পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের পক্ষ থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ উপহার “ইয়ং কলকাতা বোট লাইব্রেরি”
১১১
“ডিজিটাল মাধ্যম”-এ পড়াশোনা, গান শোনা সহ দৈনন্দিন অভ্যাস যে ভাবে মানব সভ্যতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে জেঁকে বসেছে, বই পড়াটা যেন আজ এক বিলাসিতা । পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের যৌথ উদ্দ্যোগ যেন সেই নেশাটাকে জাগিয়ে তোলার জন্য এক অভুতপূর্ব প্রয়াস নিলো । নিগমের পক্ষ থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ উপহার শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক জন্য উত্সর্গীকৃত “কলকাতা বোট লাইব্রেরি” এটি ভাসমান লাইব্রেরি। জলে নৌকা বিহার করতে করতে বই পড়ার আনন্দ।
২১১
এটি ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (ডাব্লুবিটিসি) এবং “এ পি জে আনন্দ শিশু পাঠাগার” যৌথ উদ্দ্যোগ
৩১১
সফরের দিন ও সময়ঃ সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত, সকাল ১১ টা, বেলা ১টা ১৫ ও বিকাল ৩টা ৩০,
৪১১
সংগীত ও মূল্যের বিনিময়ে মিষ্টান্ন, স্ন্যাকস, চা, কফি ও ঠাণ্ডা পানীয় পাওয়া যাবে।
৫১১
পাঠকদের জন্য ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় প্রায় ৫০০টি বই আপাতত এই বোট লাইব্রেরী তে পাওয়া যাবে।
৬১১
বিনামূল্যে ওয়াইফাই ইন্টারনেট পরিসেবা।
৭১১
ভ্রমনের জন্য মূল্যঃ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১০০ টাকা (১৮ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য), বাচ্চাদের ৫০ টাকা (অনুর্ধ ১৮ বছর বয়সীদের জন্য)
৮১১
স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সম্পূর্ণ নৌকা লাইব্রেরী-র এক ট্রিপের জন্য চার্জ ৪০০০ টাকা ।
৯১১
সফর শুরুঃ ২৭ শে জানুয়ারী,২০২১ থেকে
১০১১
হুগলি নদীতে (গঙ্গা নদী) ভাসমান অবস্থায় পাঠকরা নিজেদের পছন্দসই বই বাছাই করে পড়তে পাড়বেন।
১১১১
সকলের মনোরঞ্জনের জন্য নৌকা লাইব্রেরীটিতে দীর্ঘকালীন অনুষ্ঠান চলবে, যেমন: গল্প বলা, নাটকীয় পাঠ, কবিতা পরিবেশন, নতুন বইয়ের উদ্বোধন, সংগীত এবং আরও অনেক বিষয়।
ইংরাজির ১৭৫৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক হরিনারায়ন মূখোপাধ্যায় তৎকালীন পূর্ব-বর্ধমান জেলার কালনা মহুকুমার ভবানন্দপুর গ্রামে শুরু করলেন পারিবারিক দুর্গা পূজোর। সেই সময় ভবানন্দপুর গ্রামের পাশাপাশি বিস্তীর্ণ এলাকায় দুর্গা পূজোর কোনও চল ছিলোনা। সেই হিসাবে ওই অঞ্চলে হরিনারায়ন মূখোপাধ্যায়-ই দুর্গা পূজোর প্রবর্তক। কালনা থেকে প্রায় ৬ কি.মি. দূরে অবস্থিত ভবনন্দাপুর গ্রাম। রেলপথে 'বর্ধমান-হাওড়া' মেন লাইনের বৈঁচি স্টেশন ও 'কাটোয়া-হাওড়া' লাইনের কালনা স্টেশন থেকে নেমে এই গ্রাম যাওয়া এক প্রকার দূর্গমই ছিলো। যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিলো গরুর গাড়ি।
নান্দনিক উদ্যোগে, পূর্ব রেল ব্যারাকপুর স্টেশনের চারপাশের বাইরের দেওয়ালগুলিতে রঙিন চিত্রকর্মের এক বর্ণিল সমারোহে সাজানোর আয়োজন করে এক বর্ণময় যাত্রার পথে এগিয়ে চলেছে। শুধুই রেল স্টেশনের সঙ্গে এই শহরের সংযোগ আরও সুদৃঢ় করা নয়, এটি হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত এই মনোরম উপশহরের সমগ্র অঞ্চলের নান্দনিক মূল্য বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।