বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরপর জুটি ম্যাচে ড্র করে দারুণ চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে গেলে নেপালের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না ভারতীয় দলের সামনে। মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠল ইগর স্টিম্যাকের দল। নেপালকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল। মরণবাঁচন ম্যাচে দেশের মান বাঁচালেন সুনীল ছেত্রি। পাশাপাশি এদিন গোল করে কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে স্পর্শ করলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক।
ভারতের কাছে যেমন এদিন ছিল মরণবাঁচন ম্যাচ, তেমনই সুনীল ছেত্রির কাছে ছিল পেলেকে ছোঁয়ার ম্যাচ। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে পেলে ৭৭ গোল করেছেন। নেপালের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে দেশের জার্সি গায়ে সুনীলের গোল সংখ্যা ছিল ৭৬। ম্যাচের ৮২ মিনিটে নেপালের জালে বল ঢুকিয়ে পেলের পাশে জায়গাআ করে নিলেন সুনীল ছেত্রি।
নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেছিলেন ইগর স্টিম্যাক। তা সত্ত্বেও ভারতের খেলায় খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। প্রথমার্ধে ভারতকে তেমন ছন্দে দেখা যায়নি। বলার মতো একটা মাত্রই সুযোগ পেয়েছিল ইগর স্টিম্যাকের দল। ৩৪ মিনিটে প্রীতম কোটালের কাছ থেকে নেপাল পেনাল্টি বক্সে বল পেয়ে মাইনাস করেন সুরেশ। সুরেশ যখন মাইনাস করেন, সুনীলের সামনে কেউ ছিলেন না। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন সুনীল। প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোল করার সুযোগ পাননি।
দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ছন্নছাড়া ফুটবল। নেপালের লক্ষ্য ছিল ভারতকে কোনও রকমে আটকে দিয়ে ১ পয়েন্ট নিশ্চিত করা। তাহলেই ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই রক্ষণের দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। নেপালের রক্ষণ ভেদ করতে পারছিলেন না সুনীলরা। তার মাঝেই ৫৭ মিনিটে ব্রেন্ডনের কর্ণারে সুবিধাজনক জায়গা থেকে নেপাল গোলকিপারের হাতে হেড করেন মনবীর সিং। ৭৭ মিনিটে আবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ব্রেন্ডনের ফ্রিকিক বক্সের মধ্যে হেড করার চেষ্টা করেন সুনীল ছেত্রি। বল তাঁর মাথার পেছন দিকে লেগে যায় শুভাশিস বোসের কাছে। তাঁর হেড আটকে দেন নেপাল গোলকিপার কিরণ কুমার।
শেষদিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। ৮০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুনীল ছেত্রি। বেশ কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করার পর অবশেষে ৮২ মিনিটে লক্ষ্যভেদ ভারতীয় দলের অধিনায়কের। বাঁদিক থেকে ব্রেন্ডনের সেন্টার ফারুখ চৌধুরি হেডে নামিয়ে দিলে বাঁপায়ের সাইড ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন সুনীল। একই সঙ্গে ভারতের ফাইনালের স্বপ্নও জেগে রইল। ৩ ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট ৫। শেষ ম্যাচ খেলবে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মালদ্বীপের সঙ্গে। জিতলেই ফাইনালে পৌঁছে যাবে ভারত। প্রতিযোগিতায় দেশকে টিকিয়ে রাখতে পেরে খুশি সুনীল ছেত্রি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘গোলের সামনে আমরা বারবার ব্যর্থ হয়েছি। ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে পেরে ভাল লাগছে।’
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পরপর জুটি ম্যাচে ড্র করে দারুণ চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে গেলে নেপালের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না ভারতীয় দলের সামনে। মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠল ইগর স্টিম্যাকের দল। নেপালকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল। মরণবাঁচন ম্যাচে দেশের মান বাঁচালেন সুনীল ছেত্রি। পাশাপাশি এদিন গোল করে কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে স্পর্শ করলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক।
ভারতের কাছে যেমন এদিন ছিল মরণবাঁচন ম্যাচ, তেমনই সুনীল ছেত্রির কাছে ছিল পেলেকে ছোঁয়ার ম্যাচ। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে পেলে ৭৭ গোল করেছেন। নেপালের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে দেশের জার্সি গায়ে সুনীলের গোল সংখ্যা ছিল ৭৬। ম্যাচের ৮২ মিনিটে নেপালের জালে বল ঢুকিয়ে পেলের পাশে জায়গাআ করে নিলেন সুনীল ছেত্রি।
নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেছিলেন ইগর স্টিম্যাক। তা সত্ত্বেও ভারতের খেলায় খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। প্রথমার্ধে ভারতকে তেমন ছন্দে দেখা যায়নি। বলার মতো একটা মাত্রই সুযোগ পেয়েছিল ইগর স্টিম্যাকের দল। ৩৪ মিনিটে প্রীতম কোটালের কাছ থেকে নেপাল পেনাল্টি বক্সে বল পেয়ে মাইনাস করেন সুরেশ। সুরেশ যখন মাইনাস করেন, সুনীলের সামনে কেউ ছিলেন না। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন সুনীল। প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোল করার সুযোগ পাননি।
দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ছন্নছাড়া ফুটবল। নেপালের লক্ষ্য ছিল ভারতকে কোনও রকমে আটকে দিয়ে ১ পয়েন্ট নিশ্চিত করা। তাহলেই ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাবে। তাই রক্ষণের দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। নেপালের রক্ষণ ভেদ করতে পারছিলেন না সুনীলরা। তার মাঝেই ৫৭ মিনিটে ব্রেন্ডনের কর্ণারে সুবিধাজনক জায়গা থেকে নেপাল গোলকিপারের হাতে হেড করেন মনবীর সিং। ৭৭ মিনিটে আবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ব্রেন্ডনের ফ্রিকিক বক্সের মধ্যে হেড করার চেষ্টা করেন সুনীল ছেত্রি। বল তাঁর মাথার পেছন দিকে লেগে যায় শুভাশিস বোসের কাছে। তাঁর হেড আটকে দেন নেপাল গোলকিপার কিরণ কুমার।
শেষদিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। ৮০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুনীল ছেত্রি। বেশ কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করার পর অবশেষে ৮২ মিনিটে লক্ষ্যভেদ ভারতীয় দলের অধিনায়কের। বাঁদিক থেকে ব্রেন্ডনের সেন্টার ফারুখ চৌধুরি হেডে নামিয়ে দিলে বাঁপায়ের সাইড ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন সুনীল। একই সঙ্গে ভারতের ফাইনালের স্বপ্নও জেগে রইল। ৩ ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট ৫। শেষ ম্যাচ খেলবে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মালদ্বীপের সঙ্গে। জিতলেই ফাইনালে পৌঁছে যাবে ভারত। প্রতিযোগিতায় দেশকে টিকিয়ে রাখতে পেরে খুশি সুনীল ছেত্রি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘গোলের সামনে আমরা বারবার ব্যর্থ হয়েছি। ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে পেরে ভাল লাগছে।’
- More Stories On :
- Football
- SAFF Championship
- India
- Nepal
- Sunil Chhetri