ভাটপাড়া থেকে উদ্ধার প্রচুর কৌটো বোমা-গুলি
চতুর্থ দফার ভোটে রক্তে ভিজেছে বাংলার মাটি। বাকি চার দফায় সেই অশান্তি এড়াতে আগেবাগেই তৎপর প্রশাসন। তাই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের ধরতে চলছে পুলিশি অভিযান। উদ্ধার হচ্ছে বোমা-গুলিও। যেমন শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল বিধানসভার ভাটপাড়া পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাদরাল জয়চণ্ডীতলা এলাকার একটি ক্লাব থেকে বিপুল পরিমাণ কৌটো বোমা ও গুলি উদ্ধার হয়। এদিকে, রাতভর বোমাবাজি উত্তপ্ত রইল বীরভূমের সিউড়ি জানুরি গ্রাম। তৃণমূল বিজেপিরর সংঘর্ষে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে থমথমে এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে সিউড়ি থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ভাটপাড়া এলাকায় গোপন অভিযান চালায় পুলিশ। সেই অভিযানেই তাজা কৌটো বোমা, বোমা তৈরির মশলা এবং গুলি উদ্ধার হয়। পুলিশের সন্দেহ, এই ক্লাবে বোমা তৈরির করা হচ্ছিল। পরের দুটো দফায় উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় নির্বাচন। সেই বোটে গন্ডগোল পাকানোর উদ্দেশ্যেই বোমা মজুত করা হচ্ছিল বলেই দাবি পুলিশের। তদন্ত শুরু করেছে তাঁরা।পুলিশ সূত্রে আরও খবর, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এলাকার ত্রাস অঙ্কিত সাউ, লক্ষ্মণ দেবনাথ-সহ একাধিক দুষ্কৃতীর খোঁজ চলছে। নির্বিঘ্নে ভোট করাতে এদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে খবর। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। এই এলাকা বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনে অশান্তি পাকাতেই বোমা মজুত করছে তৃণমূল। যদিও পালটা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, এলাকায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে এই বোমা মজুত করছিল খোদ বিজেপি সাংসদই।