প্রথম দু’ম্যাচ জিতে সদস্য–সমর্থকদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল আন্তোনীয় লোপেজ হাবাসের এটিকে মোহনবাগান। তারপরই ছন্দহীন। শেষ ৩ ম্যাচে জয় আসেনি। দুটিতে হার, একটাতে ড্র। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু এফসি–র বিরুদ্ধে ছিল জয়ে ফেরার লড়াই। দু’দুবার এগিয়ে গিয়েও জিততে ব্যর্থ এটিকে মোহনবাগান। দুর্বল রক্ষণের জন্যই ভুগতে হল হাবাসের দলকে। ম্যাচের পল ৩–৩।
জয়ে ফেরার লড়াই ছিল বেঙ্গালুরু এফসি–র কাছেও। ছন্দে না থাকা দলের সেরা স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রিকে বাইরে রেখেই প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু কোচ মার্কো পেজাইউলি। শুরু থেকেই এটিকে মোহনবাগানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ক্লেইটন সিলভারা। কিন্তু তিন কাঠি ভেদ করতে পারেননি। বরং সেটপিস কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান।
ম্যাচের ১৩ ডানদিক থেকে নেওয়া হুগো বোমাসের কর্ণারে বেঙ্গালুরুর ৩ ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে মাথা ছুঁইয়ে সবুজমেরুণকে এগিয়ে দেন শুভাশিস বসু। এই অগ্রগমন অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। মিনিট তিনেক পরেই বক্সের মধ্যে ক্লেইটন সিলভাকে ফাউল করেন লিস্টন কোলাসো। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান ক্লেইটন।
২৬ মিনিটে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন দানিশ ফারুখ। ক্লেইটন সিলভার কর্ণারে হেডে গোল করেন তিনি। এরপর সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে এটিকে মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসতে থাকে। ৩৮ মিনিটে সমতাও ফেরায়। জনি কাউকো মাঝমাঠ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে দেন রয় কৃষ্ণাকে। রয় কৃষ্ণা এগিয়ে গিয়ে বক্সের ঠিক বাইরে ডিফেন্স চেরা থ্রু বাড়ান হুগো বোমাসের উদ্দেশ্যে। বাঁপায়ের দুরন্ত কোনাকুনি শটে ২–২ করেন হুগো বোমাস।
আগের তিনটি ম্যাচেই রক্ষণ সমস্যায় ভুগতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। বেঙ্গালুরু এফসি–র বিরুদ্ধেও প্রীতম কোটাল, তিরিরা ভরসা দিতে পারেননি আন্তোনীয় লোপেজ হাবাসকে। সব ডেড বলেই কেঁপে যাচ্ছিল এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। অপ্রয়োজনে ফাউল করছিলেন দীপক টাংরি, প্রীতম কোটালরা। যার ফলে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছিল। প্রথমার্ধে বারবার এইরকম ঘটনা দেখা যাচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চাপ বাড়ায় এটিকে মোহনবাগান। ৫৮ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন রয় কৃষ্ণা। শুভাশিস বসুকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন প্রিন্স আইবারা। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন রয় কৃষ্ণা। ২৭ নভেম্বর ডার্বি ম্যাচে গোল করেছিলেন। ৩ ম্যাচ পর আবার গোল পেলেন কৃষ্ণা। পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু এফসি। ৭২ মিনিটে সমতা ফেরায়। রোশন নওরেমের দুরন্ত কর্ণারে হেডে মাথা ছুঁইয়ে ৩–৩ করেন প্রিন্স আইবারা। বেঙ্গালুরুর তিনটি গোলই সেটপিস থেকে।
জয়ের জন্য ম্যাচের শেষদিকে মরিয়া হয়ে ওঠে দু’দলই। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি হয়। রয় কৃষ্ণারা যেমন তিন কাঠি ভেদ করতে পারেননি। তেমনই এটিকে মোহনবাগানের জালে বল ঢোকাতে পারেননি সুনীল ছেত্রিরা। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে কোস্তার হেড বারে না লাগলে ১ পয়েন্টও পাওয়া হত না হাবাসের দলের।
- More Stories On :
- ISL
- ATK Mohun Bagan vs Beengaluru FC