• ৮ পৌষ ১৪৩২, শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

রাজ্য

রাজ্য

মুরগি চুরির প্রতিবাদ করে খুন

খামার থেকে প্রতিবেশীর মুরগি চুরি করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। কাঠগড়ায় প্রতিবেশী যুবক। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার কালিতলা ঘোষপাড়া এলাকায়। খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত। খুনের কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত যুবকের নাম শ্যামল সরকার(৩১)। স্থানীয় বিল্ডার্সের দোকানে কাজ করত। অভিযোগ, প্রতিবেশী দেবব্রত হালদার তাঁকে খুন করেছে।ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।পরিবারের অভিযোগ, খামার থেকে মুরগি চুরি করত অভিযুক্ত দেবব্রত হালদার। তাকে বারণ করতে মঙ্গলবার সন্ধেয় তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন শ্যামল সরকার। তখনই দেবব্রতর পরিবারের সদস্যরা মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে। মুখ দিয়ে রক্ত উঠতে থাকে শ্যামলের। পরে দেবব্রতর পরিবারের সদস্যরাই তাকে ভ্যানে তুলে চিকিৎসকের কাছে পাঠায়। যদি অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, এক অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী এসে শ্যামলের উপর চড়াও হয়। তাঁকে জখম অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তুনে আনেন দেবব্রতর পরিবারের সদস্যরা।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
রাজ্য

"পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে সরকার গড়তে দেবেন না", আবেদন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক বিরোধী বিল পাশ করে আসলে বড় পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করছে। এর ফলে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হবে আর কর্পোরেট সংস্থাগুলি সুবিধা পাবে বলে মঙ্গলবার দাবি করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকার। এদিন বিকেলে বর্ধমান টাউনহলে সিপিআইএমের জনসভায় বক্তব্যে কেন্দ্র ও ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মাণিক সরকার তীব্র আক্রমণ শানান । একই সঙ্গে তিনি আবেদন করেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে সরকার গড়তে দেবেন না । তাহলে বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে । বর্ধমানে জনসভার মঞ্চ থেকে মাণিক সরকার আরও বলেন, বিজেপি ডিভাইড এ্যন্ড রুল অর্থাৎ ধর্মের মাধ্যমে আন্দোলনকে ভাগ করতে চাইছে। সেই কারণে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। মাণিকবাবুর দাবি, লকডাউনে মানুষকে বিপদে ফেলেছিল বিজেপি সরকার। গোটা দেশে ৪৯ থেকে ৫২ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক আছে। লকডাউনে কোটি কোটি মানুষ অসহায় হয়ে পড়েন। শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া মানুষজন লকডাউনের সময় হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। তবুও বিজেপি সরকার তাদের কথা ভাবেনি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোন চিন্তাও করেনি। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রসঙ্গে মাণিক সরকার বলেন, পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৃষক বিরোধী বিল পাশ করেছে। এরফলে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হবে আর লাভবান হবে, সুবিধা পাবে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানান ,কৃষি আইন বাতিলের জন্য মাসের পর মাস সারা ভারত কৃষকসভা আন্দোলন করছে। এছাড়াও কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র সবাই এখন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে । বিজেপি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। ধর্মের নামে কেউ যাতে ভারতবর্ষকে ভাগ করতে না পারে তার জন্য ভারতে সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সংবিধানকেও এখন আক্রমণ করা হচ্ছে। মাণিক বাবুর দাবি, আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার গোটা দেশকে হিন্দুরাষ্ট্র করতে চাইছে। সংবিধানে নাগরিকের অধিকারের কথা উল্লেখ করা আছে। আর বিজেপি সরকার হিন্দুত্বের ভাবনা তৈরি করেছে। নতুন নাগরিক আইনে করে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হল।এইসব করে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের অবদানকেই কার্যত অস্বীকার করা হচ্ছে। এদিন বর্ধমানের সভা মঞ্চ থেকে নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নেন মানিক সরকার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। সেই কারণে মানুষ ভোট দিতেও পারছে না। তাদের ঘরছাড়া হতে হয়। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেউই সঠিক ভূমিকা পালন করছে না বলে মাণিক বাবু মন্তব্য করেন। মাণিক বাবু জনসভা মঞ্চ থেকে আবেদন রাখেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে সরকার তৈরি করতে দেবেন না। তাহলে বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েদেন।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
রাজ্য

অভিষেকগড়ে শুভেন্দুর হানা, তৃণমূল বিধায়ক পদ্মশিবিরে

বারুইপুরের জনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিলেন ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদার। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আরও প্রায় ১৬ জন তৃণমূল নেতা। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই যোগদানের মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূলের সংগঠনে বড় ধস নামল, যা বিধানসভা ভোটের আগে নিঃসন্দেহে ধাক্কা তৃণমূল শিবিরের কাছে। সভায় চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দ। বেশ কয়েকদিন ধরেই ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদারকে নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। চলতি বছরের প্রথমে তিনি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান বিজেপির কলকাতা সংগঠনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা ঘনিষ্ঠ এই সৈনিক নিজের রাজনৈতিক শিবির বদল নিয়ে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁর গতিপ্রকৃতি বুঝতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের। ১ ফেব্রুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন। স্পিডপোস্টে নিজের ইস্তফা পাঠান দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছে। আর পুরনো পরিচয় থেকে বেরিয়ে এসে ২ তারিখই নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারে পা রাখলেন দীপক হালদার।মঙ্গলবার বারুইপুরে বিজেপির যোগদান মেলায় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের উপস্থিতিতে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন দীপক হালদার।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
রাজ্য

ফালাকাটায় আদিবাসী নৃত্যে পা মেলালেন মমতা, দেখুন ভিডিও

উত্তরবঙ্গের ফালাকাটায় রীতিমতো অভিভাবকের ভূমিকায় দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার গণবিবাহের আসরে দাঁড়িয়ে পাত্র-পাত্রীদের হাতে তুলে দিলেন উপহার। পা মেলালেন আদিবাসী নৃত্যে।এদিন ফালাকাটায় এক সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা। সেখান থেকে চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। চা সুন্দরী প্রকল্পের জন্য ঘোষণা করেন ৫০০ কোটি টাকা। তিনবছরের মধ্যে গৃহহীনদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। জানান, ফালাকাটা-ময়নাগুড়ি পুরসভার কথা। বলেন, তৃণমূল যা বলে তাই করে। কারও কারও মতো ভোটের সময় সাধারণ মানুষের কথা মনে পড়ে না। প্রকাশ্যে বিজেপিকে বদমাশের গাছ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। যদিও পরে মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেন। বলেন, অপপ্রচার, চরিত্রহনন করা ছাড়া ওদের কোনও কাজ নেই। বিবাহের আসরের পাশেই নাচে মেতে উঠেছিলেন আদিবাসী মহিলারা। তাঁদের সঙ্গেই পা মেলান মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে ঠিক দিদির মতো পাশে পেয়ে আপ্লুত প্রত্যেকে।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
রাজ্য

সালিশি সভা চলাকালীন গুলি, মৃত ১

দশ বছর আগে পারিবারিক বিবাদের কারণে সালিশি সভা চলাকালীন খুন হয়েছিলেন বাবা । আর ঠিক একই ইস্যুতে আবারও সালিশি সভার মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হতে হল ছেলেকে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মৃতের এক কাকাও। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কাকা এবং ভাইপোর মধ্যেই পারিবারিক পুরনো বিবাদের এই গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে কালিয়াচক থানার মোজামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর এলাকায়। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ । যদিও কালিয়াচক থানার আইসি আশিস দাস এখনই পরিষ্কারভাবে এই ঘটনা সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, পুরনো পারিবারিক শত্রুতার জেরকে ঘিরে এই গোলমালের ঘটনাটি ঘটেছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , মৃত ভাইপোর নাম নওয়াজ শরিফ চৌধুরী (৩০)। জখম কাকার নাম সালাম চৌধুরী (৫০)। মৃতের মাথায় গুলি লেগেছে । জখম সালাম চৌধুরীর কোমরের ডানদিকে গুলি লেগেছে। তার চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, পারিবারিক জমির দখলদারি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই গোলমাল চলে আসছে কাকা ও ভাইপোর পরিবারের মধ্যে। দশ বছর আগে একইভাবে সালিশি সভা চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছিলেন শরিফ চৌধুরীর বাবা। আর এদিন এই বিবাদের মধ্যেই খুন হলেন ছেলে নওয়াজ শরিফ চৌধুরী।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পত্তির দখলকে ঘিরে এদিন নারায়ণপুর এলাকায় কাকা ও ভাইপোর দুই গোষ্ঠীর সালিশি সভা বসেছিল। উভয়পক্ষের মধ্যে হঠাৎ করে গোলমাল বাঁধে। আর সেখানে দুই গোষ্ঠী একে অপরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
রাজ্য

"উত্তরবঙ্গে গোহারা হেরেছি, প্লিজ এবার পুষিয়ে দেবেন তো!", আবেগপ্রবণ তৃণমূল সুপ্রিমো

উত্তরবঙ্গ উদ্ধার করতে মরিয়া তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনেই পদ্ম পতাকা উড়েছিল। তাই এবারের নির্বাচনী প্রচারে আবেগপ্রবণ হয়ে পুষিয়ে দেওয়া ডাক দিলেন তৃণমূলনেত্রী। যদিও বিজেপির বক্তব্য, লোকসভায় উত্তরবঙ্গ তৃণমূলকে খালি হাতে ফিরিয়েছে এবার একই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ তৃণমূলকে খালি হাতে ফেরাবে।২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পরাজয় নিয়েও আপশোষ নেই বলেও জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবার তৃণমূল নেত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে আমরা গোহারা হেরেছি। তাতে আমার কোনও লজ্জা নেই। তবে এবার আপনারা পুষিয়ে দেবেন। প্লিজ পুষিয়ে দেবেন তো! এভাবেই মমতা আবেদন জানান উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে। একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, উত্তরবঙ্গে আগে কেউ আসত না। সকলে উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করত। আমি কিন্তু প্রতি মাসে উত্তরবঙ্গে আসি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনও যে অত্যন্ত কঠিন লড়াই তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট।এর আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করে গিয়েছেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। উদ্দেশ্য একটাই হৃত জমি পুনরুদ্ধার করা। এদিকে বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ শুধু নয় দক্ষিণবঙ্গে এবার তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিরর কাছে পরাজিত হবে।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
রাজ্য

"পূর্ব বর্ধমানে করোনার টীকা ঝেড়েছে তৃণমূল কোম্পানি", কালনার জনসভায় তোপ শুভেন্দুর

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সোমবার ২০২১-২২ অর্থ বর্ষের বাজেট পেশ করেছেন। এদিন পূর্ব বর্ধমানের কালনায় বিজেপির জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করলেন তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, করোনা অতিমারির জন্য মোদি সরকার বাজেটে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আগামী এক বছর ধরে সমস্ত ভারতবাসীকে টিকা দেওয়ার কথাও বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। স্বাস্থ্য খাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে এইমস(AIIMS)-এর মত হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত সমস্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন আধুনিক পর্বের ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বাজেটে বলা হয়েছে।কালনার এই জনসভায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুকুল রায় বলেন, দীর্ঘ দিন রাজনীতি করছি। এর আগে সরকার পরিবর্তন দেখেছি। একই উচ্ছাস ২০২১ সালেও দেখছি। এবারও মানুষের উচ্ছাসও যে সরকার পরিবর্তন করার উচ্ছাস তা পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে বলে মকুলবাবু মন্তব্য করেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, ৭৫ উর্ধ্ব বয়সের প্রবীন নাগরিকদের ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করতে হবে না বলে বাজেটে যা ঘোষণা করা হয়েছে সেটা বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশের সিনিয়র সিটিজেনদের এই বিশেষ উপহার দিয়েছে মোদি সরকার।বাজেটের প্রসঙ্গ সামনে এনে তৃণমূল কংগ্রেসকেও বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূলকে লকডাউনে চালচুরি, আমফানে ত্রিপল চুরি করতে দেখা গেছে। এখন দেখা যাচ্ছে টিকাও চুরি করছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য যে টিকা এসেছিল তার থেকে ১৫ টি টিকা ঝেড়ে নিয়েছে তৃণমূল কোম্পানির লোকেরা। তার মধ্যে রয়েছে ২ বিধায়ক ও একজন প্রাক্তন বিধায়ক। তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছিল এঁরা হাসপাতালের সঙ্গে যিক্ত। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন ,কালনা, কাটোয়া,পূর্বস্থলী এলাকা হল শস্যভাণ্ডার। সেই কারণে বিজেপি কৃষক সুরক্ষা যাত্রা এখান থেকে শুরু করেছে । শুভেন্দুবাবু কালনার সভামঞ্চ থেকে জেলার চাষিদের উদ্দেশ্যে বলেন, পশ্চিম বাংলার চাষিরা বাদে সবাই তিন বছরে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনায় ২০ হাজার টাকা পেয়ে গিয়েছে। রবিবার অমিত শাহজি বলেছেন ,পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুধুমাত্র সংখ্যা পাঠিয়ে দিয়ে রাজ্য সরকারের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে । কিন্তু মোদিজি বলে দিয়েছেন , না - এই ভাবে টাকা দেওয়া যাবে না। কাটমানি খেতদেওয়া হবে না। সরাসরি কৃষকদের অ্যাকউন্টে টাকা পাঠানো হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।কালনার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খালিস্তানিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ আনেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কেন্দ্রের সরকার যখন দেশকে শক্তিশালী করতে চাইছে তখন এই রাজ্যের সরকার দেশকে দুর্বল করতে চাইছে। লালকেল্লা থেকে খালিস্তান জিন্দাবাদ বলছে। শুভেন্দু বাবু দাবি করেন, খালিস্তানি মদতপুষ্ট আন্দোলনকে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সমর্থন জানাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, বিধানসভা ভোটের জন্য স্বাস্থ্যসাথী করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের চাপে তিন মাস রোগীদের এখন নার্সিংহোমগুলি ফেরাবে না। সিপিএম নেতাদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন ,তৃণমূল সরকারের আমলে পঞ্চায়েত ভোটে নমিনেশন জমা দিতে পারেননি, পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে পারেননি। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় না এলে অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে না।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
রাজ্য

ভোটারদের মন পেতে বিজেপির প্রতিশ্রুতির পাল্টা দান-ধ্যান তৃণমূলের

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়দোরগোড়ায় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ভোটারদের মন পেতে তাই এখন প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ ঘোষণা করেন, বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে ছাত্রীদের স্কুটিদেওয়া হবে। পাশাপাশি আরও অনেক কিছু রাজ্যবাসী পাবেন বলে সৌমিত্র ওইদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দান-ধ্যান ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পন্থা নিয়েছে।জনগনের মন পেতে রবিবার জামালপুর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষথেকে সাত হাজারেরও বেশী দুঃস্থ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হল শীতের কম্বল।একই ভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন মেমারি পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তিন শতাধিক দুঃস্থের হাতেও কম্বল তুলে দেওয়া হয়। কনকনে ঠান্ডায় শীত নিবারণের জন্য যাঁরা কম্বল নিলেন তাঁরা ভোট কাকে দেবেন তা অবশ্য কারও জানা নেই। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মানুষের পাশে যাঁরা থাকে জনগন তাঁদেরকেই ভোট দেয় । জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূলের নেতা মেহেমুদ খান এই প্রসঙ্গে বলেন, গত লোকসভা ভোটের সময়ে বিজেপি প্রত্যেকের এ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ।এছাড়াও ঘরে ঘরে চাকরি দেবারও প্রতিশ্রুতি দেয়। লোকসভা ভোট মিটে যাবার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু জনগন কিছুই পাননি।অন্যদিকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লক সভাপতি ভূতনাথ মালিক এদিন দাবি করেন, শীত ,গ্রীষ্ম ,বর্ষা তৃণমূলই যে বাংলার জনগণের ভরসা সেটা বাংলার মানুষ খুব ভালোভাবেই জানেন। এটাও জনগন জানেন তৃণমূল ভোটে জেতার জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলার উন্নয়নে যেমন জোয়ার এনেছেন তেমনই তৃণমূল কর্মীরা বাংলার জনগনের ভালোর জন্য সারাবছর কাজ করে যাচ্ছে।এইসবের জন্যই জামালপুর সহ গোটা রাজ্যের মানুষ ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করবেন।যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের এমন দাবি প্রসঙ্গে বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, সর্বক্ষেত্রে গরিব মানুষের কাছ থেকে কাটমানি কারা খায় তা বাংলার মানুষ ভালকরেই জানেন। পায়খানা ঘরের টাকা থেকেও তৃণমূলের নেতারা কাটমানি খেতে ছাড়ে না। এবারের বিধানসভা ভোটে জামালপুরের পাশাপাশি গোটা বাংলার মানুষ কাটমানি খাওয়া তৃণমূলকে যে বাংলা ছাড়া করবে তা তৃণমূলের নেতারা ভালোই বুঝে গিয়েছেন। তাই এখন তৃণমূল নেতারা দান ধ্যান করে ভোটারদের মন পেতে চাইছে। তবে এইসব করে আর লাভ কিছু হবে না। সন্দীপ বাবুর দাবি, তৃণমূল সরকারের বিদায় সময়ের অপেক্ষা মাত্র ।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
রাজ্য

প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত তৃণমূল সাংসদ!

৭ ফেব্রুয়ারি আদ্যোপান্ত সরকারি কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সেদিন হলদিয়ায় দুটি প্রকল্পের সূচনা করবেন তিনি। একই সঙ্গে শিলান্যাস হবে একটি প্রকল্পের। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান পুরোপুরি অরাজনৈতিক হলেও, তাৎপর্যপূর্ণ সেদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকেও। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান নিজে দিব্যেন্দুকে চিঠি লিখে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাও আবার অনুষ্ঠানের প্রায় এক সপ্তাহ আগে। আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে দিব্যেন্দুও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর ওই সরকারি অনুষ্ঠানে যাবেন।ইদানীং রাজ্যে কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের সাংসদের ডাকা দেখা যায় না। সেভাবে কেন্দ্রের কোনও অনুষ্ঠানে রাজ্যের শাসকদলের কোনও প্রতিনিধিকেই দেখা যায় না। এই পরিস্থিতিতে দিব্যেন্দুকে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের এই সৌজন্য দেখানো রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, দিব্যেন্দুর দাদা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর গোটা অধিকারী পরিবারের সঙ্গেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের। তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতেই আর দেখা যায় না শিশির বা দিব্যেন্দুকে। এমনকী, সম্প্রতি নন্দীগ্রামে দলনেত্রীর সভামঞ্চেও দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকে। খোদ শিশির অধিকারী একাধিকবার প্রকাশ্যে দল তথা নেত্রীর আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দিব্যেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে দিব্যেন্দুর ডাক পাওয়াটা রাজনৈতিকভাবে বাড়তি তাৎপর্য রাখে।

জানুয়ারি ৩১, ২০২১
রাজ্য

ফের রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী!

১৫ দিনের মধ্যে ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় এক সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। তবে, মোদির এবারের সফরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি এখনও নেই।বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভারত পেট্রোলিয়ামের এক সরকারি কর্মসূচিতে ঝটিকা সফরে রাজ্যে পা রাখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। কলকাতা হয়ে সরাসরি তিনি চলে যাবেন শুভেন্দুর গড় হলদিয়ায়। সেখানেই সরকারি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেখান থেকেই দিল্লি ফিরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব চেষ্টা করছে, সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর দীর্ঘায়িত করে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি তাতে অন্তর্ভুক্ত করার। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই দুদিনের রাজ্য সফরে আসার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। কিন্তু শুক্রবার দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ হওয়ায় সেই সফর বাতিল হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে হাওড়ার যোগদান মেলায় কেন্দ্রস্তরের বড় কোনও নেতাকে আনার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। তাছাড়া আগামী ৫-৬ ফেব্রুয়ারি এমনিও রাজ্যে আসতে চলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

জানুয়ারি ৩০, ২০২১
রাজ্য

আদিবাসী উৎসবে মেতে উঠেছে ভাতারের সাহেবগঞ্জ

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সাহেবগঞ্জে শুরু হয়েছে আদিবাসী উৎসব। বৃহস্পতিবার ভাতারের প্রাক্তন বিধয়ক বনমালী হাজরা ও ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুন্দরী মারডি মেলার উদ্বধোন করেন। উৎসব চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।শনিবার উৎসব প্রাঙ্গণে হাজির হন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, স্থানীয় বিধায়ক সুভাষ মন্ডল, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তপন সরকার, যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অরবিন্দ পাল। এদিন আদিবাসী নৃত্যের প্রতিযোগিতা হয়। ৬৮টি আদিবাসী গ্রুপ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এছাড়াও ছিল হাঁড়ি ভাঙা ও মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা।মেলা মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলনের মাধ্যম। আবার এই মেলাতেই ভাষা এবং সংস্কৃতির আদানপ্রদান হয়। সাংস্কৃতিক চর্চা একটা জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করে। সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর মধ্যেও অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ভাষা বলতে জানে কিন্তু অলচিকি অক্ষর চেনেও না, পড়তেও পারে না।বিশিষ্টরা মনে করে, এই মেলা আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে। কারণ, এই তিন দিন শুধু তাঁদের ভাষা, সংগীত, নৃত্যের প্রদর্শন করবে। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষও জ্ঞাত হবে আদিবাসী সংস্কৃতি সম্পর্কে। প্রসার ঘটবে লোকসংস্কৃতির।তাছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচার করা করাও এই মেলার উদ্দেশ্য।

জানুয়ারি ৩০, ২০২১
রাজ্য

কোটি টাকার পিকের টিমকে বাদ দিয়ে সুব্রত কেন? প্রশ্ন তুললেন বৈশাখী

কোটি কোটি টাকার ঠিকাদার সংস্থা পিকের টিমকে বাদ দিয়ে কেন নন্দীগ্রামে রেইকি করতে যাচ্ছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়? দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারের জনসভায় এই প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, একসময় যারা দিদির জেলযাত্রার কামনা করত, যাঁরা তাঁকে বেদের মেয়ে জোসনা বলত, তাঁদের উপর ভরসা রাখছেন। কোটি কোটি টাকা দিয়ে পিকের টিম এতদিন কি করল?উল্লেখ্য বুধবার সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামে তিনি তিন দিন থাকবেন এবং সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। অভাব-অভিযোগ শুনবেন। সেখানে তিনি একটা সার্ভে করবেন। এরপর বিভিন্ন মহলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। রাজনৈতিক মহল মনে করে, ১৯৮৪-তে কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই আসনে বিশিষ্ট সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে সংসদীয় রাজনীতিতে পা রাখেন কংগ্রেসের তৎকালীন যুব নেত্রী। এবার সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেই নন্দীগ্রামের দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে এরপরেই কটাক্ষ শুরু করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।এই জনসভায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে একহাত নেন তৃণমূল যুব সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৈশাখী বলেন, ৪২টি গাড়ি নিয়ে ঘুরলেই ভাইপো উন্নয়ন হয় না। উন্নয়ন হয়নি তোমার জেলায়। আজ গ্রামে গিয়ে বুঝলাম। ওই মায়ের চোখের জল দেখে বুঝলাম। রাস্তা দেখে বুঝলাম। ওই ৪২টা গাড়ির একটা থেকে জনতার মাঝে নেমে দেখাও। থাপ্পড় মেরে বের করে দেবে বাংলার জনতা। তিনি সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও।

জানুয়ারি ২৭, ২০২১
রাজ্য

মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক হিংসার বলি এক

ফের রাজনৈতিক হিংসার বলি একজন।পূর্ব বর্ধমান জেলায় খুন হলেন তৃণমূলের এক বুথ সভাপতি। জখম হয়েছেন আরও এক তৃণমূল নেতা। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। মঙ্গলবার দুপুরে মঙ্গলকোট থানার নিগন গ্রামে তৃণমূল নেতা সঞ্জিত ঘোষকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁকে প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের মোকাবিলা করতে না পেরে এইভাবে হিংসার রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছে। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই রয়েছে এই খুনের পিছনে।তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে মোটরবাইকে করে দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সঞ্জিতবাবু। সঙ্গে ছিলেন মঙ্গলকোটের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ইব্রাহিম শেখ। নিগন গ্রামে তাঁদের বাইক আটকায় বিজেপির লোকজন। তৃণমূলের নিগন অঞ্চল সভাপতি ধ্রুব ভট্টাচার্য বলেন, সোমবার এলাকায় বিজেপির যুব মোর্চা রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ সভা করেছিলেন। সেখানে তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন।তার জেরেই এদিন আমাদের নেতাদের উপর হামলা করা হয়েছে। বিজেপি মানুষ খুনের রাজনীতি শুরু করেছে।যদিও বিজেপির বর্ধমান পূর্ব সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের দাবি, তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দল। নিগন গ্রামে যা ঘটেছে তা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ঘটেছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।

জানুয়ারি ২৭, ২০২১
রাজ্য

"অবিশ্বাস্য। অভাবনীয়। এভাবেও খুঁজে বের করা যায়?"- 'পদ্মশ্রী' শিক্ষক

অবসরের পর দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে চলছে সদাই ফকিরের পাঠশালা। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের উত্তর রামনগরের এই পাঠশালার শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায় পাচ্ছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। ৭৮ বছরের শিক্ষকের বড় আক্ষেপ এলাকায় একটা কলেজ নেই। মন্ত্রী, বিধায়কদের বলেও কাজ হয়নি। আশপাশের সব কলেজের দূরত্বই প্রায় ২৫ কিলোমিটারের বেশি। তবে নিজে এখনও পাঠশালায় গুরুদক্ষিণা নেন মাত্র ২ টাকা৷ রামনগর হাইস্কুল থেকে সুজিতবাবু অবসর নিয়েছেন ২০০৪ সালে। ওই স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৬৫ -তে। পড়াশুনা করেছেন বর্ধমান রাজ কলেজে। দীর্ঘ ৪০ বছর শিক্ষকতার পর শুরু করেন সদাই ফকিরের পাঠশালা। শুরু করেছিলেন ১ টাকা দক্ষিণা নিয়ে। ১৮ বছরের মাথায় দক্ষিণা বেড়ে হয়েছে ২ টাকা।পদ্মশ্রী পেয়ে কেমন লাগছে? সুজিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, অবিশ্বাস্য। অভাবনীয়। ভাবতেই পারছি না গ্রাম বাংলা থেকে এভাবে কাউকে খুঁজে বের করে সম্মান দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার প্রত্যন্ত জঙ্গলমহল এলাকা থেকে। দিল্লির ফোন পেয়ে কথা বলেও প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে দিল্লির ওই ফোন নম্বরে আমার মেয়ে ফোনে কথা বলে নিশ্চিত হয়। সদাই ফকিরের পাঠশালায় ৩০০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করেন। সুজিত বাবু মাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি, বাংলা, ভুগোল, ইতিহাস পড়ান। উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা, সংস্কৃত ও স্নাতক স্তরে বাংলা পড়ান। একেবারে শুরুতে গুরিদক্ষিণা নিতেন এক টাকা। এটা টিউশন ফি নয়। এখানকার ছাত্রছাত্রীরা দুস্থ। টিউশন ফি নিলে পড়াশুনাই করতে পারবে না, বলেন সুজিত চট্টোপাধ্যায়।সুজিতবাবু জানান, তাঁর যে টাকা নেই, সেকথা বোঝাতেই সদাই ফকিরের পাঠশালা নাম দেওয়া হয়েছে। পেনশনের টাকাতেই তাঁর সংসার চলে। জঙ্গলমহলের এই শিক্ষকের দাবি, এলকায় একটা কলেজ স্থাপনের। সেকথা এখানকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন। দিল্লিতে মার্চে পদ্মশ্রী পুরস্কার নেওয়ার সময়ও সেই দাবি জানাবেন বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। এলাকায় স্টেট ব্যাংকের দাবিও রয়েছে তাঁর।

জানুয়ারি ২৬, ২০২১
রাজ্য

কাটআউটে মোদির পায়ের তলায় মনীষীরা! উত্তেজনা বালুরঘাটে

কাটআউটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পায়ের তলায় মনীষীদের ছবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, ঋষি অরবিন্দ রয়েছে সেই কাটআউটে। বালুরঘাটের বিভিন্ন প্রান্তে এমন কাটআউট ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। যদিও ছবির নীচে সৌজন্যে সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করতে তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে এমন কাজ করেছে। যদিও তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে যান সাংসদ-সহ বিজেপি নেতা-কর্মীরা। চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে বোল্লা এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, কাটআউটগুলোতে আমার নাম দিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাটআউটে পায়ের নিচে মনীষীদের ছবি রয়েছে। এটা দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং মনীষীদের অপমান করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাকে এবং বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত। আগামী নির্বাচনে তৃণমূল এখানে জয়লাভ করতে পারবে না দেখে এই ধরনের কুৎসা করছে। আমরা বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রাজেন শীল বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা বার্তার কাটআউট বিজেপির তরফে লাগানো হয়েছে। কিন্ত মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখেই তারা তৃণমূলের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, যে দলই এই কাজ করে থাকুক না কেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ হয়েছে এটি। রাজনীতিতে সম্প্রতি যেভাবে মনীষীদের ব্যহার পরে ফায়দা লোটার চেষ্টা হচ্ছে, তা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

জানুয়ারি ২৬, ২০২১
রাজ্য

দিল্লির কৃষক আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল বর্ধমানে

এরাজ্যেও দিল্লির আঁচ এসে পোঁছাল। দিল্লির কৃষক আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল বর্ধমানে। মঙ্গলবার দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে ট্রাক্টর নিয়ে র্যালি করে সারা ভারত কৃষক সভার বর্ধমান জেলা কমিটি। ট্রাক্টর মিছিলের সামনে ছিল বাইক র্যালি। র্যালিটি বর্ধমান শহরের নবাবহাট থেকে উল্লাস পর্যন্ত যায়। কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের প্রতিবাদও জানানো হয় এই র্যালি থেকে। প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্রাক্টর প্যারেড করে আন্দোলনকারী কৃষকরা। লালকেল্লায় পৌঁছে যায় আন্দোলনকারীরা।কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর কৃষক আন্দোলন। দিল্লির আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে সারা দেশ। দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এবার ট্রাক্টর র্যালি হল বর্ধমানে। এদিনের র্যালিতে প্রায় ১ হাজার ট্রক্টর অংশ নেয়। বর্ধমানের এই আন্দোলনে যথেষ্ট সাড়া পড়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষকসভার নেতৃত্ব।

জানুয়ারি ২৬, ২০২১
রাজ্য

'১৬ ফেব্রুয়ারির আগে মাননীয়ার বাড়িতেও পদ্ম ফোটাব'

রবিবারের কুলতলির পাল্টা, সোমবারের তমলুকের সভা। এদিন চাঁচাছোলা ভাষায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন, আমি ঘুষখোরই যখন, ২ ডিসেম্বর হাতে পায়ে ধরেছিলি কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, ১৬ ফেব্রুয়ারির আগে মাননীয়ার বাড়িতেও পদ্ম ফোটাব।রবিবার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন ডায়মন্ড হারবারবারের সাংসদ। তাঁকে ঘুষখোর, মধুখোর, বিশ্বাসঘাতক বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সোমবার তমলুকের সভা থেকে তার জবাব দিলেন শুভেন্দু। বলেন, তোলাবাজ ভাইপো, এরকম চিটিংবাজ লোক খুব কম আছে। ছোট থেকেই চিটিংবাজিতে হাত পাকিয়েছিল। এরপরই অভিষেকের মধুখোর কটাক্ষের জবাবে শুভেন্দু বলেন, আমার ১১ সালের আগে যা ছিল, আজও তা আছে। বাড়িও পালটায়নি, গাড়িও পালটায়নি। কারণ মধু আমি খাইনি।তিনি বলেন, গতকাল তোলাবাজ ভাইপো বলেছে, শুভেন্দু ঘুষখোর, মধুখোর, বিশ্বাসঘাতক। আপনাকে আমি বলি, তোলাবাজ ভাইপো, ছোট বয়স থেকে হাত পাকিয়েছে, কী করে চিটিং করতে হয়। আগে লিখতেন এমবিএ। আদরণীয়াও এখন নিজের নামের আগে ডক্টরেট লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, এতই যখন দুর্নীতির অভিযোগ, তবে কেন তাঁকে দলে রাখার জন্য এত জোর করা হয়েছিল। তাঁর দাবি, কেডি সিংকে নিয়োগ করেছিলেন অভিষেকই। সুদীপ্ত সেনের চিঠির পিছনেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ শুভেন্দুর।পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, আমার বাড়িতেও পদ্ম ফুটতে শুরু করেছে। রামনবমীর আগে সব পদ্ম ফুটে যাবে। বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

জানুয়ারি ২৫, ২০২১
রাজ্য

ফেব্রুয়ারিতে সাধারণের জন্য খুলছে বেলুড়মঠ

আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী থেকে ফের সাধারণের জন্য বেলুড়মঠের দ্বার খোলা হচ্ছে। গতবছর মঠ খুলে আবার বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। সোমবার বেলুড়মঠের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মঠ খোলার কথা জানানো হয়। সোমবার সাংবাদিকদের এই কথা জানান বেলুড়মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবিরানন্দ মহারাজ।উল্লেখ্য, করোনা আবহে লকডাউনের জেরে ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল বেলুড়মঠ। টানা ৮২ দিন মঠ বন্ধ থাকার পর ১৫ জুন আবার জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় একাধিক করোনা বিধি মেনে গেটে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মঠে ঢোকার সময় সামাজিক দুরত্ব মানা, হাত স্যানেটাইজ করে মঠে ঢোকা, সব করোনাবিধিই মানতে হত ভক্ত থেকে দর্শনার্থী সকলকেই। এর প্রায় দেড় মাস পর ২ আগস্ট থেকে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় বেলুড় মঠ। দুর্গাপূজা, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অনুষ্ঠান সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি দেখেছে আপামর ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারী থেকে আবার বেলুড়মঠের দরজা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্যে খুলতে চলেছে। সকালে সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ও বিকেলে সাড়ে ৩টে থেকে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্যে খোলা থাকবে বেলুড়মঠ। মঠের মন্দিরে প্রবেশ করলেও কোনও মন্দিরেই বসতে পারবেন না ভক্তরা। তবে মিউজিয়াম ও নরনারায়ণ সেবা এখনই চালু করা হচ্ছে না। সন্ধ্যা আরতিও এখন দেখতে পারবেন না ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।

জানুয়ারি ২৫, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে প্রবেশ করেছে ৬ জেএমবি জঙ্গি

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে ফের রাজ্যে জেএমবি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে সতর্কবার্তা। মুর্শিদাবাদের লালগোলা সীমান্ত দিয়েই অনুপ্রবেশ করেছে নব্য জেএমবির ৬ জন ।ফলে ২৬ জানুয়ারির আগে ফের রাজ্যের নিরাপত্তা বাড়ল কয়েকগুণ।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি লালগোলা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে ৬ জন নব্য জেএমবির সদস্য। মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কোনও রেলস্টেশনে নাশকতা চালাতে পারে তারা। গোয়েন্দাদের মতে, রাজ্যের কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে।ইতিমধ্যেই মালদা, মুর্শিদাবাদের একাধিক স্টেশনে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। এছাড়া কলকাতা ও তার আশপাশের অঞ্চলেও অতিরিক্ত সতর্ক হয়েছে পুলিশ।গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই ৬ জঙ্গি লালগোলার রুট ধরেই সম্ভবত প্রবেশ করেছে এই রাজ্যে। এরপর তারা কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

জানুয়ারি ২৫, ২০২১
রাজ্য

'ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেব', হুঁশিয়ারি অভিষেকের

বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী আক্রমণের ঝাঁঝ ক্রমশই বাড়ছে। বিজেপির তরফে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করা হচ্ছে। রবিবার কুলতলির সভা থেকে পাল্টা বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ। এদিন সভার শুরু থেকেই বিরোধী গেরুয়া শিবিরকে তোপ দাগেন অভিষেক। প্রথমেই যতই নাড়ো কলকাঠি, নবান্নে আবার হাওয়াই চটি, স্লোগান দিয়ে সভা শুরু করেন তিনি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণে সরব হন অভিষেক। তাঁর অভিযোগ, জিএসটির টাকা আটকে ভাতে মারতে চাইছে কেন্দ্র। বারবার বিরোধী বিজেপি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়েছে। আরও একবার পাল্টা তার খোঁচা দেন অভিষেক। তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষরা বলছেন স্বাস্থ্যসাথী আসলে ভাঁওতা। আবার ওনার পরিবারের লোকেই গিয়ে কার্ড নিচ্ছে। উন্নয়ন ও পরিসংখ্যানের নিরিখে লড়াই হোক। ১০-০ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতিতে পা রাখব না। এরা উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে পারে না। যত আক্রমণ করা হচ্ছে আমাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে আমার সঙ্গে লড়ুন। ভাইপো না বলে আমার নাম উচ্চারণ করে দেখান। কড়ায় গণ্ডায় সব বুঝিয়ে দেব। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেবো। তৈরি থাকো।দলবদলের পর থেকে বারবার একাধিক সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না-করে তোলাবাজ ভাইপো বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই ইস্যুতেও এদিন শুভেন্দুকে একহাত নেন অভিষেক। তিনি বলেন, তোমাকে টিভিতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আর তুমি আমাকে তোলাবাজ বলছো? সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন তিনি শুভেন্দুকে টাকা দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। ১০ বছর খেয়ে মধু মীরজাফর এখন সাজছে সাধু। সুদীপ্ত সেন আদালতকে চিঠিতে লিখেছিলেন। এমন প্রমাণ আমার বিরুদ্ধে নেই। সুদীপ্ত সেনকে ব্ল্যাকমেল করতেন শুভেন্দু অধিকারী। আমি প্রমাণ দিয়েছি, আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে পারবে? প্রমাণ দিতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব। টিভির পর্দায় টাকা নিয়েছ আর ভাইপো তোলাবাজ? পরিবারতন্ত্র ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগের পাল্টা জবাব দেন অভিষেক।

জানুয়ারি ২৪, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 148
  • ...
  • 166
  • 167
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বড়দিনের ভোরে কর্ণাটকে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা, পুড়ে ছাই বাস, মৃত ১০-এর বেশি

বড়দিনের ভোররাতে কর্ণাটকে এক ভয়াবহ পথদুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ১০ জনেরও বেশি যাত্রী। একটি বেসরকারি ট্রাভেল বাস ও একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের পর মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ধরে যায় বাসটিতে। দুর্ঘটনার তীব্রতায় সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাসটি, যার ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে শিবমোগা হয়ে গোকর্ণ যাচ্ছিল বাসটি। বুধবার ভোর প্রায় তিনটে নাগাদ হিরিয়ুর গোরলাট্টু ক্রস সংলগ্ন জাভানাগোন্ডানহাল্লি এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পরই বাসে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন গোটা বাসটিকে গ্রাস করে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী ও পুলিশ। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে প্রায় ৩০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। আগুনে পুড়ে ও ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে বহু যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুমারস্বামী বি.টি জানান, এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই লরি চালকের মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের বেশি যাত্রীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত অন্তত ১২ জনকে উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জনকে তুমকুরু সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তে লরি চালকের অবহেলাকেই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে সঠিকভাবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। মৃতদেহগুলি শনাক্ত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বড়দিনের আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে পরিণত হয়েছে। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫
বিদেশ

বোমা বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঢাকা, মৃত্যু এক, অপরাধ-হিংসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে

ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত। তারপর ময়মনসিংহের দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জেহাদীরা। চট্টগ্রামে হিন্দু বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। অতপর আজ, বুধবার ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই বোমায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে। বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এটাকে বোমার বিস্ফোরণ বলেছিল।এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিউ ইস্কাটনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সিয়াম বলে জানা গেছে। তিনি সেখানে চা খেতে এসেছিলেন। ওপর থেকে ককটেল এসে তাঁর মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। খালেদাপুত্র তারেক রহমানের আগামী কাল বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকায় ছাত্রনেতা ওসমান হাদী হত্যা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের বিরুদ্ধে

ঢাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই ওসমান হাদীর পরিবার সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অংশের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিদ্রোহের পর গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চএর মুখপাত্র ছিলেন শরীফ ওসমান হাদী। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুর পর ঢাকায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জনতা বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।ওসমান হাদীর ভাই শরীফ ওমর হাদী ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই ওসমান হাদীকে হত্যা করেছেন, আর এখন সেই হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।ওমর হাদী জানান, তার ভাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নয় বরং একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিদের শাস্তি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না হয়, তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরও একদিন দেশ ছাড়তে হতে পারে। যেমনটি গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ওমর অভিযোগ করেন, কোনও সংস্থা বা বিদেশি প্রভুদের কাছে মাথা নত না করায় ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টারএর প্রতিবেদনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড জুলাইয়ের বিদ্রোহের অর্জন ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শক্তি ও দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তবে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট করেছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন তারা কোনও কর্মসূচি নেবেন না। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তারেক রহমান তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত ১২ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার জাফরাবাদ গ্রামের দুই বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে উত্তেজিত জনতার একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জোড়া খুনের মামলার তদন্তে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল চার্জশিট।আজ রায় বেরিয়েছে মামলার। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১৩ জন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ধারায়(যা কয়েক বছর আগে চালু হওয়া নতুন ফৌজদারি বিধিতে ১০৩(২) ধারায় চিহ্নিত হয়েছিল) এটি দেশে দ্বিতীয় conviction.দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)।এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তের সময় সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগল ম্যাপস লোকেশন ভিজ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায় তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ-প্রস্থানের পথ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।অভিযুক্তদের হাঁটার ধরন বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait pattern analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। আদালত এই রায়ে ডিএনএ (DNA) প্রমাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সাথে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে।এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মিঠুন হালদার, ইন্সপেক্টর প্রসূন মিত্র এবং বিভাস চট্টোপাধ্যায়, এই তিন পুলিশ আধিকারিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিপুর জেলা পুলিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তারা।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal