• ৪ পৌষ ১৪৩২, সোমবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

রাজ্য

রাজ্য

গুরুতর অভিযোগ তৃণমূলের চিকিৎসক বিধায়কের বিরুদ্ধে, ক্ষুব্ধ তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েতরা

এর আগে হুমকি, তোলাবাজি মাস্তানী সহ নানা অভিযোগ শোনা তৃণমূলের কোনও কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধে। এবার বীরভূমের এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে তোলপাড়। তিনি আবার পেশায় চিকিৎসক। সেই চিকিৎসাক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে।মত্ত অবস্থায় অপারেশন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক চিকিৎসক-বিধায়কের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বুধবার অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েতরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের চিকিৎসক-বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়। ঘটনাটি ঘটেছে তারাপীঠ শহরের একটি নার্সিংহোমে। বুধবার ওই নার্সিংহোম ও বিধায়কের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েতরা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে দিন কয়েক আগে বীরভূমের হাসানের বিধায়ক চিকিৎসক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী সুজাতা মুখোপাধ্যায়। সুজাতাদেবী সাহাপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাও। অস্ত্রোপচারের পর সোমবার সুজাতাদেবীর মৃত্যু হয়।সুজাতা দেবীর স্বামী তথা তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, চিকিৎসক-বিধায়ক মত্ত অবস্থায় ভুল অপারেশন করেছিলেন। তারই জেরে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পুর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক বিধায়ক। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারাপীঠ শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডে প্রশাসনিক গাফিলতির প্রতিবাদে "আম্মা"র বিশাল সমাবেশ বারাসতে

আরজি কর হত্যাকাণ্ডে প্রশাসনিক গাফিলতি ও গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা ঢেলে সাজানোর দাবিতে বারাসতে বিরাট মিছিল করল আম্মা। মিড ডে মিল কর্মীদের সংগঠন AMMA (Association of Midday Meal Assistants), (অভয়া মঞ্চের পক্ষ থেকে) এই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল। তারপর বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আম্মার নেতৃত্ব। বারাসতের কাছারি ময়দান থেকে এই মিছিল শুরু হয়।আর জি কর হত্যাকাণ্ডে প্রশাসনিক গাফিলতির প্রতিবাদে এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা ঢেলে সাজানোর দাবিতে বারাসতে কর্মসূচি নেয় আম্মা। এই কর্মসূচি করতে আপত্তি জানিয়েছিল প্রশাসন। প্রশাসনের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । হাইকোর্টের অনুমতিতে এদিন কর্মসূচি পালন করা হয়। মিছিলে বেশ ভিড় হয়েছিল। এর আগে মিড ডে মিল কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে হাজার হাজার মানুষের মিছিলে কলকাতা প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল।Indian Public Health Standard 2022 অনুযায়ী প্রত্যেকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে গড়ে তুলতে হবে, হাসপাতালে ডাক্তার এবং নার্সের সংখ্যা পর্যাপ্ত হারে বৃদ্ধি করতে হবে, বিনামূল্যে ওষুধের সরবরাহ রাখতে হবে, মাতৃত্বকালীন যোজনার টাকা প্রত্যেক মায়ের হাতে তুলে দিতে হবে, মিড ডে মিল কর্মীদের স্বীকৃতি দিতে হবে, Health on the March নামক স্বাস্থ্য রিপোর্ট প্রতি বছর নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে। এই সমস্ত দাবিতে আজকের এই সমাবেশে কয়েক হাজার জমায়েত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন আম্মার পক্ষে নাতাশা খান, শৈলেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, শাওন দাস, অ্যাডভোকেট শামীম আহমেদ, জুবি সাহা। আগামী দিনে ব্লকে ব্লকে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সমাবেশ শেষ হয়।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শিলিগুড়িতে, SSB-এর ইতিহাস গর্ব করার মতো

নেপাল-ভুটানের সীমান্ত, কাশ্মীরের উপত্যকা বা নকশালবাদ নির্মূলের অভিযান, প্রতিটি ক্ষেত্রে এসএসবি-র জওয়ানরা তাদের জীবন উৎসর্গ করে ভারতকে সুরক্ষিত করেছে। অটল বিহারি বাজপেয়ী ২০০১ সালে এক সীমা, এক বাহিনী নীতি চালু করেছিলেন।৬১ বছরের দীর্ঘ যাত্রায়, এসএসবি সেবা, সুরক্ষা এবং ভ্রাতৃত্ব স্লোগানকে শুধুমাত্র কার্যকর করেনি বরং জাতি প্রথম ধারণাকেও তুলে ধরেছে। উন্মুক্ত সীমান্ত থেকে মাদক পাচার, মানব পাচার, অস্ত্রের চলাচল এবং দেশবিরোধী উপাদানগুলির অনুপ্রবেশকে এসএসবি-র জওয়ানরা কঠোরভাবে আটকেছে। বিহার এবং ঝাড়খণ্ড নকশাল মুক্ত হয়েছে, এতে এসএসবি-র জওয়ানদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নেপাল-ভুটানের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে আস্থা, ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্ব রয়েছে; এর কৃতিত্ব এসএসবি-র প্রাপ্য। এসএসবি ১৮৩ জন মানব পাচারকারী সহ ৩০১ জন পীড়িতকে আটক করেছে, যার মধ্যে ২৩১ জন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিহারে বন্যা, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ভূমিধস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার মতো সকল দুর্যোগের সময় এসএসবি দেশের নাগরিকদের পাশে থেকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে।মাদকমুক্ত ভারত অভিযানের আওতায় প্রায় ৩৬,০০০ যুবককে সচেতন করে মাদক থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে এসএসবি বিশাল ভূমিকা পালন করেছে। মোদী সরকার গত ১০ বছরে আমাদের জওয়ানদের সুরক্ষার জন্য প্রচুর কাজ করেছে। ১০ বছরে ১৩,০০০ এর বেশি বাড়ি, ১১৩টি ব্যারাক এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা শ্রী অমিত শাহ শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি) ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবস প্যারেড অনুষ্ঠানে জওয়ানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং এই উপলক্ষে আগরতলা ও পেট্রাপোলের বিএফজি-র নবনির্মিত আবাসিক কমপ্লেক্সের ই-উদ্বোধন করেন।এসএসবি-র সমস্ত জওয়ানকে ৬১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে অমিত শাহ বলেন, আজকের এই দিনে আমরা আবার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করছি এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হচ্ছি যে ভারতের দুই প্রতিবেশী বন্ধু দেশের উন্মুক্ত সীমান্তে জাতি-বিরোধী তৎপরতাগুলিকে খুঁজে বের করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নেপাল-ভুটানের সীমান্ত হোক, কাশ্মীরের উপত্যকা হোক বা পূর্বাঞ্চল থেকে নকশালবাদ নির্মূলের জন্য ভারতের অভিযান হোক, আমাদের জওয়ানরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে ভারতের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছেন।তিনি আরও বলেন, এসএসবি-কে যখন সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়, তার পূর্বে এর প্রাক্তন অবতারে ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর সাংস্কৃতিক বিবরণ, ভাষার সমৃদ্ধি এবং তাদের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ করেছে এসএসবি। ২০০১ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ী এক সীমা, এক বাহিনী নীতি গ্রহণ করেন। এরপর এসএসবি-কে আমাদের দুই বন্ধু দেশ নেপাল এবং ভুটানের সীমান্ত পর্যবেক্ষণ এবং সুরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়।অমিত শাহ বলেন, ৬১ বছরের যাত্রায় এসএসবি এখন পর্যন্ত চারটি পদ্মশ্রী, একটি কীর্তি চক্র, ছয়টি শৌর্য চক্র, দুটি রাষ্ট্রপতি সাহসিকতা পদক, ২৫টি পুলিশ সাহসিকতা পদক এবং ৩৫টি সাহসিকতা পদক অর্জন করেছে। এই জাতীয় স্তরের সম্মানগুলোই প্রমাণ করে যে আমাদের এসএসবি কর্তব্য পালনে কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আজ, ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গ্যালান্ট্রি মেডেল, প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল, ইন্ডিয়ান পুলিশ মেডেল এবং ভারত-নেপাল, ভারত-ভুটান, বামপন্থী উগ্রপন্থা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় শ্রেষ্ঠ ব্যাটালিয়নগুলিকে ট্রফি এবং মেডেল প্রদান করা হয়েছে। যারা তাদের সাহসিকতা এবং কর্তব্যপরায়ণতার জন্য এই পদক অর্জন করেছেন, তাদের সবাইকে অনেক অভিনন্দন।তিনি আরও যোগ করেন, আজ এখানে এসএসবি-র সাথে সংশ্লিষ্ট আটটি ভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পের ই-উদ্বোধন এবং ই-শিলান্যাসও হয়েছে। প্রায় ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে এসএসবি-র জওয়ান এবং তাদের পরিবারের জন্য আবাসনের সুযোগ এবং প্রশিক্ষণের সময় তাদের জন্য উন্নত রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধার সূচনা করা হয়েছে।তিনি বলেন, ৬১ বছরের গৌরবময় ইতিহাসে, সেবা, সুরক্ষা এবং ভ্রাতৃত্বের স্লোগানকে এসএসবি শুধুমাত্র তার কর্মদক্ষতার মাধ্যমে বাস্তবায়িত করেনি, বরং জাতির সেবা এবং জাতি প্রথম ধারণাকেও উজ্জ্বল করেছে। ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে দেশপ্রেম ও ভারতের সঙ্গে গভীর সংযোগের এক অসাধারণ আবেগ জাগ্রত করার কাজ করেছে এসএসবি। নেপাল এবং ভুটানের ২,৪৫০ কিলোমিটার উন্মুক্ত সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখার গুরু দায়িত্ব পালন করেছে এসএসবি। যখন সীমান্তে বেড়া থাকে, তখন নিরাপত্তার দায়িত্ব সহজ হয়, কিন্তু উন্মুক্ত সীমান্তের ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব বহুগুণ বেড়ে যায়। নেপাল এবং ভুটানের ২,৪৫০ কিলোমিটার সীমান্তে, আজ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কোনো চিন্তা নেই, কারণ সেখানে এসএসবির জওয়ানরা প্রহরায় রয়েছে। এসএসবির জওয়ানরা উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে মাদক, মানব পাচার, অস্ত্র পরিবহণ এবং দেশবিরোধী বিষয়বস্তুর প্রবেশ কঠোর সতর্কতার সাথে আটকেছে। শুধু তাই নয়, পূর্বাঞ্চলে নকশালবিরোধী অভিযানে এসএসবি, সিআরপিএফ এবং স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে মিলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নকশালমুক্ত করতে সহায়তা করেছে। প্রায় চার দশক পরে আজ বিহার এবং ঝাড়খণ্ড নকশালমুক্ত হয়েছে এবং এতে এসএসবির জওয়ানদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এসএসবির জওয়ানরা ঝাড়খণ্ডের কোকারাজাল জেলার রাই মোনা ন্যাশনাল পার্ক, বাল্মীকি টাইগার রিজার্ভ, হাতি নালা, হরানালা, তাওয়াং-এর বঙ্গে জাং, নেগো ট্যাংক এবং উত্তরাখণ্ডের সীমান্ত এলাকায় কঠিন পোস্টে সতর্ক প্রহরায় দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। শিলিগুড়ি করিডর পূর্ব ভারতের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে এক উচ্চমানের সমন্বয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে আস্থা, ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বের মেলবন্ধন রয়েছে।ভারত-নেপাল মৈত্রী চুক্তির মর্যাদাকে সর্বদা সম্মান জানিয়ে, নো ম্যানস ল্যান্ড-এ ১,১০০-এর বেশি অবৈধ দখলদারিকে এসএসবির মাধ্যমে সরানো হয়েছে, যা একটি বড় সাফল্য। সীমান্তের ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সরকারি জমিতে অবৈধ দখল প্রতিরোধের জন্য গত তিন বছরে এসএসবি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং কোনো বিতর্ক ছাড়াই হাজার হাজার একর সরকারি জমি অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করেছে। প্রায় ৪,০০০-এর বেশি পাচারকারী ধরা পড়েছে। এক বছরে ১৬,০০০ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। ২০৮টি অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ জব্দ করেছে এসএসবি। ১৮৩ জন মানব পাচারকারী এবং ৩০১ জন ভুক্তভোগী, যার মধ্যে ২৩১ জন তরুনি, তাদের উদ্ধার করার কাজও করেছে এসএসবি।এসএসবির প্রশংসা করে শ্রী অমিত শাহ বলেন, গত সাত বছরে ৬০০-এর বেশি মাওবাদীকে গ্রেপ্তার, ১৫ জনের বেশি মাওবাদীর মৃত্যু এবং ২৮ জন মাওবাদীর আত্মসমর্পণ প্রমাণ করে যে এসএসবি কতটা নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে, এসএসবির জওয়ানরা তাদের বিভিন্ন অভিযানে ১৯ জনের বেশি সন্ত্রাসবাদীকে খতম করেছে এবং ১৪ জন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করেছে। শুধুমাত্র সুরক্ষা প্রদান নয়, বিহারের বন্যা, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের ভূমিধস, এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার মতো দুর্যোগের সময় এসএসবি দেশের জনগণের পাশে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলা করেছে। খেলাধুলাতেও, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মোট ৭২টি পদক জিতেছে এসএসবি।এসএসবির প্রশিক্ষিত কর্মীদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকার যুবসমাজকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে মধু উৎপাদনের জন্য মৌমাছি পালন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, মোবাইল মেরামত এবং মোটর ড্রাইভিংয়ের মতো বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নেশামুক্ত ভারত অভিযানের অধীনে প্রায় ৩৬,০০০ যুবককে সচেতন করে এবং নেশা মুক্ত করতে এসএসবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।শ্রী অমিত শাহ মোদি সরকারের সাফল্যের উল্লেখ করে বলেন, গত ১০ বছরে মোদি সরকার আমাদের জওয়ানদের সুরক্ষার জন্য প্রচুর কাজ করেছে। সিএপিএফ-এর ৪১,২১,৪৩১টি আয়ুষ্মান সিপিএফ কার্ড নিবন্ধিত হয়েছে, যার মাধ্যমে ১,৬০০ কোটি টাকার পেমেন্ট হয়েছে এবং ১৪,৩৮,০০০ কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় ১০ বছরে ১৩,০০০-এর বেশি বাড়ি, ১১৩টি ব্যারাক এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক সুবিধার ভবন নির্মাণের কাজ মোদি সরকার করেছে। সিপিএফ ই-আবাস ওয়েব পোর্টালের সুবিধা এখন পর্যন্ত ৬৩,১৪৬ জন কর্মী গ্রহণ করেছেন। সিএপিএফ-এর জওয়ানরা ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত ৬ কোটি গাছ লাগিয়ে বসুন্ধরার সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৪
রাজ্য

বর্ধমানে টেলারিং কারবারির বাড়িতে ইডির হানা, রহস্যের কেন্দ্রবিন্দুতে ১০ লক্ষ টাকা লেনদেন

কারবার বলতে সামান্য টেলারিং। মঙ্গলবার সাত সকালে বর্ধমান শহরের লস্করদিঘিতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। টেলারিং কারবারির বাড়িতে ইডির হানায় রীতিমতো চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও রীতিমতো হতবাক। জানা গিয়েছে,এই টেলারিংয়ের কাজ করা মইনুল হাসানের বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালায় সিবিআই। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রহস্য দেখা দিয়েছে ১০ লক্ষ টাকা লেনদেন নিয়ে।জানা গিয়েছে, মইনুল হাসানের একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে এক দিনে ১০ লক্ষ টাকা জমা হয়েছে। আবার দেরি না করে ওই দিনই সেই টাকা তুলে আবার অন্য একজনকে দিয়েও দিয়েছেন তিনি। এই নিয়েই ইডির পাঁচ জনের একটি দল এদিন সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৫ পর্যন্ত ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালায় মইনুল হাসান মল্লিক ও তাঁর পরিবার সদস্যদের। কি কারণে ইডির হানা? তা অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে গোপন রাখেননি মইনুল। তিনি বলেন,গত ২১ নভেম্বর তাঁর একাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা দেয় সুকান্ত ব্যানার্জী নামে একজন পরিচিত। সুকান্তর বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে। ওই দিনই সুকান্তর কথা মত তিনি অপর একজনকে ওই ১০ লক্ষ টাকা তুলে দেন। বর্ধমানের ভাঙাকুঠি এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে মইনুলের। এখন ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিজ করা আছে। যদিও টাকা তুলে যে ব্যক্তির হাতে তিনি ওই টাকা তুলে দিয়েছেন সেই ব্যক্তি তাঁর অপরিচিত বলে মইনুল হাসান মল্লিক দাবি করেছেন। তাঁকে তিনি চেনেন না বলেই জানিয়েছেন মইনুল। ওই ১০ লক্ষ টাকার লেনদেনের পরিপেক্ষিতেই তাঁর বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা হানা দেয়।মইনুলের বক্তব্য়, সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বলছেন ওই ১০ লক্ষ টাকার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কেন তিনি এই টাকা নিয়ে মাঝে থেকে লেনদেন করেছেন তাঁর সদুত্তর দিতে পারেননি মইনুল হাসান। তদন্তকারীদের অনুমান, কোনও কারণ ছাড়া কেউই নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার লেনদেন করবে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাছাড়া কিছু সময়ের ব্যবধানে কে টাকা দিল অ্যাকাউন্টে, আর কাকে মইনুল টাকা তুলে দিল তা নিজেই জানেন না, এতে রহস্য দেখতে পাচ্ছে তদন্তকারীরা।এদিকে মইনুল জানিয়েছেন, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে সাত দিন সময় দিয়েছেন। এই সাতদিনের মধ্যে ওই ১০ লক্ষ টাকা লেনদেনের বিষয়ে সঠিক তথ্য তুলে দিতে হবে। প্রশ্ন উঠেছে, কারও কথা মতো তিনি কি করে ১০ লক্ষ টাকার এমন তড়িঘড়ি লেনদেনের দায়িত্ব নিলেন? সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কাউকে চিনতেও পারছেন না মইনুল! তাঁকে সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ফাঁসিয়েছে বলে মইনুলের দাবি।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
রাজ্য

একবছর পর রাজস্থান থেকে উদ্ধার নাবালিকা, অভিযুক্তকেও বর্ধমানে নিয়ে এল পুলিশ

এক বছর এক মাস। অভিযোগের পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছিল। গলসি থানায় অভিযোগ হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ ছিল, ১৭ বছরের নাবালিকা মেয়ে বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে চলে যায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গলসি থানাতে একটি মামলা রুজু হয়। ২০২৩ সাল থেকে বিভিন্নভাবে মেয়েটিকে গলসি থানার তদন্তকারী অফিসার খোঁজার চেষ্টা করেন, কিন্তু প্রাথমিকভাবে কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও তদন্তকারী অফিসাররা হাল ছাড়েননি।গত ৪ ডিসেম্বর পুলিশ সুপারের অনুমতি নিয়ে রাজস্থান এর উদেশ্যে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ টিম রওনা দেয়। গত ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় পালরি- এম থানার সহায়তায় যোধপুর স্টেশন থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পোশালিয়া গ্রাম থেকে তদন্তকারী অফিসাররা ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। আজ, মঙ্গলবার নাবালিকা এবং আসামিকে পূর্ব বর্ধমানে ফিরিয়ে আনা হয়। আগামীকাল, বুধবার আসামি এবং উক্ত নাবালিকাকে পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে।

ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
রাজ্য

এ কি কাণ্ড করলেন মা বাঘিনী! শোকের ছায়া উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারিতে, কি এমন ঘটলো?

বেঙ্গল সাফারি পার্কে মৃত্যুমিছিল যেন থামছে না বেঙ্গল সাফারিতে। সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে বেঙ্গল সাফারি পার্কে মৃত্যু হয়েছিল কুনকি লক্ষ্মীর। এবার মৃত্যু হল তিন রয়েল বেঙ্গল শাবকের। মনে করা হচ্ছে অসাবধানতায় মায়ের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে তিন রয়্যাল শাবকের। আর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পরে গিয়েছে বন দপ্তরে। যদিও ঘটনাটি নিয়ে প্রকাশ্যে সেভাবে মুখ খুলতে চাননি পার্ক কর্তৃপক্ষ। তবে শাবক তিনটি কবে মারা গিয়েছে, একসঙ্গে মারা গিয়েছে কি না, কারণ কী ছিল? এইসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এই ঘটনায় পার্ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বেঙ্গল সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে রিকা নামে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। শাবকের জন্মের খবর প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বসিত হন পার্ক কর্তৃপক্ষ। মায়ের সঙ্গে শাবকগুলোকে নাইট শেল্টারেই রাখা হয়েছিল। জন্মের দুদিনের মাথায় মা বাঘ রিকা নিজের শাবককে অন্যত্র সরাতে গিয়ে ঘাড়ে কামড় লেগে যায়। এতে তিনটে শাবকেরই ঘাড়ের কাছে শ্বাসনালী ফুটো হয়ে যায়৷ এই তিনটির মধ্যে দুটো শাবক আগে মারা গেলেও একটি শাবককে উদ্ধার করে সেটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন সাফারি পার্কের পশু চিকিৎসকরা। প্রাণপণ চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি৷ এই বিষয়ে রাজ্য জু-অথরিটির সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, রিকা দ্বিতীয়বার তিন শাবকের জন্ম দেয়৷ রিকার নিজেরও একটু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া শিলার মতো অভিজ্ঞ নয়। অসাবধানতায় শাবকদের সরাতে গিয়ে ঘাড়ে কামড়ায়। এর ফলে শ্বাসনালী ফুটো হয় ও ঘাড়েও গভীর ক্ষত তৈরি হয়। তাতেই তিনটে শাবকের মৃত্যু হয়েছে। সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বিজয় কুমার বলেন, রিকার ভুলেই ওই তিন শাবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাঘ প্রজননে সফল বেঙ্গল সাফারি পার্ক। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই বেঙ্গল সাফারিতে পাঁচ শাবকের জন্ম দিয়েছে শিলা ও বিভান নামে রয়্যাল বেঙ্গল দম্পতি। যার জেরে বেঙ্গল সাফারিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ১৫। গত বছরও সাফারি পার্কে মৃত্যু হয়েছিল জোড়া ব্যাঘ্র শাবকের। ১২ জুলাই দুটি শাবকের জন্ম দেয় সাদা বাঘ কিকা। পরদিনই একটি শাবকের মৃত্যু হয়। তার মাসখানেক বাদে আরেকটি শাবকও মারা যায়। প্রথম মৃত্যুর ক্ষেত্রে পার্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে সাফারি পার্কের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অপুষ্টিজনিত কারণ দ্বিতীয় শাবকটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল। বর্তমানে বেঙ্গল সাফারিতে রয়েছে ১২টি রয়েল বেঙ্গল। তারপরে রিকার এই তিন শাবকের মৃত্যুর পর পার্কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪
রাজ্য

১০৪ বছরে খোলা আকাশের স্বাদ, আনন্দে উদ্বেল পরিবার, বিরল ঘটনা বাংলায়

এ জীবনে এমন আনন্দের ঘটনা ঘটবে ভাবেননি ১০৪ বছরের বৃদ্ধ। এই বয়সে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন মালদহের মানিকচকের এক বৃদ্ধ। এই মুক্তিতে তার পরিবারেও যেন আলোর রোশনাই নিয়ে এসেছে। ওই বৃদ্ধের নাম রসিকচন্দ্র মণ্ডল (১০৪)। জেল থেকে বেরিয়ে হাসতে হাসতে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। জানা গিয়েছে, জমি নিয়ে বিবাদে ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাদ হয়েছিল। তার জেরে গুলি করে ছোট ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল দাদার বিরুদ্ধে। যদিও দাদার পরিবারের দাবি, পারিবারিক ঝামেলার সুযোগ নিয়ে অন্য এক ব্যক্তি ছোট ভাইকে গুলি করে মারে। সেই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করে। দাদার জেল হয়। তারপর কেটে গিয়েছে এক এক করে ৩৬টা বছর। কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানালেও তাঁর জামিন হয়নি। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন ১০৪ বছর ওই বৃদ্ধা। আর বাড়ি ফেরার আনন্দে বাঁধনহারা মন্ডল পরিবার। মালদহের মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা রসিকচন্দ্র মণ্ডল। তার তিন ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। ইতিমধ্যে বড় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ১৯২০ সালে মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামে জন্ম রসিকবাবুর। বেশ কয়েক বিঘা জমির মালিক ছিলেন তিনি। গঙ্গার পলি সমৃদ্ধ উর্বর ওই জমি ছিল বহুফসলি। পৈতৃক সেই জমি নিয়েই তাঁর সঙ্গে বিবাদ বাধে ছোট ভাই সুরেশ মণ্ডলের৷ দুই ভাইয়ের পাশাপাশি বাড়ি৷ ১৯৮৮ সালের একদিন নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সুরেশবাবু। সেই ঘটনায় সুরেশবাবুর স্ত্রী আরতি মণ্ডল ভাসুর রসিক সহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে৷সবার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়৷ ১৯৯৪ সালে রসিকচন্দ্র মণ্ডল ও জিতেন তাঁতি নামে দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়৷ তখন রসিকবাবুর বয়স ছিল ৬৮ বছর। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন দুজন৷ বছর তিনেক আগে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে নদীতে ডুবে মারা যান জিতেন তাঁতি। প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বেশ কয়েক বছর বাড়িতে ছিলেন রসিকবাবু ও। প্যারোলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুলিশ তাঁকে ফের সংশোধনাগারে পাঠায়। এই দীর্ঘ সময়কালে তাঁকে মূলত মালদা জেলা সংশোধনাগারেই রাখা হয়েছিল। ২০১৮ সালে রসিকবাবু নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান৷ কিন্তু তাঁর আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়৷পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টেও তিনি সেই আবেদন জানান৷ কিন্তু সেখানেও তাঁর আবেদন গ্রাহ্য হয়নি৷ ২০২০ সালে ৯৯ বছর বয়সী রসিকবাবু তাঁর বয়স এবং বয়সজনিত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শীর্ষ আদালতে মুক্তির আবেদন জানান৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতে ২০২১ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একটি নোটিশ জারি করে। অবশেষে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে রসিকবাবুর আবেদনের শুনানি হয়। রসিকচন্দ্র মণ্ডল ও রাজ্য সরকারের কৌসুলিদের সওয়াল জবাবের পর ডিভিশন বেঞ্চ ১০৪ বছর বয়সী রসিকবাবুকে অন্তবর্তী জামিন মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে৷তবে ছোট ছেলে উত্তম মণ্ডল বলেন, তাঁর বয়স ১০৩ বছর৷ আর কয়েকদিন বাদেই ১০৪ বছরে পা দেবেন। বাবার জামিনের জন্য আমরা অনেকদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানাই৷ আইন যাই বলুক, আমার বাবার বয়সী কাউকে কোনও অপরাধে জেলে রাখা আমি অন্যায় মনে করি৷ বাবা এখন অসুস্থ৷ ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না৷ তিনি ছাড়া পেলে আমরা খুব আনন্দ পাব৷রসিকবাবুর স্ত্রী মিনা মণ্ডলের বয়সও ৮৫ বছর পেরিয়েছে৷ কানে ঠিকমতো শুনতে পান না। তিনি বলেন,স্বামী জেল থেকে ছাড়া পাবে খুব ভালো লাগছে৷ ছেলের সংসারে আছি৷ ওর ঘরে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছি৷ যাঁর মৃত্যু নিয়ে এত কাণ্ড,সেই সুরেশ মণ্ডলের পরিবার এখন আর গ্রামে থাকে না৷

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

এবার ভারতের টিভি চ্যানেল বন্ধ করার আবেদন বাংলাদেশের আদলতে

এবার ভারতের সমস্ত টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার বাংলাদেশের হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল। মামলাকারীরা বাংলাদেশের অশান্তির নেপথ্যে ভারতের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলির ভূমিকা দেখতে পাচ্ছে। তবে এদিন ওই মামলার শুনানি হয়নি। আদালত সূত্রের খবর, আগামীকাল বুধবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। ২০০৬ সালের কেবল টেলিভিশন নেওয়ার্ক আইনের ২৯ ধারা অনুযায়ী ভারতের সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার জন্য এদিন হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন, আইনজীবী এখলাসউদ্দিন ভূঁইয়া। ভারতের সব টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি সিরিয়ালের জন্য বিখ্যাত বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের মন্দির, বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাঠ, খুন, জখম, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। বিশ্ব ব্যাপী সমালাচোনার ঝড় বয়ে চলেছে মহম্মদ ইউনুস সরকারের। বাংলাদেশ সরকার গ্রেফতার করেছে সংখ্যালঘু আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। তিনি এখন জেলবন্দী। তার পাশাপাশি বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। এই দাবিতে বাংলাদেশেও মিছিল, মিটিং প্রতিবাদ হচ্ছে। বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে ইসকন প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নেমেছে। ভারতেও হিন্দুত্ববাদীরা বাংলাদেশে নির্যাতনের প্রতিবাদে আন্দোলন করছে। বিক্ষোভ দেখিয়েছে কলকাতার বাংলাদেশে ডেপুটি হাইকমিশনে। এবার টিভি চ্যানেল বন্ধ করার আবেদন বাংলাদেশের আদালতে। অথচ বাংলাদেশের সংবাদপত্রে বলিউডের কাহিনী এখনও কদর পাচ্ছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

একসঙ্গে সাতজনকে ফাঁসির রায়! নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল টোটোচালককে

সাতজনকে ফাঁসির আদেশ! নৃশংস ভাবে এক টোটোচালককে খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার এই রায় দেন চুঁচুড়া আদালতের বিচারক। ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয় হুগলির কুখ্যাত দুস্কৃতী বিশাল দাস ও তার ৬ সাকরেদ রাজকুমার প্রামানিক, রথীন সিংহ, রতন ব্যাপারী, রামকৃষ্ণ মন্ডল, বিনোদ দাস, বিপ্লব বিশ্বাসকে ফাঁসির রায় দেন বিচারক। অপর এক আসামি মান্তু ঘোষকে ৭ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এক টোটো চালককে মোট ৯ জন দুস্কৃতী নৃশংস ভাবে খুন করেছিল। শেখ মিন্টু এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে চুঁচুড়া ফার্স্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক শিব শঙ্কর ঘোষ এদিন বিশাল দাস সহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি ১ জনের ৭ বছরের সাজা শোনানো হয়। তিনদিন আগেই এই অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। ফাঁসির রায়দানকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য়ের সৃষ্টি হয় আদালত চত্বরে। চুঁচুড়া আদালতে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঘটনা ঘটেছিল চার বছর আগে। দিনটা ছিল ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর। টোটোচালক বছর তেইশের যুবক বিষ্ণু মালকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক গোপন স্থানে আটকে রেখে রীতিমতো টুকরো টুকরো করে দেহের বিভিন্ন অংশ নানা জায়গায় ফেলা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাঁকে রায়ের বেড় এলাকা থেকে বাইকে করে তুলে নিয়েছিল বিশাল। কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস ও তার দলবল এই কান্ড ঘটিয়েছিল। বিষ্ণুর কি ছিল অপরাধ? বিষ্ণুর সঙ্গে যে মেয়েটির ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল, সেই মেয়েকে পছন্দ ছিল বিশাল দাসের। এই খুনের কিছুদিন পরে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জীবনতলা এলাকা থেকে ধরা পড়ে বিশাল।

নভেম্বর ২৮, ২০২৪
রাজ্য

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তির দাবিতে উত্তপ্ত কলকাতা, রাজপথে চলল নগর কীর্তন

বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হল কলকাতার রাজপথ। বাংলাদেশে গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে কীর্তনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায় ইসকনও। বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ এদিন বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ মিছিল আটকাতে গেলে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। শেষমেশ পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ডেপুটি হাইকমিশনে প্রবেশ করে। তার আগে ব্যারিকেড ধরে টানা-হ্যাঁচড়া চলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের। শান্তিপূর্ণ মিছিলে কলকাতা পুলিশ বাধা দেয়। দাবি, মিছিলকারীদের দুএকজন আহত হয়েছেন। চিন্ময় প্রভু গ্রেফতার ও বাংলাদেশে হিন্দুদের অত্য়াচারের প্রতিবাদে এদিন জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এদিন শিলিগুড়িতে বিক্ষোভ হয়। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য়, পরবর্তীকালে আরও আন্দোলনে যাব। মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে তাই আমরা সাধু বলে চুরি পড়ে বসে থাকবো না। বাংলাদেশের ঘোর দুর্যোগ ঘনিয়ে আসবে যদি ইউনুস না সতর্ক হন। এদিকে বাংলাদেশে আদালত ইসকন নিষিদ্ধ করার

নভেম্বর ২৮, ২০২৪
রাজ্য

নিত্যযাত্রীদের জন্য বিরাট সুখবর, পূর্ব রেলের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা

নিত্যযাত্রীরা বিশেষত অর্থাৎ যারা অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ বা ব্যবসার কাজে রোজই একটু দূরে বিশেষত কলকাতা বা সংলগ্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকেন, তাঁদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা পূরণে ইন্টারসিটি ধরণের মাঝারি দূরত্বের এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত রিজার্ভড (সংরক্ষিত ) কোচ জুড়তে চলেছে পূর্বরেল। এই রিজার্ভড কোচ সংযুক্তির ফলে তাদের যাতায়াত আরও সুগম হয়ে উঠবে যা আর্থসামাজিক উন্নয়নেরও সহায়ক। পাঁচটি ট্রেন যেমন ১২৩৩৭/১২৩৩৮ হাওড়া - বোলপুর - হাওড়া শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস, ১২৩৩৯/১২৩৪০ হাওড়া - ধানবাদ - হাওড়া কোলফিল্ড এক্সপ্রেস, ১২৩৪১/১২৩৪২ হাওড়া - আসানসোল - হাওড়া অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, ১৩০১১/১৩০১২ হাওড়া - মালদা - হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এবং ০৩০৪৭/০৩০৪৮ হাওড়া - রামপুরহাট - হাওড়া বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিতে লাগছে একটি করে অতিরিক্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর চেয়ার কার। এই অতিরিক্ত কোচের সংযোজন ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই উভয় প্রান্ত থেকে কার্যকর হবে। এছাড়াও, ১৩০৪৫/১৩০৪৬ হাওড়া - দেওঘর - হাওড়া ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেসে লাগছে একটি অতিরিক্ত সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণীর রিজার্ভড কোচ। এই ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযুক্তি হাওড়া থেকে ৩০শে নভেম্বর এবং দেওঘর প্রান্ত থেকে ১লা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। ২২৩২১/২২৩২২ হাওড়া - সিউড়ি - হাওড়া হুল এক্সপ্রেসে যাত্রীদের জন্য আরও সুখবর। তারা পাচ্ছেন একটি অতিরিক্ত এসি ৩ টায়ার কোচের সংযোজন। এতদিন পর্যন্ত এই গাড়িতে যাত্রীরা কেবলমাত্র বসেই যাতায়াত করতে পারতেন, কিন্তু এখন এসি ৩ টায়ার কোচের সংযোজনের ফলে যাত্রীরা শুয়ে অথবা ঘুমিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। অতিরিক্ত কোচের সংযুক্তির ফলে হুল এক্সপ্রেসের কোচ সংখ্যাও ১৩টি কোচ থেকে ১৪ টি কোচে বৃদ্ধি পেলো। এই এসি ৩ টায়ার কোচের সংযোজন উভয় প্রান্ত থেকেই ৩০শে নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। নিত্যযাত্রীদের চাহিদা পূরণে পূর্বরেল সর্বদাই সচেষ্ট। সময়বিশেষে দ্বিতীয় শ্রেণীর অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের ফলে সাধারণ যাত্রীরা সাশ্রয়কারী যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে রেলের উপর বিশেষ নির্ভরশীল। রেলের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নিত্য যাত্রীরা।

নভেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজ্য

আবাস এর আভাস! দূর্নীতি নিয়ে কি বার্তা দিচ্ছে?

ভোট এলেই দেশ জুড়ে চর্চায় আসে রোটি, কাপড়া ওর মকান। শুধু ভাত কাপড় নয়। সঙ্গে থাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর বাসস্থান। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য এর অন্য তাৎপর্য রয়েছে। শিক্ষা আর স্বাস্থ্য আগেই রাজ্য রাজনীতির মঞ্চে মধ্যমনি হয়ে বসেছে। এবার এই দুটির পাশে জায়গা নিয়েছে বাসস্থান। এই মুহূর্তে বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের বুলডোজার বিচার নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায়ে বড় জায়গা নিয়েছে বাসস্থান। পশ্চিমবঙ্গে আলোড়ন উঠেছে আবাস যোজনায় দূর্নীতি নিয়ে। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণে বড় বড় দূর্নীতির তথ্য প্রমাণ সামনে আসতে শুরু করেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের মতন ই এই ক্ষেত্রেও তার ই সঙ্গে সংঘর্ষ, হুমকি, নির্যাতন সব ই রয়েছে। অর্থাৎ, তিন ক্ষেত্রেই চিত্র নাট্যে মিল রয়েছে। পুরুলিয়া, বীরভূম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ক্ষোভ বিক্ষোভের খবরের পাশেই রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। তৃনমূলের এই শক্ত ঘাঁটিতেও পরিস্থিতি খুব ই উত্তপ্ত। এই ক্ষোভের আঁচের মধ্যে তৃনমূলের সমর্থক বা কর্মী বলে পরিচিতরা ও রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ নিয়ম মতে যাদের পাওয়ার কথা তারা বাদ পড়েছেন। যোজনার তালিকায় ঢুকে পড়েছে ভুয়ো নাম। শুধু তাই নয় একই নামে একাধিকবার টাকা পাওয়ার তথ্য ও উঠে এসেছে। তবে এই সব অভিযোগ তো বরফশীলার চূড়া মাত্র। দরিদ্র মানুষকে ঘর পেতে কাটমানি দিতে বাধ্য করা। ঘর পেতে হলে বিভিন্ন খাতে অর্থ দিতে বাধ্য করার পাশাপাশি রয়েছে অসাক্ষর প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বদলে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা আনিয়ে পকেটস্থ করা। আর্থিক নয় ছয়ের পরিমাণ এতটাই বেশি যে আদালতে রাজ্য সরকার ও অনিয়ম হয়েছে বলে মেনে নিয়েছে। দূর্নীতির বিষয়ে রাজ্য সরকার যে রিপোর্ট দিয়েছে তা দেখেই আদালত সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান ও বিডিওদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে। পরিস্থিতিতে এবার নতুন মোড় এনেছে প্রতিবাদের চেহারা। শুধু গ্ৰামবাসীরাই নয় দলীয় নেতা, কর্মী ও প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃনমূলের ই একাংশ।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দূর্নীতির অভিযোগ কেন্দ্র অর্থ দেওয়া বন্ধ করলে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল নির্বাচনের আগে এসব অভিযোগ আসলে ভোট পাওয়ার কৌশল। কেন্দ্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজ্য নিজস্ব আবাস যোজনা ঘোষণা করেছিল। প্রতিটি প্রাপককে তিন লপ্তে মোট এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে ওই ঘোষণায় । বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই যোজনায় ভুরি ভুরি দূর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে। সরকারি প্রকল্প বা সরকারি যোজনা মানেই যেন উদোর অর্থ বুদোর পকেটে যাওয়ার অভিযোগ উঠবেই। সামাজিক ন্যায়ের নটে গাছটি মুড়িয়ে দিতে কাটমানি সংস্কৃতির বিষ যেন সর্বগামী। অর্থ লিপ্সার জালে আবদ্ধ পশ্চিম বঙ্গের দরিদ্র গ্ৰামীন সমাজ

নভেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজ্য

পানাগড়ে আগুনে ঝলসে গেল এক শিশুকন্যা ও তিন নাবালক

পরিত্যক্ত গাড়ির একটি কেবিনের ভেতরে খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেল এক শিশুকন্যা ও তিন নাবালক। বুধবার দুপুর তিনটে নাগাদ কাঁকসার রাইস মিল রোডে একটি পরিত্যক্ত গাড়ির কেবিনের ভেতরে খেলা করার সময় হঠাৎ গাড়ির ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। গাড়ির ভেতর আটকা পড়ে ৪ জনেই। ওই নাবালক ও শিশু কন্যার চিৎকার শুনে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে।স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের পানাগড় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের মধ্যে ২ জনকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও অপর ২ জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাঁকসা থানার পুলিশ। যে ব্যক্তি তাদের উদ্ধার করে সেও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পানাগড় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

নভেম্বর ১৩, ২০২৪
রাজ্য

ট্যাবের টাকা কোথায়? মালদা থেকে সাইবার ক্যাফের মালিককে গ্রেফতার বর্ধমান পুলিশের

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের হাতে ধরা পড়লো মালদার সাইবার ক্যাফের এক মালিক। অভিযুক্ত যুবকের ট্যাব কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার ঘটনা জানাজানি হতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোমবার গভীর রাতে মালদার বৈষ্ণবনগর থানার কৃষ্ণপুর এলাকার বাড়ি থেকেই সাইবার ক্যাফের মালিক হাসেম আলীকে গ্রেফতার করে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার মালদা আদালতের মাধ্যমে ধৃতকে সাত দিনের জন্য ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে তদন্তকারী পুলিশকর্তারা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ট্যাব কেলেঙ্কারির পান্ডা এই হাসেম আলীর মাধ্যমে প্রচুর সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে। কারা এতদিন ধরে ছাত্রদের লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করার পিছনে যুক্ত রয়েছে, সেটিও জানতে তৎপর তদন্তকারী পুলিশকর্তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈষ্ণবনগর থানার কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা হাসেম আলী। তার বৈষ্ণবনগরের এমএলএ মোড়ে রাস্তার ধারে ছোট্ট একটি সাইবার ক্যাফের দোকান রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পাশ ওই যুবক যে বিশেষ কায়দায় পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক বিষয়ে পারদর্শী তা জানতে পেরেও হতবাক হয়েছে পুলিশ। ধৃত হাসেম আলীর কাছ থেকে তিন বছরের একটি কম্পিউটার সার্টিফিকেট উদ্ধার করেছে পুলিশ ।জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানিয়েছেন, ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গত জুলাই মাসে হাসেম আলি একটি মোবাইল ফোন মাধ্যমে বাংলার শিক্ষা পোর্টাল অ্যাকসেস করে। সাথে সাথে হাসেম নিজেও একটি অ্যাকাউন্ট মোডিফাই করেছিল। এই কাজে হাসেম যে মোবাইলটি ব্যবহার করতো সেটিও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। এই ঘটনায় হাসেমের সঙ্গে আরও কিছু জন জড়িত থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। বর্ধমান জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই মাসে হাসেম আলী তার মোবাইল ফোনে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে ঢুকে। এরপরই পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টের তথ্য বদলে দেয় বলে পুলিশ এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছে। তারপরে ধীরে ধীরে এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ধৃত হাসেম আলী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ট্যাব কেলেঙ্কারিতে শুধু হাসেম আলী একা জড়িত নয়। এর পিছনে অনেক বড় বড় মাথা রয়েছে। সেইসব পান্ডাদের সন্ধান পেতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালদা আদালতের কাছে ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে বর্ধমান পুলিশ। ধৃত হাসেম আলির মা নুরজাহান বেগম বলেন, আমার ছেলেকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। ও যদি সত্যি এই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে থাকত, তাহলে আজকে আমাদের আধা কাঁচা, আধা পাকা বাড়িতে থাকতে হত না। আমার ছেলের কোনওরকম বিলাসবহুল জীবনযাত্রাও ছিল না। সাদামাটা ভাবেই থাকতো। তারপরেও হঠাৎ করে পুলিশ এসে ছেলেকে ভিত্তিহীন অভিযোগে ধরে নিয়ে গিয়েছে। আমার ছেলে নির্দোষ। উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রায় শতাধিক পড়ুয়ার পাশাপাশি মালদার গাজোল, হবিবপুর এবং হরিশ্চন্দ্রপুরের তিনটি বিদ্যালয়ের প্রায় দেড়শ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। ঘটনাটি সামনে আসতেই মালদার জেলাশাসকের নির্দেশে শুরু হয় তদন্ত। তিনটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে এফআইআর করে জেলা শিক্ষা দপ্তর। এরই মধ্যে সোমবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ মালদায় হানা দিয়ে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে হাসেম আলী নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার সেই মোবাইল ফোনও।

নভেম্বর ১২, ২০২৪
রাজ্য

এখন ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান সাগর থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে, ভোরেই ল্যান্ডফল, জানাল হাওয়া অফিস

ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতিবেগে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় দানা। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৯০ কিলোমিটারের দূরে রয়েছে দানার অবস্থান। সাগর থেকে দানার অবস্থান ২১০ কিলোমিটার। ল্যান্ডফলের পর ১০৫ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতি হতে পারে ঘূর্ণঝড়ের। দানা খুব সম্ভবত মুভ করে ওড়িষার পুরি ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ডের মধ্যে আছড়ে পড়বে। ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায় ঝড় বইবে উপকূল এলাকায়। রাত সাড়ে এগারোটায় এই তথ্য জানায় আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

অক্টোবর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

কিছু সময়ের মধ্যে ল্যান্ডফল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী

আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। কিছু সময়ের মধ্যে ল্যান্ডফল করতে চলেছে দানা। অসীম শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana)। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নবান্নে চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর। রাতভর নবান্নে থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নজর রাখছেন পুরো পরিস্থিতির।ভয় পাবেন না কিন্তু সতর্ক থাকুন। ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে রাজ্যবাসীকে অস্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সরকারের দেওয়া গাইডলাইন সাধারণ মানুষকে মেনে চলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের বন্দোবস্ত করেছে। যে জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্ট্রোলরুমে ছাড়াও উপস্থিত আছেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, ডিজি রাজীব কুমার, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দপ্তরের প্রধান সচিব শ্রী দুষ্যন্ত নারিয়ালা, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দপ্তরের বিশেষ সচিব প্রিয়াঙ্কা সিংলা প্রমুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কি বলেছেন?মানুষের জীবন হল সবচেয়ে দামী। মানুষের জীবন আগে রক্ষা করতে হবে। স্কুলগুলি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই কারণেই। আমি আজ রাতে নবান্নেই থাকব। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সকলে কাজ করবেন। সেই সঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকেও পরিস্থিতির ওপর গভীরভাবে নজরদারি চালাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন ও জেলায় জেলায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য সরকার। নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর, ০৩৩-২২১৪৩৫২৬, আরেকটি হেল্পলাইন নম্বর হল ১০৭০।

অক্টোবর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

আরও এক তৃণমূল নেতা গ্রেফতার, এবার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অপরাধে

হাতির দাঁত পাচারের ঘটনায় কলকাতা পুর এলাকার এক তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের পর এবার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সহ মালদার সংখ্যালঘু সেলের এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে দুটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬ রাউন্ড কার্তুজ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মোথাবাড়ি থানার পুরাতন পটলডাঙ্গা এলাকায়।বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র মজুত, এই অভিযোগে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আব্দুস সালাম। তার বাড়ি মোথাবাড়ি থানার পুরাতন পটলডাঙা এলাকায়। তিনি তৃণমুলের সংখ্যালঘু সেলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ধৃতের বাড়িতে অভিযান চালায়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার করেছে দুটি আগ্নেয়য়াস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। কি কারণে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বাড়িতে মজুত করেছিল ওই তৃণমূল নেতা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, একজনকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেছেন, বিরোধীরা কি বলল তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। তবে দলের নেতা বা কর্মী যেই হোক অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী ঘিরে ভাতারে বিশৃঙ্খলা, কোনওরকমে সামলালেন বিধায়ক

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পরিস্থিতি। গন্ডগোলের রেশ গড়িয়েছে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য় সড়কে। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিজয়ার অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত অশান্তি ও দ্বন্দ্বে চলতে থাকে বিশৃঙ্খলা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী নিজে পরিস্থিতি সামলাতে নাজেহাল হয়ে যান। নিজে পথে নেমে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। শেষমেশ ভাতার হাউজিং মাঠে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। কোনওপ্রকারে অনুষ্ঠান শুরু হলেও উত্তেজনা চলতেই থাকে। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক হাজরাকে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ অশোকবাবুকে শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সময় মঞ্চের আশপাশে কর্মীদের একাংশ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। মঞ্চে অশান্তি চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে দিয়ে বিজয়া সম্মিলনী শেষ করে দিতে বাধ্য হন নেতারা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, বিজয়া সম্মিলনী একটা মিলনের অনুষ্ঠান। আনন্দের বিষয়। তাই আমরা প্রথম থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করব বলে ঠিক করেছিলাম। বক্তৃতা পর্ব রেখে অনুষ্ঠান দীর্ঘায়িত করতে চাইনি। বিশৃঙ্খলার বিষয়টি অবশ্য বিধায়ক এড়িয়ে যান। এ নিয়ে তাঁর সাফাই, বাইরে কি ঘটেছে সঠিক জানি না। অনুষ্ঠান সুষ্ঠ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ভাতারে দলের সহ সভাপতি অশোক হাজরার সঙ্গে দলের একাংশের মনোমালিন্য চলছে। বিশেষ করে ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অশোকবাবুর প্রভাব রয়েছে। দলের অভ্যন্তরের কিছু সমস্যা এমনিতেই চলছিল। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও অশোক হাজরার দাবি, বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। অত্যাধিক ভিড়ের কারণে সামান্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তবে তারপর সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

কেন রাখা হয় ঘূর্ণি ঝড়ের নাম? এই তালিকায় কোন কোন দেশ রয়েছে?

বাংলা ও ওড়িষা উপকূল লন্ডভন্ড করতে দাঁনা বাঁধতে চলেছ দানা{ প্রবল আশঙ্কায় উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা{ সতর্ক রাজ্য় সরকরাও{ ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি সম্ভবত বুধবারের মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে দানা।আইএমডি লিখেছে যে নিম্নচাপ মঙ্গলবার সকালের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ এবং বুধবারের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, পরের দিন সকালে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছে যাওয়ার জন্য উত্তর-পশ্চিমে এগোবে। ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকালে পুরী এবং সাগর দ্বীপের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে, ঝড়ের গতিবেগ হবে প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিমি, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।আগস্টের শেষ দিকে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় আসনার পর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় দানা দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। আরবি ভাষায় দানা নামের অর্থ উদারতা এবং এই অঞ্চলে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের নিয়ম অনুসারে কাতার এটি বেছে নিয়েছে। কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় এবং তাদের নাম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করা হয়?ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখে কারা?২০০০ সালে, WMO/ESCAP (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক) নামক দেশগুলির একটি দল, যা বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড নিয়ে গঠিত, সিদ্ধান্ত নেয়। এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। প্রতিটি দেশ পরামর্শ পাঠানোর পর, WMO/ESCAP প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন (PTC) তালিকা চূড়ান্ত করেছে।WMO/ESCAP ২০১৮ সালে আরও পাঁচটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইয়েমেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে আইএমডি দ্বারা প্রকাশিত ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা এই দেশগুলি সরবরাহ করেছিল - ১৩টি দেশের প্রতিটি থেকে ১৩টি পরামর্শ।ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখার কারণ কী?ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ মানুষের পক্ষে মনে রাখা সহজ করে তোলে, সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত পদের বিপরীতে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও, এটি বিজ্ঞানী, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকেও সাহায্য করে। একটি নাম দিয়ে, এটি স্বতন্ত্র ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করা, এর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, মানুষকে প্রস্তুত হতে এবং বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দ্রুত সতর্কবার্তা প্রচার করা সহজ। একটি অঞ্চলে একাধিক সাইক্লোনিক সিস্টেম।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল আশঙ্কা, চূড়ান্ত প্রস্তুতি রাজ্যের

ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। উপকূল অঞ্চলের ৫ জেলা সহ মোট ৭ জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকারও। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম ভাবে সরকার প্রস্তুত রয়েছে সরকার। উপকূলের এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনার কাজ চলছে। উপকূলবর্তী এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও বাড়তি সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করছে প্রশাসনের কর্মীরা।ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায ইতিমধ্যেই রাজ্য ও জেলা স্তরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম চালু করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের সর্বক্ষণ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি রাখবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামিকাল, বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্কতামূলক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতায় সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরী থেকে সাগরদ্বীপের মাঝে কোনও এক জায়গায় ল্যান্ডফল হতে পারে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার তুমুল সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে শহর কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামেও।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 21
  • ...
  • 166
  • 167
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal