অলিম্পিকের মঞ্চে দাপিয়ে বেড়াবেন। ছোট থেকেই মনের মধ্যে স্বপ্নের জাল বুনতেন। কিন্তু প্রাথমিক ভিত ততটা মজবুত ছিল না। তাই বড় জিমন্যাস্ট হওয়ার স্বপ্ন রাজ্য পর্যায়েই থেমে যায় দীপক খাবরার। দুধের স্বাদ ঘোলে মিটতে চলেছে এই প্রাক্তন জিমন্যাস্টের। টোকিও অলিম্পিকে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সে বিচারক হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
গতবছর মার্চ মাসে টোকিও অলিম্পিকে বিচারক হয়ে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন দীপক কুমার। কিন্তু অলিম্পিক স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আশঙ্কায় ভুগছিলেন। আবার ডাক আসবে তো? এবছর এপ্রিলে আবার চিঠি ই–মেল পান অলিম্পিক সংস্থার কাছ থেকে। স্বপ্নপূরণ হওয়ায় খুশি দীপক খাবরা। তিনি বলেন, ‘গতবছর মার্চে অলিম্পিকে বিচারক হিসেবে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। কিন্তু অলিম্পিক স্থগিত হয়ে যাওয়ায় খুব টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। আশঙ্কা হচ্ছিল, আবার ডাক পাব কিনা। এবছর এপ্রিলে আবার আমন্ত্রণ পাই। অবশেষে অলিম্পিক যাওয়ার স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হচ্ছে। খেলোয়াড় হিসেবে যাওয়ার সুযোগ পাইনি। বিচারক হিসেবে তো যেতে পারছি। আমি সত্যিই খুব খুশি।’
২০০০ সালে ১২ বছর বয়সে জিমন্যাস্টিক শুরু করেছিলেন দীপক। তিনি থাকতেন গুজরাটের সুরাটে। সুরাটে সেই সময় জিমন্যাস্টিকের পরিকাঠামো একেবারেই ভাল ছিল না। তা সত্ত্বেও নিজেকে তৈরি করছিলেন। ২০০৫ থেকে ২০০৯, টানা গুজরাটের রাজ্য চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। ২০০৭ গুয়াহাটিতে জাতীয় গেমসেও অংশ নেন। তবে সাফল্য পাননি। তারপরই খেলা ছেড়ে বিচারক হওয়ার রাস্তা বেছে নেন। এই ব্যাপারে তাঁকে অনুপ্রানিত করেন তাঁর কোচ কৌশিক বেদিওয়ালা। তিনিও জিমন্যাস্টিক্সের বিচারক।
২০১০ কমনওয়েলথ গেমসই ছিল বিচারক হিসেবে দীপকের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। তিনিই ছিলেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ বিচারক। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ২০১৪ এশিয়ান গেমস ও যুব অলিম্পিকে বিচারকের দায়িত্ব পান। ২০১৮–তেও এই দুটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত ২০টি বড় প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীপক খাবরা। অলিম্পিকে পৌঁছতে ১২ বছর সময় লাগল।
- More Stories On :
- Tokyo Olympics 2020