গুজরাট টাইটান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচের ফলই প্লে অফ খেলা নিশ্চিত করে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের । তবে লিগ টেবিলে কোন পজিশনে শেষ করে প্লে অফ খেলবে, সেটা নির্ভর করছিল চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচের ওপর। চেন্নাইকে হারালেই ভাল নেট রান রেটের সুবাদে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার সুযোগ ছিল। সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগালেন সঞ্জু স্যামসনরা। চেন্নাইকে ৫ উইকেটে হারিয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল রাজস্থান রয়্যালস। চলতি আইপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে সম্মান বাঁচাতে পারল না ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান রয়্যালসের সামনে বড় রানের টার্গেট খাড়া করতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। জয়ের জন্য লক্ষ্য রেখেছিল ১৫১। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জস বাটলারের রানের দিকে তাকিয়ে ছিল রাজস্থান। কিন্তু চলতি আইপিএলে প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারে এদিন মাত্র ২ রান করে সিমরনজিৎ সিংয়ের বলে মইন আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটেও সেই ধারাবাহিকতার অভাব। সিমরনজিত সিং, মিচেল স্যান্টনারদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারলেন না। ২০ বলে মাত্র ১৫ রান করে তিনি স্যান্টনারের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন। দেবদত্ত পাড়িক্কলও (৩) রান পাননি। তিনি মইন আলির শিকার। রাজস্থানকে টেনে নিয়ে যান যশশ্বী জয়সোয়াল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৪৪ বলে ৫৯ করে প্রশান্ত সোলাঙ্কির বলে আউট হন জয়সোয়াল। দেশ থেকে ফিরে এসে সদ্য বাবা হওয়া হেটমায়ারও (৬) ব্যর্থ। তিনিও সোলাঙ্কির শিকার। ১৬.২ ওভারে ১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান অশ্বিন ও রিয়ান পরাগ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের দরকার ছিল ৭ রান। ২ বল বাকি থাকতে রাজস্থানকে (১৫১/৫) জয় এনে দেন অশ্বিন (২৩ বলে অপরাজিত ৪০) ও রিয়ান পরাগ (১০ বলে অপরাজিত ১০)।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি চেন্নাইয়ের। প্রথম ওভারেই ফিরে যান ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (২)। দলকে টেনে নিয়ে যান মইন আলি। এদিন দারুণভাবে জ্বলে উঠেন। মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ডেভন কনওয়ে (১৪ বলে ১৬), এন জগদীশন (১), অম্বাতি রায়ুডু (৩) রান পাননি। ২৮ বলে ২৬ রান করেন ধোনি। ৫৭ বলে ৯৩ রান করে চেন্নাইকে ১৫০/৬ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন মইন।