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্ব থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ১১ জনের।গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের চাঁদমারি থেকে পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সীমান্তবর্তী জারি ধরলা গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। গীতালদহে এক তৃণমূল কর্মীর বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও ৭ জন।দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ওপার থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। বিজেপির কয়েক জন নেতা, মন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্য এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে দুষ্কৃতীদের এনে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। জারি ধরলা এমন এলাকা যেখানে বিএসএফের নজর ছাড়া কিছু হওয়া সম্ভব নয়। তার পরেও এই ধরণের আক্রমণ হল। বাংলাদেশ সীমান্তের একেবারে কাছে এ রকম ঘটনা ঘটল। বিএসএফ কী করছিল? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ অধিকারীর বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছেন তিনি।কোচবিহারের বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় তৃণণূলের অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, দিনহাটার গীতালদহে জারি ধরলা এলাকা সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। যেখানে প্রতিনিয়ত চোরাচালানের কারবার চলে। ওই জায়গায় আমাদের সংগঠন একেবারে নেই বললেই চলে। বর্তমানে কয়েক জন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। বরাবরই ওই এলাকায় তৃণমূলের সংঘর্ষ লেগেই থাকে। খুনের পিছনে হয়ত কোনও চোরাচালান কারবারের যোগ থাকতে পারে বা এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল হতে পারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও দিনহাটার ঘটনার দিকে নজর রেখেছে। রিপোর্ট তলব করেছে জেলা প্রশাসনের কাছে।

জুন ২৭, ২০২৩
রাজ্য

পঞ্চায়েত ভোটে হাইকোর্টের নজিরবিহীন নির্দেশ

রাজ্য নয় দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে আদালতের নজিরবিহীন নির্দেশ। এবার পঞ্চায়েত ভোটেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলাকাত হাইকোর্ট। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে এই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকে কাশ্মীরা বিবি ও ওমজা বিবি নামের দুজন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। অভিযোগ, স্ক্রুটিনিতে তাঁদের ফর্ম বাতিল করে দেওয়া হয়। যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তা বিডিও অফিসে বিকৃত করা হয়। এমনকী বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি। এরপরই ন্যায্য বিচারের আশায় ওই দুই প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৭ জুলাই পঞ্চায়েতের নথি সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। ৮ জুলাই হবে পঞ্চায়েত ভোট।কেন রাজ্য পুলিশে আস্থা রাখলেন না বিচারপতি? বিচারপতি সিনহার যুক্তি, রাজ্য পুলিশকে এই তদন্তভার দেওয়া যাবে না। কারণ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিবিআইকেই এই ভার দেওয়া প্রয়োজন।পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেছিলেন বিরোধীদের একাংশ। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, সে প্রসঙ্গেই বিচারপতি সিনহা মন্তব্য করেন, একটি নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ, অশান্তির জন্য যদি কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া উচিত কমিশনের।

জুন ২১, ২০২৩
রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনে কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস রাজ্যপালের

সময় মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন কথা নয় কাজ হবে এবার। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা প্রসঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরের প্রতিক্রিয়া দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কলকাতা বিমানবন্দরে গতকালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন রাত আটটা নাগাদ দিল্লী থেকে ফিরে তিনি কলকাতা বিমানবন্দরের দ্বিতীয় টার্মিনালে আসেন। ডিপারচার লেভেলের থ্রি সি গেটের কাছে যে জায়গায় আগুন লেগেছিল সেই জায়গা তিনি পরিদর্শন করেন। অন্যদিকে গতকালের অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বিমানবন্দরের অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে এবং কোন রকমের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। কোনও প্রাণহানি হয়নি। একটি নিছক দুর্ঘটনা নয় মানুষের গাফিলতি থাকতে পারে।

জুন ১৫, ২০২৩
রাজ্য

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন জানাবে কমিশন, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

বিরোধীরা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর। বৃহস্পতিবার দুপুরে কড়া সুরে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আর এদিন বিকেলেই সেই ইঙ্গিতের বাস্তবায়ণ হল। শুধু স্পর্শকাতর জেলা নয়, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলাতেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা। এর আগে বহিনী সংক্রান্ত নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্যই আদালতে আর্জি জানিয়েছিল কমিশন। সেই মামলার নির্দেশেই জোর ধাক্কা খেল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার।প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কমিশনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিতকরণে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাতে কমিশন পদক্ষেপ করেনি। অবাধ মনোনয়ন প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করতেও কমিশনের ভূমিকা দৃঢ় নয়। এরপরই পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন জানাবে কমিশন। তৎক্ষণাৎ বাহিনী দিতে হবে কেন্দ্রকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ বহন করবে কেন্দ্র।এদিনের হাইকোর্টের বাহিনী নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, তৃণমূল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভয় পায় না। বাহিনীর সুরক্ষা সত্ত্বেও ভোটে তৃণমূলই জিতবে। কিন্তু নীতিগত প্রশ্নে এই নির্দেশের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে। অন্য রাজ্যে তো স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন সেই রাজ্যের পুলিশ দিয়েই হয়। তাহলে বাংলার ক্ষেত্রে আলদা নিয়ম কেন? বিরোধী দলগুলো পরিকল্পিতভাবে অশান্তি পাকিয়ে আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে বলেও এদিন দাবি করেছেন কুণাল।পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর দাবি নিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই মামলায় কমিশনকে স্পর্শকাতর জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বাহিনী সংক্রান্ত সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য ফের আদালতে আর্জি জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যেই মনোনয়ন ঘিরে হিংসায় জর্জরিত হয় বাংলা। পুলিশ কার্যত নীরব দর্শক ছিল। এসবের মধ্যেও স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে পারেনি কমিশন। আর কমিশনের এই ভূমিকাতেই ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে কমিশনের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, এবার কী তাহলে গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের নির্দেশ দিয়ে দেব? এর মধ্যেই মনোনয়নে হিংসায় নিহত হয়েছেন চার জন। শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষের সওয়াল শুনে রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

জুন ১৫, ২০২৩
রাজ্য

এ যেন ২০১৮-র প্রতিচ্ছবি, পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে তুমুল অশান্তি

অশান্তি পিছু ছাড়ছে না। ঠিক যেন ২০১৮-এর ছবির পুনরাবৃত্তি! পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি। এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের ডোমকল। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা লাঠি, বাঁশ, ছাড়াও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘিরে রেখেছিল বিডিও অফিস। সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলেই চলে হামলা। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। তুমুল উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামলাতে কার্যত হিমশিম দশা হয় পুলিশের।পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হতেই দিকে-দিকে অশান্তি। শনিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের ডোমকল। বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থীরা। অভিযোগ, আগে থেকেই বিডিও অফিসের দখল চলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীদের হাতে।পুলিশ থাকলেও দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য তাতে এতটুকু কমেনি বলেই দাবি বিরোধীদের। এদিন বিরোধী দলের প্রার্থীরা যেতেই তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।প্রাণভয়ে রাস্তায় দৌড়াতে দেখা গিয়েছে বিরোধী প্রার্থী থেকে শুরু করে বাম ও কংগ্রেসের কর্মীদের। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও উত্তেজনা কমেনি। বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে এদিন তাঁদের বাধা দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও বিরোধীদের তোলা এই অভিযোগের পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের তরফে মেলেনি।

জুন ১০, ২০২৩
রাজ্য

তীব্র দহনে ছাড়খাড় বাংলা, বর্ষা কবে প্রবেশ করবে বঙ্গে? জানুন আপডেট

তীব্র দাবদহে ঝলসে যাচ্ছে বাংলা। সকাল হতেই রোদের জ্বলন, বেলা বাড়তেই গরমও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি এখন যেন স্বাভাবিকের কোটায়। দক্ষিণবঙ্গ ও জঙ্গলমহল পুড়ে ছাড়খাড়। এখন বঙ্গবাসীর মনে একটাই প্রশ্ন বৃষ্টি কবে আসছে? চাতক পাখীর মতো অবস্থা সারা বাংলার। তবে বর্ষা নিয়ে কোনও আশারবানী শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিস। বরং আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী তাপপ্রবাহ চলতে থাকবে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হলেও বর্ষার কোনও সম্ভাবনাই এখন নেই। বর্ষা আসতে এবার দেরি হবে। সাধারণত বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে ৮-১০ জুন নাগাদ। উল্টে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয় দফতর। আলিপুর হাওয়া অফিসের আধিকারিক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেরলে বর্ষা প্রবেশের ইতিমধ্যে ৬দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা লাক্ষাদ্বীপের কাছেই আটকে আছে। এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে ঘুর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। শেষ পর্যন্ত এর হাত ধরেই কেরলে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলের পর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু একেবারে দক্ষিণ ভারত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে চলে আসে। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্য অসম, মেঘালয় হয়ে তা উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করে বর্ষা। সাধারণত জলপাইগুড়িতে ৭ জুন বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন। এখন রাজ্যে যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে তাতে এবার বর্ষা বেশ কয়েক দিন পরে ঢুকবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অনুকূল পরিস্থিতি না থাকার কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে দেরিতে।

জুন ০৬, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

দিদির সঙ্গে দেখা করতে কালীঘাটে বলিউডের বজরঙ্গী ভাইজান

ফ্যাকাসে আকাশী রঙের হাফ হাতা শার্ট। হাতের বাইসেপ ফোলানো চেনা দৃশ্য। নীল জিনসের ট্রাউজার। দোখে রোদ চশমা। বাহাতে গোল্ডেন ঘড়ি। ডানহাতে রিস্টবেল্ট। হাতজোর করে প্রণাম করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কালীঘাটে ভাইজানের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ১৩ বছর পরে কলকাতায় এলেন সলমন খান। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে রয়েছে ধামাকা। তার আগে দিদির সঙ্গে দেখা করতে কালীঘাটে যান সলমন খান। বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে।কলকাতায় এলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে কালীঘাটে যাবেন আগে থেকেই ঘোষিত কর্মসূচি ছিল বলিউড সুপারস্টারের। তাঁকে দেখার জন্য সলমন ফ্যানেরা ভিড় জমিয়েছিলেন রাস্তার দুধারে। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল ভাইজানের জন্য। সলমন খানের নিরাপত্তা নিয়ে মমতা চিন্তিত বলে জানিয়ে দেন। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। এদিকে গত বছর ২৯ জুন পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুন হন। তারপর থেকে টেনশন বাড়তে থাকে। আসতে থাকে খুনের হুমকি।

মে ১৩, ২০২৩
রাজনীতি

বঙ্গে কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ? কটাক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার রাতে দমদমে নেতাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অমিত শাহকে স্বাগত জানান বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। অমিত শাহর রাজ্য সফর নিয়ে গতকাল নবান্নে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে মনিপুর যাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মনিপুরে সংঘর্ষে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির পর বাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মনিপুর জুড়ে ১৪৪ কার্ফু জারি রয়েছে। সেই মনিপুর ছেড়ে বাংলায় কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ? প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, অমিত শাহ বাংলায় আসতেই পারেন। তাতে মনে করার কিছু নেই। কিন্তু আগে মনিপুরে নয় কেন? যে রাজ্য হিংসায় জ্বলছে। বাংলায় কিছু ঘটলে পরের দিনই তো প্রতিনিধি পাঠিয়ে দেন।মঙ্গলবার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে অমিত শাহর। ভারত-বাংলাদেশ পেট্রোপল সীমান্তে সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অমিত শাহ যাবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। এদিন বিকেলে সায়েন্স সিটির মঞ্চে খোলা হাওয়া আয়োজিত রবীন্দ্র স্মরণ অনুষ্ঠানেও হাজির থাকবেন অমিত শাহ। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিকে বহিরাগত তকমা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে। সেই তকমা ঘোচাতেই বিজেপির রবীন্দ্র স্মরণ। বিজেপি যে বাঙালি বিদ্বেষী নয় তা বোঝাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।

মে ০৯, ২০২৩
রাজ্য

কেন বাংলায় নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’? কি বলছেন মুখ্যমন্ত্রী ও সংঘ পরিবার?

বাংলায় দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। নিষিদ্ধ ঘোষণার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দ্য কেরালা স্টোরি তৈরি করে বিজেপি উদ্দেশ্য প্রণোদিত উসকানি দিচ্ছে। দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করতে মুখ্যসচিবকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শান্তি সৌহার্দ্য বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে খবর। যদিও বিজেপি ও হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, সংখ্যালঘু তোষণ করতেই দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।সোমবার নবান্নে দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই অস্বস্তি ব্যক্ত করেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এই সিনেমা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন। মমতার দাবি, ওরা বিভাজনের রাজনীতি করছে। কেন দ্য কাশ্মীর ফাইলস বানালো ওরা? এক শ্রেণীর মানুষকে কটাক্ষ করার জন্য। এখন কেরালা স্টোরি বানিয়েছে। ওটা সিপিএম-এর রাজ্য। আমি ওদের একেবারেই সমর্থন করি না। ওরা বিজেপি-র সঙ্গে চলছে।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিজেপি মনোনীত কিছু তারকা তো বাংলাতেও এসেছিলেন। তাদের টাকা দেয় বিজেপি। তথ্য বিকৃত করে তারা নাকি বেঙ্গল ফাইলস নামে একটি ছবি বানাচ্ছে। আগে কাশ্মীর ফাইলস, তারপর দ্য় কেরল স্টোরি, এবার বাংলার মানুষদের তাতাতে বেঙ্গল ফাইলস তৈরি করা হচ্ছে। এভাবে বাংলাকেও অপমান করার চেষ্টা করছে। ওরা বলছে, সেভ বেঙ্গল। কেন? শান্তিপ্রিয় একটা রাজ্য বাংলা। বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে কেন?তবে মুখ্য়মন্ত্রীর সিনেমা নিষিদ্ধ ঘোষণার পর বিজেপি ও সংঘ পরিবার একযোগে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। দ্য কেরালা স্টোরির বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আইসিসকে সমর্থন করছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষে সমর্থন করছেন। আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, সত্যি ঘটনাকে আড়াল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক টিকিয়ে রাখতেই এই পদক্ষেপ। বাঙালি হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন নিয়ে সিনেমা হওয়া উচিত বলেও মনে করে সংঘ পরিবার। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সাংগঠনিক পর্যায়ে বৈঠক করছে আরএসস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

মে ০৯, ২০২৩
কলকাতা

পোষ্যকে হাতে নিয়েই ট্রেডমিলে ঘাম ঝড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভিডিও ভাইরাল

ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতে বাজেট তৈরির কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন তিনি হাঁটার সময় পান না তখন ট্রেডমিলেই সেই কাজ সেরে নেন। রবিবার ছুটির দিনে ইনস্টাতে ট্রেড মিলে হাঁটার ভিডিও পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পোষ্যকে হাতে নিয়েই ট্রেডমিলে ঘাম ঝড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তাঁর হাতে মিষ্টি দেখতে একটি লোমশ বিদেশি কুকুর রয়েছে। সেই কুকুরটি হাতে নিয়েই ট্রেডমিলে হাঁটছেন মমতা। অবাক পানে তাকিয়ে রয়েছে কুকুরটি। সে কোনও দুষ্টমি করছে না।বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যখন মিছিলে হাঁটেন তখন তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারেন না নেতা-নেত্রীরাও। এমনকী তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও প্রায় ছুটতে থাকেন। যখন বাইরে হাঁটার সময় পান না তখন ট্রেড মিলেই হাঁটা সেরে নেন তিনি। এবার ট্রেডমিলে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ওই মিষ্টি পোষ্যকে দেখে নেটিজেনরা মজার মজার মন্তব্য করেছেন।

মে ০৭, ২০২৩
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার থেকে ছুটির ঘোষণা সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। আগামী কাল সোমবার থেকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এক সপ্তাহ ছুটি থাকবে অতিরিক্ত গরমের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিও ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সরকারি নির্দেশ মেনে বর্ধমান মডেল স্কুলও ছুটি ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।গত কয়েক দিন ধরেই টানা রোদে-গরমে পুড়ে ছারখার বাংলা। তীব্র দাবদাহের পরিস্থিতি বিবেচনা করে রবিবার সকালেই রাজ্যের সব সরকারি স্কুলে কাল থেকেই ছুটি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী সপ্তাহেই রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে ছুটি দিতে বলেছেন। সপ্তাহের শুরু সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সরকারি স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির ঘোষণার কথা জানিয়ে দেন তিনি। বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলিকেও ছুটি দিতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ী এলাকা এই ছুটির আওতা থেকে বাদ যাবে। রাজ্যে একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে। যা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা আছে। তীব্র গরমে ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্য। তাই আগাম গরমের ছুটির ঘোষণা।

এপ্রিল ১৬, ২০২৩
রাজ্য

বাংলা নববর্ষের প্রারম্ভে পুড়ে ছারখার সারা বাংলা, এগিয়ে আসছে স্কুলে গরমের ছুটি

এবার বাংলায় নববর্ষে তাপপ্রবাহের প্রবল শঙ্কা। পারদ ক্রমশ চড়ছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য়ের বেশ কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। গরমের তীব্র দহণের জন্য স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। এবার গরমের ছুটি পড়বে ২ মে। আগে ঠিক ছিল ২৪ মে গরমের ছুটি দেওয়া হবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। ১৪ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল এই তাপপ্রবাহের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে বাঁকুড়া, ক্যানিং-এ ৪০ ডিগ্রি। কলকাতা সহ অন্যত্র তাপমাত্রা ৩৮-৩৯ডিগ্রি। বুধবার আলিপুর জাজেস কোর্টে এক আইনজীবীর গাড়ি চালকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের অনুমান, প্রচণ্ড গরমেই ওই গাড়ি চালকের মৃত্যু হয়েছে। বীরভূম ও বর্ধমান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ মর্নিং স্কুল খোলার নির্দেশ জারি করেছে।

এপ্রিল ১৩, ২০২৩
সম্পাদকীয়

ডিএ নিয়ে মিছিল, অনশন-অবস্থানে উত্তপ্ত রাজ্য, বাকি বিষয়গুলির কি হবে?

ডিএ থেকে সরকারি কর্মীরা যেন বঞ্চিত না হন, এই দাবিতে জোরদার আন্দোলন চলছে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে ডিএ নিয়ে। আইনের কচকচানি ছেড়ে ডিএ নিয়ে কোনও প্রশ্ন না তুলেও বলা যায় বাকি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা জরুরি। সেদিকেও সরকারের নজর দেওয়া বাঞ্ছনীয়।সরকারি অফিসে কি দালালরাজ বন্ধ হয়েছে? ভূমিসংস্কার দফতরে কি সহজেই কোনও কাজ করানো সম্ভব? কলকাতার সরকারি হাসপাতালে সহজেই কি ভর্তি হওয়া যায়? পেনশনের ফাইল কি সময়ে নড়াচড়া করে? পুরসভাগুলিতে কি অবস্থা? যে কোনও সরকারি অফিসে অভিজ্ঞতা কমবেশি সকলেরই আছে। অধিকাংশ সরকারি অফিসে কিভাবে রোজ দিন লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজ করাতে গিয়ে কি হাল হয় তা অজানা নয় কারও। আর যদি সেই ব্যক্তি একটু কম বোঝেন তার কপালে দুঃখের শেষ থাকে না। সিবিআই, সিআইডি, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ যে কেউ তদন্ত করলেই এমন দৃশ্য দেখতে পাবেন। ১০-৫টা অফিস করার জন্য সরকারি দফতরে প্রয়োজন বায়োমেট্রিক এটেনডেন্স। তা কি এখনও হয়েছে? প্রয়োজন কাজ ভিত্তিক পারফর্মেন্স রিপোর্ট। কাধে ঝোলা ব্যাগ আর পার্টির নেতা সরকারি কর্মীদের একটা অংশ বাম আমলেও কোনও কাজ করতো কিনা প্রশ্ন রয়েছে। এখনও এই অংশের কর্মীরা কাজ করেন? কাজের নিরিখেই কর্মীর যোগ্যতা নির্ধারিত হওয়া উচিত। সেই অনুযায়ী আধিকারিক বা কর্মী সেই সুযোগ-সুবিধা পাবে, গায়ে হাওয়া লাগানোর দিন কবে বন্ধ হবে?এছাড়া যে বেআইনিভাবে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ হয়েছে তা আদালতের রায়েই প্রমান মিলেছে। অর্থাৎ এখনও এই সংখ্যা কত বাড়বে তার কোনও ইয়াত্তা নেই। তাহলে এই সব লোকজন জনগণের অর্থ এভাবে আত্মসাৎ করতে পারে? শুধু শিক্ষাকর্মী বা শিক্ষকদের কথা নয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, পুরসভায় যে সব কর্মী রয়েছেন তদন্ত করলেই তাঁদের নিয়োগের করুণ কাহিনী প্রকাশ পেতে বাধ্য। আগে বাম আমলে স্কুল ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজের বিষয় ছিল। অর্থাৎ কমপিটিটিভ পরীক্ষা দিয়ে স্বচ্ছভাবে কতজন সরকারি কর্মী নিয়োগ হয়েছেন তার পরিসংখ্যান কি সরকার প্রকাশ করতে পাবরে? কিন্তু ডিএ-এর জন্য প্রত্যেকের মাথাব্যথা।প্রশ্ন উঠেছে, যে ভাবে সরকারি ও সরকারি পোষিত সংস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে সেক্ষেত্রে ডিএ নিয়ে সাধারণের মনে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক নয় কি? সরকারি নিয়োগে স্বচ্ছতা, বায়োমেট্রিক হাজিরা, কর্মক্ষেত্রের সুষ্ঠু পরিবেশ, সাধারণের জন্য কাজ করার মানসিকতা তৈরি হওয়া প্রয়োজন। ডিএ-র সঙ্গে এই সব দাবি দাওয়া পূরণ করা উচিত নয় কি?

মার্চ ১৫, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 42
  • 43
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

আইজেএ এর উদ্যোগে সাংবাদিকতা কর্মশালা বর্ধমানে

প্রতি বছরের মতো এবারও সাংবাদিক সংগঠন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার উদ্যোগে হয়ে গেল সাংবাদিকতা বিষয়ে কর্মশালা। রবিবার বর্ধমান বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং বিবেকানন্দ কলেজের সহযোগিতায় এই কর্মশালায় পঞ্চাশ জন অংশ নেন।কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল । ছিলেন এভারেস্ট বিজয়ী সৌমেন সরকার, কাউন্সিলার ও সমাজসেবী রাসবিহারী হালদার, বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ অনিমেষ দেবনাথ, ওই কলেজের গণ জ্ঞাপন বিভাগের প্রধান বিনয় হাজরা, আইজেএ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারকনাথ রায় প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইজেএর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরূপ লাহা। সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি স্বপন মুখার্জি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জগন্নাথ ভৌমিক। কর্মশালায় ৫১ জন ছাত্র ছাত্রী অংশ নেয়। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, ডিজিটাল এবং প্রিন্ট মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কর্মশালায়। প্রশিক্ষণ দেন তন্ময় প্রামাণিক, জয়প্রকাশ দাস, পার্থ চৌধুরী ও শুভেন্দু সাঁই। এদিন বৃক্ষবন্ধু সমন্বয় দলের পক্ষ থেকে অতিথিদের হাতে একটি করে গাছের চারা উপহার হিসাবে দেওয়া হয়।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

সৌরভ এবার নতুন ভূমিকায়, বাঙালি শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হতে রাজি

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবার নতুন ভূমিকায়। বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন মহারাজ, চিফ প্যাট্রন হিসেবে। সেখানেই সৌরভকে প্রস্তাব দেওয়া হয় শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হওয়ার জন্য।সৌরভদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। সেই সঙ্গে সৌরভ নিজেও একজন উদ্যোগপতি। ইতিমধ্যেই তাঁর ইস্পাত কারখানা আছে। আরও একটি কারখানাও গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। বাণিজ্যিক সংস্থার মুখ হিসেবেও সৌরভের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। সেপ্টেম্বরে তিনি সিএবি সভাপতিও হতে চলেছেন। ফলে প্রবল ব্যস্ততা। তবে তার মধ্যেই সৌরভ রাজি হলেন বর্তমান ও আগামীর শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হিসেবে নয়া ভূমিকা পালন করতে।সৌরভের কথায়, সব ক্ষেত্রেই চাপ থাকে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী কিছুকে চাপ হিসেবে না ভেবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে। সৌরভ বলেন, যখন ম্যাকগ্রা, শোয়েবদের খেলতাম তখন দুটি পথ খোলা ছিল। হয় বল লাগলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আরেকটা হলো, যে বল আসুক তা আমি সামলাব। দ্বিতীয় ভাবনা প্রথম ভাবনাকে ছাপিয়ে গেলেই পরিস্থিতিটা সহজ হয়ে যায়। ক্রিকেট খেলায় সব সময় চ্যালেঞ্জ ছিল। যা খেলা ছাড়ার পর অনেকদিন মিস করেছি। খেলায় রি-টেক হয় না। একজন আমাকে বলেছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে কেন ফিল্ডিং নিয়েছিলাম? তাঁকে বলি, আপনার ১০ বছর পর এই অনুভূতি এলেও আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল সেই মুহূর্তেই। তবে ক্রিকেট খেলাই আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমি সব কিছুকেই নতুন সুযোগ হিসেবে দেখি। রোজ সাফল্য আসে না। কিন্তু ব্যর্থতার শিক্ষাতেও যে সাফল্যের বীজমন্ত্র লুকিয়ে থাকে তা স্পষ্ট করলেন সৌরভ।সকলের কাজ বা ভাবনার ধরন এক নয়। তবে তাতে বড় ফারাক কিছু আসে না। সৌরভ বলেন, পাকিস্তান সফরে পারভেজ মুশারফ মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এঁকে কোথায় পেলেন? তখন ধোনির বড় চুল। বড় ছক্কা হাঁকাতে পারেন। সৌরভের জবাব ছিল, আমাদের দেশে এমন প্রতিভা প্রচুর। শুনে মুশারফ বলেছিলেন, ওঁকে দুটো কথা বলবেন। উনি যেন এমন লম্বা চুল রাখেন, আর ছক্কা হাঁকানোর পথ থেকে না সরেন। সৌরভ গতকাল বলেন, সেই ধোনিকেই পরে লাগাতার খুচরো রান নিতে দেখেছি। পরিস্থিতি অনুধাবন করে তিনি এভাবে নিজেকে বদলালেও আমার মনে হয়, ধোনি তো আগের মতোই খেলতে পারেন। আবার ঋষভ পন্থকে যখন আগ্রাসী হিসেবে কিছু সাহসী শট খেলতে দেখি, তখন মনে হয় এমন শট খেলার কী দরকার ছিল? কিন্তু পন্থের ভাবনা অন্য। যা স্বাভাবিক। নিজের প্রতি সৎ থাকলেই সব বাধা অতিক্রম করা যায় বলে পরামর্শ দেন মহারাজ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভাল টেস্ট জিততে ভারতের কী করণীয়? মূল্যবান পরামর্শ সৌরভের

ম্যাঞ্চেস্টারেই সিরিজ হারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য ব্যাটিংয়ের দৌলতে পাঁচ টেস্টের সিরিজের চতুর্থ টেস্ট ড্র রাখতে পেরেছে শুভমান গিলের ভারত। ওভালে ভারত জিতলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর সিরিজ ড্র রেখে ফিরতে পারবে। সেই সম্ভাবনা দেখছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।সৌরভ বলেন, ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে শেষদিন যেভাবে ব্যাট করে ভারত টেস্ট ড্র রাখতে পারল তাতে তাদের নিশ্চিতভাবেই মনে হবে লর্ডসে জেতাও উচিত ছিল। ১৯৩ রানের টার্গেট সফলভাবে তাড়া না করতে পারার দুঃখ হওয়াও অসম্ভব নয়। লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, ঋষভ পন্থ এই সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। অনেক দিন পর বিদেশে কোনও টেস্টে একসঙ্গে এতজন বড় রান পেলেন। এই পারফরম্যান্স আগামী দিনেও যে ভারতীয় দলের মনোবল বাড়াবে তা নিয়ে সংশয় নেই মহারাজের।ওভাল টেস্টে জিততে অবশ্য ভারতের বোলিং বিভাগে উন্নতি চান সৌরভ। ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে সৌরভ পরামর্শ দিলেন কুলদীপ যাদবকে একাদশে রেখে বোলিং বিভাগ সাজাতে। তাতে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে টেস্ট জিততে পারে ভারত। টেস্ট দলের হেড কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের ট্র্যাক রেকর্ড সমালোচনার মুখে পড়েছে। সৌরভ অবশ্য গম্ভীরের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দল। ফলে সময় দিতে হবে। তরুণ ক্রিকেটাররা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছেন ইংল্যান্ডে, তা যথেষ্ট ইতিবাচক লক্ষণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে সৌরভের বক্তব্যে ঝড়! তবে যুক্তির বালাই নেই

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা হয়েছে। তাতে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে। এ ছাড়া সুপার ফোর আর ফাইনালেও দুই দলের দ্বৈরথের সম্ভাবনা। এশিয়া কাপের আসর বসছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসীন নাকভি, যিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানও।বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা কাম্য নয়। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আশা করি, এমন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আর ঘটবে না। একইসঙ্গে আমি মনে করি, খেলাধুলো চালিয়ে যাওয়া উচিত।এরপরেই কিছু সংবাদমাধ্যম সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না দেখিয়ে একাংশ প্রচার করতে থাকে। যা নিয়ে সৌরভের সমালোচনায় নেমে পড়েন রাজ্যের বিজেপি নেতারাও। সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না শুনেই, কিংবা পরিস্থিতি অনুধাবন না করেই। যার ফলে সেই বিজেপি নেতাদের একচোখামিও সামনে এসেছে।এশিয়া কাপের সূচি অনুমোদিত হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায়। যে সভায় বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। তাছাড়া বিসিসিআইয়ের সম্মতি ছাড়া তো এশিয়া কাপের সূচি ঘোষিত হতে পারে না। লেজেন্ডদের টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ভারত খেলেনি ক্রিকেটারদের আপত্তিতে। তবে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশ্যে বলেনি বা বিসিসিআইকে নির্দেশ দেয়নি যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা যাবে না। তা দিয়ে থাকলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকেই তা জানাত বিসিসিআই। বোর্ড সচিব এখন দেবজিৎ সাইকিয়া, যিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ। তাঁকে প্রশ্ন করার সাহস সেই মিডিয়ার নেই যারা সৌরভকে ভিলেন বানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে চলছে! কেন বিসিসিআইকে প্রশ্ন করা হচ্ছে না?সৌরভকে সফট টার্গেট করা কি টিআরপি বাড়াতে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন চান ভারত-পাক দ্বৈরথ হোক। হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি বিভিন্ন টুর্নামেন্টে হোক। নাহলে সবটাই বন্ধ থাকুক। সৌরভ নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে। মতামত ব্যক্ত করা গণতান্ত্রিক অধিকার। আর তা নিয়েই বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা।সৌরভ গতকালের অনুষ্ঠানে বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কমেন্ট সেকশন তিনি দেখেন না। ফলে কে কী বলল তাতে যায় আসে না। নিজের সততা বজায় রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

পরিযায়ী বাংলার শ্রমিকদের পাশে রাজ্য পুলিশ, বিশেষ আবেদন

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষ চলছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁদের কাউকে কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখছে, মারধর করার মতো অভিযোগ উঠছে। এই অবস্থায় রাজ্য পুলি সোশাল মিডিয়া ভিনরাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ সামাজিক মাধ্যমে বলছে, বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনে।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনেবাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই West Bengal Police (@WBPolice) July 25, 2025বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই সমস্যার কথা কাকে জানাবেন, কীভাবে জানাবেন, সেই বিষয়ে ওঁদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া নাগরিকরা যদি কোনও ধরনের সমস্যায় পড়েন, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কাছে আমাদের আবেদন, সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্থানীয় থানায় জানান। জেলার কন্ট্রোল রুমেও জানাতে পারেন। এ ছাড়া, পরিবারগুলির সুবিধার্থে আমরা চালু করছি একটি হেল্পলাইন। যার নম্বর হল 9147727666 । এই নম্বরে শুধু হোয়াটস্যাপ করা যাবে। মেসেজ করে প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে দিতে পারেন, নিজের নাম-ঠিকানাসহ। প্রতিটি তথ্য যাচাই করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবন, মৃত ৬, জখম প্রায় ৫০

মর্মন্তুদ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা রাজস্থানের স্কুলে! স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সরকারি স্কুলভবন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। শুক্রবার সাত সকালে রাজস্থানের ঝালাওয়ারে আচমকা একটি সরকারি স্কুল ভবন ধসে পড়ে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। ভবনটি ধসে পড়ার সাথে সাথেই চারদিকে চিৎকার ও আর্তনাদ শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

অনিল আম্বানির সংস্থায় হানা ইডির, কেন এই অভিযান?

অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একগুচ্ছ এফআইআর দায়েরের পর এবার সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লি ও মুম্বই-সহ মোট ৩৫টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। ইডি সূত্রে খবর, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান। ইতিমধ্যেই ৫০টিরও বেশি সংস্থার ২৫ জন উচ্চ পদস্থ কর্তা ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।বিশেষ করে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে অনিলের সংস্থা রাগা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।ইডি-র দাবি, এই ঋণ দেওয়ার আগে ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত সংস্থাগুলিতে টাকা পেয়েছিলেন, যেটি ছিল একটি বেআইনি কুইড প্রো কো চুক্তি।সেবি তাদের রিপোর্টে রিলায়্যান্স হোম ফিনান্স লিমিটেডের (RHFL) বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের কথা জানিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যেখানে কর্পোরেট ঋণ ছিল ৩,৭৪২ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৮-১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮,৬৭০ কোটিতে। ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটার ও সিনিয়র আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইডি সন্দেহ করছে, তারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এই ঋণ অনুমোদন করেছেন।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ জয় হিন্দ কলোনিতে

দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপাতত বন্ধ থাকছে উচ্ছেদ অভিযান। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকায় এখন কোনও উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় স্বস্তি এনে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালি ভাষাভাষী বাসিন্দাদের।জয় হিন্দ কলোনি মিনি বাংলা বলে পরিচিত। বহু দশক ধরে বাঙালি পরিবাররা এখানে বসবাস করছেন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই এলাকাকে অবৈধ বসতি বলে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, পানীয় জলের ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আইনি পথের আশ্রয় নেন স্থানীয়রা। আপাতত এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে।

জুলাই ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal