নাসরীন সুলতানা
কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচে খেলার সময় পায়ে চোট পেয়েছিলেন। তাঁর পা দিয়ে রক্ত বার হচ্ছিল। সেই অবস্থাতেও মাঠ ছেড়ে উঠে যাননি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ফাইনালে তুলে মাঠ ছেড়েছিলেন। ফাইনাল খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। স্বপ্নপূরণের ম্যাচে নিজেকে দুরে সরিয়ে রাখতে পারেননি লিওনেল মেসি। চোট নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। ম্যাচের পর আসল সত্যটা সামনে নিয়ে এসেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি।
ব্রাজিলের বিরুদ্ধে জয়ের পর স্ক্যালোনি বলেন, ‘মেসি পুরোপুরি ফিট ছিল না। তা সত্ত্বেও দলের কথা ভেবে মাঠে নেমেছে। ওকে ছাড়া আমাদের মাঠে নামা সম্ভব ছিল না। মেসিও ফাইনাল খেলার জন্য মুখিয়ে ছিল। কোপা আমেরিকার ফাইনালে মেসি যেভাবে খেলেছে, পুরোটা আপনারা জানলে ওকে আরও বেশি ভালবাসবেন। ও এমন একজন ফুটবলার পুরোপুরি ফিট না থাকলেও ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়।’ তবে মেসির কোথায় চোট রয়েছে, তা অবশ্য খোলসা করে বলেননি আর্জেন্টিনা কোচ।
গ্রুপ লিগ থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছেন মেসি। নিজে গোল করেছেন, অনেকগুলি গোল অ্যাসিস্ট করেছেন। ফাইনালে অবশ্য গোল পাননি। দুটি সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি। তবে ডি মারিয়ার গোলে স্বপ্নপূরণ হয়েছে। স্ক্যালোনি আরও বলেন, ‘মেসি কখনও হাল ছাড়েনি বলেই আজ সফল হয়েছে। সবাই জানে, দেশের হয়ে ট্রফি জেতা ওর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটাই করে দেখিয়েছে। আমাদের সম্পর্ক কোচ ও অধিনায়কের সম্পর্কের ঊর্ধ্বে, অনেকটা বন্ধুর মতো।’
ব্রাজিলের বিরুদ্ধে কোপার ফাইনালকে নিজের ফাইনাল হিসেবে দেখেছিলেন মেসি। সেই কথাই জানিয়েছেন সতীর্থ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ম্যাচের পর জয়ের নায়ক ডি মারিয়া বলেন, ‘মেসি আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। আমিও ওকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ম্যাচের আগে আমাকে বলেছিল এই ফাইনালটা ওর হতে চলেছে। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পেরে আমি খুশি। আমার স্ত্রী–সন্তানরা, বাবা–মা মাঠে হাজির ছিল। ওদের জন্য খুশি। যারা আমাদের সমর্থন করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।’