• ৩ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

CoochBehar

রাজ্য

‘ফাইনাল লিস্ট প্রকাশ করে পরের দিন ভোট ঘোষণা করবে বিজেপি’—মমতার দাবিতে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়

২০২৬-এর নির্বাচনের আগে রাজবংশী ভোটকে নজরে রেখেই কি বড়সড় শক্তি-প্রদর্শন? এসআইআর বিতর্কের উত্তাপের মধ্যেই কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে বিশাল জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, বন্দেমাতরম বিতর্ক, বিজেপির রাজনীতিএকাধিক ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করেন এসআইআর প্রসঙ্গ নিয়ে।মমতার অভিযোগ, এসআইআর পুরো বিষয়টাই একটি রাজনৈতিক চাল। তাঁর দাবি, আগামী নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করে দিতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। মঞ্চ থেকে বলেন, সকলেই এসআইআরে নাম তুলুন। এটা ওদের কৌশল। সামনে নির্বাচন, তাই সবটাই প্ল্যান করে করা হয়েছে। আমরা না করলে ওরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ভোট করবে।তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপি ফাইনাল লিস্ট তৈরি করে পরের দিনেই নির্বাচন ঘোষণা করতে পারে, যাতে কেউ আদালতে যাওয়ার সুযোগ না পায়। যদিও আইনি বিষয় আদালতের উপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন তিনি, কিন্তু রাজনৈতিক লড়াই রাজনৈতিকভাবেই লড়বেন বলে স্পষ্ট করেন।মমতার অভিযোগ, বিজেপির হাতে রাজ্য গেলে বাংলার অস্তিত্বই বিপদে পড়বে। তাঁর কথায়, বিজেপি এলে আপনার ঠিকানা, সম্মান, সবটাই প্রশ্নের মুখে পড়বে। বাংলাকে ডিটেনশন ক্যাম্প বানিয়ে দেবে। কিন্তু বাংলায় আমরা তা হতে দেব না। কোনও এনআরসি হবে না, কোনও ডিটেনশন ক্যাম্পও নয়।ডাবল ইঞ্জিন সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সুর তুলে তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশ ও অসমে ডিটেনশন ক্যাম্প চালু করা হয়েছে, কিন্তু বাংলায় তা কখনওই হতে দেওয়া হবে না।এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপি। বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার কটাক্ষ করে বলেন, এ কী অদ্ভুত কথা! যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই উনি হেরে গিয়েছেন। এখন থেকেই হারের অজুহাত দিচ্ছেন।কোচবিহারের রাজনীতিতে এবং রাজবংশী ভোটে এই বক্তব্য কতটা প্রভাব ফেলবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫
রাজ্য

মমতার রুদ্রমূর্তি! কোচবিহারের মঞ্চেই কেন্দ্রের নোটিস ছিঁড়ে তুফান তুললেন মুখ্যমন্ত্রী

নতুন শ্রম কোড রাজ্যে লাগু হবে নাএ কথা আগেই জানিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার কেন্দ্রের পাঠানো সেই শ্রম আইনের প্রতিলিপি রাজ্যের হাতে আসে। সেখানে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। কিন্তু সেই শর্তকে সম্পূর্ণ অসম্মানজনক বলে দাবি করে কোচবিহারের জনসভা থেকেই কাগজ ছিঁড়ে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।দুদিনের কোচবিহার সফরে গিয়ে কেন্দ্রকে একের পর এক ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রের নতুন শ্রম আইন নিয়ে। মমতার অভিযোগ, কয়েক দিন আগে কেন্দ্র থেকে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে। সেখানে ১০০ দিনের কাজের টাকার জন্য নতুন নিয়ম চাপানো হয়েছে, যা রাজ্য কোনওভাবেই মানবে না। তাঁর কথায়, আমরা এই শর্ত মানি না, মানবও না। এটা আমাদের অপমান করার চেষ্টা। তাই আমি এই কাগজ ছিঁড়ে ফেললাম। এটা কেন্দ্রের নোটিস নয়এটা আমার নিজের কাছে থাকা কাগজ। কেন্দ্রের কাগজ হলে তাও মানাতাম না।কেন্দ্রের নতুন শ্রম কোডে বিভিন্ন রাজ্যে একই কাজের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো, পৃথক নিরাপত্তা বিধি এবং নানা জটিলতা দূর করার দাবি করা হয়েছিল। দেশের ৪৪টি আলাদা শ্রম আইনকে একত্র করে চারটি নতুন কোড চালুর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। নভেম্বর থেকেই সেই শ্রম আইন কার্যকর হয়েছে। তবে কোনও রাজ্যে এই কোড চালু হবে কি না, তা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সিদ্ধান্তের উপর। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, তারা এই নয়া কোড মানবে না। যদিও কিছু বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যেই এই নতুন নিয়ম চালু করেছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকাশ্য নোটিস-ছিঁড়ে ফেলা রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে। কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হবে বলেই মনে করছেন অনেকে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫
রাজ্য

রাতের গোপন বৈঠক, তীব্র ধমক—কোচবিহারে কী বার্তা দিলেন মমতা?

একজন প্রাক্তন মন্ত্রী, অন্যজন বর্তমান। দুজনই তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তাঁদের মধ্যে চলা বিবাদে অস্বস্তি বাড়ছে দলে। সেই ঘটনাই সামনে এল ঠিক তখনই, যখন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার সফরে গিয়েছেন। সামনে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই উদয়ন গুহ এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ঘিরে দলীয় অমিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে পৌঁছনোর পর বিকেলে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেদিন তাঁর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। কিন্তু তৃণমূল সূত্রের খবর, রাতেই সার্কিট হাউসে জেলার নেতাদের নিয়ে আলাদা বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মমতা। সেখানেই বর্তমান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মধ্যে চলা বিরোধ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। দলের ভেতরকার এই টানাপোড়েন বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রী নাকি স্পষ্ট বার্তা দেন।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুজন মন্ত্রী-সহ সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া এবং গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশী বদন বর্মন। সূত্রের দাবি, মমতা পরিষ্কার জানিয়েছেনদলে প্রবীণ-নবীন কোনও বিভেদ চলবে না। সবাইকে একসঙ্গে চলতে হবে।রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটে কোচবিহারের ৯টি বিধানসভার মধ্যে ৫টিতে তৃণমূল অল্প ব্যবধানে এগিয়েছিল, বাকি চারটিতে এগিয়েছিল বিজেপি। বরাবরই উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের জন্য কঠিন এলাকা বলে ধরা হয়। লোকসভা নির্বাচনে সেই ছবি খানিক বদলালেও, সামনে বিধানসভা ভোট। এখন যদি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বাড়ে, তা হলে দল আবারও পুরনো সমস্যায় পড়তে পারেএমন আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫
রাজ্য

শীতলকুচি কাণ্ডে সাসপেন্ড কোচবিহারের পুলিশ সুপার

রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতেই প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদল হয়েছে পুলিশ কর্তারাও। কোপ পড়েছে কোচবিহার পুলিশ সুপারের উপরেও। প্রশাসন সূত্রের খবর, ভোটের সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের গুলি চালানোর ঘটনার জেরেই সুপারকে সাসপেন্ড করা হল। কোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানরা ভোটারদের উপর গুলি চালিয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত করতে পারে রাজ্য।ভোটের আগেই দিনহাটায় এক বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুকে কাণ্ড করে উত্তাল হয় দিনহাটা। বিজেপি সাংসদ তথা বিধায়ক নীশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্ব দিনহাটার শহরাঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এর পরই নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছিল কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার কে কান্নান। তাঁকে সরিয়ে জেলার পুলিশ সুপার করা হয় দেবাশিস ধরকে। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ ছিল, দেবাশিসবাবু বিজেপির হয়ে ভোটের সময় কাজ করছিলেন। এর মাঝেই চতুর্থ দফা ভোটের দিন অর্থাৎ ১০ এপ্রিল শীতলকুচি বিধানসভার অন্তর্গত জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে ভোটারদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। চারজনের মৃত্যুও হয়। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় বঙ্গ রাজনীতি। কিন্তু তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুক ছিনতাই করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গুজবের জেরে প্রায় ১৫০ জন গ্রামবাসী ঘিরে ফেলেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। তাই আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় জওয়ানরা। সে কথা অবশ্য মানতে রাজি ছিলেন না তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছুটে গিয়েছিল শীতলকুচিতে। আশ্বাস দিয়েছিলেন ক্ষমতায় ফিরলে গুলিকাণ্ডের তদন্ত হবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কোন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে।

মে ০৬, ২০২১
রাজ্য

কোচবিহারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের

চতুর্থ দফায় বঙ্গের নির্বাচনে নজিরবিহীন হিংসার জের। আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহার জেলায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। ফলত রবিবার কোচবিহার সফর বাতিল হচ্ছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। শীতলকুচি-সহ জেলার ৫টি স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রবেশ করতে পারবেন না, জানিয়ে দিল কমিশন। এই নয়া নির্দেশ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি, মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতেই কমিশনের এই নয়া নির্দেশিকা। তবে রবিবার সূচি অনুযায়ী, নাগরাকাটায় যাবেন তৃণমূল নেত্রী।

এপ্রিল ১০, ২০২১
রাজ্য

ভোট শুরু হতেই রক্তাক্ত শীতলকুচি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে হত ৪

প্রাণহানি দিয়ে দিন শুরু হয়েছিল। বেলা বাড়তে সেই শীতলকুচিতেই বাড়ল মৃতের সংখ্যা। এ বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে সেখানে আরও ৪ ব্যক্তির প্রাণ গেল। মাথাভাঙা হাসপাতালে তাঁদের ময়নাতদন্ত চলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আরও ৪ ব্যক্তি জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নিহতরা সকলেই তাঁদের সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের। অন্যদিকে, পাঠানটুলির ৮৫ নম্বর বুথ থেকে বলপূর্বক বিজেপির এজেন্ট আনন্দ বর্মনকে বের করে দেয় তৃণমূল। এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। বোমাবাজিও করা হয় ওই বুথের সামনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। জখম হন বেশ কয়েকজন।শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি-র হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন করানোর ভার যাদের কাঁধে, তাঁদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির।স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথের ভিতরে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল, তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল।অন্যদিকে, বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক গোটা ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লাগাতার উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন মমতা। মাথাভাঙা, শীতলকুচি, কোচবিহারের সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরতে বলেন তিনি, তাতেই একটি বিশেষ শ্রেণির লোক উত্তেজিত এবং তা থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে পড়েন। কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি গুলি চালিয়ে থাকে, তা আত্মরক্ষার্থেই চালিয়েছে। আসলে তৃণমূল জানে, ওরা হারছে। তাই উশৃঙ্খলতা তৈরি করছে। গোটা ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, সিআরপিএফ নয়, গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স)। রাজ্য নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়েছেন, তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। বাধা দেওয়া হচ্ছিল ভোটদানেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরা হয়। রাইফেলও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাতেই গুলি চলে।কিন্তু স্থানীয় এক বাসিন্দার যুক্তি, নিহতদের পরিচয় তাঁদের বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি তাঁদের সমর্থন নয়। তাঁরা ভোটার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে যদি গুলি চালাতে হয়, তাহলে পায়েও তো গুলি চালাতে পারত। তা না করে সোজাসুজি বুকে গুলি করা হল কেন প্রত্যেককে?কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অঙ্গুলিহেলনেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, কী বলব আমি? শীতলকুচির মানুষ আমার স্বজন। চার-চারটি তরতাজা প্রাণ চলে যেতে দেখে চোখের জল চেপে রাখতে পারছি না। মানুষ এখনও ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন, ভোট দিচ্ছেন। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছেন। সেই মনোবল ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে। আজকের ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। দায়ী বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহের অঙ্গুলিহেলনে এ সব হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ নিয়ে ফোনে কথা হয়েছে, তিনি পুরোটা দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন পার্থপ্রতিম।নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ফোনে প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়েছেন। কী কারণে গুলি চালাতে হল, কেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেল না, সব সমেত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।শনিবার সকালে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় শীতলকুচিতে সঙ্ঘর্ষ বেধেছে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। সকালে পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক ১৮ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের লোকজন নিজেদের বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করলেও, আনন্দ কাদের পক্ষে, তা নিয়েও রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়। তার মধ্যেই এই ঘটনা।

এপ্রিল ১০, ২০২১
রাজ্য

ভোট দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু যুবকের, রণক্ষেত্র শীতলকুচি

চতুর্থ দফার ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের শীতলকুচি। গুলিতে প্রাণ গেল এক যুবকের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পাঠানটুলি এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ময়দানে নামে পুলিশ, ব়্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কমিশনের তরফে ফোন করা হয়েছে রিটার্নিং অফিসারকে।বিজেপি কর্মীদের দাবি, শনিবার সকালে ভোট দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁদের। এই নিয়ে একাধিক বুথে অশান্তি হয়। বিজেপির অভিযোগ, পাঠানটুলির ৮৫ নম্বর বুথ থেকে বলপূর্বক বিজেপির এজেন্ট আনন্দ বর্মনকে বের করে দেয় তৃণমূল। এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বোমাবাজিও করা হয় ওই বুথের সামনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। জখম হন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই ব্যক্তি মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।কর্মীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। যদিও পরিবারের দাবি, ওই যুবক বিজেপির পোলিং এজেন্ট নন। তিনি প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন। এদিন সিতাই এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। তবে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এছাড়াও কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই বোমাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ। একাধিক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। প্রতিক্ষেত্রেই অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। তাঁদের পালটা দাবি উত্তরবঙ্গের দিনহাটা, শীতলকুচি, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জের একাধিক বুথে তৃণমূলের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।

এপ্রিল ১০, ২০২১
রাজ্য

জোয়ারে আসে, ভাটায় চলে যায়, নাম না করে বেসুরোদের তোপ মমতার

এবার কোচবিহারে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী-সহ দল বিরোধীদের নেতাদের উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কোচবিহারে দলীয় জনসভার মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, একটা, দুটো নেতা আছে যারা জোয়ারে আসে, ভাটায় চলে যায়। যারা প্রথম থেকে দলে ছিলেন তাঁরা দলের সঙ্গেই আছেন। রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে আটকাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নেতাদের বলেছেন নিচু তলার কর্মীদের আরও দায়িত্ব দিতে। আরও পড়ুন ঃ সুব্রত বক্সি-কেষ্টকে ফোন করছে বিজেপি, বিস্ফোরক মমতা উল্লেখ্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন দলের একের পর এক সাংসদ-বিধায়ক। তাঁদের অধিকাংশেরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। এদিন নাম না করে দলের সমস্ত বিক্ষব্ধদের কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, থাকার ইচ্ছা না থাকলে দল থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করে। যারা সারা বছর মানুষের সঙ্গে ছিলেন, দলের সঙ্গে ছিলেন তাঁরা দলেই আছেন। কাকে ভোটে টিকিট দেওয়া হবে না হবে সেটা দল কাজের ভিত্তিতে ঠিক করে। যারা ভালো কাজ করেন তাঁরা গুরুত্ব পাবেন। যারা জানে দল টিকিট দেবে না তাঁরা চলে যাচ্ছে, ভাবছে যদি টাকাটা কমে যায়, যদি জেলে পাঠিয়ে দেয়, তাই বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছে। কিন্তু আমরা আদর্শ বদলাই না। আদর্শ বদলানো যায় না। কাপড় জামা বদলানো যায়।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
রাজনীতি

কোচবিহারকে রক্ষা করুন, নইলে বাংলা রক্ষা পাবে না, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসনে হারতে হয়েছিল দলকে। জিতেছিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিশীথ প্রামাণিক। বুধবার কোচবিহারে দলীয় জনসভার মঞ্চ থেকে নাম করে সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করে বিজেপিকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে ভোটে জিতে অশান্তি করছে বিজেপি। শান্ত কোচবিহারকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। নিশীথ প্রামাণিকের নাম না করে এদিন মমতা বলেন, আমরা যাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম বিজেপি তাঁকে নিয়ে এসেছে। যেন পুরনো বোতলে নতুন মদ। যে জিতেছে সে এখন গুণ্ডামি করছে। আরও পড়ুন ঃ নাম না করে দলের বিদ্রোহীদের আক্রমণ মমতার এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন বিজেপি, ভেদাভেদ, ভাগাভাগির রাজনীতি করছে। রাজবংশী- বাঙ্গালিদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধাতে চাইছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও এদিন আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, নাম নিতেও লজ্জা করে। বলছে ডিসেম্বরের পর মারবে। ওদের মুখে খালি ভাংচুর-মারামারির কথা, খাদ্য-বস্ত্রের কথা নেই। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতাদের এদিন ফের বহিরাগত বলেছেন তিনি। বলেছেন, বিজেপি বহিরাগতদের রাজ্যে আনছে। আরএসএস গুণ্ডারা রাজ্যে আসছে। চম্বলের ডাকাত আসছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থনের আবেদন এদিন কোচবিহারবাসীকে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেছেন, লোকসভা ভোটে আমাদের ভোট দেন নি। তাতে আমার কোনও অভিমান নেই। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারকে ওদের হাত থেকে রক্ষা করুন। কোচবিহার থেকেই শুরু হয় বাংলা। কোচবিহার রক্ষা না পেলে বাংলাও রক্ষা পাবে না।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
রাজ্য

সুব্রত বক্সি-কেষ্টকে ফোন করছে বিজেপি, বিস্ফোরক মমতা

কোচবিহারে দলীয় জনসভার মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সি ও বীরভূমে দলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছেন বিজেপি নেতারা। তাঁর কথায়, বিজেপি কোথায় গেছে বুঝুন। ওদের এতটুকু সৌজন্যতা বোধ নেই। আমার দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে ফোন করেছিল বিজেপির এক নেতা। বলছে, আপনার সঙ্গে কথা আছে, বসতে চাই। কেষ্টকেও ফোন করেছিল দিল্লি থেকে। কেষ্ট আমাকে কাল ফোন করে বলল, দিদি আমাকে বলছে আপনার সঙ্গে বসতে চাই। কেষ্ট বলে দিয়েছে আমি তৃণমূল করি, আপনাদের সঙ্গে বসব কেন? আরও পড়ুন ঃ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বললে চলে যাব , ফের বেসুরো জিতেন্দ্র এদিন জাতীয় সঙ্গীত বদল বিতর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, বিজেপি বলছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনগনমণ বদলে দেবে। জাতীয় সঙ্গীত বদলে দেবে। যেন হাতের মোয়া। ক্ষমতা থাকলে বদলে দেখাক। ওরা রবীন্দ্রনাথকেও জানে না। কবে কোথায় রবিঠাকুরের জন্ম জানে না। বলছে বিশ্বভারতী নাকি রবি ঠাকুরের জন্মস্থান! বুধবার কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানের জনসভা থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে হুঙ্কার ছেড়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, চলে আসুন যুদ্ধ হয়ে যাক, রাজনৈতিক যুদ্ধ। আপনাদের সঙ্গে থাকবে গুণ্ডা, আমাদের সঙ্গে মানুষ। দেখি কারা যেতে। মমতা এদিন দাবি করেন, তিনি রাজবংশী, অলচিকি ভাষা জানেন। এই দুই ভাষায় তিনি কবিতা লিখেছেন।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
রাজ্য

কোচবিহারে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

এক বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল তুফানগঞ্জের সুভাষপল্লী এলাকায়। বুধবার স্থানীয় এক স্কুলের সাইকেল স্ট্যান্ড এলাকায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ। বিজেপির অভিযোগ, বিজেপি করার অপরাধে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আরও পড়ুন ঃ দুর্গাপুরে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে একযোগে কাজের বার্তা মমতার জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তুফানগঞ্জ মহকুমার অন্দরানফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষ পল্লী এলাকার বাসিন্দা স্বপন দাস (৩৫)। বিজেপি কর্মী স্বপনবাবু ছিলেন পেশায় স্বর্নকার। বুধবার সকালে স্থানীয় গার্লস স্কুলের সাইকেল স্ট্যন্ডের বারান্দায় স্বপন দাসের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতের স্ত্রী সকালে এসে তাঁর স্বামীকে শনাক্ত করেন। মৃতদেহের আশপাশে রক্তের দাগ থাকায় স্থানীয়দের অনুমান স্বপন দাসকে কে বা কারা মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই ঘটনাস্থলে আসে তুফানগঞ্জ থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। বিজেপির অভিযোগ, বিজেপি করার অপরাধে স্বপন দাসকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। একই অভিযোগ করেছেন মৃতের স্ত্রী চুমকি দাস। তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পূর্নাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন। ঘটনার রাজনৈতিক কোন রং রয়েছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে তুফানগঞ্জ থানা পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
রাজনীতি

বিজেপিতে যোগ দিলেন মিহির গোস্বামী

অবশেষে তৃৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার তিনি তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। এদিন তিনি দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলে যোগদান করেন। তাঁর যোগদানের সময় উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও অর্জুন সিং। কৈলাস বিজয়বর্গীয় তার গলায় উত্তরীয় পড়িয়ে দলে বরণ করে নেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে মিহির গোস্বামী বলেন, আমি ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছি৷ আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে যে অনাচার চলছে, দুর্নীতি ও ঠিকাদারি সংস্থার রাজত্ব তৈরি হয়েছে তার প্রতিবাদেই আমার এই সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতার পর থেকে বাম ও ডানপন্থী উভয় জামানায় উত্তরবাংলার প্রতি যে বঞ্চনা, ধারাবাহিকভাবে যে অবহেলা হয়ে এসেছে তার প্রতিবাদে আমার ধর্মযুদ্ধ বলতে পারেন ৷ রাজনৈতিক জীবনের প্রান্তে এসে, আমি আমার বাংলার নতুন দিনের ভোট দেখতে চাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষ সুদিন দেখতে পাব ৷ আরও পড়ুন ঃ মারের বদলা মারের নিদান দিলীপের প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর। বারবার দলের নেতা-মন্ত্রী এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক। দলের তরফে প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও পরবর্তীতে একাধিক নেতা কথা বলেন মিহিরবাবুর সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে আসে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে মিহির গোস্বামীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা। তখন থেকেই শুরু কানাঘুষো। অনেকের মনেই ধারণা তৈরি হয়, সাংগঠনিক পদত্যাগের পাশাপাশি এবার মিহিরবাবু দলবদলও করতে চলেছেন। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত এই জল্পনাকে প্রশ্রয় দেননি বিধায়ক। বরং বারবারই জানিয়েছেন, দলবদল নিয়ে কখনওই কিছু ভাবেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দলের প্রতি অভিমান ব্যক্ত করে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন বিধায়ক। সেখানেই লেখেন, আজ এই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। আমি আশা করছি, আমার দীর্ঘদিনের সাথী, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে মার্জ্জনা করবেন।

নভেম্বর ২৭, ২০২০
রাজ্য

রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পরও একই অবস্থানে মিহির গোস্বামী

তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে দুজনের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট কথা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, বিজয়া করতেই মূলত মিহির গোস্বামীর বাড়িতে এসেছিলেন। তবে সাক্ষাৎ হওয়ার পর নানা বিষয়ে কথা হয়েছে দুজনের। ঠিক কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা যদিও খোলসা করে বলেননি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মিহির গোস্বামীর দলের অভিমান প্রসঙ্গেও সেভাবে কিছু বলেননি মন্ত্রী। তবে তাঁর কথায়, মিহিরদা পুরনো লোক। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মিহিরবাবু দলে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরায় বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে পথে বাংলা পক্ষ কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী জানান, ফেসবুক পোস্ট ও কলকাতার নেতাদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে একই অবস্থানে রয়েছেন তিনি। তবে রাজ্য নেতৃত্ব তথা দলনেত্রীর বার্তা পাওয়ার পরে যে সব কিছু গভীরভাবে তলিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবেন। চিন্তন ও মন্থনের পরে যে সিদ্ধান্ত নেব, তা জনসমক্ষে জানিয়ে দেব।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
রাজ্য

বিজেপির বুথ কমিটির সম্পাদক খুন , অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বিজেপির বুথ কমিটির সম্পাদককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম কালাচাঁদ কর্মকার। তিনি বিজেপির বুথ সম্পাদক পদে ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার জেরে বুধবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে তুফানগঞ্জের নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের চামটা গ্রামের কর্মকারপাড়ায়। খবর পেয়ে তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে লক্ষ্মী বর্মন বলেন, বুধবার সকালে কালাচাঁদবাবুকে রাস্তায় ফেলে মারছিল কয়েকজন। সেই সময় বাড়ির লোকরা বাঁচাতে যায়। ওই সময়ই কালাছাঁদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। তখই জ্ঞান হারান তিনি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কালাচাঁদকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিবারের তরফ থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রঞ্জিত বর্মন, কমল বর্মন, সঞ্জিত বর্মন, নারায়ণ বর্মন ও দিলীপ বর্মনকে এই মারধরের জন্য দায়ী করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে দুই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে ফের বচসা বাধে। শুরু হয় হাতাহাতি। ঘরের সামনে অশান্তি দেখে তা মেটাতে বের হন কালাচাঁদবাবু। অভিযোগ, তখনই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দুই ক্লাবের বচসার জেরেই এই ঘটনা। মৃত ব্যক্তি অশান্তি মেটাতে গিয়েছিলেন। আপাতদৃষ্টিতে এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ কমল বর্মন নামে একজন ব্যক্তিকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। আরও পড়ুন ঃ প্রয়াত জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য্য বিজেপির তরফে টুইটে বলা হয়েছে, কোচবিহারে বিজেপির বুথ সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকারকে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। রক্তের রাজনীতি করে বাংলার মানুষের সমর্থন পাওয়া যায় না মমতা ব্যানার্জী। আপনার দিন গোনার পালা শুরু! অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কোচবিহারে বিজেপির বুথ সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকারকে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী পিটিয়ে হত্যা করেছে, কিন্তু প্রশাসন চোখে কাপড় বেঁধে রেখেছে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে। খুব শীঘ্রই মানুষ এর জবাব দেবে এই অহংকারী সরকারকে।

নভেম্বর ১৮, ২০২০
রাজনীতি

এই দল আমার নয়, হতে পারে নাঃ মিহির গোস্বামী

আমার দল আর আমার নেত্রীর হাতে নেই, অর্থাৎ এই দল আর আমার নয়, হতে পারে না। দিদি এখানে নিস্পৃহ। ফের তৃ্ণমূলের বিরুদ্ধে এ ভাষাতেই তোপ দাগলেন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে আরও লেখেন , শ্যামা মায়ের আরাধনালগ্নে আমার এই অনুমান আরও দৃঢ় হয়েছে। তাই এই দলের সঙ্গে সমস্ত রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করাটাই কি স্বাভাবিক নয়? তাঁর অভিযোগ , যে দলের অভিধানে সম্মান বলে শব্দটিই অনুপস্থিত , সেই দলে বাইশটা বছর কাটিয়ে দিলাম! কী করে সম্ভব হল, কেন তা সম্ভব হল এসব প্রশ্ন উঠে আসে নিজের মনেই! উত্তর একটাই খুঁজে পাই, দিদি! দলের ভেতর অজস্র অপমান অবমাননা ক্রমাগত সহ্য করে গিয়েছি অকারণে, চুপ করে থাকার জন্য শুভানুধ্যায়ীরাও বিরক্ত হয়েছেন বারবার। কিন্তু আমার উত্তর একটাই ছিল, দিদি! যার উপর বিশ্বাস-আস্থাতেই এতদিন টিকে ছিলাম। আরও পড়ুন ঃ উত্তর ২৪ পরগণার সব আসন দখল করবঃ দিলীপ তিনি দলের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে আরও লেখেন , ১৯৮৯ সাল থেকে মমতা বন্দ্যো্পাধ্যায়ের নেতৃত্ব মেনে চলেছি। দীর্ঘ তিরিশ বছর অতিক্রম করার পর বোধগম্য হয়েছে, দিদির লোক এখানে অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন। অন্যায্য সবকিছু মেনে নিয়ে যো হুজুর করে টিকে থাকতে পারলে থাকো, নয়ত তফাৎ যাও। তিনি আরও লেখেন , সংগঠন থেকে আমার অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা করার পর ছয় সপ্তাহ কেটে গেছে। এই বিয়াল্লিশ দিনে আমি সব দলের কাছ থেকে এক বা একাধিক ফোন কল পেয়েছি, কথা বলেছি। বহু পুরনো রাজনৈতিক বন্ধুর ফোন পেয়েছি রাজ্যের বাইরে থেকেও। কিন্তু গত ছয় সপ্তাহে খোদ নেত্রীর কাছ থেকে কোনও ফোন আসেনি। কোনও বরখাস্তনামা কিংবা বহিস্কারের নির্দেশও আসেনি তাঁর কাছ থেকে।

নভেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

পুলিশ গার্ড অব অনার না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল

পুলিশ নিয়মমাফিক রাজ্যপালকে গার্ড অব অনার দেয়নি। এবার তা নিয়ে রাজ্য সরকার তথা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে এ প্রসঙ্গে একটি টুইটও করেন তিনি। রাজ্য পুলিশ রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন বলেও অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। আরও পড়ুন ঃ দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মত ফুলবিঃ শুভেন্দু বৃহস্পতিবার প্রথমে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী। এছাড়াও বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকও ছিলেন রাজ্যপালের সঙ্গে। তারপর সেখান থেকে মদনমোহন মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। কোচবিহার রাজবাড়িও ঘুরে দেখার পর সার্কিট হাউসে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এরপর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু্তে ক্ষোভ উগড়ে দেন। উপাচার্যরা তার সঙ্গে দেখা না করায় তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করেন এবং রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

নভেম্বর ১২, ২০২০
রাজনীতি

তৃণমূল ছাড়ছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী

তৃণমূলে আর ফিরবেন না কোনওদিনই। সো্মবার একথা জানিয়ে দিলেন কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিদ্রোহী বিধায়ক মিহির গোস্বামী। আগামী দিনে কোন দলে যোগ দেবেন এই প্রশ্নে তাঁর সাফ কথা-- অনেকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিজেপির সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি অবশ্য এখনই কিছু ঠিক করেননি। মানসিক প্রস্তুতি নিলে জানাব। তিনি এদিন বলেন , বেড়ালের গলায় ঘণ্টা কে বাঁধবে, এটা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে দ্বিধা ছিল, তিনি সেটা বেঁধে দিলেন। সম্প্রতি এক কর্মিসভায় দিনহাটার তৃ্ণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ দলের নেতা - কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন , অনেক খেয়েছেন। আবার খাবেন। তবে এখন ছ মাস খাওয়া বন্ধ রাখুন। এখন মানুষের খাবার মানুষকে খেতে দিন। এবার মানুষের খাবার কেড়ে নিলে মানুষ পরবর্তী্তে আর খাওয়ার সুযোগ দেবে না। সেই প্রসঙ্গ টেনে মিহিরবাবু বলেন , একজন বিধায়কের মুখে এমন কথা মানায় কি ? শুধু নীচুতলার নেতা-কর্মী কেন, দলের উপরের নেতারাও দুর্নীতিগ্রস্ত। মিহিরবাবু দাবি করেন, দোলা সেনও প্রায় একই ধরনের কথা বলে নীচুতলার দলীয় নেতাকর্মীদের অপমান করেছেন। মিহিরবাবু জানান, দোলার বক্তব্য ছিল , ৭৫ শতাংশ দলকে দিন, ২৫ শতাংশ নিজের রাখুন। মিহিরের আপত্তি, দোলার এই কথায় দলের দুর্নীতিগ্রস্ততার বিষয়টিই সিলমোহর পেয়ে যায়। ফলে তিনি অপমানিত বোধ করছেন। মিহিরবাবুর বক্তব্য, যেসব বিধায়ক ও সাংসদ দলীয়কর্মীদের এভাবে অসম্মান করছেন, তাঁদের এ বার নিজেদের দিকেও তাকানো দরকার। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে বলেন, তৃণমূলের অবস্থা উলঙ্গ রাজার মতো। আরও পড়ুন ঃ রাজ্য নেতৃত্বকে উপেক্ষা? মন্ত্রীর সভামঞ্চে হাতের লাঠি বহিষ্কৃত নেতা! তাঁর সবচেয়ে ক্ষোভের জায়গা , উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনা। তাঁর মতে, যা আগেও ছিল, এখনও চলছে। মিহির জানান, সব কিছুই কলকাতাকেন্দ্রিক। কিছু নেতা সব কিছু কলকাতা থেকে নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং তাঁদের সিদ্ধান্ত এখানকার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। শুভেন্দু অধিকারীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি কিছু না বলে মিহিরবাবু জানান, শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে তাঁর ৪০ বছরের সম্পর্ক। প্রসঙ্গত , দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে অক্টোবরের গোড়াতেই দলের সমস্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন মিহিরবাবু। এরপর থেকে কখনও নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে বৈঠক করে , কখনও রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা না করে তাদের ফিরিয়ে দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।

নভেম্বর ০৯, ২০২০
রাজনীতি

দলের তরফে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুই পূরণ হয়নি , অভিযোগ মিহির গোস্বামীর

ফের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। শুক্রবার তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন , আজ যখন দেখছি দিদির দলে কোন ঠিকাদার থিংকট্যাঙ্ক কোম্পানি ঢুকে ঘরবাড়ি তছনছ করে দিচ্ছে, অপমানিত জনপ্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তখন দিদি অন্তরালে নির্বিকার! তাহলে সেই ঘরবারির মতো দিদির প্রতি এতদিনের সব আস্থা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাওয়াটা কী স্বাভাবিক নয়? আরও পড়ুন ঃ দার্জিলিং পুরসভার ১৭ কাউন্সিলর বিজেপি ছেড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায় তিনি আরও লেখেন , কংগ্রেসকে হারাতেই তৃণমূলে আস্থা রেখেছিলেন। তবে তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যারা কুকথা বলেছেন, তারাই আবার দলে যোগ দেওয়ায় বিরক্ত হয়েছিলেন তিনি। এত কিছুর পরেও তিনি দলনেত্রীর উপর আস্থা হারাননি। দলের তরফে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুই পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁর। দলে একাধিকবার অপমানিতও হতে হয়েছে তাঁকে। এদিন এভাবেই দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক। প্রসঙ্গত , কয়েকদিন আগে তিনি দলের বিরুদ্ধে এই একই ইস্যু্তে সুর চড়িয়েছিলেন। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কও কম হয়নি। এদিন ফের তিনি এই ইস্যুতে মুখ খোলায় নতুন করে এই বিতর্ক মাথাচাড়া দেবে বলে মত রাজ্যের রাজনৈ্তিক মহলের।

নভেম্বর ০৬, ২০২০

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

অসমে ট্রেন-হাতির সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত রাজধানী, মৃত অন্তত ৮ হাতি

ভোরের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থাতেই একপাল হাতিকে ধাক্কা মারল রাজধানী এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল।শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ভোরে অসমের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের লুমডিং ডিভিশনের আওতায়। জানা গিয়েছে, সাইরং থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একপাল হাতি। চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অংশটি হাতির নির্দিষ্ট করিডর নয়। ট্রেনের লোকো পাইলট জানিয়েছেন, সামনে হাতির পাল দেখতে পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু হাতিগুলি আরও এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।প্রবল ধাক্কার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেখানকার যাত্রীদের নিরাপদে অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোট আটটি হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত কামরা এবং হাতিগুলির দেহ ট্র্যাকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগছে। সেই কারণে অসমের উপরের অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে জন্য গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা বিএনপির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বিএনপি। একই সঙ্গে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাদির মৃত্যুর পর যেভাবে সারা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিছক স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দফতরে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনাও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই হামলার ফলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। পাশাপাশি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনা, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপর হামলারও নিন্দা করেন তিনি। ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।এই সব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস বলে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভয়াবহ, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করা এবং দেশে ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ প্রতিষ্ঠা করা।বর্তমান ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের নাকের ডগাতেই এই সব ঘটনা ঘটছে, অথচ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে দেশের ভিতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ও হিংসার বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। তবুও হিংসা থামছে না, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।শেষে তিনি বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই অপশক্তিকে সতর্ক করে দিতে চায় বিএনপি। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ? একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা

বাংলাদেশ জুড়ে ফের অশান্তির আগুন। শিল্প ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব তাণ্ডব কি শুধুই ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ, না কি এর পিছনে রয়েছে সংগঠিত কোনও শক্তি?শুক্রবার রাতে ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত উদীচীর কার্যালয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাঁর দাবি, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ধারাবাহিকতার মধ্যেই উদীচীর উপর আঘাত এসেছে।উদীচী কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-সহ দলের নেতৃত্ব। সেখানে ইউনূস সরকার দরকার নেই স্লোগান ওঠে বলে জানা গেছে।এই অশান্তির সূত্রপাত হয় এক সপ্তাহ আগে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তে থাকে।ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বলে ওঠে। হামলা হয় দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে। একই সঙ্গে আক্রমণ চালানো হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি এবং প্রখ্যাত সংস্কৃতি কেন্দ্র ছায়ানটেও। ভাঙা হয় বাদ্যযন্ত্র, ছিঁড়ে ফেলা হয় বই। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এই লাগাতার হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।যে বাংলাদেশ এক সময় গান, নাটক, কবিতা আর মুক্তচিন্তার জন্য পরিচিত ছিল, আজ সেখানে মৌলবাদী হিংসার ছায়া আরও গাঢ় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal