• ১২ পৌষ ১৪৩২, বুধবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

রাজ্য

রাজ্য

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল ভাতার, ব্যাপক বোমাবাজি, জখম আট

তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার। শুক্রবার ভাতারের মোহনপুরে খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি চলে। গুলিও চলে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে জখম হয়েছে ৮ জন। ঘটনাস্থলে গিয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হালপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এদিন সংঘর্ষের পর মোহনপুর গ্রাম জনমানব শূন্য হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভাতার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা যাতে না ঘটে তাই পুলিশি টহল চলছে। বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে ভাতার থানার পুলিশ।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি জখম আমির মল্লিক জানান, ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলের সঙ্গে বর্তমান বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা হয় জমি দখলকে নিয়ে।

জুন ২৪, ২০২২
রাজ্য

২১ জুলাই সফল করতে শিক্ষকদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকে কাকলি

কোভিড পরিস্থিতির কারণে পর পর দুবছর ধর্মতলায় ২১ জুলাই শহিদ দিবসে আনুষ্ঠানিক সমাবেশ করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য বছরের মতো ২০২০ ও ২০২১-এ ধর্মতলায় শহিদ বেদিতে মাল্যদান করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভার্চুয়াল বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ফের ধর্মতলায় জনসভা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তারই প্রস্তুতি সভা চলছে রাজ্যজুড়ে। বর্ধমান জেলাতেও চলছে মিছিল, মিটিং।শুক্রবার দেওয়ানদিঘীতে বর্ধমান এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে শিক্ষকরা মিলিত হয়েছিলেন শহিদ দিবস সফল করার শপথ নিয়ে। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত, তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি আবু বক্কর। হাজির ছিলেন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। ছিলেন বর্ধমান এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরাও। জেলা জুড়ে দেওয়াল লিখন, পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক, মিছিল, মিটিং চলছে ২১ জুলাই সফল করার জন্য।

জুন ২৪, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর সভা সফল করতে প্রস্তুতি বৈঠক রায়ানে

আগামী ২৭ জুন বর্ধমানের এগ্রিকালচার ফার্মের ময়দানে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবস। এই দুই অনুষ্ঠানকে সফল করতে বর্ধমান এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি ময়দানে নেমে পড়েছে। দেওয়াল লিখন থেকে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা করছে। বৃহস্পতিবার রায়ান অঞ্চলে সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই সভায় বক্তব্য রাখেন বর্ধমান এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত। এদিন তৃণমূলের কর্মীসভা ছিল ভিড়ে ঠাসা। উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি, ডাঙাপারা অঞ্চলের তৃণমূল সদস্য সেখ জামাল, কার্ত্তিক, রিন্টু, সেখ সিরাজ। কাকলি তা গুপ্ত বলেন, এক দেড়শো নয়, এলাকার সমস্ত মানুষকে নিয়ে এগ্রিকালচার ফার্মে পৌঁছাতে হবে আগামী ২৭ জুন। আমাদের এখানে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হচ্ছে। দায়িত্ব অনেক বেশি। ১০০ দিনের কাজে মোদী সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করছে। সেই দাবি জোরালো করতে হবে। ২৭ জুন মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে কেন্দ্র করে বর্ধমানে সাজো সাজো রব। ওই দিনই প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জুন ২৩, ২০২২
রাজ্য

বাংলায় এক ধাক্কায় চমকে দেওয়ার মতো বাড়লো করোনা সংক্রমণ, কপালে চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের

ধীরে ধীরে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার বাংলায় এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়লো করোনা সংক্রমণ। রাজ্যে এদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৫ জন। তার মধ্যে সব থেকে বেশি কলকাতায় প্রায় সাড়ে তিনশো। উত্তর ২৪ পরগণায় আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় আড়াশো। একদিনে প্রায় ১৫০ শতাংশ বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। পজিটিভিটি রেট ৭.৩০ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কোভিড-এ এদিন কারও মৃত্যু হয়নি। গতকাল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯৫।বিগত কয়েকদিন ধরে দেশে সামগ্রিক ভাবে করোনা আক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বাংলায় করোনা বৃদ্ধি পেলেও সংখ্যা ছিল নেহাত অনেকটা কম। এদিনের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বক্তব্য, বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তাঁদের বেশিরভাগেরই মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তবে যাঁরা কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি যথেষ্ট আশঙ্কার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

জুন ২৩, ২০২২
রাজ্য

দেওয়ানদিঘীতে পানীয় জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করলেন কাকলি তা গুপ্ত

বর্ধমানের দেওয়ানদিঘীতে সর্বসাধারণের জন্য পানীয় জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করলেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত। সরাইটিকর গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি রূপায়ন করেছে বর্ধমান রোটারি ক্লাব। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের সুবিধার্থে এই জল প্রকল্প কাজে আসবে বলে জানিয়েছেন কাকলি তা গুপ্ত। পানীয় জল পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।দেওয়ানদিঘী মোড়ে বহু মানুষের যাতায়াত। এখান থেকে অনেকেই দূরদূরান্তের বাসে যাতায়াত করেন। নানা কাজে দেওয়ানদিঘী এলাকায় বহু সাধারণ মানুষের আনাগোনা। তীব্র গরমে পথিকদের স্বার্থে এই পানীয় জলপ্রকল্প খুবই উপযোগী, বলেন বিডিএ-র চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত। ব্যক্তিগত ভাবে এই প্রকল্প রূপায়নের জন্য তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ডা. গোলাম মহম্মদ, বর্ধমান ১-এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিরূপ ভট্টাচার্য।

জুন ২৩, ২০২২
রাজ্য

মহারাষ্ট্রের সঙ্কট-ছায়া বাংলায় দেখছেন শুভেন্দু অধিকারী

মহারাষ্ট্রে মহাসঙ্কটে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে সরকারের। সরকার ভাঙার মুখে। সঙ্কটে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপিজোট। নির্বাচনে জোট হয়েছিল শিবসেনা ও বিজেপির মধ্যে। কিন্তু তারপর বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে বিরোধীদের হাত ধরে সরকার গঠন করেছিল শিবসেনা। এই দলের অধিকাংশ বিধায়ক এখন বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে। এদিকে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি বাংলায় হবে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।এদিন পশ্চিমবঙ্গ দিবসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে। রাজ্য দুবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। ওখানে সুপ্রিকোর্ট বলছে সব তো ২ মে-র পরের ঘটনা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন বলে মামলা। তাই ভাইপো ও ভাইপোর বউকে ডাকলো বলে মামলা। ওসব নাটক খাটবে না। এরপরই শুভেন্দু মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, দেখতে থাকুন। মহারাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে, ঝাড়খন্ড হবে এবার বাংলা হবে।

জুন ২৩, ২০২২
রাজ্য

নতুন গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত গলসি, নজর রাখছে জেলা নেতৃত্ব

নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব এবং তার জেরে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগ ঘিরে তেতে উঠেছে গলসি ১ ব্লকের রাজনৈতিক পারদ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে তাতে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা বড় বিপদে পড়তে পারে শাসক তৃণমূল। এমনকি ওই ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম শিকেয় উঠতে পারে।রাজনৈতিক মহলের দাবি, দিন দুয়েক আগে শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পেছনে দলেরই কোন্দল রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজ না করে তৃণমূল পরিচালিত গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের টাকা পাওয়ার অভিযোগ তুলে সবর হয়েছেন ওই সমিতিরই সদস্য-সদস্যাদের একাংশ, বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ সহ খোদ সভাপতি রোকেয়া বেগমও। যদিও লিখিত কোন অভিযোগ নেই। তবে তাঁদের দাবি, ঠিকাদার কোন কাজ না করেই দুদফায় কাজের অনুমোদিত সমস্ত অর্থ তুলে নিয়েছে। আর তা হয়েছে ঠিকাদার অনুপবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে। আর এই অভিযোগকে ঘিরে সরগরম গলসির রাজনীতি। কিন্তু সেই সব অভিযোগ উড়িয়ে অনুপবাবুর পাল্টা দাবি, যা হয়েছে সব নিয়ম মেনেই হয়েছে। ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে দলের ভাবমূর্তি, প্রাশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছেন অভিযোগকারীরা। কিন্তু, দলের জেলা নেতৃত্ব জানেন কোথায় কি হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, গলসি ১ ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও তার তীব্রতা সব থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে গত এক মাসধরে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দলের আদিগোষ্ঠীর পরিবর্তে নতুন গোষ্ঠী মাথা চড়া দিয়েছে ওই ব্লকে। ফলে দিন যত যাচ্ছে ততই নতুন গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশে চলে আসছে। এলাকায় কোন গোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তার করবে, তা নিয়েই নতুন গোষ্ঠী-বিরোধ। যার এক দিকে রয়েছেন ব্লক তৃণমূল প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা সহ সভাপতি জাকির হোসেন এবং তাঁর অনুগামীরা। অন্য দিকে, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অনুপ চট্রোপাধ্যায় ও তাঁর গোষ্ঠী।স্থীনায় সূত্রে খবর, গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে আধিপত্য রয়েছে অনুপবাবুর। আর সভাপতি রোকেয়া সহ বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ আর সদস্য রয়েছেন জাকিরের দিকে। কিন্ত এমনটা ছিল না। মাস পাঁচেক আগেও জাকিরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল অনুপ। আর তাঁদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল দলের ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের। এলাকার রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দলের ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছে। তারই জেরে মারপিট, পার্টি অফিস ভাঙচুর, বোমাবাজির একাধিক অভিযোগ উঠছে দুই পক্ষের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই লড়াইয়ে তিতিবিরক্ত ছিলেন। কিন্ত নতুন করে জাকির আর অনুপের কোন্দল দলকে ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান সফরের আগেই গলসির এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব ঘুম ছুটিয়েছে জেলা নেতৃত্বের।কিন্তু কেন এমন হলো?রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাকির আর অনুপের দূরত্ব বেড়েছে পারাজ-শিল্ল্যা রোডের উপর পঞ্চায়েত সমিতির টোল নিয়ে। তাঁদের দাবি, ওই টোল নিজের ঘনিষ্ঠদের পাইয়ে দেওয়ার জন্য উঠে-পরে লেগেছিলেন জাকির হোসেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ম মেনে দরপত্র ডেকে দেওয়াতে তা হয়নি। এরপর যত দিন গড়িয়েছে ততই দূরত্ব বেড়েছে জাকির আর অনুপের। সম্প্রতি পারাজে কাঠের সেতুর উপর টোল আদায় বন্ধ করেছে প্রশাসন। যে কাঠের সেতুর উপর অবৈধভাবে টোল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল জাকিরের অনুগামীদের বিরুদ্বে। এই টোল আদায় বন্ধ করার পেছনে অনুপ কলকাটি নেড়েছে বলে মনে করছেন জাকিরের অনুগামীরা। ফলে জাকির আর অনুপের সম্পর্ক পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, দলের ভেঙে দেওয়া গলসি ১ ব্লক সভাপতি পদে দুজনই দৌড়ঝাঁপ করছেন। আর সেই দৌড়ে অনুপকে পেছনে ফেলতে জাকির গোষ্ঠী অনুপ ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারকে কাজের আগে টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে সবর হয়েছেনে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।জেলাস্তরে এক নেতার বক্তব্য, গলসির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবৈধ বালি খাদান চালানো, বৈধ বালি খাদান থেকে টাকা তোলার অভিযোগ ছিলই। তারপরে নতুন করে এমন সব অভিযোগ আসছে যা দলকে ভাবিয়ে তুলছে। তবে দল এইসব বেনিয়ম বরদাস্ত করবে না। আগামীতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তৃণমূলের জেলা শীর্ষ জানিয়ে দিয়েছে।

জুন ২৩, ২০২২
রাজ্য

বিজেপির বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষর মহামিছিল

বাংলা পক্ষ বঙ্গভঙ্গ চক্রান্তের বিরুদ্ধে কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মহামিছিল করল। মিছিলে হাজার হাজার বাঙালি উপস্থিত ছিল। বাংলার উত্তর দিকের জেলাগুলোকে বাংলা থেকে ভাগ করে আলাদা রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার চক্রান্ত করছে বাংলা ও বাঙালির শত্রু বিজেপি-আরএসএস। এরই প্রতিবাদে কলেজষ্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় পর্যন্ত এক মহা মিছিল সংগঠিত করে বাংলা পক্ষ।মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. গর্গ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস, মনন মণ্ডল, শোয়েব আমিন, অমিত সেন, কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায়, মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, হাওড়া জেলার সম্পাদক জয়দীপ দে, হুগলী জেলার সম্পাদক দর্পণ ঘোষ, উত্তর চব্বিশ পরগণা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর চব্বিশ পরগণা গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশিষ মজুমদার, বাঁকুড়ার জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য নাথ, পূর্ব বর্ধমানের সম্পাদক জুয়েল মল্লিক, পূর্ব মেদিনীপুরের সম্পাদক সুতনু পণ্ডিত, বাংলা শ্রমিক পক্ষর অভিজিৎ কুন্ডু প্রমূখ।গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা বাংলা ভাগের চক্রান্ত ব্যর্থ করবোই। বাংলা পক্ষর মিছিল থেকে প্রমাণ হল বাঙালি জেগে গেছে। এবং বিজেপি চক্রান্ত করছে আমার মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় জন্য, বাংলা থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। বিজেপি বাংলা থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে পারে কিন্তু আমার হৃদয় থেকে বাংলাকে সরাতে পারবেনা। তিনি আরও বলেন, একটি জাতিকে দুর্বল করে দেওয়ার সবথেকে সহজ উপায় হল তার মাতৃভূমিকে টুকরো টুকরো করে দেওয়া। ভূমিপুত্রদের ঐক্য ধ্বংস করে দেওয়া। জাতি হিসাবে বাঙালি টুকরো টুকরো হলে লাভ বাঙালি বিদ্বেষীদের। বাংলার উত্তরের জেলাগুলো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলে গোটা এলাকার জমি, অর্থব্যবস্থা, পুলিশ সবই কেন্দ্রের হাতে চলে যাবে। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী কেন্দ্রীয় সরকার এনআরসি করে ভূমিপুত্রদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তাদের নিজের মাতৃভূমি থেকে বেদখল করে, তাদের জমি দোকান সম্পত্তি রাখার অধিকার কেড়ে নিয়ে ইউ পি -বিহার-ঝাড়খণ্ড-রাজস্থান থেকে বহিরাগত ঢুকিয়ে এলাকার ভূমিপুত্রদের ওপর অত্যাচার চালাবে। উত্তরের জেলাগুলোর প্রাকৃতিক সম্পদ তুলে দেবে তাদের পছন্দের গুজরাট, রাজস্থানের পুঁজিপতিদের হাতে। সেখানে সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন করে দেওয়া হবে বাঙালি সহ ভূমিপুত্রদের।কৌশিক মাইতি বলেন, গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের উপর আঘাত হানলে বাংলার প্রতিটি জেলা বাংলার প্রতিটি ঘরে প্রতিবাদের আগুন জ্বলবে। তিনি আরও বলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তার জল বাংলাদেশে পাঠিয়ে বাংলার উত্তরের জেলাগুলোকে শ্মশানে পরিণত করতে চায়। বাংলার সরকার রাজি না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বাংলার উত্তরের জেলাগুলোকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে পারলে দিল্লি তিস্তার জল সহজেই বাংলাদেশে পাঠাতে পারবে। এখনও পর্যন্ত এই চক্রান্ত আটকে রেখেছে বাংলার সরকার। কিন্তু বাংলা ভাগ হলে উত্তরের জেলাগুলোর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ আর বাংলার সরকারের হাতে থাকবে না। বিপন্ন হয়ে যাবে উত্তরের জেলাগুলোর বাঙালি সহ ভূমিপুত্রদের অস্তিত্ব।বাংলা পক্ষ প্রথম দিন থেকে বিজেপির এই বঙ্গভঙ্গ চক্রান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এর আগে গোর্খাল্যান্ড তৈরি করে বাংলাকে দু-টুকরো করার ষড়যন্ত্র করেছিল বিজেপি-আরএসএস। সেই সময়ও বাংলা পক্ষ গোটা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ, পথ সভা প্রতিবাদ সংগঠিত করেছিল।

জুন ১৯, ২০২২
রাজ্য

কিডনি বেচে অভাবের সংসার চালাতে ফেসবুকে পোস্ট বর্ধমানের যুবকের, শোরগোল শহরজুড়ে

করোনা শুধু জীবন কাড়েনি, বেঁচে থাকলেও তার রসদ ছিনিয়ে নিয়েছে। করোনা আবহে লকডাউনের কারণে বহু মানুষের পেশা, কাজ হারিয়ে গিয়েছে। অভাব-অনটন বেড়েছে লাখো লাখো সংসাসারে। এবার বেঁচে থাকার তাগিদে সোশাল মিডিয়ায় কিডন বিক্রি করার আবেদন জানালেন বর্ধমান শহরের প্রতিবন্ধী যুবক। তাঁর এই পোস্টে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বর্ধমানে। বর্ধিষ্ণু শহরের হলটা কী! শেষমেশ কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন একেবারে প্রকাশ্য়ে। তবে জেলা প্রশাসন তাঁর পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছে।নিজের কিডনি বিক্রি করবে বলে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বর্ধমানের টিকরহাটের ভাড়া বাড়িতে থাকা প্রতিবন্ধী যুবক সম্রাট গোস্বামী। যুবকের পরিবারের রয়েছে স্ত্রী ও এক সন্তান। বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন সম্রাট। পরে কম্পিউটারে কোর্স করে সম্রাট একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেটা অপারেটরের কাজে যোগ দেন। লকডাউনের সময়ে সেই কাজ চলে গিয়েছে। সেই থেকে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সম্রাটের পরিবার। এমনকী অন্নসংস্থানের জন্য লোকের বাড়িতে পরিচারিকারকাজ শুরু করেছেন সম্রাটের স্ত্রী মণীষাদেবী। মণীষা জানিয়েছেন, তিনি দুটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে পান মাত্র ২৪০০ টাকা। অথচ বাড়ি ভাড়া মেটাতে হয় তিন হাজার টাকা। এরপর রয়েছে খাওয়া ও অন্যান্য খরচ।সম্রাট এদিন বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে অনেক চেষ্টা করেও রোজগারের পথ খুঁজে পাইনি। তা নিরুপায় হয়ে নিজের কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আশা একাটাই, ক্রেতা মিলে গেলে মোটা টাকা পাওয়া যাবে। তা দিয়ে রুটি রুজি জোগাড়ের একটা পথ তৈরি হবে। মণীষার আবেদন, সরকার বা কোনও সহৃয় ব্যক্তি তাঁর স্বামীর একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিলে সংসারটা বেঁচে যাবে।সম্রাটের বোন বনশ্রীও কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানালেন। তিনি বলেন, লকডাউনে আমাদেরও কাজ চলে গিয়েছে। ভাড়া বাড়িতে থআকি{ শুনেছি কিডনি বিক্রি করলে মোটা টাকা পাওয়া যায়। তাই আমার স্বামী ও আমি দুজনেই কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তার প্রক্রিয়া বেশ খানিকটা এগিয়ে গেলে বুঝতে পারি আমরা প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়েছি। তাই আর কিডনি বিক্রি করা হয়নি। আমাদের পরিবারও বহু কষ্টে আছে। ভাই সোশাল মিডিয়ায় কিডনি বিক্রির পোস্ট করেছে। কিন্তু চাইলেই তো আর কিডনি বিক্রি করা হবে না, ক্রেতাও তো পেতে হবে। তাছাড়া ভাই মানসিক ও শারীরিক দিক দিয়ে অসুস্থ। সেদিকটাও মাথায় রাখতে হবে।সম্রাট ও বনশ্রীর বাবা মুর্শিদাবাদ জেলায় পুরসভার কর্মী ছিলেন। সঙ্কটে সেই পুরসভাও পাশে দাঁড়ায়নি। অভিযোগ, এক হাজার টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা এই অগ্নিমূল্যের বাজারে সামান্যই। তাই ছেলে বউয়ের মুখ চেয়ে এখন সোস্যাল মিডিয়ায় কিডনির ক্রেতা খুঁজছেন সম্রাট। বিষয়টি জানার পর ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমা শাসক তীর্থাঙ্কর বিশ্বাস জানিয়েছেন,আইন মেনে পরিবারটিকে সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে।

জুন ১৯, ২০২২
রাজ্য

এসএসসি দুর্নীতিঃ সময়ের আগেই প্রথম কিস্তির টাকা জমা মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার

আদালতের নির্দেশে আগেই মন্ত্রীকন্যা চাকরি খুইয়েছেন। তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দুই কিস্তিতে টাকা ফেরত দেওয়ার। নির্দিষ্ট তারিখও জানিয়ে দিয়েছিল আদালত। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন। শুক্রবার অঙ্কিতা আদালতে জানিয়েছেন, সময়ের আগে দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও দিয়ে দেবেন। উল্লেখ্য, সময়ের আগেই দিয়েছেন প্রথম কিস্তির টাকা।রাজ্যে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে কলকাতা আদালতে। একইসঙ্গে একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্ত চলছে। এরইমধ্যে মে মাসে এসএসসি চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকারের দায়ের করা মামলায় চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন অঙ্কিতা অধিকারী। মন্ত্রী কন্যা ৪১ মাস যা বেতন পেয়েছেন তা দুই কিস্তিতে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিস্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল ৭ জুন ও ৭ জুলাই। মন্ত্রী কন্যা এদিন আদালতে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রথম কিস্তির টাকা জমা দিয়েছেন। গত ৬ জুন ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে ৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা অঙ্কিতা ফেরত দিয়েছেন।

জুন ১৭, ২০২২
রাজ্য

এবার তৃণমূলের শহিদ দিবস ধর্মতলায়, বিশেষ গুরুত্ব উত্তরবঙ্গকে

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরের বছরে একুশে জুলাই শহিদ দিবস ভার্চুয়ালি আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ফের ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে ঘাসফুল শিবির। উত্তরবঙ্গের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে তৃণমূল। দল চাইছে উত্তরবঙ্গ থেকে আরও কর্মী-সমর্থক ওই দিন ধর্মতলায় আসুক।তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ২ বছর করোনা আবহে আমরা এই অনুষ্ঠান করতে পারিনি। যদিও ভার্চুয়ালি মিটিং হয়েছে। কোনও জনসমাগম করা হয়নি। এবার ২১ জুলাই পথ চলায় কর্মীদের দিক নির্দেশ দেবেন মমতা। এই দিনটা আগে আয়োজন করতো যুব কংগ্রেস তারপর তৃণমূল কংগ্রেস।সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবার শহিদ দিবসে আরও বেশি করে সারা দেশ তাকিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে আরও বেশি কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত হতে পারেন তার ওপর জোর দিতে হবে। জেলায় জেলায় স্লোগান তুলতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে ধর্মতলা চলো। এবার আগের থেকেও রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে। ভিন রাজ্য থেকেও প্রতিনিধিরা আসবে।এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২১ জুলাই আয়োজনের প্রস্তুতি বৈঠক হয়। উত্তরবঙ্গে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর ২০২১ বিধানসভা ভোটেও দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। একজন সাংসদও নির্বাচিত হয়নি ঘাসফুল শিবিরের। আলিপুরদুয়ার জেলায় একজন বিধায়কও নেই তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে তৃণমূল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২১ জুলাই উপলক্ষ্য়ে কেউ যেন চাঁদা না তোলে। তাহলেই কড়া ব্যবস্থা নেবে দল।

জুন ১৭, ২০২২
রাজ্য

আজব ঘটনা! পেটের ভিতরে ২৫০টি পেরেক সঙ্গে ৩৫টি কয়েন, বর্ধমান হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে সুস্থ মইনুদ্দিন

এক আধটা নয় পেটের মধ্য়ে ছিল ২৫০টি পেরেক। শুধু পেরেক খেয়ে সন্তুষ্ট ছিল না ওই ব্যক্তি। পেরেকের সঙ্গে মিলল ৩৫টি কয়েনও। এই নিয়ে দিব্বি চলাফেরা করছিলেন মইনুদ্দিন। তাঁর অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় খুশি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। অপারেশনের পর সুস্থ রয়েছেন মঙ্গলকোটের কৃষ্ণবাটি গ্রামের বাসিন্দা সেখ মইনুদ্দিন(৩৮)।জানা গিয়েছে, সেখ মইনুদ্দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগে নিয়মিত চিকিৎসা করান। শনিবার সকাল থেকে খাবারে কোনও রুচি আসছিল না মইনুদ্দিনের। ফলে কোনও কিছুই খাচ্ছিলেন না মইনুদ্দিন। পরিবারের লোকজন চিন্তায় পরে যান। মঙ্গলবার বর্ধমান শহর সংলগ্ন একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের এক চিকিৎসকের কাছে মইনুদ্দিনকে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। ওই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বুধবার সকালে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা এক্স-রে করে তাঁকে ভর্তি করেন।বুধবার রাতে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিতসকরা। বুধবার রাতে অপারেশন করে তাঁর পেট থেকে এক এক করে ২৫০ টি পেরেক বেরিয়ে আসে। সঙ্গে ৩৫ টি কয়েন ও বেশ কিছু পাথর-কুচি বের হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর আপাতত তিনি সুস্থ আছেন। এই অপারেশন বর্ধমান হাসপাতালের এক অভুতপূর্ব সাফল্য বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের সুপার ডা. তাপস ঘোষ।

জুন ১৬, ২০২২
রাজ্য

গাড়ি ভাঙছে, গাড়ি পুড়ছে, আইন-শৃঙ্খলা হাতের বাইরে, সেনা নামানো হোকঃ শুভেন্দু

বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র নুপুর শর্মার মন্তব্যের প্রতিবাদে এদিনও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ জারি ছিল। প্রতিবাদ কার্যত তান্ডবে পরিনত হয়। গাড়ির পর গাড়ি ভেঙে-পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উলুবেড়িয়ায় বিজেপির কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ডোমজুর থানা আক্রান্ত হয়েছে। এই ঘটনা সামলাতে সেনা নামানোর আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।গতকাল, বৃহস্পতিবার হাওড়ায় জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছিল। এদিন রীতিমোত তান্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। গতকাল অবরোধের ফলে রাস্তায় সন্তান প্রসব করার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদের নামে বিশৃঙ্খলা চলছে। যা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কেন রাজ্য সরকার প্যারামিলিটারি ও মিলিটারিকে নামাল না। আমি সিপিএমের সব কথার নিন্দা করেও বলব, রিজানুরের সময় মিটিলারি ডেকে তৎকালীন মুখ্যসচিব মানুষের সম্পত্তি রক্ষা করেছিলেন।শুভেন্দুর বক্তব্য, উলবেড়িয়াসহ হাওড়ায় কয়েকশো গাড়ি ভাঙা হয়েছে, গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। গোটা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। বিরোধী দলনেতা হিসাবে রাজ্যপালকে একাধিক ভিডিও পাঠিয়েছি। টুইট করেছি। এখন ইমেল করে আর্মি নামিয়ে মানুষের জীবন সম্পত্তি রক্ষা করতে অনুরোধ করেছি। বিক্ষোভকারীদের মূল লক্ষই বিজেপি। তৃণমূলের উসকানি আছে। বিজেপির জেলা কার্যলয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী হামলার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এসএসসি দুর্নীতির অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

জুন ১০, ২০২২
রাজ্য

গুরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রতর দেহরক্ষীকে গ্রেফতার, আরও জেরা করে নতুন তথ্য পেতে চায় সিবিআই

গরুপাচার মামলায় দীর্ঘ সাড়ে ৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সিবিআই গ্রেফতার করল তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। এর আগে তাঁকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জানা গিয়েছে, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষীকে। সূত্রের খবর, পাশাপাশি তাঁর বয়ানে অসঙ্গতিও মিলেছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনজীবী সঞ্জীব দাঁয়ের সঙ্গে নিজাম প্যালেসে হাজির হন সায়গল। জিজ্ঞাসাবাদের কিছুক্ষণের মধ্যেই এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সায়গলের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। ফের নিজাম প্যালেসে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সায়গলকে আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে। সিবিআই সূত্রের খবর, অনুব্রতর এই দেহরক্ষীর নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জমির দলিল রয়েছে। তাঁর যে সম্পত্তি রয়েছে তার সঙ্গে বেতনের কোনও সামঞ্জস্য নেই বলেই সূত্রের খবর।সায়গলকে এই নিয়ে ৫ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মঙ্গলবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এমনকী তাঁর মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাড়িতে গত সপ্তাহে সিবিআই হানা দিয়েছিল। সেখানে তল্লাশিও চালিয়েছিল সিবিআই। সেদিন বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করে তদন্তকারীরা। গরুপাচার কাণ্ডে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সায়গলের নাম উঠে এসেছিল। তদন্তকারারীরা মনে করছে সায়গলকে জেরা করে আরও নতুন তথ্য় উঠে আসবে। যাতে তদন্তের অগ্রগতি হবে। পাশাপাশি তাঁর কাছে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির উৎস কী তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।এর আগে গরুপাচার কাণ্ডে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। হাজিরা দেওয়ার আগে দীর্ঘ দিন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ণ ওয়ার্ডে ভর্তিও ছিলেন অনুব্রত। এই মামলায় ইতিমধ্যে এনামুল হক, বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারকে গ্রেফতারও করেছে সিবিআই। ফের অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।

জুন ০৯, ২০২২
রাজ্য

রাতের কলকাতায় রোদ্দুর, পরিতাপের কোনও ছাপ নেই চোখে-মুখে

ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে কলকাতায় নিয়ে আসা হল। এদিন রাতে দিল্লি থেকে কলকাতার বিমানে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে গতকাল কলকাতার গুন্ডা দমন শাখার পুলিশ গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, আগামীকাল ব্যাঙ্কশাল আদালতে তাঁকে তোলা হবে। তবে রাতে দমদম এয়ারপোর্টে নামার পরও তাঁকে উচ্ছ্বস করতে দেখা যায়।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতার একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই কলকাতা পুলিশ তৎপর হয়। শেষমেশ কলকাতার গুন্ডাদমন শাখা গোয়া থেকে রোদ্দুরকে গ্রেফতার করে। এদিন ট্রানজিট রিমান্ডে রোদ্দুর অর্থাৎ অনির্বাণ রায়কে কলকাতা নিয়ে আসা হয়। এর আগে বিকৃত গলায় রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন রোদ্দুর রায়। তাছাড়া নানা সামাজিক ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি সোশাল মিডিয়ায় নিজের কায়দায় মতবাদ তুলে ধরেন। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর কলেজে পড়াশুনা রোদ্দুরের। সোশাল মিডিয়ায় পরিচিত মুখ রোদ্দুর। শেষমেষ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের পর আর রেহাই মিলল না তাঁর।

জুন ০৮, ২০২২
রাজ্য

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য টাকার দাবিতে বর্ধমানে মহামিছিল

রাজ্যে যখন বিজেপি-র সর্ব-ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা দলকে অক্সিজেন যোগান দিতে এসেছেন, ঠিক সেই সময় সারা রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামল তৃণমূল কংগ্রেস। মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প-র বকেয়া প্রদান ও পেট্রোপণ্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার বর্ধমান শহরে এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিলটি শুরু হয় বংশগোপাল টাউন হল থেকে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, উত্তরফটক-এ গিয়ে এক পথসভা করে মিছিলের পরিসমাপ্তি হয়।বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানান বর্ধমান পুরসভার ৩৪টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ পুরপিতা এই মহা মিছিলে অংশ নেন। তিনি আরও জানান আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ হাজার তৃণমূল সমর্থক পা মেলান এই প্রতিবাদ মিছিলে। বিধায়ক খোকন দাস জানান, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যেভাবে পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন ও রান্না গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে তাতে করে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।বর্ধমান শহরে তৃনমুলের মহামিছিলবর্ধমান শহর আর এক তৃণমূল নেতৃত্ব সুজিত কুমার ঘোষ জনতার কথা কে জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বিচারিতা ও বৈমাতৃক সুলভ আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বারংবার বিভিন্ন সভায় জানিয়েছেন ৯৪ হাজার কোটি টাকা জিএসটি থেকে প্রাপ্য রাজ্যের পাওনা কেন্দ্রের এই অমানবিক সরকার আটকে রেখেছে। আমরা জানি দেশের অন্য বিজেপি শাষিত রাজ্যের এই পরিস্থিতি নেই।সুজিত ঘোষ আরও জানান, পেট্রোপণ্যের আস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধির প্রত্যক্ষ প্রভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দাম আজ আকাশ ছোঁয়া। সাধারণ মানুষ দেখছে, এর উত্তর ২০২৪ লোকসভা তে তাঁরা দেবে। বাংলার দিদি ভারতের দিদি হতে কিছু সময়ের অপেক্ষা। আজকের মিছিলে অগণিত মানুষের উপস্থিতি সেই বার্তা-ই দিচ্ছে। বিধায়ক খোকন দাস ছাড়া এই মিছিলে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি, বর্ধমান পুরসভার উপ-পৌরপতি মৌসুমি দাস, ৪ নং ওয়ার্ডের পুরপিতা নুরুল আলম, উজ্জ্বল প্রামাণিক, সুজিত কুমার ঘোষ, আব্দুল রব, শিবশঙ্কর ঘোষ, ইন্তেকাব আলম সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

জুন ০৭, ২০২২
রাজ্য

মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী রৌনককে সম্বর্ধনা পুর্ব-বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা-র

বর্ধমান শহরের সিএমএস স্কুলের ছাত্র রৌনক মণ্ডল। ২০২২র মাধ্যমিক পরীক্ষায় যুগ্ম প্রথম স্থানাধিকারী। রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুল (বাঁকুড়া) অর্ণব ঘড়াই রৌনক -এর সাথে যুগ্ম ভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এ বছর ৭ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ অবধি মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়েছিল। করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ এ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। ২০২২ এ মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩। ছাত্রের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৯ জন। এবং ছাত্রী ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪। সারা রাজ্যে ৪ হাজার ১৫৪ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সম্পুর্ণ আদর্শ করোনা বিধি মেনে।পুর্ব-বর্ধমান জেলার জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী রৌনক মণ্ডল-কে তাঁর জেলাশাসক কার্যালয়ে শুক্রবার সম্বর্ধনা দেন। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা রৌনক-কে একটি ল্যাপটপ উপহার দেন। ভবিষ্যতে কি হতে চাই সে কথা জানতে চাইলে, রৌনক প্রিয়াঙ্কা সিংলা কে জানান আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই। প্রিয়াঙ্কা সিংলা তার সাফল্য কামনা করে শুভকামনা জানান, যাতে সে তার লক্ষ্যে অবিচল থেকে লক্ষ্য পুরণ করতে পারে।রৌনক জানান, সে মাধ্যমিকে প্রথম হবে সেটা আশা করেননি। তার ধারনা ছিল সে এক থেকে দশের মধ্যে থাকবে। রৌনক কতক্ষণ পড়ত জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা এ কথা জানতে চাইলে, তাঁর মা জেলাশাসক-কে জানান, রৌনক দিনে গড়ে আট ঘণ্টা পড়ত। তিনি আরও জানান, রৌনক খুব বেশী রাত জেগে পড়েনি।শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর প্রথম স্থানাধিকারী পূর্ব বর্ধমানের রৌনক মণ্ডল জানতে পারেন তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। সে জানাই, তার প্রিয় বিষয় জীবনবিজ্ঞান এবং অঙ্ক। যেহেতু আমার লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া তাই, নিট পরীক্ষার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছি।রৌনকের প্রিয় চরিত্র ফেলুদা, সত্যজিত রায়ের অমর সৃষ্টি পড়েই অবসর সময় অতিবাহিত করে সে। অবসর সময়ে ভলিবল খেলত বলে জানাই রৌনক। রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুরাগী, সময় পেলেই রবীন্দ্রনাথের গান গুনগুনিয়ে ওঠে। জেলাশাসকের কাছ থেকে ল্যাপটপ উপহার পেয়ে খুবই খুশি মাধ্যমিকে প্রথম রৌনক। সে জানাই এই ল্যাপটপ আমার পড়াশোনার জন্য খুব-ই কাজে লাগবে।

জুন ০৩, ২০২২
রাজ্য

আরবি ছেড়ে চিকিৎসক হওয়ার নেশায় মশগুল সপ্তম স্থানাধিকারী ফারুক

হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় সেরা ১০ এ স্থান করে নিলেন শহর বর্ধমানের ছাত্র। পুর্ব-বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষের বারিশাল গ্রামের আদি বাসিন্দা সৈয়দ আব্দুল্লাহ বারিশাল হাইস্কুলের আরবি ভাষার শিক্ষক। মা সৈয়দ আসমা সুলতানা গৃহবধূ। তাঁদের দুই সন্তান। তাঁর মধ্যে ফারুক-ই ছোট। ফারুকের দাদা সৈয়দ মহম্মদ জুবের এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে বর্ধমানের এক স্কুল থেকে। ফারুক সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত তার বাবার যে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন সেখানেই পড়তেন। পাঁচ বছর আগে সৈয়দ আব্দুল্লাহ সপরিবারে বর্ধমানের ভাতছালায় বসবাস করতে থাকেন। তিনি ফারুক ওমরকে বর্ধমান হাইমাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়েছিলেন তিনি।ফারুকের প্রিয় বিষয় আরবি ভাষাশিক্ষা। তাঁর বাবা জানান, ছোট থেকেই তাঁর স্মরণশক্তি ছিল ঈর্ষনীয়। সোমবার হাইমাদ্রাসা পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে জানা যায়, ফারুক মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেছেন। ফারুকের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। তিনি জানান, বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে ইচ্ছা। ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে আছে। চিকিৎসক হলে বহু মানুষের সেবা করতে পারব।ফারুক বাংলায় ৯৪, ইংরাজিতে ৯১, অঙ্কে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৬, জীবনবিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৯৮, ভূগোলে ৯৬, ইসলামিক পরিচয়ে ৯৫ এবং আরবিতে ৯০ পেয়েছেন। তিনি হাইমাদ্রাসা পরীক্ষায় মোট ৭৬৭ নম্বর পেয়েছেন। বাবা আব্দুল্লাহ বলেন, ফারুক আরবি ভাষায় খুব দক্ষ। ভেবেছিলাম, ওই ভাষা নিয়ে গবেষণা করবে ছেলে। তিনি বলেন আমি বা পরিবার জোর করে কিছু চাপিয়ে দেবো না। অর মন যা চায়, তা-ই করবে।বর্ধমান-১ সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তরের এলাকায় অবস্তিত বর্ধমান হাইমাদ্রাসার-র ছাত্র হওয়ায় ওই দপ্তরের যুগ্ম-সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীক সন্দীপ চাঁদ ও বিআইও খন্দেকর জাহির আলি আহমেদ ভাতচালা-য় ফারুকের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে আসেন। ব্লকের তরফ থেকে তাঁকে পুষ্প স্তবক, মিষ্টান্ন ও মানপত্র প্রদান করা হয়। বিআইও জাহির জনতার কথা কে জানান, যে কোনও সাফল্য-ই আনন্দের। ফারুক যেভাবে এক প্রত্যন্ত গ্রাম্য পরিবেশ থেকে উঠে এসে নিজেকে রাজ্য স্তরে প্রতিষ্ঠিত করল সেটা সত্যিই তারিফ করার মত। কোভিড অতিমারির যে ভয়ঙ্কর প্রভাব ছাত্রজীবনে পরেছিল তাঁর জন্য তো এই ফলাফল খুবই দৃষ্টান্তমূলক খানিক্টা শাপমুক্তি।

জুন ০১, ২০২২
রাজ্য

সকাল পৌনে ১১টায় ঢুকে সন্ধ্যের পর সিবিআই দফতর থেকে বেরোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলায় রক্ষাকবচ মেলেনি সুপ্রিম কোর্টেও। তবে দ্বিতীয় দিন দুদফায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে প্রায় সাড়ে ৮ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। প্রায় ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেস ছাড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এদিন প্রথম দফায় তাঁকে প্রায় ২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিছু সময় তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়। তারপর ৪ ঘন্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সিবিআইয়ের এসপি রাজীব মিশ্রও এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানা গিয়েছে, এসএসসি নিয়োগে উপদেষ্টা কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ওই কমিটির কার্যকলাপের উপর তাঁর কতটা নিয়ন্ত্রণ ছিল তা-ও জানতে চায় সিবিআই। বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার নিয়োগ নিয়েও তাঁর কাছে জানতে চান তদন্তকারীরা।বুধবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে ঢোকেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সন্ধ্যা সাতটা ১৫ মিনিট নাগাদ তাঁকে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। তারপর নিজের গাড়ি চড়ে নিজাম প্যালেস ছাড়েন মন্ত্রী। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতেও পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর আগে হাইকোর্টেও সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও রক্ষাকবচ জোটেনি। সূত্রের খবর, ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করতে পারে সিবিআই।

মে ২৫, ২০২২
রাজ্য

ঝুপড়িবাসী সেজে অপরাধ কাজকর্ম চালাচ্ছিল দুই দাগী দুস্কৃতি-সেই ঝুপড়ি থেকেই উদ্ধার প্রচুর চোরাই সামগ্রী-গহনা-আগ্নেআস্ত্র

রেললাইনের ধারে আলাদা আলাদা ঝুপড়ি ঘরে থকতো দুই যুবক। কেউ ঘুণাক্ষরেরও টের পায়নি ওই যুবকরা আসলে দাগী অপরাধী।তবে তাঁরা এলাকাবাসীর চোখে ধুলো দিয়ে থাকতে পারলেও পুলিশের চোখ এড়িয়ে বেশিদিন থাকতে পারেনি। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ হওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার ঝাপানডাঙ্গা রেল স্টেশন লাগোয়া ঝুপড়িতে হানা দিয়ে দুই দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেছে।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল ইমান হোসেন মোল্লা ওরফে রাজা এবং তপন দাস। পুলিশ জেনেছে, ইমানের আদি বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার বাহেরা গ্রামে। আর অপর ধৃত তপনের আদি বাড়ি নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার বাগদিয়া গ্রামে। দুজনেই ঝাপানডাঙ্গার রেল স্টেশনের ধারে ঝুপড়িতে থেকে অপরাধ মূলক কাজকর্ম চালাচ্ছিল। পুলিশের দাবী দুই ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর চোরাই সামগ্রী, গহনা, আগ্নেআস্ত্র ও কার্তুজ। নিরীহ সেজে থাকা ঝুপড়িবাসী যুবকদের এই কীর্তির কথা জেনে স্তম্ভিত ঝাপানডাঙ্গার বাসিন্দারা।বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) সুপ্রভাত চক্রবর্তী সোমবার জানিয়েছেন, ঝাপানডাঙ্গা রেল স্টেশনের ধারে ঝুপড়িতে থাকতো ইমান হোসেন মোল্লা ও তপন দাস। তাঁরা যে অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত তা এলাকার কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায় নি। সম্প্রতি জামালপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে ওই যুবকদের অপরাধ মূলক কাজে জড়িত থাকার কথা জানতে পারে। ঝুপড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ প্রথমে ইমান হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জানতে পারে অপরাধ মূলক কাজে ইমানের সঙ্গী হল ঝাপানডাঙ্গায় রেল লাইনের ধারে অপর ঝুপড়িতে বসবাস করা যুবক তপন দাস। পুলিশ তাঁকেও গ্রেপ্তার করে।এসডিপিও আরো জানিয়েছেন, দুই ধৃতকে পুলিশি হেপাজতে নিয়ে তাঁদের ডেরায় তল্লাশী চালানো হয়। তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে দামী মিউজিক সিস্টেম, কম্পিউটার সামগ্রী, দুটি মোবাইল ফোন, বেশ কিছু গহনা, এক রাউণ্ড কার্তুজ সহ একটি আগ্নেআস্ত্র ও একটি চোরাই মোটর বাইক। ধৃতদের অপরাধ চক্রের জাল কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে এবং তাঁদের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে সেই বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তদন্তের প্রয়োজনে দুই ধৃতকে ফের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হতে পারে বলে এসডিপিও র কথায় ইঙ্গিত মিলেছে।

মে ২৩, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 78
  • ...
  • 167
  • 168
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

স্ত্রী পালিয়ে গিয়েছিল এক যুবকের সঙ্গে, এসআইআরের শুনানিতে লঙ্কাকাণ্ড

প্রায় এক বছর আগে স্ত্রী অন্য এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অনেক খোঁজ করেও তাঁর আর কোনও সন্ধান পাননি প্রাক্তন স্বামী। অবশেষে এসআইআর শুনানির দিন উলুবেড়িয়ায় দুজনের মুখোমুখি দেখা হয়ে গেল। কিন্তু সেই দেখা কোনও ভাবেই সুখের হল না। উল্টে তা পরিণত হল দুঃস্বপ্নে। অভিযোগ, প্রাক্তন স্ত্রীকে দেখামাত্রই তাঁকে মারধর করতে শুরু করেন প্রাক্তন স্বামী। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে থাকা যুবককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।সোমবার উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে চলছিল এসআইআর সংক্রান্ত শুনানি। ওই ব্লকের দশটি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথের ভোটারদের শুনানি চলছিল সেখানে। চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শুনানির সময়ই এই ঘটনা ঘটে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন স্বামীর শুনানি ছিল ওই দিনই। তিনি আগেই বিডিও অফিসে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়ই সেখানে হাজির হন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, সঙ্গে এক যুবক এবং আরও একজন ব্যক্তি।হঠাৎ করেই প্রাক্তন স্ত্রীকে সামনে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, কোনও কথা না বলেই তিনি আচমকা প্রাক্তন স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন। সঙ্গে থাকা যুবক বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে শুনানির লাইনে হুলস্থুল বেধে যায়। উপস্থিত মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে থাকা উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ এগিয়ে আসে। কোনও রকমে দুপক্ষকে আলাদা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তাঁদের শুনানিকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়।তবে তাতেও গোলমাল থামেনি। অভিযোগ, বাইরে বেরিয়েও ফের এক দফা মারধর শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রাক্তন স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। যদিও পরে কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার জেরে প্রাক্তন স্বামী ও স্ত্রীদুজনের কেউই শেষ পর্যন্ত শুনানিতে অংশ নেননি।এসআইআর শুনানি ঘিরে যখন একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে, তখন উলুবেড়িয়ার এই ঘটনা একেবারেই নজিরবিহীন বলে মনে করছেন শুনানিতে উপস্থিত মানুষজন।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর শুনানির চাপে মৃত্যু? নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

মঙ্গলবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি এসআইআর সংক্রান্ত শুনানি চলা একাধিক বুথও তিনি পরিদর্শন করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।এসআইআর শুনানিতে সময়মতো পৌঁছানোর চাপেই প্রাণ হারিয়েছেন পুরুলিয়ার বাসিন্দা ৮২ বছরের দুর্জন মাঝি, এমনই অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার মৃতের পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার এই ঘটনার খবর পেয়ে দুর্জনের বাড়িতে যান তৃণমূলের একাধিক নেতা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কিরীটি আচার্য, ব্লক তৃণমূল সভাপতি মনোজ সাহা, জেলা সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো এবং সহ-সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের দাবি, হয়রানির উদ্দেশ্যেই দুর্জন মাঝিকে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছিল। তাঁরা আগেই জানিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হবে।জানা গিয়েছে, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে। সেই তালিকায় সোমবার যুক্ত হয়েছে দুর্জন মাঝির নাম। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুনানির নির্ধারিত সময়ে পৌঁছতে পারবেন কি না, এই চিন্তায় ভুগছিলেন তিনি। শুনানির নোটিস পাওয়ার পর থেকেই মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। সোমবার শুনানির দিন ব্লক অফিসে যাওয়ার জন্য টোটো খুঁজতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দুর্জন মাঝি। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। প্রায় তিন ঘণ্টা পরে বাড়ির কাছেই রেললাইনের ধারে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।দুর্জন মাঝির পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। বয়স হলেও তিনি যথেষ্ট সুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। এসআইআর শুরু হওয়ার পরে অন্যদের মতো তিনিও এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেছিলেন। এমনকি ২০০২ সালের ভোটার তালিকাতেও তাঁর নাম ছিল। তা সত্ত্বেও গত ২৫ ডিসেম্বর তাঁর কাছে শুনানির নোটিস আসে।মঙ্গলবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরব হন। তিনি বলেন, সোমবার পুরুলিয়ায় এক বয়স্ক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কী দোষ ছিল, সেই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যাঁরা বয়স্ক মানুষদের এ ভাবে ডেকে পাঠাচ্ছেন, তাঁরা বাবা-মাকে সম্মান করতে জানেন না। মুখ্যমন্ত্রী আরও প্রশ্ন করেন, নিজের বাবা-মাকে যদি এ ভাবে ডাকা হত, তবে তাঁরা কী করতেন। এই আবহেই নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫
কলকাতা

ভোটার তালিকার আতঙ্কে মতুয়ারা, কলকাতা থেকে বড় আশ্বাস অমিত শাহের

এসআইআরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরেই দেখা গিয়েছে, বহু মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের নাম তাতে নেই। এর ফলে নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মতুয়াদের মধ্যে। সেই আতঙ্ক থেকেই একাংশ আন্দোলনের পথেও নেমেছেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে ওপার বাংলা থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, মতুয়াদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। যারা শরণার্থী হয়ে বাংলায় এসেছেন, তাঁদের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। সকলকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন শুরু হওয়াকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করে আসছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে শুরু থেকেই মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ছিল। যদিও বিজেপির তরফে বারবার বলা হয়েছিল, চিন্তার কোনও কারণ নেই। মতুয়া মহাসংঘের এক সংঘাধিপতি তথা সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে মতুয়া কার্ডও বিলি করা হয়। তবে খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, বহু মতুয়ার নাম ভোটার তালিকায় নেই।এর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মন্তব্য করেন, যদি ভোটার তালিকা থেকে ৫০ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমের নাম বাদ যায়, সেখানে এক লক্ষ মতুয়ার নাম বাদ পড়লে তা মেনে নেওয়া উচিত। এই মন্তব্যে মতুয়া সমাজে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। গাইঘাটার ঠাকুরবাড়িতে প্রতিবাদ সভার ডাক দেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের আর এক সংঘাধিপতি ও তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তা ঘিরে উত্তেজনাও ছড়ায়। মমতাবালাপন্থী মতুয়ারা আগামী ৫ জানুয়ারি পথ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।এই উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই কলকাতা থেকে মতুয়াদের আশ্বস্ত করলেন অমিত শাহ। শান্তনু ঠাকুরকে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, মতুয়াদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। যারা শরণার্থী হয়ে বাংলায় এসেছেন, তাঁদের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁদের ক্ষতি করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, সকল শরণার্থীকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

আবার রেগে আগুন! ভারতীয় দাবাড়ুর কাছে হেরে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কার্লসেন

ভারতীয় দাবাড়ুর কাছে হার মানলেই কেন এতটা রেগে যান ম্যাগনাস কার্লসেন, সেই প্রশ্ন নতুন করে উঠে এল। আগেও দেখা গিয়েছে, হার সহ্য করতে না পেরে বোর্ডে ঘুষি মারা থেকে শুরু করে নানা আচরণে বিতর্কে জড়িয়েছেন নরওয়ের এই তারকা দাবাড়ু। সোমবার দোহায় ফিডে বিশ্ব ব্লিট্জ চ্যাম্পিয়নশিপে ফের একই ছবি দেখা গেল। প্রতিপক্ষ ছিলেন ভারতের অর্জুন ইরাইগিসি। শেষ দিকে অর্জুনের নিখুঁত চালের সামনে দাঁড়াতে পারেননি কার্লসেন। ম্যাচে হার বুঝতেই মেজাজ হারান তিনি।অর্জুনের কাছে হেরে কার্লসেন আচমকা চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান। এতটাই রেগে যান যে, পাশে দিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তি পর্যন্ত ভয় পেয়ে যান। সেই সময় টেবিলের উপর থাকা দাবার ঘুঁটিগুলি ছিটকে পড়ে মাটিতে। এরপর রাগের মাথায় টেবিলে ঘুষি মারতেও দেখা যায় কার্লসেনকে। এই জয়ের ফলে ১১ রাউন্ড শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে যান অর্জুন ইরাইগিসি।কার্লসেনের এমন আচরণ নতুন নয়। এর আগেও ভারতের ডি গুকেশের কাছে হেরে একই ভাবে টেবিলে ঘুষি মেরে রাগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। শুধু ভারতীয় দাবাড়ু নন, অন্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও হার মানলে তাঁর মেজাজ যে সহজে ঠান্ডা হয় না, তা আগেও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি র্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপে রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার ভ্লাদিস্লাভ আর্টেমিয়েভের কাছে হেরে ক্যামেরাম্যানকে ঠেলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কার্লসেন।এ দিন অবশ্য ডি গুকেশের জন্যও দিনটা খুব ভালো যায়নি। দোহাতেই তিনি অপ্রত্যাশিত ভাবে হেরে যান মাত্র ১২ বছর বয়সি দাবাড়ু সের্গে স্ক্লোকিনের কাছে। সের্গে একজন ফিডে মাস্টার, যার টাইটেল গ্র্যান্ডমাস্টারের থেকে দুধাপ নীচে। অন্য দিকে গুকেশ একজন সুপার গ্র্যান্ডমাস্টার, যার রেটিং ২৭৫০। ফলে ম্যাচটি একতরফা হবে বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ৭০ চালের লড়াইয়ে সময়ের চাপে পড়ে যান গুকেশ। শেষ পর্যন্ত আরও ১০ চালের মধ্যেই হার মানতে বাধ্য হন তিনি।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫
কলকাতা

অনুপ্রবেশ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি, বাংলার সীমান্তে কী বদল আসছে?

২০২৬ সালের এপ্রিল মাসেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট হবে বলে সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কলকাতার বঙ্গভূমি মঞ্চ থেকে তিনি জানিয়ে দেন, ওই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক আসনে জয় পেয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। একই সঙ্গে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া বার্তা দেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি তিনটি আসন থেকে ৭৭টি আসনে পৌঁছেছে। তাঁর দাবি, বাংলার মানুষ পরিবর্তন এবং সুশাসন চাইছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই এক রাজনৈতিক নেতার এভাবে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।এ দিন ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলায় বিজেপির রাজনৈতিক যাত্রাপথের খতিয়ান তুলে ধরেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি পেয়েছিল ১৭ শতাংশ ভোট এবং দুটি আসন। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভোট শতাংশ ছিল ১০ এবং আসন ছিল তিনটি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তা বেড়ে হয় ৪১ শতাংশ ভোট এবং ১৮টি আসন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পায় ৩৮ শতাংশ ভোট ও ৭৭টি আসন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির ভোট শতাংশ ছিল ৩৯ এবং আসন ছিল ১২টি। অমিত শাহের দাবি, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে বাংলায় সরকার গঠন করবে বিজেপি।ভাষণে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কড়া অবস্থান নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলার সীমান্ত দিয়ে যে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তা শুধু পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা নয়, গোটা দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। তাঁর বক্তব্য, বাংলায় এমন শক্ত সরকার দরকার যারা অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হবে যাতে কোনও মানুষ তো দূরের কথা, একটি পাখিও অবৈধভাবে সীমান্ত পেরোতে না পারে।মঙ্গলবার ভাষণের শুরুতেই বাঙালির আবেগের প্রসঙ্গ টানেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, এই দিনেই ১৯৪৩ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু পোর্ট ব্লেয়ারে প্রথম স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গও তোলেন শাহ। তাঁর দাবি, ২০২৬ সালের ১৫ এপ্রিল বিজেপি সরকার গঠন করলে বাংলার গৌরব ও সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ ঘটবে। তিনি বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্নের বাংলা গড়ে তোলা হবে।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫
কলকাতা

টিনের ছাউনি, নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা—ভয়াবহ পরিণতি যদুবাবুর বাজারে

চোখের সামনে পুড়ে যেতে দেখলেন জীবনের সব সম্বল। কিছুই করার ছিল না। খবর পৌঁছতে পৌঁছতেই সব শেষ। এক রাতের আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ২০০-রও বেশি দোকান। সর্বস্বান্ত হয়ে পড়লেন শতাধিক ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি স্টেশন সংলগ্ন যদুবাবুর বাজারে।সোমবার গভীর রাতে ওই বাজারে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, গোটা ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হওয়া দরকার। বাজারে দোকান করা এক ব্যবসায়ী নুপুর চক্রবর্তী বলেন, রাতে তাঁকে ফোন করে জানানো হয় দ্রুত বাজারে আসতে। বলা হয়, সব শেষ হয়ে গিয়েছে, সব পুড়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ওই বাজারে প্রায় ২০০টির মতো দোকান ছিল। তাঁর নিজের একটি ইলেকট্রিকের দোকানও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।আর এক ব্যবসায়ী চোখের সামনে নিজের দোকান জ্বলতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অসহায় কণ্ঠে তিনি বলেন, এ যেন একেবারে শ্মশান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যদুবাবুর বাজারের সব দোকানই ছিল টিনের ছাউনি দেওয়া। সেখানে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। সেই কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং গোটা বাজার গ্রাস করে ফেলে।দমকল বাহিনী সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সাতটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে সব কিছুই প্রায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। রাতারাতি রাস্তায় বসে পড়েছেন বহু ব্যবসায়ী। কীভাবে আবার ঘুরে দাঁড়াবেন, তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় তাঁরা।ঘটনাস্থলে পৌঁছন উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন একাধিক পুর প্রতিনিধি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন তিনি। বিধান বিশ্বাস বলেন, এই বাজার পুরসভার অন্তর্গত। ব্যবসায়ীদের পাশে রয়েছে পুরসভা। তাঁদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মন্দির করে ভুল করছেন মমতা? ভোটের আগে বড় দাবি ফুরফুরার পীরজাদার

সোমবার নিউ টাউনে দুর্গাঙ্গনের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাসেই উত্তরবঙ্গে মহাকাল মন্দিরের শিলান্যাস করা হবে। ভোটের আগে রাজ্যে মন্দির ও ধর্মীয় স্থাপনা ঘিরে রাজনৈতিক আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই মুখ খুললেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী। তিনি বলেন, মন্দির বা গির্জা যেমন হবে, তেমনই মসজিদও হওয়া উচিত। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, মন্দির গড়ে মুখ্যমন্ত্রী ভুল পথে হাঁটছেন।দুর্গাঙ্গনের শিলান্যাসের পর ত্বহা সিদ্দিকী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে আশায় একের পর এক মন্দির গড়ছেন, তা পূরণ হবে না। তাঁর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত দিন যেভাবে কাজ করে এসেছেন, তাতে মন্দির বা মসজিদ তৈরি করার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এখন তিনি হিন্দু ভোট যেগুলি এদিক-ওদিক হয়ে গিয়েছে, সেগুলি ফেরাতে চাইছেন বলেই তাঁর এই উদ্যোগ।ত্বহার দাবি, দুর্গাঙ্গন তৈরি হচ্ছে, জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছে, কিন্তু কোনও হিন্দু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্দির তৈরি করার জন্য বলেননি। অন্য দিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বারবার মসজিদের দাবি জানিয়েছেন। সেই দাবি কেন পূরণ করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ত্বহা সিদ্দিকীর মতে, মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন মন্দির তৈরি করে হিন্দু ভোট ফেরানো যাবে, কিন্তু সেই হিসাব ভুল। একই সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যেও ক্ষোভ বাড়ছে বলেও দাবি করেন তিনি।পীরজাদা আরও জানান, হিডকো এলাকায় একটি মসজিদ গড়ার প্রস্তাব তিনি আগেই দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ওই এলাকায় বহু শিক্ষিত মানুষ থাকলেও নামাজ পড়ার জন্য কোনও মসজিদ নেই। তা সত্ত্বেও সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়নি। ত্বহার প্রশ্ন, ওয়াকফের অর্থ দিয়ে কেন মসজিদ তৈরি করা গেল না। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ১৩টি মন্দির তৈরি হয়েছে, অথচ বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও একটি মসজিদ তৈরি করা হয়নি।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫
দেশ

খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলাদেশ, বার্তা মোদী থেকে হাসিনা পর্যন্ত

৮০ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে বাংলাদেশ জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ, সর্বত্রই শোকপ্রকাশ করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি খালেদা জিয়ার পরিবার এবং বাংলাদেশের সমস্ত মানুষের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। সেই সঙ্গে মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের একটি পুরনো ছবি পোস্ট করেন। ২০১৫ সালে ঢাকায় সেই সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য।উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিল ভারত। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন, তিনি প্রতি মুহূর্তে খালেদা জিয়ার সুস্থতার কামনা করছেন এবং ভারত সব ধরনের সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও। নিজের ফেসবুক বার্তায় তিনি লেখেন, এই জাতি তার অন্যতম অভিভাবককে হারাল। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে খালেদা জিয়ার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন ইউনূস।তিনি আরও লেখেন, খালেদা জিয়ার শাসনকালে বাংলাদেশে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও ভাতা প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন তিনি, যা সেই সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।এ দিন শোকবার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সৌজন্যের বার্তা দেন তিনি। দলের সমাজমাধ্যমে শেখ হাসিনা লেখেন, প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়ার অবদান ছিল অপরিসীম। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতি এবং বিএনপি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal