ভোট মিটতেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি । বৃহস্পতিবার ভোটপর্ব শেষে শুক্রবার রাতভর সেখানে চলে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, বোমাবাজি। আহত দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোমা, গুলির শব্দে রাত কাটলেও আতঙ্ক কাটল না। সকালেও থমথমে নৈহাটির বিজয়নগর এলাকা।
নৈহাটির বিজয়নগরের নামী ক্লাব অভিযাত্রী ক্লাব। শুক্রবার রাতে বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল এই ক্লাব সংলগ্ন এলাকা। অভিযোগ, রাত দশটা নাগাদ এই ক্লাব থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়। বিজেপি ও তৃণমূল – দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, হাতাহাতির জেরে চলে গুলিও। রাত গড়ালেও সংঘর্ষের আঁচ লেশমাত্র কমেনি। পাড়ায় পাড়ায় গভীর রাতেও শোনা যায় বোমা, গুলির শব্দ। দেখা যায়, রাস্তায় পড়ে রয়েছে তৃণমূল, বিজেপির পতাকা। বেছে বেছে এলাকার বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। আরও অভিযোগ, এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর ২০টি বোমা ছোঁড়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের ষষ্ঠ দফা ভোটে এই এলাকাতেও নির্বাচন পর্ব সম্পন্ন হয়েছে ভালভাবেই। উত্তর ২৪ পরগনায় অর্জুন সিংয়ের গড় বলে পরিচিত নৈহাটি, ভাটপাড়া থেকে তেমন কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। কিন্তু ভোটশেষে একদিন কাটতে না কাটতেই বোঝা গেল, এলাকায় রাজনৈতিক আঁচ শুধুমাত্র ছাইচাপা অবস্থায় ছিল। ভোট মিটতেই ফের প্রকাশ্যে এল তা। বোমা, গুলির শব্দে রাতের ঘুম উড়ল বিজয়নগর এলাকার বাসিন্দাদের। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, ভোটে হার নিশ্চিত জেনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এভাবে এলাকা দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তৃণমূল এ ধরনের অশান্তিতে জড়িত নয়। অশান্তি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা যতই থাক, শুক্রবার রাতের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। শনিবার সকালেও থমথমে বিজয়নগর। নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। তদন্তে নেমেছে নৈহাটি থানার পুলিশ।
- More Stories On :
- Whole night bombing
- Naihati
- Assembly election