রবিবারের ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বামেদের কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পৈলানের বিষ্ণুপুরের যুব সঙ্ঘের মাঠে অভষেক বলেন, ‘আজ রবিবার দুপুরে অনেক দল সভা করছে। আমাদের সঙ্গে সেই সব দলের ফারাক আছে। সবাই তাঁদের সভায় যান ভাষণ শুনতে। আর, আমাদের সভায় আসেন স্বপ্নকে বাস্তবায়িত হওয়া দেখার জন্য। আমি আগে ভোট, পরে কাজের কথা বলি না। আমি আগে কাজ করি। পরে ভোটের কথা বলি। এটাই আমাদের সঙ্গে অন্য দলের ফারাক।’ বাম-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘কেউ বলছেন ইনসাফ। কেউ বলছেন ন্যায়। কেউ বলছেন সবকা বিকাশ। আর আমরা যেটা করেছি, সেটা হল আসল ইনসাফ। সেটাই হল আসল ন্যায়। আজ ডায়মন্ড হারবারে যা হচ্ছে, সেটাই হল সবকা সাথ, সবকা বিকাশ।’
তাঁর এই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ সম্পর্কেও মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন তিনি নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও যাঁরা বার্ধক্য ভাতা পাননি, নিজের লোকসভা কেন্দ্রের এমন প্রবীণদের দলীয় ভাবে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করলেন। এই প্রবীণরা প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন। এটা সরকারি বার্ধক্য ভাতা নয়। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘এটা করতে আমার মাত্র দু’মাস সময় লেগেছে। ১ জানুয়ারি আমাদের দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। তাই আরও সাত দিন সময় নিয়ে ৭৬ হাজার ১২০ জনকে বার্ধক্যভাতা দেওয়া হল। আগেই রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছিল। তারপর ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করা হয়েছে। ডেটা চেক করা হয়েছে। তারপর বাড়ি বাড়ি ভেরিফিকেশন করে ৭৬ হাজার ১২০ জনকে ভাতা দেওয়া হল। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ১৬,৩৮০ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। তাঁরা জনপ্রতি ৪-৫ জনের দায়িত্ব নিয়ে কাজগুলো করেছেন। এভাবেই আমরা ৭৬ হাজার ১২০ জনের মুখে হাসি ফোটালাম।’
তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়েও এদিন মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, ‘তৃণমূলের মধ্যে কোথাও দ্বন্দ্বের জায়গা নেই। দল আমাকে যে দায়িত্বই দিয়েছে, আমি তা পালন করেছি। ২০২১ সালে দলকে নেতৃত্ব দিতে বলেছিল, সেই সময় দিয়েছি। ২০২৪ সালে আমাকে প্রার্থী করা হলে, দায়িত্ব দেওয়া হলেও আমি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সুসংহত ভাবেই দল চালাচ্ছেন। আমি সব শক্তি দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়াব। আমি শুধু বলেছি যে, বয়স হলে কর্মক্ষমতা কমে। আমি ৩৬ বছর বয়স বলেই আড়াই মাস নবজোয়ার কর্মসূচির সময় রাস্তায় থাকতে পেরেছিলাম। আমার ৭০ বছর বয়স হলে সেই ক্ষমতা কমে যাবে। এই কথা নিয়ে এত বাজার গরম করার কী আছে? তৃণমূল কংগ্রেস একসঙ্গেই লড়বে। আমার প্রায়োরিটি হয়ত ডায়মন্ড হারবার। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি আর জোড়া ফুলের ঝান্ডা নিয়ে দল যেখানে আমাকে যেতে বলবে, যে বুথে ঢুকতে বলবে, আমি যাব।’
আরও পড়ুনঃ গোপন ডেরা থেকে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব আওড়ালেন শাহাজাহান, নেত্রীর প্রতি আনুগত্য
- More Stories On :
- Abhishek Banerjee
- Veteran Newcomer Debate
- TMC
- Trinamool