ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে চরম অনিশ্চয়তা। আদৌও ম্যাচ হবে তো? করোনার ধাক্কায় রীতিমতো বেসামাল দিল্লি ক্যাপিটালস। মাঠের বাইরে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বাইশ গজে দারুণভাবে জ্বলে উঠল দিল্লি ক্যাপিটালস। পাঞ্জাব কিংসকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে লিগ টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এল ঋষভ পন্থের দল।
দুই দলের কাছেই এদিন ছিল জয়ের সরণিতে ফেরার লড়াই। প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল পাঞ্জাব কিংস। চোট কাটিয়ে প্রথম একাদশে ফেরেন অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। আর ওডিয়েন স্মিথের জায়গায় প্রথম একাদশে নেওয়া হয় মাথান এলিসকে। অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রথম একাদশে একটি পরিবর্তন। করোনায় আক্রানত মিচেল মার্শের পরিবর্তে প্রথম একাদশে সরফরাজ খান।
টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ পাঞ্জাব কিংসকে ব্যাট করতে পাঠান। ভাল শুরু করেছিলেন চোট সারিয়ে এদিন খেলতে নামা অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। শুরু থেকেই ঝড় তুলেছিলেন। ৩.৩ ওভারে ৩৩ রানে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। এরপরই ধাক্কা খায়। শিখর ধাওয়ানকে তুলে নেন ললিত যাদব। ১০ বলে মাত্র ৯ রান করে উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ দেন। তবে পাঞ্জাব কিংস সবথেকে বড় ধাক্কা খায় পঞ্চম ওভারে। মুস্তাফিজুর রহমানের তৃতীয় বলে স্টাম্প ছিটকে যায় পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়ালের। ১৫ বলে ২৪ রান করে তিনি আউট হন।
মায়াঙ্ক ফিরে যাওয়ার পরপরি ধস নামে পাঞ্জাব কিংস ইনিংসে। একে একে ফিরে যান জনি বেয়ারস্টো (৯) ও লিয়াম লিভিংস্টোন (২)। অক্ষর প্যাটেলের বলে লিভিংস্টোনকে দুর্দান্ত স্টাম্প করেন ঋষভ। এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন জিতেশ শর্মা ও শাহরুখ খান। জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের সেই প্রয়াস কার্যকরী করতে দেননি ম্যাচের সেরা বোলার অক্ষর প্যাটেল। জিতেশ শর্মাকে (২৩ বলে ৩২) তুলে নিয়ে পাঞ্জাবের বড় রানের স্বপ্নে জল ঢেলে দেন। শাহরুখ খান করেন ২০ বলে ১২। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় পাঞ্জাবের ইনিংস। দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। খলিল আমেদ, ললিত যাদব ও কুলদীপ যাদবো ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১১৫ রানের লক্ষ্য একেবারেই কঠিন ছিল না দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার পর ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ওয়ার্নার। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেও শুরু থেকে ঝড় তোলেন এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। অন্যপ্রান্তে পৃথ্বী শ–র ব্যাটেও ঝড়। একের অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পাঞ্জাবের ৩ জোরে বোলার বৈভব আরোররা, কাগিসো রাবাডা ও অর্শদীপ সিং, কেউই নিস্তার পাননি দিল্লির দুই ওপেনারের হাত থেকে। পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে ৮১ রানে পৌঁছে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। আইপিএলে পাওয়ার প্লে–তে এটাই সর্বোচ্চ রান দিল্লির। চলতি আইপিএলেও এটা সর্বোচ্চ। এর আগে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে চেন্নাই সুপার কিংস তুলেছিল ৭৩/১।
ম্যাচের সপ্তম ওভারে জুটি ভাঙে দিল্লির। রাহুল চাহারের বলে নাথান এলিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন পৃথ্বী শ। ৭টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ২০ বলে ৪১ রান করেন তিনি। ওয়ার্নারের সঙ্গে জুটিতে ওঠে ৮৩। নাথান এলিসকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। ১০.৩ ওভারে ১ উইকেটে ১১৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। ৩০ বলে ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়ার্নার। মারেন ১০টি চার ও ১টি ছয়। ১৩ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকতেন সরফরাজ খান।
আরও পড়ুনঃ আইসক্রিমে বান! রুটিতে চকোলেট ও নান্দু সস! সঙ্গে চিকেন! এ কোন ভারতীয় ক্রিকেটারের মেনু?
আরও পড়ুনঃ মাঠের বাইরে চরম ধাক্কা, বাইশ গজে এভাবে চমক দিল্লি ক্যাপিটালসের!
- More Stories On :
- IPL
- DC
- PBKS
- Covid
- Tim Seifert
- David Warner
- Prithvi Shaw