কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের তুলনায় ডুরান্ড কাপকে হয়তো বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন মহমেডান স্পোর্টিং কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। না হলে ডুরান্ড কাপে এইরকম দুরন্ত ফুটবল কেন উপহার দেবে সাদাকালো ব্রিগেড? একদিন আগেই কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেড স্পোর্টসের কাছে আটকে গিয়েছিল মহমেডান। শুক্রবার সেই দলই ডুরান্ড কাপে সিআরপিএফ–কে উড়িয়ে দিল ৫–১ ব্যবধানে? মাত্র ১ দিনের ব্যবধানে এইরকম ভোল বদল! ডুরান্ড কাপের গ্রুপ লিগে পরপর ২ ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল মহমেডান। মহমেডানের হয়ে ২টি করে গোল করেন আজহারউদ্দিন ও মার্কাস। একটি গোল ব্রেন্ডনের।
শুক্রবার বেলা ৩টেয় কল্যানী স্টেডিয়ামে ম্যাচ ছিল মহমেডান ও সিআরপিএফ–এর। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও নিজেদের দারুণভাবে মেলে ধরেন মহমেডান ফুটবলাররা। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় সাদাকালো ব্রিগেড। সিআরপিএফ–এর বক্সের বাঁদিকে ঢুকে মাইনাস করেন ফৈজল। বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি আজহারউদ্দিন মল্লিক। এরপরই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় মহমেডান। সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সিআরপিএফ। বেশ চাপে পড়ে যায় মহমেডান রক্ষণ। মনে হচ্ছিল যে কোনও সময় সমতা ফেরাতে পারে সিআরপিএফ। কিন্তু অনভিজ্ঞতার জন্য গোল তুলে নিতে পারেনি।
বিরতিতে কোচ আন্দ্রে চেরনিশভের পেপ টক বদলে দেয় মহমেডানকে। অনেক সতর্কভাবে শুরু করে সাদাকালো ব্রিগেড। সিআরপিএফের আক্রমণ সামলে প্রতি আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে। এইরকম প্রতি আক্রমণ থেকেই ৬৪ মিনিটে ফৈজলের পাস থেকে মার্কাস জোসেফ মহমেডানের হয়ে ব্যবধাআন বাড়ান। ২ মিনিট পর আবার গোল মার্কাস যোশেফের। আজহারউদ্দিনের মাটি ঘেঁসা পাস থেকে ৩–০ করেন। ৮৬ মিনিটে ৪–০ করেন আজহারউদ্দিন মল্লিক। মিনিট তিনেক পর জটলার মধ্যে বল পেয়ে সিআরপিএফের হয়ে ব্যবধান কমান দর্শপ্রীত। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে মহমেডানের হয়ে ৫–১ করেন ব্রেন্ডন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন আজহারউদ্দিন। দলের খেলায় খুশি মহমেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা দুর্দান্ত খেলেছে। এই খেলা ধরে রাখতে পারলে সেমিফাইনালে যেতে সমস্যা হবে না।’
- More Stories On :
- Football
- Durand Cup
- Mohammedan Sporting