• ৯ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

রাজ্য

রাজ্য

সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানার বিস্ফোরণস্থলে ফরেন্সিক দল

অবশেষে শুক্রবার গভীর রাতে সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানার বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছল ফরেনসিক দল। রাতেই শুরু হয় নমুনা সংগ্রহের কাজ। আর তা করতে গিয়ে ধন্দে পড়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। বিস্ফোরণস্থল দেখে তাঁদের প্রাথমিক ধারণা, এ নিতান্তই প্লাস্টিক কাটার মেশিন থেকে বিস্ফোরণ নয়। ঠিক কী ধরনের বিস্ফোরণ, তা বোঝার চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা। আজ বেলায় তারা ফের সেখানে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে এসটিএফও। আরও পড়ুন ঃ বিস্ফোরণস্থলে বিজেপির প্রতিনিধিদলকে ঢুকতে বাধা পুলিশের বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ মালদহের সুজাপুরে ৩৪ নং জাতীয় সড়কের পাশে একটি প্লাস্টিক কারখানা আচমকাই ভয়ংকর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গিয়েছে কারখানার ছাদের চাল। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে ৪ শ্রমিকের। পরে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। বিজেপির অভিযোগ, ওখানে প্লাস্টিক কারখানার আড়ালে চলছিল বোমা তৈরির কাজ। তা সঙ্গে সঙ্গে খারিজ করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রদপ্তর। উলটে এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের কথা বলা হয়েছে।

নভেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

বিস্ফোরণস্থলে বিজেপির প্রতিনিধিদলকে ঢুকতে বাধা পুলিশের

সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার তদন্তে নামল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেন, ঘটনাস্থলের ছবি তোলেন। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের যাওয়ার কথা থাকলেও, এদিন যাননি তাঁরা। এনআইএ এখনও সেখানে যাবে কি না, তা স্থির হয়নি। এ বিষয়ে মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার বক্তব্য, কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তা স্পষ্ট হলে তবেই নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হবে। অন্যদিকে , শুক্রবার বেলায় সেখানে হাজির হয় কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল। দলে ছিলেন কংগ্রেসের ছয় বিধায়ক। তাঁরা প্রত্যেক মৃতের পরিবারের কাছে যান। দলের তরফে প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে আহতদের পরিবারপিছু ১০ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়।কংগ্রেসের তরফে বিজেপি ও রাজ্যপালের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ নাম না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শুভেন্দুর এদিকে , মালদহের সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানার বিস্ফোরণস্থলে বিজেপি প্রতিনিধিদল যেতে বাধা দেওয়া হয়। তদন্তের স্বার্থে এলাকাটি দ্বিস্তরীয় বলয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। ফলে সেই ব্যারিকেড পেরতে বাধা দিয়েছে পুলিশও। আর তাতেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ওখানে বিজেপিকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তার কারণ, বিজেপি প্রতিনিধিরা গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলে আসল সত্যটা জানত, তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে এখন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃ্ত্বে ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি। বিজেপি প্রতিনিধিরা কারও সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। পাড়ারই কয়েকজন যুবক তাঁদের ঘিরে ধরে জিজ্ঞেস করেন, এমন অসময়ে কেন এসেছেন তাঁরা? কার সঙ্গেই বা কথা বলবেন? কথা না বলতে পারলে আসল ঘটনা জানবেনই বা কীভাবে? এসব প্রশ্নে জর্জরিত করে বিজেপি প্রতিনিধিদলকে কার্যত এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি এনআইএ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন।

নভেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

নাম না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শুভেন্দুর

অতীতে সিপিএম সাংসদ অনিল বসু ব্যক্তিগত কটু কথার রাজনীতি করতেন বলে মানুষ সমর্থন করত না। সমালোচনা হতে পারে। আমরা কেউ তার উর্ব্ধে নই। কিন্তু যদি কোনও জনপ্রতিনিধি আমাকে বা আমার পরিবারকে ব্যক্তিগত কটূকথা বলে, আপনারা কি তাঁকেও সমর্থন করবেন? এনিয়ে জনতার মতামত নেন শুভেন্দু। জনতা তাঁকে সমর্থন করেন। শুক্রবার হুগলির বলাগড়ে জনসভা থেকে নাম না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আরও পড়ুন ঃ জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভক্তদের জন্য বন্ধ বেলুড়ের সারদা পিঠ প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর নাম না করে এক দলীয় সভায় বলেছিলেন, হিসাবটা আমরা বুঝে নেব। চলে যা বিজেপিতে। কোনও অসুবিধা নেই। যাবি কংগ্রেসে, চলে যা। তাতেও কোনও অসুবিধা নেই। সিপিএমে যাবি, চলে যা। তাতেও কোনও অসুবিধা নেই। দাদার অনুগামী হলে দাদার সঙ্গে চলে যা। তৃণমূল কংগ্রেস করে বেইমানি করলে বাড়ি ঢুকতে দেব না। দেখি কত বড়। দেখতে চাই কত হিম্মত রয়েছে। বাংলার মাটিতে দেখতে চাই, কোন দাদার কত অনুগামী? লড়াই করতে এসেছি। লড়ে যাব। লড়াইয়ের ময়দানে এক ইঞ্চিও ছাড়ব না। বেইমানদের আগামী দিনে বুঝিয়ে দেব।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামের গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।

নভেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভক্তদের জন্য বন্ধ বেলুড়ের সারদা পিঠ

করোনা জনিত কারণে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের জগদ্ধাত্রী পুজোয় জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ। ভোগ বিতরণ বন্ধ থাকবে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৭৫ বছরের এই পুজো এবার হবে মা সারদার প্রার্থনা কক্ষেই। তবে পুজোর সরাসরি সম্প্রচার সারদাপীঠ ও বেলুড়মঠের নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীরা মিলেই করবেন এই পুজো। অষ্টমীতে মায়ের অধিবাস ও আমন্ত্রণ। নবমী দিন সপ্তমী ও অষ্টমীর পুজো হবে। আরও পড়ুনঃ হাওড়া ব্রিজে মিনিবাসে অগ্নিকাণ্ড , উত্তেজনা দশমীতে সকাল সাতটায় দেবীর পুজো ও সাড়ে আটটায় দর্পণ বিসর্জন হবে। বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দ মহারাজ বলেন, এবার শারীরিকভাবে ভক্তদের পুজো দেখার অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। তবে পুজো যে নিয়মে, যে রীতিতে এতদিন হয়ে এসেছে সেই ভাবেই হবে।

নভেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

হাওড়া ব্রিজে মিনিবাসে অগ্নিকাণ্ড , উত্তেজনা

হাওড়া ব্রিজের ১৭ নং পিলারের কাছে একটি কলকাতাগামী একটি যাত্রীবোঝাই বাসে আগুন লেগে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে পলাতক বাসের চালক ও কন্ডাক্টর। জানা গিয়েছে , ধোঁয়া দেখতে পেয়েই যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যাত্রী সহ সকলে বাস থেকে নিরাপদে নিচে নেমে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। আরও পড়ুন ঃ এবার শুভেন্দুর ছবি দেওয়া হোর্ডিং হাওড়া শহরে তারা বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লাগার সময় বাসের যাত্রী থাকলেও কোনো হতাহতের খবর নেই। বাসটিকে ব্রিজ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসে আগুন লাগার জেরে ব্রিজে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

এবার শুভেন্দুর ছবি দেওয়া হোর্ডিং হাওড়া শহরে

পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হোর্ডিং এবার হাওড়া শহরে। হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন বেলেপোল এর হ্যাংস্যাং ক্রসিংয়ে লাগানো হয়েছে ওই বিশাল হোর্ডিং। নিচে লেখা আমরা দাদার অনুগামী। হোর্ডিংয়ের উপরে লেখা চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শির। এছাড়াও শুভেন্দুকে একজন দক্ষ প্রশাসক, দক্ষ সংগঠক, উদার ও নির্ভীক জননেতা এবং বঙ্গের বন্ধু হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। হোর্ডিংয়ে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ছবিও। আরও পড়ুন ঃ বাবা-মাকে খুনের ঘটনায় ধৃত ছেলের ২ দিনের পুলিশ হেফাজত এই হোর্ডিংয়ের কিছুটা দূরেই আমরা দাদার অনুগামীর তরফ থেকে লাগানো হয়েছে আরও একটি হোর্ডিং। তাতে লেখা যার কাছে সবকিছু বলা যায়। যাকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। যাকে আপন বলে ভাবা যায়। যার কাছে বিশ্বাসটুকু রাখা যায়। সেইতো জননেতা। তুমি আমাদের সেই নেতা। আমাদের এই সম্পর্ক যেন থাকে চির অটুট। স্বাভাবিকভাবেই হাওড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই দুই হোর্ডিং ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কে বা কারা এই হোর্ডিং দিয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

বাবা-মাকে খুনের ঘটনায় ধৃত ছেলের ২ দিনের পুলিশ হেফাজত

হাওড়ার শিবপুরে বহুতল আবাসনে বৃদ্ধ দম্পতি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ছেলে শুভজিৎ বসুকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হলে তাঁর ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের আদেশ দেন বিচারক। পুলিশ ধৃত শুভজিৎ এর বিরুদ্ধে খুন সহ ভারতীয় দন্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে। বুধবার দুপুরে শিবপুর থানা এলাকার কৈপুকুর লেনের এক আবাসনে ওই ঘটনা ঘটে। আবাসনের চারতলার ঘর থেকে উদ্ধার হয় প্রদ্যোৎ বসু (৭৫) এবং তাঁর স্ত্রী গোপা বসুর(৭০) মৃতদেহ। পুলিশ দরজা ভেঙে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। আরও পড়ুন ঃ মালদা বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারের কড়া সমালোচনা রাজ্যপাল - দিলীপের , পালটা প্রতিক্রিয়া রাজ্যের পুলিশের দাবি, ধৃত শুভজিৎ তাঁর বাবা-মাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের কথা স্বীকার করে। বাবা-মাকে খুন করে নিজেও ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কালীপুজোর রাতে তিনি ওই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে শুভজিৎবাবুর দাবি। শুভজিৎবাবু পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, তাঁকে বাড়ি থেকে বেড়োতে দেওয়া হত না। চাকরি করতে দিতে আপত্তি থাকায় চাকরিও তিনি করতেন না। পুলিশের ধারণা, আর্থিক সঙ্কট অন্যদিকে মানসিক অবসাদ এই দুই কারণেই বাবা-মাকে হত্যা করেন তিনি। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শুভজিৎ।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

মালদা বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারের কড়া সমালোচনা রাজ্যপাল - দিলীপের , পালটা প্রতিক্রিয়া রাজ্যের

মালদায় প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। তিনি লেখেন , এবার তো বোমা তৈরির কারখানাগুলি বন্ধ করুন।নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তিনি। অন্যদিকে , বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পুলিসের বিরুদ্ধে উস্কানিসূচক বক্তব্য মামলায় বর্ধমান আদালতে জামিন নিতে গিয়ে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদা সহ গোটা রাজ্যেই বোমা আর অস্ত্রের কারখানা তৈরি হয়েছে। পুলিস প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সুজাপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিও জানান তিনি। আরও পড়ুন ঃ কর্মী খুনের প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা বন্ধে রণক্ষেত্র তুফানগঞ্জ রাজ্যপালের এই টুইটের পরই পাল্টা বিবৃতি জারি করেছে স্বরাষ্ট্র দফতর। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত কথা বলছে কেউ কেউ। সুজাপুরের ঘটনার সঙ্গে বোমা তৈরির কোনও সম্পর্ক নেই। একটা প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। এটা একটা দুর্ঘটনা। জেলাশাসক ও পুলিস সুপার ঘটনাস্থলে আছেন। তাঁরা ঘটনার তদন্ত করছেন। রাজ্য সরকারের এক মন্ত্রীও ঘটনাস্থলে উড়ে গিয়েছেন। দুর্গত পরিবারগুলির পাশে সরকার আছে।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

কর্মী খুনের প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা বন্ধে রণক্ষেত্র তুফা্নগঞ্জ

দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা বন্ধে উত্তপ্ত তুফা্নগঞ্জ। বিজেপির অভিযোগ , তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বন্ধ ব্যর্থ করতে না পেরে তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। জোড়াই মোড়ে বিজেপির দুই কর্মী রবীন্দ্র দাস ও বিমল পাল জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। দুজনকে তুফা্নগঞ্জ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি , জোর করে রাস্তা বন্ধ ও দোকানে হামলার জেরে সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি সমর্থকদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়। তুফা্নগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় , বন্ধে গোলমাল এড়াতে দোকান - বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তবে সরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল। আরও পড়ুন ঃ মালদার কালিয়াচকে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু ৫ জনের , ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রাজ্যের অভিযোগ নাককাটিগাছ এলাকার পূর্ব শিকারপুরে বুধবার সকালে খুন হন বিজেপির ৯/১৯৮ নম্বর বুথের বুথ সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকার। এই ঘটনায় আহত হন আরও দুজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত কালাচাঁদকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতের পরিজনদের দাবি, বিজেপি করার অপরাধেই তাঁদের উপরে এই আক্রমণ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির জেলা নেতৃত্বেরও। যদিও পুলিশের দাবি কালীপুজোর ভাসানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে পূর্ব শিকারপুরের ২টি ক্লাবের মধ্যে গণ্ডগোলকে কেন্দ্র করেই অশান্তির সূত্রপাত। বিবাদ থামাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হন ৫৫ বছরের কালাচাঁদ কর্মকার। এই ঘটনায় বিজেপি রাজনৈতিক রং লাগানোর অভিযোগ করছে বলে পাল্টা দাবি করছে তৃণমূলও।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

মালদার কালিয়াচকে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু ৫ জনের , ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রাজ্যের

কালিয়াচকের সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হল ৫ জনের। বিস্ফোরণের ঘটনায় ্পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। সুজাপুরের ঘটনার খবর শুনে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা স্থানীয় নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি। ইতিমধ্যেই মৃ্তদের পরিবারকে দু লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন , বিস্ফোরণের ঘটনায় নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক কর্তারা।গোটা ঘটনার উপরে নজর রাখা হচ্ছে।বৃহস্পতিবার ক্ষতিপূরণের চেক পরিবারের হাতে তুলে দিতে মালদা যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। আরও পড়ুন ঃ ভাটপাড়ায় খুন তৃণমূল কর্মী জানা গিয়েছে , বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ মালদার কালিয়াচক থানা এলাকার স্কুলপাড়ায় এক প্লাস্টিক কারখানায় ক্রাশার বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যায়। আহতদের উদ্ধা্র করে ভরতি করা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, ওই কারখানায় প্লাস্টিক, লোহা ও পেতল পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য প্রক্রিয়াকরণের কাজ হত। স্থানীয় সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে যে, কারখানার ভিতরে কোনও যন্ত্র বিকল হওয়ার ফলেই বিস্ফোরণ ঘটে। ওই প্লাস্টিক কারখানায় ৫০ জন শ্রমিক কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ওই কারখানার মালিক।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

ভাটপাড়ায় খুন তৃণমূল কর্মী

গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম আকাশ প্রসাদ। তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন প্রেসিডেন্ট সোমনাথ শ্যামের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত আকাশ। উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার পাল ঘাট রোড এলাকার ঘটনা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী অশোক সাউ ও তাঁর দলবল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রর বাঁট দিয়ে মেরে আকাশকে হত্যা করে ৷ তারপর বোমাবাজি করতে করতে এলাকা ছাড়ে তারা। আরও পড়ুন ঃ বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ছেলে যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন প্রেসিডেন্ট সোমনাথ শ্যামের দাবি , এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এতে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। অন্যদিকে, সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, আকাশ প্রসাদ একজন দুষ্কৃতী ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানতাম। কিন্তু তৃণমূল কর্মী বলে জানতাম না। এই ঘটনায় বিজেপি-র কোনও যোগ নেই ৷ একথা আকাশের পরিবারই বলছে ৷ তৃণমূল তাদের গোষ্ঠীকোন্দল বিজেপি-র উপর চাপানোর চেষ্টা করছে।

নভেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ছেলে

বন্ধ বহুতলে আবাসনের ভেতর থেকে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধ দম্পতির পচাগলা দেহ। বাবা- মায়ের দেহের পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ছেলেকে। ঘটনাটি ঘটেছে , হাওড়ার শিবপুরের ১৭, কৈপুকুর লেনের আবাসনে। মৃতের পরিবার ওই আবাসনের চারতলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বুধবার দুপুরে শিবপুর থানার পুলিশ দরজা ভেঙে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদের নাম প্রদ্যুৎ বোস(৭৫), গোপা বোস( ৭০)। বাবা - মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে শুভজিৎ বোসকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত শুভজিৎ খুনের কথা স্বীকার করেছে। অসুস্থ রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি , মানসিক অবসাদ থেকে ছেলে তার বাবাকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। আরও পড়ুনঃ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে সমবায়ঃ শুভেন্দু জানা গিয়েছে , মৃত প্রদ্যুৎবাবুর দেহ পড়েছিল খাটে এবং শোফায় পড়েছিল গোপাদেবীর দেহ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত কারণে বেশ কয়েক বছর শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। তাঁর চিকিৎসার জন্য খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছিল। একমাত্র ছেলে শুভজিৎ উচ্চশিক্ষিত। তিনি একটি বেসরকারি কলেজ থেকে এমসিএ পাশ করেন। কিন্ত্য তিনি চাকরি করতেন না। এর পাশাপাশি পাড়ায় কারও সঙ্গে কথা বলতেন না তিনি। তার বাড়ির লোক জানিয়েছেন, শুভজিৎ উচ্চশিক্ষিত ছিল। চাকরি না পেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন। পরিবার দীর্ঘদিন আর্থিক অনটনে ভুগছিল। এই মানসিক অবসাদ থেকেই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ওই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলে স্বীকার করেছে যে বাবা-মাকে খুন করে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পুলিশ জানিয়েছে, মা, বাবাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ছেলে শুভজিৎকে। সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। শনিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটায়। এরপর সে আত্মহত্যার চেষ্টাও করে।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

 আমি 'নমিনেটেড' নই , ইলেকটেডঃ শুভেন্দু

কেন্দ্রের কাছে পৃথক সমবায় দফতরের দাবি জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন , আমি নমিনেটেড নই! সমবায় জীবনের শুরু থেকেই আমি ইলেকটেড। কালীপুজো ও ভাইফোঁটার কারণে ১৪ নভেম্বরের থেকে উদযাপনের দিন পিছিয়েছে। সমবায় আন্দোলনের ইতিহাস থেকে আজকের সমবায় ব্যবস্থার পোক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে থাকা প্রসঙ্গ টেনে জওহরলাল নেহেরু , সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের অবদানের কথা তুলে ধরেন শুভেন্দু । আরও পড়ুন ঃ বিজেপির বুথ কমিটির সম্পাদক খুন , অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনি আরও বলেন , সমবায় বিকল্প অর্থনীতি। সেই প্রসঙ্গে তিনি অবিভক্ত মেদিনীপুরের কথা তুলে ধরেন। তাঁর দাবি , সমবায় স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রেজিস্ট্রি এক জায়গায় হলেও মা - বোনেরা সমান গুরুত্ব পান না। তিনি মা - বোনেদের আরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা তুলে ধরেন ওই মঞ্চ থেকে। এদিন শুভেন্দুর পরণে ছিল নীল-সাদা উত্তরীয়। দলীয় সাংসদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের পর তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব কি মিটে যেতে চলেছে , এমনই জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

বিজেপির বুথ কমিটির সম্পাদক খুন , অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বিজেপির বুথ কমিটির সম্পাদককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম কালাচাঁদ কর্মকার। তিনি বিজেপির বুথ সম্পাদক পদে ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার জেরে বুধবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে তুফানগঞ্জের নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের চামটা গ্রামের কর্মকারপাড়ায়। খবর পেয়ে তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে লক্ষ্মী বর্মন বলেন, বুধবার সকালে কালাচাঁদবাবুকে রাস্তায় ফেলে মারছিল কয়েকজন। সেই সময় বাড়ির লোকরা বাঁচাতে যায়। ওই সময়ই কালাছাঁদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। তখই জ্ঞান হারান তিনি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কালাচাঁদকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিবারের তরফ থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রঞ্জিত বর্মন, কমল বর্মন, সঞ্জিত বর্মন, নারায়ণ বর্মন ও দিলীপ বর্মনকে এই মারধরের জন্য দায়ী করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে দুই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে ফের বচসা বাধে। শুরু হয় হাতাহাতি। ঘরের সামনে অশান্তি দেখে তা মেটাতে বের হন কালাচাঁদবাবু। অভিযোগ, তখনই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দুই ক্লাবের বচসার জেরেই এই ঘটনা। মৃত ব্যক্তি অশান্তি মেটাতে গিয়েছিলেন। আপাতদৃষ্টিতে এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ কমল বর্মন নামে একজন ব্যক্তিকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। আরও পড়ুন ঃ প্রয়াত জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য্য বিজেপির তরফে টুইটে বলা হয়েছে, কোচবিহারে বিজেপির বুথ সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকারকে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। রক্তের রাজনীতি করে বাংলার মানুষের সমর্থন পাওয়া যায় না মমতা ব্যানার্জী। আপনার দিন গোনার পালা শুরু! অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কোচবিহারে বিজেপির বুথ সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকারকে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী পিটিয়ে হত্যা করেছে, কিন্তু প্রশাসন চোখে কাপড় বেঁধে রেখেছে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে। খুব শীঘ্রই মানুষ এর জবাব দেবে এই অহংকারী সরকারকে।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

প্রয়াত জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য্য

প্রয়াত হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। কয়েকদিন ধরে তিনি বর্ধমানে নার্সিংহোমে ভরতি ছিলেন। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। রাত ২ টো ২০ মিনিট নাগাদ তিনি মারা যান। আরও পড়ুন ঃ সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় ফেরার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী , কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য্য , জেলা কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ গাঙ্গুলি , গণেশ দাস , অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। কাশীনাথ গাঙ্গুলি জানান , আভাস দা আমাদের অভিভাবক ছিলেন। দীর্ঘ বছর ধরে কংগ্রেসের আন্দোলনে সাথী ছিলেন তিনি। ওনার মৃত্যুতে দলের অনেক ক্ষতি হল।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় ফেরার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট

সাসপেন্ডেড সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষকে গড়বেতায় ফেরার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ৮ বছর পর নিজের জেলায় যেতে পারেন সিপিএম - এর এই প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি এলাকায় ফিরলে ফের অশান্তি হতে পারে বলে অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট সুশান্ত ঘোষকে জেলায় ঢোকার অনুমতি দিল। তিনি জেলায় ফিরতে পারবেন শুনে উচ্ছাসে ফেটে পড়েন সিপিএমের নিচুতলার কর্মীরা। আরও পড়ুন ঃ বিধানসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়েই লড়বে বাম- কংগ্রেস উল্লেখ্য , ২০১১ সালে বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে গ্রেফতার হন তিনি। পরের বছর জামিন পেলেও এতদিন জেলায় ঢোকার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। সোমবার সেই অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে দলবিরোধী কাজের জন্য সিপিএম সুশান্ত ঘোষকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছে। ডিসেম্বর মাসে তার শাস্তির মেয়াদ শেষ হবে।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

বিধানসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়েই লড়বে বাম- কংগ্রেস

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেধে লড়বে বাম - কংগ্রেস। মঙ্গলবার জোট নিয়ে আজ আরও এক দফা বৈঠক ছিল বাম ও কংগ্রেসের। বৈঠক পর একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর চৌধুরি ও বিমান বসু। বিমান বসু জানান, বাংলায় জোট শক্তিশালী হচ্ছে। অধীরবাবু বলেন , জোটকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না। তবে আসন-বণ্টন কী হবে তা নিয়ে আজকের বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি। এই বিষয়ে আগামীদিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান অধীরবাবু। এছাড়াও ২৬ নভেম্বর বামেদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে শামিল হবে কংগ্রেসও। ধর্মঘটের সমর্থনে ২৩ নভেম্বর মিছিল করবে বাম ও কংগ্রেস। মেট্রো চ্যানেল থেকে হেদুয়া পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন অধীর-বিমানরা । ২৬ নভেম্বর বামেদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে শামিল হবে কংগ্রেসও । ধর্মঘটের সমর্থনে ২৩ নভেম্বর মিছিল করবে বাম ও কংগ্রেস। মেট্রো চ্যানেল থেকে হেদুয়া পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন অধীর-বিমানরা। আরও পড়ুন ঃ শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা , সমালোচনায় ধনকড় অন্যদিকে , এদিন জাঙ্গিপাড়ায় ফুরফুরা শরিফে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী এবং পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি এবং বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। ফুরফুরায় আসার আগে ডানকুনিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন অধীরবাবু । সেখানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থে বিজেপি ও তৃণমূলকে দূরে রাখতে হবে এবং সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কংগ্রেস এবং বামেদের উপর। ফুরফুরায় দুই পীরজাদার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, সিদ্দিকী সাহেবরা বাংলার সর্বস্তরের, সর্বধর্মের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করেন। ফুরফুরা শরিফ একটি পীঠস্থান । বাংলার রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি হিসেবে কংগ্রেস এবং বাম আগামী দিনে জোটবদ্ধভাবে লড়াই করতে চাইছে। বাংলাকে রক্ষা করার স্বার্থে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির হাত মজবুত করা দরকার। তাই পীরজাদাদের কাছে দোয়া করার আবেদন করেছি ।

নভেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা , সমালোচনায় ধনকড়

শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ফের রাজ্য সরকার ও পুলিশ -প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হলেন জগদীপ ধনকড়। মঙ্গলবার সকালে বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যপাল লেখেন , একদিকে এই অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হচ্ছে শাসকদলের সাংসদকে। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে রাজ্যের পুলিশ। রাজনৈতিক নেতাদের মতো আচরণ করছে। এই ঘটনা রাজ্য পুলিশের কর্তাদের কর্তব্যচ্যুতি। সাংসদকে বাধা দেওয়ার পিছনে কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ রেণুকা মাড্ডির কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিলেন অধীর উল্লেখ্য , শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে শাসক দলের বিধায়ক - সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সেখানে প্রবেশ করতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন রাজ্যপালের টুইট।

নভেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

রেণুকা মাড্ডির কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিলেন অধীর

রেণুকা মাড্ডির কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বহরমপুরের মাজদিয়াপুরের বাসিন্দা রেণুকার কাছে ফোঁটা নিয়ে মিষ্টিমুখের পর বোনের হাতে শাড়ি, উপহার তুলে দেন অধীর। দাদাকে ব্লেজার উপহার দিয়েছেন রেণুকা। উল্লেখ্য , এই রেণুকা মাণ্ডি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন ছেলের মৃত্যুর পরও অধীর চৌধুরী যাতে হেরে না যান, তার জন্য ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছিলেন। সেই খবর শুনে আগেও তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বহরমপুরের সাংসদ। এবার রাখির দিনেও রেণুকার বাড়িতে গিয়ে রাখি পরে এসেছিলেন। এ বার ভাইফোঁটার দিন সবার আগে বোন রেণুকার বাড়িতে পৌঁছে গেলেন দাদা অধীর। আরও পড়ুন ঃ মহিলাদের কটূক্তির প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে বেধড়ক মারধর দুষ্কৃ্তীদের প্রসঙ্গত , গত লোকসভা নির্বাচনের দিন রেণুকার মেজ ছেলে রজত আত্মঘাতী হন। এদিকে সেদিনই ছিল বহরমপুর কেন্দ্রের নির্বাচন। ছেলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে যেতেই তিনি ভোট কেন্দ্রে চলে যান। প্রিসাইডিং অফিসারকে বলে আগে ভোটে দিয়ে ফের হাসপাতালের মর্গের সামনে এসে দাঁড়ান। রেণুকা জানান, এদিন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি, দাদা যেন আগামী দিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন।

নভেম্বর ১৬, ২০২০
রাজ্য

মহিলাদের কটূক্তির প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে বেধড়ক মারধর দুষ্কৃ্তীদের

জলসা দেখে ফেরার পথে মহিলাদের কটূক্তির প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করল দুষ্কৃ্তীরা। অভিযোগ, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজিও করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ , রবিবার রাতের বোমাবাজিতে কারও বাড়ির কাচের জানলা কিংবা দরজা ভেঙে গিয়েছে। সোমবার দিনভর সেভাবে এলাকার দোকানপাটও খোলেননি অনেকেই। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকিনাড়ার মণ্ডলপাড়ায়। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাতে থাকে। খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় জগদ্দল থানার পুলিশ। উন্মত্ত জনতা তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

নভেম্বর ১৬, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 158
  • ...
  • 167
  • 168
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

দীপু দাস খুনের পর অমৃত মণ্ডল, বাংলাদেশের জটিল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ভারত

ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পদ্মাপারের দেশে। এই পরিস্থিতিতে আবারও আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। একের পর এক হিন্দু যুবককে খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ইউনূস প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।২০২৪ সালের অগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। পরে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। সেই সময়েও হিন্দু-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তখনই ভারত বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে সতর্ক করেছিল।এবার ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। ময়মনসিংহে দীপু দাস নামে এক হিন্দু যুবককে মারধরের পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজবাড়ি জেলায় অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাট নামে আরও এক যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ওই যুবক তোলাবাজি ও সন্ত্রাস চালাত। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সেই ক্ষোভ থেকেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলতে থাকা হিংসা নিয়েই বৃহস্পতিবার সরব হয় নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, হিন্দু যুবক দীপু দাসের হত্যার তীব্র নিন্দা করছে ভারত। তিনি জানান, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ-সহ সংখ্যালঘুদের উপর একের পর এক হিংসার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে বলে ভারত আশা করছে।বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের উপর প্রায় ২ হাজার ৯০০টির বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেন তিনি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচন যেন অবাধ ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছে ভারত।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

৪৬ মৃত্যুর দায় কার? নির্বাচন কমিশনকে দুষে বিজেপির পাল্টা আক্রমণ

এসআইআর-এর শুনানি শুরুর ঠিক আগেই ফের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এসআইআর পর্বে রাজ্যে যে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার দায় সম্পূর্ণভাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উপর বর্তায়। তৃণমূলের দাবি, এসআইআর নিয়ে তৈরি হওয়া আতঙ্কই এই মৃত্যুগুলির কারণ।তৃণমূল যখন নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলছে, তখন পাল্টা আক্রমণে নামল বিজেপি। বিজেপি নেতা তাপস রায় তৃণমূলের অভিযোগকে যুক্তিহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কোনও পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অনেক সময় পড়ুয়ারা আত্মহত্যা করে। তাই বলে কি পরীক্ষা নেওয়া বা ফল প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া উচিত? তাঁর বক্তব্য, কোনও মৃত্যু যদি আকস্মিক বা অন্য কোনও কারণে হয়, তা অবশ্যই দুঃখজনক। কিন্তু তার দায় কোনও প্রক্রিয়ার উপর চাপানো যায় না।তাপস রায় আরও বলেন, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হলে অনেক ছাত্রছাত্রী চরম সিদ্ধান্ত নেয়। তাই বলে কি পরীক্ষা নেওয়াই বন্ধ করে দেওয়া হবে? তাঁর দাবি, একই যুক্তি এসআইআর-এর ক্ষেত্রেও খাটে।উল্লেখ্য, এসআইআর পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। সেই সব ক্ষেত্রে মৃতদের পরিবার এবং শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এসআইআর সংক্রান্ত নোটিস ও আতঙ্কের জেরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বা আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা।শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে এসআইআর-এর শুনানি। তার ঠিক আগের দিনই মুর্শিদাবাদ থেকে আসে আরও এক মৃত্যুর খবর। পরিবারের দাবি, বাবার পদবির সঙ্গে ছেলের পদবি না মেলায় এসআইআর-এর নোটিস এসেছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। একই রকমভাবে বীরভূমের সাঁইথিয়াতেও এক ভোটারের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।এই সমস্ত মৃত্যুর জন্য বরাবরই নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুনানি পর্ব শুরু হওয়ার আগে ফের সেই ইস্যুকেই সামনে আনল শাসকদল। তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির তরফে এই পাল্টা যুক্তি তুলে ধরলেন তাপস রায়।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর শুনানির আগে বড় মোড়, মতুয়াদের ভোটাধিকার নিয়ে স্পষ্ট কমিশন

রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে এসআইআর-এর শুনানি। তার ঠিক আগের দিন মতুয়াদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিল, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে সিএএ সার্টিফিকেট গ্রাহ্য করা হবে। ফলে মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষের দীর্ঘদিনের ধন্দ কাটল।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁদের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় নেই, তাঁরা নতুন করে ফর্ম ৬ পূরণ করে আবেদন করতে পারবেন। পরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হলে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। এই ক্ষেত্রেও সিএএ নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট লিঙ্ক ডকুমেন্ট হিসেবে দেখানো যাবে।এতদিন প্রশ্ন ছিল, মতুয়ারা কি নো ম্যাপিং ভোটারের আওতায় পড়বেন? আর পড়লে ২০০২ সালের কোন নথি তাঁরা দেখাবেন? কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু সিএএ নাগরিকত্বের সার্টিফিকেটে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য থাকে, তাই ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে ওই সার্টিফিকেটই লিঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ অনলাইনে ফর্ম পূরণের সময় এবার থেকে এই সার্টিফিকেটও গ্রহণযোগ্য হবে।তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে সার্টিফিকেট গ্রাহ্য হবে, কিন্তু আধার কার্ডকে কেন মানা হচ্ছে না, তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।অন্যদিকে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ৭০ হাজার মানুষ সিএএ-তে আবেদন করে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম থাকবেই। তাঁর দাবি, বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীদের পাশে বিজেপিই রয়েছে।উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল, নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরেই ভোটাধিকার পাওয়া যাবে। শুধু আবেদন করলেই ভোটার তালিকায় নাম ওঠানো যাবে না। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানায়, আগে নাগরিক হতে হবে, তার পরেই ভোট দেওয়ার অধিকার মিলবে।এই নির্দেশের পর থেকেই মতুয়াদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কারণ অনেকেই সিএএ-তে আবেদন করেছেন এবং তাঁদের মোবাইলে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মেসেজও এসেছে। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট শুনানিতে আদৌ গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। বিশেষ করে মতুয়াদের প্রায় ৯০ শতাংশই শুনানির নোটিস পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছিল।এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বাংলা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দেন। তিনি বলেন, প্রত্যেক মতুয়া ও নমঃশূদ্র পরিবারের পাশে কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে। মর্যাদার সঙ্গে ভারতে থাকার অধিকার তাঁদের আছে এবং বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাঁদের জন্য আরও কাজ করা হবে।এই সব কিছুর মধ্যেই শুনানির ঠিক আগে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে মতুয়াদের জন্য বড় স্বস্তি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে কমিশন স্পষ্ট করেছে, সিএএ সার্টিফিকেট তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নতুন করে ফর্ম ৬ পূরণ করে আবেদন করবেন।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

“এখন যুদ্ধের সময়”—এসআইআর আবহে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলকে চাঙ্গা করলেন অভিষেক

এসআইআর-এর শুনানি শুরুর আগেই তৃণমূলের অন্দরে কার্যত নির্বাচনী সুর বেঁধে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দলের নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এখন পরিস্থিতি যুদ্ধের মতো। বৈঠকে তিনি বারবার যুদ্ধ শব্দটি ব্যবহার করেন এবং বিপক্ষ হিসেবে বিজেপিকেই চিহ্নিত করেন।অভিষেক বলেন, আগে মানুষ ঠিক করত কে সরকার গড়বে, আর এখন সরকার ঠিক করতে চাইছে কারা ভোট দেবেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাথা নত করলে কেবল মায়ের কাছেই নত করব, আর কারও কাছে নয়।২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট আর খুব দূরে নয়। এসআইআর ঘিরে তৈরি হওয়া আবহেই কার্যত ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই প্রেক্ষিতেই ২০২১ সালের নির্বাচনের মডেলকেই সামনে আনতে চাইছেন অভিষেক। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচি, একেবারে বুথ স্তরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগএই কৌশলের উপর জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে তৃণমূলের উন্নয়নের সংলাপ কর্মসূচি। প্রায় ৮০ হাজার বুথে ঘুরে ঘুরে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরবেন দলের কর্মীরা। বুথ স্তরে জনসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়িতে গিয়ে কথাবার্তা বলার মতো কর্মসূচির কথাও উঠে এসেছে বৈঠকে।একদিকে যখন এই কর্মসূচি চলবে, অন্যদিকে সমান্তরালভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে চাঙ্গা রাখতে এবং ভোটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করতেই এই দ্বিমুখী কৌশল বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।বৈঠকে অভিষেক আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীরা হারছে এবং বিজেপি জিতছে। এই পরিস্থিতিতে এক মুহূর্তও শিথিলতা দেখালে বিপক্ষ সুযোগ নেবে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, এখন বিশ্রামের সময় নয়, এখন লড়াইয়ের সময়। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই এই কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশ ইস্যুতে বিক্ষোভ, পুলিশের দাবি খারিজ করে জামিন দিল আদালত

বাংলাদেশে দীপু হত্যার প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল কলকাতাতেও। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শহর। সেই ঘটনার জেরে গ্রেফতার হওয়া ১২ জন বিক্ষোভকারীকে শুক্রবার শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল আলিপুর আদালত। তিন হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।এই ঘটনায় মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর মধ্যে সাত জন আগেই জামিন পেয়েছিলেন। শুক্রবার বাকি ১২ জনের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় এই মামলায় ধৃত সকলেই আপাতত মুক্তি পেলেন।মঙ্গলবার বেকবাগানে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসের সামনে তীব্র বিক্ষোভ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। অভিযোগ ওঠে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে কুশপুতুল পুড়িয়ে ছুড়ে মারেন। এই ঘটনায় আট জন পুলিশকর্মী আহত হন। হাই কমিশনের বাইরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে বলে পুলিশের অভিযোগ।এই ঘটনার পর মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেদিন আদালত ১২ জন পুরুষ অভিযুক্তকে দুদিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। শুক্রবার ফের তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়।এদিন আদালতে পুলিশ ১২ জন অভিযুক্তের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত চায়। পুলিশের দাবি ছিল, ধৃতদের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরকারি আইনজীবী জানান, তদন্তে ইতিমধ্যেই ১১ জন সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার প্রমাণ হিসেবে ইনজুরি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে।সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা জরুরি। তাঁর দাবি, একই সংগঠন ফের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এতে আবার অশান্তি ছড়ালে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়তে পারে। পুলিশকে এমনভাবে মারধর করা হয়েছে যে, হাসপাতালে থেকে ছাড়া পেলেও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখনই কাজে যোগ দিতে পারবেন না।তিনি আরও জানান, হাই কমিশনের বাইরে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং কুশপুতুল পুড়িয়ে পুলিশের দিকে ছুড়ে মারা হয়েছে। সেদিন একই ঘটনা হাই কমিশনের ভিতরেও ঘটতে পারত বলেও আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এমনকি শুক্রবারও একই সংগঠন ফের কর্মসূচিতে নেমেছে বলে দাবি করে পুলিশ।অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী আদালতে বলেন, খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করা হলেও তার স্বপক্ষে কোনও নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, দুদিনের তদন্তে খুনের চেষ্টার কোনও প্রমাণ আদৌ পুলিশ পেয়েছে কি না।সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত ১২ জন অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে কড়া সিদ্ধান্ত, হোটেলে ‘নো এন্ট্রি’ বাংলাদেশিদের

বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। দেশজুড়ে নৈরাজ্যের আবহে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর একের পর এক হামলার অভিযোগ উঠছে। দীপু চন্দ্র দাসের হত্যার পর এবার অমৃত মণ্ডল নামে আরও এক হিন্দু যুবককে খুন করা হয়েছে বলে খবর। প্রতিবেশী দেশের এই ঘটনায় আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত সরকার। এবার সেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হল সাধারণ মানুষও।বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন মালদহ ও শিলিগুড়ির হোটেল ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলবে হোটেলগুলিতে। দেশের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকেরা।হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে ঘর দেওয়া হবে না। তবে মানবিকতার কারণে যাঁরা মেডিক্যাল ভিসায় চিকিৎসার জন্য ভারতে আসছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছিল। এবার সেই ছাড়ও তুলে নেওয়া হল। মেডিক্যাল ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় আসা বাংলাদেশিদেরও আর হোটেলে জায়গা দেওয়া হবে না।হোটেল মালিক সংগঠনগুলির দাবি, বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার চলছে এবং কিছু মহল থেকে শিলিগুড়ি করিডর ও সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকির মতো মন্তব্য করা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণেই আর কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ির একাধিক হোটেলে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এই বিষয়ে হোটেল মালিক সংগঠনের এক প্রতিনিধি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেখানে যা ঘটছে এবং যে ধরনের মন্তব্য সামনে আসছে, তার প্রতিবাদ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। সংগঠনের অধীনে থাকা ১৮২টি হোটেল ছাড়াও আরও ৩০ থেকে ৪০টি হোটেল একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, গত বছরও বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠার পর কলকাতা ও শিলিগুড়ি-সহ একাধিক জায়গায় বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে ঘর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ফের সেই একই পথে হাঁটলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

ভোটার তালিকা যাচাইয়ে বড় পদক্ষেপ, সকাল ১১টা থেকে কলকাতায় শুনানি

রাত পোহালেই শুরু হতে চলেছে এসআইআর-এর দ্বিতীয় ধাপ। শনিবার সকাল ১১টা থেকে কলকাতায় শুরু হবে শুনানি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধাপে প্রায় ৩২ লক্ষ ভোটারকে ডাকা হতে পারে। প্রথম পর্যায়ে মূলত যাঁদের নাম ভোটার তালিকায় নো ম্যাপিং হিসেবে চিহ্নিত, তাঁদের কাছেই নোটিস পাঠানো হয়েছে।শুনানির সময় ভোটারদের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হবে। জমা দেওয়া নথি দেখে সন্তুষ্ট না হলে সেগুলি আরও ভালো করে খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় আটটি করে জায়গায় শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একাধিক স্কুল ও সরকারি অফিসে এই শুনানি হবে।শুনানির দায়িত্বে থাকবেন ইআরও এবং এইআরও পদমর্যাদার আধিকারিকরা। একটি ভেন্যুতে এক দিনে সর্বাধিক ১৫০ জন ভোটারের শুনানি নেওয়া হবে। কলকাতায় বেলতলা গার্লস স্কুল, আলিপুর মাল্টিপারপাস গার্লস স্কুলে শুনানি হবে। এছাড়াও লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ, লরেটো ডে স্কুল, মর্ডান হাইস্কুল ফর গার্লস, মৌলনা আজাদ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুল, ভবানিপুর গার্লস হাইস্কুল এবং হরিমোহন ঘোষ কলেজে শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও একইভাবে শুনানি চলবে। তবে কোনও পৌরসভা বা পঞ্চায়েত অফিসে শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়নি।শুনানিতে হাজির হওয়ার সময় ভোটাররা কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দেওয়া পরিচয়পত্রও গ্রহণযোগ্য। এছাড়া পেনশন পেমেন্ট কার্ড, ১৯৮৭ সালের আগে ইস্যু হওয়া পরিচয়পত্র বা শংসাপত্র, জন্মের সার্টিফিকেট, ভারতের পাসপোর্ট, মাধ্যমিক স্তরের সার্টিফিকেট, স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত নথি, রাজ্যের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্রও দেখানো যেতে পারে। যেখানে এনআরসি চালু হয়েছে, সেখানকার শংসাপত্রও গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি রাজ্য বা স্থানীয় প্রশাসনের তৈরি ফ্যামিলি রেজিস্টার, সরকারি জমির নথি বা বাড়ির দলিলও দেখানো যেতে পারে।নির্দিষ্ট দিনে কোনও ভোটার যদি শুনানিতে হাজির হতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ নেই। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, উপযুক্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য কারণ দেখাতে পারলে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

নতুন বছরের আগে চমক! গেরুয়া শিবির ছেড়ে মমতার দলে পার্নো মিত্র

নতুন বছর আসার আগেই রাজনৈতিক জীবনে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। কলকাতার তৃণমূল ভবনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান অভিনেত্রী।দল বদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্নো জানান, এই দিনটি তাঁর কাছে খুবই বিশেষ। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বড়দিন ছিল, আর শুক্রবার তাঁর কাছে আরও বড় দিনের মতো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিনি নতুন পথচলা শুরু করছেন। সেই পথেই তিনি এগোতে চান দিদি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।পার্নো স্পষ্ট করে জানান, ছয় বছর আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেক আশা নিয়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বুঝেছেন, যেভাবে তিনি ভেবেছিলেন সেভাবে বিষয়গুলি এগোয়নি। তাই নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, মানুষ ভুল করতেই পারে, কিন্তু সেই ভুল সংশোধন করাটাই আসল।২০১৯ সালের জুলাই মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পার্নো মিত্র। বরাহনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তাপস রায়। তবে সময়ের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে। বর্তমানে বরাহনগর কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।দলবদলের আগে থেকেই বিজেপি নিয়ে পার্নোর অসন্তোষের কথা শোনা যাচ্ছিল ঘনিষ্ঠ মহলে। শেষ পর্যন্ত সেই অসন্তোষই যে সিদ্ধান্তে রূপ নিল, তা এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল। রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিনেত্রীর এই পদক্ষেপ আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন আলোচনা তৈরি করবে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal