স্মৃতির ধুলো উড়িয়ে খুঁজে পাওয়া
কিছু মুহুর্ত, আজও সোনার চেয়ে দামী।
কোথায় হারিয়ে গেল সেই সোনাঝড়া
দিন, শুধু জানেন অন্তর্যামী।
পৌষ সংক্রান্তির পিঠেপুলির রেশ কাটতে
না কাটতেই, মিশন ‘দেবী সরস্বতী’;
চাঁদা তোলা, কবিতা মুখস্থ, নাটকের মহড়া,
এতেই অর্ধেক প্রসন্ন হতেন দেবী বিদ্যাবতী।
কুল না খেয়ে, উপোস থেকে,
পুরুতের সঙ্গে, ‘কজ্জল পুরিত’, ব্যস;
এরপর হোমের ফোঁটা কপালে ঘষে,
ষোলোআনা দিয়ে হেটমুণ্ড, টেনশন শেষ।
পুরুতের আঙুল ধরে ‘অ’ লিখছে ছোট্ট বাবাই,
মণ্ডপ সেজেছে শিউলির হাতের আলপনায়।
আর পাঁচ বছরের ছোট্ট তিতলির বিড়ম্বনা
ষোলো ফুটের কাপড় সামলানোই মহা দায়।
হলুদ গাঁদার ভীড়ে, অতি চুপিসারে,
শীতের বিদায়ঘন্টা নিঃশব্দে চলেছে বেজে;
একরাশ খোলাচুলে, বাসন্তী শাড়ীতে,
স্মিতহাস্যে বসন্ত এসেছে সেজে।
সেদিনের স্নিগ্ধ চাহনিতে, ঝাপসা হৃদয়
পেয়েছিল অদম্য প্রাণের স্পন্দন;
বেজেছিল বীণা, রেঙেছিল মন পলাশের সাথে
এক অনন্য অনুভূতি আবিষ্ট করেছিল মন।
মন আজও খুঁজে ফেরে ফেলে আসা দিন,
ভাবে সেদিনের কথা, করে আঁখি বন্ধ,
এক চিলতে মিঠে দখিণা বাতাস
বয়ে নিয়ে আসে, ছেড়ে আসা স্কুলের গন্ধ।
আজও অশোক-পলাশ মেশে গোধুলিতে,
দিগন্তে গোলাপী আভা, তবু রাঙে না মন।
চেতনার আকাশ ঢেকেছে উদাসী মেঘ,
তাই শুধু মুঠো ফোনে বন্দী জীবন।
কবিঃ দীপক কুমার মণ্ডল
আরও পড়ুনঃ রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো, হাসি নেই প্রতিমা শিল্পীদের মুখে
আরও পড়ুনঃ সত্যিই কি বিড়ালের রাস্তা কাটা অশুভ? এর পিছনে কি আদৌও কোনও বিজ্ঞানসম্মত কারণ আছে? পড়ুন বিস্তারিত
- More Stories On :
- Poem
- Dipak Mondal
- Chara
- Bengali Rhymes
- Saraswati