• ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতি ১২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

রাজ্য

রাজ্য

এটিএমে টাকা ভরার সময় দুষ্কৃতী হামলা

এটিএমে টাকা ভরার সময় দুষ্কৃতী হামলা। বোলেরো গাড়ির চাবি ছিনিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। বুধবার ২৩ সেপ্টেম্বর আসানসোলে ঘটনাটি ঘটে। আসানসোলের ইসলামপুরের বাসিন্দা বছর ৪০-এর মাকসুদ আলম মল্লিক এটিএম-এ টাকা লোড করার এজেন্সিতে কাজ করেন। বুধবার সন্ধ্যায় রিভারসাইডের একটি ব্যাঙ্কের এটিএম-এ একটি গাড়িতে চেপে টাকা লোডিং করতে যান ওই এজেন্সির তিনজন কর্মী। সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ওই এজেন্সির কর্মীদের উপর গুলি চালিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ও বোলেরো গাড়ির চাবি নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। গুলি লাগে মাকসুদের বাম হাতের কনুইতে। হীরাপুর থানার পুলিশ আহত গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহত ব্যক্তির অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
রাজ্য

অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য

অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল অন্ডালের পড়াসকোল কোলিয়ারি এলাকায়। একটা বুধবার ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই নির্জন জায়গা থেকে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয়রা প্রাতঃকৃত্য করতে গিয়ে এদিন লক্ষ্য করেন এক ব্যক্তির দেহ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মুখে আঘাত থাকায় চেনার মতো অবস্থা ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় অন্ডাল থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ছ থেকে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। তবে মৃত ব্যক্তি এলাকার নন বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল থেকে একটি বাঁশ উদ্ধার হয়েছে, সেটি দিয়ে বছর ৪৬-এর ওই ব্যক্তিকে মারা হয় বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। ঘটনার কিনারা করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
রাজ্য

শিশুমৃত্যুর অভিযোগে তুলকালাম কালনা হাসপাতালে, চিকিৎসক, নার্স নিগ্রহে গ্রেফতার ৪

শিশুমৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে সোমবার ২১ সেপ্টেম্বর উত্তেজনা ছড়ায় কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। প্রসূতীর পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনার পর নার্সরা তাঁদের ও চিকিৎসক, স্বাস্থ‌্যকর্মীদের নিগ্রহের পাল্টা অভিযোগ আনেন। হাসপাতালে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে আপাতত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কালনার নিভূজির বিউটি বিবির শ্বশুরবাড়ি নান্দাইয়ে। সন্তানসম্ভবা অবস্থায় তিনি বাপের বাড়িতে ছিলেন। প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় ভর্তি করা হয় কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তাঁর নিকটাত্মীয় খাদেম শেখের অভিযোগ, রাতভর বিউটির কোনও চিকিৎসা হয়নি। অন্যত্র নিয়ে যেতে চাইলে ছাড়তে রাজি হয়নি হাসপাতাল, উল্টে দুর্ব্যবহার করেন নার্সরা, অভিযোগ এমনই। সোমবার বেলা ১টা নাগাদ পরিবারকে জানানো হয়, বিউটির সন্তান মারা গিয়েছে। নার্সদের অভিযোগ, এরপর বিউটির পরিবার ও ঘনিষ্ঠ লোকজনরা আচমকা হাসপাতালের পাঁচ তলায় উঠে গিয়ে নার্স, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করে তাণ্ডব চালাতে থাকে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও ছিল না বলে অভিযোগ। এরপর দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে নার্সরা কালনার হাসপাতাল সুপার ডা. কৃষ্ণচন্দ্র বরাইকে ঘেরাও করে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন। সুপার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, প্রসূতীর শারীরিক জটিলতা ছিল। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তবে সিজার করেও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। প্রসূতীর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের নিরাপত্তাও বাড়ানোর আবেদন করেছি। এরপর থেকে আরও বেশি পুলিশ থাকবে বলে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে যান কালনার এসডিপিও, ওসি-সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। হাসপাতালে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে চলছে তল্লাশি। কোনও অভিযুক্তকে ছাড়া হবে না, পুলিশের এমন আশ্বাস পেয়ে দুপুর থেকে চলতে থাকা আংশিক কর্মবিরতি বিকেলে উঠে যায়‌। কর্মবিরতির ফলে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার। ছবি ও সংবাদ: মোহন সাহা

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

এক মাসের বেশি অন্ধকারে ডুবে গ্রাম!

১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি থেকে শুরু করে উন্নয়নের জোয়ারের তালিকা! সব যেন পরিহাস মনে হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামে। ৩৫ দিনের বেশি হয়ে গেল, বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়ছে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মুরাগাছা গ্রামের বৈষ্ণবপাড়া এলাকা। একে প্রচণ্ড গরম, সেই সঙ্গে সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা গ্রাম। জীবন ওষ্ঠাগত স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিছু মানুষ জেনারেটার ভাড়া নিয়ে গত দশ দিন ধরে বাড়িতে জ্বালিয়েছেন লাইট, চলছে পাখা। কিন্তু অধিকাংশ পরিবারের জেনারেটর ভাড়া করার সামর্থ্য নেই। দরিদ্র পরিবারগুলির তাই লণ্ঠন ভরসা। বাড়িতে ঘুরছে না ফ্যান, জ্বলছে না আলো। কালেখাতলা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বৈষ্ণবপাড়ার বাসিন্দারা বহুবার বিদ্যুৎ দফতরে আবেদন-নিবেদন করেছেন। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। পূর্বস্থলীর বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার ইন্দ্রনীল দেবনাথ ফোনে জানালেন, ওই এলাকায় বিদ্যুতের একটি সমস্যা রয়েছে। খুব শিগগির ওই এলাকায় নতুন ট্রান্সফর্মার বসানো হবে। এদিকে, ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ না থাকায় গ্রামের এক বৃদ্ধার গরমে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। অবিলম্বে গ্রামে ফিরুক বিদ্যুৎ, কাতর আবেদন ভুক্তভোগীদের।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

রাতের  মঙ্গলাহাটে দেখা মিলল না ক্রেতার

একদমই জমল না গভীর রাতের হাট। বিক্রেতারা সারা রাত দোকান খুলে পশরা সাজিয়ে রাখলেও দেখা মিলল না ক্রেতার। ৬ মাস বন্ধ থাকার পরে শনিবার রাতে মঙ্গলাহাটের এমনই হাল ছিলো বলে জানান হাটের দোকানদাররা। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির জেরে গত ২৪মার্চ থেকে শুরু হয় দেশ ব্যাপী লকডাউন। সেই সময় থেকেই বন্ধ হয়ে যায় মঙ্গলাহাট। হাট বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন প্রায় ৬০-৭০ হাজার ব্যবসায়ী। আনলক পর্ব শুরু হয় ১লা জুন। সেই সময় থেকেই বারেবারে হাট চালু করার জন্য ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়ে আসছিলেন। তারপরে হাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। আগের মত সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার দুদিনের বদলে শনিবার একদিন এবং দিনের বদলে সারারাত হাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয় হাওড়া জেলা প্রশাসন। মূলত করোনা সংক্রমণ রূখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। যদিও গভীর রাতে কিভাবে ক্রেতারা হাটে আসবেন সেই প্রশ্ন ওঠে। শুধু তাই নয় রাত্রিবেলায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হাটের ব্যাবসায়ীদের একাংশ। শনিবার রাতে হাটের ১১টি ভবনের ভেতরে থাকা দোকান মালিকরা করোনা বিধি মেনে দোকান খুললেও দেখা মেলেনি ক্রেতাদের। পশ্চিমবঙ্গ বস্ত্র ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি কামাক্ষা সাহার কথায়, প্রথম দিনের হাট একদম ফ্লপ। গভীর রাতের এই হাটে সব দোকানদাররা যেমন আসতে পারেননি, তেমনই দেখা মেলেনি ক্রেতাদেরও। তাঁরা আগামী দুই সপ্তাহ দেখার পরে বিষয়টি নিয়ে আবার প্রশাসনের কাছে যাবেন। এর আগেও একদিন গভীর রাতের বদলে শনিবার ও রবিবার সকালে হাট বসতে দেওয়ার আর্জি জানান মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

রাতের  মঙ্গলাহাটে দেখা মিলল না ক্রেতার

একদমই জমল না গভীর রাতের হাট। বিক্রেতারা সারা রাত দোকান খুলে পশরা সাজিয়ে রাখলেও দেখা মিলল না ক্রেতার। ৬ মাস বন্ধ থাকার পরে শনিবার রাতে মঙ্গলাহাটের এমনই হাল ছিলো বলে জানান হাটের দোকানদাররা। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির জেরে গত ২৪মার্চ থেকে শুরু হয় দেশ ব্যাপী লকডাউন। সেই সময় থেকেই বন্ধ হয়ে যায় মঙ্গলাহাট।  হাট বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন প্রায় ৬০-৭০ হাজার ব্যবসায়ী। আনলক পর্ব শুরু হয় ১লা জুন। সেই সময় থেকেই বারেবারে হাট চালু করার জন্য ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে আর্জি জানিয়ে আসছিলেন। তারপরে হাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। আগের মত সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার দুদিনের বদলে শনিবার একদিন এবং দিনের বদলে সারারাত হাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। মূলত করোনা সংক্রমণ রূখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। যদিও গভীর রাতে কিভাবে ক্রেতারা হাটে আসবেন সেই প্রশ্ন ওঠে। শুধু তাই নয় রাত্রিবেলায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হাটের ব্যাবসায়ীদের একাংশ। শনিবার রাতে হাটের ১১টি ভবনের ভেতরে থাকা দোকান মালিকরা করোনা বিধি মেনে  দোকান খুললেও দেখা মেলেনি ক্রেতাদের।  পশ্চিমবঙ্গ বস্ত্র ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি কামাক্ষা সাহার  কথায়,  প্রথম দিনের হাট একদম ফ্লপ। গভীর রাতের এই হাটে সব দোকানদাররা যেমন আসতে পারেননি,  তেমনই দেখা মেলেনি ক্রেতাদেরও। তাঁরা আগামী দুই সপ্তাহ দেখার পরে বিষয়টি নিয়ে আবার প্রশাসনের কাছে যাবেন। এর আগেও একদিন গভীর রাতের বদলে শনিবার ও রবিবার সকালে হাট বসতে দেওয়ার আর্জি জানান মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

উদ্বোধনের আগেই গঙ্গাযাত্রা নির্মীয়মান বিশ্রামগৃহের

নির্মীয়মান বিশ্রাম গৃহের ভেঙে পড়ল গঙ্গায়। এ যেন একেবারে গঙ্গাযাত্রা। সাঁকরাইলের মাণিকপুর ফাঁড়ির সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হীরাপুরে গঙ্গার পাড়ে থাকা শ্মশানে শ্মশানযাত্রীদের জন্য নির্মীয়মান একটি বিশ্রামাগার এদিন ভেঙ্গে পড়ে নদীতে। রবিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জায়গাটিতে গঙ্গার পাড়ে ইঁট দিয়ে তৈরি গার্ডওয়াল রয়েছে বহু বছর আগে থেকেই। সেই গার্ডওয়ালের ভিতরে তৈরি করা হচ্ছিল এই বিশ্রামগৃহটি। জেলা ও ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের বৈতরণী প্রকল্পের টাকায় এই ভবনটি গড়া হচ্ছিল শ্মশানযাত্রীদের বিশ্রামের জন্য। রবিবার সকালে নদীগর্ভে রীতিমতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে নীল-সাদা রঙের একতলা বাড়িটি। বাড়িটি ধ্বসে পড়ে গঙ্গাবক্ষে। যদিও এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি বা জখমের ঘটনা ঘটেনি। মাস ছয়েক আগে এই ভবননি নির্মানের কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে ছিল। কয়েকদিনের মধ্যে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল বিশ্রামগৃহটির। এদিন সকালে ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি দেখতে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান মৃদুলা বাছার, সাঁকরাইলের বিডিও সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তা। গত কয়েকদিন ধরেই গঙ্গা নদীতে চলছে ভরা কোটাল। তার জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান এলাকার বাসিন্দাদের।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাইলেন মুকুল-পুত্র

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েই বাংলায় ক্ষমতায় আসবে। সেটা বুঝে রাজ্য থেকে জেলাস্তরে অনেকেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে যোগাযোগ করছেন। সেবা সপ্তাহ উদযাপনের শেষ দিনে রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর হুগলির শ্রীরামপুরে এক রক্তদান শিবিরে এসে এমন দাবিই করলেন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সদ্য রাজ্য কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাবদিহি চেয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তোলার আগে তিনি বলুন কেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলো রাজ্য সরকার রূপায়িত করছে না? আগে তার জবাব দিন তারপরে তো বঞ্চনার প্রশ্ন। তিনি বলেন, বিলগ্নীকরণ নিয়েও তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। শিল্প বিলগ্নীকরণ তো নতুন নয়, ২০০৯ সালে কংগ্রেস সরকারের আমলেও বহু শিল্প বিলগ্নীকরণ হয়েছে। আর বিলগ্নীকরণ মানে তো পুরোপুরি বেচে দেওয়া নয়, এটা মানুষকে বুঝতে হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামল বসু-সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

পিছোল মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর

প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় পিছিয়ে গেল মমতার উত্তরবঙ্গ সফর। এর আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ঝড় বৃষ্টির আভাসের কারণে আপাতত পিছিয়ে যাচ্ছে মমতার ওই সফর। জানা গিয়েছে, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত প্রশাসনিক বৈঠক করা হবে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায়। জেলাশাসক, জেলা পুলিশসুপার, স্বাস্থ্য আধিকারিক, মহকুমাশাসকসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা বৈঠকে হাজির থাকবেন। উন্নয়নের খতিয়ান দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়াও উত্তরবঙ্গের করোনা পরিস্থিতির কি হাল তা নিয়েও তিনি খোঁজখবর নেবেন। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ সফরকালে বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

ভারতে আল-কায়দার সংগঠন বৃদ্ধিতে হাত জেএমবির

২০১৪-র ২ অক্টোবর খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর এবার মুর্শিদাবাদ থেকে ৬ জন আল-কায়দা সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারের ঘটনায় তোলপাড় সারাদেশ। এই সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের নানা ধরনের অস্ত্র, নথি পাওয়া গেছে বলে দাবি এনআইএ-র দাবি। প্রশ্ন উঠেছে পশ্চিমবঙ্গকে কেন বারে বারে বেছে নিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলো? আল-কায়দার এই ভারতীয় শাখাকে সাহায্যই বা কে করছে? এমন নানা প্রশ্ন গোয়েন্দাদের মনে উঁকি মারছে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি জঙ্গিরা যুক্ত ছিল। তা তদন্তে প্রমাণ করেছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণস্থল থেকে সেই সময় যে নথি পাওয়া গিয়েছিল সেখানে লাদেন, আল-কায়দা সংক্রান্ত বেশ কিছু পুস্তিকা মিলেছিল। তখনই প্রথম সন্দেহ দানা বেধেছিল। ইঙ্গিত যে স্পষ্ট ছিল এখন তা দিনের আলোর মত পরিস্কার। শনিবার ভোরে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত সে বিষয়ে নিশ্চিত এনআইএ। খাগড়াগড় বিষ্ফোরণ পরবর্তীতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জেএমবির সদস্যরা বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে বেরিয়েছে। কিন্তু তাদের বেশির ভাগকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল এনআইএ। এক কথায় মনে করা হয়েছিল্ জিএমবি তাদের কার্যকলাপ অনেকটাই গুটিয়ে ফেলেছিল। নজর ঘুরতেই তারা আল-কায়দার হয়ে কাজ করতে শুরু করে। বিস্তার করতে শুরু করল আল কায়দার ভারতীয় শাখা। এমনটাই মনে করছে তদন্তকারীরা। ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল আল-কায়দার ভারতীয় শাখা। কিন্তু কিভাবে বাড়ছে আল-কায়েদার সংগঠন? সূত্রের খবর, জেএমবির সালাউদ্দিন গোষ্ঠী এদেশে আল-কায়েদার সংগঠন বৃদ্ধির প্রধান সহায়ক। সদস্য সংগ্রহ থেকে অস্ত্র পাচার সবেতেই তারা সিদ্ধহস্ত। পরিযায়ী শ্রমিকের ছদ্মবেশে দেশের নানা স্থানে ঘুরে-বেরানো খুব সহজ। সেক্ষেত্রে সন্দেহ থাকে না। এই সুযোগটাকে ভাল ভাবেই কাজে লাগিয়েছে এই জঙ্গিরা। পাকিস্তান থেকে মূলত এই সংগঠন চালানো হয়। মুর্শিদাবাদের এই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অনেকেই কেরলে যান কাজের জন্য। কেরল থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ জনকে। তাদের বাড়িও মুর্শিদাবাদে অর্থাৎ মোট ৯ জন আল-কায়েদা সন্দেহভাজন। জেএমবির এই গোষ্ঠী ভারতীয় আলকায়দার শাখাকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে বলেই জানা যাচ্ছে। সদস্য বাড়ানো, অস্ত্রশস্ত্র প্রশিক্ষণ, অস্ত্র লেনদেন সমস্ত কিছুই সাহায্য করেছে জেএমবি। গোয়েন্দাদের একাংশের ধারণা, জেএমবির একটা অংশ মূলত আল-কায়দার ভারতীয় স্লিপার সেলে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। তারাই এখন আল-কায়দা। নতুন সদস্য সংগ্রহ করা, প্রশিক্ষণ দেওয়া সবই চলতে থাকে জেএমবির হাত ধরেই। ভারতবর্ষে যে সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপ নতুন করে তৈরি করতে চলেছে ঘটনাচক্রে তার উৎস বাংলার মুর্শিদাবাদ।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

হাসপাতালে গোখরো সাপ

হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হলো গোখরো সাপ। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। শনিবার ১৯ সেপ্টেম্বর পূর্বস্থলী ব্লক হাসপাতাল থেকে বিষধর গোখরো সাপ উদ্ধার হওয়ার পর সাপটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেয় ব্লক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিএমওএইচ প্রশান্ত সরকার জানান, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং কোভিড স্যাম্পলিং টেস্টের ঘরের পাশে ভেষজ উদ্যানের পাশ থেকে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই একটি শব্দ আসছিল। টর্চ নিয়ে দেখতে গেলে দেখা যায় বিষধর ওই সাপটিকে। এরপরই বন দফতরকে খবর দেওয়া হলে আজ সকালে আধিকারিকরা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্বস্থলী ব্লক হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

প্রয়াত প্রবীণ সাংবাদিকের স্ত্রী-র হাতে চাকরির নিয়োগপত্র

একটি হিন্দি দৈনিক সংবাদপত্রের প্রয়াত সাংবাদিক সঞ্জীব সিনহার স্ত্রী-র হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। শনিবার ১৯ সেপ্টেম্বর আসানসোলে। কিছুদিন আগে সঞ্জীববাবু করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।পরে ঝাড়খণ্ডের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।সঞ্জীববাবুর স্ত্রী ও দুই সন্তান বর্তমান। এদিন মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, প্রয়াত সাংবাদিক সঞ্জীব সিনহার পরিবারের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জুডিশিয়াল দফতরে চাকরির জয়েনিং লেটার দেওয়া হলো।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

পূর্বস্থলীতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২

পিক আপ ভ্যানের সঙ্গে মারুতির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হলো এক প্রবীণ দম্পতির। শনিবার ১৯ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনাটি ঘটে এসটিকেকে রোডের উপর পূর্বস্থলীর গড়াগাছায়। মৃতরা হলেন নির্মল দেবনাথ (৬৮) ও মলিনা দেবনাথ (৬৫)। তাঁদের বাড়ি কাটোয়ার পানুহাটে। চিকিৎসার জন্য মারুতিতে চেপে নবদ্বীপ যাচ্ছিলেন। তাদের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁরা চিকিৎসার জন্য নবদ্বীপ যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চালক-সহ আহত ২ জন সেখানেই ভর্তি রয়েছেন। ছবি ও সংবাদ: মোহন সাহা

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
রাজ্য

জঙ্গলমহলের বিপন্ন মানুষের ত্রাতা শুভেন্দু অধিকারী

বেলপাহাড়ি ব্লকের এড়গোদা অঞ্চলের জয়পুর গ্রাম। কোনও এক সংস্থার মাধ্যমে এখানকার বাসিন্দা নবকুমার দাসের অসহায় অবস্থার কথা কানে পৌঁছায় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। আর তাতেই মুশকিল আসান। শুনেই ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী। নবকুমার দাস নিজে দৃষ্টিহীন এবং তাঁর দুই মেয়েই জটিল অসুখে ভুগছেন। বড় মেয়ে জয়িতা দাসের ব্রেস্ট টিউমার ও ছোট মেয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। নবকুমারবাবুর স্ত্রী ছোটো এক মুদির দোকান চালান। এই অবস্থায় দুই মেয়ের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে খুবই অসুবিধায় পড়েছেন। জয়িতাকে ১ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে পিজিতে রেফার করা হয়। ৫ তারিখ সেখানে গেলে ফের ১৫ তারিখ আসতে বলা হয়। সেদিন ভর্তি করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে জয়িতার পরিবার। এই পরিস্থিতিতে রাত ১২টা অবধি অপেক্ষা করে কোনও সুরাহা না পেয়ে এই পরিবার যোগাযোগ করে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দুবাবু তাঁর প্রতিনিধি মারফত জয়িতাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন এবং সমস্ত পরীক্ষা যাতে হয় তার সুব্যবস্থা করেন। আশ্বাস দেন ভবিষ্যতেও পাশে থাকার। শুক্রবার ১৮ সেপ্টেম্বর মানবিক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ওই পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন তাঁর প্রতিনিধি মারফত। স্নেহাশিস ভকত-সহ আমরা দাদার অনুগামীরা গিয়ে শুভেন্দুবাবুর পাঠানো টাকা নবকুমার দাসের হাতে তুলে দিয়ে পাশে থাকার বার্তা আরও একবার জানিয়ে এলেন। বিপদে পাশে থাকায় মানবিক মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে এই পরিবার।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

করোনা আবহে মঙ্গলাহাট খুলছে শনিবার

দীর্ঘ টালবাহানার পরে প্রায় ৬মাস পরে খুলতে চলেছে হাওড়ার শতাব্দী প্রাচীন মঙ্গলাহাট। শনিবার রাতে খুলে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলবে মঙ্গলাহাট। করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউনের সময় থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় এই হাট। গত সপ্তাহে হাট খোলার সিদ্ধান্ত জানায় প্রশাসন। নামে মঙ্গলাহাট হলেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শনিবার রাত ৯টা থেকে খুলবে মঙ্গলাহাট। চলবে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। বর্তমানে শুধুমাত্র স্থায়ী দোকানগুলিই খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। হাওড়া ময়দান চত্বর জুড়ে রাস্তার ফুটপাতে বসা খুচরো বিক্রেতা এবং স্টলগুলিকে আপাতত বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শনিবার রাতের মঙ্গলাহাটে কীরকম জনসমাগম হচ্ছে, করোনার স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করে আগামী দিনে ধাপে ধাপে হাটের পুরানো চেহারা ফিরিয়ে আনা হবে। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে আপত্তি জানিয়েছিলেন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। যদিও শুক্রবার তাঁরা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে শনিবার রাতে হাট খোলার সিদ্ধান্ত নেন। হাওড়া হাট সমন্বয় সমিতির সহ সম্পাদক কানাই পোদ্দার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তাঁরা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। আপাতত শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত হাট চালু করে তাঁরা ব্যাবসার পরিস্থিতি দেখবেন। তিনি জানান, এইভাবে আস্তে আস্তে চালু হোক। হাটের ঢোকার গেটে রাখা হবে স্যানিটাইজার। এমনকি ব্যাবসায়ীদের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিতে চিকিৎসক বসানোর কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলাহাটে মোট প্রায় ১১টি বড় বিল্ডিং রয়েছে, যেখান থেকে পাইকারি হারে নানা বস্ত্র বিক্রি করা হয়।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

'জলস্বপ্ন' প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে লক্ষ্যমাত্রা স্থির হুগলির, এই বছরেই ১ লাখ

প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে 'জলস্বপ্ন' প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩ সালের মধ্যে রাজ্যে এই প্রকল্প রূপায়ণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সব সময় বলেন, ভালো কাজের প্রতিযোগিতা চলুক। সেই চ্যালেঞ্জে উদ্বুদ্ধ হয়েই 'জলস্বপ্ন' প্রকল্প নিয়েও তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে হুগলি জেলায়। শুক্রবার ১৮ সেপ্টেম্বর চুঁচুড়ার নতুন প্রশাসনিক ভবনের সর্বশিক্ষা সভাঘর থেকে জেলার এসডিও, বিডিও, জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে‌ করেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি শেখ মেহবুব রহমান, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাশাসক পরে সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরেই এক লক্ষ বাড়িতে 'জলস্বপ্ন' প্রকল্পের মাধ্যমে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এ জন্য কাউকে কোনও আবেদন বা টাকা জমা দিতে হবে না। জেলায় প্রকল্পের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে, আগামী সোমবার থেকে পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে চাহিদা জেনে কীভাবে কাজ করতে হবে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। জেলার জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জেলায় পিএইচই দফতরের ২৫টি প্রকল্পের কাজ চলছে। তার মধ্যে ১৭টি প্রকল্পের কাজ আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এতেও উপকৃত হবেন লক্ষাধিক মানুষ। এ ছাড়া বলাগড়ে গঙ্গার জল পরিশোধন করে পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্পের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পে খরচ হবে ৫২০ কোটি টাকা। নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাজ শুরু হয়ে যাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বলাগড় থেকে পান্ডুয়া অবধি ৭ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। সবমিলিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই এই জেলায় 'জলস্বপ্ন' প্রকল্পের কাজ শেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণ করতে আমরা সকলে বদ্ধপরিকর।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় মারধর ব্যবসায়ীকে

পুলিশ ফাঁড়ির থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তোলাবাজদের তান্ডব।  তোলা দিতে না চাওয়ায় ব্যাবসায়ীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তোলাবাজরা। রেহাই পেলেন না ব্যাবসায়ীকে তোলাবাজদের হাত থেকে বাঁচাতে আসা ওই ব্যাবসায়ীর বাবা। তোলাবাজদের মারে মাথা ফাটল তাঁরও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশ জানলেও কিছুই করেনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিনা  পয়সায় ‘গুটকা’ না দেওয়ায় রড আর লোহার বালা দিয়ে মেরে এক ব্যবসায়ী যুবক ও তাঁর বাবার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল। হাওড়ার চ্যার্টাজিহাটের সাঁতরাগাছি মোড়ে এই ঘটনা ঘটেছে।  প্রায় ১মাস আগেই জগাছায় এক ছাঁট লোহার ব্যবসায়ীর কাছে তোলা না পেয়ে তাকে গুলি করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়।  এবারে বিশ্বকর্মা পূজার রাতে চ্যাটার্জিহাট এলাকায় তোলাবাজদের দাপট দেখা গেলো আবার।  স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে,  রাত্রিবেলায় ভয় দেখিয়ে  স্থানীয় দোকানদারদের ওপর  তোলাবাজি শুরু করেছে এলাকার কিছু দুষ্কৃতী। তোলা না দিলেই মুদিখানার মালিক, স্টেশনারি দোকানদার বা অন্যান্যদের  চড় থাপ্পড় মারছে, এমনকি   খুনের হুমকিও দিচ্ছে ওই দূষ্কৃতিরা।  প্রতিদিন তোলা দিতে দিতে অতিষ্ট এক ব্যবসায়ী যুবক প্রতিবাদ করতেই বৃহস্পতিবার রাতে ওই  ঘটনাটি ঘটে। লোহার রড বের করে স্টেশনারী দোকানের মালিক ওই যুবককে মাথায় আঘাত করে। হাতে পরে থাকা লোহার মোটা বালা দিয়ে বারবার আঘাত করা হয় ওই যুবকের মাথায় ও মুখে। ছেলেকে মারতে দেখে তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বাবা-মা। দুষ্কৃতীরা বাবাকেও মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। তাঁর  মাথাতেও চারটি সেলাই দিতে হয়। মাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে খুনের হুমকি দেয় ওই দূষ্কৃতিরা।  শুক্রবার  আক্রান্ত দোকানদার সঞ্জীব কুমার বলেন, ‘‘ওরা প্রতিদিনই  জিনিসপত্র নিয়ে যায় বিনা পয়সায়। টাকাও চায়,  না দিলে মারধর করে। ওরা আমাকে এমন ভাবে মেরেছে য়ে মাথার দুদিকে ৬টা সেলাই পড়েছে।’’ ওই যুবকের মা মীরাদেবী বলেন, ‘‘চেঁচামেচি শুনে দোকানের সামনে গিয়ে দেখি আমার ছেলেকে দু’জন ছেলে মিলে লোহার রড, হাতের মোটা লোহার বালা দিয়ে মেরেই চলেছে। ওর গেঞ্জি রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আমি তখন ওর বাবাকে ডেকে আনি। কিন্তু ওর বাবাকেও  মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমাকে নোংরা ভাষায় গালিগাজাজ করে।’’  স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,  চক্রবেড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির কাছেই এই ঘটনা ঘটেছে।  প্রায় আধঘন্টা ধরে দুই দূষ্কৃতি তান্ডব চালালেও পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। এলাকার মানুষজনের আরো অভিযোগ,  ফাঁড়ির সামনেই একটি ক্লাবে ওই তোলাবাজদের ওঠাবসা। তাই পুলিশ সব জানলেও কিছু করে না। এলাকার বাসিন্দা প্রবীর বসু বলেন, ‘‘দিনের পর দিন এই তোলাবাজির ঘটনা ঘটছে। সামনে পুলিশের ফাঁড়ি থাকলেও পুলিশ সর্ম্পূণ নিষ্ক্রীয়।’’ এদিকে আক্রান্ত ব্যবসায়ী চ্যাটার্জিহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত একজন দুষ্কৃতীকেও পুলিশ ধরতে পারেনি। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক  বলেন, ‘‘ও তো এমন কিছু ঘটনা নয়। গুটকা কেনা নিয়ে দু’পক্ষের মারপিট হয়েছে। তোলাবাজির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ ওই পুলিশ অফিসারের দাবি, পুলিশের কাছে আগে কোনও ব্যবসায়ী তোলাবাজি, মারধরের অভিযোগ করেননি। করলে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। তাই পুলিশি নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।  তোলাবাজি ও মারধরের লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ বিষয়টিকে  সামান্য মারপিটের ঘটনা বলে দাবি করছে।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

অন্ডালে প্রবল বর্ষণে পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত্যু কিশোরীর

প্রবল বর্ষণে পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত্যু হলো এক কিশোরীর। বৃহস্পতিবার ১৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে অন্ডালের খাঁন্দরা গ্রামের বক্সী পাড়ায়। মৃত কিশোরীর নাম সৌমী মজুমদার, বয়স ১৪। রাত্রি দুটো নাগাদ ভারী বৃষ্টির কারণে পাশের একটি জীর্ণ দেওয়াল ছাদের অ্যাজবেসটসের উপর ভেঙে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় দেওয়াল চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সৌমীর। ঘটনায় আহত হন সোমনাথ মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী শঙ্কিতা মজুমদার। উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তাঁদের নিয়ে আসা হয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

কেশপুরে বোমাবাজি, নাবালক-সহ নিহত ২, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব জোরালো

আবার অশান্ত কেশপুর। রাজ্যে পালাবদলের আগে যে কেশপুর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কেশপুর হবে সিপিআইএমের শেষপুর! সেই কেশপুরেই এবার অস্বস্তিতে শাসক দল। এমনিতেই দলের নতুন জেলা, ব্লক, শহর কমিটি ঘোষণার পরেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমে তো নি, বরং বেড়েইছে। ফলে বিধানসভা ভোটের আগে কেশপুরের ঘটনা তৃণমূলকে আরও চিন্তায় রাখল। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার ১৭ সেপ্টেম্বর। ব্যাপক বোমাবাজিতে অশান্ত হয়ে ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের দামোদরচক। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বোমাবাজি ও গুলিচালনার ঘটনায় এক নাবালক-সহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ৫ জন আহতকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন শেখ নাসির ও ১৪ বছরের শেখ মাজহার। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সেলিমের ভাই স্বর্ণশিল্পী নাসিরের আজ মুম্বাই ফেরার কথা ছিল। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ফলেই এই পরিস্থিতি। তবে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এক সময়ের সিপিআইএমের হার্মাদরাই বিজেপির আশ্রয়ে থেকে এই হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দামোদরচক। লাগাতার বোমার শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতে ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলিচালনার ফলে শেখ মাজহার ও শেখ নাসির গুরুতর জখম হন। জানা গিয়েছে, জখমদের প্রথমে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা ওই দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৃণমূলের দাবি, কেশপুরের ঘটনা জমি-জায়গা নিয়ে পারিবারিক বিবাদের ফল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, হামলাকারীরা সিপিএমের হার্মাদ। তারা কখনও তৃণমূল, কখনও বিজেপির আশ্রয় নেয়। এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। তৃণমূল এতো বড়ো দল যে কে কোথায় মিছিলে হাঁটল তা কারও মনে থাকে না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সূত্রের খবর, কেশপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ঘোষণা নিয়ে দলের অন্দরেই বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। অজিত মাইতি বলেন, ব্লক সভাপতি ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। এসব কোনও বিষয়ই নয়। মৃতরা তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করেছেন জেলা সভাপতি। যদিও নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ লেগেই আছে। নিহতরা প্রাক্তন ব্লক সভাপতি শিবিরের। যেখানে ঘটনা তার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে থানা রয়েছে। বর্তমান ব্লক সভাপতির মদতেই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা বলে অভিযোগ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ইন্তাজ আলি ওরফে ঝন্টু পলাতক। সে তৃণমূল কর্মী, ঘটনার পর শাসক দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। মেদিনীপুরে যে বাড়িতে সে গা ঢাকা দিতে চেয়েছিল সেই বাড়ির মালিক রামুকে পুলিশ আটক করেছে। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তৃণমূলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলে সে পালিয়েছে। নিহতদের বাড়ির কাছেই তার বাড়ি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বিজেপিকে দায়ী করলেও বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, নিহতরা তৃণমূলের। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা তৃণমূলের আদর্শে বিশ্বাসী হতে পারে না। কোন দাদার হাত তাদের মাথার উপর আছে তা তদন্ত করে দেখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে এটাই চাই। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, এই ঘটনার পিছনে বিজেপি নেই। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। তদন্তে তা প্রমাণ হবে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি এলে দেখতে পাবে কেশপুরে কত অস্ত্র মজুত করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে পুলিশও পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ব্যর্থ হয়। অভিজ্ঞ মহলের মতে, শক্ত হাতে না ধরলে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে আগে এমন অশান্তি আরও বাড়তে পারে।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
রাজ্য

রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল

দুপুরের পর থেকে বৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বহু নীচু এলাকা। বৃহস্পতিবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে সারা রাত টানা বৃষ্টির ফলে সমস্ত নালা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে জল ঢুকে পরে বাড়ির দোরগোড়ায়। জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি। মেনগেট বস্তির পাশ দিয়ে বয়ে চলা তামলা নালার জল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে আশেপাশের সমস্ত জনবসতি ডুবিয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ গবাদি পশু নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। শিল্পাঞ্চল, দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন রায়ডাঙাতে ঘরে ঢুকে পড়েছে জল ৷ রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও রকম পদক্ষেপ নেওয়া চোখে পড়েনি। তবে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়েছে। বেলা বাড়লে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে জানা যাবে।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 153
  • 154
  • 155
  • 156
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

স্মার্ট মিটার বসানোর প্রকল্প আদৌ কি পুরো বন্ধ, বড় বিক্ষোভ

অনৈতিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা স্মার্ট মিটার বসানোর প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও অভিযান। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকে এই অভিযান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নেতৃত্ব। পাঁচজনের প্রতিনিধি দল গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয়।রাজ্যে কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার জানান, আমরা ধন্যবাদ জানাব সরকার স্মার্ট মিটার বসানোর প্রকল্প তুলে নিয়েছে। সরকার ভয় পেয়ে তুলেছে না চার পা পিছিয়ে গেল আরও দশ পা এগোনোর জন্য। সামনে নির্বাচনে আছে। কালীগঞ্জের উপনির্বাচন আছে। এখানে ভয় পেয়ে কি সরকার পিছলো এটা আমরা জানতে চাই। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার প্রাইভেট এজেন্সির মাধ্যমে মিটারগুলো সাপ্লাই করছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে রাজ্য সরকার বোঝাপড়া করছেন না কেন? ৫০০০০ অলরেডি পরিবার যাদের জোর করে এই স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে। এই পরিবারগুলোর কি হবে। এই মিটার বন্ধ করার নির্দেশ এসেছে কিন্তু সেটা পার্মানেন্ট কি? এই বিষয়গুলো কেউ জানে। এই পঞ্চাশ হাজার পরিবার কার কাছে যাবে, সরকারের কোন নোটিফিকেশন নেই আবার এটা চালু হবে কিছুদিন পর সেটাও কেউ কিছু বলছে না। ৫০ হাজারের মিটারের কি হবে এটা কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুৎমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারকে বলতে হবে। রাজ্য সরকার দরকার হলে সর্বদলীয় কমিটির মিটিং ডাকুন। তার কারণ সেটা মানুষের ওপর একটা কালো আইন হিসাবে চালানোর চেষ্টা চলছে। যাদের বসালেন এবার খুলবে কে? পুরনো মিটারটা দেবে কে? এগুলো কিন্তু পুরো অস্বচ্ছ। বিষয়টি তাই বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে বলব এগুলোকে ক্লিয়ার করুন। তাই আজকে প্রতি কি প্রতিবাদ হিসেবে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।

জুন ১০, ২০২৫
রাজ্য

চায়ের দোকানে খুন, গ্রেফতার তৃণমূলের উপ-প্রধানের দুই ভাই

পূর্ব আক্রোশ বসত এক ব্যক্তিকে রড দিয়ে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম মোহাম্মদ বাবলু (৪৫)। তাঁর বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার গিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতলাটোলা গ্রামে। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এদিন বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন বাবলু। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী রড দিয়ে আঘাত করে। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জঙ্গি পুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকার একটি বুথে তৃণমূল কম ভোট পায়, তা নিয়ে এলাকায় গন্ডগোল বাধে। সেই গন্ডগোলের জেরে এখনও অনেকেই বাড়ি ছাড়া। পূর্বের আক্রোশ বসে এই হামলা বলে দাবি করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে কংগ্রেস বেশি ভোট পাওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের কিছু মাস্তান তাদের ধমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। খুনের ঘটনায় উপপ্রধানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। বাবলু শেখের খুনের ঘটনায় পুলিস উপপ্রধান কারু শেখের দুই ভাই তানজিল শেখ ও আসগার শেখ ওরফে হারু শেখকে গ্রেপ্তার করে। দুইজনকে এদিন ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়ে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।

জুন ১০, ২০২৫
রাজ্য

মিনি চিটফান্ড! টাকা ডাবলের প্রলোভনে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ

১৩ মাসে টাকা তিন ডবলের বেশি আসার প্রলোভনে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার সাধারণ মানুষ। টাকার দাবিতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে প্রাপকরা। ঘটনাস্থলে গাইঘাটা থানার পুলিশ । উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার পাঁচপোতা এলাকার ইমারত দ্রব্যের ব্যবসায়ী সঞ্জয় বিশ্বাস। তিন বছর আগে এলাকা থেকে আমেরিকান ডলারের মাধ্যমে কেউকে ১৩ মাসে টাকা তিন ডবল তো কেউকে ১৩ মাসে ডবল টাকা দেবেন বলে কয়েক লক্ষ টাকা তোলেন । প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এলাকা থেকে সঞ্জয় প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা তুলেছেন। টাকা প্রাপকদের দাবি ১৩ মাসে টাকা তিন ডবল হবে, প্রতি মাসে তাদেরকে টাকা দেওয়া হবে বলে টাকা নিয়েছিল সঞ্জয়। প্রথম দিকে কিছু টাকা তারা পেয়েছেন। কিন্তু তিন মাস চলার পরেই বন্ধ হয়ে যায় টাকা দেওয়া। তিন বছর ধরে তারা টাকা না পেয়ে আজ সঞ্জয় বিশ্বাসের ইমারত দ্রব্যের দোকানে এসে টাকার দাবি করেন। পরবর্তীতে এই খবর পৌঁছায় গাইঘাটা থানার পুলিশের কাছে । ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় গাইঘাটা থানার পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে সঞ্জয় বিশ্বাসের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সংবাদ মাধ্যমে সঙ্গে কথা বলতে চাননি সঞ্জয়ের স্ত্রীও।

জুন ১০, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার বিধায়কের

বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠলো বর্ধমানে। অভিযোগ, হামলাকারীরা বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে চড়াও হয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায়। তখন বিজেপির কার্য্যকারিনী কমিটির বৈঠকও চলছিল। বর্ধমান শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা এলাকায় হওয়া এই ঘটনায় এলাকার বিধায়ক খোকন দাসের নাম জড়িয়েছে। বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর মণ্ডল সভাপতি শুভঙ্কর রায়, মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক অসিত হালদার সহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল লামা, মনোজ ওরাও,পুনা ভাংরা ও পবন সিং সোমবার বর্ধমান জেলা বিজেপি দফতরে এসে পৌঁছান। এরপর আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে তারা সেখান থেকে চলে যান স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে । আহতদের কাছ থেকে হামলার ঘটনার সবিস্তার শুনে বিজেপি প্রতিনিধিরা ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। শঙ্কর ঘোষ বলেন, শাসকদলের দুস্কৃতীরা চরম অন্যায় করছে। বিজেপির সংগঠন বিস্তারে ভয় পেয়ে তারা এসব করছে।ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা যুবমোর্চার সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহার অভিযোগ, বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খোকন দাসের বাড়ির শহরের রথতলা এলাকায়। বিধায়কের বাড়ির কাছেই বাড়ি রথতলা এলাকায় ৫ নম্বর মণ্ডলের মণ্ডল বিজেপি সভাপতি শুভঙ্কর রায়ের। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই বুথ স্বশক্তিকরণ ও অপারেশন সিঁদুরের সফলতার কথা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া নিয়ে বিজেপি কর্মীরা বৈঠক করছিলেন।বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বৈঠকের শেষদিকে হঠাৎ করেই বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের নেতৃত্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি মণ্ডল সভাপতি শুভঙ্কর রায়ের বাড়িতে চড়াও হয়। তারা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে। এমনকি মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটতরাজও চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মণ্ডল সভাপতি সহ আরও বেশ কয়েকজন বিজেপিকর্মী আহত হন। চিকিৎসার জন্য তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। খবর পেয়ে রাতেই বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয় । তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপি নেতৃত্ব আইনের দ্বারস্থ হলে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। বিজেপি বাজার গরম করার জন্যই তৃণমূলের নামে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে প্রসেনজিত দাস মন্তব্য করেছেন। আর বিধায়ক খোকন দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি রাতে ঝামেলার কথা শুনেছি। ওদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। আমরা ওর মধ্যে নেই। মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আমাদের কেউ হামলা করেনি। আর শুভঙ্কর রায় তো বাংলাদেশী। ওই একমাত্র এখানে থাকে। ওর গোটা পরিবার থাকে বাংলাদেশে। কি করে নাম তোলালো তা বুঝতে পারছি না। বিধায়কের এই বক্তব্যের পাল্টা জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, নিজে বাংলাদেশি বলেই হয়তো বিধায়ক খোকন দাস সবাইকে বাংলাদেশি বানিয়ে দিতে চাইছে।

জুন ০৯, ২০২৫
স্বাস্থ্য

দিনের পর দিন কাজ করেও বেতন জোটেনি, শেষমেশ অবস্থান-বিক্ষোভ মালদা মেডিক্যাল কলেজে

দিনের পর দিন বেতন না মেলায় অবশেষে ক্ষোভ দানা বাঁধলো মেডিক্যাল কলেজের শতাধিক অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে। কাজ করেও তাঁদের বেতন জোটেনি। বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে সোমবার সকাল থেকেই কর্মবিরতির ডাক দিলেন মালদা মেডিকেল কলেজের শতাধিক অস্থায়ী কর্মী। এদিন সকাল থেকেই মেডিকেল কলেজের ট্রমা কেয়ার ভবনের সামনের অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন অস্থায়ী কর্মীরা। যতক্ষণ পর্যন্ত বেতন সমস্যা না মেটানো হবে ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে বলেও সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হওয়া অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, পরিশ্রম করেও প্রতিমাসে নিয়ম করে বেতন মিলছে না। এই মেডিকেল কলেজের হাউসকিপিং, নিরাপত্তারক্ষী সহ বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ১৮১ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। ১৪ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেন প্রত্যেকেই। কিন্তু বেতনের সময় এলেই আর নিয়ম করে তা দেওয়া হচ্ছে না। অধিকাংশ অস্থায়ী কর্মীদের ছয় মাসের বেতন মেলেনি। আবার কেউ চার মাস এবং তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এব্যাপারে গণস্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি দেওয়া হলেও কোনওরকম সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই নিজেদের বকেয়া বেতনের দাবিতে এদিন কর্মবিরতির ডাক দিয়ে এভাবে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছে। এদিন বিক্ষোভকারী এক অস্থায়ী কর্মী অম্লান মিশ্র বলেন, আমি নিজে ছয় মাস ধরে বেতন পাইনি। অথচ মেডিকেল কলেজের প্রতিদিনই ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা ডিউটি করছি। আমার মতো শতাধিক অস্থায়ী কর্মী মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছে না। অথচ আমরা কর্তব্যে কোনও সময় গাফিলতি করি না। মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, নির্দিষ্ট একটি এজেন্সির মাধ্যমেই ওই অস্থায়ী কর্মীরা কাজ করেন। এখানে মেডিকেল কলেজের কোনও হাত নেই। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জুন ০৯, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমানে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ, মৃত ১, জখম বহু

কারখানার ব্রয়লার বিষ্ফোরণে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। এই ঘটনায় জখম ১১ জন। বর্ধমানের পালিতপুরে একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় ভয়াবহ বিষ্ফোরণে ১ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ১১জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুর দেওয়ানদিঘিতে বেশ কয়েকটি স্পঞ্জ আয়রণ ও রড তৈরির কারখানা রয়েছে। এই কারখানাগুলি অনেক সময় পরিবেশ বিধি মানে না বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে এনএন ইস্পাত নামে একটি কারাখানার ব্রয়লারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।কারখানার সিকিউরিটি ম্যানেজার অনুপ দত্ত জানিয়েছে, হঠাৎই ব্রয়লারে বিস্ফোরণ ঘটে। এর তীব্রতায় চালা ভেঙে একজন ড্রাইভার দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি আহত ১১ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কারখানার শ্রমিক পরমবীর যাদব বলেন, এই শ্রমিকদের অনেকেই ভিন রাজ্যের। কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা বুঝে উঠতে পারেননি তারা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জুন ০৯, ২০২৫
রাজ্য

স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা রাজ্যের, পুরো বাতিলের দাবি অ্যাবেকার

বিগত বছরের শেষ থেকেই রাজ্যের নানা জায়গায় স্মার্ট মিটার বসাতে শুরু করে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। এই মিটার বসানো নিয়ে নানা মহল থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়। বাধাও দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গা থেকে। শেষমেশ স্মার্ট মিটার নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর। আপাতত গৃহস্থ বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানোর প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।সোমবার বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো শুরু হয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু অভিযোগ আসার কারণে আপাতত সেই কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্মার্ট মিটারের অস্বাভাবিক বিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অভিযোগ ওঠে। নানা জায়গায় বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও পর্যন্ত হয়। অবশেষে পিছু হঠার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবেকা)-এর সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে আজ এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে স্মার্ট মিটার সম্পর্কে যা জানানো হয়েছে তা হতাশাজনক। গৃহস্থে যাদের অন্যায় জবরদস্তি করে স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে সেগুলো খোলার বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই। কমার্শিয়াল, ক্ষুদ্রশিল্পে ও গৃহস্থে যাদের এই স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে সেগুলো খুলে নিতে হবে। সামগ্রিক গ্রাহকদের টাকা লুট করার যন্ত্র স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার প্রকল্প বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অ্যাবেকার আন্দোলন চলবে।

জুন ০৯, ২০২৫
স্বাস্থ্য

দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত, দেশে সক্রিয় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬,১৩৩ জনে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬জন কোভিড-১৯ আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কর্ণাটকে দুজন, কেরালায় তিনজন এবং তামিলনাড়ুতে একজন।রবিবার পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য কেরালা। সেখানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৫০ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এর পরেই রয়েছে গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে সংখ্যাটি ৬৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ সকাল পর্যন্ত দেশজুড়ে ৭৫৩ জন রোগীর নিরাময় হয়েছে।ভারতে করোনার বর্তমান বৃদ্ধির কারণ হল নতুন ওমিক্রন উপ-ভেরিয়েন্ট যেমন JN.1, NB.1.8.1, LF.7, এবং XFC। এগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা লক্ষণ দেখা গেছে। WHO বর্তমানে এগুলোকে পর্যবেক্ষণাধীন রূপ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। এখনও উদ্বেগের বিষয় নয়, তবে সতর্কতা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে, কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী ভাইরাস SARS-CoV-2 অদৃশ্য হয়ে যায়নি।

জুন ০৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal