রাত পোহানোর আগেই ইউক্রেনে বিশেষ সেনা অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া
আর বোধ হয় এড়ানো গেল না রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। রাত পোহানোর আগেই পুরোদস্তুর হামলা শুরু হয়ে গেল। মধ্যরাতে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে সেই সুরই ধরা পড়ল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের গলায়। আমেরিকাও জানাচ্ছে, ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণ দিক দিয়ে পুরোদস্তর হামলা চালানোর জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে রুশ সেনা। হামলা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। যদিও নিজের ভাষণে জেলেন্স্কি বার বার দাবি করেছেন, তাঁর দেশ রাশিয়ার কাছে মোটেও আতঙ্কের কারণ নয়।যা এতদিন অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করছিল পশ্চিমী দুনিয়া, ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই তা পুরোদস্তুর শুরু হয়ে গেল। ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র ছাড়ার কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সংবাদ সংস্থা এএফপি-র দাবি, রুশ সেনা ইতিমধ্যেই ডনবাস এলাকায় সামরিক অভিযান শুরু করে দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।কয়েক ঘণ্টা আগেই ইউরোপে যুদ্ধের আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছিল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্স্কির মুখে। অবশ্যম্ভাবী আগ্রাসনের বিরোধিতায় রুশ জনতাকে রুখে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। মধ্যরাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জেলেন্স্কি বলেন, ইউরোপে একটা বিরাট যুদ্ধ শুরু করতে চলেছে রাশিয়া। রুশ জনতার কাছে আবেদন, আপনারা এই নিষ্ঠুর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।এরই মধ্যে, ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন জেলেন্স্কি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে। সেখানেও হামলা অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করা হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান ইতিমধ্যেই পুতিনকে অনুরোধ করেছেন সেনা আগ্রাসন বন্ধ করতে। যদিও সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ডনবাস এলাকায় বিশেষ অভিযানে এখনও অনড় পুতিন।জেলেন্স্কি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন রুশদের কাছে পুতিনের আগ্রাসন মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের জনতা এবং সরকার শান্তি চায়। কিন্তু যদি আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে।