আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহর ভাই রোহুউল্লাহ সালেহকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তালিবানরা। সূত্র জানিয়েছে, পঞ্জশীরে তালিবানের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার পঞ্জশীর উপত্যকায় তাঁর দেহ তালিবানরাই উদ্ধার করেছে বলে খবর। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি, প্রথমে রোহুউল্লাহর উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপর নৃশংসভাবে মেরে ফেলা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ সিআরপিএফ–কে উড়িয়ে ডুরান্ডের নক আউটে মহমেডান
পঞ্জশীরে সম্পূর্ণ দখল নেওয়ার দাবিতে অবশ্য এখনও অনড় রয়েছে তালিবান। তবে বারবারই নর্দান অ্যালায়েন্সের প্রতিরোধ বাহিনী তালিবদের সেই দাবি অস্বীকার করে এসেছে। ফলে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এখনও অব্যাহত রয়েছে পঞ্জশীরে। আপাতত সেই ভুখণ্ডেই আশ্রয় নিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ। তবে এরই মধ্যে খবর এসেছে, আফগান বিরোধী প্রতিবাদী ফৌজের প্রধান আহমেহ মাসুদ নাকি আমরুল্লাহ সালেহর সঙ্গে তাজিকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছেন। তালিবান পঞ্জশীরে দখল নেওয়ার পর থেকে এমনই খবর রটে গিয়ে আফগানিস্তানে। তবে তাজিকিস্তানের পক্ষ থেকে এমন খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সালেহ ও তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। তালিবানের দাবি, তারা আমরুল্লা সালেহর গোপন ডেরার লাইব্রেরি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। সেখানেই লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন রুহুল্লা সালেহ। আহমেদ মাসুদের একটি অস্ত্রাগারও দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জেহাদিরা। বলে রাখা ভাল, প্রায় মাসখানেকের লড়াইয়ের পর গত সোমবার বা ৬ সেপ্টেম্বর পঞ্জশির দখল করার কথা ঘোষণা করে তালিবান। শুধু তাই নয়, তালিবানের দাবি, পঞ্জশিরে প্রতিরোধ বাহিনীর অন্যতম নেতা আহমেদ মাসুদের বাড়িরও দখল নিয়েছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিও ভাইরাল হয়েছে। তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ দাবি করে, 'আফগানিস্তানের শেষ প্রদেশ হিসাবে পঞ্জশির এখন আমাদের দখলে। গোটা আফগানিস্তানেরই দখল নিয়েছে তালিবান।'
- More Stories On :
- Taliban
- Panjshir
- Ex president Amirullah Saleh's brother
- Brutally killed