হাজার বিতর্ক, দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া—কিছুই আটকাতে পারেনি ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। নিজের ঘোষণামতোই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন তিনি। প্রবল ভিড়ের মধ্যে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে ফিতে কেটে শিলান্যাস করেন হুমায়ুন। অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল এলাহি আয়োজন এবং নজিরবিহীন নিরাপত্তা। মদিনা থেকে এসেছেন দুইজন মৌলবী। সকালেই তাঁরা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ কনভয়ে বেলডাঙায় পৌঁছন।
হুমায়ুন আগেই জানিয়েছিলেন, অনুষ্ঠানে প্রায় তিন লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। বিভিন্ন এলাকা—সন্দেশখালি, ক্যানিং ও দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ মাথায় ইট নিয়ে আসেন ভিত্তিপ্রস্তরের জন্য। শিলান্যাস উপলক্ষে বিশাল খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় এক লক্ষ মানুষের জন্য শাহী বিরিয়ানির আয়োজন করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের সাতটি ক্যাটারিং এই দায়িত্ব পেয়েছে।
হুমায়ুন ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির দাবি, ৪০ হাজার অতিথির জন্য আলাদা বিরিয়ানির প্যাকেট তৈরি হয়েছে, স্থানীয় মানুষের জন্য আরও ২০ হাজার প্যাকেট রাখা হয়েছে। শুধু খাবারেই প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। সভামঞ্চ তৈরি ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ব্যয় ৬০–৭০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। ৪০০ অতিথির বসার জন্য ১৫০ ফিট লম্বা মঞ্চ তৈরি হয়েছে, যার খরচই প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
অনুষ্ঠানে প্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। পাশাপাশি ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বিশাল পুলিশি নিরাপত্তা গড়ে তোলা হয়েছে। বেলডাঙা ও রানিনগর থানার মিলিয়ে তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আরও ১৯ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী রাখা হয়েছে। বিকেল চারটার মধ্যে পুরো এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- More Stories On :
- Humayun Kabair
- Babri masjid
- TMC

