সকালে রাশিয়ার ট্যাঙ্কবাহিনীর গোলাবর্ষণে মৃত্যু কমপক্ষে ৭০ ইউক্রেনীয় সেনার, মৃত্যু ১১ সাধারণ নাগরিকের
সোমবার রাতে বেলারুশে যুদ্ধরত দুটি দেশ ইউক্রেন এবং রাশিয়ার শান্তি আলোচনার প্রস্তাব ব্যর্থ হয়েছে। তারপর থেকেই রুশ হামলা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে ইউক্রেনে। মঙ্গলবার ষষ্ঠ দিনে প্রবেশ করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।মঙ্গলবার সকালে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বে ইভানকিভ শহরের সেনাঘাঁটিতে রাশিয়ার ট্যাঙ্কবাহিনী গোলাবর্ষণ করে। তাতে অন্তত ৭০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেনাঘাঁটির পাশাপাশি বসতি এলাকাগুলিতেও হামলা চালাচ্ছে তারা। এমনটাই দাবি করেছে ইউক্রেন। ফলে রুশ হামলায় বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছেন অস্ত্রহীন সাধারণ মানুষও।এদিকে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা পরই ফুরোবে ইউক্রেনের সমস্ত হাসপাতালগুলির অক্সিজেনের সরবরাহ। এমনই সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এর ফলে হাসপাতালগুলিতে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হাজারো মানুষের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা আছে বলেও বার্তা দিল হু। হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস ঘাব্রেয়েসাস এবং ইউরোপের আঞ্চলিক ডিরেক্টর হান্স ক্লুগে একটি যৌথ বিবৃতিতে জানান, ইউক্রেনে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। বেশির ভাগ হাসপাতালেই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মজুত থাকা অক্সিজেন ফুরোবে। কিছু হাসপাতালে ইতিমধ্যেই অক্সিজেন ফুরিয়েছে। এর ফলে ভর্তি হাজারো মানুষের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা আছে।সোমবার রাত থেকেই ইউক্রেনের শিল্প ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং অন্যতম বড় শহর খারকিভে নিরন্তর হামলা চালাতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী। ট্যাঙ্কবাহিনীর গোলাবর্ষণে প্রায় তছনছ হয়ে গিয়েছে এই শহর। যা কিনা ইউক্রেনের অন্যতম শিক্ষাকেন্দ্রও বটে। বিদেশ থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই এই শহরে পড়াশোনা করতে আসেন এবং থাকেন। যাঁদের অনেকে এখনও রয়েছেন এই শহরে। মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ার হামলায় সেখানে কম করে ১১ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে ইউক্রেন।