হুগলি নদীর তীরবর্তী শহর কলকাতার ঘাটগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হলে প্রয়োজন সার্বিক শুভবুদ্ধি। কাল্টএক্স আয়োজিত রিভার ফেস্টিভ্যালের সমাপ্তিতে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বললেন শহরের বিশিষ্টজনেরা। কলকাতার ঘাটগুলির উন্নতি সাধন ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে স্মরণ করতে চার দিনের এই নদী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে শহরের সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ তুলে ধরাও অন্যতম লক্ষ্য ছিল এই উৎসবের।
উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা লায়লী থমসন জানান, “এই রিভার ফেস্টিভাল আমরা ২০১৯-এ শুরু করি। হুগলি নদীর বিভিন্ন ঘাটে তরুণ প্রজন্মের সাংস্কৃতিক প্রতিভাদের আত্মপ্রকাশের মঞ্চ এই উৎসবকে তুলে ধরা হয়। ঘাটগুলির হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে নাগরিকদের সচেতন করার পাশাপাশি শহরের ঐতিহ্যের প্রতি যত্নবান হওয়ার আহ্বান দিয়েই রিভার ফেস্টিভাল নদী ঘাটগুলির রক্ষণাবেক্ষণে সকলের সহযোগিতা চায়।” উৎসবের শেষদিন ছিল 'দ্য ডায়িং ঘাটস অফ ক্যালকাটা' শীর্ষক এক তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী। সেই সঙ্গে ঘাটগুলির সংরক্ষণ বিষয়ক এক আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বিশিষ্ট শিল্পী তথা হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন, রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা বন্দরের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা গৌতম চক্রবর্তী প্রমুখ।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করে শুভাপ্রসন্ন বলেন সব ঘাট হয়তো হেরিটেজ তকমা পাওয়ার যোগ্য নয় কিন্তু সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও ঘাটগুলির হেরিটেজ সম্পর্কে অবহিত হওয়া প্রয়োজন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন কলকাতার ঘাটগুলির সংরক্ষণে প্রধান অন্তরায় অধিকারের জটিলতা। বন্দর কর্তৃপক্ষ, সেনা কর্তৃপক্ষ, কলকাতা কর্পোরেশন এবং কেএমডিএ ঘাটের অধিকার নিয়ে সুস্পষ্ট নীতির অভাব। এই জটিলতাই ঘাটগুলির ভগ্নদশার জন্য অন্যতম কারণ। সাংসদ জহর সরকার শুরুতেই এই অধিকারের আইনি জটিলতা মেনে নিয়েও বলেন কেন্দ্র সরকার জাহাজ মন্ত্রক বা রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তর একসঙ্গে এগিয়ে না এলে এই সমস্যা সমাধান অসম্ভব। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ এবং অশোক বিশ্বনাথন।
আরও পড়ুনঃ ঋদ্ধিকে হুমকি, অস্বস্তিতে সৌরভ গাঙ্গুলি, তদন্ত শুরু করতে চলেছে বোর্ড
আরও পড়ুনঃ আরো ভালো ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করতে চান সোমা সাহা
- More Stories On :
- River festival
- Festival