"আমি বাংলার গান গাই"- খ্যাতনামা সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়(Pratul Mukhopadhyay) প্রয়াত। দীর্ঘ দিন ধরে এসএসকেএম (SSKM)-এ ভর্তি ছিলেন সৃজনশীল বর্ষীয়াণ শিল্পী। মত্যুকালে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল ৮২। ১৯৪২ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলা সঙ্গীত জগৎ। তাঁর প্রয়াণের খবর পেয়েই হাসপাতালে যান দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন শনিবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত শিল্পীর দেহ রাখা ছিল রবীন্দ্রসদনে। সঙ্গীত জগত থেকে রাজনৈতিক মহল, সাধারাণ মানুষ এসেছিলেন প্রয়াত শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে। উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়াত শিল্পীর স্ত্রী সর্বাণী মুখোপাধ্যায়কে সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পী দেহদানের অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন। শিল্লীকে রবীন্দ্রসদনে গান স্যালুট দেওয়া হয়। তারপর শিল্পী নিশ্বর দেহর এসএসকেএম হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন-
"ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথীরে / ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে
পূবের আকাশ রাঙ্গা হল সাথী / ঘুমায়োনা আর, জাগো রে।"
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠের মূর্ছনায় বাংলা সঙ্গীত জগত প্রাণবন্ত ও মুগ্ধ। তাঁর বাদ্যহীন কণ্ঠের জাদুতে বাক্রুদ্ধ সমগ্র সঙ্গীত জগত – সেই আধুনিক বাংলা গানের খ্যাতনামা শিল্পী, গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি শোকস্তব্ধ। আজ রবীন্দ্র সদনে তাঁর প্রতি জানালাম শেষ শ্রদ্ধা। আমি যেমন তাঁর একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত, তেমনই তিনিও আমার খুব কাছের মানুষ। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং সঙ্গীত জগতে তাঁর সুরেলা কণ্ঠের গায়কি আজীবন থেকে যাবে আমাদের মননে। আজ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে গান স্যালুটের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানায় আপামর বাঙালি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
- More Stories On :
- Pratul Mukherjee
- SSKM
- Mamata banerjee