ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে করুণ নায়ার ০, ২০, ৩১, ২৬, ৪০, ১৪, ৫৭, ১৭ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বি সাই সুদর্শন ০, ৩০, ৬১, ০, ৩৮, ১১।তবু একের পর এক সিরিজে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হচ্ছে অভিমন্যু ঈশ্বরণকে। ভারতীয় এ দলের অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে যাঁর দুটি অর্ধশতরান ছিল। তবু তিনের কথা ভেবে অভিষেক ঘটানো হলো সাই সুদর্শনের। যাঁর ৩১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এখনও অবধি ২০৪৮ রান রয়েছে। সেখানে অভিমন্যু? ১০৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৭৮৪১ রান করেছেন। ২৭টি শতরান, ৩১টি অর্ধশতরান। ২০১৩ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হলেও আন্তর্জাতিক অভিষেকের জন্য তাঁকে ওয়েট করানো হচ্ছে। সুদর্শন তিন ফরম্যাটেই দেশের হয়ে খেলে ফেলেছেন। অভিমন্যুর চেয়ে অনেক পিছিয়ে থেকেও। এর পিছনে কোন ক্রিকেটীয় যুক্তি?সুদর্শন আইপিএল খেলেন, অভিমন্যু সুযোগ পাননি। তবে টেস্ট দলে সুযোগের মাপকাঠি তো আইপিএল হতে পারে না। সাই অক্টোবরে ২৪ বছর পূর্ণ করবেন। সেপ্টেম্বরে ৩০ হবে অভিমন্যুর। করুণ ৩৪ পূর্ণ করার পথে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান করার পর ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান হাঁকিয়ে টেস্ট দলে করুণ কামব্যাক নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনে হোক বা মিডল অর্ডারে করুণের অবস্থা বেশ করুণ। ফলে তাঁকে এবার বসানো যেতেই পারে।গৌতম গম্ভীরের পছন্দ, অপছন্দ বড় কথা নয়। প্রথম একাদশ নির্বাচনে যোগ্যতা, পারফরম্যান্স হোক মাপকাঠি। শুভমান গিলের গুজরাত টাইটান্সে খেলার সুবাদে সুদর্শন ব্যর্থ হয়েও খেলে যাবেন, আর অভিমন্যুকে জল বয়ে বেড়াতে হবে বা পরিবর্ত হিসেবে ফিল্ডিং করতে হবে এটা মানা যায় না। ২০২২ সালে রোহিত শর্মা চোট পাওয়ায় বাংলাদেশ সিরিজে অভিমন্যুর টেস্ট অভিষেকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হয়নি। অথচ সেই সময় থেকে আজ অবধি ১৫ জনের টেস্ট অভিষেক হয়েছে। অভিমন্যুকে বসে বসে তা দেখতে হয়েছে।অংশুল কম্বোজকে ডাকা হলো। কিন্তু কেন ডাকা হলো না মুকেশ কুমারকে? ভারত এরপর দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলবে। দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর টেস্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিপক্ষ। লোকেশ রাহুল আর যশস্বী জয়সওয়াল ওপেনার হিসেবে আপাতত জায়গা পাকা করে ফেলেছেন। কিন্তু তিনে ভরসাযোগ্য কাউকে এখনও পাওয়া যায়নি। এই আবহে অবিলম্বে সুযোগ দেওয়া হোক অভিমন্যুকে। পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হলে না হয় অন্য কাউকে সুযোগ দেবেন। কিন্তু অভিমন্যুকে এবার টেস্টের প্রথম এগারোয় না নেওয়া হলে তা হবে অন্যায়। না হলে কীসের রঞ্জি, ইরানি বা দলীপ, কিংবা ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলা! যে যেভাবে পারেন অভিমন্যুর জন্য জোরালো দাবি উঠুক।