মার্কিন প্রেসিডেন্টের সতর্কবার্তা, আশঙ্কা সত্যি করে রবিবার বিকেলে কাবুল বিমানমন্দরের বাইরে মার্কিনিদের লক্ষ্য করে রকেটহানা চালায় তালিবানরা। জানা গিয়েছে শিশু-সহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। এদিকে ভোরের আলো ফোটার আগেই কান ফাটানো আওয়াজে একের পর এক রকেট ভেসে আসতে শুরু করেছে কাবুলের আকাশে।
আরও পড়ুনঃ দিল্লি ও ত্রিপুরা জয়ের শপথ নিলেন পূর্ব বর্ধমানের সকল নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়করা
সোমবার সকাল থেকে এমনটাই পরিস্থিতি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। স্থানীয় সূত্রে খবর,কাবুল বিমানবন্দর লক্ষ্য করেই রকেটগুলি ছোড়া হচ্ছে, তবে বিমানবন্দরে যে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বসানো রয়েছে, তা ভেদ করে প্রবেশ করতে পারেনি রকেটগুলি। রবিবারই বিকেল নাগাদ কাবুল বিমানবন্দর লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, কাবুলের খাওজা বুঘরা জেলার গুলাই অঞ্চলে ওই বিস্ফোরণ হয়। জন বসতিপূর্ণ এলাকায় একটি বাড়িতে রকেট হামলা চালানোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ল্যাব জার খইরখানার কাছে অবস্থিত খোরশিদ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে রকেট হামলাগুলি চালানো হয় বলে জানা যায়। প্রতিটি রকেটই কাবুলের হামিদ কারজ়াই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছিল।আফগানিস্তানের এক সাংবাদিক টুইটে লেখেন, 'কমপক্ষে দুটি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ভোর ৬টা ৪০ থেকে কাবুলের লাব-ই-জার অঞ্চল থেকে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের দিকে লক্ষ্য করে রকেটগুলি পাঠানো হচ্ছিল। আর্য শহরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন বাড়ির ছাদে রকেটগুলি পড়েছে। মাঝ আকাশেই রকেটগুলি ফেটে যায়, ভাঙা অংশগুলি আছড়ে পড়ে বাড়ির ছাদে।'
আরও পড়ুনঃ সোনার স্বপ্ন অধরা, ভাবনাবেনকে ৩ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দেবে গুজরাট সরকার
গতকালের রকেট হামলার পরই পাল্টা হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেমন সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, সেই অনুযায়ীই ফের একবার বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। যেই অংশে হামলা চালানো হবে, সেখানে হামলাকারীদের গাড়িও পৌঁছে যায়। ভিতরে উপস্থিত ছিলেন এক আত্মঘাতী বোমারু। কিন্তু গোপন সূত্রে আগেই খবর পেয়ে গিয়ে ওই গাড়ির উপরই এয়ারস্ট্রাইক চালায় মার্কিন বাহিনী। বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা না গেলেও ওই এয়ারস্ট্রাইক সফল হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
মার্কিন আধিকারিকরা জানান, আগামিকাল অর্থাৎ ৩১ অগস্ট উদ্ধারকার্য শেষ করার শেষদিন। একাধিক দেশের উদ্ধারকার্য শেষ হলে গেলেও মার্কিন বাহিনী এখনও কাজ জারি রেখেছে। সেই কাজে বাধা দিতেই পরিকল্পনা করে এই হামলাগুলি চালানো হচ্ছে। তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না মার্কিন বাহিনীও। পাল্টা আক্রমণ চালাবে তারাও।
- More Stories On :
- Afghanistan
- Kabul
- Rocket Attack
- Blast at 4 places