কোয়ার্টার ফাইনালের ছাড়পত্র নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। পুল এ-তে কত নম্বর স্থান দখল করে, সেটাই ছিল দেখার। জাপানকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করে টোকিও অলিম্পিকের হকির শেষ আটে ভারত। টানা ৩ ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে গেল।
অলিম্পিকে ভারতের সবচেয়ে বেশি সাফল্য হকিতেই। অথচ ১৯৮০ সালের অলিম্পিকে সোনা জেতার পর আর পদকই আসেনি।একের পর এক অলিম্পিকে শুধুই ব্যর্থতায় হতাশ হতে হয়েছে ভারতীয় হকিকে। এবার মনপ্রীতরা ৪১ বছরের পদকের খরা মেটাতে পারেন কিনা সেদিকেই সকলের নজর।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জয় দিয়ে টোকিও অলিম্পিক অভিযান শুরু করেছিল ভারত। তারপর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-১ ব্যবধানে হার। অনেকেই মনপ্রীতদের নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। তবে স্পেনকে তিন গোলে হারানোর পর শক্তিশালী আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জয় ভারতের জায়গা সুনিশ্চিত করে দেয় অলিম্পিক হকির কোয়ার্টার ফাইনাল।
এদিন প্রথম কোয়ার্টারে ভারত এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ভারতের লিড গিয়ে হয় ২-১। তৃতীয় কোয়ার্টারে ফল ছিল ৩-২। চতুর্থ কোয়ার্টারে হল সবচেয়ে বেশি গোল। এর ফলে ৫-৩ গোলে জিতে পুল এ-র দুইয়ে থেকে শেষ আটে জায়গা পাকা করলেন মনপ্রীতরা।
১৭ ও ৫৬ মিনিটে ম্যাচে জোড়া গোল করেন গুরজন্ত সিং। ১৩ মিনিটে প্রথম গোলটি করেছিলেন হরমনপ্রীত সিং। এ ছাড়া ৩৪ মিনিটে শমশের সিং ও ৫১ মিনিটে নীলকান্ত শর্মাও গোল করে দলের জয়ে অবদান রাখেন।
গ্রুপ পর্যায়ের খেলার শেষে পুল এ-র শীর্ষে রইল অস্ট্রেলিয়া। পাঁচটির মধ্যে চারটিতে জিতে ভারত রইল দুইয়ে। অস্ট্রেলিয়া চারটি ম্যাচে জিতেছে এবং একটি ড্র করেছে। প্রতি পুলে ছটি করে দলের মধ্যে থেকে চারটি করে দল পৌঁছায় কোয়ার্টার ফাইনালে। ভারতের পরের প্রতিপক্ষ অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি।হকিতে ভারত শেষ অলিম্পিক সোনা জিতেছিল ১৯৮০ সালে। ১৯৮৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে পঞ্চম, ১৯৮৮-র সিওল অলিম্পিকে ষষ্ঠ, ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা অলিম্পিকে সপ্তম, ১৯৯৬ সালের আটলান্টা অলিম্পিকে ভারত অষ্টম স্থানে শেষ করেছিল হকিতে। ২০০০ সালে সিডনি ও ২০০৪ সালের এথেন্স অলিম্পিকে ভারত হকিতে ছিল সপ্তম স্থানে। ২০০৮ সালে অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনই করতে পারেনি। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে দ্বাদশ ও ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে ভারতকে অষ্টম স্থানে থেকেই অভিযান শেষ করতে হয়েছিল।