শাসকদল তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের দূর্নীতির কর্মকান্ড ক্রমেই সামনে আসছে। এবার মহিষাদলের বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুললো দলেরই অঞ্চল সভাপতি। মহিষাদল ব্লকের নাটশাল-২ এর তৃণমূলের বর্তমান অঞ্চল সভাপতি কমলাকান্ত মন্ডল, এবং স্ত্রী জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কণিকা মন্ডল। অঞ্চল সভাপতি কমলা কান্ত মন্ডলের একটি ভিডিও ভাইরাল রয়েছে। সেই ভিডিওতে তিনি বলছেন,নাটশাল-২ অঞ্চলে সরকারি যে কাজ হয়ে থাকে তা থেকে বিধায়ক কাটমানি নিয়ে থাকেন। কাটমানির অর্থ চার ভাগ করে পাট পাট নিয়ে নেওয়া হয়। নিয়ম মেনে কাজ করা হয়নি, রাস্তার কাজ ছোট ও কম উচ্চতায় করা হয়। কাটমানি নিয়ে নিম্ন মানের কাজ হয়ে থাকে। পাশাপাশি নাটশাল-২ গ্রামপঞ্চায়েতে যাকে প্রধান করেছেন তিনি তৃতীয় শ্রেণী পাশ। অনেক সদস্য মাস্টার ডিগ্রি থাকলেও তাদের করা হয়নি। কারন কাটমানি নিতে পারা যাবে না তাই।
মঙ্গলবারই কলকাতার কাম্যাক স্ট্রিট অফিসে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই বৈঠকের কয়েক ঘন্টা কাটতে না কাটতে দলের অঞ্চল সভাপতির এই ধরনের ভিডিও নিয়ে রাজনীতি চর্চা শুরু হয়েছে।
এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন ব্যানার্জি। তিনি বলেন, রাজ্য জুড়ে যেখানে তৃণমূলের মন্ত্রী, নেতারা কাটমানি নিচ্ছে সেখানে একজন বিধায়ক নিচ্ছে, তৃণমূল দলটাই দূর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। পাশাপাশি দলের মধ্যে এতো বেশি গোষ্ঠী দ্বন্দ তার জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। ব্লক সভাপতি বিধায়কের সমন্ধে বলছে আবার বিধায়ক ব্লক সভাপতি বিরুদ্ধে বলছেন। এটাই এই রাজনৈতিক দলের কালচার। এই ধরনের অভিযোগ ব্লক, জেলা, রাজ্য সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ছে।
যদিও দলের অঞ্চল সভাপতি করা অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, অঞ্চলের মিনিমাম কন্ট্রোল যার নেই, সে এই ধরনের মন্তব্য করছে, যার কোনো মূল্য নেই, যার কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই, যতটুকু পাওয়ার তার থেকে বেশি পাওয়ার জন্য এইধরনের অভিযোগ করছে।
আরও পড়ুনঃ আবার বিজেপিকে কর্মীকে মারধর ও গাঁজা কেস দেবার হুমকির অভিযোগ শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে