মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় যে রাজনৈতিক চাপানউতোর এরাজ্যে শুরু হয়েছিল, তার উত্তাপ পৌঁছে গিয়েছে নয়াদিল্লিতে। তৃণমূল এবং বিজেপির দুই পৃথক প্রতিনিধিদল এদিন দিল্লি নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে গিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে। তৃণমূলের দাবি, মমতার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছে। একাধিক বিজেপি নেতার মন্তব্যে তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। প্রমাণ হিসেবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁর তিনটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের স্ক্রিনশট তৃণমূলের তরফে কমিশনে জমা দিয়ে আসা হয়েছে। বিকেলে পাল্টা অভিযোগ করেছে বিজেপিও। তাঁদের দাবি, নন্দীগ্রামের ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত হোক।
মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’, এই অভিযোগ তুলে এদিন দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়, প্রতিমা মণ্ডল, শতাব্দী রায় এবং শান্তনু সেন। কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে সৌগত রায় বলেন, 'বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ইঙ্গিত ছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হামলার মুখে পড়তে পারেন। এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমরা সেসব জানিয়েছি কমিশনকে।' এ প্রসঙ্গে তিনি দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ’র নাম উল্লেখ করেন। পার্থর দাবি, মমতার নিরাপত্তার দায়িত্ব যে কমিশনেরই ছিল, সেটা স্বীকারও করে নিয়েছে কমিশন।
এদিকে, বিজেপিও এই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছে কমিশনের দপ্তরে। ভূপেন্দ্র যাদব এবং পীযুষ গোয়েলের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের এক বিজেপি প্রতিনিধি দল কমিশনের দ্বারস্থ হয়। বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের ঘটনার নিরপেক্ষ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত তাঁরা চাইছেন। বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজব রটিয়ে বিজেপিকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার সঙ্গে বিজেপি নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কোনও সম্পর্ক নেই। স্বপন দাশগুপ্তর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর যেসব নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন বা গাড়ির চালকরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে এই রহস্যের সমাধান করা হোক। গোটা ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হোক।
- More Stories On :
- TMC member goes to Commission
- BJP member also