• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজনীতি

রাজ্যে বিজেপিতে বিধায়ক ২৭জন!

এই মূহুর্তে বিজেপির মোট বিধায়কের সংখ্যা কত? সংখ্যাটা শুনলে হিসেব গুলিয়ে যেতে বাধ্য। অন্য দল থেকে যোগ দেওয়ার পর এরাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭-এ। যোগদানকারীদের মধ্যে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছেন। তবে সব থেকে বেশি বিধায়ক এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। এছাড়া রাজ্যের তিনজন প্রাক্তন মন্ত্রী যোগ দিয়েছেন পদ্ম শিবিরে।২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপি মাত্র ৩ আসনে জয় পেয়েছিল। খড়্গপুর থেকে জয় পান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার জন্য বিধায়ক পদ ছাড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। তখন বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়ায় দুইয়ে। তারপর ২০১৯ উপনির্বাচনে আরও ৪ আসনে জয়লাভ করে পদ্মশিবির। মোট বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৬-এ। উল্লেখ্য, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এখন সেই দলে রয়েছে মোট ২৭ জন বিধায়ক। আর দুজন প্রাক্তন বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁরা প্রথমে মন্ত্রিত্ব ও পরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।তৃণমূল থেকে ১৫জন বিধায়ক এসেছেন পদ্মশিবিরে। কংগ্রেস থেকে ৩জন। ২জন সিপিএম থেকে ও সিপিআইয়ের ১ জন। এর মধ্যে দিপালী বিশ্বাস সিপিএম থেকে ভায়া তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের দুলাল বর তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দলে যোগদান করে এখন বিজেপির বিধায়ক ২৭ জন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায় কীনা সেটাই দেখার।কংগ্রেস এখনও বিধানসভায় বিরোধী দল। এই দলের অধিকাংশ বিধায়ক লিখিতভাবে কংগ্রেসে থাকলেও তৃণমূল ও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজ্যে এখন কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কত? তা বলতে হিমসিম খাবে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূলে একদিকে যেমন অন্য দল থেকে বিধায়ক এসে যোগ দিয়েছে, ঘাসফুল থেকেও একটা অংশ বিজেপিতে গিয়ে ভিড়ছেন।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
রাজনীতি

নতুন দলে গিয়ে বদহজম হচ্ছে শুভেন্দুর, কটাক্ষ পার্থর

শুভেন্দু অধিকারী আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। শুক্রবার কাঁথিতে দাদার হাত ধরে দলে যোগ দিলেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী। এদিন একই সঙ্গে আরও ১৪ জন কাউন্সিলর বিজেপিতে সামিল হন। এক প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নতুন দলের নতুন নেতা হয়ে নতুন ভাবে ভাবছেন। রামের টিকিটে জিতব করবো বিজেপি, এমন কথা যাঁরা বলতে চান সংসদীয় রাজনীতিতে তাঁদের নিশ্চয় অভিজ্ঞতা আছে! তবে এসব চটুল কথায় রাজনীতিতে স্থান পাওয়া যায় না। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন হরিশচন্দ্র চ্যাটার্জী এবং হরিশ মুখার্জি রোড থেকে দেড় জন লোক বাংলা চালাচ্ছে। এই প্রশ্নের জবাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২১ বছর পর মনে হল। সূর্য উদয় হল। আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় এঁদের মাথা ঠিক আছে তো! অতীত ভুলে গেলে হয় না। মেদিনীপুরের মানুষ মমতার সঙ্গে আছে। মেদিনীপুরের মানুষ সংগ্রাম বোঝে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগ্রাম করেছে। নতুন দলে গেছেন তাই বদহজম হচ্ছে বলে মন্তব্য় করেন পার্থবাবু।

জানুয়ারি ০১, ২০২১
রাজ্য

বিজেপির সঙ্গে কী 'ডিল' হয়েছে শুভেন্দুর? নিজেই জানালেন বিস্তারিত

পুরপ্রশাসক পদ থেকে সরানোর তিন দিনের মাথায় দাদার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন সৌমেন্দু অধিকারীসহ কাঁথি পৌরসভার ১৫ জন কাউন্সিলর। শুক্রবার কাঁথির ডরমেটরি ময়দানে বিজেপির সাংগঠনিক সভায় যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। যোগদান পর্বে শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য প্রশাসক থাকতে পারেন, তাহেরপুরে সিপিএমের প্রশাসক থাকতে পারে কাঁথিতে শুভেন্দু ভাই আছে অর্থাৎ তাঁকে সরিয়ে দাও। রামনগরের লোককে এনে কাঁথিতে পুরপ্রশাসক করা হয়েছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে শুভেন্দুর ডিল নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সেই ডিল-এর জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে ডেপুটি চিফ মিনিস্টার, বাবাকে রাজ্যপাল, ভাইকে মন্ত্রী এমন নানা বিষয় বিরোধী রাজনৈতিক দল দাবি করে আসছে। শুভেন্দুর দাবি, তাঁর সঙ্গে ডিল হয়েছে, প্রথমত প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষা হবে। নিয়োগ করতে হবে। টেট পরীক্ষা হবে প্রত্যেক বছর। ২-৪ হাজার টাকা মাইনের চাকরি থাকবে না। এখানে আয়ুস্মান ভারত চালু করা হবে। কৃষকরা ৬০০ টাকা পাবে। রাজ্যে সুশাসন আসবে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, সব ডিল কি বাইরে প্রকাশ পায়। এদিনও হরিশ চ্যাটার্জি ও হরিশ মুখার্জি রোড থেকে বাংলা চলতে পারে না বলে তিনি জানিয়ে দেন। তাঁর মতে, উত্তর কলকাতার বাটখাড়া মন্ত্রী, হাওড়া অবহেলিত।

জানুয়ারি ০১, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে কাল শুভেন্দুর মিছিল, সিদ্ধান্ত বদল মমতার

লড়াইয়ের ময়দানে দেখা হবে। নন্দীগ্রাম দিবসে এই হুঙ্কার দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর রাসের অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর ফের নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন তিনি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম। জানা গিয়েছে, বজরঙ্গবলীর পুজো উপলক্ষ্যে টেঙ্গুয়া মোড় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত এক শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন শুভেন্দুবাবু। এদিকে, তিনি নন্দীগ্রামে গেলেও ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদ দিবস পালনের অনুষ্ঠানে দলনেত্রীর পরিবর্তে হাজির থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। হঠাৎ কেন সিদ্ধান্ত বদল তা নিয়ে চর্চা চলছে। প্রতিবার ওইদিন শুভেন্দুবাবুর কর্মসূচি থাকে নন্দীগ্রামে, তারপর তিনি নেতাই যান। এবার তিনি বিজেপিতে। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করবেন। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, ওই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের জবাব তিনি পরদিন অর্থাৎ ৮ তারিখ দেবেন। এক মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায় থাকবেন। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে যাওয়ায় অবাক রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
রাজ্য

এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর

নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, অমিত মিত্রকও আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি। শেষমেশ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ৭ জানুয়ারির বদলে ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করবেন শুভেন্দু। জবাব দেবেন মমতার সভার। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিন প্রথম কাঁথিতে মিছিল ও সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভিড়ে ঠাসা ছিল মিছিল দাবি করেছে বিজেপি। এদিন শুভেন্দু একের পর এক তির ছুড়তে থাকেন। শুভেন্দু বলেন, মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী বলছেন শুভেন্দুর মুখে পরিবারতন্ত্র বলা মানায় না। আরে মাননীয় মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী আমি আপনার জামাইকে বলিনি তৃণমূলের যুব নেতা। লাল চুল, কানে দুল তার নাম যুবা তৃণমূল। আমি তাঁর কথা বলিনি। সৌগত রায়ের দাদা আমাদের বড় নেতা, প্রাক্তন রাজ্যপাল। আমি তাঁর কথাও বলিনি। আমি বলেছি কয়লা চোর, বালি চোর, পাথর চোর, গরুপাচারকারী ভাইপোর কথা। আবার চাকরি দিতে পারেনি পাউচ বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছেন অর্থমন্ত্রী, বলেছেন শুভেন্দু। এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেননি শুভেন্দু। এদিন কাঁথির সভায় তৃণমূলনেত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করেছেন তিনি। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, আপনি ৭জানুয়ারী, ১৪মার্চ, ১০ নভেম্বর কোনও দিন আসেননি। কাল টিভিতে দেখলাম আপনি আসছেন। আপনি এলে রাস্তা সারাবে। আমার জেলার লাভ হবে। আমি ৭ তারিখে প্রতিবছর আমি যাই। এবার ওই দিন বড় কর্মসূচি নেব না। ৭ তারিখ আসছেন, ভাল কথা মোস্ট ওয়েলকাম। এতদিন আসেননি। আসুন। আমি যা যা বলতে আসছেন আমি জানি। ১০০০টা শুভেন্দু তৈরি হয়। কে ওটা, কী হবে। শুভেন্দুকে কাউন্টার করতে হাটবারে হাটবারে চারটা-পাঁচটা পুলিশের পাইলট কার নিয়ে জোড়া জোড়া মন্ত্রী। শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, ৭ তারিখে আসুন, ভাষন দিন। আমি ৮ তারিখে সভা করা আপনার সব কথার জবাব দিয়ে দেব। আমি শৃঙ্খলাপরায়ন লোক। আমি আজই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানিয়েছি নন্দীগ্রামে ৮ তারিখ সভা হবে। উনি সরকারি ক্ষমতায় লোক আনবেন, আমি আবেগ-ভলবাসায় লোক আনব। শুভেন্দু এদিন একাধিকবার ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে টিকিট পায়নি বলে তৃণমূলনেত্রীর বাড়িতে ঢিল মারতে গিয়েছে। আমফানের পর কলকাতার লোক বুঝে গিয়েছিল কী তাঁর যোগ্য়তা। গ্রামের সঙ্গে লড়াই দক্ষিণ কলকাতার চার-পাঁচটা লোকের। ৪০ টা দফতর ওই চার-পাঁচটা লোকের। শুভেন্দুর ঘোষণা, গোপীবল্লভপুরের দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু হাত মিলিয়েছে। যেতে তোমাদের হবেই। পদ্ম ফুটিয়ে ঘুমাতে যাব।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
রাজনীতি

"অমিত শাহ বাউলের গান শুনেছেন, কিন্তু মনের কথা শোনেননি"

রাজ্যে দল ভাঙা-গড়ার কাজ চলছে জোরকদমে। কে কোন দলে আছেন, আর নেই তা বোঝাই দায় হয়ে পড়েছে। ঘনঘন জার্সি বদল চলছে খেলার মযদানের মতোই। বুধবার তৃণমূল ভবনে এক প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়(partha chatterjee) বিজেপির উদ্দেশে বলেন, নিজের সংগঠনের ওপর জোর নেই। আগে নিজের ঘর সামলাও পরে অন্যের দিকে নজর দেবে। জঞ্জাল দিয়ে দলটা ভর্তি করছে, তা ভবিষ্য়তই বলবে। কাটমানি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পার্থ বলেন, ওরা সব কিছুতেই কাট দেখে। বিজেপি তুমি বাংলা থেকে কাটো। সম্প্রতি দুদিনের বাংলা সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ( amit shah)। শান্তিনিকেতনে য়ে বাউলের গান শুনেছেন তিনি এখন তৃণমূল শিবিরে। পার্থ চট্টেপাধ্যায় বলেন, অমিত শাহ পুরো ড্রামা করেছেন। গান শুনেছেন বাউলের। কিন্তু বাউলের মনের কথা শোনেননি তিনি। মনের কথা না শোনা বাহুবলী নীতি বিজেপির। কাউকে জোর করে আনা আর মন থেকে আসা পুরো আলাদা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারে বারে বাংলায় আসছে। তৃণমূল মহাসচিবের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের জন্য কিছু ভাবছে না বিজেপি। যা ভাববে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়াবে। বাংলার আইন-শৃঙ্খলা এত ভাল যে বারবার ওদের আসতে হচ্ছে। কে ভোগী আর ত্যাগী মানুষ তাঁর জবাব দেবে। মিথ্যা-অপপ্রচার করছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস কে গেল আর কে এল এসব নিয়ে ভাবে না।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের পদত্যাগের হুঁশিয়ারি, শোরগোল তৃণমূলে

জেলার এক সাংসদ ও দুই বিধায়ক বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এবার পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষ। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদিকার পদ ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিতে তোলপাড়। এবার বেসুরো পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝি। মঙ্গলবার মিঠু মাঝি জানিয়ে দিলেন কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। তবে তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের নারী ও শিশু এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ পদ ছাড়লেও দল থেকে পদত্যাগ করছেন না। মিঠু মাঝি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অপমানিত হচ্ছেন। তাঁকে না জানিয়েই সব কাজ করা হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই তিনি এই কর্মাধ্যক্ষের পদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরও পড়ুন-- আমাকে বিধায়কের টিকিট দেওয়ার দরকার নেই-শুভেন্দু মিঠু পরপর দুবার জেলাপরিষদের জামালপুর আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করার পর তাঁকে নারী ও শিশু, সমাজকল্যাণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ করা হয়। কিন্তু তাঁকে কোনো কিছু না জানিয়েই সবরকমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তাঁর দপ্তরের অধীন যে সমস্ত বিষয় সে সম্পর্কেও তাঁকে কিছু জানানো হচ্ছে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই তাঁকে জানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মিঠু মাঝি। আরও পড়ুন-- তোলা না পেয়ে মারধরের অভিযোগ, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি তাঁর অভিযোগ, আমাকে না জানিয়েই গতবছর সবলা মেলা গলসিতে করা হয়েছিল। এবছর সবলা মেলা করা হচ্ছে মেমারির সাতগেছিয়ায়। কিন্তু এবিষয়েও আমাকে কিছুই আগাম জানানো হয়নি। সবকিছু ঠিক করে আমাকে জানানো হয়েছে। এভাবে দিনের পর দিন আমি আর উপেক্ষার পাত্রী হয়ে থাকতে রাজি নই। গোটা বিষয়টি আমি দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথসহ জেলা নেতৃত্ব এমনকি খোদ সভাধিপতিকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনে সুরাহা হয়নি। এমনকি এব্যাপারে কথা তোলায় আ্মাকে কার্যত অপমানিতও করা হয়। আরও পড়ুন-- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর মিঠু জানিয়েছেন, তিনি ত্রাণ বিভাগেরও কর্মাধ্যক্ষ। সাম্প্রতিককালে আমফানে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যের জন্য তিনি প্রতিটি জেলা পরিষদ সদস্যকে ৫টি করে ত্রিপল দেবার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে অপমান করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই তিনি সরকারি অর্থ খরচ করে প্রতিদিন জেলা পরিষদে আসা তিনি মানতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়েই তিনি পদত্যাগ করছেন। যদিও তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেও তিনি তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদিকা হিসাবে এবং জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবেই কাজ করে যাবেন। এমনকি তিনি তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলেও যাচ্ছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এই বিষয়ে জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, এখনও এব্যাপারে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। জেলা পরিষদের সব কর্মাধ্যক্ষই নিজের মত স্বাধীনভাবে কাজ করেন।কাউকে কাজ বাধা দেওয়া হয় না। মিঠু মাঝির পদত্যাগ নিয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, কোনও সমস্যা হতেই পারে। ওসব বড় ব্যাপার নয়। সব আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২০
রাজনীতি

শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কার

শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জানিয়ে দিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক কণিষ্ক পন্ডাকে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি সেই নির্দেশ তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দিতে বলেছেন। রবিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কণিষ্ক পন্ডা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিগত কয়েকদিনে একাধিকবার শুভেন্দুর পাশে থাকার কথা বলেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের এই তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুকে সমর্থন করে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কনিষ্ক। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই দল বিরোধী কাজের অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এই নেতা। শেষমেষ দল তাঁকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল। ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক তৃণমূল বিধায়ক, নেতা নানাভাবেই শুভেন্দুকে সমর্থন করে বক্তব্য পেশ করেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী দলে না থাকলে দলের সমূহ ক্ষতি হবে। যদিও সেই সব নেতাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে যেভাবে দলের একাংশ ক্ষোভপ্রকাশ করছে তাতে দলের বিপদ ক্রমশ বাড়ছে। বিভ্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের নীচুতলার নেতা-কর্মীরা।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
রাজনীতি

বাঁকুড়া সফরে শুভেন্দুকে নিয়ে কীসের ইঙ্গিত মমতার?

বাঁকুড়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবার তাঁর বাঁকুড়া সফরে সঙ্গী ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবার দলনেত্রী নিয়ে গিয়েছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলাও করে সরকারি বিজ্ঞাপনে তাঁর নামও ছাপা হয়েছে। সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁর সঙ্গে বাগযুদ্ধ চলছে শুভেন্দুবাবুর। তাঁর মতো জননেতাকে কল্যাণের বিলো দ্য বেল্ট লাগাতার আক্রমণ ভালোভাবে নিচ্ছেন না তৃণমূলের অনেকেই। বিশেষ করে যখন সৌগত রায়ের আরও একবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা। শুভেন্দুবাবু দলনেত্রী সম্পর্কে কিছু বলেননি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেননি। তবে গাড়ি বা হেলিকপ্টারে তাঁর সঙ্গীদের দেখে অনেক বার্তা বোঝা যায়। কল্যাণকে সঙ্গে নিয়ে জেলা সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দিলেন তা নিয়েই চর্চা চলছে।আরও পড়ুন- শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে গল্প বানিয়েই চলেছে বাংলা সংবাদমাধ্যমরবিবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, দলের অনেকেই দোদুল্যমান। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথার উপর না থাকলে কার কত দম সেটাও বোঝা যাবে গোছের নাম না করে একটা বার্তা দেন তৃণমূল মহাসচিব। তারপরেই মমতা-কল্যাণ বাঁকুড়ায়। প্রশ্ন উঠছে, কল্যাণ যে শুভেন্দুবাবুকে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন (যা নিয়ে শেরপুরের সভায় নাম না করে কল্যাণকে অনিল বসুর সঙ্গে তুলনা করে প্রশ্ন রাখেন, এই কালচার আপনারা সমর্থন করেন?), তাহলে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন করছেন? অভিজ্ঞমহলের মতে, নীরবতা এমনিতেই সম্মতি লক্ষ্মণ। সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে বিবৃতি প্রত্যাহার করেনি দল। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি তৃণমূল শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে বিচ্ছেদ চাইছে?আরও পড়ুন- বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীরশুভেন্দুবাবুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বাঁকুড়ার দুটো লোকসভা আসনে হারে তৃণমূল। শুভেন্দুবাবু কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে তৃণমূলের যে ঢাকিশুদ্ধ বিসর্জন হবে সে বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নিশ্চিত। বিভিন্ন জেলা থেকেও তেমন ভাঙনের আভাস মিলছে। অনেকে বলছেন, দিদির ম্যাজিক যদি থাকত তাহলে বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ ২২-এ থমকাতো না। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ভোটের ফলের চাবিকাঠি থাকবে পান্তা খাওয়া, গামছা পরা গ্রামের ছেলে নন্দীগ্রামের বিধায়কের হাতেই।

নভেম্বর ২৩, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ধনকড়ের

রাজ্যে নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে, কোনও প্রতিকার হচ্ছে না। এই অভিযোগে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি পরে তিনি টুইটও করেন। চিঠিতে রাজ্যে গত তিনমাসে নারীদের উপর অত্যাচারের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। যা তিনি সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সূত্রেই পেয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশাসনিক উদাসীনতা দেখে তিনি বিস্মিত। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর আবেদন, এসব অন্যায়ের প্রতিকারে তিনি সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করে জনসচেতনতায় জোর দেবেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে রাজভবনে আলোচনার জন্য প্রস্তাব পাঠালেও, তার কোনও জবাব আসেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ কেউ কেউ ভোটের সময় আসেনঃ মমতা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যের নানা নেতিবাচক দিক তুলে ধরে সতর্ক করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই ভূমিকাকে বারবার ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করার যে নিদর্শন তিনি দেখে আসছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এ থেকেই বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে পুলিশ প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হয়েছে। এভাবে তাঁরা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিকে দুর্বল করে তুলছেন, যার প্রভাব জনমানসে পড়বে।

নভেম্বর ২১, ২০২০
কলকাতা

বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে ভারচুয়ালি উপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রতিবছরই রাজ্য সরকারের তরফে আয়োজন করা হয় বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান অনুষ্ঠান। সেখানে গোটা বাংলার নির্বাচিত বেশ কিছু পুজো কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। করোনার কারণে মঙ্গলবার ভারচুয়ালি ওই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রথমে কলকাতা বাদে ২২ টি জেলার মোট ২৭১ টি পুজো কমিটির হাতে তুলে পুরস্কার দেন সেখানকার জেলাশাসকরা। সেরা পুজোগুলিকে দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা, সেরা মণ্ডপ ৩০ হাজার টাকা, এবং সেরা কোভিড সচেতন পুজোগুলিকে ২০ হাজার টাকা। আরও পড়ুন ঃ বিজেপির চার নেতার বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের জেলার পর কলকাতার সেরা পুরস্কার প্রাপক ক্লাবগুলির নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠান থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দাদের নন্দীগ্রাম দিবসের শুভেচ্ছাও জানান তিনি। আন্দোলনের দিনগুলির কথা স্মরণ করে বলেন, শিশির দা-সহ যাঁরা নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে শুভেচ্ছা।

নভেম্বর ১০, ২০২০
রাজ্য

রাজনীতির টুপি মাথা থেকে ফেলে আইন মেনে কাজ করুন, বার্তা ধনকড়ের

ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ-প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি রাজ্য সরকার ও পুলিশ - প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে সোমবার একাধিক টুইট করেন । একটি টুইটে তিনি লেখেন , সংবিধানের বাইরে গিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা এবার সেসব বাতিল করুন। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে ক্ষমতার অলিন্দে বেআইনি অনুপ্রবেশ চলবে না। রাজনীতির টুপি মাথা থেকে ফেলে আইন মেনে কাজ করুন। আরও পড়ুন ঃ ভুবনেশ্বরে সিবিআই-এর স্পেশাল সেলে মারা গেলেন আইকোর কর্তা অনুকূল মাইতি আরেকটি টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, পুলিশ ও প্রশাসনকে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হতে হবে। এর জন্য তিনি ১৯৬৮ সালের এআইএস কন্ডাক্ট রুলস-এর কথা মনে করিয়ে দেন । আর তা মানা না হলে যে ফল ভালো হবে না তাও জানান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের মতে, তাঁর বার বার সংবিধান মেনে চলার পরামর্শ কিছুটা প্রশাসনের উপর প্রভাব ফেলেছে । তবে এখনও অনেকে তা মানছেন না ৷ এরপরই তিনি বলেন, যতই উপরে উঠে যান, আইন সবার ঊর্ধ্বে। প্রসঙ্গত , এর আগেও একাধিকবার টুইট করে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন ধনকড়। দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ্পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্টও করেছেন তিনি। এবার তার এই টুইটের জেরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের যে অবনতি হবে , তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০৯, ২০২০
রাজনীতি

দলের তরফে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুই পূরণ হয়নি , অভিযোগ মিহির গোস্বামীর

ফের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। শুক্রবার তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন , আজ যখন দেখছি দিদির দলে কোন ঠিকাদার থিংকট্যাঙ্ক কোম্পানি ঢুকে ঘরবাড়ি তছনছ করে দিচ্ছে, অপমানিত জনপ্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তখন দিদি অন্তরালে নির্বিকার! তাহলে সেই ঘরবারির মতো দিদির প্রতি এতদিনের সব আস্থা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাওয়াটা কী স্বাভাবিক নয়? আরও পড়ুন ঃ দার্জিলিং পুরসভার ১৭ কাউন্সিলর বিজেপি ছেড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায় তিনি আরও লেখেন , কংগ্রেসকে হারাতেই তৃণমূলে আস্থা রেখেছিলেন। তবে তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যারা কুকথা বলেছেন, তারাই আবার দলে যোগ দেওয়ায় বিরক্ত হয়েছিলেন তিনি। এত কিছুর পরেও তিনি দলনেত্রীর উপর আস্থা হারাননি। দলের তরফে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুই পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁর। দলে একাধিকবার অপমানিতও হতে হয়েছে তাঁকে। এদিন এভাবেই দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক। প্রসঙ্গত , কয়েকদিন আগে তিনি দলের বিরুদ্ধে এই একই ইস্যু্তে সুর চড়িয়েছিলেন। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কও কম হয়নি। এদিন ফের তিনি এই ইস্যুতে মুখ খোলায় নতুন করে এই বিতর্ক মাথাচাড়া দেবে বলে মত রাজ্যের রাজনৈ্তিক মহলের।

নভেম্বর ০৬, ২০২০
কলকাতা

পুলিশের মাধ্যমে শাসন চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ ধনকড়

পশ্চিমবঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে । সংবিধান, আইন-প্রশাসনকে উপেক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী । প্রাশসনকে বারবার চিঠি লিখেও উত্তর পাইনি । শুধু পুলিশের মাধ্যমে শাসন চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজনৈতিক আদেশ পালন করতেই কি রয়েছে পুলিশ? বৃহস্পতিবার দিল্লিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এমনই অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে , সে বিষয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু জানাননি। সাংবাদিকদের সামনে তিনি আরও বলেন, রাজ্যে আল-কায়দা জঙ্গি মিলেছে, বোমা তৈরির কারখানার হদিশ মিলছে। রাজ্যে প্রায় প্রতিদিন খুন হচ্ছে। রাজনৈতিক হিংসা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন ঘুমিয়ে রয়েছে। দেশের সংবাদমাধ্যমের জানা উচিত এই সমস্ত কথা। আরও পড়ুন ঃ ডাঃ সুকুমার হাঁসদার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখানেই শেষ করেননি তিনি। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জগদীপ ধনকর। বলেন, রাজ্য প্রশাসন কোনও প্রোটোকল মানে না। সংবিধানকে উপেক্ষা করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এখানে আমলারা রাজনৈতিক দলের অনুগত। তাই রাজ্যে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এসব নিয়ে রীতিমতো খবর করার জন্যও সাংবাদিকদের অনুরোধ করলেন রাজ্যপাল। নভেম্ব্র মাসে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তিনবার উত্তরবঙ্গে গিয়েছি। আবার যাব। উত্তরবঙ্গও পশ্চিমবঙ্গের অংশ। সেখানকার মানুষের সঙ্গে আভাব-অভিযোগ শুনব।

অক্টোবর ২৯, ২০২০
রাজ্য

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে অশুভ আঁতাত করছেনঃ অধীর

বিমল গুরুংয়ের পার্টির একটাই অ্যাজেন্ডা , গোর্খাল্যান্ড চাই। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে একটাই প্রশ্ন , আপনি কি সেই দাবিকে সমর্থন করছেন ? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এমনই প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় চলে গেলেন। উত্তরবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি দূর্বল হয়েছে। তাই নেপালি ভোট নিজের ঝোলাতে পুড়ে ফেলার জন্য তিনি এই ভয়ংকর খেলাটি খেলছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে অশুভ আঁতাত করছেন। নির্বাচনে আপনি নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আর কত নোংরা খেলা খেলবেন ? যখনই সমর্থন হারিয়ে ফেলছেন, তখনই তার রাজনৈতিক অস্থিরতা , চঞ্চলতা বাড়ছে। ইমাম ভাতা চালু করেছিলেন, পুরোহিত ভাতা চালু করেছেন। এই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একদিন জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন। কিষেণজি ও ছত্রধর মাহাতোকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের জন্য আপনি আর কত নীচে নামবেন ? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনার কবলে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের কনভয় বিজেপির সমালোচনা করে তার আরও বক্তব্য ,বিজেপি আসামে বলছে এনআরসি সেখানে নতুন করে চালু করা হবে। উত্তরবঙ্গে এসে বিজেপি নেতা বলছে এনআরসি আইন চালু হল বলে। একবছর আগে ওরা সংখ্যার জো্রে লো্কসভায় এনআরসি আইন পাশ করিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ওরা সেই আইন চালু করতে পারছে না কারণ, ওরা রাজনীতি করতে চায়। আমরা ওই আইনের বিরোধীতা আগেও করেছি , এখনও করছি। ভোট এসে গেছে। নাগরিক আইন নিয়ে বিজেপি আবার আলোচনা শুরু করেছে। এখানে এনআরসির কথা বলে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চেষ্টা হচ্ছে।

অক্টোবর ২২, ২০২০
রাজ্য

পথশ্রী প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ে যেন গন্ডগোল না হয়ঃ মুখ্যমন্ত্রী

চেন্নাই-মুম্বই থেকে লরি আসে। এই লরির চাকায় জীবাণু ছড়াচ্ছে। যেমন কাপড়জামা, বাজারের থলি থেকে ছড়ায়। তেমন হলে মাঝেমধ্যে চাকার ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা যেতে পারে। বুধবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি এই বিষয়ে বলতে গিয়ে আরও বলেন, বাইরের রাজ্য থেকে আসা লরি ড্রাইভারদের যদি ধাবায় বসে খেতে হয়, সেক্ষেত্রে কোভিড বিধি মেনে পুরোপুরি স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এই পুরো বিষয়টি নজরে রাখার জন্য প্রশাসনকে বলেন তিনি। মমতা বলেন,এখানে অনেককেই দেখছি মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তাদের বলছি মাস্ক পরুন। যাঁরা গরীব, টাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে পারছেন না, তাঁদের সবাইকে মাস্ক কিনে দেওয়ার জন্য সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, পথশ্রী প্রকল্পের কাজে বাধা দেবেন না। টেন্ডার নিয়ে কোনও গন্ডগোল যেন না হয়। সব পঞ্চায়েত, সব রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বলছি। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে কেউ টাকা চাইলে সোজা থানায় যান। সরকার জনগণের। কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঝাড়গ্রামে অনেক কাজ হয়েছে। তা সত্ত্বেও যারা বড় বড় কথা বলছেন তারা আগে নিজেরা একটু কাজ করে দেখান। নির্বাচনের আগে যাতে নতুন করে ঝাড়গ্রামে কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয় সেদিকে নজর রাখুন। এছাড়াও এদিন মাটির সৃষ্টি প্রকল্প নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। কমপক্ষে ৫ লক্ষ মানুষ কাজ পাবেন। এছাড়াও তিনি ঘোষণা করেন, ঝাড়গ্রামে সাংবাদিকদের জন্য ভবন তৈরি হবে। ভবনের জন্য পাঁচ কাটা জমি দেওয়া হয়েছে । খরচ দেবে রাজ্য সরকার।

অক্টোবর ০৭, ২০২০
রাজনীতি

হাথরসকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা আবহে আজ উত্তরপ্রদেশের হাথরস ইস্যুতে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতিতে এই প্রথম প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শনিবার বিকেল ৪টায় মিছিল বিড়লা প্লানেটোরিয়াম থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। শুক্রবার হাথরসে ঢুকতে গিয়ে বাধা পায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। অভিযোগ, মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ আপামর জনতা। তারওপর যোগী সরকারের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ আরও বাড়ছে। স্থানীয় জেলাশাসক হুমকি দিয়েছেন ওই পরিবারকে। এমনটাই অভিযোগ। কংগ্রেসে নেতা রাহুল গান্ধীকে মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে টুইটে উত্তরপ্রদেশের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পথে নেমে প্রতিবাদ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অক্টোবর ০২, ২০২০
রাজ্য

অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ মমতার

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতেও উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্নয়নের কাজ খতিয়ে দেখতেই এই সফর মমতার। উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ১০০ শতাংশ কাজ চাই। চা শ্রমিকদের জন্য করলেন বিশেষ ঘোষণা। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে মানুষের উন্নয়নের কাজে কেনও গাফিলতি না হয় এবং দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ইনস্পেক্টর রাজ বেশি চলছে। জনস্বার্থে কাজ বেশি চাই। খোলনলচে সব বদলে দেব। ১০০ পার্সেন্ট কাজ চাই, ১০০ পার্সেন্ট অভিযোগের সমাধান করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে দুই জেলার সব কাজ শেষ করার জন্য ডিএম-এসডিও-বিডিওদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের অর্থদপ্তর টাকা দেওয়া সত্ত্বেও অনেক জায়গায় কাজ হচ্ছে না বলে রিপোর্ট পেয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সভাধিপতিদের নির্দেশ দেন ডিএম-বিডিওদের সঙ্গে কথা বলে অসমাপ্ত কাজগুলি শেষ করুন। বুধবার দার্জিলিং, কোচবিহার ও কালিম্পংয়ের রিভিউ বৈঠক করবেন মমতা। এদিন চা বাগানের গৃহহীন শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চা বাগানের গৃহহীন শ্রমিকদের বাড়ি বানিয়ে দেবে সরকার। চা সুন্দরী প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ আগামী ২ মাসের মধ্যে শুরু হবে। তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প সম্পূর্ণ করা হবে। উত্তরবঙ্গে ৩৭০টি চা বাগানে প্রায় ৩ লক্ষ শ্রমিক রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথম পর্যায়ে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের মোট ৭টি চা বাগানের ৩,৬৯৪টি পরিবার এই প্রকল্পের বাড়ি পাবেন। আলিপুরদুয়ারে ৫টি চা বাগানের ২,৬৪১ টি পরিবার রয়েছে। আর জলপাইগুড়িতে ২টি চা বাগানে ১,০৫৩টি পরিবার থাকছে। তিনশো কামতাপুরি আন্দোলনকারী রাজ্যের উদ্যোগে মূল স্রোতে ফিরছে। এদিন ১৩০ জন কেএলও অ্যাক্টিভিস্ট ও লিংকম্যান মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাকি ১৬১ জন আগামীকাল, বুধবার ফিরবেন। এদিন জল্পেশ মন্দিরের পুরোহিত বিজয় চক্রবর্তীর হাতে পুরোহিত ভাতা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
কলকাতা

দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৫০হাজার টাকা, বিদ্যুতে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ একাধিক ঘোষনা মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা আবহে দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাদের নানা সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি একাধিক নিয়ম মানার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। করণ কোনওরকম ভাবে উৎসবের আবহে করোনা সংক্রমণ না ছড়ায়। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুর্গাপুজো সমন্বয় কমিটির সভা বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্যোক্তাদের নানাবিধ নির্দেশের কথা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, এবার রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলোকে ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেবে। তাছাড়া পুজো অনুমতির ক্ষেত্রেও একগুচ্ছ ছাড় ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ফায়ার ব্রিগেডের অনুমতি একেবারেই বিনামূল্যে মিলবে। পুরসভা এবার কোনও কর নেবে না। সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর ৫০% ছাড় দেবে।এককথায় দুর্গাপুজোয় কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও করোনা মেকাবিলায় নানাবিধ নির্দেশ ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি প্যান্ডেলে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তৃতীয়ার দিন রাত থেকে একাদশীর দিন পর্যন্ত প্রতিমা দর্শণ করা যাবে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন করার জন্য ক্লাবগুলিকে মাইকে ঘোষণা করতে হবে। প্যান্ডেল খোলামেলা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি চালা ঢাকা থাকে সে ক্ষেত্রে চারিপাশটা খুলতে হবে। চারিপাশ ঢাকা থাকলে চালা খোলা রাখতে বলেছেন। এক কথায় কোনভাবেই যাতে উৎসবের দিনগুলো করোনা সংক্রমণ না ছড়ায় সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ এবং সিঁদুরখেলা নিয়েও বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশি ভিড় করা যাবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। এবার আর রেড রোড কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে এ দিনের বৈঠকে নাম না করে গেরুয়া শিবিরের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজো না হলে এক কথা বলবে পুজো হলে আর এরকম অপবাদ চাপাবে। অতএব তাঁদের কোনওরকম সুযোগ দেওয়া যাবে না। কারণ পুজো নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। শকুনের দৃষ্টিতে তারা তাকিয়ে আছে। এবারে রাজ্যে মোট ৩৭ হাজার দুর্গাপুজো হচ্ছে তার মধ্যে কলকাতায় প্রায় আড়াই হাজার পুজো হবে। রাজ্য পুলিশ এলাকায় পুজোর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪৩৭, এছাড়া ১৭০৬টি মহিলা পরিচালিত পুজো রয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
রাজনীতি

রাতভর সংসদে অবস্থান, বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়ে মোদীকে বেনজির আক্রমণ মমতার

কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়ে দেশজুড়ে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবাসরীয় রাজ্যসভাকে ব্ল্যাক সানডে আখ্যা দিয়ে সোমবার ২১ সেপ্টেম্বর তিনি নরেন্দ্র মোদীকে হিটলার, উলঙ্গ রাজা বলেও বেনজির আক্রমণ করেন। এদিন নবান্ন থেকেই দলের মহিলা শাখার সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিজেপি মিটিং, মিছিল করে করোনা বাড়িয়ে চলেছে। করোনা আবহে কৃষকদের মরোনা বিল এনেছে। এর প্রতিবাদে আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। আজ রাতভর ডেরেক, দোলা-সহ ৮ সাংসদকে সাসপেনশনের প্রতিবাদে সংসদে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে রাতভর অবস্থান চলছে। বিভিন্ন বিরোধী দল রয়েছে। আমি বেশ কয়েকবার তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সলিডারিটি জানিয়েছি। কৃষকদের জন্য কথা বলতে গিয়ে সাংসদরা সাসপেন্ড হলেও আমি তাঁদের জন্য গর্বিত। তৃণমূলের মহিলা শাখা মঙ্গলবার মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবে। পরশু দলের ছাত্র সংগঠন এবং তারপর ক্ষেতমজুর ও কিষানদের সংগঠনকেও পর্যায়ক্রমে পথে নামার নির্দেশ দিয়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিটলারের কায়দায় দেশ চালানো হচ্ছে। ফ্যাসিজম চলছে। রাজ্যসভায় ওদের সাংসদরা ছিল না, প্রয়োজনীয় সংখ্যাও ছিল না। বিলের বিরোধিতায় ডিভিশন চাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তা না করে জোর করে ধ্বনি ভোটে কৃষি বিল পাশ করানো হলো। করোনা ঠেকাতে পারল না, এবার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে দুর্ভিক্ষ, ফুড প্যানডেমিক ডেকে আনতে চাইছে মোদী সরকার। ১৯৪৩-এর মন্বন্তরকে মনে করাচ্ছে। জিনিসের দাম বাড়বে, কৃষকরা দাম পাবেন না, আত্মহত্যা বাড়বে। কালকের ঘটনা নিন্দার যোগ্য। শুধু সাসপেন্ড নয় সাংসদদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবও নিয়েছে! বিজেপির আবার নিন্দা প্রস্তাব! সারা দেশের মানুষ ছিঃ ছিঃ বলবে। বলবে এই সরকারের থাকার দরকার নেই। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে। আলু, পেঁয়াজ বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। রোজকার জনজীবনে যে খাদ্যসামগ্রীগুলি লাগে সেগুলিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। জিনিসের দাম বাড়লে এ সব মনিটরিং করতাম। এখন রাজ্যের সেই সব ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। করোনার সময় অর্ডিন্যান্স এনেছে এ বিষয়ে। একজনই বসে সব চালাবে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, মজুতদার, ফোঁড়েদের সুবিধা করে দিচ্ছে। কৃষকদের পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করছে। যখন তখন শ্রমিকরা কাজ হারাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে তৃণমূল কংগ্রেস পিছনের সারিতে থাকবে। সামনের সারিতে থাকবেন মানুষ। অন্য দলগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিবাদ করলেই ওরা দেশদ্রোহী বলে দেয়। সীতারাম ইয়েচুরিদের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতাদর্শগত ফারাক আছে। কিন্তু দিল্লিতে যারা দাঙ্গা করল তাদের নাম বাদ দিয়ে কেন বিরোধী দলের নেতাদের নাম চার্জশিটে রাখা হলো। বাংলা আন্দোলন, নবজাগরণের ভূমি। ছাত্রসমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাঁদের নিয়ে জেইই, নিটে কী না করল কেন্দ্র! আবার নাকি দুর্গাপুজোর মধ্যে নেট পরীক্ষা নেবে! আমরাই প্রথম প্রতিবাদ করেছি। কাঁসর-ঘণ্টা বাজিয়ে বলব এই বিজেপি সরকার আর নেই দরকার।সব রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়েছে কৃষক ইস্যুতে। আগামী দিন শ্রমিক ইস্যুতেও সব রাজনৈতিক দলগুলি এক হবে। শ্রমিকদের ওপর বজ্রাঘাত ও কৃষকদের ওপর প্রত্যাঘাত চলছে। সর্বস্তরের মানুষকে প্রতিবাদে সামিল হতে আহ্বান জানাচ্ছি। চন্দ্রিমার নেতৃত্বে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস কয়েকজনকে নিয়ে হলেও কাল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে ধরনা দেবে। কাল মহিলারা, পরশু ছাত্ররা, তারপর দিন আমাদের ক্ষেত মজুর কিষান সংগঠন পথে নামবে। বিজেপি মজুতদার, কালোবাজারিদের সরকার হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ছিল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সুরের প্রতিধ্বনি, উলঙ্গ রাজা তোমার কাপড় কোথায়?

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিশ্ব তাঁকে বলে ‘লাকিয়েস্ট’… রমেশের কাঁপানো স্বীকারোক্তি — “সবচেয়ে একা আমি”

এক মুহূর্তে ভাগ্যবান, পরের মুহূর্তেই যেন সব হারানো মানুষ। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই দ্বৈত অনুভূতির মধ্যেই বন্দি রমেশ বিশ্বাসকুমার। সারা বিশ্ব তাঁকে বলছে লাকিয়েস্ট সারভাইভারকিন্তু তাঁর মনে শুধুই শূন্যতা। জীবিত বেঁচে ফেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ নয়, যেন এক অন্তহীন বোঝা। কারণ সেই আগুনের বলয়ে হারিয়ে গেছেন তাঁর ভাই, তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনের শক্তি।১২ জুন। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। রমেশ ছিলেন ১১এ আসনে। কয়েক সারি পিছনেই বসেছিলেন তাঁর ভাই অজয়। দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে-বিদেশে যাওয়াআসা ছিল নিয়মিত। কেউ জানত না, ওই দিনটাই হবে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে ঘেরা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় বিমান। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে দেখেছিল সেই আগুন, সেই কালো ধোঁয়া, সেই ছিন্নভিন্ন ধাতব খোলস। আর রমেশ দেখেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।চার মাস কেটে গেছে, কিন্তু রমেশ সামান্যটাই এগোতে পেরেছেন স্মৃতি থেকে। ভাইয়ের শেষকৃত্য নিজের হাতে করেছেন তিনি। কিন্তু মনের আগুন নিভেনি। আজও শীতল স্বরে বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এখনও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ভাইটা নেই। ও ছিল আমার মেরুদণ্ড। প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী। এখন আমি একেবারে একা।তিনি আর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে নয়, সন্তানের সঙ্গেও নয়। নিজের ঘরে থাকেন, দরজা বন্ধ করে। নিজের পৃথিবীতে কেবল ব্যথা, স্মৃতি আর নিঃশব্দ কান্না। কারও সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় না। নিঃশব্দটাই ভালো লাগে, বলেন রমেশ।দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানসিক আঘাত আরও গভীর হয়েছে। চিকিৎসা নেই। আর্থিক সংকটও ঘিরে ধরেছে পরিবারকে। শুধু রমেশই নন, ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-ও। প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজায় বসে থাকেন তিনি। কথা বলেন না। কারও সাথে নয়, নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করেন। প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের জন্য অসহ্য। খুব ক্লান্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে, বললেন রমেশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, চোখে জল রত্নার—“গোপাল ভবনের দরজা এখনও খোলা!”

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দলবদল আর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামাসব মিলিয়ে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ছয় বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ফিরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১৮ সালে দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন শোভন, বিজেপিতেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। শেষে বহু নাটকীয়তার পর আবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত।কিন্তু শোভনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দল যখন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করেছিল, সেই সময় ছিলেন না তিনি তৃণমূলে। আজ শোভন ফিরতেই রত্নার অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নতাহলে রত্নার ভবিষ্যৎ কী? শোভন কি আবার নিজের পুরনো বেহালা পূর্ব কেন্দ্র ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অন্দরে এখন এমনই কৌতূহল।আজ শোভনের দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রত্না বলেন, উনি দক্ষ প্রশাসক। আট বছর সময় নষ্ট হল। কথায় গর্বের সুর থাকলেও আক্ষেপও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন, আগে উনি কী রকম ছিলেন আর এখন কী রকম হয়েছেন! তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি রত্না। তাঁর ভাষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন অবশ্যই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দলের নীতিনির্ধারণে আমি নেই, তাই এ নিয়ে বলার কিছু নেই।শুধু তাই নয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থানও এই মুহূর্তে শোভন ও রত্নার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আদালত শোভনের ডিভোর্স আবেদন খারিজ করেছে। আবার রত্নার একত্র থাকার আবেদনও মানেনি আদালত। এই অবস্থায়ও রত্নার প্রকাশ্য বার্তাশোভনকে ঘরে ফেরার ডাক। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবনের মতো গোপাল ভবনের দরজাও ২৪ ঘণ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খোলা।দলের রাজনীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্কদুই অঙ্গনেই চলছে নাটকীয়তা। শোভনের প্রত্যাবর্তনে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন নতুন মোড় নিল, তেমনই রত্নার মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অধ্যায়ও ফিরে এল আলোচনায়। এখন দেখার, রাজনীতি ও সংসারের কোন পথে এগোয় শোভন-রত্নার গল্প।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

অনিল অম্বানির ৩,০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত, সিল বিলাসবহুল বাড়ি! ইডির মেগা অ্যাকশন, কাঁপছে কর্পোরেট দুনিয়া

নভেম্বরের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় চমক দেশের কর্পোরেট দুনিয়ায়। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত চলা এক অর্থপাচার মামলায় তাঁর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চারটি পৃথক অস্থায়ী আদেশ জারি করে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত সম্পদের তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলের অনিল অম্বানির বিলাসবহুল বাসভবন। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি সিল করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনের সম্পত্তিও নজরবন্দি।এই মামলা মূলত রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকার দুর্ব্যবহার এবং তছরুপ হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক এই দুই প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষে সেই ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়।ইডির দাবি, অনিল অম্বানির বিভিন্ন সংস্থাযার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছেমোট ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডাইভার্ট করা হয়েছে বিশাল অঙ্ক। চলতি বছরের অগস্টে অনিল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার আগে জুলাই মাসে তাঁর সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মোট ৫০টি সংস্থা ও একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছিল সেইসময়।উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্র সিবিআই-এর এক এফআইআর। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ইডির পদক্ষেপ। আর এই মুহূর্তে স্পষ্টঅনিল অম্বানির আর্থিক সাম্রাজ্যে তীব্র চাপ নেমে এসেছে। নব-নভেম্বরেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ি-বাড়ি ফর্ম, রাস্তায় আতঙ্ক—হাসপাতালে তৃণমূল কাউন্সিলর

এখন বাংলায় এসআইআর ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফর্ম বিলি, বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিএলওরা। আর সেই গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। তৃণমূল বলছে, মানুষের আতঙ্ক সামলাতে গিয়েই অসুস্থ তিনি। বিজেপি-র ভাষায়এ সবই নাটক।রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকির আলি। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শয্যায় শুয়েই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে একটি বড় বস্তি এলাকা আছে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই সেখানে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনভর বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে এসেছেনতাঁদের নাম বাদ যাবে না তো? কাগজপত্র ঠিক আছে তো? কী করতে হবে? কারও হাতে পাকা নথি নেই, কারও তথ্য মেলে না। সেই আতঙ্ক সামলাতে সামলাতেই ধকল যায় তাঁর, দাবি কাউন্সিলরের। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনটাই বলছে তৃণমূল শিবির।অন্যদিকে বিজেপি একেবারে পাল্টা সুরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, পুরোটাই নাটক! তাঁর অভিযোগ, দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর চলছে, কোথাও এমন কেউ অসুস্থ হচ্ছে না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের কাউন্সিলরই কেবল অসুস্থ হচ্ছেন! অভিযোগ আরও এগিয়ে গিয়ে বলেন, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাকির আলির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।এদিকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে বাস্তব, তা স্পষ্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আতঙ্ককে দায়ী করা হচ্ছে। হুগলির ডানকুনিতে রবিবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন ষাট বছর বয়সি হাসিনা বেগম। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কী নথি লাগবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত হবে। তার মধ্যেই আতঙ্ক যেন ছায়ার মতো তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে।রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন একটাইএসআইআর কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কি ন্যায়সঙ্গতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে? নাকি আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে? মানুষের ঘরে ঘরে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক পালটা-যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই হাসপাতালে শুয়ে আছেন সাকির আলিতাঁর দাবি, মানুষ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের শরীরই হার মানল। বিজেপি বলছে, সবটাই সাজানো দৃশ্য। সত্যি কোনটা? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ! একের পর এক গাড়ি পিষে এগলো ডাম্পার—চিৎকারে কাঁপল জয়পুর

ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাজস্থানের জয়পুর। সোমবার দুপুরে লোহামান্ডি রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত দশ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তাঁদের মধ্যে বহুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণপ্রত্যাশী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এতগুলো প্রাণ হারাতে দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ডাম্পারের চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রথমে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপর আর থামেনি। একের পর এক তিন-চারটি গাড়িকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর ডাম্পারটি। মুহূর্তে রক্তমাখা লোহামুখী রাস্তায় হাহাকার। চিৎকার-আর্তনাদে ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন মানুষ।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এখনও হয়তো কয়েকজন ডাম্পারের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ভারি যন্ত্র এনে গাড়ি সরানোর চেষ্টা চলছে। ডাম্পারচালককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সত্যিই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রাজস্থানে যেন দুর্ঘটনার অভিশাপ নেমেছে। একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় যোধপুরে মালা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন পুণ্যার্থী। কোলায়াত মন্দির থেকে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাভেলার গাড়ি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এখনও সেই শোক কাটেনি রাজস্থানের মানুষের। তার মধ্যেই ফের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল জয়পুরের ব্যস্ত রাস্তা।দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছেকেন এত প্রাণ হাঁটুর চাপে? কেন রাস্তায় এত নেশাগ্রস্ত চালক? নিরাপত্তা কোথায়? আর কত পরিবারকে এভাবে ভেঙে পড়তে হবে? এই রক্তাক্ত ছবিই হয়তো আবারও মনে করিয়ে দিলজীবন সেকেন্ডের খেল, আর গাড়ির স্টিয়ারিং ভুল হাতে পড়লেই সর্বনাশ অনিবার্য।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দটি কেটে দিলেন হরমন! বিশ্বজয়ের পর বার্তা—ক্রিকেট সবার

কিছু স্বপ্ন থাকে সারা দেশের। শুধু পুরুষ বা মহিলার নয়, কোটি মানুষের। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছেএটাই মূল কথা। এখানে মহিলা ভারত নয়, টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের অভিধান কখনও লিঙ্গের ভাগে ভাগ করা যায় না।ক্রিকেটকে এত দিন বলা হতজেন্টলম্যানস গেম। কিন্তু নতুন ইতিহাসের রাতে সেই শব্দটাই পাল্টে দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বিশ্বজয়ের পর সকালে ট্রফি বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করলেন ভারতের অধিনায়িকা। তাঁর টি-শার্টে লাইনে লেখাGentlemans শব্দটি কেটে দিয়ে পাশে বড় অক্ষরেCricket is Everyones Game। বার্তাটা স্পষ্টক্রিকেট শুধু পুরুষের নয়, সবার খেলা।হরমনের সঙ্গে স্বপ্নে ভেসেছেন স্মৃতি, জেমাইমা, শেফালিরাও। রাতভর ছিল উন্মাদনা, আনন্দ, নাচ, হাসি। গোটা দেশ দেখলনতুন ইতিহাস লেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা জানালেন, এই স্বপ্ন কোটি ভারতবাসীর। হরমনের ক্যাপশনে তাই লেখাকিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের।এই জয়ের পেছনে আছে ত্যাগ, কষ্ট, বাধা আর লড়াই। গ্রামের মাঠে শেফালিকে শুনতে হয়েছেমেয়েদের আবার ক্রিকেট! তাই তিনি চুল কেটে ছেলে সেজে খেলেছেন ছেলেদের টুর্নামেন্টে। হরমন নিজে ওড়না বেঁধে খেলেছেন ছেলেদের সঙ্গে, ভেঙেছেন রীতি, জেদের সঙ্গে।এই দল জানে সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়। বড় ম্যাচের চাপ, সামনে ইতিহাসতবু নিজেরা ভেঙে পড়েননি। এত দিন ধরেই মেয়েদের ক্রিকেট আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু বিশ্বজয় বলছেএ দেশ এখন বলছে, আমাদের হরমন, আমাদের শেফালি, আমাদের টিম ইন্ডিয়া।২০০৫ সালে স্বপ্ন ভেঙেছিল। ২০১৭-য় আবার heartbreak, তবু মনে রইল হরমনের ১৭১ রানের ইতিহাস। এবার আর হার নয়। এবার ট্রফি ঘরে। এই ট্রফি শুধু আজকের মেয়েদের নয়, ঝুলন-মিতালির মতো কিংবদন্তিদেরও। ভবিষ্যতের প্রতিটি ছোট মেয়ের কাছে বার্তাস্বপ্ন সত্যিই হয়, যদি লড়াই করো।এখন থেকে ভারতীয় ঘরে ঘরে বাবা-মা হয়তো বলবেনহরমনপ্রীতের মতো খেলো। আর ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরে ঝুলবে নতুন নামজনগণমন অধিনায়িকা হরমনপ্রীত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal