টেন্টব্রিজ টেস্ট শুরুর আগে ইংল্যান্ডের জিমি অ্যান্ডারসনের লক্ষ্য ছিল বিরাট কোহলির উইকেট। বলেছিলেন, কোহলিকে দ্রুত ফেরাতে চান। চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। কথা রাখলেন ইংল্যান্ডের এই জোরে বোলার। শুধু কোহলিকেই নয়, ভারতের সেরা দুই ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরালেন। অন্যদিকে, বিরাট কোহলির ব্যর্থতা অব্যাহত। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও দলকে নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ।
আরও পড়ুনঃ ৪১ বছরের শাপমুক্তি ঘটল টোকিওতে, জার্মানিকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতল ভারত
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ১৮৩ রানে। প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ১৩ ওভারে বিনা উইকেটে ২১। দ্বিতীয় দিন শুরু থেকেই সাবধানী ছিলেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। লাঞ্চের ঠিক আগে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে গিয়ে উইকেট উপহার দিয়ে বসেন রোহিত শর্মা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারতের স্কোর ছিল ৩৭.৩ ওভারে ১ উইকেটে ৯৭। রিভিউ নিয়ে জীবন পেয়েও বড় রান করতে ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা চেতেশ্বর পুজারা। ৪০.২ ওভারে দলের ১০৪ রানের মাথায় আউট হন। অ্যান্ডারসনের বলে উইকেটের পেছনে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দেন পুজারা। ১৬ বলে তিনি করেন ৪। পরের বলেই বিরাট কোহলিকে (০) তুলে নেন জেমস অ্যান্ডারসন। কোহলিও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ১৯ বলের মধ্যে রোহিত, পুজারা ও কোহলির উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত।
আরও পড়ুনঃ শসোনা হাতছাড়া হলেও রুপো জিতে দেশকে গর্বিত করলেন রবি
চলতি সিরিজে কোহলি–অ্যান্ডারসন দ্বৈরথের দিকে সকলে তাকিয়ে। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে অ্যান্ডারসন কোহলিকে চারবার আউট করলেও ২০১৮ সালে একবারও পারেননি। ট্রেন্টব্রিজে প্রথম বলেই বিরাটকে ফিরিয়ে দ্বৈরথে আপাতত এগিয়ে গেলেন জিমি অ্যান্ডারসন। কোহলি ফেরার পর সহ–অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেও উইকেটে বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। ৪৩.২ ওভারে দলের ১১২ রানের মাথায় রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তিনি মাত্র ৫ রান করেন। ৪৬.১ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি নামে। সেইসময় ভারত ৪ উইকেটে তোলে ১২৫। দু বছর পর টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে অর্ধশতরান পূর্ণ করে ক্রিজে রয়েছেন লোকেশ রাহুল। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে ৯টি চারের সাহায্যে ১৪৮ বল খেলে ৫৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।