সদ্যই অর্থদপ্তরের পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্যে এই প্রথম কোনও মহিলা অর্থমন্ত্রী পড়লেন বাজেট। শুক্রবার নির্ধারিত সময়ে বিধানসভায় পৌঁছন চন্দ্রিমা। বাজেট পেশের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন তিনি। বলেন, 'আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই ইতিহাস তৈরি করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি যে আমাকে বাজেট পেশ করার এই সুযোগ দিয়েছেন, সেটা আমার কাছে এমন এক মুহূর্ত বলে বোঝাতে পারব না। আমি তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই।'
এক নজরে রাজ্য বাজেট-
● অতিমারি পরিস্থিতিতেও রাজ্যের আয় বেড়েছে। রাজ্যের রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৩.৭৬ গুন ।
● নারী এবং শিশু কল্যাণ প্রকল্পে ১৭.৫ গুণ বরাদ্দ বাড়ল। ১৯ হাজার ২৩৮ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা
বরাদ্দের প্রস্তাব।
● স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণে ১৭ হাজার ৫৭৬ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
অর্থমন্ত্রীর। জন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বরাদ্দ তিন হাজার ৮৭৭ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং বায়েটেকনোলজি সংক্রান্ত দপ্তরের জন্য ৭২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা
বরাদ্দের প্রস্তাব বাজেটে।
● কৃষি এবং কৃষি বিপণনে প্রায় ১০ হাজার কোটা টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের।
চন্দ্রিমা জানালেন, কৃষি বিপণনে ৪০৩.৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছেন তিনি। একই
সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে ৯ হাজার ৩১০.২০ কোটি বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কৃষি ক্ষেত্রে ১১.৩
গুণ বেরেছে বরাদ্দ। কৃষকদের সাহায্য করতে কৃষকবন্ধু প্রকল্প। ৭৮ লক্ষ কৃষক সাহায্য পেয়েছেন।
● সিএনজি চালিত গাড়িতে রেজিস্ট্রেশনে ছাড়। রেজিস্ট্রেশন ফি মকুবের প্রস্তাব। এ ছাড়া সিএনজি
চালিত গাড়িতে ২ বছরের জন্য রোড ট্যাক্স মকুব।
● ফ্ল্যাট বাড়ি কেনা বেচায় কর ছাড় রাজ্য বাজেটে।
● স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের মেয়াদবৃদ্ধি।
● ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ শতাংশ কর ছাড় মিলবে।
● সার্কেল রেটেও ১০ শতাংশ ছাড়।
● প্রাণী সম্পদ উন্নয়নে এক হাজার ২৬৬ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
● উপজাতির উন্নয়নের জন্য এক হাজার ৮৯ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব। পিছিয়ে পড়া
শ্রেণির জন্য দু’হাজার ১৭৮ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
● শহরাঞ্চলের এবং পুরএলাকাগুলির উন্নয়নে ১২ হাজার ৮১৮ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
● স্কুল শিক্ষা ক্ষেত্রে ৩৫ হাজার ১২৬ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাজ্য বাজেটে।
প্রযুক্তি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এক হাজার ২৮৬ কোটি টাকা, গণ
শিক্ষা সম্প্রসার এবং গ্রন্থাহার পরিষেবার উন্নয়নে বরাদ্দ ৩৮৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা, সংখ্যালঘু
এবং মাদ্রাসা শিক্ষায় পাঁচ হাজার চার কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে। উচ্চ
শিক্ষায় পাঁচ হাজার ৮১১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
● তরুণ প্রজন্মের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প খেলাধূলোর ক্ষেত্রে ৭৪৯ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা বরাদ্দের
প্রস্তাব। এ ছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা স্বনিযুক্তির প্রকল্পে বরাদ্দ করা হল ৭২০ কোটি ৮৪ লক্ষ
টাকা।
● স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্যবিষয়ক দপ্তরে বরাদ্দ করা হল ১২ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা। উত্তরবঙ্গের
উন্নয়নে ৭৯৭ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
● বনবিষয়ক উন্নয়নে ৯৩৮ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হল রাজ্য বাজেটে। সুন্দরবনের উন্নয়নে
বরাদ্দ করা হয়েছে ৭২০ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। পরিবেশের উন্নয়নে বরাদ্দ ৯৯ কোটি টাকা।
● পর্যটনের উন্নয়নে ৪৬৭ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব, পরিবহণে বরাদ্দ এক হাজার ৭৮৮
কোটি ১৪ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুনঃ আগামী ৫ বছর গোয়ার মাটি কামরে পড়ে থাকব: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
- More Stories On :
- State Budget
- Chandrima Bhattacharya
- Assembly
- Budget Session