• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

রাজনীতি

রাজনীতি

ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে দিলীপ ঘোষ নানা ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন

২০ মে ধর্মঘটসিপিআইএম ধর্মঘট ডাকছে বা কি করছে ভারতবর্ষের লোকের এটাই কি এসে যায় তারা কোথায় আছে। তারা আছে মানুষকে এটা বোঝানোর জন্য ব্রিগেড করতে হয় মাঝেমধ্যে। তাদের অভিযোগের কোন গুরুত্ব নেই। যদি ওরা মানুষের কথা ভাবতো তাহলে মানুষ বর্জন করত না। ভাত দিতে পারেনি। মোদী সকলকে ভাত দিচ্ছে। মহম্মদ সেলিম এর বক্তব্য বদল নিয়েআমরাও বলছি বদল হবে আমরাও বদল চাইছি কিন্তু বদল হলে কি হবে বিজেপি আসবে ওরা দিবা স্বপ্ন দেখছে।শালবনীতে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জীবনে হাজার হাজার সালাম নাচ করেছে কিন্তু সেখানে উৎপাদন হয়েছে কত জায়গায় তার কোন রিপোর্ট দেয়নি। বেঙ্গল সামিট করেন প্রতিবছর কিন্তু সেখানে কি ফলাফল হয় তার কোন শ্বেতপত্র বার করুন। কেউ আসতে চায় না। সত্যিকারের কটা ইন্ডাস্ট্রি হয়েছে চাকরি হয়েছে সেটা দেখান। কোথায় গেল দেওচাপাচামী। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দেন ঢপ দেন মানুষ জেনে গেছে।এসএসসি ভবন অভিযানএই অভিযান চলতে থাকবে কিন্তু কোর্টের থেকেও সমাধান হবে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একই কথা বলেছে। কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে তারাই সেই নির্দোষ বদল করে যোগ্যদের চাকরি দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন বলছে না যোগ্য লোকদের চাকরি ফেরত দেওয়ার কথা। এটা উনি কিছুতেই বলবে না কারণ আট হাজার লোক তাহলে উনার বাড়ি ঘেরাও করবে। সুকান্ত মজুমদার মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেনতুমি এর আগে মোথাবাড়িতেও গেছেন যখন ওখানে গন্ডগোল হচ্ছিল বিরোধী দলনেতাও গেছিলেন। পার্টি পুরোপুরি বাস্তহারা নিপীড়িতদের সঙ্গে রয়েছে। গোটা বাংলায় রয়েছে।দিলীপ ঘোষ মুর্শিদাবাদ যাবেন?আমি যাব মুর্শিদাবাদ এরা যাচ্ছে। গন্ডগোলের দিন আমি ওখানেই ছিলাম। পুলিশ আমাকে রাতে আসতে দেয়নি। আমি সভা করতে যায় প্রতিবাদ করতে যাই এখন ত্রান দিতে সবাই যাচ্ছে।ব্রিগেডের মাঠ ভরলেও ব্যালট ভরে না বিমান বসু এর বক্তব্যমানুষকে কি ফুচকা খাওয়ানোর জন্য ব্রিগেডে নিয়ে আসেন। গতকাল ব্রিগেডে যে কজন লোক ছিল সেই কয়জনই সিপিআইএমের সমর্থক রয়েছে বাংলায়। প্রতিবছর দুর্গাপুজো কালীপুজোর মতো ওদের প্রতি বছর একটা ব্রিগেড হয় দেখা হয় খাওয়া দাওয়া হয়।মহম্মদ সেলিম এর বক্তব্যলাল ঠাণ্ডা দেখতে পাই আমরা তৃণমূলের লোকরা লাগিয়ে দেয়। সিপিআইএম পার্টি অফিস চালানোর পয়সা তাদের চা খাওয়ার পয়সা তৃণমূল দেয়। সিপিআইএম পার্টি অফিসের চাবি থাকে তৃণমূলের লোক এর কাছে। এইভাবে সিপিএমকে স্যালাইন দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন কতদিন থাকবে।

এপ্রিল ২২, ২০২৫
রাজনীতি

বাংলার রাজনৈতিক জগতে নক্ষত্র পতন

প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। বামফ্রন্ট এবং তৃণমূল কংগ্রেস দুই আমলেই তিনি মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর ৮২ বছর বয়সে শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান ক্যানিং পূর্বের বাকড়ি গ্রামে। নিজের পৈতৃক ভিটেতেই দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন রেজ্জাক। অসুস্থ অবস্থাতেই তাঁকে দেখতে গিয়েছেন সিপিএম এবং তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন রেজ্জাকের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভাঙ্গর এবং ক্যানিং এলাকা থেকে একাধিক তৃণমূল ও বাম নেতারা ছুটে যান তাঁকে শেষ দেখা দেখতে। গ্রামের ভিটে বাড়িতেই রেজ্জাকের দেহ সমাধিস্থ করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত মিলন বাজারের কাছে বাঁকড়া গ্রামে রেজ্জাক মোল্লার পৈতৃক ভিটেবাড়ি। অসুস্থ অবস্থায় গত চার পাঁচ বছর ধরে ওই বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রেজ্জাক। গত চার পাঁচ বছর ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখের সাথে কিডনির অসুখে ভুগছেন তিনি।বছর তিনেক আগে শ্বাসকষ্ট ও কিডনির সমস্যার কারণে কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে স্বেচ্ছায় সরে আসেন। ৮২ বছরের রেজ্জাক দীর্ঘদিন বামফ্রন্ট সরকারের ভূমি সংস্কার দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়ে ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে কৃষি বিপণন ও উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী হয়েছিলেন।

এপ্রিল ১১, ২০২৫
রাজনীতি

পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে কি তৃণমূল অশিক্ষিত মনে করে? বললেন শমীক ভট্টাচার্য

মুখ্যমন্ত্রী চাকরি হারাদেরকে আশ্বাস দিয়ে ছিল তাদের পাশে থাকবে। আজ দেখা গেল চাকরি হারা শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ কসবায়,,,, পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে কি তৃণমূল অশিক্ষিত মনে করে? যারা যোগ্য মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন তাদেরকে কি মূর্খ মনে করেন? যাদের চাকরি চলে গেছে তাদের পাশে কিভাবে দাড়াবে সরকার? সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। মুখ্যমন্ত্রী চাকরি হারাদের আবেগ নিয়ে খেলা করছে। এতটা নিচে নেমে গেছে শিক্ষককে লাথি মারছে পুলিশ আর বাংলার মানুষ সেসব সহ্য করছে? নানা প্রশ্ন তুললেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচাৰ্য। বিজেপি সাংসদ বলেন,ওমআর সিটের মিরর ইমেজ চাইতে গিয়ে মার খেতে হল অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী বলছেন শিক্ষকদের পাশে আছে। তার পরেও কেন তারা আন্দোলন করছে,,,, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন ছিলেন তখন থেকে শিক্ষার এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে যা বিচার হয়েছে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে হয়েছে। কিছু লোককে বাঁচানোর জন্য আজকে এতগুলো পরিবারকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে আন্দোলন তো করবেই। একজন সাহিত্যিক যার প্রস্তাব বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় তিনি স্টেজে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন রাজ্যের আইন ব্যবস্থা অন্য গলির মধ্যে ঢুকে গেছে।কুনাল ঘোষ বলছেন, রাজনৈতিক দের বক্তব্যের কারণে এই হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে,,,,মানুষ পথে নামবে। রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া নামবে। রাজনৈতিক পতাকা নিয়ে নামবেন। তৃণমূলের বিসর্জন ছাড়া মুক্তি নেই।পুলিশের বক্তব্য, কোনও ইন্টিমেশন ছাড়াই আজ চাকরি হারারা এভাবে আন্দোলন করেছে,,,, তৃণমূল ইন্টিমেশন দিয়ে চাকরি বিক্রি করেছিলেন! চাকরির দাবিতে আন্দোলন করতে গেলে আবার ইন্টিমেসন দিতে হয়?পশ্চিমবঙ্গের যে পরিমাণে ওয়াকফ প্রপার্টি লুট হয়েছে বিক্রি হয়েছে তা অন্য কোন স্টেটে হয়নি। দরিদ্র মুসলিম মহিলা আছে কিছু শিশুরা আছে তাদের জন্য ওয়াকফ বিল।মুখ্যমন্ত্রী বলছে আপনারাই স্কুলে গিয়ে পড়ান চাকরি হারাদেরকে আশ্বাস তাদের পাশে আছি। অন্যদিকে পুলিশ মন্ত্রীর পুলিশ বাহিনী লাঠিপেটা করছে চাকরিহারা শিক্ষকদের,,,, এটাই তো তৃণমূল। চোরের সমর্থন করতে জীবনানন্দ। তাদের প্রশ্নে কি মুখ্যমন্ত্রী কোন উত্তর দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। প্রধান বিচারপতিকে টার্গেট করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে গোটা প্যানেল বাতিল হয়ে গেছে মুখ্যমন্ত্রী কি করে তাদের পাশে দাঁড়াবে?মুখ্যমন্ত্রী কি দ্বিচারিতা করছে একদিকে বলছে আপনার এই স্কুলে যান পড়ান আপনাদের পাশে আছি অন্যদিকে পুলিশকে দিয়ে আক্রমণ,,,, আজকে কসবায় যা হয়েছে সেটা দেখে বোঝা যায় কতটা পাশে আছে।ঠাকুর পুকুরে মত তো অবস্থায় গাড়ি চাপা দিয়ে মৃত্যু,,,, তার সঙ্গে পুলিশের আত্মীয়তা আছে তাই বলছি তার সঙ্গে মিটমাট করে নাও। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে আগুন জলছে,,,, পরিকল্পিতভাবে পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তিক জেলায় ডেমোগ্রাফি বদলে দেয়া হচ্ছে। এ রাজ্যের একজন মন্ত্রী পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো কে সমর্থন করেছে।রাজনৈতিক কারণে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা আগুন জ্বলার ছবি দেখা যাচ্ছে,,, এর আগে টিয়ার গ্যাস চালানো হয়েছে বিভিন্ন আন্দোলন হয়েছে কিন্তু আজকের জঙ্গিপুরে সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনা ভারতবর্ষের আইন মানিনা বলে পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।

এপ্রিল ১০, ২০২৫
রাজনীতি

টানা হুমকি দিলীপ ঘোষের, বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, সরগরম খড়্গপুর

দিলীপ বচন নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে। এবার হুঁশিয়ারের বিরুদ্ধে খড়্গপুরে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস। বাড়িতে ঢুকে মেরে আসবো, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের মন্তব্য়ের প্রতিক্রিয়ায় খড়্গপুরের কাউন্সিলর ও প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেছেবন, তৃণমূল কংগ্রেস চুরি পরে বসে নেই। কিন্তু দিলীপ ঘোষও ছাড়ার পাত্র নন। তাঁর বাড়ির সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভের পর তিনি বলেছেন, আমি থাকলে বিশেষ ট্রিটমেন করতাম। শনিবার বেলা বাড়তেই খড়্গপুরে দিলীপ ঘোষের বাড়ির বাইরে জড়ো হয় একদল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। বিজেপি নেতার গ্রেফতারি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে তৃণমূল। সেই সময় দিলীপ ঘোষ বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ির সামনে বিজেপি কর্মীরা ছিলেন। দুদল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতিও হয়। তবে তাঁর বাড়িতে বিক্ষোভ হচ্ছে শুনে ফের পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ। এবার তিনি বলেন, খড়্গপুর কারও বাপের জায়গা নয়। দিলীপ ঘোষ কারও পরোয়া করে না। আগে জানিয়ে আসতে পারত, তাহলে ট্রিটমেন্টটা তৈরি রাখতাম।প্রসঙ্গত, শুক্রবার খড়্গপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ এলাকায় যাওয়ার আগেই সেখানে আগেভাগে জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন বেশ কিছু মহিলা। তিনি যেতেই তাঁকে ঘিরে শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। তাঁদের সঙ্গে তুমুল বচসা শুরু হয়ে যায় দিলীপ ঘোষের। এমনকী উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় পর্যন্ত হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শনিবার সকালে তৃণমূলকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে।তিনি হুঁশিয়ারি দেন, এই ধরনের বেয়াদপি যদি কেউ করতে আসে, সে যে পার্টিরই হোক, তাকে বাড়ি থেকে বের করে এনে রাস্তায় পিটাব, সে যত বড় নেতাই হোক। দিলীপ ঘোষ কারও বাপের খায় না, কারও জমিদারিতে পা দেয় না। দিলীপ ঘোষের মেজাজ এমনই থাকবে। তৃণমূল যদি মনে করে এই রাজনীতি খড়গপুরে শুরু করবে, কাল থেকে শুরু করছি...বাড়িতে ঢুকে মারব, না হয় বাড়ি থেকে টেনে এনে চৌরাস্তায় মারব। BJP নেতার হুঙ্কারের পরই খড়্গপুরের রাজনীতি উত্তাল হতে থাকে।এদিকে, তৃণমূল নেতা প্রদীপ সরকার বলেন, তৃণমূল চুড়ি পরে নেই। তৃণমূল চাইলে দিলীপ ঘোষ এলাকায় বেরোতেই পারত না। উনি বাইরে থেকে এসেছেন, খড়্গপুরকে আগে জানুন। আগামীদিনে যা বলবেন ভেবে বলবেন, আগামিদিনে উনি খড়্গপুরে ঢুকতেই পারবেন না, যদি তৃণমূল চায়।

মার্চ ২২, ২০২৫
রাজনীতি

দলবদলেই পুরস্কার পেলেন হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক, এটাও যেন একটা রাজনৈতিক রীতি

দল বদল করলেই পুরস্কার মেলে। দলবদল করে তৃণমূল এসে বিধায়ক থেকে সাংসদ হয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ, সুনীল মন্ডলরা। আবার বিজেপি বিধায়করা এদলে এসেও পুরস্কার পাচ্ছেন। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বিধানসভায় প্যাক কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন। এবার হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মন্ডলের কপালেও জুটল বিশেষ পুরস্কার।চলতি সপ্তাহের শুরুতেই, সোমবার BJP ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। এক্ষেত্রেও দলবদলের কয়েকদিনের মিলল বড় পুরস্কার। পশ্চিমবঙ্গের ওমেন ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারপার্সন হলেন তাপসী মণ্ডলক। গত ১০ মার্চ হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দফতর চেয়ারপার্সন পদে নিয়োগ করা হয়েছে তাপসী মণ্ডলকে। তৃণমূলে যোগ দিয়ে তাপসী মণ্ডল বলেছিলেন, প্রগতিশীল বাংলাকে রক্ষা করতে এবং বিশেষ করে আমার হলদিয়ার উন্নয়ন, শিল্প পরিকাঠামো এবং সবদিক থেকেই বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান, আর্থিক উন্নতি, সামাজিক উন্নয়নের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য কিছু কাজ যাতে করতে পারি তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নযজ্ঞে যুক্ত হলাম। দল বদলেই এবার এই দায়িত্ব পাওয়ার পর তাপসী মণ্ডল বললেন, নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী যে কাজ দেবেন তা দায়িত্বের সাথে পালন করব।উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে হলদিয়া থেকে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন তাপসী। তার আগে তিনি সিপিএমে ছিলেন। ২০১৬ সালে হলদিয়া থেকে তাকে টিকিট দিয়েছিল বামেরা। একুশের ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন তাপসী। সেবার ভোটে বিজেপির হয়েই লড়ে হলদিয়া থেকে জয়ী হন তিনি। এবার বছর ঘুরলেই আবারও রাজ্যে বিধানসভা ভোট।

মার্চ ১৩, ২০২৫
রাজনীতি

ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত সিউড়ি, কাজল-অনুব্রত অনুগামীরা সম্মুখসমরে।

বীরভূমের লাল মাটিতে কিছুতেই থামছে না তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ফের কাজল-অনুব্রত অনুগামীরা সম্মুখসমরে। এবার কাজল অনুগামী সিউড়ি ২নম্বর ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করে সভা করলেন অনুব্রত অনুগামীরা। অভিযোগ একনায়কতন্ত্র ও সমান্তরাল ভাবে দল পরিচালনা করছেন নুরুল ইসলাম। এমনই অভিযোগ অনুব্রত অনুগামী সিউড়ি ২নম্বর ব্লকের পাঁচটি অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের।সোমবার সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের পাঁচটি অঞ্চলের অনুব্রত অনুগামীরা একটি ইন্ডোর সভা করেন। সভার মধ্যমণি ছিলেন তৃণমূল নেতা বলরাম বাগদি। এই বলরাম বাগদিকেই শুক্রবার কর্মী সভায় অনুব্রত মণ্ডলের নাম নেওয়ায় বক্তব্যের মাঝ পথে থামিয়ে দেওয়া হয়েছি। সেই বলরামের নেতৃত্বে এদিন সভা করা হয় ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বক্তব্যে অধিকাংশ নেতৃত্ব ব্লক সভাপতি বদল চেয়ে গরম গরম বক্তব্য রাখেন। নতুন করে কমিটি তৈরির দাবি উঠে আসে। ব্লক কার্যকারী সভাপতি অশ্বিনী মণ্ডল বলেন, আমাদের ব্লক সভাপতি একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। তাঁকে অনেকেই মানতে পারছেন না। তবে তার চলার দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে আমাদের মানতে আপত্তি নেই। কিন্তু তিনি সকলকে নিয়ে চলতে পারছেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন পুরনো সকলকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মানতে আমি এদিন সকলকে নিয়ে সভা করেছি।তবে ওই সভা তৃণমূল পরিচালিত মানতে নারাজ ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা সভা করেছেন তাদের ৯৫ শতাংশ গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট করেছেন। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমি কারও প্রশংসা করতে রাজি নই। ওরা চায় আমি অনুব্রত মণ্ডলের নামে মালা জপি। কিন্তু মালা জপাতে আমি নেই। যারা মনে করছে বিশৃঙ্খলা করে কিছু একটা করা যেতে পারে তারা ভুল করছে। যারা লাগামছাড়া চলতে চায় তাদের আমাকে অপছন্দ হবে। পুরন্দরপুরের শেখর মাল, অবিনাশপুরের রাজু মুখোপাধ্যায় ও বনশঙ্কা অঞ্চলের সভাপতি সরজিত ঘোষ ওই সভায় যাননি।বিজেপির জেলা সসভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, টাকার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে দুই গোষ্ঠী আড়াআড়ি হয়ে গিয়েছে। দলনেত্রীর নির্দেশের পরেও যত দিন যাচ্ছে ততই ব্লকে ব্লকে বাড়ছে কাজল-অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

মার্চ ০৪, ২০২৫
রাজনীতি

মমতা-অভিষেকের দাবি, ২০২৬-এ দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতায়, খেলা শুরু ভোটার তালিকা থেকেই

ফের খেলা হবে, বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব স্তরের কর্মী সম্মেলন বক্তব্য় রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসল খেলা ভোটার লিস্ট থেক শুরু, খেলা নম্বর ওয়ান ভোটার লিস্ট। খেলা নম্বর ২ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ, খেলা নম্বর ৩ সংগঠনকে শক্তিশালী করা। এলাকায় এলাকায় আসছে তাদের ওপর নজর রাখা। খেলা নম্বর ৪ বিজেপির হবে হার। বিরোধীরা এই খেলা হবে স্লোগানের মধ্যে এর আগেও রহস্য দেখেছে। বিশেষত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন থেকে গণনা কেন্দ্রের খেলা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এবার একেবারে ভোটার লিস্ট থেকে খেলা শুরুর কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ২০২৬-এ ২১৫-এর বেশি আসনে জেতার তাগিদ নিয়ে নামবো। চতুর্থবারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। বাংলাকে ছোট করার পরিকল্পনা করে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। গতবারের থেকে এবার আসন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা থাকুক। বিজেপি গোহারা হেরেছে। ২০২৬-এর ভোটে ২১৫-এর বেশি আসন পাওয়াই লক্ষ্য। দলকে ভালবাসলে শৃঙ্খলার বাইরে যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃচ্ছা সাধনেই বট বৃক্ষ তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের বক্তব্যের সুর ধরে বলেন, এখন আমাদের ২২০-২১ বিধায়ক আছে। আমরা ২১৫ পার করবো। এবার বিজেপি যে সিট পেয়েছে সেটা পেতে দিলে চলবে না। অভিষেক ঠিকই বলেছে আমরা ২০২৬-এ দুই তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে জিতবো। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের চিহ্নিত করার কাজটা আমি করেছিলাম। আগামিদিনেও যদি কেউ দলের সঙ্গে বেইমানি করে তাদেরও চিহ্নিত করে ল্যাজেগোবরে করে প্যাকেট করে বাংলা ছাড়ার দায়িত্বটা আমার কাঁধে তুলে নিলাম। অভিষেকের এই মন্তব্যে দলের মধ্যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি কেউ এমন রয়েছে? তিনি আরও বলেন দলের মুখপাত্র, সাংসদ, বিধায়ক, টাউন সভাপতি নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে কোনও দলকে ছোট করছেন। বাজারে রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যাবে। আমার গলা কেটে দিলেও কাটা গলা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বেরবে। আমি বেইমান নই। বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে নতুন দল আসছে। বিজেপির হাতে কল্কে আর তামাক খেয়ে কয়েকটা সংবাদ মাধ্যম ও দুচারটে সাংবাদিক এই কাজটা করছে।এদিন ভোটার লিস্ট নজর রাখার জন্য় শক্তিশালী কমিটি ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় কোর কমিটি করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে এদিন জেলা স্তরের অনেকেই আশা করেছিলেন নতুন কমিটি হবে, তেমন কোনও ঘোষণা শেষমেশ হয়নি। সেক্ষেত্রে কেউ কেউ হতাশও হয়েছেন।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫
রাজনীতি

বাংলার ৩২ জন বিজেপি নেতার নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার কেন্দ্রের, দেখুন তালিকা

সামনে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাংলার ৩২ জন বিজেপি নেতার নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা, শঙ্কু দেব পন্ডা। সম্প্র্তি জন বার্লাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানিয়েছিলেন। জন বার্লা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বলেও জোর জল্পনা চলছে। তারই মধ্যে তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এঁদের নিরাপত্তী রক্ষী দেওয়া হয়েছিল।রাজ্যের যে ৩৪জন বিজেপি নেতার রক্ষী তুলে নেওয়া হল তাঁদের তালিকা -১) তপশিলি জাতি-উপজাতির জাতীয় কমিশনের সহ-সভাপতি অরুণ হালদার২) কোচবিহারে বিজেপির রাজ্য কোর কমিটির সদস্য অভিজিৎ বর্মন৩) দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাক্তন জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাস৪) বিজেপির রাজ্য নেতা অজয় রায়৫) নদিয়ার জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস6) উলুবেড়িয়ার সাংসদ পদপ্রার্থী অরুণোদয় পাল চৌধুরী৭) আরামবাগের সাংসদ পদপ্রার্থী অরূপকান্তি দিগর৮) দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর ও মাজিলপুর পুরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা অশোক কাণ্ডারি৯) জগদীশপুরের বিজেপি নেতা অশোক পুরকায়স্থ১০) দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি নেতা মন্দির ব্রজ১১) উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি নেতা বাসুদেব সরকার১২) বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে১৩) বিজেপির রাজ্য যুগ্ম আহ্বায়ক দেবব্রত বিশ্বাস১৪) ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি নেতা দেবাংশু পাণ্ডা১৫) রাজ্য বিজেপি নেতা দেবাশিস ধর১৬) বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ১৭) দক্ষিণ 24 পরগনার বিজেপি নেতা দীপক হালদার১৮) বিজেপির রাজ্য নেতা জয়দীপ ঘোষ১৯) বিজেপির রাজ্য নেতা জীবেশচন্দ্র বিশ্বাস২০) আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা২১) বিজেপি নেতা লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়২২) মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতা নির্মল সাহা২৩) মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতা নিভাস২৪) রাজ্যের বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়2৫) বিজেপির রাজ্যের আহ্বায়ক পলাশ রানা২৬) বোলপুরের বিজেপি সাংসদ পদপ্রার্থী পিয়া সাহা২৭) ঝাড়গ্রামের বিজেপি নেতা প্রণত টুডু২৮) বিজেপি নেত্রী প্রণতি মাঝি২৯) বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসী চরণ মণ্ডল৩০) বিজেপির রাজ্য নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা৩১) ঘাটালের বিজেপি নেতা তন্ময় দাস৩১) কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫
রাজনীতি

তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাকে 'ডি' কোম্পানীর নাম করে খুনের হুমকি, বাড়ল নিরাপত্তা

এবার মালদার নেতাকে হুমকি ফোন ডি কোম্পানীর নাম করে। মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে তাড়া করে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। তারপর গুলি ও পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল মালদার আরেক স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে। এবার ইংেরজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে ফোনে খুনের হুমকি। মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা ৫১। প্রথমে এসএমএস আসে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ফোনে। সেখানেও খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তিন দিনের মাথায় আজ, শুক্রবার সকাল ঠিক ১০ টা ৪০ নাগাদ ডি কোম্পানির নাম করে ফোন আসে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর কাছে এবং সেখানেও টাকা না দিলে খুনের হুমকি। কৃষ্ণেন্দুবাবুর বক্তব্য়, ফোন করে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি হিন্দিভাষায় বলেন, কৃষান বল রাহাহে। আপনে মেরা এসএমএস ন্যাহি দেখা হ্যায়। আব জলদি সে ২০ পেটি ভেজ দিজিয়ে। ন্যাহি তো কাল আপকা উসকে সাথ আপকা ফ্যামিলি কা লাশ মিলেগা। পুরাতন মালদার নিজস্ব ফার্ম হাউস যাওয়ার পথে এই ফোন পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। ইংরেজ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। লিখিত অভিযোগ পেয়েই জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নেতাজি মোড় এলাকায় কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর বাসভবনে এসে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন এবং তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশের এসটিএফও। কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী জানান, এর আগেও আমি একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছি। আমাকে লক্ষ্য করে গুলি, বোমা চালানো হয়েছে তবে মাঝে এসব বন্ধ ছিল। এই ঘটনার পর অবশ্য আমার ফ্যামিলি নিয়ে আমি দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কারণ, আমার ছেলে মেয়েরা বাইরে থাকে। এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই আমি রাজ্য নেতৃত্বেকেও জানিয়েছি। চলতি বছরের শুরুতে ২ জানুয়ারি তাড়া করে খুন করা হয়েছিল ইংরেজ বাজার পৌরসভার কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে। ভয়াবহ সেই ঘটনার পর এমনিতেই আতঙ্কে ছিলেন শহর এবং জেলার জনপ্রতিনিধিরা। এরই মধ্যে এবারে জেলার আরো এক প্রভাবশালী নেতাকে রীতিমতো ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়ায় গোটা জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে জানা গেছে দুলাল সরকার খুন হওয়ার পর একজন নিরাপত্তার রক্ষী বাড়ানো হয়েছিল কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীর। আজকের এই ঘটনার পর আরও তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী বাড়ানো হয়েছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর, জেলা পুলিশ সূত্রে খবর। আজ থেকে কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর মোট ছয় জন নিরাপত্তা রক্ষী ২৪ ঘন্টা কাছে থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বিধানসভায় জঙ্গিযোগের জবাব সহ টানা বক্তৃতা মমতার, পাল্টা শুভেন্দু

বিধানসভার ভিতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য়ের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন, বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা বক্তব্য় রাখছেন। একজন আক্রমণ করছে আরেকজন জবাব দিচ্ছেন। গতকালের সাসপেন্ডের জের এদিনও চল রাজ্য বিধানসভায়। নজিরবিহীন রাজনীতির সাক্ষ্য থাকল বিধানসভা চত্ত্বর। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জঙ্গিযোগের মারাত্মক অভিযোগ করছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানোর হুঙ্কার দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেন, আমি যখন কাগজ ছিড়েছিলাম, তখন আমি একা ছিলাম। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম আমাকে একটা কথা বলতে দিত না। অথচ ৩৯ শতাংশ ভোট ছিল আমাদের। একটা বক্তব্য রাখতে দেওয়া হত না। একটা প্রশ্নও করতে দেওয়া হত না। বাধ্য হয়েই ওটা করতে হয়েছিল।মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিধানসভায় বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কথা বলা বা কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া নয়। আমি কখনোই ধর্মীয় বিষয়গুলিকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করি না। কোনওদিন ধর্ম-জাতপাত নিয়ে কথা বলি না। ভাগাভাগির চেষ্টা বরদাস্ত নয়। আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে আমি রাজনীতি করি না। বাংলায় সরস্বতী পুজোয় কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। আমি নাকি হিন্দু ধর্মকে তাচ্ছিল্য করি, মুসলিম লিগ করি। প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেব। বিরোধী দলনেতা যা অভিযোগ করছেন তা প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা চলছে।এদিন বিধানসভায় মহাকুম্ভ সম্পর্কে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলে উল্লেখ করে বিজেপিকে নিশানা করেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, মহাকুম্ভে ভিআইপিরা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই মেগা ইভেন্টটি সঠিকভাবে পরিকল্পনাই করা হয়নি, বলে তোপ দেগেছেন মমতা। তিনি আরও বলেন, আমি মহাকুম্ভকে সম্মান করি, পবিত্র মা গঙ্গাকে সম্মান করি। কিন্তু কোন পরিকল্পনা নেই। কতজন অসুস্থ হয়েছেন? কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার কোন তথ্য নেই। ধনী, ভিআইপিদের জন্য ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাম্পের ব্যবস্থা থাকলেও কুম্ভে দরিদ্রদের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই বলেও সরব হয়েছেন মমতা। বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে হিন্দু ধর্মকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।এদিকে পালটা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলার খেসারত ওঁকে পোহাতে হবে। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র , দিল্লিতে হিন্দুভোট একত্রিত হচ্ছে যা দেখে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। আপনার উস্কানিতে সিএএ নিয়ে একের পর এক হামলা। এই সরকার মুসলিম লিগ ২-এর মত আচরণ করছেন। আপনাকে দাঁড়িয়ে হারাব। নন্দীগ্রাম থেকে হারিয়েছি। এবার ভবানীপুর থেকে হারবেন। আপনি বলেছেন ওরা আন্দোলন করলে আটকাতে পারবেন তো, মমতা বন্দোপাধ্যায় আজকে আমাকে থ্রেট করেছেন। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতরে জানাবো। এর আগে আমার নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বাংলা থেকে মহাকুম্ভে স্রোতের মত মানুষ গিয়েছেন। রাজ্য থেকে ২ কোটি মানুষ মহাকুম্ভে গিয়েছেন। নিজের জালে নিজেই জড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, সোচ্চার শুভেন্দু।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
রাজনীতি

মমতার দল ছেড়ে ফের হাত ধরলেন প্রণবপুত্র অভিজিৎ, জল্পনা চলছিলই দলবদলের

গত ২০২৪ সাল থেকে জল্পনা চলছিল কংগ্রেসে ফিরতে চলেছেন জঙ্গীপুরের প্রাক্তন সাংসদ। অবশেষে বুধবার কংগ্রেসে ফিরলেন প্রণবপুত্র প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। এর আগে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এই ফিরে আসা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক গুলাম আহমেদ মীর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, পশ্চিমবঙ্গর পর্যবেক্ষক এআইসিসির সম্পাদক আসফ আলি খান, প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ। কিন্তু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর রাজনীতিতে একেবারেই সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি প্রাক্তন সাংসদকে। এদিন রাজ্য কংগ্রেস দফতরে এক অনুষ্ঠানে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ফের ফিরে আসেন পুরনো দলে।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
রাজনীতি

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ফের রাজনীতির ময়দানে, উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান প্রাক্তন মন্ত্রী

রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার পর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে হাবড়ায় এলেন বিধায়ক জনপ্রিয় মল্লিক। দীর্ঘ ১৫ মাস পর বিধায়কের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাসিত জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠরা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, এলাকায় এখনও অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। এখন আমার কাছে উন্নয়নই পাখির চোখ। দ্রুত সেই কাজগুলি শেষ করতে হবে। রেশন দুর্নীতি মামলায় ১৪ মাস জেলবন্দি ছিলেন হাবড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শর্তসাপেক্ষে জামিন পাওয়ার পর বিধানসভায় গেলেও হাবড়ায় তাঁকে দেখা যায়নি। তবে হাবড়ার বহু নেতাকর্মী তাঁর সঙ্গে তার কলকাতার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তারা বাড়িতে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে আশার অনুরোধ করছিলেন। জেল মুক্তির প্রায় এক মাস পর রবিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এলেন জ্যোতিপ্রিয়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আসার খবর পেয়ে আগে থেকেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা হাবরা ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় জমায়েত করেছিল। সেখান থেকে কর্মীদের সঙ্গে মিছিল করে হাবড়া পৌরসভায় আসেন বিধায়ক। মিছিলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে মিছিলে হাঁটেন হাবড়া পৌরসভার বর্তমান এবং প্রাক্তন পৌর প্রধান। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমার শরীর ভালো আছে, সুস্থ আছে। কর্মীদের কাছে থাকাটাই আনন্দের। আমাদের জীবনের সবটাই কর্মী। নেতাভিত্তিক না করে কর্মীভিত্তিক কাজ করলে অনেক ভালো লাগে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এখন হাবরার উন্নয়নটা আমার কাছে পাখির চোখ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে উন্নয়নের কাজগুলি আমরা শুরু করেছি সেই কাজগুলি অনেকটা আমার কাছে অসমাপ্ত থেকে গেছে। কিন্তু সরকার কাজ করেছে পৌরসভা, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ কাজ করেছে। তারপরও কিছুটা রাস্তার কাজ, কালভার্টের কাজ এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজও কিছুটা বাকি রয়েছে। সেগুলো দ্রুত সম্পূর্ণ করা হবে। হাবড়ার বস্ত্র হাটে দোকান বিতরণ করে দেওয়া হবে।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
রাজনীতি

দলের লাইনের বিপক্ষে হাঁটলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, আমিষ নিষিদ্ধ নিয়ে বড় মন্তব্য়

এতো দলের উল্টো সুর গাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা এ কী বললেন! তিনি প্রকাশ্যে তার মত ব্যক্ত করে বলেছেন, গরুর মাংস কেন সমস্ত আমিষই নিষিদ্ধ করা উচিত। অথচ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে বলেছেন, কারও খাওয়া নিয়েই কেউ কোনও কিছু বলতে পারে না। কে কি খাবে, কি পরবে সেটা তাঁর একান্তই নিজস্ব বিষয়। এবার দলের লাইনের একেবারে বিপক্ষে হাঁটলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, শুধু গোমাংসই নয়, দেশে সব ধরনের আমিষ পদ নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। সরকার বিভিন্ন জায়গায় গোমাংস বিক্রি বন্ধ করেছে, এটা ঠিক কাজ হয়েছে। তবে এখনও বহু জায়গা রয়েছে যেসব জায়গায় গোমাংস বিক্রি করা কিংবা খাবার ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা নেই। উত্তর-পূর্বে গোমাংস খেলে ইয়াম্মি, আমাদের উত্তর ভারতে খেলে মাম্মি। এটা চলতে পারে না। বন্ধ করলে সব জায়গায় করতে হবে।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
রাজনীতি

ফের বাংলায় শুট আউট, নৈহাটিতে গুলিতে ঝাঁঝরা ত়ৃণমূল কংগ্রেস কর্মী

এবার শুট আউটের ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনর নৈহাটি। ফের গুলিতে ঝাঁঝরা সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। এর আগে মালদায় পর পর একাধিকবার শুট আউট হয়েছে। তার মধ্যে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা থেকে দলের কর্মীও নিহত হয়েছেন।ফের বাংলায় শুট আউট। নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদবকে গৌরীপুরে ৪ রাউন্ড গুলি করেছে দুষ্কৃতীরা। বিজেপি তাঁকে খুন করেছে। এর পিছনে রয়েছে ব্য়ারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সন্তোষ আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। এই ঘটনার পর নৈহাটির সিং ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। এমনকী আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন আসে। এই সিং ভবনে বসতেন অর্জুন সিং। যদিও অর্জুন সিং ঘটনার দায় স্বীকার করেননি। বরং বিজেপির দাবি, তৃণমূল কংগ্রসের অন্তর্কলহের বলি সন্তোষ যাদব।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৫
রাজনীতি

জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ এন্ড রিসার্চের উদ্বোধনে কারাট, হাজির বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী

নিউটাউনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর স্মরণে নির্মীয়মান জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ এর প্রথম পর্যায়ে ভবনের আজ উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধন করেন সিপিআইএম এর পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রকাশ কারাট। উপস্থিত ছিলেন বামফ্রণ্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটবুরো সদস্যরা, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রমুখ। রকাশ কারাট বলেন,জ্যোতি বসু দেশের কমিউনিস্ট আন্দলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। বর্তমানে দেশে যেখানে উগ্র হিন্দুত্ব ও সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে সেখানে এই প্রতিষ্ঠান তথ্য সমৃ ধ গবেষণার মাধ্যমে সমাজের প্রকৃত আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরবে। সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য কোনো সরকারই কোনওবিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না। সেই কারণে গবেষণার প্রয়োজন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশকে আরো সুদৃঢ় করতে এই প্রতিষ্ঠানের বড় ভূমিকা থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। দো তোলা ভবনের নিচতলায় জ্যোতি বসুর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন নথি নিয়ে গ্যালারি ও দোতলায় একটি লাইব্রেরি করা হয়েছে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনের ১২ দিনে মাথায় ফের খুন মালদায়, তৃণমূলের অন্তর্কলহের জের?

ফের মালদায় গুলি। তৃণমূল নেতাকে আক্রমণ। গুলি, তারপর ইঁট দিয়ে থেঁতলে হামলা। মঙ্গলবার সাতসকালে মালদার কালিয়াচকে তিন তৃণমূল নেতাকে ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে এবং গুলি চালিয়ে হামলার অভিযোগ উঠলো সশস্ত্র একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। জখম হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূলের দুই নেতা। জখমদের সংকটজনক অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা নাগাদ এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোমিনপাড়া নয়াবস্তি এলাকায়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম আতাউর শেখ(৫০)। জখম হয়েছেন দুই তৃণমূল নেতা বকুল শেখ (৪৮) এবং এসারুদ্দিন শেখ (৩৫)। এরা সম্পর্কে দুই ভাই। আহত বকুল শেখ তৃণমূলের নওদা যদুপুর অঞ্চল কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন। অপর আহত এসারুদ্দিন শেখ নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল দলের নির্বাচিত সদস্য। বর্তমানে তিনি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতার পদে রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মোমিনপাড়া নয়াবস্তি এলাকায় একটি ড্রেনের শিলান্যাস কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি বকুল শেখ এবং তার ভাই তথা নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য এসারুদ্দিন শেখ। তাঁর সঙ্গে কয়েকজন দলের কর্মী সমর্থকেরাও ছিলেন। ওই কর্মসূচি থেকে ফেরার সময় আচমকা ১৫ থেকে ২০ জনের সশস্ত্র দুষ্কৃতির দল ওই দুই তৃণমূল নেতার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই সময় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলি মাথায় লাগে তৃণমূল কর্মী আতাউর শেখের। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই ওই দুই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই গুলি মাথার পাশ দিয়ে ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। এরপরই ওই দুই তৃণমূল নেতাকে ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের চেষ্টা চালায় হামলাকারীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নওদা যদুপুর এলাকায় জাকির শেখের গোষ্ঠী এবং বকুল শেখের গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। ক্ষমতা এবং এলাকা দখলের লড়াই নিয়ে মূলত এই দুই গোষ্ঠীর লড়াই। তৃণমূলের ওই দুই নেতার ওপর হামলা এবং দলীয় এক কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে জাকির গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আহত বকুল শেখের এক ভাই তথা জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি মহম্মদ আজমল বলেন , জাকির শেখ কংগ্রেস করতো। কয়েক মাস আগে তৃণমূলে যোগ দেয়। কালিয়াচক ১ নং ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সারিউল ইসলামের ছত্রছায়ায় রয়েছে জাকির শেখের গোষ্ঠী। এদিন ওরাই পরিকল্পনা করে বকুল এবং এসারুদ্দিনের ওপর গুলি চালায়, হামলা করে। আর দুষ্কৃতীদের সেই গুলিতেই বকুলের এক অনুগামী আতাউরের মৃত্যু হয়। এলাকায় জাকির গোষ্ঠীর লোকেরা কোনরকম উন্নয়নমূলক কাজ করতে দিচ্ছে না। যখন তখন সন্ত্রাস কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এনিয়েই বকুল ও এসারুদ্দিনেরা প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তার ফলস্বরূপ এদিন হামলায় শিকার হতে হলো। পুরো বিষয়টি নিয়ে জাকির শেখ, নাসির শেখ সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। এদিকে এই হামলার ঘটনার পর জাকির শেখের সঙ্গে কোনরকম ভাবে যোগাযোগ করা যায় নি। কালিয়াচক ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সারিউল ইসলাম জানিয়েছেন, যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । এখানে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই । পুরনো বিবাদকে ঘিরেই এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছি। উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার শহরের মহানন্দাপল্লী এলাকায় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে খুন হন তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি তথা ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবলা সরকার। সেই ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতে ফের ১২ দিনের মাথায় তৃণমূল নেতার ওপর প্রকাশ্যে হামলা এবং দলীয় কর্মীকে গুলি করে দুষ্কৃতীদের খুনের ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।যদিও এব্যাপারে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গোপাল সরকার জানিয়েছেন, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই খুন হয়েছে তৃণমূল কর্মী। দুইজন তৃণমূল নেতা জখম হয়েছেন। জাকির শেখ আমাদের দলের কোনও দিনই ছিল না। এটা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ লড়াই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, জাকির শেখ কোনদিনই তৃণমূল দল করেনি। ও বরাবরই কংগ্রেসের একজন স্থানীয় নেতা হিসাবে পরিচিত। জাকির শেখের বিরুদ্ধে বিগত দিনেও বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। এখন কংগ্রেস নিজেদের দোষ ঢাকতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, এই হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি পিকেট বসানো হয়েছে। বাকি হামলাকারীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও স্বপন শর্মার ফের পুলিশ হেফাজত, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, পোশাক, মোবাইল....

তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে নতুন করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল মালদা আদালত। শুক্রবার ধৃত দুইজনকে মালদা সিজিএম কোর্টে পেশ করা হয়। যদিও এদিন ওই দুই অপরাধীর পক্ষে মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও আইনজীবীরাই পক্ষে দাড়ায়নি। সরকারি পক্ষের আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল দুই অপরাধীকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার বিশদ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। এরপরই সিজিএম কোর্টের বিচারক সুজিত কুমার ব্যানার্জি ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে এদিন মৃত বাবলা সরকারের মামলা চলাকালীন আদালতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবলা সরকারের স্ত্রী আইনজীবী চৈতালী সরকার। তিনি বলেন, আমাদের বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এদিন কোন আইনজীবী ওই দুই আসামির পক্ষ নিয়ে সাওয়াল জবাব করেননি। তবে আমি নিজে একজন আইনজীবী হিসাবে এই মামলা শুনেছি। কেউ যাতে কোনওরকম ভাবে প্রভাবিত করতে না পারে সেটিও দেখছি। পুলিশ এখনও আসল অপরাধীদের খুঁজে বার করার জন্য তদন্ত করছে। যার ফলে এদিন ওই মূল চক্রীকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, পোশাক উদ্ধার করলো পুলিশ। ২ জানুয়ারি বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় একটি নাইন এমএম পিস্তল, দুটি ওয়ান সাটার এবং ৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ২ জানুয়ারি বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীরা যে পোশাক ব্যবহার করেছিল সেটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এই অস্ত্র এবং পোশাক কোথা থেকে উদ্ধার হয়েছে সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য পুলিশ জানায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় মোট ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন বিহারের পেশাদার খুনি রয়েছে। এই খুনের ঘটনায় প্রথম পাঁচজনকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং অপর এক অভিযুক্ত স্বপন শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই ধৃত ওই দুইজনকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই দুই মূল চক্রীর কাছ থেকে আরও বিশদ তথ্য জানার জন্য এদিন মালদা আদালতের কাছে নতুন করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল দলের কাউন্সিলর বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত অমিত রজকের বাড়ি থেকে কৃষ্ণ রজক অরফে রোহানের ব্যবহৃত একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। সেই মোবাইলের সূত্র থেকে অনেক তথ্য পুলিশের হাতে উঠে আসতে পারে বলেও ধারণা তদন্তকারী পুলিশকর্তাদের। যদিও বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত সাতজন গ্রেফতার হলেও আরও তিনজন বাবলু যাদব, কৃষ্ণ রাজক এবং বিহারের বাসিন্দা আশরাফ খান পলাতক রয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুই মূলচক্রী নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী পুলিশকর্তারা সন্তুষ্ট নয়। তাই এদিন ধৃত ওই দুইজনকে বাড়তি পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই ঘটনার পিছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটিও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ধৃত দুই অপরাধী নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

জানুয়ারি ১০, ২০২৫
রাজনীতি

তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড শান্তনু সেন ও আরাবুল ইসলাম, কেন এই সিদ্ধান্ত?

তৃণমূল কংগ্রেস সাসপেন্ড করল ভাঙরের আরাবুল ইসলাম ও ডা. শান্তনু সেনকে। এই সাসপেনশন নিয়ে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু সেনের অবস্থানকে কেন্দ্র করে মূলত বিতর্কের সূত্রপাত হয়। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়ে দেন, তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরাবুল ইসলাম ও শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দলবিরোধী কাজের জন্য এই দুই নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শান্তনু দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বলেই খবর। সাসপেন্ড হওয়ার পর শান্তনু সেন বলেছেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সেনাপতি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সভাপতি যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। আজও বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছি। তার ৩ ঘন্টার মধ্যে সাসপেন্ড হয়েছি। আমি নাকি আন্দোলনটাকে উসকে দিয়েছি। এখানে থামেননি প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি বলেছেন, আমি বুঝেই উঠতে পারছি না, দলের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করলাম! সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দলের কথা ভেবেছি। পেশার কাজের বাইরে কেবল তৃণমূলের কাজ করেছি। তার পরেও কেন এই পদক্ষেপ, বুঝতে পারছি না।এদিকে জামিন পাওয়ার পরও ভাঙড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন আরাবুল ইসলাম। গত ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের দলীয় পতাকা উত্তোলনের সময় গোষ্ঠীসংঘর্ষে জড়ান আরাবুল। প্রাক্তন বিধায়ককে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর কর্মীরা। বিধায়ক শওকত মোল্লার ভাঙড় দখল করে দাদাগিরি করতে চাইছে বলে দাবি করেন আরাবুল ইসলাম। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন শান্তনু সেন। আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু সেনের অবস্থানের পর তাঁকে তৃণমূলসের মুখপাত্র পদ থেকে সরানো হয়, তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডক্টর সামিটের মূল হোতা ছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকেই সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস। শান্তনুর বক্তব্য, বারবার দল পাল্টাইনি। আমি কখন দলবিরোধী কাজ করলাম? আমার নেতৃত্ব সেটা বলে দিলে ভালো লাগতো। আমার বিরুদ্ধে ভুল বোঝানো হয়েছে। এদিন কংগ্রেস থেকে ভায়া বিজেপি হয়ে দলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার এই সাসপেন্ড ঘোষণা করায় কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

জানুয়ারি ১০, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে ধৃত নরেন্দ্রনাথ "চিরস্থায়ী" বহিষ্কৃত, মালদায় তৃণমূলের ঘোষণা

মালদার তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দলের ইংরেজবাজার টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে বহিষ্কার করলো দল। বৃহস্পতিবার বিকালে এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। এদিন ইংরেজবাজার শহরের স্টেশন রোড এলাকার দলীয় কার্যালয়ে এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী ছাড়া ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল সহ অন্যান্য কাউন্সিলাররা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, গত এক বছর ধরে দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তৃণমূলের টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে। উনি অসুস্থ ছিলেন বলেই জানতাম। তাকে আপাতত চিরস্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ইংরেজবাজার টাউন সভাপতির পদে নতুন কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবে। এদিকে এদিন পুলিশের হেফাজতে থাকা বাবলা সরকার খুনে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ইংরেজবাজার থানা থেকে হাসপাতালে মেডিকেল করতে যাওয়ার পথে বলেন, দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই মানতে হবে।

জানুয়ারি ০৯, ২০২৫
রাজনীতি

বাবলা সরকার খুনে তৃণমূল সভাপতির পুলিশ হেফাজত, আসল মাথা ধরার দাবিতে অনড় স্ত্রী

মালদার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে খুন করার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজত দিল আদালত। বুধবার বিকালে কলকাতার ভবানী ভবন থেকে এডজি(দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠকে মালদার তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন। এদিকে বুধবার গ্রেফতারের পরই ইংরেজবাজার থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির বিস্ফোরক দাবি, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এর পেছনে বড় মাথা রয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পরই মৃত বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, এর পেছনে বড় মাস্টারমাইন্ড রয়েছে। তাহলে কে এই মাস্টারমাইন্ড? সবকিছু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন তিনি। এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করলো ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। অধরা এখনও দুই। মঙ্গলবার বেলা একটা থেকে নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও তার দুই ভাইকে রাতভর জেরা করেন পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের নেতৃত্বে একটি স্পেশাল টিম। বুধবার সকলেই ঘোষণা করা হয় নরেন্দ্রনাথ তেয়াওরি এবং আরেক অভিযুক্ত স্বপন শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজন বাবলু যাদব এবং কৃষ্ণ রজক এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের ছবি প্রকাশ করে দুই লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মালদা জেলা পুলিশ। এদিকে নরেন্দ্রনাথ গ্রেপ্তারের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বকশী বলেন, যে অপরাধ করবে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করবে। সে দলের যেই হোন না কেন। তৃণমূলের ইংরেজবাজার টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। যদিও মন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি আমার কোনদিনও ঘনিষ্ঠ ছিল না। এদিকে এদিন মৃত তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মা গ্রেপ্তার হয়েছে শুনেছি। তবে ওদের দুইজনকে ধরে চুপ করে থাকলেই হবে না। এই ঘটনার পিছনে আরও বড় মাথা কাজ করেছে। পুলিশের প্রকৃত তদন্ত এবং সঠিক বিচারের আশায় রয়েছি।তৃণমূল পরিচালিত ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, স্বপন শর্মার বাম জমানায় নানা কর্মকাণ্ড আছে। একসময় স্বপন শর্মা আমাকেও খুন করার চেষ্টা করেছিল। আর নরেন্দ্রনাথ গত পুরসভা নির্বাচনে বাবলার সাথে গোলমালের পর বলেছিল দেখে নেবে। ওকে গুলি করে খুন করবে। আর সেটাই ঘটল। তবে এখানে রাজনীতির কোন বিষয় জড়িত নয়। বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুরি বলেন, এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল। এলাকা দখল ও এলাকার তোলাবাজির জন্যই খুন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দেড় মাস আগে এই ষড়যন্ত্র করা হয়। মালদা শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে বসে সুপারি দেওয়া হয় বিহারের দুই সুপারি কিলারকে। ৬ দিন ধরে দুষ্কৃতীরা বাবলা সরকারের গতিবিধির রেইকি করছিল। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি ভীড়ের সুযোগ নিয়ে খুন করার চক্রান্ত ছিল। কিন্তু তা করতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। অবশেষে মহানন্দাপল্লী এলাকায় ২ জানুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন করে বাবলা সরকারকে। এদিন এডিজি(দক্ষিণবঙ্গ) সিআইডি সুপ্রতিম সরকার কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, এই চক্রান্ত করেছিল নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও স্বপন শর্মা। স্বপন শর্মা একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এদিন দুই অভিযুক্তকে আদালতে তুললে তাদের আইনজীবীরা অসুস্থতা ও বয়সের কারণে তাদের জামিনের আবেদন করে। কিন্তু বিচারক জামিন নাকচ করে দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবীর দাবি মেনে ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক।

জানুয়ারি ০৯, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ...
  • 36
  • 37
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal