২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপে অল্পের জন্য ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল। দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ড। কার্লোস ব্রেথওয়েটের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ইংরেজদের। সেই স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে এবার যে টি২০ বিশ্বকাপ অভিযানে নেমেছে শুরু থেকেই প্রমাণ করে চলেছে ইংল্যান্ড। এবারও তারা খেতাবের অন্যতম দাবিদার হিসেবে নিজেদের প্রতিপন্ন করেছে। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে ইংল্যান্ড।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লা। লক্ষ্য ছিল ভাল শুরু করে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলা। সে সুযোগ বাংলাদেশকে দেননি ইংল্যান্ড বোলাররা। আইপিএল খেলার সুবাদে আবু ধাবির পরিবেশ সম্পর্কে দারুণ ওয়াকিবহাল ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন ইওয়িন মর্গান, মইন আলিরা। মন্থর উইকেটে বাংলাদেশ ব্যাটারদের আটকাতে মর্গ্যানের শুরুতেই মইনের হাতে বল তুলে দেওয়ার স্ট্র্যাটেজিতে কোনও ভুল ছিল না। শুরুতেই মইনের ধাক্কায় বেসামাল বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে পরপর দু’বলে লিটন দাস (৯) ও মহম্মদ নইমকে (৫) তুলে নিয়ে মইন যে ধাক্কা দিয়েছিলেন, তা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পারেনি। সাকিবও (৪) ব্যর্থ। তাঁকে ফেরান ক্রিস ওকস। ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডারের আঁটোসাটো বোলিংয়ে রান তোলাই কঠিন হয়ে পড়ে বাংলাদেশ ব্যাটারদের। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দেন ওকস।
মুশফিকুর রহিম (৩০ বলে ২৯) ও মাহমুদুল্লা (২৪ বলে ১৯) সামান্য প্রতিরোধ গড়ে তুললেও তা যথেষ্ট ছিল না। বাংলাদেশ ইনিংসের শেষদিকে ধাক্কা দেন বাঁহাতি জোরে বোলার টাইমল মিলস। নুরুল হাসান করেন ১৬। নাসুম আমেদ ৯ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ায় ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বোলিং কোচ ওটিস গিবসন ম্যাচের আগের দিন বলেছিলেন, ইংল্যান্ড ব্যাটারদের অতি ইতিবাচক মানসিকতার ফায়দা তুলবেন। এদিন সে সুযোগ দেননি জেসন রয়, জস বাটলাররা। পঞ্চম ওভারে নাসুম আমেদের বলে জস বাটলার ফিরে গেলেও সমস্যা হয়নি ইংল্যান্ডের। বাটলার ১৮ বলে করেন ১৮। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান জেসন রয় ও দাওইদ মালান। ৩৮ বলে ৬১ রান করে সরিফুল ইসলামের বলে নাসুম আমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন জেসন রয়। বাংলাদেশ তখন জয় থেকে মাত্র ১৩ রান দুরে। ১৪.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড (১২৬/২)। দাওইদ মালান ২৫ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
- More Stories On :
- T20 World Cup
- Cricket
- England vs Bangladesh