কেন্দ্রের ব্যাংক মার্জারের সিদ্ধান্তের দরুন এলাহাদাদ ব্যাঙ্ক মিশে গিছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সাথে। আর দুই ব্যাঙ্ক মার্জার হতেই গায়েব হয়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ভান্ডারডিহির বহু মানুষের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা। যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়েছে ভান্ডারডিহির ব্যাঙ্ক গ্রাহক মহলে। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা সোমবার দফায় দফায় ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ব্যাঙ্কের লেনদেন বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে এদিনের মত পরিস্থিতি স্বাভারিক হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ভান্ডারডিহির গঞ্জে ছিল এলাহাবাদ ব্যাংকের একটি শাখা। গ্রামের বহু মানুষ সেখানেই লেনদেন করতেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে কিছুদিন আগে ওই ব্যাংকটি মিশে যায় ইন্ডিয়ান ব্যাংকের সঙ্গে। তার পরেই গরিব মানুষজন ও চাষিরা দেখতে পান গায়েব হয়ে গিয়েছে তাঁদের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা। এই ঘটনার কারণে সবার মাথায় হাত পড়ে যায়। গ্ৰাহকদের পাশ বুকও আপডেট হয়নি। সেই কারণেই এলাকার গ্রাহকরা এদিন দফায় দফায় ওই ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ব্যাঙ্কের লেনদেনও বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ, এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রন্সফার করে নেওয়ার কাজ চলছিল সি এস পি ও ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের মদতে। গ্রাহকরা অভিযোগ বলেন, তাঁরা জানতে পারলেনই না তারই মধ্যে কখন তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হল। এমনকি বন্ধকী আমানতের টাকা ম্যাচুরিটি হলেও তার টাকা মেলেনি।
গ্রাহক মুক্তিপদ হাজরা বলেন, আমার ১ লাখ টাকা আটকে গেছে। টাকার অভাবে এখন তিনি জ্যাঠার চিকিৎসা করাতে পারছেন না। অপর গ্রাহক রেখা হাজরা বলেন, তিনি তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা তুলতে চান অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার জন্য। কিন্তু জুতোর শুখতলা খইয়ে ফেলেও টাকা পাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ করেন। সুব্রত খাঁ নামে এক গ্রাহক বলেন, উইথড্রয়াল শ্লিপে তাকে সই করিয়ে অন্য লোক টাকা নিয়ে গিয়েছে। গ্রাহকদের এইসব অভিযোগের বিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমের কাছে কিছু বলতে অস্বীকার করেন।
- More Stories On :
- Bhanderdihi
- Bank Customers
- Bank Mergers
- Account Empty
- Allahabad Bank
- Purba Bardhaman