চোপড়ার বাস্তব চিত্র সিনেমাকেও হার মানাবে। চোপড়া থানার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন এক তরুণী। সেই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি তাঁর পরিবারের লোকজন। জীবিত মেয়ের নামে ল শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করলেন বাড়ির লোকজন। পাত পেড়ে করালেন ভুরিভোজও।
পছন্দের পুরুষের হাত ধরে সংসার পাততে চেয়ে তরুণীকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। সেই শুরু কাহিনীর। তবে সেখানেই শেষ নয়। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মেয়ে পরিবারের অমতে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করায় তাঁরা গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁরা মনে করছেন, মেয়ে পরিবারের সামাজিক মর্যাদা হানি করেছে। সেই তরুণীর আত্মীয়-পরিজনও নাকি এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছেন না। তাই মেয়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতেই এই শ্রাদ্ধের আয়োজন।
তরুণী কলেজ-পড়ুয়া। তাঁর বাবা কৃষিজীবী। আর তাঁর প্রেমিক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। কলেজের পড়াশোনার পাঠ সাঙ্গ করেছেন খুব বেশিদিন হয়নি। চলতি মাসের ৮ তারিখে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়েন সেই তরুণী। তারপর ৯ মার্চ চোপড়া থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করে মেয়েটির পরিবার। পুলিশ দুজনকে আটক করে নিয়ে আসে রায়গঞ্জ থেকে। মামলা আদালতে ওঠে। কিন্তু ধোপে টেকেনি। কারণ আদালতে মেয়েটি পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে তিনি সাবালিকা। তিনি স্বেচ্ছায় সেই তরুণের সঙ্গে গিয়েছেন। এদিকে, ছেলেটির বাড়ি থেকে কিন্তু প্রাথমিক আপত্তির পর সম্পর্ক মেনে নিয়েছে।
তরুণীর বাড়িতে ঠিক উলটো চিত্র। মেয়ের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে এদিন রীতিমতো পুরোহিত ডেকে নিয়ম মেনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গ্রামবাসীর পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনদের আমন্ত্রণ করে ভুরি ভোজ করানো হয়। শনিবারের অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০ জন অতিথি দিব্য পাত পেড়ে খেয়েছেন জীবন্ত তরুণীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে।
প্রতিবেশীরা, যাঁরা নিমন্ত্রিত ছিলেন, তাঁরাও মেয়েটির সম্পর্ক মানছেন না। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের উদ্দেশ্য, এটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে গ্রামের উঠতি বয়সি ছেলেমেয়েদের কাছে।
আরও পড়ুনঃ মুনমুনের ভালোবাসায় আপ্লুত শ্রীলেখা! রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে এ এক অন্য জোট
- More Stories On :
- Funeral
- Living Young Woman
- Chopra
- Murshidabad