টোকিও প্যারালিম্পিকের টেবিল টেনিসের ব্যক্তিগত ইভেন্টে সেমিফাইনালে উঠে পদক নিশ্চিত করে ইতিহাস রচনা করেছিলেন ভাবনাবেন প্যাটেল। চীনের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে পৌঁছে গেছেন ফাইনালে। সামনে সোনা জয়ের হাতছানি। সোনা জিততে পারলে আরও এক ইতিহাস রচনা করবেন ভারতের এই প্যারা অ্যাথলিট। জীবনের প্রথম প্যারালিম্পিক্সের ফাইনালে উঠতে পারবেন, স্বপ্নেও ভাবেননি ভাবনাবেন। ইচ্ছে শক্তির জোরেই এই জায়গায় পৌঁছেছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। কোনও প্রত্যাশা নিয়ে টোকিও যাননি ভাবনাবেন। লক্ষ্য ছিল প্যারালম্পিক্সে নিজের সেরাটা দেওয়া। আর তাতেই ফাইনালে উঠে রুপো নিশ্চিত করে ফেলেছেন এই ভারতীয় প্যারা অ্যাথলিট। সেমিফাইনালে চিনের ঝাং মিয়াওকে হারিয়েছেন ৩-২ ব্যবধানে।
চীনের প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে জেতার পর ভাবনাবেন বলেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে যেরকম খেলছি, ফাইনালে তেমন খেলতে পারলে সোনা জিতবই। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় কখনও ফাইনালে ওঠার কথা ভাবিনি। ১০০ শতাংশ দেওয়ার কথাই ভেবেছিলাম। ফাইনালে ১০০ শতাংশ দিতে পারলে পদক জিততে অসুবিধা হবে না। মানসিক ভাবে ফাইনালে সেরাটা দেওয়ার জন্য আমি তৈরি।’
শনিবার টোকিও প্যারালিপিক্সে মহিলা সিঙ্গলসের সেমিফাইনালে প্রথম গেমে ৭–১১ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন ভাবনা। তারপর দুরন্তভাবে ফিরে আসেন। দ্বিতীয় গেম জিতে নেন ১১–৭ ব্যবধানে। পরের গেম জেতেন ১১–৪ ব্যবধানে। যদিও হাল ছাড়েননি বিশ্বের তিন নম্বর মিয়াও। ১১–৯ ব্যবধানে চতুর্থ গেম জেতেন। পঞ্চম গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। শেষ পর্যন্ত ১১–৮ ব্যবধানে পঞ্চম গেম জিতে প্যারালিম্পিক্সের ফাইনালে পৌঁছে যান ভাবনা। সঙ্গে তৈরি করে ফেলেন ইতিহাস। প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেবিল টেনিসে পদক নিশ্চিত করেছেন তিনি।
মিয়াও জাংয়ের কাছে এর আগে টানা ১১ বার হেরেছিলেন ভাবনাবেন। সেই পরিসংখ্যানে দমে যাননি। বরং নিজের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চিনের মিয়াও জাংকে হারিয়ে দিয়েছেন ভাবনাবেন প্যাটেল। দুর্দান্ত জয়ের পর ভাবনা বলেন, ‘কোনও কিছু অসম্ভব নয়, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছি।’ অনেকেই মনে করেন, চীনা খেলোয়াড়দের হারানো অসম্ভব। সেটাকেও সম্ভব করে দেখালেন ভাবনা। ম্যাচের পর বললেন, ‘চীনা খেলোয়াড়কে হারানো অনেকেই অসম্ভব বলে মনে করেন। সেটা করতে পেরে আমি গর্বিত। যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে সবকিছুই সম্ভব। নিজেকে কখনও বিশেষভাবে সক্ষম মনে করি না।’
- More Stories On :
- Tokyo Para Olympics : India : Bhabnaben Patel