• ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

রাজ্য

রাজ্য

বিশ্বভারতীর সঙ্গীতানুষ্ঠানে যোগ দিলেন অমিত শাহ

লাল মাটির বোলপুরে অমিত শাহর কর্মসূচি ঘিরে সাজো সাজো রব। শাহী পোস্টার এবং কাটআউটে ছেয়ে গিয়েছে বোলপুরের চারদিক। বোলপুরে সকালেই পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পৌঁছানোর পর উপাসনা গৃহ ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর সঙ্গীত ভবনে যান শাহ। সঙ্গীত ভবনের পড়ুয়াদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দর্শকাসনে বসে অনুষ্ঠান দেখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা। শান্তিনিকেতনে ভিজিটর্স বুকে নিজের প্রতিক্রিয়া লেখেন তিনি। সেখান থেকে বাংলাদেশ ভবনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাহ। আরও পড়ুন ঃ কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন অমিত শাহর, খেলেন কলাপাতায় অমিত শাহ বলেন, আমি এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান জানালাম। আজ খুব সৌভাগ্যের দিন। জগতকে বাংলার সঙ্গে যুক্ত করতে শান্তিনিকেতন তৈরি করা হয়েছিল। শতবর্ষ উদযাপিত হতে চলেছে বিশ্বভারতীর। তাই এটাই সময় বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি সঙ্গে সকলের পরিচয় ঘটানোর। কদিকে বাঙলি মনন-আবেগকে নাড়া দেওয়া, অন্যদিকে হিন্দুত্বের মোড়কে বিজেপির প্রচার। এই দুয়ের লক্ষ্যে ভোটের আগে এবার বঙ্গ সফরে অমিত শাহ।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন অমিত শাহর, খেলেন কলাপাতায়

মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একাধিক কর্মসূচির মাঝে মধ্যাহ্নভোজ সারতে বালিজুড়ি গ্রামে কৃষক পরিবারে পৌঁছলেন তিনি। পরিবারের মহিলা সদস্যরা শঙ্খধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানান তাঁকে। মেদিনীপুরের বালিজুড়ির কৃষক ঝুনু ওরফে সনাতন সিংয়ের বাড়িতে তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। মাটি দিয়ে নিকোনো বাড়িতে সূক্ষ্ম হাতে আঁকা হয়েছিল আলপনা। এছাড়াও লেখা হয় স্বাগতম। শুক্রবার সকাল থেকে গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীদের আনাগোনা লেগেই ছিল। বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছিল নিরাপত্তারক্ষীদের। শনিবার দুপুর দেড়টার কিছু পরে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কৃষক সনাতনের মাটির বাড়ির সামনে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয়। সেই সময় তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সনাতনের পরিজনেরা। আরও পড়ুন ঃ ক্ষুদিরাম বোসকে স্মরণ অমিত শাহের পরিবারের মহিলা সদস্যরা শঙ্খধ্বনি দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অল্প কিছুক্ষণ আলাপচারিতা সারেন অমিত শাহ। বসেন বাড়ির সামনে থাকা খাটিয়ায়। তারপর ধীরে ধীরে সনাতন সিংয়ের বাড়ির দাওয়ায় গিয়ে পৌঁছন অমিত শাহ। মাটিতে বসে কলাপাতায় খাবার খান তিনি। তাঁর মেনুতে ছিল লাউ মুগডালের বিশেষ পদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খাওয়ানো হয় ভাত, রুটি, উচ্ছে ভাজা, পটল ভাজা, বেগুন ভাজা, খসলা শাকের ভাজা, লাউ মুগডাল, শুক্তো, চাটনি ও পাঁপড়। ছিল স্যালাড এবং টক দই। পরিমাণে অল্প হলেও সব পদই খান তিনি। তাঁর সঙ্গে একই পংক্তিতে বসে ওই খাবার খান দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়রাও।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

ক্ষুদিরাম বোসকে স্মরণ অমিত শাহের

ক্ষুদিরাম বোস যতটা বঙ্গ থেকে ছিলেন ততটা ভারতবর্ষের এবং পন্ডিত রাম প্রসাদ বিসমিল ততটাই উত্তরপ্রদেশ থেকে, যতটা পশ্চিমবঙ্গ থেকে। পশ্চিম মেদিনীপুরে শহীদ ক্ষুদিরাম বোসের মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, আমরা দেশের জন্য মরার সুযোগ পাইনি, তবে আমরা দেশের জন্য বেঁচে থাকার সুযোগ পেয়েছি। আসুন আমরা সাহসী শহীদ ক্ষুদিরাম বোসকে স্মরণ করি এবং তাঁর নির্ধারিত পথে চলি এবং দেশের বিশিষ্ট প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী ও সুরক্ষিত ভারত গড়ে তুলি। আজ আমি সেই সাহসী শহীদ ক্ষুদিরাম বোসের জন্মস্থানে আসার সৌভাগ্য পেয়েছি যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁর সর্বস্ব ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁর জন্মস্থানে এসে এখানের মাটি, হাওয়ার স্পর্শ কপালে পেয়ে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। স্বাধীনতা সংগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ ও বাঙালি পুত্রদের অবদান ভারত কখনই ভুলতে পারে না। ক্ষুদিরাম বোস ছিলেন এই ঐতিহ্যের বাহক। তিনি এমন সাহসী যুবক ছিলেন, যিনি কেবল ১৮ বছর বয়সে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করে হাতে গীতা নিয়ে ফাঁসির দড়িকে চুম্বন করার সাহস দেখিয়েছিলেন। এ সময় তাঁর জনপ্রিয়তা সারা দেশে এত বেশি ছিল যে কিছু তাঁতি ধুতিতে ক্ষুদিরাম বোস লিখতে শুরু করেছিলেন এবং তিনি বাংলার যুব সমাজের স্বাধীনতা আন্দোলনে অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়েছিলেন। ফাঁসির দড়ি গলায় পরার আগে শহীদ ক্ষুদিরাম বোস দ্বারা উচ্চারিত বন্দে মাতরমের স্লোগানটি বঙ্গ ও ভারতের যুবকদের মুক্তির স্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। আরও পড়ুন ঃ বিজেপিতে শুভেন্দু সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতার যোগদান এটি একটি কাকতালীয় ঘটনা যে এই দিনে মহান দেশপ্রেমিক পন্ডিত রাম প্রসাদ বিসমিল, আশফাক উল্লা খান এবং ঠাকুর রওশন সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আজ এই তিন সাহসীদের শহীদ দিবসও। তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আজ আমি সেই তিন সাহসী শহীদকেও প্রণাম জানাই। আমি যখন বাংলায় এসেছি, এখানে এসে এই মাটির মাটি মাথায় রেখে নতুন চেতনা এবং নতুন শক্তি অনুভব করছি। আমি আজ থেকে এখানকার তরুণদের বলতে চাই যে আমরা দেশের জন্য মরার সুযোগ পাই নি, তবে অবশ্যই দেশের জন্য বাঁচার সুযোগ পেয়েছি। আসুন আমরা সাহসী শহীদ ক্ষুদিরাম বোসকে স্মরণ করি এবং তাঁর নির্ধারিত পথে চলি এবং দেশের বিশিষ্ট প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী, শক্তিশালী ও সুরক্ষিত ভারত গড়ে তুলি। আমি আবারও সাহসী শহীদ ক্ষুদিরাম বোসের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে তাঁকে প্রণাম জানাই। বছরের পর বছর ধরে, তাঁর সর্বোচ্চ ত্যাগ দেশের যুব সমাজের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে, তাদের পক্ষে দেশের জন্য বেঁচে থাকার প্রতিশ্রুতি নিতে এবং যারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করতে বাধ্য করবে। তাদের পরিবারের পায়ে মাথা নত করে আমি আবারও আমার কথা শেষ করি। এছাড়াও তিনি পশ্চিমবঙ্গবাসীর সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি কামনায় মেদিনীপুরের মা সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে প্রার্থনা করেন। মা কালীর ঐশ্বরিক আশীর্বাদই পারে সকলের সুস্বাস্থ্য ও সুখ নিশ্চিত করতে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

বিজেপিতে শুভেন্দু সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতার যোগদান

সমস্তরকম জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার অমিত শাহের হাত থেকে তিনি দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অমিত শাহের পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন তিনি। এদিন শুভেন্দুর পাশাপাশি তৃণমূলের একঝাঁক বিধায়ক, কয়েকজন সংখ্যালঘু নেতাও বিজেপিতে যোগ দেন। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের সভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বিজেপিতে যোগ দিলেন ৯ বর্তমান বিধায়ক , এক সাংসদ, এক প্রাক্তন সাংসদ ও রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রী। তারা হলেন, তাঁর সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, তমলুকের বিধায়ক অশোক দিন্দা, কাঁথি উত্তরের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিত্ কুণ্ডু , মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজা, নাগরাকাটার বিধায়ক শুক্রা মুন্ডা, গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস সহ পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল প্রমুখ। সেইসঙ্গে যোগ দিলেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, কার্তিক পাল, বাণী সিং রায়, ফিরোজ খান প্রমুখ। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছয় সংখ্যালঘু নেতার দলবদল বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। আরও পড়ুন ঃ মা-মাটি-মানুষের স্লোগান তোলাবাজি-ভাইপোরাজে বদলে গিয়েছে, তোপ অমিত শাহর ছয় নেতার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নামটাই হল কবিরুল ইসলাম। তিনি তৃণমূলের রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক ছিলেন। শুক্রবারই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর শনিবার অমিত শাহের সভা থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন। এছাড়া রয়েছেন রাজ্যস্তরের তৃণমূল নেতা অধ্যাপক ওইদুল হক, হুগলির প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান, বীরভূমের দাপুটে নেতা করম হুসেন খান, হুগলির নেতা আলমগীর মোল্লা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

মা-মাটি-মানুষের স্লোগান তোলাবাজি-ভাইপোরাজে বদলে গিয়েছে, তোপ অমিত শাহর

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেদিনীপুরে কলেজ মাঠের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অমিত শাহ। শুভেন্দুকে দলে টেনে এদিন তিনি বলেন, বাংলায় যেভাবে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলে যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে ভাইপো-কেন্দ্রিক রাজনীতি করছে তৃণমূল। অমিত শাহকে বলতে শোনা গেল, মমতার একসময়ের মা-মাটি-মানুষের স্লোগান এখন বদলে গিয়েছে তোলাবাজি-ভাইপোরাজে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, মমতা ১০ কোটি বাঙালির কথা ভাবেন না, শুধু ভাবেন, কখন কীভাবে ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করব। যদিও বিজেপি তাতে ভয় পায় না। বাংলার মানুষও ভয় পাবে না। আরও পড়ুন ঃ এবার গেরুয়া শিবিরের পথে হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে অমিত বলেন, আজ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন সাংসদ-সহ এক ঝাঁক বিধায়ক ও নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দিদি, ভোট আসতে আসতে তৃণমূলে আপনি শুধু একা থাকবেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও আইন-শৃঙ্খলা নেই। বিজেপির বাঙালি অবাঙালি সব কার্যকর্তাদের সম্মান করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, আপনাকে হারানোর কাজ বিজেপির বাঙালি কার্যকর্তারা করবেন। আর আপনাকে হারিয়ে যিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তিনিও এই মাটিরই মানুষ হবেন। অমিত শাহ বলেন, আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু উন্নয়ন হয়নি। দুর্নীতিমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু আমফানের টাকা তৃণমূলের পকেটে। করোনাকালে কেন্দ্রের দেওয়া জিনিস পাননি গরিবরা। হাইকোর্ট পর্যন্ত সিএজি তদন্তের কথা বলেছে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। দিদি, আপনার লজ্জা হওয়া উচিত। আপনি নিজেও উন্নয়ন করেন না, মোদিজিকেও করতে দেন না। ভাবেন, তাহলে মোদিজি বেশি জনপ্রিয় হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি জানেন না, মোদিজি এমনিতেই বাংলার মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। বাংলার কৃষকদের সমস্যার সমাধান, বেকারদের সমস্যার সমাধান নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপিই করবে।এবার আমাদের ৫ বছর সুযোগ দিন, বাংলাকে সোনার বাংলা করব। বাংলার মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কমিউনিস্টকে ৩৪ বছর দিয়েছেন, মমতাকে ১০ বছর সময় দিয়েছেন। তিন দশক সুযোগ দিয়েছেন কংগ্রেসকেও। বাংলার মানুষকে আহ্বান করতে চাই, একবার বিজেপিকে সুযোগ দিন। তিনি এদিন জানান, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দুশোর বেশি আসনে জিতে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তৃণমূলের শাসনকালে ৩০০-রও বেশি বিজেপি কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। কিন্তু এভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলকে দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। বরং তারা আরও জ্বলে উঠবে। অমিত শাহ বলেন, কান খুলে শুনে নিন দিদি, বিধানসভা ভোটে দুশোর বেশি আসন পেয়ে বিজেপি বাংলায় আসবে। যে সোনার বাংলার প্রতিশ্রুতি দিয়েও পূরণ করতে পারেনি তৃণমূল, বিজেপি সরকার তা করে দেখাবে। কৃষক থেকে শ্রমিক, সব সমস্যার সমাধান হবে। বাংলায় বন্ধ হবে হিংসা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

এবার গেরুয়া শিবিরের পথে হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক

দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দলত্যাগের ইঙ্গিত দিলেন হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। জানালেন, কাজ করতে পারছেন না। ইঙ্গিতে বোঝালেন বিজেপি শিবিরে যোগদানের ইচ্ছেও। তিনি বলেন, মানুষের হয়ে কাজ করতে চান, কিন্তু তা করতে পারছেন না। আরও পড়ুন ঃ বোলপুরে বিজেপির পোস্টার, অমিত শাহের ছবির নীচে স্থান পেলেন রবি ঠাকুর! এতে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাঁর দলত্যাগ নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর স্বামীর বিজেপি যোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে স্পষ্টভাবে তিনি জানান, একইবাড়ির দুজন মানুষ আলাদা রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে চললে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়। তাই তাপসীদেবী মনে করেন, স্বামীর সঙ্গে একসঙ্গে চলাই তাঁর উচিত। এতেই কার্যত স্পষ্ট যে, দল ছাড়তে চলেছেন তিনিও। বিধায়কের মনোভাব প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে বহিষ্কার করেছে দল।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

বোলপুরে বিজেপির পোস্টার, অমিত শাহের ছবির নীচে স্থান পেলেন রবি ঠাকুর!

২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখল করতে মরিয়া বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ সবার মুখেই তাই এখন শোনা যাচ্ছে বাংলার নাম। প্রায় প্রতিদিনই দিল্লি থেকে কোনও না কোনও বিজেপি নেতা আসছেন বাংলায়, করছেন বাংলার মনীষীদের বন্দনা। আরও পড়ুন ঃ দুয়ারে-দুয়ারে নয়, যমের দুয়ারে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার, বদলা নেওয়া হবে, হুঙ্কার দিলীপের এই ধারা বজায় রেখেই আগামী ২০ ডিসেম্বর বোলপুরে আসছেন নরেন্দ্র মোদির প্রধান সেনাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পা রাখবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত শহরে। যোগ দেবেন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে। তার আগে শুক্রবার সকাল থেকেই বোলপুর শহর ছেয়েছে বিজেপির পোস্টারে। আর তাতেই বেঁধেছে বিপত্তি। রবীন্দ্র প্রীতি দেখাতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই বিটর্কে জড়িয়েছে পদ্ম শিবির। এদিন বিজেপি পোস্টারে দেখা গিয়েছে অমিত সাহহের ছবির তলায় স্থান পেয়েছেন রবি ঠাকুর! তাঁর নিচে আবার স্থানীয় বিজেপি সাংসদ অনুপম হাজরার ছবি দেওয়া। এই ঘটনায় অমিত শাহের বোলপুর সফরের আগেই রীতিমতো ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি। নিন্দায় ফেটে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী ও আশ্রমিকরা। একে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অপমান হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সমালোচনার মুখে পড়ে অবশ্য পোস্টার গুলি খোলার উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

'দুয়ারে-দুয়ারে নয়, যমের দুয়ারে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার, বদলা নেওয়া হবে', হুঙ্কার দিলীপের

শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। শনিবারই নরেন্দ্র মোদি সেনাপতি অমিত শাহের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যাত্রা করবেন তিনি। এছাড়াও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেতে পারেন তৃণমূলের একাধিক সাংসদ-বিধায়ক এই সম্ভবনাও প্রবল। ফলে ভোটের আগে রাজ্যে বিজেপির শক্তি ক্রমে যতই বাড়ছে, ততই ঘ্রের ভাঙ্গনে রক্তাক্ত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস তা বলাই যায়। আর নিজেদের এই শক্তি বৃদ্ধিতে আরও বেলাগাম হচ্ছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় এক জনসভা থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, দুয়ারে দুয়ারে সরকার করছেন দিদি। মানুষের দুয়ারে নয় এখন যমের দুয়ারে তৃণমূল সরকার। বাড়িতে এলে এক গ্লাস জলও দেবেন না, গলাধাক্কা দিয়ে তাড়া করবেন। কেন্দ্রের টাকা চুরি করে ভাড়া করে লোক আনছে। তৃণমূলের অত্যাচারে তাঁদের নেতারা দল ছেড়ে বিজেপিতে আসছে। সকালে গিয়ে বোঝাচ্ছে, বিকেলে নেতারা দল ছেড়ে পালাচ্ছে। দিদিকে যে মা বলেছেন, সেই মায়ের ভোগে গেছে। এখন শুধু একজনের পিসিই আছে। নিজেদের বাড়ি ভাঙছে বলে এখন তৃণমূলের কষ্ট হচ্ছে, একসময় অন্যদের বাড়ি ভেঙ্গেছিল তৃণমূল। এদিন হুঙ্কারের সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, বদলও হবে, বদলাও হবে। এমন বদল হবে, কদিন পর ওদের পার্টি অফিস খোলার লোক পাওয়া যাবে না। নরেন্দ্র মোদি টাকা পাঠাচ্ছেন কিন্তু তৃণমূল চুরি করে নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে চালু করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই মোদির টাকা নিতে চাইলে দিদিকে তাড়ান। তৃণমূলে যারা সম্মান পাননি তাঁরা বিজেপিতে আসুন, সবার জন্য আমাদের পরিবারে দরজা খোলা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি এদিন বলেন, রাজ্যের মানুষ পরিবর্তন চাইছে বলে বিজেপিতে আসছে।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

শুভেন্দুকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

শুভেন্দু অধিকারীকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রাক্তন এই মন্ত্রীর জন্য থাকছে বুলেট প্রুফ গাড়ি। তৃণমূল ত্যাগের পরই জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা শুভেন্দুর বিজেপি যোগের জল্পনা আরও বাড়াচ্ছে বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। আরও পড়ুন ঃ আইপিএস ইস্যুতে মমতার পাশে কেজরিওয়াল শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল রাজনৈতিক মহলে। কানাঘুষো চলছিল পদত্যাগ, দলবদল করবেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে গতমাসের শেষদিকে মন্ত্রিত্ব পদ ছাড়েন শুভেন্দু। তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য পদ ছাড়ার পরই কেন্দ্রের তরফে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাবেন প্রাক্তন এই মন্ত্রী। জল্পনাই সত্যি হল, তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের পরই কেন্দ্রের তরফে নিরাপত্তা দেওয়া হল শুভেন্দুকে।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

আইপিএস ইস্যুতে মমতার পাশে কেজরিওয়াল

আইপিএস ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবার সকালে টুইট করে মমতাকে সমর্থনের বার্তা দেন তিনি। টুইটে তিনি লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপর চাপ তৈরি করে তিন আইপিএস অফিসারের ট্রান্সফার নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলায় ভোটের আগে কেন্দ্রের এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত। গত সপ্তাহে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্য সফর চলাকালীন ডায়মন্ড হারবারে তাঁর কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে নতুন করে সংঘাত তৈরি হয়। যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি রাজ্য পুলিশ, কেন্দ্রের তরফে এই অভিযোগ তুলে রাজ্য প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। আরও পড়ুন ঃ আরামবাগের সভা থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরব শমীকও তারপর রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন আইপিএস অফিসার রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পাণ্ডেকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় দিল্লি থেকে। কিন্তু তিন অফিসারকে ছাড়তে নারাজ নবান্ন। বৃহস্পতিবার ফের তাঁদের ডেপুটেশনে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁদের নতুন পোস্টের কথাও জানানো হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় টুইট করে জানান, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ আইপিএস ক্যাডার রুল-১৯৫৪র পরিপন্থী। তাতে সংঘাত আরও চরমে ওঠে। এরপরও ফের রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয় যে তিন আইপিএস অফিসারকে এখনই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। ফলে শুক্রবার তাঁদের দিল্লিতে রিপোর্টিংয়ের জন্য তলব করা হলেও রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পাণ্ডে দিল্লি যাচ্ছেন না।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

আরামবাগের সভা থেকে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরব শমীকও

বৃহস্পতিবার হুগলির আরামবাগে সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সভা থেকে তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত দলকে সরাতেই একুশের লড়াই। পঞ্চায়েত ভোটে অত্যাচারের জবাব মানুষ বিধানসভা ভোটে দেবে। এই কাটমানি আর সিন্ডিকেটের সরকার আর চলবে না। এছাড়াও বলেন, বাংলায় রোজ খুন-ধর্ষণ হচ্ছে। একমাত্র বাংলায় মহিলাদের উপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার হয়। তৃণমূলের ভাঙন প্রসঙ্গ টেনেও দিলীপবাবু বলেন, রাজ্যের এই অবস্থার জন্য তৃণমূল থেকে নেতারা পালাচ্ছেন। মানুষ কাটমানির হিসাব চাইছে তাই পালাচ্ছে। এমনকি বিজেপিতে যোগদানের ভয়ে তৃণমূল নেতাদের পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। আরও পড়ুন ঃ সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ের পরিবেশ রক্ষা করতে একাধিক পরিকল্পনা রেলের অন্যদিকে আজ হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শমীক ভট্টাচার্য। সেখানে নাড্ডার কনভয়ে হামলা থেকে পাহাড় প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। বিজেপি নেতা বলেন, জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোন তদন্ত ছাড়া পুলিশের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করেছিল তৃণমূল। রাজ্যে বাধাহীনভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচী করার অবস্থা নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব না। শমীক আরও বলেন, ধর্ম ও জনগোষ্ঠীর নামে বিভাজন করতে চাইছে তৃণমূল। পাহাড় নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিজেপি। দলের তরফ থেকে সর্বদলীয় বৈঠকে জানানো হয়েছিল কোন গোষ্ঠী বা জনজাতির নামে এই ধরনের পরিষদ গঠন করলে ভারতবর্ষের একতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা পাহাড়ের উন্নয়ন চাই। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে রেখেই পাহাড়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থার বিকাশ চায় বিজেপি। আমরা পশ্চিমবঙ্গকে নতুন করে ভাগ করতে চাই না। পাশাপাশি গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বিজেপির অবস্থান এদিন স্পষ্ট করেন তিনি। সাম্প্রতিক টেট পরীক্ষা-সহ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই বিজেপি নেতা। পুরভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার মুখে নির্বাচন চাই বললেও এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি। আমরা চাই, সব পুরভোট সঠিক সময়ে হোক। কিন্তু রাজ্য সরকার, প্রত্যেক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার কারণে গণতান্ত্রিক পরিসরকে সংকুচিত করে দিয়েছে। একইভাবে পুরনিগম ও পুরসভায় রাজনৈতিক নেতাকে প্রশাসকের পদে বসিয়ে অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিয়েছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ের পরিবেশ রক্ষা করতে একাধিক পরিকল্পনা রেলের

প্রবল চাপের মুখে পড়ে সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ের কাছে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে সচেষ্ট হল রেল। জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নোটিশ দিয়ে আবর্জনা না ফেলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সাঁতরাগাছি ঝিলের কাছেই একটি জলাজমিতে বিগত কয়েক বছর ধরেই অবিরামভাবে আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। দিন কয়েক আগে সেই আবর্জনায় আগুন লাগানো হয়। তার জেরে বায়ু দূষণ ছড়ায়। সেই অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়ার পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর পর তৃণমূল ছাড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি সেই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই টনক নড়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের। তড়িঘড়ি জায়গাটি ঘিরে সেখানে জঞ্জাল না ফেলার নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পড়ে থাকা আবর্জনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে রেল। এমনকি এলাকাটি স্থায়ী ভাবে ঘিরে দিয়ে সেখানে গাছ লাগানোর পরিকল্পনার কথাও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামীদিনে সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ের পরিবেশ সুন্দর হবে এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

শুভেন্দুর পর তৃণমূল ছাড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি

তৃণমূল ছাড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই তিনি আসানসোল পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেন। আসানসোল পুরনিগমের অফিসে গিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পর পদ ছাড়েন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।অভিযোগ, এরপর তাঁর কার্যালয়ে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগ, তৃণমূলের কলকাতার নেতাদের নির্দেশেই তাঁর কার্যালয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূলের নেতারা চাইছেন না, আমি দলে থাকি। এদিনই দুপুরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে তৃণমূলের সদস্যপদ ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আরও পড়ুন ঃ আমার জনশক্তি আছেঃ শুভেন্দু বুধবার রাতেই তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠক করেন শুভেন্দু-জিতেন্দ্র। কয়েকদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন আসাননসোলের প্রশাসক তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। এবার শুভেন্দুর পথে হেঁটেই দল ছাড়লেন জিতেন্দ্র। বুধবারই কোচবিহারের কর্মিসভার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজে ফোন করে তাঁকে মাথা ঠান্ডা রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এদিন সহকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসানসোলের উন্নয়নের স্বার্থে লড়তে হবে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

আমার জনশক্তি আছেঃ শুভেন্দু

আমার জনশক্তি আছে। ওই শক্তিই আসল শক্তি। বৃহস্পতিবার তমলুকের নিমতৌড়ির সভার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু বিধায়কপদ ছেড়ে তাঁর কেমন লাগছে, নিজেকে মুক্ত বলে মনে হচ্ছে কি না, সেই সব প্রশ্নের জবাবেই শুভেন্দু উঁচুগলায় একটি শব্দই বলেছেন বন্দেমাতরম। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিমতৌড়ির সভায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু। মাত্রই পাঁচমিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন তিনি। তার পর শোভাযাত্রায় হাঁটতে শুরু করেন। প্রতি বছরই এই দিনটি শুভেন্দু পালন করেন। কিন্তু এ বার তাঁকে ঘিরে আগ্রহ এবং উত্তেজনা স্বভাবতই অনেক বেশি। শুভেন্দু তাঁর বক্তৃতায় তমলুকে ২১ মাসের জাতীয় সরকারের স্মৃতিচারণ করেছেন। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূল ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ওই একুশ মাসের সরকারকে বৃটিশরা ফেলে দিতে পারেনি। প্রতিবছর এই দিনটি উদ্যাপিত হয়। এ বার অনেক বেশি সংবাদমাধ্যমের লোক এসেছেন। যারা এই ইতিহাস জানে না, তারা শুধু ভোট চায়! এর পরেই শুভেন্দু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেছেন, ভোট চাই, ভোট দাও, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও শুধু এর মধ্যে আটকে থাকলে চলবে না। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে। থাকবে। কিন্তু তার সঙ্গে এই ইতিহাসও থাকবে। বক্তৃতা শেষ করে শুভেন্দু হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন। তাঁর একেবারে পাশে ছিলেন অধুনা তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত এবং তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ নেতা কণিষ্ক পণ্ডা। ছিলেন ঢাক-ঢোল-কাঁসরঘন্টা নিয়ে বহু মানুষ।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

তৃণমূল ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী

সমস্ত জল্পনাকে সত্যি করে তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। তিনি দলনেত্রীকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, আমি এই মুহূর্তে দল এবং দলের দেওয়া সমস্ত পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। দল আমাকে যেসব সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। একজন সদস্য হিসাবে দলে আমি যে মূল্যবান সময় অতিবাহিত করেছি, আজীবন তা স্মরণে রাখব।ইস্তফাপত্র দ্রুত গ্রহণ করার আবেদন জানান তিনি। তৃণমূলের সঙ্গে প্রায় আড়াই দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শুভেন্দু। গতকালই বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। দু সপ্তাহ আগে মন্ত্রীত্বও ছেড়েছিলেন। আরও পড়ুন ঃ ডিসেম্বরের মাঝেও দেখা নেই শীতের, তবে আশার বাণী শোনাচ্ছে হাওয়া অফিস এভাবেই তিনি দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করলেন। সম্ভবত শনিবারই অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, দলের সঙ্গে গত কয়েক মাস তাঁর দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। এরপর তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে দলের তরফ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, শুভেন্দুর সঙ্গে আলোচনা করে সমস্ত বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। কিন্তু তাতেও বরফ গলল না। দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

ডিসেম্বরের মাঝেও দেখা নেই শীতের, তবে আশার বাণী শোনাচ্ছে হাওয়া অফিস

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি হয়ে গেলেও এখনও সেভবে শীতের দেখা মিলছে কই? অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নাকাল নিত্যযাত্রীরা। হাওয়া অফিসের মতে, বৃহস্পতিবার সকালে সামান্য কুয়াশা, পরে পরিষ্কার থাকবে আকাশ। তবে শুক্রবার রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে দ্রুত। রাতের তাপমাত্রা নামবে অনেকটা। শনি থেকে মঙ্গল জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। খাস কলকাতায় পারদ ছুঁতে পারে ১২ ডিগ্রিতে। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর পর দল ছাড়তে তৈরি আরও দুই মন্ত্রী? আর জেলায় দশের নীচে নামবে পারদ। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি উপরে ১৭.২ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি উপরে ২৭.৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব না থাকায় উত্তর পশ্চিম ভারতে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামবে। মধ্য ভারতে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামার পূর্বাভাস।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

শুভেন্দুর পর দল ছাড়তে তৈরি আরও দুই মন্ত্রী?

শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার দল ছাড়তে চলেছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রে খবর, দুই মন্ত্রী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। গুসকরার এক প্রবীণ তৃণমূল নেতার এমনটাই দাবি। আরও পড়ুন ঃ এবার বেসুরো তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দুই মন্ত্রী বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে শুভেন্দুবাবুর জন্য অপেক্ষা করছেন বলে খবর। অসমর্থিত সূত্রের খবর, দুজনেই দক্ষিণবঙ্গের।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
রাজ্য

এবার 'বেসুরো' তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল

এবার বেসুরো বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। তিনি বলেন, দল এই বিপদের মুহূর্তে একজোট হচ্ছে না। খোকন দাস, জিতেন্দ্র তিওয়ারি বোমা ফাটিয়েছেন। এরা সবাই এক নম্বর সৈনিক। দলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে বাধ্য হয়ে সবাই বোমা ফাটাচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন,দলের মধ্যে যারা তোলাবাজ, যারা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে তারাই দলে ভাল পদ পাচ্ছে। এটা নিয়েই তৃণমূলের যাঁরা প্রকৃত কর্মী তাঁদের ক্ষোভ বাড়ছে। আরও পড়ুন ঃ জোয়ারে আসে, ভাটায় চলে যায়, নাম না করে বেসুরোদের তোপ মমতার প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে সুনীল মণ্ডল বলেন, ও বাংলার রাজনীতি নিয়ে কি বোঝে? সাংগঠনিক শক্তি যদি কোনও দলে মজবুত না হয় তাহলে সে দল বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। যে পয়সা নিয়ে রাজনীতি করে সে কি বোঝে। ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে কখনও যুদ্ধ জয় করা যায় না। ওই স্তাবকেরা কথা বলবে, আদেশ দেবে সেটা মেনে নেব না। ওর থেকে আমাদের লেখাপড়া ও রাজনৈতিক শিক্ষা বেশি। এইভাবে দল চলতে পারে না। প্রয়োজনে দল ছাড়ারও হুমকি দেন তিনি। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, শুভেন্দুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয়। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। সুনীল মণ্ডল দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরেই বুধবার সকালে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর ছবি দিয়ে পোস্টার পড়েছে কাঁকসা থানার সামনে এবং তাঁর বাড়ির আশেপাশে।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
রাজ্য

জোয়ারে আসে, ভাটায় চলে যায়, নাম না করে বেসুরোদের তোপ মমতার

এবার কোচবিহারে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী-সহ দল বিরোধীদের নেতাদের উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কোচবিহারে দলীয় জনসভার মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, একটা, দুটো নেতা আছে যারা জোয়ারে আসে, ভাটায় চলে যায়। যারা প্রথম থেকে দলে ছিলেন তাঁরা দলের সঙ্গেই আছেন। রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে আটকাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নেতাদের বলেছেন নিচু তলার কর্মীদের আরও দায়িত্ব দিতে। আরও পড়ুন ঃ সুব্রত বক্সি-কেষ্টকে ফোন করছে বিজেপি, বিস্ফোরক মমতা উল্লেখ্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন দলের একের পর এক সাংসদ-বিধায়ক। তাঁদের অধিকাংশেরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। এদিন নাম না করে দলের সমস্ত বিক্ষব্ধদের কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, থাকার ইচ্ছা না থাকলে দল থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করে। যারা সারা বছর মানুষের সঙ্গে ছিলেন, দলের সঙ্গে ছিলেন তাঁরা দলেই আছেন। কাকে ভোটে টিকিট দেওয়া হবে না হবে সেটা দল কাজের ভিত্তিতে ঠিক করে। যারা ভালো কাজ করেন তাঁরা গুরুত্ব পাবেন। যারা জানে দল টিকিট দেবে না তাঁরা চলে যাচ্ছে, ভাবছে যদি টাকাটা কমে যায়, যদি জেলে পাঠিয়ে দেয়, তাই বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছে। কিন্তু আমরা আদর্শ বদলাই না। আদর্শ বদলানো যায় না। কাপড় জামা বদলানো যায়।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
রাজ্য

সুব্রত বক্সি-কেষ্টকে ফোন করছে বিজেপি, বিস্ফোরক মমতা

কোচবিহারে দলীয় জনসভার মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সি ও বীরভূমে দলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছেন বিজেপি নেতারা। তাঁর কথায়, বিজেপি কোথায় গেছে বুঝুন। ওদের এতটুকু সৌজন্যতা বোধ নেই। আমার দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে ফোন করেছিল বিজেপির এক নেতা। বলছে, আপনার সঙ্গে কথা আছে, বসতে চাই। কেষ্টকেও ফোন করেছিল দিল্লি থেকে। কেষ্ট আমাকে কাল ফোন করে বলল, দিদি আমাকে বলছে আপনার সঙ্গে বসতে চাই। কেষ্ট বলে দিয়েছে আমি তৃণমূল করি, আপনাদের সঙ্গে বসব কেন? আরও পড়ুন ঃ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বললে চলে যাব , ফের বেসুরো জিতেন্দ্র এদিন জাতীয় সঙ্গীত বদল বিতর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, বিজেপি বলছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনগনমণ বদলে দেবে। জাতীয় সঙ্গীত বদলে দেবে। যেন হাতের মোয়া। ক্ষমতা থাকলে বদলে দেখাক। ওরা রবীন্দ্রনাথকেও জানে না। কবে কোথায় রবিঠাকুরের জন্ম জানে না। বলছে বিশ্বভারতী নাকি রবি ঠাকুরের জন্মস্থান! বুধবার কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানের জনসভা থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে হুঙ্কার ছেড়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, চলে আসুন যুদ্ধ হয়ে যাক, রাজনৈতিক যুদ্ধ। আপনাদের সঙ্গে থাকবে গুণ্ডা, আমাদের সঙ্গে মানুষ। দেখি কারা যেতে। মমতা এদিন দাবি করেন, তিনি রাজবংশী, অলচিকি ভাষা জানেন। এই দুই ভাষায় তিনি কবিতা লিখেছেন।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 141
  • ...
  • 157
  • 158
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

কালনা থানার মৈত্রী কাপ কলঙ্কিত করল কেএসএসএ

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালনা থানার পরিচালনায় শনিবার থেকে শুরু হলো মৈত্রী কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলকে নিয়ে দু-দিনের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো ও ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদিও প্রথম দিনেই এই টুর্নামেন্টে কালির দাগ লাগাল কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা মানিক দাসের ভূমিকা।প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিজাড়া সুহানা একাদশ যথাসময়ে দল নামাতে না পারায় ওয়াকওভার পায় পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি। সময়ানুবর্তিতার উপর জোর দিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য। এরপরেই শুরু হয় চালাকি। পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতিকে দ্বিতীয় ম্যাচের পরিবর্তে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে বিজাড়ার এক কর্তা অনুরোধ করলেও তারা রাজি হয়নি। বিজাড়ার টিম লিস্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া কেএসএসএ-র এক প্রভাবশালী আটকে দেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনিই গিয়ে ওই দলের কয়েকজনকে কেএসএসএ-র হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নেন। যদিও ওই ফুটবলাররা মাঠে নামতেই বেঁকে বসে তৃতীয় ম্যাচে কেএসএসএ কোচিং ক্যাম্পের প্রতিপক্ষ দল মধুপুর মারাং বুরু ক্লাব। শেষ অবধি কালনা থানার আইসির নির্দেশে তিন ফুটবলারকে বসাতে বাধ্য হয় কেএসএসএ। কাহানি মে ট্যুইস্ট এখানেই। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী পরাজিত দলের কাউকে খেলানো যাবে না। এমনকী রবিবারের খেলার যে নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে লেখা আছে, যদি কেউ এমন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে সেই দলকে বহিষ্কার করা হবে। সেটাই যদি হবে, তাহলে যে দল এমন অপরাধ করল সেই দলের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে প্রতিপক্ষ মধুপুরকে জয়ী ঘোষণা করা হলো না সেই প্রশ্ন উঠছে। দর্শক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলতে থাকে।এরপর সেমিফাইনালের আগে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি জানায় যে তিনজনকে আগেই জালিয়াতির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের যেন না নামানো হয়। এই সময় সেই মানিক লোকজন জোগাড় করে আপত্তিকর আচরণ করেন। এমনকী মঞ্চে বসেই। প্রশ্ন হলো, টুর্নামেন্টে একটি দলের কর্তা এহেন আচরণ করেন কীভাবে, তাও পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসে? প্রথমে জালিয়াতি করতে গিয়ে পার পাওয়া, তারপর মানিকের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় রেফারি ম্যানেজ।সেমিফাইনালে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল কেএসএসএ-র। খেলা যখন ১-১, টাইব্রেকারের দিকে ম্যাচ গড়াচ্ছে তখন রেফারি চরম ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যার মাশুল গুনতে হয় সংহতিকে।বল কেএসএসএ-র ফুটবলারের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও কর্নার দেন রেফারি! সংহতি প্রতিবাদ জানালেও রেফারি কর্ণপাত করেননি। সেই মুভ থেকে জয়সূচক গোল পায় টেইন্টেড কেএসএসএ। যা দেখে মাঠে উপস্থিত অন্য রেফারিরাও বলেন ওটি কর্নার ছিল না। কর্নার না হলে গোলটিও হতো না। যে রেফারিরা ম্যাচটি খেলালেন তাঁরা স্থানীয় রেফারি। তাঁরা সংশ্লিষ্ট মানিক দাসকে মানিকদা বলে অভিহিত করছিলেন। অভিযোগ, ওই মানিক কেএসএসএ-তে নিজের থাকার প্রভাব খাটিয়ে রেফারি ম্যানেজ করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল জাজ রাখা হলো না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই টুর্নামেন্ট খেলাতে এআইএফএফের রেফারি জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল থানা। তবে তাঁদের পাওয়া যায়নি। এরপর সব ঠিক করা হয় মানিকের উপস্থিতিতেই। তিনি লটারির সময়েও হাজির ছিলেন। মানিকের এমন জালিয়াতির প্রচেষ্টা ও উদ্ধত আচরণে রুষ্ট অনেকেই।এক ক্লাবের কর্তা থেকে দর্শকদের কয়েকজন বলছিলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে থানা নয়, মানিক সর্বেসর্বা! তিনি থানার কে? যদিও কালনা থানার উপর কোনও ক্ষোভ নেই কারও। পুলিশের টুর্নামেন্ট, রেফারির সিদ্ধান্ত শিরোধার্য বলে সবাই সব সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিলেন। কিন্তু আগাগোড়া পক্ষপাতদুষ্টতা কলঙ্কিত করল কালনা থানার সাধু উদ্যোগকে। সকলেই বলছিলেন, টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী যে দলের প্রথম ম্যাচেই বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেই দল গায়ের জোরে ফাইনালে, এই বিষয়টি হাস্যকর। ফুটবলের স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান। পুলিশের টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে রুষ্ট অনেকেই। যে মানিকের জন্য কলঙ্কিত হলো এমন দারুণ এক টুর্নামেন্ট, তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয় থানা ও কেএসএসএ-র তরফে সেটাই দেখার। আর কিছু না হলে ফুটবল মহলের কাছে কি সদর্থক বার্তা যাবে? প্রশ্ন থেকেই গেল।

জুলাই ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

খেলার ফাঁকে দিদার হাতের খিচুড়ি-পাঁপড়! বেহালা ফ্রেন্ডসের অনুষ্ঠানে সৌরভের অজানা অধ্যায়

খিচুড়ি-পাঁপড় থেকে ফাইভ স্টারের খাবার। বাংলার ক্রিকেটের উত্তরণকে এভাবেই তুলে ধরলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এক অজানা গল্পের মধ্যে দিয়ে। আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে, বেহালা ফ্রেন্ডসের ৮৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে।সৌরভ বলেন, কলকাতায় রিকশ দেখা যায় ব্রহ্ম সমাজ রোডে। আমার দাদুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বেহালা ফ্রেন্ডসের কর্তাদের সঙ্গে। ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে মামার বাড়ি যেতাম। দেখতাম আমার দিদা নিজের হাতে বড়িশা স্পোর্টিং আর বেহালা ফ্রেন্ডসের ক্রিকেটারদের জন্য রান্না করে পাঠাতেন। আমি যখন বড়িশায় খেলি তখনও দিদা রিকশ করে ডেচকিতে খিচুড়ি, পাঁপড় পাঠাতেন। আর এখন দেখি ইডেনে সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস, বিজলি গ্রিলের খাবার ক্রিকেটারদের জন্য।বেহালা ফ্রেন্ডসের শীর্ষকর্তা তথা সিএবির অবজারভার কমিটির চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত কুমার মল্লিকের প্রশংসা করে সৌরভ বলেন, বেহালা মানেই ফ্রেন্ডস! শ্রীমন্তদা আমার পাড়ার মানুষ, আমরা ভালো বন্ধু। ওঁর জন্যেই আজ এই ক্লাব এই জায়গায় পৌঁছেছে। দ্বিতীয় ডিভিশন চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলেছে। আরও এগিয়ে চলুক।সৌরভের জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার। তবে বুধবারেও এই অনুষ্ঠানে সৌরভকে জন্মদিনের কেক কাটতে হলো। শ্রীমন্ত কুমার মল্লিক মহারাজকে কেক খাওয়ালেন, তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন সৌরভ। এদিন ক্রিকেটারদের সংবর্ধিত করল বেহালা ফ্রেন্ডস। ছিল মনোময় ভট্টাচার্যের মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, সিএবির ট্যুর ও ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাস, আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সিএবির প্রাক্তন ও বর্তমান একাধিক পদাধিকারী।

জুলাই ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লড়াই লর্ডসে, বুমরাহ ফিরছেন ভারতের একাদশে, ইংল্যান্ডের বাজি আর্চার

পাঁচ টেস্টের সিরিজ এখন ১-১। বৃহস্পতিবার থেকে তৃতীয় টেস্ট লর্ডসে। উইকেটে এখনও ঘাস আছে। ফলে প্রথমদিকে পেসাররা ফায়দা আদায় করে নিতে পারবেন। ভারতীয় একাদশে ফিরছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ফলে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে বসতে হবে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কুলদীপ যাদবকে খেলানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর কথায়, পেস সহায়ক উইকেট হলে নিশ্চিতভাবেই পেসার কমানো হবে না। কিন্তু তা না হলে ওয়াশিংটন সুন্দর বা নীতীশ কুমার রেড্ডির জায়গায় কুলদীপকে খেলানো উচিত। যেভাবে বোলাররা এজবাস্টন টেস্টে ২০ উইকেট নিয়েছেন, তাতে ভারতীয় দলের মনোবল তুঙ্গে থাকবে। ইংল্যান্ডে টেস্ট জিততে চারশো রান করতে হবে বলেও জানান মহারাজ।ইংল্যান্ড দলে একটিই পরিবর্তন। জোফ্রা আর্চারকে আনা হলো। দুটি টেস্টে ১১টি শিকার ঝুলিতে পুরে সর্বাধিক উইকেটশিকারী জশ টংকে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণে বসানো হলো। ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকস টস জিতলে ফের রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ নেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।লর্ডসে ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ১৯টি টেস্ট খেলে জিতেছে তিনটিতে, ইংল্যান্ডের জয় ১২টিতে। ভারত ২০১৪ ও ২০২১ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ক্রিকেটের মক্কায়। ২০২১ সালের টেস্টটিতে লোকেশ রাহুল শতরান করেছিলেন, মহম্মদ সিরাজ নেন ৮ উইকেট।

জুলাই ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কয়েক কোটি টাকা নয়ছয়! সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়, ওম্বুডসম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ

ফের বিতর্কে সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস। যাঁর কথায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ম্যাচ গড়াপেটা-সহ নানা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হন সিএবির এই যুগ্ম সচিব। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির গুরুতর অভিযোগ তুলে সিএবিকে চিঠি পাঠাল আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। এমনকী সিএবির ওম্বুডসম্যানের কাছেও জমা পড়ল অভিযোগ, আর্জি জানানো হলো তদন্ত শুরুর। সবমিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।গত এপ্রিল মাসে সিএবিতে চিঠিটি পাঠিয়েছে আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। যার প্রতিলিপি আমাদের হাতে এসেছে। কী অভিযোগ? দেখে নেওয়া যাক। আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের তরফে চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে সচিন ধন্দগের (Sachin Dhondge)। অভিযোগ, এই সংস্থার থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছেন দেবব্রত। বিনিময়ে তিনি আশ্বাস দেন, আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস সিএবি স্বীকৃত ক্লাবের মর্যাদা পাবে। সংস্থাটি ভেবেছিল এর ফলে শিক্ষার্থীরা সিএবি অনুমোদিত বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাবেন এবং মিলবে যথাযথ স্বীকৃতি।যদিও দুই বছর পেরিয়ে গেলেও দেবব্রত দাস প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। এমনকী এই সময়কালে সংস্থার তরফে দেবব্রত দাসকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি, মেসেজের উত্তর দেননি। ফলে বিশ্বাসভঙ্গের পাশাপাশি দেবব্রত দাস নিজের পদের অপব্যবহার করেছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ। সিএবির মতো প্রতিষ্ঠানকে এমন কেলেঙ্কারিতে যেভাবে জড়ানোর চেষ্টা হলো তাতে বিস্মিত আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস।সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠিতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালানোর পাশাপাশি চার লক্ষ টাকা তাঁর কাছ থেকে আদায় করে ফেরত দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সংস্থাটি। এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে যথাযথ শৃঙ্খলাজনিত পদক্ষেপ সিএবি করবে এবং ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করবে বলে আশা আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টসের। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে এপ্রিল মাসে। তারপর মাস দুয়েক পেরিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে দেবব্রত দাস ঘুরছেন বলে জানতে পেরেছে সংস্থাটি। এমনকী বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। এর মধ্যেই গত ২ জুলাই সিএবির ওম্বুডসম্যানের কাছে জমা পড়ল চাঞ্চল্যকর একাধিক অভিযোগ। টাউন ক্লাবের সভাপতি বিশাখ ঘোষের তরফে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ, দল নির্বাচনী বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকেন এবং নির্বাচকদের প্রভাবিত করেন বলে দাবি করে দেবব্রত বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। বাংলার বিভিন্ন দলে সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এই টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের নথিও জমা পড়েছে ওম্বুডসম্যানের কাছে।নিজের পদের অপব্যবহার করে বিশেষ করে বছর দেড়েক ধরে দেবব্রত যে অনৈতিক কাজ চালাচ্ছেন, দুর্নীতি করছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন তা টাউন ক্লাব ও সিএবির গরিমায় আঘাত বলে উল্লেখ।টাউন ক্লাবের তরফে আরও অভিযোগ, সৌম্যদীপ মণ্ডল, গীত পুরীর মতো ক্রিকেটারদের দেবব্রত বাধ্য করেছেন টাউন ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য। তাঁদের আশ্বাস দেন টাউনের হয়ে খেললে বাংলা দলে সুযোগ মিলবে। তবে তাঁদের যে অর্থের বিনিময়ে টাউন ক্লাবের হয়ে খেলতে বলা হয়েছিল সেই অর্থ বকেয়া রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার এমন অভিযোগও আছে যে, অনেকের কাছ থেকে দেবব্রত এই আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েছেন যে তাঁদের সিএবি অনুমোদিত ক্লাবে খেলার বন্দোবস্ত করে দেবেন। প্রতারিত হয়ে, বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়ে আর্থিক লেনদেনের কপি-সহ ক্রিকেটার ও অভিভাবকরা অভিযোগ জানিয়েছেন টাউন ক্লাবে।এমনকী টাউন ক্লাবের ক্রিকেটারদের খাবারের বিল তিনি সিএবির ক্যান্টিন বিলে যোগ করেছেন বলে অভিযোগ। সেই বিলগুলিতে দেবব্রত নিজেই স্বাক্ষর করেছেন। এ বিষয়ে ওম্বুডসম্যানের কাছে যথাযথ তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টসের মতো মুর্শিদাবাদের মিলন, কালীঘাট ক্লাবের সমীরণ দাস, রিয়াল এস্টেটের মালিক অমিত গুপ্ত সিএবির যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন সিএবি সভাপতির কাছে। বিষয়টি জানতে পেরেছে টাউন ক্লাবও।একাধারে সিএবির যুগ্ম সচিব, অন্যদিকে টাউন ক্লাবের কর্তা হিসেবে দেবব্রত দাস যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন তাতে তা স্বার্থের সংঘাত বলে দাবি করেছে টাউন ক্লাব। দেবব্রতকে শোকজ করা ও তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত শুরু করে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়েছে টাউন ক্লাবের কাছে। এই অভিযোগ নিয়ে দেবব্রতর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সিএবিতে বার্ষিক সাধারণ সভা তথা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। এই আবহে এমন গুরুতর অভিযোগে শোরগোল বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থায়।

জুলাই ০৮, ২০২৫
দেশ

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, ট্রেনের ধাক্কা স্কুল বাসকে, মৃত দুই, জখম বহু

ট্রেনের ধাক্কা স্কুল বাসে। ট্রেন ও বাসের সংঘর্ষে ২ জন শিক্ষীর্থীর মৃত্য়ু হয়েছে। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর জেলায় রেলক্রসিংয়ে একটি স্কুল ভ্যান ও ট্রেনের ধাক্কায় দুই শিক্ষার্থীর মত্যু হয় এবং চারজন আহত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনটি রেলগেট বন্ধ না করেই যাচ্ছিল। সেই কারণেই সম্ভবত স্কুল বাসটি রেল লাইনে চলে আসে।সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, সকাল ৭.৪৫ মিনিটে ভ্যানটি কুমারপুরমের কৃষ্ণস্বামী বিদ্যানিকেতন সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে শিশুদের নিয়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কুড্ডালোরের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এস জয়াকুমার জানিয়েছেন, ভিল্লুপুরম-মায়িলাদুথুরাই যাত্রীবাহী ট্রেনটি গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়।দুর্ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রী এবং ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে ভ্যানের চালক, দুই শিশু, আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজন স্থানীয় বাসিন্দাও আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি উদ্ধার অভিযানের সময় বৈদ্যুতিক শক খেয়েছিলেন।

জুলাই ০৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এজবাস্টনে ইতিহাস ভারতের, ক্যানসার আক্রান্ত দিদির মুখে হাসি ফোটাতে পেরে তৃপ্ত আকাশ

এজবাস্টনে সকালের বৃষ্টিতে ১০ ওভার কমলেও শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। ম্যাচের সেরা শুভমান গিল ভারতের প্রথম অধিনায়ক যাঁর নেতৃত্বে বার্মিংহামে এই প্রথম টেস্ট জিতল ভারত। আগামী বৃহস্পতিবার শুরু লর্ডস টেস্ট। তার আগে পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত ১-১।দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে ভারতের দরকার ছিল ৭ উইকেট। এদিন আকাশ দীপকে প্রান্ত বদলে আক্রমণে আনেন গিল। তবে তাতে আকাশের অভ্রান্ত নিশানায় বদল আসেনি। অলি পোপকে (২৪) বোল্ড করে দেন। কিছু সময় পর হ্যারি ব্রুককে (২৩) দুরন্ত ডেলিভারিতে লেগ বিফোর। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস (৩৩)।কিছুটা লড়াই চালালেন প্রথম ইনিংসে শতরান তথা সর্বাধিক রান করা জেমি স্মিথ (৮৮)। তিনি আকাশের পঞ্চম শিকার। আকাশের বলে ব্রাইডন কার্স (৩৮)-এর ক্যাচ গিলের হাতে জমা পড়তেই ভারতের ৩৩৬ রানে জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেল ২৭১ রানে। আকাশ ৯৯ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট পেলেন, ম্যাচে ১০ শিকার। এই প্রথম টেস্টে ১০ উইকেট ও ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরলেন মহম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও ওয়াশিংটন সুন্দর। সিরাজ ম্যাচে সাত উইকেট দখলের পাশাপাশি দুরন্ত ক্যাচও ধরলেন। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতেও বড় জয় নিশ্চিতভাবেই গোটা সিরিজে মনোবল বাড়াল গিলদের।ম্যাচের শেষে বাংলার পেসার আকাশ দীপ জানালেন, তাঁর দিদি মাস দুয়েক ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন। এ কথা এতদিন কাউকে বলেননি। এখন দিদি স্থিতিশীল, কিছুটা ভালো। যখন বল হাতে নিচ্ছিলেন তখন বারবার দিদির মুখ মনে পড়ছিল। আকাশ এই পারফরম্যান্স দিদিকেই উৎসর্গ করছেন। আকাশের বিশ্বাস, তাঁর বোলিং দেখে খুশি হয়েছেন দিদি। তাঁর মুখে হাসি ফোটানোই লক্ষ্য। দিদির পাশে সব সময় থাকার বার্তাও দেন আকাশ। এদিকে, ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের দলে নিল গাস অ্যাটকিনসনকে। বোঝা যাচ্ছে, বোলিং বিভাগ জোরদার করতে চান স্টোকসরা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ইংল্যান্ডের চেয়ে ভারতীয় বোলিংকে অনেক শক্তিশালী দেখিয়েছে। অনবদ্য ব্যাটিং পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করেন মহারাজ। গিলদের জয়ে উচ্ছ্বসিত বিরাট কোহলিও।মনোজিৎ মৌলিক

জুলাই ০৬, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal